শিরনাম | সূত্র | তারিখ |
৭৮ নং সামরিক বিধি জারি | পাকিস্তান অবজার্ভার | ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ |
মার্শাল ল রেগুলেশন ৭৮
রাওয়ালপিণ্ডি ৯ এপ্রিল, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান সামরিক শাসক জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান আজ নিম্নে বর্ণিত সাময়িক আইন অধ্যাদেশ জারি করেন, তথ্যসূত্র এপিপি এর।
মার্শাল ল রেগুলেশন ৭৮
১) চিফ মার্শাল ল সুপারভাইজার বা মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অথবা ডেপুটি মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রত্যেকে নিরাপত্তা, জনগণের সুরক্ষা বা স্বার্থরক্ষা, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা, জনশৃঙ্খলা পালন, অন্যান্য শক্তির সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক, পাকিস্তানের যে কোন অংশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখা, অত্যাবশ্যকীয় সেবা-সরবরাহ বজায় রাখার পরিপন্থী আচরণের প্রমাণসাপেক্ষে যে কোন ব্যক্তিকে মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ক্ষমতাবলে প্রয়োজনবোধে নিম্নলিখিত আদেশ প্রদান করতে পারেন।
- উক্ত ব্যক্তিকে তিনি নির্দেশেউল্লেখসাপেক্ষে যে কোন সময়ের মধ্যে,যে কোন পথে, যে কোন উপায়ে পাকিস্তান ত্যাগের নির্দেশ দিতে পারবেন এবং উক্ত ব্যক্তির পাকিস্তানে ফিরে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবেন।
- উক্তব্যক্তি কে বন্দী করতে পারবেন।
- যেকোনো ব্যক্তির উপর নির্দেশেউল্লেখসাপেক্ষে পাকিস্তানের যে কোন এলাকায় বা অঞ্চলের ভেতরে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবেন, যদি নির্দেশে বর্ণিত শর্ত বা নির্দেশেবর্ণিত কর্তৃপক্ষের শর্ত লঙ্ঘিত হয়।
- উক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশে উল্লেখসাপেক্ষে পাকিস্তানের যেকোনো অঞ্চলে বাধ্যতামূলক অবস্থান করার অথবা প্রয়োজনীয় নির্দেশ মত যেকোনো জায়গায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছার আদেশ দিতে পারবেন।
- উক্ত ব্যক্তিকে যথাযথ সময়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে নিজ গতিবিধি জানাতে, অথবা সশরীরে উপস্থিত হতে, অথবা উভয়েরই আদেশ দিতে পারবেন।
- নির্দেশে উল্লেখসাপেক্ষে উক্ত ব্যক্তির চাকুরি, ব্যবসা, অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে তাঁর যোগাযোগ বা সম্পর্ক, যে কোন মতবাদ উত্থাপন ও প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবেন।
- নির্দেশে উল্লিখিত যে কোন বস্তুসামগ্রীর মালিকানার বা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবেন।
- নির্দেশে উল্লেখসাপেক্ষে যে কোন ব্যাপারে উক্ত ব্যক্তির আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। উপরের অনুচ্ছেদ (a) অনুযায়ী পাকিস্তানের কোন নাগরিকের বিরুদ্ধে চিফ মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর ব্যতীত অন্য কারও পক্ষে কোন নির্দেশ প্রদান করা হবে না।
২) অনুচ্ছেদ ১ এ বর্ণিত কারণে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদেশ জারি হলে তিনি শর্তসাপেক্ষে জামিন অথবা বন্দি অবস্থায় নিষেধজ্ঞা এবং নজরদারি তে আবদ্ধ হবেন।
৩) যদি অনুচ্ছেদ ১ এর আওতায় কোন নির্দেশের লঙ্ঘন করে কোন ব্যক্তি কোন অঞ্চলে অবস্থান করে অথবা ঐ অঞ্চল ত্যাগ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে পুলিশ বা চিফ মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর বা মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর বা অথবা মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ডেপুটি মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর কর্তৃক ওই এলাকা থেকে বিতাড়িত করা হবে।
৪) এ আইনের আওতায় আটক ব্যক্তিকে নির্দেশে উল্লেখসাপেক্ষে যে কোন স্থানে যে কোন নিয়মভঙ্গের শাস্তি প্রদানের নিমিত্তে আটক রাখা যেতে পারে; এ সব নিয়ম চিফ মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর বা মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর বা মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ডেপুটি মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর যে কোন সময়ে নির্ধারণ করতে সক্ষম।
৫) চিফ মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর বা মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর বা মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ডেপুটি মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটরের যদি এরুপ বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, অনুচ্ছেদ I এর ধারা (B) এর আওতায় কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্দেশ জারি করা হয়েছে, এবং উক্ত ব্যক্তি ধারা অমান্য করে পলাতক রয়েছেন বা লুকিয়ে রয়েছেন – সেক্ষেত্রে:
- যে অঞ্চলে উক্ত ব্যক্তি বসবাস করে আসছিলেন, সে অঞ্চলের বিচারিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে বিষয়বস্তু গুলোর উপর একটি রিপোর্ট পাঠাতে পারেন, যার ফলে, ম্যাজিস্ট্রেটের ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে এবং উক্ত ব্যক্তি পলাতক, এ মর্মে , ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৮৭, ৮৮ এবং ৮৯ নং ধারা উক্ত ব্যক্তির এবং তাঁর সম্পত্তির উপর প্রযোজ্য হয়।
- উক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নির্দেশিত স্থানে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন। যদি উক্ত ব্যক্তি এরুপ নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে জরিমানা সহ অথবা জরিমানা ছাড়া সর্বোচ্চ সাত বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে, যদি উক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন যে তাঁর পক্ষে এ নির্দেশ পালন করা সম্ভব ছিল না এবং তিনি নির্দেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যেই উক্ত কর্মকর্তাকে এর কারণ দেখিয়েছিলেন।
৬) যদি কোন ব্যক্তি অনুচ্ছেদ ২ এর আওতায় কোন মুচলেকা প্রদান করে থাকেন, এবং ঐ মুচলেকায় উল্লিখিত শর্তের লঙ্ঘন করেন, সেক্ষেত্রে শর্তভঙ্গকারী ব্যক্তির বিচারিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত আদালত মুচলেকায় অঙ্গীকারবদ্ধ যে কোন ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড পরিশোধ করার নির্দেশ দিতে পারেন, অথবা সেই ব্যক্তি ‘কেন এ অর্থ পরিশোধযোগ্য হবে না’ এ মর্মে কারণ দর্শাতে পারবেন; যদি পর্যাপ্ত কারণ দর্শানো না হয় এবং অর্থদণ্ড শোধ না করা হয়, সেক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ অনুযায়ী আদালত মামলা পরিচালনা করে অর্থদণ্ড আদায় করতে পারেন।
পক্ষে,
জেনারেল কমান্ডার ইন চিফ
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং চিফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
স্থান: রাওয়ালপিণ্ডি
তারিখ: ৯ এপ্রিল, ১৯৭১