You dont have javascript enabled! Please enable it!

২৩ মে ১৯৭১ঃ নৌ-কমান্ডো গেরিলাদের প্রশিক্ষন

কর্নেল ওসমানীর সিদ্ধান্তে বিভিন্ন সেক্টর থেকে বাছাই করা প্রায় ৩০০ জন নৌ-কমান্ডো প্রশিক্ষন দেয়ার উদ্দেশ্যে মুর্শিদাবাদের পলাশীর স্মৃতিসৌধের পাশে ভাগীরথী নদীর তীরে একটি গোপন প্রশিক্ষন ক্যাম্প খোলা হয়।  নৌ-কমান্ডোদের ঐ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় নেভাল অফিসার কমানডার এম.এন.সামন্থ, ও প্রশিক্ষন দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন লেঃ কমান্ডার জি এম মার্টিস, এবং আরও ভারতীয় ২০ জন প্রশিক্ষক তারা হলেন লেঃ সমীর দাস, লেঃ ভি.পি. কফিল। প্রশিক্ষকদের মধ্যে ফ্রান্স থেকে পালিয়ে আসা ৮ জন সাব-মেরিনার ছাড়াও আরো ছিলেন ভারতীয় নৌ-বাহিনীর লিডিং সিম্যান কে.সিং, লিডিং সিম্যান গুপ্ত, এল সিং, মারাঠি নানা বুজ এবং সমীর কুমার দাশসহ আরো কয়েকজন। ট্রেনিং এর দুটো অংশ ছিল। সবাইকে প্রয়োজনীয় স্থলযুদ্ধ যেমনঃ- গ্রেনেড নিক্ষেপ, এক্সপ্লোসিভের ব্যবহার, স্টেনগান রিভলবার চালানো, আন-আর্মড কমব্যাট(খালি হাতে যুদ্ধ) ইত্যাদি শিখতে হতো। আর জলযুদ্ধের ট্রেনিঙের মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরনের সাতার যেমনঃ- বুকে ৫-৬ কেজি ওজনের পাথর বেধে সাতার, চিৎ সাতার, কোন মতে পানির উপরে নাক ভাসিয়ে একটানা অনেক্ষন সাতার, পানিতে সাতরিয়ে এবং ডুব সাতার দিয়ে লিমপেট মাইন ব্যবহার, স্রোতের প্রতিকূলে সাতার, জাহাজের কেবল ভাঙা ইত্যাদি কঠিন সব প্রশিক্ষণ দেয়া হত তীব্র খরস্রোতা ভাগীরথী নদীতে। শীত-বর্ষায় একটানা ৪৮ ঘণ্টা পানিতে থাকার অভ্যাস করতে হয় সব যোদ্ধাকে। প্রায় টানা তিন’মাস প্রশিক্ষনের পর আগস্টের প্রথম সাপ্তাহে তাদের প্রশিক্ষন শেষ হয়।