২রা এপ্রিল ১৯৭১ জিঞ্জিরা গণহত্যার সময়ে শুভাড্ডা ও পাইনের বাজার থেকে ৯-১০ বছর বয়সী মেয়ে দুইটি পলায়নের সময়ে হারাইয়া যায়। দীর্ঘ ১০ মাস সময়েও তাদের খুজে না পাইয়া স্বাধীনের পর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান করেন পরিবারটি। পরিবারটি সম্ভবত ১০ মাস এলাকায় ছিল না।
জয়বাংলা স্লোগান
অনেক লেখাতেই বলা হয়ে থাকে জয়বাংলা স্লোগান প্রথম উচ্চারিত হয় ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। শিক্ষা দিবসের কর্মসূচীতে। তখন সামরিক আইন পুরোপুরি ছিল অর্থাৎ রাজনীতি মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ ছিল। ছাত্র সংগঠন গুলি শিক্ষা দিবস পালনের জন্য গভর্নর আহসান থেকে শহীদ মিনারে সভা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের অনুমতি নিয়ে ছিল। সেই সভায় সম্ভবত শেখ মুজিব ও ভাষণ দেন। সেই জনসভার ইতিবৃত্ত দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ৬-৭ টি শ্লোগানের কথাও বলা আছে যে গুলিতে জয় বাংলা নাই। ১৯৭০ সালের ১ জানুয়ারী রাজনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কার্যক্রমে প্রান চাঞ্চল্য ফিরে আসে। ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ প্রথম জয় বাংলা স্লোগান মুল সংগঠনের কর্মসূচীতে ব্যাবহার করে ৪ জানুয়ারী ১৯৭০ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিল ও সমাবেশে। জয় বাংলা শ্লোগানের প্রথম প্রতিবাদকারী হলেন গোলাম আজম।
১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সাধারন পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল চূড়ান্ত। পাকিস্তানের হাতে সঠিক তথ্য আসে নাই তাই সঠিক সংবাদ পরিবেশন করতে পারে নাই।