৪-১০-৭২ দৈনিক বাংলা দালালী মামলা : মাইজীতে ২ জনের সশ্রম কারাদণ্ড
সম্প্রতি নােয়াখালী জেলার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল প্রথম মামলার রায় প্রদান করেন। রামগঞ্জ থানার দরবেশপুর ইউনিয়নের শামসুল হক ওরফে শামসুল ইসলামকে দখলদার বাহিনীর সহিত সহযােগিতা করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে প্রেসিডেন্টের দালাল আদেশ অনুসারে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলাটির বিচার করে নােয়াখালী জেলার স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের জজ জনাব আমিন উদ্দিন আহমেদ। মামলা। সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ পাকিস্তানী বাহিনীর অবৈধ দখল আমলে রামগঞ্জ থানার হাই স্কুল প্রাঙ্গণে পাকিস্তানী সৈন্যদের অবস্থানকালে আসামী শামসুল হক তাদের কাছে। যাতায়াত করতাে। শামসুল হকের এ অঞ্চলে একটি চালের কল ও ঔষধের দোকান ছিল। সে হানাদার বাহিনীর লুঠ করা ঔষধ তার দোকানে বিক্রি করে তাদের। সহযােগিতা করিত। শামসুল হক হানাদার বাহিনীতে প্রচারিত করে স্থানীয় সৈয়দপুর বাজারে নিয়ে যায় এবং দোকান লুঠ করে এবং পুড়িয়ে দিতে প্ররােচিত করে। এ মামলায় সরকার পক্ষ সমর্থন করেন, পিপি জনাব মােঃ ইসমাইল।
আসামী পক্ষ সমর্থন করেন জনাব রুহুল আমিন। মাওলানা খলিলুর রহমানের পাঁচ বছর কারাদণ্ড গত ৩০শে সেপ্টেম্বর নােয়াখালী জেলার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত জামাতে ইসলামী ও রায়পুর শান্তি কমিটির সদস্য এবং রায়পুর আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক খলিলুর রহমানকে দালালী করার অপরাধে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলায় বিবরণে প্রকাশ অভিযুক্তি মাওলানা খলিলুর রহমান দখলদার পাকবাহিনীকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযােগিতা করেছে। এক জনসভায় গােষণা করেছিল যারা মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করবে তারা। কাফের ও বেহেস্ত পাবে না। সে রাজাকারদের লুটতরাজে সাহায্য করে। তার প্ররােচনায় পাকবাহিনী রায়পুরে বাজারে আগুন দেয়। মামলায় সরকার পক্ষ সমর্থন করে পিপি বাবু শশী মােহন চৌধুরী এবং আসামী পক্ষ সমর্থন করেন জনাব কাজী নুরুজ্জামান।
সূত্রঃ সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ১৯৭১ -প্রত্যয় জসীম