You dont have javascript enabled! Please enable it! 1972.01.05 | ৫ জানুয়ারি ১৯৭২ - সংগ্রামের নোটবুক

৫ জানুয়ারি ১৯৭২
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী তে ছাত্রদের শোষণ মুক্ত সমাজ গঠনের শপথ ,শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ।ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সিটিউট এ আলোচনা সভায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রি ও বিজ্ঞানী কুদরত ই খুদা বক্তব্য রাখেন । সেকটরস কমান্ডারদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত ।বাংলাদেশ বিমান অধ্যাদেশ জারী ।ভারতীয় সেনা প্রকৌশলী গন ধংশ প্রাপ্ত ব্রিজ সমুহ মেরামত করে যোগাযোগ বেবস্থা সচল করছেন । ধংশ প্রাপ্ত বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগ টাওয়ার মেরামত অব্যাহত ।শেখ মুজিবের মুক্তির জন্য জাতীয় ও আন্তজারতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত ।সরকারী ভাবে শরণার্থী ফেরত আসা অব্যাহত ।

শরণার্থী প্রত্যাবর্তন

দেশ স্বাধীনের সাথে সাথেই কিন্তু শরণার্থী প্রত্যাবর্তন শুরু হয় নাই। ধনীদের বিষয় আলাদা। যারা ক্যাম্পে তালিকাভুক্ত তাদের ১লা জানুয়ারী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। প্রতিদিন কি হারে কিভাবে শরণার্থী প্রত্যাবর্তন হবে সেটা দুই সরকারের আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই নির্ধারিত হইত। এই প্রত্যাবর্তন চলে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। আসার সময় তাদের দেয়া হইত দুই সপ্তাহের রেশন। তবে কেউ রেশনের পরিবর্তে টাকাও নিতে পারতেন এই হার রাজ্য ভেদে কম বেশি ছিল। জন প্রতি ৬০ পয়সা থেকে ১ টাকা ১০ পয়সা। কেউ যদি নিজ দায়িত্ব নিয়া দেশে ফিরত তারা জন প্রতি প্রাপ্ত বয়স্ক ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৫ টাকা হারে পাইত।শরণার্থীদের ভ্রমন ভাতা ছিল প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতি ১০ কিমি ২ টাকা অপ্রাপ্ত বয়স্ক তার অর্ধেক। কাপড় ভাতা ছিল যথাক্রমে ১৪ ও ১০ টাকা। কম্বল প্রতি পরিবার ৩ টি। বেশীর শরণার্থী সরকারী যানবাহনেই দেশে ফিরেছে। সমগ্র শরণার্থী ফিরাতে বাংলাদেশ সরকারের খরচ হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। ১৯৭২ সালের দেশের বাজেট ছিল ৫৮৭ কোটি টাকা।