এপ্রিল ৯, ১৯৭২ রবিবার ঃ দৈনিক পূর্বদেশ
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ ও উন্নতির পথে ও কলকাতা, ৭ এপ্রিল। চালনা বন্দরের কাজ শুরু হবার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্রমশঃ উন্নতি হয়েছে। আজ এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ এ কথা জানান। জনাব আহমদ বলেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে তারা বিদেশী মুদ্রার ক্ষেত্রেও বেশ কিছুটা স্বাবলম্বী হতে পারবেন। কেননা চালনা বন্দরের মাধ্যমে তারা বিদেশে প্রচুর জিনিস রফতানি করছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আগামী মাসের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরের পুনর্নির্মাণের কাজও শেষ হবে। এই দু’টি বন্দর এক সাথে চালু হলে বহু জিনিস বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে এবং তাতে প্রচুর বিদেশী মুদ্রাও উপার্জন করা যাবে। বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য বিদেশ থেকে যে সাহায্য আসছে তা প্রয়ােজনের তুলনায় কম হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার তার তিন কোটি শরণার্থীকে প্রয়ােজনীয় সুযােগ সুবিধা দিতে পারছে না। এই তিন কোটি শরণার্থীর মধ্যে এক কোটি ভারত থেকে এসেছে। বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের একজন মুখপাত্র বলেন, এ পর্যন্ত তারা ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা এ বাবদ ব্যয় করেছেন। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বেশ কিছু শরণার্থী ভারতে ফিরে যাচ্ছে এ সম্পর্কে সরকারী মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া হবে। তিনি বলেন, ভারত থেকে ট্রেনে-লরিতে এবং অন্যান্য উপায়ে উত্তরবঙ্গের রাজশাহী, ঈশ্বরদী, দিনাজপুর ও অন্যান্য অঞ্চলে খাদ্য পাঠানাে হচ্ছে।
সূত্র : তাজউদ্দীন আহমদ-ইতিহাসের পাতা থেকে – সিমিন হোসেন রিমি