২০ এপ্রিল ১৯৭১ঃ কমন্স সভায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
হাউজ অব কমন্স এ রক্ষণশীল দলীয় বিরোধী দল নেতা হেরলড উইলসন (ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ) এর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ বলেন বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি যথাসময়ে বিবৃতি পেশ করবেন। উইলসন বাংলাদেশে গণহত্যা সম্পর্কে তদন্তের জন্য ব্রিটিশ দল প্রেরনের জন্য হাউজে প্রস্তাব করেন। রক্ষন শীল দলের সদস্য ডেভিড স্টিলের এক প্রশ্নের জবাবে হিথ বলেন ব্রিটিশ সরকার সংঘর্ষের অবসান চায় এবং রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। শ্রমিক দলীয় সদস্যউইলি হেমিলটন বলেন পূর্ব পাকিস্তানে সে দেশের সেনাবাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছে সে বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা উচিত। শ্রমিক দলীয় সদস্য পিঁটার শোর বলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও দমন নীতি পরিহারের বিষয়ে ব্রিটিশ নীতি নির্ধারণের জন্য হাউজে আলোচনা করা উচিত। এদিন টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে পাকিস্তান সরকার বলেছে শেখ মুজিবের বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিকল্পনার নিশ্চিত প্রমান তাদের কাছে আছে এবং তার বিচারের জন্য শীঘ্রই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। পিস নিউজ পত্রিকা অফিসে পল কনেট, মেরিয়েটা প্রকোপে, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক বৈঠক করেন। বৈঠকে অপর আরও ৮ টি সংগঠন সহ একশন বাংলাদেশ ক্লিয়ারিং হাউজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গরে তোলা হয়। এ প্রতিষ্ঠান পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাকিস্তানী সৈন্য প্রত্যাহার দাবীতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা এবং পূর্ব পাকিস্তানের বাস্তহারাদের সাহায্য দানের কর্মসূচী গ্রহন করে। মাইকেল বার্নস এমপি এ প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হন।