বিগ্রেড ফোর্স গঠন
শুধু গেরিলা যুদ্ধ করে কোনাে ফোর্সকে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করা সম্ভব হয় না। বাংলাদেশ বাহিনীও শুধু গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ করে পাকিস্তানি বাহিনীকে অস্ত্রসমর্পণ করতে বাধ্য করবে, সে দুরাশা কখনাে করেনি। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এজন্যে যে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ বাহিনীর জনবল ও অস্ত্রবল ছিল। একেবারেই অপ্রতুল। তাছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ করার ফলে বহু অস্ত্রশস্ত্র তাদের নষ্ট। হয়ে যায়। তাই পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হওয়ার সামর্থ না হওয়া পর্যন্ত গেরিলা যুদ্ধ করে শক্রর জনবল, মনােবল ও অস্ত্রবল নষ্ট করে তার সম্মুখ সমরের শক্তিকে পর্যুদস্ত করে তারপর তাকে সরাসরি আঘাত হানতে হবে। এই কৌশলকে সামনে রেখেই গেরিলা যুদ্ধের পাশাপাশি বিগ্রেড ফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেড-ফোর্স (জিয়া-ফোর্স)
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম ব্রিগেড গঠন করা হয় ৭ই জুলাই ১৯৭১। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩টি ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে গঠন করা হয় এই ব্রিগেড। ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্তি পেলেন মেজর জিয়াউর রহমান এবং তার নামের আদি অক্ষর নিয়েই ব্রিগেডের নামকরণ করা হয় ‘জেড ফোর্স (জিয়া-ফোর্স)। ব্রিগেডের অঙ্গ তিনটি ব্যাটালিয়ন হলাে-১ম ইস্ট বেঙ্গল, ৩য় ইস্ট বেঙ্গল ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন। ব্রিগেড মেজরের দায়িত্ব পালন করেন ক্যাপ্টেন অলি আহমদ জেড ফোর্সের অধীনস্থ ব্যাটালিয়ন গুলির কাঠামাে নিম্নে বর্ণিত হল:
১. ব্যাটালিয়ন কমান্ডিং অফিসার : ১ম ইস্ট বেঙ্গল। মেজর মইনুল হােসেন চৌধুরী। আগস্ট মাস থেকে মেজর জিয়া উদ্দিন ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ক্যাপ্টেন বজলুল গণি পাটোয়ারি তিনিও পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে যুদ্ধে যােগ দিয়েছিলেন। (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।