এদিকে সম্ভবত মে মাসের শেষের দিকে জিয়াউর রহমানকে তিনটা ব্যাটেলিয়ান দেয়া হয় একটা ব্রিগেড ফোর্স গঠন করবার জন্য। জিয়াউর রহমান ব্রিগেড ফোর্স গঠন করল ঠিকই, কিন্তু এর নাম দিল জিয়া ফোর্স বা জেড ফোর্স। সাধারণত আর্মিতে কোন কমান্ডার বা কোন ব্যক্তির নামে কোন সময়ই কোন ফোর্সের নামকরণ করা হয় না, কোথাও এর নজির নেই। এই ঘটনায় ওসমানী সাহেব জিয়াউর রহমানের প্রতি বিরক্ত এবং অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে চাইলেন এবং এ নিয়ে এক ধরনের জটিলতা দেখা দিল। তখন তাজউদ্দীন সাহেব এই ব্যাপারটির একটি সম্মানজনক এবং সকলের জন্য গ্রহণযােগ্য সমাধান করে দেন। তিনি ওসমানী সাহেবকে বললেন, আপনার তাে শুধু এই একটা ব্রিগেড হলেই চলবে না, আরাে ব্রিগেড দরকার। তাই জিয়াউর রহমানকে গ্রেফতার না করে খালেদ মােশাররফের ফোর্সকে ‘কে’ ফোর্স করে দিন, শফিউল্লার ফোর্সকে ‘এস’ ফোর্স করে দিন, তাহলে আর জিয়াউর রহমান আলাদাভাবে চিহ্নিত হবে না। তার গুরুত্বটা ভাগ হয়ে যাবে।’ ওসমানী সাহেব কখনই রণাঙ্গনে যেতেন না, কারাে সাথে খুব একটা দেখাসাক্ষাৎ করতেন না, এই নিয়ে প্রায় সবারই অভিযােগ ছিল। যাই হােক, যুদ্ধের দিনে এমন অনেক অপ্রীতিকর ঘটনার সমাধান হয়েছে তাজউদ্দীন সাহেবের ধীরস্থির আচরণ এবং বিচক্ষণতার কারণে।
Source: আবু ওসমান চৌধুরী
তাজউদ্দীন আহমদ – আলোকের অনন্তধারা