পশ্চিম রণাঙ্গনে প্রতি আক্রমণের মুখে ছম্ব রণক্ষেত্রে শত্রুবাহিনী পিছু হঠছে
রাজস্থান সীমান্তে বিকানীর থেকে বারমার জুড়ে ভারতীয় বাহিনীর প্রাধান্য রয়েছে
নয়াদিল্লী, ১১ ডিসেম্বর (ইউ এন আই)-কাশ্মীর সীমান্তে ছাম্ব রণাঙ্গনে গতকাল রাত্রে ভারতীয় বাহিনী যে প্রচণ্ড পাল্টা আক্রমণ চালায় তার ফল আজও পাক বাহিনীর উপর আমাদের প্রাধান্য এখনাে বজায় রয়েছে। আমাদের সৈন্যরা মুরানাওয়ার তােওয়াই এর ৫ মাইল বিস্তৃত বলয়ের শেষে শত্রুদের ঠেলে দিয়েছে।
এই লড়াইয়ে শত্রু পক্ষের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়েছে। তারা কয়েকটি ট্যাঙ্ক ও ২টি বিমান হারিয়েছে। এই যুদ্ধে পাকিস্তান গােলান্দাজ বাহিনীর প্রকৃত ক্ষতি হয়েছে।
কারগিলের উপর নজর রাখার মত পাকিস্তানীদের যে ২২টি চৌকি ছিল তার মাত্র ৫টি এখনাে দখল হতে বাকী। এই ৫টি ঘাঁটির পতন হলে সামরিক কৌশলের দিক থেকে আমরা সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাব।
পশ্চিম রণাঙ্গনের অন্যান্য অঞ্চলেও আমাদের আকস্মিক আক্রমণের ফলে শত্রু পক্ষকে আত্মরক্ষা মূলক সংগ্রাম করতে হচ্ছে। উরি অঞ্চলে দুদঘাই’ এর কাছে ১৫ জন শত্রু সৈন্য নিহত হয়ছে। তিতওয়াল রণাঙ্গনে দুটি শক্ত ঘাঁটি আমাদের সৈন্যরা দখল করেছে। পুরু এলাকাতেও দু’টি শত্রুঘাঁটি দখল করার পর আমাদের আত্মরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। সাফা রণক্ষেত্রে গতরাত্রে ৭টি শত্রুর ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে। আরও নাচের দিকে ডেরা বাবানানকে শত্রুরা তাদের এলাকার মধ্যে একটি থেকে বারমার পর্যন্ত সমগ্র অক্ষ জুড়ে যে সমস্ত অঞ্চল আমাদের বাহিনী অধিকার করেছে এখন সেগুলিকে সুসংহত করা হচ্ছে।
সীমান্ত থেকে ২২ কিলােমিটার দূরবর্তী বেজনার আজ সকালে দখল করা হয়েছে। রহিম ইয়ারখান নামে গুরুত্বপূর্ণ সহরটি যাবার পথেই বিজনাের পড়ে।
জয়সালমির রণক্ষেত্রে সঙ্গে ওয়ালার সমগ্র পাকবাহিনী হ্রাস পাওয়ার পর আমাদের বাহিনী এই অঞ্চলে পাকিস্তানের প্রায় ৬ কিলােমিটার ভেতরে অগ্রসর হয়েছে।
মীরপুর-ভৈরপুর অঞ্চলে শত্রু এলাকার গভীরে হানা দিয়ে আমাদের সৈন্যরা ৫টা ট্যাঙ্ক ও ৬৭টি গাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে। বারমার অঞ্চলে সিন্ধুর নয়াচোর দখলের জন্য তীব্র লড়াই চলছে। আজ বেলা ১১ টায়
সূত্র: কালান্তর, ১২.১২.১৯৭১