আমি সিরাজুল আলম খান এর ভুল গুলো -৩৫ঃ
সিরাজ ভাইয়ের নির্দেশে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি। দেশের অন্যান্য এলাকার মত নোয়াখালীতেও ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলি। এ মন্তব্য লেখক শামশুদ্দিন পেয়ারার। ৬২ সালে এ সময় প্রচণ্ড বন্যা চলছিল প্রায় ৭৪, ৮৮ এর মত। ঢাকায় সামান্য কিছু শুকনো স্থান ছিল। শিক্ষা আন্দোলন নিয়ে অতি প্রচার করা হয়। আসামী ধরে সাব ইনস্পেক্টর পরদিন পত্রিকায় ছবি আসে এসপি আসামী ধরেছেন। শিক্ষা আন্দোলন কারা করেছে, কতটুকু গভীরতা ছিল তা সে সময়কার পত্রিকায় উল্লেখ আছে। ৪-৫ টি কলেজের ছাত্ররা এ আন্দোলন করে। হরতালে যারা মারা গিয়েছে এরা কেউ ছাত্র নয়। আর সংখ্যাও ১১-১২ জন নয় দুজন টোকাই পথচারী। ছাত্রলীগের বা ছাত্র ইউনিয়ন কোন দলীয় ব্যানারে ছাত্র সমাবেশ বা মিছিল করেনি। তারা আহতদের দেখতেও যায়নি। শীর্ষ কোন ছাত্রনেতা গায়েবানা জানাজায়ও যায়নি। তবে হল সংসদের নেতার বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে কিছুটা দায় মোচন করেছেন। সেটি মুখ্য না মুখ্য হল হামুদুর রহমান নয় শরীফ কমিশন হবে। যা গঠিত হয় ৫৯ সালে শরিফ আলীগড়ে আইউবের শিক্ষক ছিল। হামুদুর রহমান কমিশন হয় ৬৪ সালে শরিফ কমিশনকে মডিফাই করার জন্য। মফঃস্বলে তেমন কোন ছাত্র আন্দোলন হয়নি। বন্যা আর সাংগঠনিক দুই কারনে।
https://www.youtube.com/watch?v=sqVdsLzDqa4