‘যদ্যপি বাচিবে নুরুল’
পাক রাজনীতির ভাষ্যকার
অত্যন্ত বিশ্বস্ত সূত্রের খবর : গত মাসে যেদিন পাক-ফৌজের দু’জন অফিসার ঢাকায় ২০নং ইস্কাটন রােডে ‘কুইসলিং’ নুরুল আমিনের বাড়ি গিয়ে তাঁর থেকে বাংলাদেশ’ বিরােধী বিবৃতি আদায় করেছিল, সেদিন থেকেই তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে আছেন। কিন্তু তবুও বৃদ্ধ ও অথর্ব নুরুলে আমিনের প্রতি ‘বাংলাদেশের মানুষের সহানুভূতিই জাগেনি-বরঞ্চ তারা একটা ছড়া বেঁধেছেন : যদ্যপি বাঁচিবে নুরুল দালালি করিবে/দালালির কমিশনে কৌমী লীডার সাজিবে।
কিন্তু নুরুল আমিন সাহেবের জামাই পূর্ব-পাকিস্তান পুলিশের গােয়েন্দা বিভাগ স্পেশাল ব্রাঞ্চের স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট (১) এ বি এম গােলাম কিবরিয়া-র কোন খোজ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে কিবরিয়া সাহেব কিছুদিন আগে কলকাতার প্রাক্তন পাকিস্তানী দূতাবাসের প্রথম সচিব ছিলেন। তবে প্রায় সুনিশ্চিত খবর পাওয়া গেছে যে, জনাব কিবরিয়ার উর্ধ্বতন অফিসার গােয়েন্দা বিভাগের ডিআই-জি জনাব এ এম মেসবাহউদ্দিন-কে পাক-ফৌজ গুলি করে হত্যা করেছে। ইয়াহিয়ার কাছে তার বড় অপরাধ : তিনি গােয়েন্দা বিভাগের ডি-আই-জি হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যকলাপ ও আশাআকাক্ষার সঠিক মূল্যায়ন করতে অক্ষম হয়েছিলেন এবং পুলিশের মধ্যে ব্যাপক বিদ্রোহের সম্ভাবনার কথা জেনেশুনেও সে বিষয়ে সামরিক কর্তৃপক্ষকে যথা সময়ে অবহিত করতে পারেননি। [এ.এম. মেসবাহউদ্দিনের খবরটি সঠিক নয়; তবে তারা তার ওপর সন্তুষ্ট ছিল না, জনাব কিবরিয়ার খবরটিও সঠিক নয়]
Reference:
২ মে ১৯৭১, দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা