কলকাতার উপকণ্ঠে শরণার্থীদের ভীড়ে মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশ
ত্রিপল-ওষুধপত্রের শােচনীয় অপ্রতুলতা
(স্টাফ রিপাের্টার)
কলকাতা, ৪ জুন কলকাতার খুব কাছেই দল বেঁধে শরণার্থীরা চলে আসতে থাকায় মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন শরণার্থীদের “উদ্বাস্তু” বলবেন না। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শরণার্থীদের আলাদা করে রাখতে হবে। “বাঙলাদেশে” উপযুক্ত পরিবেশ হলেই তারা যেন ফিরে যেতে পারেন সেই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। লবণ হ্রদে শরণার্থীদের থাকা উচিত নয় এই মন্তব্য করে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমি জানি না, ওদের ওখানে থাকার কে নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়নাল আবেদিন বলেছেন লবণ হ্রদে ও আরও শরণার্থী থাকতে পারে। তাদের জন্য শিবির হচ্ছে।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডাঃ জয়নাল আবেদনি বলেন “যে হারে শরণার্থী আসছে তাতে মনে হয় “বাঙলাদেশ” উজাড় করে শরণার্থীরা চলে আসবেন।” তিনি বলেন, বর্ষা আগে শুরু হওয়ায় অবস্থায় জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাঃ আবেদিন বলেন, শরণার্থীদের জন্য যা প্রয়ােজন তার সামান্যতমও কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন কয়লা নেই, কাঠ নেই, কোন ধরণের জ্বালানি নেই। শরণার্থীরা উত্তরবঙ্গে বেড়া, গাছগাছড়া এমনকি বনজভূমির গাছ জনকে বসন্তের টিকা, ১৫,০৫, জনকে কলেরার ইনজেকসন দেয়া হয়েছে। মােট ১,৬৫,৮৯৬ জন চিকিৎসা করা হয়েছে।… সমূহে বাঙলাদেশের ২১৩ জনকে পশ্চিমবঙ্গের ১০০৭ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বলেন ৮ জন ত্রিপলের মধ্যে মাত্র ৪৭০০০.. পাওয়া গেছে। কেন্দ্রের কাছ থেকে ৮৬০০০ বােতল চেয়ে মাত্র ১৪০ বােতল স্যালাইন পাওয়া গেছে। অন্যান্য ঔষধ কোনটা পাওয়া যায় নি, কোনটা অতি সামান্য পাওয়া গেছে।
সূত্র: কালান্তর ৫.৬.১৯৭১