২০ এপ্রিল ১৯৭১ঃ হিলি যুদ্ধ নিয়ে লেঃ আনোয়ারের বিবরন
সুবেদার হাফিজ, নায়েক সুবেদার করম আলী ও নায়েক সুবেদার শহীদুল্লাহ দুটি কোম্পানিসহ হিলিতে আমার কাছে পৌঁছায়। সেদিন খুব ভোরে পাকিস্তানি বাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ করে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে আমাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ চলে। অবশেষে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর মর্টার ও শেলিংয়ে ভারতীয় সীমান্তের কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়। ফলে ভারতীয় বিএসএফ কর্নেল মুখার্জি, পশ্চিম দিনাজপুরের ডিএম ও পুলিশ সুপারের অনুরোধে ২০ তারিখ গভীর রাতে আমাদের ডিফেন্স ভেঙে দিয়ে হিলি থেকে ১৩ মাইল দূরে ভারতের কামালপাড়ায় কুরমাইল বেসিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ২৫০ জনের মতো জেসিও ও জওয়ান আশ্রয় নিই। এ যুদ্ধে ছয়জন জওয়ান শাহাদাতবরণ করে। সীমান্ত অতিক্রম করার আগে চরখাই ও হিলি সরকারি গুদাম থেকে ৪০০ বস্তা চাল নিয়ে যাই। ২১ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী হিলি দখল করে নেয়।