আগস্ট ১৮, ১৯৭৩ শনিবার ঃ দৈনিক বাংলা
লাকী পারচেজের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী : জনাব তাজউদ্দিন আহমদ পাটকে স্বর্ণের। খনি বলে আখ্যায়িত করে বলেন, যতদিন প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি মােতাবেক রফতানি পণ্য সরবরাহ আমরা করতে পারব ততদিন বাংলাদেশ বিশ্বে পাটের বাজার হারাবে। চুক্তি রক্ষা করতে না পারলে ব্যবসা বাণিজ্যে কিভাবে দারুণ ক্ষতি স্বীকার করতে হয়, এটা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বেলগুলাে যথাযথভাবে পােক্ত করে না বাঁধলে কিংবা প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ হলে সরকারকে পাট ক্রেতা ও অন্যান্য দাবি বাবদ ক্ষতিপূরণ পরিশােধ করতে হয়। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি শ্রমিকদিগকে কঠোর ও আন্তরিকতার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের কাজ দিয়ে বিদেশী ক্রেতাদের আস্থা অক্ষুন্ন রাখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, তার বিদেশ সফরকালে তিনি বিদেশী ক্রেতাদের সাথে আলাপ আলােচনা করেছেন এবং তারা তাদের সমস্যাবলী সামনে তুলে ধরেন। তাদের দাবি-প্রতিশ্রুতি যথাসময়ে পালন করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, অধিক উৎপাদন না করতে পারলে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া পূরণ করা যাবে না। জাতীয় আয় বাড়াতে পারলেই দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। অধিকতর উৎপাদনের দ্বারাই কেবলমাত্র আয় বৃদ্ধি করা যেতে পারে। জনাব তাজউদ্দিন বলেন, অসম্ভব ও অবান্তর দাবি-দাওয়া কখনােই পূরণ করা যাবে এবং এ রকমের দাবির ভিত্তিতে ধর্মঘট আত্মহত্যারই শামিল।
সূত্র : তাজউদ্দীন আহমদ-ইতিহাসের পাতা থেকে – সিমিন হোসেন রিমি