সিলেটের উত্তরাখণ্ড মুক্তিবাহিনীর দখলে: বহু পাক সৈন্য খতম
আগরতলা, ২৯ মে বাংলাদেশে মুক্তিফৌজের গেরিলা আক্রমণ জোরদার হবার সঙ্গে সঙ্গে পাক হানাদার বাহিনী বিভিন্ন রণাঙ্গনে বেধড়ক মার খাচ্ছে। রংপুর সেক্টরের ভুরুঙ্গামারিতে দুই পক্ষে জোর লড়াই হচ্ছে। ধরলা নদী অতিক্রমের সময় বেশ কিছু সংখ্যক পাক সৈন্য মারা পড়ে। পাক সামরিক বাহিনীর একটি গানবােটও এখানে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুক্তিফৌজ সর্বাধিক সাফল্য লাভ করেছেন শ্রীহট্ট সেক্টরে। এখানে প্রচণ্ড সংগ্রামের পর সিলেট জেলার সমগ্র উত্তরাঞ্চল মুক্তিফৌজ পুনরায় দখল করে নিয়েছেন। আহত এবং নিহত পাক সৈন্যদের ট্রাক বােঝাই করে খাদিমনগর ক্যান্টনমেন্টে চালান করে দেওয়া হয়েছে।
প্রচুর অস্ত্র-শস্ত্রসহ ৬টি সামরিক ট্রাক ও ২টি জিপ মুক্তিফৌজ কেড়ে এনেছেন। এছাড়া চলতি সপ্তাহের যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী বিভিন্ন রণাঙ্গনে পাক বাহিনীর বহু সামরিক সম্ভার ধ্বংস করে দিয়েছেন। দখল করেছেন ২৭টি হালকা মেশিনগান, ১৭৩টি রাইফেল ও প্রচুর গােলা-বারুদ।
গেরিলা আক্রমণের ভয়ে পাক হানাদাররা এখন আর ছােট ছােট দলে বিভক্ত হয়ে পথে টহল দিতে বেরুয় না। সামরিক প্রশাসকের নির্দেশানুসারে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টার পর কোনাে হানাদারের শিবিরের বাইরে থাকা নিষিদ্ধ হয়েছে।
সূত্র: গণসংহতি
৩০ মে, ১৯৭১
১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৩৭৮