৩০ অক্টোবর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ পরিস্থিতি
মুজাহিদ বাহিনী
ঢাকা থেকে ১৭ মাইল উত্তরে সামাসপুরে মুজাহিদ বাহিনী ভারতীয় এজেন্টদেরকে ধাওয়া করে। ভারতীয় এজেন্টরা পলায়নের চেষ্টা করলে মুজাহিদরা গুলি করে গুলীতে ৩ চর নিহত হয় বাকীরা আত্মসমর্পণ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অস্রের আস্তানা জানিয়ে দেয়। মুজাহিদরা সে আস্তানা থেকে বিপুল কার্তুজসহ ১৩ টি রাইফেল, ১৪২টি হাত বোমা আটক করে। চট্টগ্রামে মুজাহিদগন কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অস্রের আস্তানার সংবাদ পায়। পরে সেখান থেকে তারা ৮৫০ রাউন্ড গুলী সহ ৮ টি রাইফেল ৩২০ টি মাইন ১১০ টি হাতবোমা আটক করে।
রাজাকার
রাজাকাররা ঝিনাইদহের ভোমরডানায় ১৭ জন ভারতীয় চরকে আটক করেছে। রাজাকাররা ময়মনসিংহের ইসলামপুরে, রংপুরের মেরাগাও এ , রাজশাহীর নারলিয়াতে ভারতীয় চর দ্বারা তিনটি সেতু ধ্বংস প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। এতে তিনজন গ্রেফতার ও দুজন ভারতীয় চর নিহত হয়।
ভারতীয় চর
ঢাকার দক্ষিনে নবাবগঞ্জে তারাবীর নামাজে বোমা নিক্ষেপ করলে ৫ জন আহত হয় ২ জনের অবস্থা গুরুতর। টিকাটুলির অভয়দাস লেনের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে বোমা বিস্ফোরিত হয়। বোমার শব্দে দারোয়ান ও একজন মহিলা জ্ঞান হারান। বায়তুল মোকাররম মার্কেটে একটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। হাজী ওসমান রোডে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।