২৫ এপ্রিল ১৯৭১ঃ প্রতিরোধ যুদ্ধ চট্টগ্রাম
৪ এপ্রিল সেক্টর গঠন হলেও এ সেক্টরে তার কোন প্রভাব এই একুশ দিনে লক্ষ্য করা যায়নি। রামগড় সদর দপ্তর হলেও এখানে ক্ষুদ্র পরিসরে প্রশিক্ষন, রেশন ও জ্বালানী মজুদ, ছোট একটি ফিল্ড হাসপাতাল ছিল। মেজর জিয়ার অনুপস্থিতিতে এদিন সেক্টর দেখাশুনা করছিলেন মেজর মীর শওকত। এদিন করেরহাটের পতন হয়। শত্রুবাহিনী সর্বশেষ মহকুমা শহর যাতে দখল করতে না পারে সে জন্য ক্যাপ্টেন রফিকের বাহিনী পথের বেশ কিছু সেতু ধ্বংস করে। পশ্চিম দিক থেকে পাকবাহিনী শুভপুর দিয়েও আক্রমন করে যাচ্ছিল। রামগড় যেতে পরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ছিল হিয়াকু। মুক্তি বাহিনী সেখানে পজিশনে ছিল। একই সময়ে পাক বাহিনী মহালছরি আক্রমন করে। সেখান থেকে অস্র গোলাবারুদ পাঠানোর বার বার অনুরোধ এসেছিল কিন্তু সেখানে কোন সাহায্য পাঠানো সম্ভব হয়নি। এদিন মিজোদের একটি দল ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামানের দলের উপর হামলা চালায়। এসময় লেঃ মাহফুজের বাহিনী তার অবস্থানের কাছেই যোগ দিয়ে মিজোদের উপর হামলা করে। এতে অনেক মিজো হতাহত হয়। খালেকের বাহিনীর গোলাবারুদ শেষ হয়ে আসায় তারা পশ্চাদপসরণ করে। একপর্যায়ে মিজোরা মাহফুজের বাহিনীকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এসময়ে সংবাদ পেয়ে আফতাবুল কাদের এর বাহিনী খালেকুজ্জামানের বাহিনীর সাথে একত্রিত হয়ে মাহফুজকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে যায়। ক্যাপ্টেন রফিকের একটি রেকি পার্টি ঘুরতে ঘুরতে মিজোদের সীমানায় চলে যায়। পরে কোনমতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়।