২৭ ভাদ্র ১৩৭৮ সোমবার ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
-খুলনা জেলার হরিনগরে গেরিলা যুদ্ধারা একটি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গানবোটের ওপর হাট বোমা নিক্ষেপ করে দ’জন পাকসেনারা হত্যা করে গান বোটটি পানিতে ডুবে যায়।
-মুক্তিবাহিনীর দুঃসাহসিক যোদ্ধারা নোয়াখালীর শত্রুর অবস্থানের ওপর এক অতর্কিত অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ১০ জন খানসেনাকে নিহত ও ১৬ জনকে গুরুতর আহত করে।
–নারায়ণগঞ্জ মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনী মধ্যে গুলী বিনিময়। ঢাকায় বায়তুল মোকাররম এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
-রঙ্গপুরের রাণী সাংকাইল ও ভুরঙ্গামারী অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকজন সামরিক ও তাবেদার অসামরিক সশস্ত্র লোককে হত্যা করে।
-ফিলি পাইনে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত জনাব খুররয় খান পান্মী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করেন।
-৩ নং সেক্টর ও ‘এস’ ফোর্সের কম্যাণ্ডার মেজর কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বাধীন বাহিনী মুকুন্দপুর এলাকায় পাকসেনাদের ওপর এ্যাম্বুশ তৈরী করে। আখাউড়া সিলেট রেলগাড়ী রুদ্ধ করার জন্য এ্যাম্বুশ লাগানো হয়েছিল। দু’খানা এন্টিট্যাংক মাইন পাতা হয়। ৩০০ গজ দূরে রিমোট কন্ট্রোল স্থাপন করা হয়। বালিবোঝাই ওয়াগ্যান ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন পার হবার পর মাইনের বিস্ফোরণে খান সেনা বোঝাই ওয়াগান বিধ্বস্ত হয়। দু’জন অফিসার সহ ২৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। এ এ্যাম্বুশে নেতৃত্ব দিয়েছিলন লেঃ মোরশেদ। বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়ায় ট্রেনধংস করার পদ্ধতি স্বাধীনতা যুদ্ধে এটাই ছিল প্রথম (১০ খণ্ড পৃঃ ২৯২)
-বিপ্লবী বাংলাদেশ সরকারের সাথে মুজিব নগরে যোগাযোগ করে কাদের সিদ্দিক টাঙ্গাইল ফিরে আসেন। তিনি তাঁর সহযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ জন্য যুদ্ধ ক্ষেত্রেই প্রশিক্ষণ দেন এবং টাঙ্গাইল জেলার সীমাবদ্ধ থাকে। তাঁর তৎপরতা জেলাটি পাঁচটি সেক্টরে বিভক্ত হয়। তাঁর মুক্তিযোদ্ধা কোম্পানী ছিল ৯৭ টি। নির্দিষ্ট সংখ্যক জনবল নিয়ে কোম্পানী গঠিত হয়নি। ৯০ থেকে ১০০ জন সহযোদ্ধা নিয়ে কোম্পানী গড়ে তোলেন। তাঁর বাহিনীর সদরদফত্রর মহানন্দপুরের সাথে রিলে সিষ্টেমে খবর পৌঁছাতে। উল্লেখ্য তাঁর কাদেরীয়া বাহিন তিনশটি লড়াই লড়েছে। হত্যা করেছে সহস্রআধিক খানসেনা ও রাজাকার।
-করাচীতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও পিপলস পার্টির চেয়্যারম্যনা জলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে ৩ ঘন্টাব্যাপী বৈঠক হয়।
-ল্যাগোসে পাকিস্তান দূতাবাসে তৃতীয় সচিব জনা মহিউদ্দিন আহমেদ জায়গীরদার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
-প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও পরিচালক আলমগীর কবীর ‘লিবারেশন ফাইটারস’ শিরোনামে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম ডক্যুমেন্টারী ফিল্মের কাজ শুরু করেন। তিনি শরণার্থীদের শিবির, মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণকেন্দ্র, প্রধান মন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহম্মেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবনং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মুক্তঞ্চল পরিদর্শন চিত্র এই ডক্যুমেন্টারীতে সংযোজন করে।
-In the Commonwealth countries conference in KualaL umpur, India made strong appeal to Commonwealth countries to pressurize Pakistan to create conditions for the safe return of refugees. (সংবাদপত্র)
Reference:
একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী