২৩ অক্টোবর ১৯৭১ঃ গোয়াইন ঘাট অবরোধ
পাক বাহিনী অবস্থান – গোয়াইন নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থান ছিল। এ ক্যাম্পে আর্টিলারি সুবিধা রাখা হয়েছিল এবং জরুরী সাহায্য দেয়ার জন্য হেলিপ্যাড তৈরি করা ছিল। এখানে ছিল এক কোম্পানী ৩১ পাঞ্জাব এক কোম্পানী একেএফ, পাঞ্জাব রেঞ্জার মিশ্রিত এক কোম্পানী টচি স্কাউট, এক কোম্পানী রাজাকার। মুক্তিবাহিনী অবস্থানঃ এ অপারেশনের আগে ক্যাপ্টেন মুত্তালিব এর বাহিনী ছিল এ এলাকা দখল করার দায়িত্তে। তার অধীনে ছিল ইপিআর সুবেদার মেজর বিআর চৌধুরী, সুবেদার মুজিবুর রহমান, সুবেদার মোশাররফ, জাফলং চা বাগান ম্যানেজার নাজিম কয়েস চৌধুরী। সাপোর্টে ৫/৫ গুর্খা ও ২৫ আসাম রাইফেলস, বিএসএফ কোম্পানি গয়াইন ঘাট অপারেশনের প্রাক্কালে তাদের কার্যক্রম পরিবর্তন করা হয়। অপারেশনের দায়িত্ব পান সাফায়েত জামিলের ৩ বেঙ্গল। ৩ বেঙ্গল দু ভাগে বিভক্ত করে আলফা, ডেল্টা (নুরুন্নবী), সদর নিয়ে আসা হয় ডাউকিতে। সাথে যোগ হয় লেঃ ইয়ামিনের এফএফ কোম্পানী। রাত ১১ টায় ইয়ামিনের বাহিনী এবং নবীর বাহিনী অগ্রসর হয়। কিন্তু নদী পার হওয়ার জন্য নৌকা বেবস্থা করতে সক্ষম হয়নি। এর মদ্ধে রাজাকারদের মাধ্যমে পাক ক্যাম্পে খবর পৌঁছে যায় এবং হেলিকপ্টার যোগে কিছু কমান্ডো আসে। মাত্র ৩০০ গজ দুরত্তে নদীর দুপারে সকাল হতে হতেই গোলাগুলি শুরু হয়। ৩ ইঞ্চি মর্টার আর আর্টিলারি গোলাবর্ষণে মুক্তিবাহিনী তাদের সাথে পেরে উঠতে পারছিল না। এর কারন তারা বাঙ্কার খনন করতেও সময় এবং সুবিধা পাননি। ব্যাপক ক্ষতির স্বীকার হয়ে জামিলের বাহিনীকে পশ্চাদপসরণ করতে হয়।
নোট ঃ এ হামলা সম্পর্কে আইএসপিআর পত্রিকায় প্রকাশের জন্য কোন প্রেস রিপোর্ট পাঠায়নি ফলে পত্রিকায় কোন নিউজ নেই।