You dont have javascript enabled! Please enable it! আমি সিরাজুল আলম খান এর ভুল গুলো ৩৮ - সংগ্রামের নোটবুক

আমি সিরাজুল আলম খান এর ভুল গুলো ৩৮ঃ 

লেখক শামসুদ্দিন পেয়ারা বলেছেন ১ মার্চ ইয়াহিয়া ৩রা মার্চের অধিবেশন স্থগিত করেন। ভাষণের পর দাদা ভাই আমাকে ও আসম রবকে বায়তুল মোকাররমে যেতে বলেন। পল্টন ময়দানে তখন মওলানা ফরিদ আহমেদের নেজামে ইসলামী পার্টির একটি সভা হচ্ছিল। আমরা সেই মঞ্চ দখল করে বক্তৃতা দিলাম। প্রকৃত সত্য হল মৌলবি ( মওলানা নহে) ফরিদ অনেক অনেক আগেই নেজামে ইসলাম ত্যাগ করেন। গোলটেবিল বৈঠকে ফরিদ পিডিএম জোটের প্রতিনিধিত্ব করেন। জুলাই ৬৯ সালে পিডিপি গঠিত হলে ফরিদ ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। এ সময় থেকে নেজামের প্রেসিডেন্ট মওলানা সিদ্দিক আহমেদ।  সেদিন পল্টন ময়দানে নেজামের কোন সভা ছিল না। পল্টন ময়দান ছাত্রলীগের মিছিল আর হোটেল পূর্বানীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর জন্য আগত জনতা পরিপূর্ণ ছিল। এছাড়া স্টেডিয়ামে আগত দর্শকরাও বের হয়ে এখানে অবস্থান নেন।  ছাত্রলীগের নেতারা পরে পল্টনে সমবেত জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন। সে সভায় ভাষণ দিয়েছিলেন আসম রব। রব সাহেব সিরাজুল বা পেয়ারা সাহেবের কথায় সেখানে দায়িত্ব পালন করেননি। তারা ৪ খলিফার হয়ে,আওয়ামী হাই কমান্ডের নির্দেশ পালন করতেন। মার্চ থেকে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের যে কোন সমাবেশে ৪ খলিফা আর তোফায়েল আর শ্রমিক লীগের মান্নান ছাড়া আর কেউ বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাননি। অনেক ছোট নেতা সভার আগে ফাকা মাইক পেয়ে কিছুক্ষন শ্রোতা ধরে রাখার জন্য কিছু বলে থাকেন তাদের বক্তা বলা হয়না।  যে মঞ্চে তারা ভাষণ দিয়েছিলেন তা জরুরী ভাবে তৈরি একটি অর্ধসমাপ্ত মঞ্চ থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন। কারন একই স্থানে তারা ৩ মার্চ সমাবেশ ডেকেছিলেন।