নিউ ইয়র্ক টাইমস. ৭ এপ্রিল, ১৯৭১
বাংলায় রক্তগঙ্গা
পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনা উপর ওয়াশিংটনের নীরবতা ক্রমাগত স্পষ্ট হচ্ছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা করছে এবং পূর্ববাংলার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতৃত্ব কে দমন করছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র গতকাল স্বীকার করে যে, “যদি আমেরিকান অস্ত্র এই পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয় তবে আমরা উদ্বিগ্ন হব।” কিন্তু তিনি জোর দেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সরাসরি জ্ঞান নেই। এটা একটা কুতর্ক। শুধু গত মাসে তারা তাদের বার্ষিক পররাষ্ট্রনীতির রিপোর্টে বলেন তারা পাকিস্তানে অতিরিক্ত অস্ত্র সরঞ্জাম বিক্রি করতে রাজি হয়েছে শুধুমাত্র “তাদের সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর জন্য।”
যে কোনো ভিত্তিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলায় রক্তগঙ্গার বিরুদ্ধে কথা বলবে যেমনটা সোভিয়েত ইউনিয়ন ইতিমধ্যে বলেছে। পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে ওয়াশিংটনের উচিৎ বর্তমানে ব্যাবহ্রিত কৌশলকে অসমর্থন ঘোষণা করা এবং একথা স্পষ্ট করা যে যতক্ষণ পুর্ব পাকিস্তানের নিপীড়ন বন্ধ না হবে ততক্ষণ কোন অতিরিক্ত অস্ত্র বা খুচরা যন্ত্রাংশ পাকিস্তানে পাঠানো হবে না। তাদের ডবল বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
অ্যামেরিকার উচিৎ এখানকার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধ করার জন্য যা কিছু করা সম্ভব সেটা করা। তা না হলে ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে এবং তার ভয়াবহ প্রভাব আন্তর্জাতিকভাবেও পড়বে।