২২ অক্টোবর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ পরিস্থিতি
কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঃ ২ নং সেক্টরের সবচে বড় হামলার জন্য সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন আইন উদ্দিন, লেঃ শামসুল, ক্যাপ্টেন আশরাফ কসবা সীমান্তে তাদের বাহিনী জড়ো করেছেন। সাথে আছেন ৪ ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা। এ হামলায় সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ নিজে উপস্থিত থাকবেন। কসবার দক্ষিনে মুক্ত ১০টি গ্রাম দখলের জন্য পাক বিমান বাহিনী ১০ টি গ্রামের উপর ৫০ মিনিট ধরে বিমান থেকে মেশিনগানের হামলা চালায় ফলে অনেক গ্রামবাসী নিহত হয়। গ্রামগুলি হল বাগড়া, শশীদল, মন্দভাগ, নাপিতের বাজার, চারাধারি, জোলাইপারা, রাজাপুর, নয়নপুর। এর আগে দুপুরে জোলাইপারা এলাকায় ১১ টি স্পীডবোট সহকারে কোম্পানীগঞ্জ থেকে আগত পাকবাহিনীর একটি দল মুক্তিবাহিনীর উপর আক্রমনের সময় মুক্তিবাহিনীর হামলায় তারা সকলেই নিহত হয়।
পাক বাহিনীর মুল অংশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবার পর তাদের উদ্ধারের জন্য বিমানের সাহায্য চাওয়া হয়। আগরতলার জিবি হাসপাতালে কয়েকজন গুরুতর আহত রোগী ভর্তি করা হয়। তারা সকলেই বায়েক ইউনিয়নের কোল্লাপাথরের বাসিন্দা। পাক বাহিনীর কামানের গোলায় তারা আহত হয়। এখানে আরও তিন জন নিহত হয়েছে। রামগড়ঃ রামগড় দিয়ে মুক্তিবাহিনীর একটি দল প্রবেশকালে পাকবাহিনীর হামলায় ৯ জন বিএসএফ ও ৩০ জন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়েছে। রামগড়ের সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশকারীরা একটি ঘাটি গড়ে তুললে দেশপ্রেমিক জনগন পাক বাহিনীর কাছে খবর দেয়। পাক বাহিনী ৩ দিক থেকে ঘেরাও করে তাদের উপর আক্রমন করে। এখান থেকে অনেক অস্র উদ্ধার হয়।