You dont have javascript enabled! Please enable it! সুন্দরী মেয়েদেরকে ধরে এনে মিশনে সাহেবের বাসার উপর তলাতে আটকে রাখত। - সংগ্রামের নোটবুক

“২৫শে মার্চের ঘটনাপ্রবাহ অত্র গ্রামের জনগণের জীবনে হতাশা নিয়ে এসেছিল। শান্তাহারে সাম্প্রদায়িক ঘটনার ফলে অত্র গ্রামটিকে পাক বর্বররা ক্ষতি করতে দ্বিধা করেনি।

৯ই বৈশাখ রোজ শুক্রবার শান্তাহার রোড হয়ে চকরামপুর গ্রামে পাক বর্বররা প্রবেশ করে। প্রবেশ করার আগে বিক্ষিপ্তভাবে চারিদিকে গোলাগুলি চালাতে থাকে। এতে জনগণের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। ফলে ধন, মাল রেখে পাইকারী হারে অত্র গ্রামের জনসাধারণ অন্যত্র পালাতে থাকে। অতঃপর পাক বর্বররা চকরামপুরের অধিকাংশ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ও লুটতরাজ চালায়। বলা প্রয়োজন, অত্র গ্রামের সংলগ্ন খৃস্টান মিশনের সাহেবের বাড়িতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে। উক্ত ঘাঁটিতে পাক বর্বররা অন্য জায়গা হতে সুন্দরী মেয়েদেরকে ধরে এনে মিশনে সাহেবের বাসার উপর তলাতে আটকে রাখত। পাশবিক অত্যাচার ও ধর্ষণ করার পরে গলা কেটে হত্যা করেছে। হত্যার পরে তাঁদের রক্ত চৌবাচ্চার নল দিয়ে স্থানীয় তুলসী গঙ্গা নদীতে পড়তো। তা ছাড়া অত্র চকরামপুর গ্রামের প্রায় ৪০ জন লোককে গুলি করে হত্যা করেছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে এবং বহুসংখ্যক আহত অবস্থায় এখনো বেঁচে আছে। এক মাস অবস্থানকালে অত্র গ্রাম হতে পাক বর্বররা গরু, খাসি, হাঁস, মুরগী, যাবতীয় তরিতরকারী লুট করে খেয়েছে।

স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে অত্র গ্রামের জনসাধারণ মুক্তিবাহিনীকে খাদ্যদ্রব্য ও সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে।“

স্বাক্ষর/-

জয় মণ্ডল

গ্রাম- চকরামপুর

নওগাঁ

রাজশাহী

গ্রাম- চকরামপুর

নওগাঁ, রাজশাহী