১৫ অক্টোবর ১৯৭১ঃ কাইউম পলঅব গোপন আলোচনার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রজারস বরাবর কলকাতার কন্সাল জেনারেল এর টেলিগ্রাম।
মোস্তাকের আস্থাভাজন জহিরুল কাইউম এমএনএ (চৌদ্দগ্রাম) এর বার্তাবাহক ও কলকাতার মার্কিন কন্সাল পলঅব এর সাথে বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কাইউম আগরতলা থেকে ফিরে এলে ১৮ বা ১৯ তারিখে আবার তাদের মধ্যে বৈঠক হবে। বার্তাবাহক জানিয়েছেন ভাসানী সমর্থক একদল মুক্তিযোদ্ধার সাথে ২ নং সেক্টর সাধারন মুক্তিযোদ্ধাদের ৮ তারিখে এক সংঘর্ষের পর সালিশের জন্য কাইউম এবং মুস্তাক আগরতলা গিয়েছেন। বার্তাবাহক জানিয়েছেন কলকাতায় অবস্থানকারী ভাসানী এই সময়ে খালেদ মোশাররফকে সেক্টর কমান্ডারের পদ থেকে অপসারন চেয়েছিলেন বলে বার্তাবাহক সুত্রে জানা যায়। মুস্তাকের আগরতলা সফরের পর আলোচনা অব্যাহত ছিল।
বার্তাবাহক পলঅবকে জানান মুস্তাক ছাড়া ক্যাবিনেটের সকল সদস্য তাকে ওয়ার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। পল অব ব্র্যাকেট নোট লিখেছেন কাইউম একজন ক্লিয়ারড এমএনএ। বার্তাবাহক বলেছেন কম্যুনিস্ট তোহায়া একজন সিপিএম এমপি এর সাহায্য নিয়ে হিন্দু নাম ব্যাবহার করে আগস্টে ভারত হয়ে লন্ডন হয়ে চীনে গমন করেন। ভারত বিষয়টি গত সপ্তাহে অবহিত হয়েছে। ভারত সরকার তোহায়ার একটি ছবিও প্রকাশ করেছে।
নোটঃ বার্তাবাহক ভাসানী অনুগত যে বাহিনীর কথা প্রকাশ করেছেন তা ভাসানী অনুগত নয়। সেটি তোহায়ার গনবাহিনী। তোহায়া ন্যাপ ত্যাগ করেন ৭০ সালের মাঝামাঝিতে। গতকালের আরেকটি কেবলে জানা যায় পলঅব কলকাতা মিশন প্রধান হোসেন আলীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
Source: Bangladesh Liberation War and the Nixon White House 1971, p.263 – 264