কবসা পুনরুদ্ধার
এই সেশরের কসবা-গঙ্গাসাগর-আখাউড়া সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন আইনউদ্দিন। ১ম ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের অধিনায়কও ছিলেন। সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান কব ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে, বিশেষ করে কস্বাতে পাকিস্তানিদের একটি কোন মজবুত বাংকার করে অবস্থান করছিলাে। সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল খালেদ মােশাররফের নির্দেশে ক্যাপ্টেন আইনউদ্দিন কসবা দখলের পরিকল্পনা করেন। তিনি ৯ম বেঙ্গলের দুটি কোম্পানি নিয়ে গােলন্দাজ সাপাের্টের সাহায্যে উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে কসবা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিলেন। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে (তারিখ উদ্ধার করা সব হয়নি) মেজর আইন উদ্দিন কসবা আক্রমণ করলেন। সেক্টর কমান্ডার লে, কর্নেল খালেদ মােশাররফ নিজেই এই যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। মুক্তিবাহিনীর পক্ষে ভারতীয় আর্টিলারি সাপাের্ট ছিল। পাকিস্তানি বাহিনীর বৃষ্টির মতাে আর্টিলারি গােলার এক প্লিন্টার (টুকরা) এসে মেজর খালেদের মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এমতাবস্থায়ও তিনি এক জরুরি সভা ডেকে যে-করেই হােক যুদ্ধ চালিয়ে যাবার নির্দেশ দেন। তারপর লে, কর্নেল খালেদকে আগরতলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। এদিকে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে বহু ক্ষতি স্বীকার করে পাকিস্তানি সেনারা কসবা ছেড়ে দিতে বাধ্য হল। কসবা শত্রুমুক্ত হল।
সূত্রঃ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ – লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী