You dont have javascript enabled! Please enable it! পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ে গ্রেনেড চার্জ - সংগ্রামের নোটবুক
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ে গ্রেনেড চার্জ
উদ্দেশ্য
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালনের কর্মসূচি ব্যর্থ করে দেওয়া, পাকিস্তানিদের এ দিনটি পালনে বিঘ্ন ঘটানাে এবং তাদের মনে হতাশার সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে এ অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়।
পরিকল্পনা
এ অপারেশনের পরিকল্পনাকারী ছিলেন ক্যাপটেন করিম। গ্রন্থের একাদশ অধ্যায়ের ৩২৬ নম্বর দলিলে তাঁর পরিচয় রয়েছে। তার গ্রুপের ৭-৮জন মুক্তিযােদ্ধাকে নিয়ে তিনি ১৪ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গ্রেনেড চার্জ করে স্বাধীনতা দিবস পালনের অনুষ্ঠান পণ্ড ও পাকিস্তান পন্থিদের মনে। ভীতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন। এ পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম কোট বিল্ডিংয়ে গ্রেনেড চার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয় তার গ্রুপের মুক্তিযােদ্ধা মনসুর সিদ্দিকীকে।
অপারেশন
অপারেশন পরিকল্পনা বুঝে নিয়ে মুক্তিযােদ্ধা মনসুর সিদ্দিকী গ্রেনেডটি তার কোমরে গুঁজে চুপিসারে বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে এসে উপস্থিত হন। তারপর সুযােগ বুঝে তিনি গ্রেনেডটি বর্তমান মসজিদের দক্ষিণ পাশে ছুড়ে দিয়ে দ্রুত সরে পড়েন।
ফলাফল
গ্রেনেড বিস্ফোরিত হওয়ার সাথে সাথে কোর্ট বিল্ডিংয়ে উপস্থিত লােকজন ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঐ দিন কোর্ট বিল্ডিংয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পূর্বনির্ধারিত সমস্ত কর্মসূচি পালন পণ্ড হয়ে যায়।
বিশ্লেষণ
কোর্ট বিল্ডিং অপারেশনটি পাকিস্তানপন্থিদের মনােবল প্রচণ্ডভাবে দুর্বল করে দেয়। কারণ, এ অপারেশনটি তাদের আদর্শ ও উদ্দেশ্য লালনকারী পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম দিবসে করা হয়। অন্যদিকে, এ অপারেশন মুক্তিযােদ্ধাদের চিন্তা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী সফলভাবে পরিচালিত হওয়ায় তাদের মনােবল বৃদ্ধি পেয়েছিল। তথ্যসূত্র: মুক্তিযােদ্ধা মনসুর সিদ্দিকীর সাক্ষাৎকার।

সূত্রঃ   মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান – প্রথম খন্ড