১১ নম্বর সেক্টরের খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকা
নিমে ১১ নম্বর সেক্টরের খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকা উল্লেখ করা হলাে:
১. মেজর আবু তাহের (বীর-উত্তম)
২. কাদের সিদ্দিকী (বীর-উত্তম)।
৩. এম এ মান্নান (বীরবিক্রম)।
৪. আবদুস সবুর খান (বীরবিক্রম)
৫. হাবিবুর রহমান (বীরবিক্রম)
৬. আবুল কালাম আজাদ (বীরবিক্রম)।
৭. গাজী আবদুস সালাম ভূঞা (বীরপ্রতীক)
৮. জহুরুল হক মুন্সী (বীরপ্রতীক)
৯. আবদুল জব্বার (বীরপ্রতীক)
১০. খােরশেদ আলম (বীরপ্রতীক)
১১. হাবিবুর রহমান তালুকদার (বীরপ্রতীক)
১২. ফজলুল হক (বীরপ্রতীক)।
১৩. আবদুল হাকিম (বীরপ্রতীক)।
১৪. সৈয়দ গােলাম মােস্তফা (বীরপ্রতীক)
১৫. আনােয়ার হােসেন পাহাড়ী (বীরপ্রতীক)
১৬. এম হামিদউল্লা খান (বীরপ্রতীক)
১৭. তাহের আহমেদ (বীরপ্রতীক)।
১৮. মিজানুর রহমান (বীরপ্রতীক)
১৯. সৈয়দুর রহমান (বীরপ্রতীক)
২০. হামিদুল হক (বীরপ্রতীক)
২১. খসরু মিয়া (বীরপ্রতীক)
২২. শহিদুল ইসলাম (বীরপ্রতীক)
২৩. আনিসুর রহমান (বীরপ্রতীক)
২৪. অধ্যক্ষ মতিউর রহমান (বীরপ্রতীক)
২৫. মিজানুর রহমান খান (বীরপ্রতীক)।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিয়মিত ও গেরিলা – উভয় পদ্ধতিতে যুদ্ধ। পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে ১১ নম্বর সেক্টরেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম বিগ্রেড গঠিত হয়। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১ম, ৩য় ও ৮ম ব্যাটালিয়ন ও ২য় ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সমন্বয়ে এ জেড ফোর্স ব্রিগেড গঠিত হয়। এ সেক্টরে নিয়মিত বাহিনী ও জেড ফোর্স ব্রিগেড ইউনিটগুলাে একইসাথে যুদ্ধ করে। জেড ফোর্সের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কামালপুর, নকশী, বাহাদুরাবাদ ঘাট, রৌমারীসহ বেশ কয়েকটি উল্লেখযােগ্য যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অবস্থান করে নিয়েছে। এ ছাড়া ১১ নম্বর সেক্টরের নিয়ন্ত্রণাধীনে অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শক্তিকে দুর্বল করা, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থানগুলাের সাথে যােগাযােগ। বন্ধ করা, পাকিস্তান সৈন্যদলের উপর হয়রানিমূলক আক্রমণের মাধ্যমে তাদের মনােবল ভেঙে দেওয়াই ছিল এসব যুদ্ধ পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, এখানে ১১ নম্বর সেক্টরের উল্লেখযােগ্য যুদ্ধগুলােই শুধু উপস্থাপন করা হলাে ।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান – চতুর্থ খন্ড