মধুমতি নদীতে পাক সৈন্যদের উপর আক্রমণ
মনির হােসেন মুঞ্জুর বর্ণনা মতে, ডিসেম্বরের ১ম দিকে যশাের ক্যান্টনমেন্ট হতে প্রায় ২০ জন পাকসেনা ভাটিয়াপাড়া ওয়ারলেস স্টেশনে অবস্থানরত পাকসেনাদের সাথে দেখা করার জন্য আসছিল এই সংবাদ মুক্তিযােদ্ধারা পূর্বেই পেয়ে যায়। | মুক্তিযােদ্ধারা একটি নৌকো নেয় মাঝি সেজে পাকসৈন্যদের পার করার জন্য। মধুমতি নদীতে ১৫০ জন মুক্তিযােদ্ধা নিয়ে এমবুশ করে থাকে। কথা ছিল মাঝি বেশে মুক্তিযােদ্ধা পাকসৈন্যদের নিয়ে মাঝ নদীতে এসে পানিতে পড়ার ভান করে নদীর মধ্যে পড়ে ডুব দিয়ে সরে যাবে আর এমবুশরত মুক্তিযােদ্ধারা আক্রমণ করবে। সেভাবে পাকসৈন্যদের নিয়ে মাঝ নদীতে এসে ঐ মুক্তিযােদ্ধা পানিতে পড়ে ডুব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযােদ্ধারা গুলিবর্ষণ করতে শুরু করে। পাকসেনাদের পলায়ন বা পাল্টা আক্রমণ করার উপায় ছিল না। ফলে তিনজন বাদে বাকী সব কজন পাকসেনা নিহত হয়। এই যুদ্ধে ১০টি চাইনিজ হাতিয়ার মুক্তিযােদ্ধাদের হস্তগত হয়। ( সূত্র ও মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর ফরিদপুর, মােঃ সােলায়মান আলী।)
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের দু’শো রণাঙ্গন – মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি সম্পাদিত