রাজনৈতিক সংঘাতে নিহত জাসদের নেতা-কর্মীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা
[এই তালিকায় প্রদত্ত জাসদের নিহত কর্মীদের নাম সংগৃহীত হয়েছে এই দলের প্রকাশনা ‘প্রেরণার মুখ’ থেকে। “প্রেরণার মুখ’ নামক প্রকাশনায় তথ্যগুলাে যেভাবে ছিল সেভাবেই এখানে উপস্থাপিত হয়েছে প্রায় হুবহু, সম্পাদনা বা ভাষাগত পরিবর্তন করা হয়েছে সামান্যই। লক্ষ্যণীয়, এই তালিকায় ১৯৭৫ সালের পরে নিহতদের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে সেই তথ্যকে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দৈনিক গণকণ্ঠ থেকে সংগৃহীত একটি তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে পরবর্তী সংযুক্তিতে উপস্থাপিত আওয়ামী লীগের নিহত কর্মীদের তালিকাটি সংগহীত হয়েছে সাংবাদিক আশরাফ কায়সারের বাংলাদেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ (মাওলা ব্রাদার্স, ১৯৯৫) শীর্ষক গ্রন্থ থেকে। আশরাফ কায়সার এই তালিকাটি তৈরি করেছেন সেই সময়কার আওয়ামী লীগ সমর্থক পত্রিকা বাংলার বাণী থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে। বলা বাহুল্য, তালিকাগুলাে নানাভাবে অসম্পূর্ণ।
উল্লেখ্য, জাসদের নিহত কর্মীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও রক্ষীবাহিনীর হাতে নিহত হলেও আওয়ামী লীগ কর্মীরা কেবল জাসদের হাতে নিহত হননি। সর্বহারা পার্টি, সাম্যবাদী দল, ইপিসিপিএমএল নামে পরিচিত ‘পূর্ব-পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মা-লে)’ প্রভৃতি সংগঠনের হাতেও অনেক আওয়ামী কর্মী-সংগঠক মারা যায়। আবার সর্বহারা পার্টি, সাম্যবাদী দল ও ইপিসিপিএমএল-এর অনেক কর্মীও আওয়ামী লীগ এবং জাসদ কর্মীদের হাতে খুন হয়েছিল। স্থানাভাবে এই গ্রন্থের সংযুক্তিতে সকল তালিকা সন্নিবেশ করা হচ্ছে না। তিনটি তালিকা তুলে ধরা হচ্ছে।]
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জাসদ
ঢাকা
# সিদ্দিকুর রহমান খান (সিদ্দিক মাস্টার) : সদস্য, জাতীয় কৃষক লীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি ও নবাবগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষক। ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে স্কুল হােস্টেলের বারান্দায় ওজু করার সময় মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা স্টেনগানের ব্রাশফায়ার করলে তাৎক্ষণিকভাবে শহীদ হন।
# বাবুল : ছাত্রলীগের বিশিষ্ট নেতা ও সংগঠক, নবাবগঞ্জ : ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩। ঢাকা থেকে রক্ষীবাহিনীর বিশেষ টিম নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা নবাবগঞ্জ যান, রাতে মুজিববাদীদের সঙ্গে বৈঠক করে পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর ভাের থেকে বাড়ি বাড়ি সার্চ শুরু করেন জাসদ-ছাত্রলীগ-কৃষক লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা কর্মীদের সন্ধানে। বিকেলে বাবুলকে ধরে ছাত্রলীগ কর্মী রবির দোকানে নিয়ে যায়, সেখানে রবি ও সম্পদকে পায়। বিকাল ৫টায় শত শত লােকের সামনে বাবুল, রবি ও সম্পদকে গুলি করে হত্যা করে। এদিন নবাবগঞ্জে আরাে অনেককে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হয়, পুলিশ ৭ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে।
# খালিদ হােসেন সম্পদ : সাধারণ সম্পাদক, থানা ছাত্রলীগ, নবাবগঞ্জ; উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# রবি : ছাত্রলীগ কর্মী, এসএসসি পরীক্ষার্থী, নবাবগঞ্জ; উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# এবাদত আলী : সভাপতি, আগলা হাইস্কুল ছাত্রলীগ, নবাবগঞ্জ; উপরােক্ত ঘটনার দিন গুলি করে হত্যা।
# মােতালেব : জাসদ কর্মী, নবাবগঞ্জ; উপরােক্ত ঘটনার দিন গুলি করে হত্যা।
# কালু, জাসদ কর্মী, নবাবগঞ্জ; উপরােক্ত ঘটনার দিন গুলি করে হত্যা।
# এবাদত : জাসদ কর্মী, নবাবগঞ্জ; উপরােক্ত দিন রক্ষীবাহিনী কর্তৃক গুলি করে হত্যা।
# মহানগর জাসদের সহ-সভাপতিকে ২ ফেব্রুয়ারি ‘৭৪ আওয়ামী লীগের জঙ্গী কর্মীরা গুলি করে হত্যা করে।
# জাহাঙ্গীর হােসেন : ছাত্রলীগের বিশিষ্ট নেতা, সিটি কলেজ ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা। ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ জাসদ ঘােষিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে রক্ষীবাহিনীর গুলিতে শহীদ। এদিন আরাে ৫০ জন শহীদ হন, পুলিশ মাত্র ৬ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে।
# আব্দুল কাইয়ুম : ২৬ নভেম্বর ১৯৭৪ তারিখে শহীদ।
# দারাজ : গণবাহিনীর নেতা; ৭৪ সালে রক্ষীবাহিনীর গুলিতে শহীদ।
# ময়ূর : গণবাহিনীর নেতা; ৭৪ সালে রক্ষীবাহিনীর গুলিতে শহীদ।
# আসাদ : জাসদ কর্মী; কর্নেল তাহেরসহ জাসদ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে জিম্মি হিসেবে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনারকে আটক করতে গিয়ে শহীদ। এটা সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে ঘটেনি। ২৬ নভেম্বর ৭৫-এর এই ঘটনায় মাসুদ, বাচ্চু ও হারুনও শহীদ হন।
# বাচ্চু : জাসদ কর্মী, ঢাকা; উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ হন।
# মাসুদ : জাসদ কর্মী, ঢাকা; উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ হন।
# হারুন : জাসদ কমী, ঢাকা; উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ হন।
# ইয়ার আহমদ : ১৮ জুন ১৯৭৬ তারিখে শহীদ হন।
# কর্নেল আবু তাহের বীরউত্তম : সহ-সভাপতি, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি ও কমান্ডার, কেন্দ্রীয় বিপ্লবী গণবাহিনী; গােপন সামরিক আদালতে বিচার প্রহসন করে ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ভাের চারটায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা।
# তপন সাহা : ৩০ জুলাই ১৯৭৬ তারিখে শহীদ হন।
# কর্পোরাল আলতাফ : সাধারণ সম্পাদক, বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা, বিমান বাহিনী শাখা;
১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ তারিখে টাঙ্গাইলে পুলিশ-সেনাবাহিনীর আক্রমণে শহীদ হন।
# এছকান্দার আলী তুহীন : ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ তারিখে শহীদ হন।
# ছলেমান : ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ তারিখে শহীদ হন।
# লিয়াকত আলী : ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ তারিখে শহীদ হন।
# আব্দুল আজিজ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ তারিখে শহীদ হন।
Page 510
# আব্দুল জলিল : প্রচার সম্পাদক, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ। ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ তারিখে গাড়িতে কুমিল্লা যাওয়ার পথে বােমা হামলায় শহীদ হন। এই ঘটনায় আরাে দু’জন শহীদ হন।
# শামছুল আলম খান মিলন (ডা. মিলন) : জাসদ নেতা, বাংলাদেশ মেডিকেল এসােসিয়েশনের যুগ্ম-সম্পাদক ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক। ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক হিসেবে কাজ করার সময় ২৭ নভেম্বর ১৯৯০ তারিখে রিকসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অতিক্রম করা কালে জেনারেল এরশাদের ভাড়াটে নীরু-অভি চক্রের গুলিতে শহীদ হন। তাঁর জীবনদান গণঅভ্যুত্থানকে দ্রুততর করে। এ ছাড়াও ঢাকায় আরাে শহীদ হন মফিজুল ইসলাম, মীর মােস্তফা, আওয়াল, আব্দুল জলিলসহ অনেক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
# জয়নাল : ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৮৩-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি মজিদ খানের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সামরিক আইন ভেঙে মিছিল করা কালে মিছিলে পুলিশ ট্রাক উঠিয়ে দিলে শহীদ হন।
# মাসুদ আহমেদ মুন্না : শহীদুল্লাহ হলের ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৮৭ সালের ১৯ জুলাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জঙ্গী কর্মীদের বেপরােয়া গুলিবর্ষণে শহীদ। এ ঘটনায় একজন রিকসাচালকও শহীদ হন।
# কফিলউদ্দিন কনক ; মহানগর ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৮৯-এর ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের বিজয় মিছিলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জঙ্গী কর্মীরা ৯ ফেব্রুয়ারি হামলা চালালে শহীদ হন। এ দিন ছাত্রীমিছিলে হামলা করে ছাত্রদলের কর্মীরা পাশবিক বর্বরতার পরিচয় দেয়।
# আবু হাসান মুরাদ : ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৯২-এর ২৩ জানুয়ারি রাতের আঁধারে গুপ্তঘাতকের গুলিতে শহীদ।
# মাহবুবুর রহমান : ছাত্রলীগ মহসীন হল শাখার সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য। ১৯৯১-এর ২০ জুন বসুনিয়া তােরণের নিকট মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীদের গুলিতে শহীদ হন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
# শাহ বােরহান উদ্দিন রােকন : ছাত্রলীগ নেতা ও সাধারণ সম্পাদক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র-ছাত্রী সংসদ-জাকসু। ১৯৭৩ সালের ৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের জাসদ অফিস থেকে বােনের বাসায় যাওয়ার পথে প্রকাশ্য রাস্তায় বন্দুক ঠেকিয়ে একজন ছাত্রলীগ কর্মীসহ তাকে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা অপহরণ করে। পরদিন ৭ অক্টোবর লক্ষীনারায়ণ কটন মিলের সামনে তার লাশ ফেলে যায় ঘাতকরা।
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
# নিখিল চন্দ্র সাহা : সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। সরকারি বাহিনীর নির্যাতন প্রতিরােধ আন্দোলনে ১৯৭৪ সালের ২৭ নভেম্বর শহীদ হন।
Page 511
তাঁর নিজের উদ্ভাবিত বিশেষ ধরনের গ্রেনেড ‘নিখিল’ এই আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
টাঙ্গাইল
# মেহের আলী : সভাপতি, ভুঞাপুর থানা ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালে শহীদ হন।
# ইসমাইল হােসেন : সদস্য, মির্জাপুর থানা কৃষক লীগ। ১৯৭৫ সালে শহীদ হন।
# খন্দকার সহিদুল ইসলাম (সহিদ) : সাধারণ সম্পাদক, শহর ছাত্রলীগ। ১৯৭৫-এ শহীদ।
# আব্দুস সালাম খান : সভাপতি, কালিহাতি থানা জাসদ। ১৯৭৫ সালে শহীদ হন।
# আলম মিয়া : সদস্য, কালিহাতি থানা কৃষক লীগ। ১৯৭৫ সালে শহীদ হন।
# আব্দুর রউফ : সদস্য, মির্জাপুর থানা কৃষক লীগ। ১৯৭৫ সালে শহীদ হন।
# আব্দুল হান্নান : প্রচার সম্পাদক, জেলা কৃষক লীগ। ১৭ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে শহীদ।
# আবুল কালাম : সহ-সভাপতি, জেলা কৃষক লীগ। ১৯৭৭ সালে শহীদ হন।
# মাে. শাহবাজ : সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঘাটাইল থানা ছাত্রলীগ। ১৯৭৭ সালে শহীদ হন।
# শাজাহান সাবুর : সদস্য, কালিহাতি থানা কৃষক লীগ। ১৯৭৭ সালে শহীদ হন।
# ওমর আলী : সদস্য, কালিহাতি থানা কষক লীগ। ১৯৭৭ সালে শহীদ হন।
# আব্দুর রশিদ ; সভাপতি, কালিহাতি থানা কৃষক লীগ : ১৯৭৭ সালে শহীদ হন।
# সালামত আলী খান : সাথী ফজলুর রহমানের বাবা। ১৯৭৭ সালে শহীদ হন।
# অমূল্য কুমার সরকার : সদস্য, টাঙ্গাইল থানা জাসদ। ১৯৭৮ সালে শহীদ হন।
# নূরু মিয়া : সদস্য, ঘাটাইল থানা কৃষক লীগ। ১৯৭৮ সালে শহীদ হন।
# সামসু মােল্লা : ১৯৭৮ সালে শহীদ হন।
# আব্দুল আজিজ ; সদস্য, মির্জাপুর থানা ছাত্রলীগ। ১৯৭৮ সালে শহীদ হন।
# খসরু মিয়া : সদস্য, ঘাটাইল থানা কৃষক লীগ। ১৯৮৯ সালে শহীদ হন।
# রিয়াজউদ্দিন মিয়া : সদস্য, কালিহাতি থানা কৃষক লীগ। ১৯৭৯ সালে শহীদ হন।
# নূরুজ্জামান শাজাহান হােসেন : সহ-সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ। ১৯৮০ সালের ১২ অক্টোবর শহীদ হন।
# বিল্লাল হােসেন : সদস্য, মির্জাপুর থানা কৃষক লীগ। ১৯৮১ সালে শহীদ হন।
এ ছাড়া ভাওয়াল গড়ে বিভিন্ন সময় শহীদ হন আলী হােসেন তালুকদার, আব্দুল কাদের, হাবিবুর রহমান।
নরসিংদী
# মােহাম্মদ আলাউদ্দিন : কোষাধ্যক্ষ, থানা জাসদ। জাসদ আহুত গণবিক্ষোভ দিবসের মিছিলে আওয়ামী লীগের জঙ্গী কর্মীরা গুলি করলে তাৎক্ষণিকভাবে শহীদ। ২৭ মে ৭৩- এর এই ঘটনায় মােট ১০ জন শহীদ হন; ৭টি লাশ গুম করে ফেলা হয়।
# আব্দুল মােমেন : ছাত্রলীগ কর্মী, উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# অজ্ঞাতনামা জাসদকর্মী : উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
Page 512
গাজীপুর
# আক্রাম : জাসদ কর্মী, কালিগঞ্জ। ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগের জঙ্গী কর্মীরা ধরে এনে টঙ্গিতে গুলি করে হত্যা করে।
# জয়নাল : জাসদ কর্মী, কালিগঞ্জ। উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# সামসু : শ্রমিক লীগ নেতা, কালিগঞ্জ, ১৯৭২ সালে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা গুলি করে হত্যা করে। একই দিন আরাে ১৪ জন জাসদ নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয় বলে অভিযােগ রয়েছে।
# বাদল : জাসদ কর্মী, কালিগঞ্জ। রক্ষীবাহিনী ১৯৭৪ সালে গুলি করে হত্যা করে।
# আনােয়ার : জাসদ কর্মী, মান্দার। রক্ষীবাহিনী ১৯৭৪ সালে গুলি করে হত্যা করে। এ ছাড়াও কালীগঞ্জে আলী হােসেনসহ অনেকে শহীদ হন।
মানিকগঞ্জ
# সাহাদৎ হােসেন বিশ্বাস বাদল : প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম-আহ্বায়ক, জেলা জাসদ। ১৯৭৩-এর ১০ জানুয়ারি শহীদ হন।
# দেলােয়ার হােসেন হারেজ : সভাপতি, সাটুরিয়া থানা ছাত্রলীগ। ১৯৭৩ সালের ২৬ আগস্ট দেবেন্দ্র কলেজে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন চলাকালে ৫ শতাধিক রক্ষীবাহিনী কলেজ ঘিরে ফেলে ও অনেককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরে অনেককে মুক্তি দিলেও হারেজ ছাড়া পাননি। রক্ষীবাহিনী তার শরীর কেটে লবণ লাগিয়ে দেয়।
# আব্দুল আউয়াল নাজু : জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, কাপশাইল, দৌলতপুর । ১৯৭৪-এর ৩ ডিসেম্বর শহীদ হন।
# নাজিমউদ্দিন নাজিম : কুশন্ডা, ঘিওর। ১৯৭৪-এর ৩ ডিসেম্বর শহীদ হন।
# আনােয়ার হক বিশ্বাস : বরুন্ডী। ১৯৭৬-এর ১২ জুন শহীদ হন।
# তারাচান : হরগজ। ১৯৭৭ সালে শহীদ হন।
এ ছাড়া ইয়াসীন মাঝি ও আবুজার হােসেন স্বপনসহ অজস্র সাথী শহীদ হন।
রাজবাড়ী
# আব্দুর রব সুমন। ১৯৮০-এর ৩১ ডিসেম্বর শহীদ হন।
# কাজী সরদার হােসেন। ১৯৮১-এর ১১ নভেম্বর শহীদ হন।
# উদ্দীন। ১৯৮১-এর ২২ ফেব্রুয়ারি শহীদ হন।
# আব্দুল জলিল। ১৯৮১-এর ১১ নভেম্বর শহীদ হন।
# আব্দুস সাত্তার। ১৯৮১-এর ১১ নভেম্বর শহীদ হন।
জামালপুর
# পেট্রোল: জাসদকর্মী। ১৯৭৩-এর নভেম্বরে রক্ষীবাহিনী তাকে ধরে স্কুল মাঠে নিয়ে আসে। স্কুলের ছাত্র শিক্ষকদের অস্ত্রের মুখে মাঠে জমায়েত করে এবং তাদের সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
# গিয়াস উদ্দিন মাস্টার, কোষাধ্যক্ষ, খড়ােড়া ইউনিয়ন জাসদ। রক্ষীবাহিনীর নির্যাতনে শহীদ হন।
Page 513
শেরপুর
# অধ্যাপক সােলায়মান হােসেন: জাসদ নেতা, শ্রীবরদী। ১৯৭৪-এর ১১ মার্চ রক্ষীবাহিনী তাকে গ্রেফতার করে প্রচণ্ড নির্যাতন করে। নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শহীদ হন।
নেত্রকোণা
# আব্দুর রশিদ ; ডাউকি। ১৯৭৪-এর ফেব্রুয়ারি মাসে শহীদ হন।
# হাছু মিয়া : বিক্রমশ্রী। ১৯৭৫-এর ১৫ জানুয়ারি শহীদ হন।
# মাে. সাদেক : নােয়াপাড়া। ১৯৭৬-এর ৫ সেপ্টেম্বর শহীদ হন।
# আবু সাঈদ : আতিয়া। ১৯৭৬-এর ২৫ নভেম্বর শহীদ হন।
কিশােরগঞ্জ
# কিশােরগঞ্জে শহীদ হন জনাব রােস্তম চৌধুরী ও মমজাত বেগম।
ময়মনসিংহ
# মােহাম্মদ মাসুদুজ্জামান : ছাত্রলীগ নেতা, কান্দাপাড়া, গফরগাঁও। কলেজ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৯৭২-এর ১১ অক্টোবর মুজিববাদীরা প্রথমে তাকে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রহার করে, পরে রাতে বাসার দরজা ভেঙে গুলি করে হত্যা করে।
# আব্দুল জব্বার : ১৯৭৪ সালে মুজিববাদী গুণ্ডাদের হামলার ঘটনায় শহীদ।
# জাহাঙ্গীর : ছাত্রলীগ নেতা। ২৮ নভেম্বর ১৯৯০ জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে এরশাদ। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হন।
গােপালগঞ্জ
# আবুল হােসেন : নিজড়া গ্রাম। ১৯৭৬-এর ৩০ সেপ্টেম্বর শহীদ হন।
# রফিকুল ইসলাম : ১৯৭৬-এর ৩০ সেপ্টেম্বর শহীদ হন।
# প্রকাশ সরকার : ১৯৭৭ সালে শহীদ হন।
# পিটার গাইন : কোটালীপাড়া। ১৯৭৭-এর ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।
মাদারীপুর
# জাহাঙ্গীর হােসেন : ১৯৭৪-এর ১ জানুয়ারি শহীদ হন।
# আব্দুস সামাদ : ১৯৭৪-এর ৩ জানুয়ারি শহীদ হন।
# আলী হােসেন : ১৯৭৪-এর ৯ জানুয়ারি শহীদ হন।
# মফিজুর রহমান : ১৯৭৪-এর ১৬ সেপ্টেম্বর শহীদ হন।
# সাহাবুদ্দিন মােল্লা : ১৯৭৭-এর ২০ ফেব্রুয়ারি শহীদ হন।
# হেলালুল ইসলাম : ১৯৭৯-এর ৮ জুন শহীদ হন।
# আ. মজিদ ব্যাপারী : ১৯৭৯-এর ১৯ জুলাই শহীদ হন।
# আসলাম চৌধুরী : ১৯৭৯-এর ১০ অক্টোবর শহীদ হন।
# জামাল উদ্দিন : ১৯৭৯-এর ১ ডিসেম্বর শহীদ হন।
# ফজলুর রহমান মনির : ১৯৭৯-এর ১৫ ডিসেম্বর শহীদ হন।
# মাে. হায়দার আলী খান : ১৯৮০-এর ১ জুন শহীদ হন।
# আব্দুর রাজ্জাক : ১৯৮১-র ৪ জানুয়ারি শহীদ হন।
Page 514
# এছকান্দর দর্জি : ১৯৮০-র ১ ডিসেম্বর শহীদ হন।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় শহীদ হন সহিদুর রহমান, নুরুল ইসলাম, নুরুল হক, আইয়ুব আলী, সাকুয়া, আনােয়ার, জাহেদ মিয়া চেয়ারম্যান, মালেক মাতুব্বর, আজিজুল হক, হায়দার মাতুব্বর, মজিবর রহমান, এমজাল হােসেন, শামছুর রহমান, গােলাম মােস্তফা, আনিছুর রহমান, জিন্নাত মাতুব্বর, আব্দুল হালিম, আব্দুল লতিফ, শাজাহান, রতন, মজিবর, সিরাজ, মনির, দাদন, মজিবর, সিরাজ, গদাই, মলিন, কাশেম, মানিক, ফালু, রুস্তমসহ অনেক।
ফরিদপুর
# কামালুজ্জামান মােস্তাক : ছাত্রলীগ নেতা, গােয়ালন্দ। মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীদের দ্বারা ১৯৭৩-এর ২৭ জানুয়ারি অপহৃত ও শহীদ। পরদিন অম্বিকাপুরের নিকটবর্তী রেলওয়ে সেতুর কাছে জেলেদের জালে তার লাশ উঠে আসে।
# আব্দুল হাকিম ; সাধারণ সম্পাদক, তালা থানা জাসদ। ১৯৭৪-এর ২৪ অক্টোবর মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা নির্যাতন করে হত্যা করে।
# হাতেম আলী : তালা থানার কৃষক লীগ কর্মী । উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ হন।
শরীয়তপুর
# আলী হােসেন : ১৯৭৩-এর ৫ ফেব্রুয়ারী শহীদ হন।
# আব্দুস সামাদ : ১৯৭৪-এর ৩ মার্চ শহীদ হন।
# আব্দুস সাত্তার : ১৯৭৬ সালে শহীদ হন।
# আব্দুল জব্বার : ১৯৭৯-এর ২৮ এপ্রিল শহীদ হন।
# সিরাজুল হক : ১৯৮০-এর ৩ মার্চ শহীদ হন।
# শাজাহান : ১৯৮০-এর ১০ জুন শহীদ হন।
# আব্দুল হামিদ : ১৯৮১-এর ১০ জানুয়ারি শহীদ হন।
# জাহাঙ্গীর : ১৯৮১-এর ১৯ ফেব্রুয়ারি শহীদ হন।
রাজশাহী
# মনিরুদ্দিন আহমেদ : সহ-সভাপতি, জেলা জাসদ ও সাধারণ সম্পাদক, বাগমারা থানা জাসদ, বাগমারা। ১৯৭৩ সালের ২১ অক্টোবর রক্ষীবাহিনীর হাতে শহীদ হন। একই ঘটনায় তাঁর ছােট ভাইও শহীদ হন।
# সালাম মাস্টার : সহ-সভাপতি, জেলা জাসদ, গােদাগাড়ি । ১৯৭৩ সালে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীদের হামলায় শহীদ হন।
# রফিক উদ্দিন আহমেদ সেলিম : সাধারণ সম্পাদক, মহানগর ছাত্রলীগ, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক গণকণ্ঠের রাজশাহী প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযােদ্ধা, কবি, গীতিকার। ১৯৭৪ সালের ৩ মার্চ রক্ষীবাহিনী ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়া সেলিমকে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আরাে একজন শহীদ হন।
# শরীফুল ইসলাম সাবু : সদস্য, মহানগর ছাত্রলীগ। বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সন্ত্রাসীদের বােমা হামলায় শহীদ হন।
Page 515
# মুকিম : জাসদ নেতা, বুথপাড়া। জাতীয় সমন্বয় কমিটি আহুত হরতাল সংগঠিত করতে গিয়ে ১৯ জুন ১৯৯৩ জামাত শিবির চক্রের হামলায় আহত হয়ে ২১ জুন ১৯৯৩ তারিখে হাসপাতালে শহীদ হন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
# শাজাহান সিরাজ : সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ : ১৯৮৪-র ২২ ডিসেম্বর আহুত হরতালে পিকেটিং করার সময় বিডিআর-এর গুলিতে শহীদ হন।
# ইয়াসির আরাফাত পিন্টু : জামাত শিবির চক্রের হামলায় শহীদ হন।
বগুড়া
# আতা : শহর ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৭৩-এর ৮ জুন মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা গুলি করে হত্যা করে।
# রঞ্জু : শহর ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৭৩-এর ৮ জুন মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা গুলি করে হত্যা করে।
# মানিক দাশগুপ্ত ; সদস্য, জেলা জাসদ, চেলােপাড়া। ৮ জুন ১৯৭৩ রাত ১০ টায় গ্রেফতার ও ধারাবাহিক নির্যাতন। সমস্ত আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়। তারপর জেলখানায় অনাহারে রাখা হয়। ১৭ জুন ১৯৭৩ দুপুর ১২টায় শহীদ হন।
# গােলাম কিবরিয়া : শহর ছাত্রলীগ নেতা, মালতিনগর মণ্ডলপাড়া। টাইফয়েডে আক্রান্ত
হয়ে বাসায় শয্যাশায়ী থাকা অবস্থায় ১৯৭৩-এর ২ সেপ্টেম্বর আওয়ামী যুবলীগের কর্মীরা বিকেল ২টায় গুলি করে হত্যা করে।
# তােতা : শহর ছাত্রলীগ নেতা, সেওজগাড়ি। ১৯৭৩-এর ২১ সেপ্টেম্বর মুজিববাদী জঙ্গী
কর্মীদের দ্বারা অপহৃত ছাত্রলীগ কর্মী চঞ্চলসহ দুজনকে রিকসায় রুনু-রশিদের সঙ্গে খুঁজতে বের হলে বিকেল ৫টায় রহমান নগরের মােড়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা স্টেনগানের ব্রাশফায়ার করলে রুনু-রশিদ ঘটনাস্থলে ও তােতা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
# রুনু : শহর ছাত্রলীগ নেতা, জলেশ্বরীতলা। উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# রশিদ : শহর ছাত্রলীগ নেতা, সূত্রাপুর । উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# চঞ্চল : সূত্রাপুর আঞ্চলিক শাখার সদস্য, ছাত্রলীগ। ১৯৭৩-এর ২১ সেপ্টেম্বর সকালে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা সকালে অপহরণ করে হত্যা করে। এদিন চঞ্চলের সঙ্গে আরাে একজনকে গুম করা হয়।
# রানা (কর্নেল) ; শহর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, সূত্রাপুর। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী যুবলীগের জঙ্গী কর্মীরা গুলি করে হত্যা করে।
# খলিল : প্রচার সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ, চেলােপাড়া। ১৯৭৪ সালে আওয়ামী যুবলীগের কর্মীরা হাত-পা বেঁধে গলায় রড় পেঁচিয়ে হত্যা করে ফটকী ব্রিজের নিচে লাশ ফেলে দেয়।
# রাজ্জাক (কক) ; সদস্য, জেলা জাসদ, ধুনট। আওয়ামী যুবলীগের জঙ্গী কর্মীরা গুলি করে হত্যা করে। রাজ্জাকের পিতা ও ভাইকেও আওয়ামী যুবলীগের জঙ্গী কর্মীরা হত্যা করে ১৯৭৪ সালে।
Page 516
# সফো গাজী : সদর (উত্তর) থানা জাসদের সহ-সভাপতি : সেনাবাহিনীর সঙ্গে ১৯৭৬ সালে বন্দুকযুদ্ধে শহীদ হন।
# আব্দুস সামাদ : জাসদ নেতা, তেলিয়াহাড়া। অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীর হাতে ১৯৭৬ সালে শহীদ হন।
# আফরােজ : জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ফুলতলা : জাসদের বিশেষ কাউন্সিলে আসার পথে ১ অক্টোবর ১৯৮৬ ফুলছড়ি তিস্তামুখ ঘাটে বিডিআর-এর নির্যাতনে শহীদ। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতা আমজাদকেও দুষ্কৃতকারীরা হত্যা করে।
নাটোর
# নাসির উদ্দিন : গণবাহিনীর নেতা, গােপালপুর। ১৯৭২ সালে সাম্যবাদী দলের সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে গুম করে ফেলে।
# শাহজাহান আলী : ১৯৭৩-এর ৮ মার্চ মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে।
# আব্দুর রউফ : ১৯৭৩-এর ৮ মার্চ মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে।
এ ছাড়া গােলাম রব্বানীসহ অনেক শহীদ হন।
পাবনা
# আসফাকুর রহমান কালু : দপ্তর সম্পাদক, জেলা জাসদ। ১৯৭৩-এর অক্টোবরে রক্ষীবাহিনী পিটিয়ে হত্যা করে।
# ফারুক : জাসদ কর্মী। ১৯৭৩-এর অক্টোবরে রক্ষীবাহিনী পিটিয়ে হত্যা করে।
# মাসুদ : সহ-সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগ। ১৯৭৩-এর অক্টোবরে রক্ষীবাহিনী পিটিয়ে হত্যা করে।
# সিদ্দিকুর রহমান : জাসদ কর্মী। ১৯৭৩-এর অক্টোবরে রক্ষীবাহিনী পিটিয়ে হত্যা করে।
# মতিয়ার রহমান রুচি : ছাত্রলীগ নেতা, ঈশ্বরদী। ১৯৭৩-এর ১১ নভেম্বর ‘পূর্বাশা বিতান’ নামের দোকানে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা তাকে পরপর ছয়টি গুলি করে হত্যা করে। মাথায় ও বুকে এসএমজি থেকে ফায়ার করা হয়।
এ ছাড়াও পাবনার ঈশ্বরদীতে শহীদ হন রফিকুল ইসলাম, আমজাদ হােসেন, জাহাঙ্গীর ও রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ।
সিরাজগঞ্জ
# কোরবান আলী : জাসদ কর্মী ও সাধারণ সম্পাদক, সিরাজগঞ্জ জেলা দোকান কর্মচারী
সমিতি, শাহজাদপুর। ১৯৭২ সালের ৯ জুন শাহজাদপুর কলেজের ১৮ নম্বর কক্ষে কৃষক লীগের থানা কাউন্সিলে ব্রাশফায়ার করা হয়। পরে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি খুঁজে কোরবান আলীসহ সর্বমােট ছয় জনকে হত্যা করে।
# মুন্সি সকিমুদ্দিন : ছাত্রলীগ নেতার বাবা, শাহজাদপুর । উপরােক্ত ঘটনায় নিহত হন।
# আবুল কালাম : শাহজাদপুর । উপরােক্ত ঘটনার দিন কালাম ও দিলীপকে ধরে এনে স্থানীয় এমসিএ’র বাসায় নির্যাতন করা হয় ও পরে বাজারে এনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।
Page 517
# দিলীপ : শাহজাদপুর । উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# শহীদুজ্জামান হেলাল। সাধারণ সম্পাদক, থানা ছাত্রলীগ, সাধারণ সম্পাদক শাহজাদপুর কলেজ ছাত্র সংসদ ও দৈনিক গণকণ্ঠের সংবাদদাতা, শাহজাদপুর ।
উপরােক্ত ঘটনার দিন প্রথমে নির্যাতন করে দোতলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। পরে গুলি করে হত্যা করে নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া হয়।
# ফরহাদ হােসেন : শাহজাদপুর। হেলালের সঙ্গে একইভাবে শহীদ হন।
# মােসাদ্দেক হােসেন : শ্রমিক লীগ নেতা, হােসেনপুর। ১৯৭৩-এর মার্চে রায়পুরে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা গুলি করে হত্যা করে।
# আব্দুস সালাম : নান্দিনামধু, সিরাজগঞ্জ। ১৯৭৩ সালে ঢাকা থেকে প্লেনে ফেরার পথে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা ঈশ্বরদী এয়ারপাের্ট থেকে অপহরণ করে পাবনা জজকোর্টের পাশে মুজাহিদ ক্লাবে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে লাশ গুম করে ফেলে।
# সেলিম হােসেন : আলােকদিয়ার, সিরাজগঞ্জ। উপরােক্ত ঘটনায় সালামের সঙ্গে শহীদ।
# আব্দুস সালাম : চৌহালী। মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীদের হাতে ১৯৭৩ সালে শহীদ হন।
# সাঈদ : চৌহালী। মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীদের হাতে ১৯৭৩ সালে শহীদ হন।
# হাসিম : শাহজাদপুর । মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা বেয়নেট চার্জ করে হত্যা করে।
# মমিন : শাহজাদপুর । মুজিববাদীরা বেয়নেট চার্জ করে হত্যা করে।
# নেজারাত সর্দার : জারিলা, সিরাজগঞ্জ। ১৯৭৪ সালে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীদের হামলায় শহীদ হন।
# আব্দুল মুন্সী : কালিয়াকান্দা পাড়া। ১৯৭৪ সালে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীদের হামলায় শহীদ হন।
# নজরুল ইসলাম : শাহেদনগর। ১৯৭৪ সালে মুজিববাদীরা হত্যা করে।
# বদরুল : ১৯৭৪ সালে মুজিববাদীদের হাতে শহীদ হন।
# বাহাদুর আলী : জামতৈল, কামারখন্দ। সিংগুলি চরে ১৯৭৪ সালে মুজিববাদীরা হত্যা
# নুরু; সমােশপুর, বেলকুচি। সিংগুলি চরে ১৯৭৪ সালে মুজিববাদীরা হত্যা করে।
# আব্দুল বাছেত ; ভাইয়ার চর, কামারখন্দ। মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা ১৯৭৪ সালে তাকে হত্যা করে জামতৈল রেলস্টেশনে লাশ ফেলে রাখে।
# গিয়াস আহমেদ : কালীগঞ্জ, উল্লাপাড়া। ১৯৭৪ সালে রক্ষীবাহিনী হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে।
# আব্দুল আলীম : চাঁদপুর, কামারখন্দ। ১৯৭৬ সালে জেলখানায় পুলিশী নির্যাতনে শহীদ।
# রবি নিয়ােগী : তেঁতুলিয়া। ক্রমাগত পুলিশী নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ১৯৮৭ সালে আত্মহত্যা করেন।
# ইয়াকুব আলী চেয়ারম্যান : পিপুলবাদীয়া, বাগবাটি । অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে ১৯৮৮ সালে শহীদ হন।
# জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ : দিয়ারবৈদ্যনাথ। ক্যান্সারে আক্রান্ত অবস্থায় পুলিশী নির্যাতনে শহীদ হন।
# আব্দুল্লাহ : চরটেংরাইল। অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীর হাতে শহীদ হন।
Page 518
রংপুর
# রহমান : থানা গণবাহিনীর সদস্য, রাজেন্দ্রপুর, সদর থানা। ১৯৭৫ সালে গণবাহিনীর অভিযানকালে গুলিতে শহীদ হন।
# মাছির : থানা গণবাহিনীর সদস্য, রাজেন্দ্রপুর, সদর থানা। ১৯৭৫ সালে গুপ্তঘাতকের হাতে শহীদ হন।
# সালাম : গণবাহিনী নেতা, বদরগঞ্জ। পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির জঙ্গী কর্মীরা ১৯৭৫ সালে বাড়িতে গুলি করে হত্যার করে।
# আব্দুল জব্বার : গণবাহিনীর ইউনিয়ন কমান্ডার, রাজেন্দ্রপুর, সদর থানা। কর্নেল তাহেরসহ জাসদ নেতৃত্বের মুক্তির দাবিতে ১৯৭৬-এর ৩১ মার্চ মিছিল সংগঠিত করার পর সেনাবাহিনী তাদের সন্ধানে হরিদেবপুর ইউনিয়ন ঘেরার করে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শহীদ হন।
# আব্দুল কুদ্স : থানা গণবাহিনীর সদস্য, ধাপ, সদর থানা। উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ হন।
# কাইয়ুম : পীরগঞ্জ। ১৯৭৬ সালে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।
# ইদ্রিস : গণবাহিনীর ইউনিয়ন কমান্ডার, সাতগাড়া, সদর থানা। ১৯৭৬ সালে ঘুমন্ত অবস্থায় গুপ্তঘাতক ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
# চান : গণবাহিনীর সদস্য, গঙ্গাচড়া। ১৯৭৬ সালে গ্রেফতারের পর থানায় বেঁধে পলিথিনে আগুন লাগিয়ে তরল পলিথিনের ধারা তার উপর ফেলে হত্যা করা হয়।
# হাবিব : সাম্প্রতিক সময়ে বি.এন.পি ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জঙ্গী কর্মীদের হাতে শহীদ হন।
এ ছাড়া সাথী আনােয়ারের বাবাও ঘাতক চক্রের হাতে শহীদ হন।
গাইবান্ধা
# সুজা ( বীরবিক্রম) : সভাপতি, জাসদ, সদর থানা। ১৯৭৩-এর শুরুতে কালিবাড়ীতে প্রকাশ্য দিবালােকে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা গুলি করে হত্যা করে।
# হামদি : জাসদ কর্মী, মনােহরপুর। ১৯৭৫-এর জানুয়ারিতে শহীদ হন।
# জব্বার : মনােহরপুর। ১৯৭৫-এর জানুয়ারিতে শহীদ হন।
# দুলাল : মনােহরপুর। ১৯৭৫-এর জানুয়ারিতে শহীদ হন।
# রইসুদ্দিন প্রধান : জাসদ কর্মীর বাবা। ১৯৭৫-এ রক্ষীবাহিনী গাছে ঝুলিয়ে পিটানাের পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।
# আহসানউদ্দিন : জাসদ কর্মীর ভাই। ১৯৭৫-এ রক্ষীবাহিনী গাছে ঝুলিয়ে পিটানাের পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।
# খন্দকার রােস্তম আলী : বিপ্লবী গণবাহিনীর কমান্ডার, রামনগর, শাঘাটা। ১৯৭৬-এর আগস্টে আনসার ব্যাটালিয়ন মাঠে গুলি করে হত্যা করা হয়।
# শওকত আলী : সদস্য, জাসদ। ১৯৭৬ সালে শহীদ হন।
# হায়দার আলী : সুন্দরগঞ্জ। ১৯৭৬ সালে শহীদ হন।
# ইফসুফ আলী : ১৯৭৬ সালে শহীদ হন।
# লালু মিয়া ; ১৯৭৬ সালে শহীদ হন।
Page 519
# অধ্যাপক মমতাজুল করিম : ১৯৭৬ সালে শহীদ হন।
# জাহাঙ্গীর তারেক : সভাপতি, স্থানীয় কৃষক লীগ। ১৯৭৮ সালে শহীদ হন।
# আব্দুস সােবহান : সুন্দরগঞ্জ। ১৯৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনের পর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। তিনি ঐ নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া নিহত হন সুন্দরগঞ্জের জাহাঙ্গীর।
দিনাজপুর
# আব্দুল মালেক : ছাত্রলীগ নেতা, বিরল থানা। ১৯৭২-এ ছাত্রলীগের সম্মেলনে মুজিববাদপন্থীদের হামলায় শহীদ।
# লােকেশ চন্দ রায় : বীরগঞ্জ থানা। ১৯৭৩-এ জেলা কারাগারে প্রচণ্ড নির্যাতনে শহীদ।
# আব্দুল হালিম : সভাপতি, থানা ছাত্রলীগ, পার্বতীপুর। মুজিববাদপন্থীদের হামলায় শহীদ।
# আবু তালেব : পার্বতীপুর। ১৯৮৬ সালে আততায়ীর গুলিতে নিহত।
চাপাইনবাবগঞ্জ
# রুহুল মণ্ডল : বটতলা হাট। রক্ষীবাহিনীর ঘাতকরা ১৯৭৩ সালের ৮ নভেম্বর রাত ২টায় হত্যা করে।
# আমিরুল ইসলাম জালাল : নেতৃস্থানীয় সংগঠক। ১০ জুলাই ১৯৮৭ সালে সকাল ১১টায় জামাত-শিবিরের কর্মীরা তার বাসায় হামলা চালিয়ে সকলকে প্রহার করে ও তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
নওগাঁ
# নার্গিস : তরুণ জাসদ নেতা। ১৯৭৪ সালে মুজিববাদপন্থীদের হামলায় শহীদ হন।
সিলেট
# মুনীর : ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৮৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের মিছিলে জামায়াত শিবির কর্মীদের হামলায় শহীদ।
# তপন : ছাত্রলীগ নেতা। উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# জুয়েল : ছাত্রলীগ নেতা। উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ হন।
মৌলভীবাজার
# মীর্জা হারুন আহমেদ : জাসদ কর্মী, মাথারপুর। ১৯৭৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গভীর। রাতে মুজিববাদপন্থী জঙ্গী কর্মীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে ।
ফেনী
# আব্দুল রহিম : ছাত্রলীগ কর্মী, কালিগঞ্জ ইউনিয়ন। ১৯৭২ সালের ৩ আগস্ট ছাত্রলীগের সভায় স্থানীয় মুজিববাদী কর্মীরা হামলা চালালে ১০ জন আহত হন। ফেনী হাসপাতালে রহিম মারা যান।
নােয়াখালী
# নজির আহমেদ ইঞ্জিনিয়ার : জাসদ নেতা। ১৯৭৫-এর ৯ জানুয়ারি মুজিববাদপন্থীরা তাঁকে হত্যা করে।
Page 520
কুমিল্লা
# শরীফ : জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, বাগিচাগাঁও। ১৯৭৩ সালে সরকার সমর্থকরা মিছিলে গুলি করে হত্যা করে।
চাঁদপুর
# জয়নাল আবেদীন চৌধুরী : ১৯৭৭-এর ১২ নভেম্বর শহীদ হন।
বরিশাল
# ফারুক আলম : জাসদ কর্মী। ১৯৭৩ সালের ১৩ জুন আওয়ামী জঙ্গী কর্মীবাহিনী মিছিলে গুলি করে হত্যা করে।
# সমরেশ কুমার মৃধা : প্রাক্তন সদস্য, জেলা ছাত্রলীগ। ১৯৭৩ সালের ১০ আগস্ট শহীদ হন।
# সদরুল আলম ভূইয়া : প্রাক্তন সহ-সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগ। ১৯৭৩ সালের ১০ আগস্ট শহীদ হন।
# নজরুল ইসলাম : প্রাক্তন সহ-সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগ। ১৯৭৩ সালের ১০ আগস্ট শহীদ হন।
# গােলাম কবীর : সহ-সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ। ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি রক্ষীবাহিনী ধরে নিয়ে যায়।
# রফিকুল ইসলাম জাফর : সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ। ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ ঢাকায় শহীদ।
খুলনা
# বাবর শেখ : ছাত্রলীগ সভাপতি। ১৯৭২ সালের ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীরা মশাল মিছিলে হামলা চালিয়ে প্রথমে আটক ও পরে এমপিএ আব্দুর রশিদের বাসায় নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা ও গুম করে।
# সিরাজ খান ঠাকুর : সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ। উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# মােশারফ হােসেন : সভাপতি, বাস্তহারা সমিতি। উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ হন।
# হাতেম আলী : আকড়চাটা, পাইকগাছা। ১৯৭৪-এর এপ্রিলে শহীদ হন।
# হুমায়ুন কবীর : কাপাসান্ডা, আশাশুনি। ১৯৭৪-এর এপ্রিলে শহীদ হন।
# আবদুল বারী বাকী : বাজালী, পাইকগাছা। ১৯৭৪-এর এপ্রিলে শহীদ হন।
# গােলাম সুরত ; ঘুঘরাকাটা, কয়রা। ১৯৭৫ সালে শহীদ হন।
# রবিউল ইসলাম : লালুয়াবাজার, পাইকগাছা। ১৯৭৬ সালের ১ জুলাই শহীদ হন।
# মােহাম্মদ সােলায়মান : বড়বাড়ী, কয়রা। ১৯৭৬ সালের ১ জুলাই শহীদ হন।
# অমল কৃষ্ণ মণ্ডল : উরাবেদকাশী, কয়রা। ১৯৭৬ সালের ১ জুলাই শহীদ হন।
# আব্দুল ওহাব বিদ্যুৎ : জোলখালী। ১৯৭৬ সালের ১ জুলাই শহীদ হন।
বাগেরহাট
# মৃণাল কান্তি দাশ : ১৯৭৪ সালে মুজিববাদ সমর্থক জঙ্গী কর্মীরা হত্যা করে।
# আজম খান : জাসদ কর্মী। ১৯৭৪-এর ১১ নভেম্বর জাসদ আহুত হরতালের দিন রক্ষীবাহিনী গ্রেফতার করে নির্যাতন করে হত্যা করে।
Page 521
যশাের
# মােশারফ হােসেন : সহ-সভাপতি, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি। ১৯৭৪-এর ৩ ফেব্রুয়ারি গুরুদাস বাবু লেনের দলীয় কার্যালয়ে আলাপরত অবস্থায় তাঁকে আওয়ামী লীগের জঙ্গী কর্মীরা ব্রাশফায়ার করলে শহীদ হন। তাঁর বুক ঝাঁঝরা হয়ে যায়, অন্যরা আহত হন। এ ছাড়া ওমর ফারুক ও মাহফুজুল হকসহ অনেকে শহীদ হন।
কুষ্টিয়া
# আবুল হােসেন : ১৯৭৫-এর জুলাইয়ে শহীদ হন
# আব্দুস সাত্তার : ১৯৭৫-এ শহীদ হন।
# বাবুল : ১৯৭৬-এর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ হন।
# খন্দকার আলী : ১৯৭৭-এ শহীদ হন।
# জামাত আলী: ১৯৭৭-এ শহীদ হন।
# আলাউদ্দিন : ১৯৭৮-এ শহীদ হন।
# আজম আলী : ১৯৭৯-এর অক্টোবরে শহীদ হন।
# ইয়াছ উদ্দিন : ১৯৮০-এর এপ্রিল শহীদ হন।
# আইজউদ্দিন মণ্ডল : ১৯৮০-এর এপ্রিলে শহীদ হন।
# দীন মােহাম্মদ : ১৯৮০-এর আগস্টে শহীদ হন।
# মুখলেছুর রহমান : ১৯৮১-এর জানুয়ারিতে শহীদ হন।
এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন সময় যারা শহীদ হন : শামছুল হাদী, মুসা, উদ্বাদ, সমর, নাড়, আজিজুল, মুকুল, মােস্তফাসহ অনেকে।৬৭৪
চুয়াডাঙ্গা
# পান্না : জেলা ছাত্রলীগের সদস্য। ১৯৭৫-এর জানুয়ারিতে গাংনী থানা আক্রমণে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শহীদ।
# আবুল (মেম্বার) : থানা কৃষক লীগের সদস্য। উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# মন্টু : জেলা কৃষক লীগের সদস্য। ১৯৭৫-এর ১৯ মার্চ ট্রেজারি আক্রমণে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শহীদ।
# আন্টু : জেলা গণবাহিনীর কমান্ডার। ১৯৭৫-এ রক্ষীদের ক্যাম্পে নির্যাতনে শহীদ।
# জামান : গণবাহিনীর সদস্য। ১৯৭৫-এ রক্ষীবাহিনীর নির্যাতনে শহীদ হন।
# নুরু মাস্টার : থানা কৃষক লীগের সদস্য। ১৯৭৫-এ রক্ষীবাহিনীর নির্যাতনে শহীদ।
# ফয়েজুর রহমান : থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭৫-এ রক্ষীবাহিনীর নির্যাতনে শহীদ।
# লুৎফর : কৃষক লীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭৬ সালে পূর্ব-পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির কর্মীরা হত্যা করে।
# হান্নান : ১৯৭৬ সালে শহীদ।
……………………………………………………
১৭৫) এ ছাড়াও দৈনিক গণকণ্ঠের সূত্রে কুষ্টিয়ায় ১৯৭২ সালের নভেম্বরে হাবিবুর রহমান, ১৯৭৭ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী এবং ১৯৮০ সালে শুকুর আলী নামে আরও তিনজন জাসদ কর্মী নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। দেখুন: আশরাফ কায়সার, পূর্বোক্ত, পৃ. ১৬৬-১৬৭।
Page 522
# বাবুল : ১৯৭৬ সালে শহীদ হন।
# রওশন : ১৯৭৬ সালে শহীদ হন।
# দুদু : ১৯৭৬ সালে শহীদ হন।
# খালেক : ১৯৭৮ সালে শহীদ হন।
# মফিজ : ১৯৭৯ সালে শহীদ হন।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় আবুল হােসেন, আজমসহ অনেকে শহীদ হন।
মেহেরপুর
মেহেরপুরে বিভিন্ন সময়ে শহীদ হন : আউয়াল, হাবীব, জাফরী, বাবুল, হান্নান, আনছার, মােমিন, খলিলসহ অনেকে।
ঝিনাইদহ
# শেখ রবিউল ইসলাম : ছাত্রলীগ কর্মী। ১৯৭৩ সালে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীদের হামলায় শহীদ হন।
# আব্দুর রশিদ : ছাত্রলীগ কর্মী। ১৯৭৩ সালে মুজিববাদী জঙ্গী কর্মীদের হামলায় শহীদ।
# আলী হােসেন : শৈলকূপা। ১৯৮০-এর ১১ এপ্রিল শহীদ হন।
# আক্কাস আলী : শৈলকূপা। ১৯৮০-এর ৫ জুন শহীদ হন।
# ফজলুর রহমান : ১৯৮০-এর ৫ জুন শহীদ হন।
মাগুরা
# মশিহুর রহমান : দাঘী। ১৯৭৫ সালে শহীদ হন।
# আজিম হােসেন : যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, জেলা জাসদ, গৌরীচরণপুর। ১৯৭৮ সালের
১৯ নভেম্বর আলমখালী বাজারে বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির কর্মীদের গুলিতে শহীদ হন।
# শেখ জমিরুদ্দিন : বালিয়াডাঙ্গা। উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# সহিদুর রহমান ধনী : আলাইপুর । উপরােক্ত ঘটনায় শহীদ।
# তােবারক হােসেন : কাজলী। ১৯৭৯-র ১৩ জানুয়ারি শহীদ হন।
# জহির উদ্দিন কটা : আমতইল, শ্রীপুর । ১৯৭৯-র ১৯ জানুয়ারি শহীদ হন।
# মােহাম্মদ আলী : সাচানী। ১৯৭৯-এর ২৪ মে শহীদ হন।
# শাহাদৎ হােসেন মােল্লা : ১৯৭৯-এর ২৪ মে শহীদ হন।
# গােলাম মােস্তফা : সভাপতি, নােয়াটা ইউনিয়ন জাসদ, মশাখালী, মহম্মদপুর। ১৯৮৯-এর ৬ আগস্ট হিজলতলায় জাতীয় পার্টির জঙ্গী কর্মীদের হামলায় শহীদ হন।
নড়াইল
# আতিয়ার রহমান : ১৯৭৮ সালে শহীদ হন।
# খায়রুজ্জামান : ১৯৮০ সালে শহীদ হন।
সাতক্ষীরা
# আব্দুল লতিফ : জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭৪ সালে শহীদ হন।
# নওশের আলী : বুড়ি গােয়ালিনী। ১৯৭৫-এ শহীদ হন।
# আরশাদ আলী : ১৯৭৫-এ শহীদ হন।
Source: মুজিব বাহিনী থেকে গন বাহিনী ইতিহাসের পুনর্পাঠ – আলতাফ পারভেজ