১২ ডিসেম্বর নাগাদ বিপর্যস্ত পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর কী অবস্থা ছিলাে?
১. বিমান বাহিনী : ১৪টা এফ-৮৬ স্যাবার জঙ্গী বিমান, ৩টা টি-৩৩ এবং ৪টা। হেলিকপ্টার থাকা সত্ত্বেও বিমান যুদ্ধের মেয়াদ মাত্র ৬২ ঘণ্টা।
২. নৌবাহিনী : ৪০/৬০ এম এম কামান বসানাে ২১টা গানবােট বিধ্বস্ত। চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর অকেজো।
৩. যশাের সেক্টর : মেজর জেনারেল আনসারীর নবম ডিভিশন দ্বিধা-বিভক্ত। পাকশী ব্রিজের ওপর দিয়ে এক স্কোয়াড্রন এম-২৪ ট্রাংক বাহিনীর পলায়ন। যশাের শহর ও ক্যান্টনমেন্টের পতন। খুলনা নৌঘাটি থেক কমাণ্ডার গুল জরিন খানের ঢাকায় পলায়ন।
৪. উত্তরবঙ্গ সেক্টর : মেজর জেনারেল নজর হােসেনের ১৬তম ডিভিশনের ২০৫, ২৩ এবং ৩৪ নং ব্রিগেড বিচ্ছিন্ন। চার স্কোয়াড্রন এম-২৪ ট্রাংক বহর অকেজো ও জেনারেল নজর হােসেনের নাটোরে আত্মগােপন।
৫. চাঁদপুর সেক্টর : ৩৯তম ডিভেশনের ১১৭ ব্রিগেড ছাড়া অবশিষ্ট ৫৩, ৯১ ও ৯৭ ব্রিগেড নিশ্চিহ্ন। আহত অবস্থায় মেজর জেনারেল রহিম খানের ঢাকায় পলায়ন।
৬ সিলেট সেক্টর : ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর মেজর জেনারেল মজিদ কাজীর ১৪তম ডিভিশনের দ্রুত পশ্চাদপসরণ। ১২ আজাদ কাশ্মীর ছাড়াও ২৭নং ২০২ নং, এবং ৩১৩ নং ব্রিগেডের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি।
৭ ঢাকা সেক্টর : সার্বিক দায়িত্বে মেজর জেনারেল জমসেদের ৩৬তম ডিভিশন। এর অধীনস্থ ব্রিগেডিয়ার মঞ্জুর কর্তৃক নারায়নগঞ্জ থেকে পিছু হটে ডেমরায় অবস্থান গ্রহণ।
৮ টঙ্গী-বাের্ডবাজার থেকে ব্রিগেডিয়ার কাসিমের বাহিনী। প্রত্যাহার ও ব্রিজের দক্ষিণপাড়ে অবস্থান। কুর্মিটোলায় প্রতিরক্ষার দায়িত্বে। ব্রিগেডিয়ার বশিরের বাহিনী।
৯ কাদেরিয়া বাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে জামালপুর থেকে পলায়নপর ব্রিগেডিয়ার কাদিরসহ ৯৩ ব্রিগেড প্রায় নিশ্চিহ্ন। এমনি এক পরিস্থিতিতে দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর নীতি নির্ধারকরা ১২ই হিসেম্বর গভর্নর ভবনে বৈঠকে মিলিত হলেন। গভর্নর ডাঃ মালেক ছাড়াও জেনারেলদের মধ্যে নিয়াজী, রাও ফরমান ও রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।
Reference:
সূত্রঃ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা – এম আর আখতার মুকুল