পরিশেষে আমি আর একবার আমার পূর্বের কথা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই য়ে, আমার সরকার একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যে মুছুতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে এবং নির্ধারিত কার্যক্রম অনুসারে উপ-নির্বাচন সমাপ্ত করা হবে, সেই মুহুর্তে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের সার্বভৌমত্ব পুনপ্রতিষ্ঠিত করা হবে। আজ আমরা আল্লাহর নিকট মােনাজাত করি তিনি যেন আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সাফল্যমণ্ডিত করেন।”
এ দিকে গণপির এ, এম, মালিক ১০ সদস্যবিশিষ্ট মখীপরিষদ গঠন করলেন । ১৭ সেপ্টেম্বর আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ১৯ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন। আউংশুশ্রু শপথ নেন ১৮ সেপ্টেম্বর। সংবাদে বলা হলাে :
গতকাল শুক্রবার অপরাহ্নে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণরের ১০ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিপরিষদের ৯ জন সদস্য শপথ গ্রহণ করেন। | গতকাল বিকেল চারটায় গভীর বনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রাদেশিক গভর্ণর ভা এ, এমি, মাগি মাধসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ করান। মাত্র দফতর পরে ক্য করা হবে।
যে ৯ জন গতকাল মন্ত্রী হলেন, তারা ইন্তিপূর্বে কখনও মন্ত্রীত্ব করেননি। তবে এদের কেউ কেউ জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। উগমোগ্য যে গতকাল সকালে গভর্নর মালিক প্রেসিষ্টেন্ট ইয়াহিয়ার সম্মতি নিয়ে ১০ সদস্যের মাধসভার তালিকা ঘােষণা করেন।
যন্ত্র মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন, তা হলেন : রংপুন্যের জনাব আবুল কাশেম, বগুড়ার জনাব আব্বাস আলী খান, বরিশালের জনাব আখতারুদ্দিন আহমদ, ঢাকার জলাব এ. এস, এম, সােলায়মান, সুন্দর এলানা এ, কে, এম, ইউসুফ, পাবনার মল মােহাম্মদ ইসহাক, কুষ্টিয়ার এনাব নওয়াজেশ আহমদ, নােয়াখালীর কলাব ওবায়দুল্লাহ মজুমদার ও চট্টগানের অধ্যাপক শামসুল হক।
মন্ত্রীদের মধ্যে জনাব আবুল কাশেম, জনাব আব্বাস আলী খান, জনাব আখতারুদ্দিন, মওলানা এ, কে, এম, ইউসুফ ও জনাব এ, এস, এম, সোলায়মান ইতিপূর্বে জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। এই মন্ত্রীদের মধ্যে নােয়াখালীর জনাব ওবায়দুল্লাহ মজুমদার ও চট্টগ্রামের অধ্যাপক শামসুল হক অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে যথাক্রমে এম এন এ ও এম পি । ‘লাচিত হন।
প্রাদেশিক মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নুয়েছেন। তবে, পিভিপি ও কাইয়ুম পীগের কোন প্রতিনিধি এই মন্ত্রিসভায় নেই। আঞ্চৰিা অদূর ভবিষ্যতে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সময় এই দুইটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি গ্রহণ করতে পারেন।
| ডাঃ মালিকেনা মসিভার কাউন্সিল মুসলিম লীগের ২ গুন (#লের সাধারণ সম্পাদক জনাৰ আনুল কাশেম ও বই পুৱাত কর্মী এডভোকেট নওয়াজেশ আহমদ), জামাতে ইসলামের ২ জন (জনাব আব্বাস আলী খান ও মওলানা এ, কে, এম, ইউসুফ), অধুনালুপ্ত ‘আওয়ামী লীগের ২ ) (জনাৰ শুবাহ মজুমদার ও অধ্যপক শামসুল হক), কেএসপির একজন (জনাব এ. এস, এম, সােলায়মান), নেজামে ইসলামের একন। মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক), কনতেনশন মুসলিম লীগের একজন জনৰ আখতারুদ্দিন। আহমদ) এবং একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মি: আউঞ্জে চৌধুৰী রয়েছেন।’
________________________________________
মালিক মন্ত্রীসভার শ্রম, সমাজ কল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী এ, এস, সােলায়মান সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকার মীপুরে আয়োজিত এক সভায় বললেন, ‘বিশ্বের কোন জাতিই পাকিস্তানকে ভাঙ্গতে পারবে না। শক্ররা পাকিস্তান ভাঙ্গতে চেয়েছিল। এ সম্পর্কে পত্রিকায় বলা হলো : | ‘পূর্ব পাকিস্তানেরা শ্রম, সমাজ কল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা দফতরের মন্ত্রী জনাব এ. এস, সােলায়মান আরি এ সংকট মুহূর্তে জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। গতকাল রােববার ঢাকা থেকে দশ মাইল দূরবতা মিরপুরে এক সভায় তিনি ভাণ নিচ্ছিলেন। সভায় জানান সোলায়মান বলেন যে, আমাদের বার জনসাধারণ শককে নির্মূল করে দিয়েছে। শক পাকিস্তান ভাঙ্গতে চেয়েছিল। | তিনি বলেন, সাড়ে সাত কোটি মানুষের ত্যাগ স্বীকারের ফলশ্রুতি হলাে পাকিস্তান। তাই বিশ্বের কোন জাতিই পাকিস্তানকে ভাঙ্গতে পারবে না। নগণের কল্যাণ সাধনে। সমিলিতভাবে কাজ করার জন্যে তিনি জনসাধারণের প্রতি আহবান জানান। কৃষক শ্রমিকের অবস্থার উন্নতি সাধনই সরকারের লক্ষ্য বলে তিনি জানান। | অনাৰ সােলায়মান আরাে বলেন, প্রথমে আমরা মুসলমান, তারপর বাঙ্গালী, পাঞ্জাবী, সিন্ধু ও পাঠান। জনসাধারণকে সন্তর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে যাই তাহলে পাকিস্তান থাকবে না।
বর্তমান পরিস্থিতির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন যে, এক্ষণে সমগ্র বিশ্বই আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আসল মতলব অনুধাবন করতে পেরেছে। তাই অধিকাংশ দেশই পাকিস্তানকে জানিয়েছে স্ব্যর্থহীন সমর্থন । আর যে শত্রুরা পাকিস্তানকে দুর্বল করতে চেয়েছিল তারা হয়েছে নির্মূল । পাকিস্তান সঠিক পথেই রয়েছে, কোন দেশই পাকিস্তানের ক্ষতি করতে পারবে না। | মন্ত্রী আরাে বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান চান যে, দেশে গণতন্ত্র চালু থাক। তাই তিনি প্রদেশে বে-সামরিক গভর্ণর ও মন্ত্রীদের নিয়ােগ করেছেন। প্রদেশের পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে যেতে পারে তজ্জন্য কর্তপক্ষের সাথে সহযােগিতা করার জন্যে তিনি জনসাধারণের প্রতি আলেম জানান।
সেপ্টেম্বর মাসেই S; মালিক মন্ত্রী সভার সুমী আবুল কাসেম পিপিআই প্রতিনিধির সঙ্গে আলােচনাকালে বললেন, জনগণের মধ্যে আস্থা সৃষ্টিই মন্ত্রীদের প্রধান কর্ত’। পত্রিকায় বলা হলাে :
| “পিপিআই’র খবরে প্রকাশ, গবর্ণরের মন্ত্রী পরিষদের প্রবীনতম সদস্য হননাব আবুল কাসেম গতকাল রােববার ঢাকায় বলেন যে, প্রকৃত আটনা সঠিকখানে ব্যাখ্যা করে। জনগণের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করাই হচ্ছে ভার ও তার সহকর্মীদের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য। জনগণের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির জন্যে তার মতে কি কি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, জনাব কাসেম সে সম্পর্কে পিপিআই প্রতিনিধির সাথে আলোচনা করছিলেন।
তিনি বলেন যে, আমাদের জনগণের কাছে প্রকৃত ঘটনা ব্যাখ্যা করা হলে তারা তা অনুধাবন করতে পারবে এবং একাৰেই তাদের মধ্যে অস্থি ফিরে আসবে। তিনি বলেন । কে, শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের জান ও মাল রক্ষা এবং প্রত্যাগতদের সব রকম সাহায্য দিয়ে। পুনর্বাসনের ব্যাপারে সরকারের দৃঢ় সংকষ্টের কথা জনগণের কাছে বার জন্যে মন্ত্রীরা। শীঘ্রই প্রদেশে গণসংয়োগ সফরে বের হবেন।
________________________________________
জনাৰ কাসেম বলেন যে, প্রয়ােজনের সময় জনগলাের পাশে দাঁড়ানাের উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি ও তার সহকর্মীরা মন্ত্রী সভায় যােগ দিয়েছেন। তবে তিনি বলেন যে, মন্ত্রীদের প্রচেষ্টা সফল করার জন্য জনগণ এগিয়ে না আসলে তারা (মন্ত্রী) কিছুই করতে
| আরাে বলেন, জনগণকে সরাসরি জানাতে হবে যে, সন্ত্র বাহিনী মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য ভারতীয় শত্রুদের দৃষ্টান্ত নং করছে, তারা জীবন বিপন্ন করে এদেশের সীমানা রক্ষা করছে, বলতে হবে সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়ােজনীয়তার কথা। তিনি বলেন, একমাত্র পাকিস্তানেই আমাদের উন্নতি ও সমৃদ্ধি সম্ভব। মালিক মন্ত্রীসভার শিক্ষামন্ত্রী জামাত নেতা আব্বাস আলী খান ঢাকার লালবাগ ও ফরিদাবাদ মাদ্রাসা পরিদর্শনকালে ছাত্র-শিক্ষকদের সমাবেশে বললেন, ‘পাকিস্তান হাসিলের লক্ষ্য বাস্তবায়িত
হওয়াই বর্তমান সঙ্কটের কারণ। সমাবেশে হাফেজী হুজুর বক্তব্য রাখেন। এ সম্পর্কে পত্রিকায় বলা হয়
। ‘পূর্ব পাকিস্তানের নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী জনাব আব্বাস আলী খান গতকাল রবিবার অপরাহ্নে আওলালে রসুল শাইনি মওলানা মােস্তফা আল-মাদানীর মাজার জেয়ারত করেন। তিনি নিশষ্ট আলেমদেরসহ লালবাগ শাহী মসজিগ প্রাঙ্গণে শহীদ মাদানীর মাজারে গমন করেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ করেন।
| জনাব আব্বাস আলী খান গতকাল ঢাকায় লালবাগ ও ফরিদাবাদ মলাসা পরিদর্শন করেন এবং উভয় স্থানে মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন। লালবাগে ছাত্র, শিক্ষক ও মুসল্লীদের সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন যে, পাকিস্তান যে উদ্দেশ্যে হাসিল করা হয়েছিল, গত ২৪ বছরে সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ি না। হওয়াই বর্তমান সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিটি নাগরিক এ অনিশ্চয়তার মধ্যে বাস করছে। এখন সংকট মুহূর্তে মন্ত্রিত্বের গুরুদায়িত্ব নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। যাতে সঠিকভাবে দেশ ও জাতির খেদমত করতে পারি সে জন্য আপনাদের সবাইর কাছেই দােয়া ও সহযােগিতা চাচ্ছি। হাফেজ্জী হুজুর সমাবেশে প্রবীণ আলেম হাফেজ মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর বলেন যে, ২৪ বছর ইসলামী শিক্ষ| নাবাতি না হওয়ার কারণে আমাদের সন্তানেরাই আমাদের দুশমন বলে
শিক্ষামগ্রীর লালবাগ মাদ্রাসায় আগমনে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করে হাফেজ্জী হুজুর বলেন যে, আজ পর্যন্ত কোন মন্ত্রীকে দায়িত্ব গ্রহণে পর সর্বপ্রথম দ্বীনি মাদ্রাসায় আসতে দেখিনি। আজ আপনাকে সর্বপ্রথম এখানে আসতে দেখায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। আপনি যাতে আপনার গুরুদায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন সে জন্য আহ্লাহর কাছে মুনাজাত করছি।
পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী জনাব আব্বাস আলী খানের কলবাগ ও ফনিচিনাবাদ মাদ্রাসা পরিদর্শনকালে জমিয়তে ইত্তেহাদুল ওলামার সাধারণ সম্পাদক মিয়া মফিজুল হকও তার সাথে ছিলেন।
আমরা জানি গভর্নর ইতোমধ্যে মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করেন। গভর্নর ডা: মালিক মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বণ্টন করেন ১৮ সেপ্টেম্বর। এ সম্পর্কে পাক সমাচার পত্রিকায়
________________________________________
“গত ১৮ই সেপ্টেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণরের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের দফতর ৰূণ্টন করা হয়েছে।
জনাব আবুল কাসেমকে অর্থ দফতরের এবং জনাব আব্বাস আলী খানকে শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
| জৰ আখৰ 6দিন অাহমদ বাণিন ও শিল্প দফতরে এবং অস্থায়ীভাবে আইন ও পার্লামেন্টারী বিষয়ক দফতরে দায়িত্ব পালন করবেন।
জনাব এ, এস, এম সােলায়মানকে শ্রম, সমাজ কল্যাণ ও পরিবার পত্রিকল্পনা দফতরের মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে।
মিঃ আউংশুকে বন, সময় ও মৎস্য দফতরের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে। তিনি সংখ্যালঘুদের বিষয় দেখাশুনা করবেন।
| মওলানা এ, কে, এম ইউসুফকে দেয়া হয়েছে রাজস্ব দফতরের দায়িত্ব প্রায়। তিনি অস্থায়ীভাবে পূর্ত, বিদ্যুৎ ও সেচ দপ্তরের দায়িত্বও পালন করবেন।
মওলানা মােহাম্মদ ইসহাক পেয়েছেন মৌলিক গণতন্ত্র ও স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা সংক্রান্ত দফতরের দায়িত্বভার।
(শৰি নওয়াজিশ আহমদ খাদ্য ও কৃষি দফতরের মা ও হয়েছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনাব মােহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ মজুমদারকে। তিনি সাময়িকভাবে তথ্য দফতবেও দায়িত্ব পালন করবেন।
অধ্যাপক শামসুল হককে সাহায্য ও পুনর্বাসন দফতরের মন্ত্রী নিয়োগ হয়েছে । তিনি প্রত্যাগত ও গৃহত্যাগী ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের সমস্যাবলীও দেখাশুনা করবেন। | গতর জা; মালিক ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা বেতারকেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্রছাত্রীদের জন্য আয়ােজিত অনুষ্ঠানের উদ্বােধনকালে বলেন, “জাতি এক চরম সংকটের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করছে। জাতি গঠনে নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলুন’। পত্রিকায় এ প্রসঙ্গে বলা হলাে :
‘পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আ: এ এম মালিক ছাত্রদিগকে ক্লাসে যোগদান এবং আগামীদিনের নেতা হিসেবে জাতিগঠনমূলক কাজের দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত করে নিজেদের ভবিষ্যত গড়ে তােলার জন্যে আবেদন জানিয়েছেন। এপিপি পরিবেশিত খবরে বলা হয় যে, গতকাল রােববার বিকেলে ঢাকা বেতার কেন্দ্রে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য এক বিশেষ অনুষ্ঠান উদ্ধোধনকালে গভীর ছালের এই মর্মে উপদেশ দেন যে স্ব স্ব ক্ষেত্রে পারদর্শিতা অর্জন ও উত্তম দেশ সেবার উপযুক্ত করে নিজেদেরকে গড়ে তােলার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শখলার প্রতি অনুগত হওয়া ছাত্রদের অপরিহার্য। কইব্য।
গভর্নর মালিক পাকিস্তানের সেবায় নি=েদেরকে উৎসর্গ করার উদ্দেশ্যে সত্যের পতাকাকে সমুন্নত রাখা যায় এমনভাবে চরিত্র গড়ে তোলার জন ছাত্র সমাজের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, শিক্ষা বা কোন লােকই কোন কিমের উন্নতি সাধন করতে পারেন না এবং সে জন্যই জাতি যাকে মাগরি পথে এগিয়ে যেতে পারে, তার জন্য প্রত্যেকটি স্থানে আমাদের যথােপযুক্ত লােকের দরকার এবং এভাবে উপযুক্ত নেতৃত্বের শূন্যতা আমাদের পূরণ করতে হবে ।
________________________________________
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ডা: মালিক বলেন, জাতি এক চরম সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে চলেছে।
_ তিনি বলেন, এটা আমাদের বিবেকের সংকট বিশ্বাসের মহান গুণাবলীর দ্বারা জাতিকে প্রেরণা যােগানো, ন্যায় বিচারের আদর্শ বাস্তবায়নে ব্যর্থতা এবং সমাজ জীবনে সততা, ভ্রাতৃত্ববােধ, তিন, ও সহনশীলতার অভাবেই এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। গরি ছাত্রদিগকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ক্লাসে যােগদান থেকে অনুপস্থিত না থাকার উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ছাত্ররা ক্লাসে যোগদানে বিরত থাকলে তা শুধু তাদের নিজেদের জন্যই ক্ষতিকর হবে না, উপরন্তু জাতির কল্যাণ ও অগ্রগতিও তাতে বিঘ্নিত হবে। অথচ আমরা সবাই জাতির কল্যাণ ও অগ্রগতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”১০।
ডা: মালিক মন্ত্রীসভায় দু’জন জামায়াত নেতা স্থান পাওয়ায় মন্ত্রীদ্বয় যথাক্রমে শিক্ষামন্ত্রী আবাস আলী খান ও রাজস্ব মন্ত্রী মওলানা এ, কে, এম, ইউসুফকে একটি স্থানীয় হোটেলে সম্বর্ধনা দেওয়া হলো। সম্বর্ধনা সভায় অধ্যাপক গােলাম আযম তার বক্তৃতায় বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান ও ইসলামকে এক ও অভিন্ন মনে করে। জামায়াতে ইসলামী। এই সম্বর্ধনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের উ, কাঞ্জী পীন মােহাম্মদ, ইসলামের ইতিহাসের ৬, মােস্তাফিজুর রহমান, জ, হাবীবুল্লাহ, ৬, আবদুল লতিষ্ণ ভূইয়াসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় :
“পূর্ব পাকিস্তান মন্ত্রিপরিষদে জমিতে ইসলামী দলীয় মন্ত্রীদ্বয় তাদের উদ্দেশ্যে ঢাকা শহর জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক প্রদত্ত সম্বধনা সভায় দায়িত্ব পালনে জনসাধারণের। সহযােগিতা, সােমা ও পরামর্শই চলার পথের পাথেয় হবে বলে উল্লেখ করেছেন।
গতকাল শনিবার স্থানীয় একটি হোটেলে ঢাকা শহর জামায়াতে ইসলামী ননিযুক্ত শিক্ষামলী জনাৰ আকাস আলী খান ও রাজস্ব আদা মাওলানা এ. কে, এম, ইউসুফকে সম্বধনা জানান। মাথায় পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সহকারী গণ ও প্রবীণতম নেতা। স্তাব’র ও জমজমাট পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই সম্বর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা শহর জামায়াতের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম সরওয়ার।
সম্বর্ধনা সভায় পূর্ব পাকিস্থান জামায়াতে ইসলামী প্রধান অধ্যাপক গােলাম আযম জামায়াত একটি আদর্শবানী দল হয়েও জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত নয়, এমন একটি মন্ত্রিপরিষদে প্রতিনিধি দেনার কাৱণ উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। তিনি বলেন, দেশের সাম্প্রতিক সঙ্কট ও দুস্কৃতিকারীদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের কু• যে সব পাকিস্তানী প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী লোকই জামায়াতে ইসলামীর সাথে জড়িত। জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান ও ইসলামকে এক ও অভিন্ন মনে করে।…
সম্বর্ধনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে অর্থ সহকারে পাঠ করেন অধ্যাপক হেলালুমি। সধা অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুর রহীম, জনাব আবদুল খালেক, জনাব শফিকুয়া, খুররমশাহ মুরাদ, ভ: কাজী দীন মােহাম্মদ, ড: আবদুল লতিফ ভূইয়া, উঃ ইমানুদ্দিন, জ; মােস্তাফিজুর রহমান, ড: হাবীবুল্লাহ, আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জনাব জালালুদ্দিন, অধ্যক্ষ জনাৰ আমিরুল হক প্রমুখ।
পাকিস্তানের অখওজা ও গুনগণের কল্যাণ কামনা করে মােনাজাত করেন মওলাশী। আখনুর রহীম।১৯
________________________________________
এম, সমাজ কল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী, এস, এম সোলায়মান এক শ্রমিক সভায় শ্রমিকদের প্রতি অর্থনৈতিক জীবনে গতি সঞ্চারের আহবান জানান। তিনি বলেন, হ্য ত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য গভর্ণৱ শই যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
বাণিজ্য, শিল্প এবং আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আখতার উদ্দিন আহমদ ২৬ সেপ্টেম্বর তেজগাঁওস্থ রহমত-ই আলক ইসলাম মিশন ও এতিমখানার ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণদানকালে বলেন, প্রতিবেশী ভারত কখনাে কিন্তনের ধারণাকে মেনে নিতে পারেনি, বরং বিভিন্নভাবে পাকিস্তানকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা জালাচ্ছে। কিন্তু এমন কোনাে শক্তি নেই যে শক্তি ইসলামের আদর্শে ও সৎপথে। পরিচালিত পাকিস্তানকে স্বংস করতে পারে। তিনি বলেন, পাকিস্তান রক্ষার জন্য আমাদের বড় ধরনের এগ থেষ্ট নয়।
এ দিকে গভর্নর ডা: এ, এম, মালিক ঢাকার ত্রিশটি ইউনিয়ন কমিটির প্রতিনিধি ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে গভরি ভবনে এক সভায় মিলিত হন। গভর্নর প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে সংহয়ি ও বিনষ্টের তৎপরতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহবান জানান। শাঁকা। এ প্রসঙ্গে বলা হলাে :
| ‘পূর্ব পাকিস্তানের পর G; এ, এম, মালিক পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহ সে। প্রয়াসে লিপ্ত এদের অপর তার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্যে জনগণের প্রতি আলান জানান। লিপির খবরে প্রকাশ, পৱি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গণৱ উশনে ঢাকার। বিশটি ইউনিয়ন কমিটির প্রতিনিধি ও প্রভাবশালী নাগরিকদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
সস্তায় গভর্ণরের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ও প্রাপলিক গ্রীগণ। উপস্থিত ছিলেন। গভর্ণর বলেন যে, শত্রুর এজেন্টরা তাদের হীন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সমাজ জীবনকে বিদান্তি ও জনগণকে বিপথগামী করার প্রয়াসে সম্ভাব্য সব রকম পদ্ধতি। গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন যে, পরিস্থিতির এখন অনেক উন্নতি হলেও আত্মপ্রসাদের কোন অবকাশ নেই বরং সদা জাগ্রত থাকতে হবে।
| bা; মালিক এই নজির বিহীন সংকটের মুখে শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্য বজায় রাখার। জন্য সকল শ্রেণীর নাগরিকের প্রতি আবেদন জানান। তিনি দেশের সংহতি ও অখণ্ডতা। রক্ষার জলাে নতুন করে শপথ গ্রহণের আহবান জানান। তিনি বলেন যে, পাকিস্তান একট এক্যবদ্ধ দেশ হিসাবে টিকে থাকবে না আমরা শেষ হয়ে যাব সেইটেই আমাসে।
তিনি সর্বাপেক্ষা গুরুতর এই পরীক্ষায় উগুণ হবার জন্যে জনগণের সক্রিয় সাহায্য ও সহযােগিতা কামনা করেন। অতীতে আমাদের ব্যর্থতার কারণ কর্ণনা করে গভর্নর বলেন যে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের নীতি ও শিক্ষাকে আমরা পুরোপুরি গ্রহণ করিনি। তিনি বলেন যে, আমাদের কথা, কাজ, চিন্তা ও অনুভূতির মধ্যে কখনাে সমস্যা। ছিল না। ফলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় এবং শেষ পর্যন্ত আমরা ইতিহাসের এক নজিরবিহীন সংকটের সম্মুখীন হই।
গার বলেন যে, তার দৃঢ় বিশ্বাস, নিয়তির প্রতি সত্যিকার বখস ও সমস্যা। সমাধানের জন্য সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের মাধ্যমেই জাতি তার লক্ষ্য হাসিল করতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি জনগণের প্রতি ইসলামের আদর্শকে উন্নত করার আহবান জানান।
________________________________________
অকীতের তিক্ততা ও ভুল বুঝাবুঝি ভুলে জাতি একটি ময়া অধ্যায় শুরু করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। গভর্ণর আইন ও শৃংখলা রক্ষা ও সর্বস্তরে কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতার ব্যাপারে ঢাকার নাগরিকগণকে তাদের বিশেষ দায়িত্বের কথা পণ করিয়ে লো ।
তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে নির্মূল করার জন্যে কোন ত্যাগই বিরাট বলে মনে হওয়া উচিত নয়। পরে ঢাকা শহর শান্তি কমিটির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক এম. পি. এ জনাব সিরাজ উদ্দীন আহমদ ঢাকায় নাগরিকদের পক্ষ থেকে গভর্ণরকে আশ্বাস দিয়ে বলেন যে, পাকিস্তান রক্ষার জন্য যে কোন পরিস্থিতির মােকাবিলা এমন কি শেষ রক্তবিন্দু বিসর্জন দিতেও তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।১৪
অপরদিকে দৈনিক আজাদ পত্রিকার দুশমনদের চাংসাত্মক কার্য সম্পর্কে সতর্ক থাকুন’ শিরােনামায় বলা হলাে :
‘ঢাকা, ২৮শে সেপ্টেম্বর । *-পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডা: এ. এম, মালিক পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি অংস সাধনে তৎপর দুশমনদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দুশি থাকার জন্য অনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
গতির আয় অপরাহ্নে গর্নর হাউজে অনুষ্ঠিত ‘ঢাকা শহরের বিশিষ্ট নাগরিক ও ৩০টি ইউনিয়ন কমিটির প্রতিনিধি ও নেতৃবর্গের এক সমাবেশে ভাষণদানকালে উপরোক্ত আহবান জানান। প্রাদেশিক উ&িংবর্গ ৫৫, নলের উপঃদষ্টা মেজর জেনারেল ও ফরমান আলীও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গম্ভীর ভা; মালিক আরও বলেন যে,দুশমনদের দালালেরা তাহাদের অন্তত উন্দেশ বাস্তবায়নে ব্য জনগণকে বিভ্রান্ত এনং, সমাজ ব্যবস্থাকে বানচালকয়ে সর্বপ্রকার হীন কর্মপন্থার আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছে।
যদিও বর্তমানে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হইয়াছে, কিন্তু আত্মা-সন্তুষ্টির পরিবর্তে সদাসর্বদা সতর্ক থাকিতে হইবে বলিয়া গভর্নর ভা; মালিক উল্লেখ করেন।
তিনি এই নজীরবিহীন সংকটের মুখে শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্য রক্ষা এবং দেশের ঐক্য-সংহ৬ি রক্ষাকল্পে নুতন করিয়া শপথ গ্রহণের জন্য সকল শ্রেণীর জনসাধারণের প্রতি আকুল আহবান জানান।
গভর্নর এই সমাবেশে আরও বলেন যে, আমাদের সম্মুখে এই প্রশ্নই দেখা দিয়াছে যে, পাকিস্তান একটি অখও দেশ হিসাবে টিকিয়া থাকিবে অথবা আমরা ফাংস হইয়া যাইব। আমাদের ঈমানের এই চরম অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার জন্য গভর্নর জনগণের নিকট সকল প্রকার সহযোগিতা ও সক্রিয় সমর্থন কামনা করেন। অতীতে আমাদের ব্যর্থতার কারণ বর্ণনা করিয়া গতরি বলেন যে, সঠিকভাবে এছলামের নীতি ও শিক্ষা মানিয়া চলা হয় নাই এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এছলামের আদর্শ অনুসরণ করা হয় নাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কা), অনুভূতি ও বাক্য পৱম্পৱ নিৰােৰী ছিল যাহর ফলে আমরা বিভ্রান্তির আবর্তে নিপতিত হইয়া ইতিহাসের এক নঞ্জীরবিহীন সংকটে
________________________________________
| গভর্নর ডা: মালিক পুনরায় দৃঢ়তার সহিত বলেন যে, মঞ্জিলে মকসুপে পৌছাইবার জন্য সত্যিকার বিশ্বাস এবং সমস্যা মীমাংসার সঠিক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমেই জাতি। উহার উদ্দেশ্য হাসিল করিতে পারে।
পরিশেষে ডা: মালিক প্রাদেশিক রাজধানীতে আইন শরুমালা বজায় রাখা এবং জীবনের সর্বস্তরে কর্তৃপক্ষের সহিত সহযােগিতা করার বিশেষ দায়িত্ব সম্পর্কে ঢাকাবাসীদের স্মরণ করাইয়া দেন । বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে নির্মূল করার জন্য কোন ত্যাগকেই বড় বলিয়া মনে করা হইবে না বলিয়া তিনি মন্তব্য করেন।
পরে সাবেক এম পি এ এবং ঢাকা শহর শান্তি কমিটির সভাপতি জনাব সিরাজুদ্দীন আহমদ গতর ডা: মালিককে এই মর্মে নিশ্চয়তা দান করেন যে, ঢাকার জনগণ যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রহিয়াছে, এবং পাকিস্তানকে রক্ষাকল্পে তাহারা নিজেদের শেষ রক্তবিন্দু দান করিবে। তিনি বলেন, আমরা নির্ভয়ে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে মর্গে মোজাহিদের মত জেহাল করি এবং যে কোন রূপ পরিস্থিতি মােকাবেলাফল্পে প্রস্তুত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (৫) : সৈয়দ সাজ্জাদ হােসাইন তার নাম ইবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর গঙর উt: এ, এম, মালিককে ২৯ সেপ্টেম্বর এক চা-চক্রে আমঈণ জানান। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, সিভিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের উ, বিভীষ গান এবং হল প্রভােস্টগণ উপস্থিত ছিলেন। গতর : মালিক শিক্ষকদের শিক্ষা মনােনিবেশ করার আহবান জানিয়ে বলেন, একদা অসহযোগ আন্দোলনের নামে ক্লাস বর্জন করে মুসলমানেরা এই বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করেছিলো। শিক্ষকগণ গভর্নরকে এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করেন যে, তারা শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট করতে দেবে , তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচালনা করবে।”১৬ ।
এ দিকে শিক্ষামন্ত্ৰী আব্বাস আলী খান বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ঢেলে সাজাবার প্রয়ােজনীয়তার কথা বললেন। এ সম্পর্কে পত্রিকায়। বলা হলাে :
‘পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী জনাব আব্বাস আলী খান দেশের বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতিকে পুরােপুরি ঢেলে সাজাবার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
গত ২১শে সেপ্টেম্বর শিক্ষামগ্রী বলেন, যুব সমাজ যাতে ইসলামের সত্যিকার শিক্ষা লাভ করতে পারে তার জন্য শিক্ষা ব্যবহার ব্যাপক ও পুরােপুরি পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রশ্নটিকে নি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার না দেয়া হয় তবে যুব সমাজ অন্ধকারাচ্ছই রবাে যাবে এবং তাদের যে লক্ষ্য হল সেই পাকিস্তানের অশি থেকে তারা। বদূরে সরে থাকবে।
জৰ অাস আলী খান বলেন, ইসলামী অনুপ্ৰেৰণামূলক শিক্ষা ছাড়া আমরা। আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে পাকিস্তানের পটভূমিকা সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারবাে না।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের সকল ঋক্তির কারণ । বর্তমানের ধর্মনিরপেক্ষ ও অর্থহীন শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধন না করা হলে আমরা কিছুতেই । আমাদের ধ্বংসকে রােধ করতে পারবাে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি পর্যালােচনা করে এই সব ক্ষতি পূরণে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে তিনি খুব শিগগীরই বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভাইস চ্যান্সেলর ও অন্যান্য শিক্ষা
________________________________________
প্রতিবানে প্রধানদের এক সলেন মাহানি করতে পাবেন। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ ও এই চাষ।
| জনাব আব্বাস আলী খান বলেন, অবশ্য এই পৱির্তন রাতারাতিই সাধিত হবে না। এই পরিবর্তন হবে পর্যায়ক্রমে এবং তার সাথে। রাতারাতি পৰিাৰ এন সঙ্কনপত্র নয় এবং তাতে করে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলে তিনি মস্তব্য করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হবে যাতে আমরা বিজ্ঞানী, দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকার গড়ে তুলতে পারবাে আর সেই সাথে গড়ে তুলতে পারবাে খাটি মুসলমান। তিনি বলেন, ধর্ম মানে শুধু আচার অনুষ্ঠানই নয়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনদর্শন। আমাদের রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য প্রতি সবই অবশ্যই ইসলামের ভিত্তিতে হতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। | বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষায়তনে ছেলেমেয়েদের যে সহ- শিক্ষাব্যবস্থা চালু রয়েছে সে সম্পর্কে তার মাও অFনতে চাওঁমা হলে শিক্ষার্থী বলেন, এ-বস্থা অণ্ড্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন, এ ব্যবস্থা অবশ্য পরিত্যাজ্য।১৭
| মা আখতার ওজন আহমদকে ২৬ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনটিউট হলে দেওয়া এক সম্বর্ধনা সভায় বললেন, ‘উপমহাদেশের এই অংশের মুসলমানরা হিন্দুদের আৱিা নিষ্ঠুরভাবে শােষিত হয়েছেন। পাকিস্তান যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে মুসলমানরা তাদের আলাদা বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলবে এবং হিন্দুদের দাসত্বের শখলে আবদ্ধ হয়ে পড়বে। তিনি সংহত্রি রক্ষার ঐ এতবদ্ধ থাকার আহবান জানান। এ প্রসঙ্গে পত্রিকায় বলা
| ‘প্রাদেশিক বাণিজ্য ও শিল্প এবং আইন বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আখতার উদ্দিন আহমদ পাকিস্তানের সংহতি, সাৰতীমত্ব ও অহা প্ৰক্ষার জন! উনিশণক ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিছেন।
গত ২৬শে সেপ্টেম্বর বিকেলে মন্ত্রী ইনিংস ইনস্টিটিউটে তেজগাও ও রমনা থানা সম্বধনা কমিটি কর্তৃক তা সম্মানে আয়োজিত এক সম্বর্ধনা সমাবেশে ভাষণ দিলেন। পাকিস্তান আন্দোলনের পটভূমি ব্যাখ্যা করে জানা আখতার বলেন, উপমহাদেশের এই অংশের মুসলমানরা হিন্দুদের দ্বারা শিরভাবে শােষিত হয়েছেন। হিন্দুদের সাথে একত্রে বসবাস করা একদম অসম্ভব জেনেই পঞ্চায়েদে আজমের নেতৃত্বে স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়। এরই পরিণতি স্বরূপ মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাস ভূমি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি জনসাধারণ, বিশেষ করে তরুণ সমাজকে দেশের আর্তমান সংকট মুহুর্তে তাদের উপর যে গুরুপায়িত্ব গ্রহ হয়েছে, তা অনুধাবনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আল্লাহ না করুক, পাকিস্তান মলি রংস হয়ে যায় তা হলে মুসলমানরা তাদের আলাদা বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলবে এবং, হিন্দুদের পাসত্বের শখলে আবদ্ধ হয়ে পড়বে।
পাকিস্তানকে সকল রকম শােষণমুক্ত একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার ব্যাপানের তিনি জনগণকে সরকারের সাথে সহযােগিতা করার আহবান জানান।
এ দিকে ভা; মালিক মসির তথ্যমন্ত্রী ওবায়দুল্লাহ মজুমদার ২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানিয়ে বললেন, ‘পাকিস্তানী উন্মাদের প্রত্যাবর্তনের নিশ্চয়তা বিলনি করুন। সকায় এ প্রসঙ্গে না হলাে :
________________________________________
ভারতের স্তথাকথিত আশ্রয় শিবিরে যে সব উদ্বাস্তু সীমাহীন দুর্দশায় তাদের দিন কাটাচ্ছে, ভারত যাতে তাদের পাকিস্তান প্রত্যাবর্তনের সুযােগ দেয় ভার নিশ্চয়তা বিধান তথা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী *ৰি গুবায়দুল্লাহ মজুমদার ২৮শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের প্রতি আকুল আবেদন জানান।
বেআইনী ঘােষিত আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এমএনএ জনাৰ মজুমদার দু মাসিকাল ভাৱতীয় শিবিরে কাটিয়ে পাকিস্তান প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি উদ্বাস্তুদের জীবনযালারি এক র স তুলে ধরেন। তারা পারি ও ব্যাধির কবলে পড়ে অসহায় হয়ে। কাতরাচ্ছে। মৃত্যু তাদের গ্রাস করছে।
ভারতের তথাকথিত শিবিরের জীবনযাত্রা সম্পর্কে তার তিক্ত অভিজ্ঞতা হতে জনাৰ মজুমদার বলেন যে, রাজনৈতিক নেতৃবশ, ক, নবনির্বাচিত এমএনএ ও এমপিএ), ত্রিী ও সাধারণ মানুষসহ সকল পাকিস্তানী উন্থাস্তুই আজ বিভ্রান্তি ও হতাশাগ্রস্ত। তারা সকলেই ভেনকে পরিণত হয়েছে। ভারত তার গোপন স্বার্থ উদ্ধারকল্প এলের ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, কতিপয় উগ্রপন্থী ছাড়া এদের সকলেই আজ অবস্থার শিকার হয়েছে। এদের সকলেই নিজের দেশে স্বাধীন ও সম্মানিত নাগতিক হিসাবে পুনরায় নতুন করে জীবন শুরুর নিমিত্ত হলের আরবাড়ীতে ফিরে আসার জন্য খুবই আগ্রহ ও মরিয়া হয়ে উঠেছে কিন্তু জারতের প্রচারণার মাধ্যমে যে সব বিদ্বেষপূর্ণ হন এইঠারণা চলছে তথা ‘আরও নানা রকম বাধা সৃষ্টির দরুন তারা তাদের বাড়া ঘরে ফিরতে পারছে না। | মন্ত্রী বলেন, কিনি তার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারেন যে ভারত সর্বদাই উদ্বাস্তুদের সংখ্যা বাড়িয়ে বলছে। তিনি আরও জানান যে, হিন্দু ও মুসলমানদের প্রতি দুরকম ব্যবহণ করা হচ্ছে, তাও তিনি দেখেছেন। তিনি নিজে খ পুলসহ প্রায় দু’মাসকাল। যে ক্যাম্পে অবস্থান করেছেন, সেটা ছাড়াও আগরতলা, বেলেশিয়া ও অন্যান্য স্থানের শিবির তিনি পরিদর্শন করে তা প্রত্যক্ষ করেছেন।
এ সব ক্যাম্পের সাধারণ অবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন যে, এসব ক্যাম্পে অবস্থা খুবই স্বাস্থকর । লােকজনদের স্বল্প পরিসরে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছে। খাদ্য সরবরাহ খুবই অনিয়মিত। চিকিৎসার অভাবে পুষ্টিহীনতার দরুন আমি নিজেই, প্রতিদিন শিশুদের মরতে দেখেছি। তিনি বলেন, তবে পাকিস্তানী এম এনএ-দের একটা মাত্র সুবিধা দেওয়া। হয়,তা হলাে একটা ছোট্ট ঘরে তাদের দু-তিনজনকে একটা খাটির উপর একত্রে থাকতে দেওয়া হয়। অন্যদের নিয়েই তাদের ব্যাবস্থা করে নিতে হয়।
জনাৰ মজুমদার বলেন যে, ভারতে অবস্থানকালে তুমিয়া, নােয়াখালী ও ঢাকা জেলার প্রায় ৩০ জন এমিলি স্ট্র এমপিএ)-এর সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। তিনি এদের সকলকেই হতােদ্যম ও আতংকগ্রস্ত দেখতে পান। কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের অপরাপর অংশে যে সব এমএনএ ও এমপি অবস্থান করছেন, তাদের অবস্থাও একইৰাপ। আমি সেখানে শুনেছি যে, তারা পাকিস্তানে ফিরে আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সকল বাধা সৃষ্টি করছে বলে তিনি জানান।
| ইয়াৰ মজুমদার বলেন যে, তিনি নিজে প্রথম সুযোগ গ্রহণ করেই পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি সব সময়েই পাকিস্তানী ছিলাম, সর্বদাই পাকিস্তানী এবং কথনই পাকিস্তান বিরােধী নই। তবে গােলযােগের সময় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তথায়
________________________________________
আশ্রয় মাইথে বাক্য হই। তৰে তথায় থাকাকলে সব সময়ই আমি সীমা অতিক্রমের সুযােগ খুঁজছিলাম এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তথা অপরাপর ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি এড়িয়ে পলায়নের প্রথম সুযােগই অমি গ্ৰহণ কৰি।।
সাক্ষম হয়েছে। এদের অনেকেই তার ছাত্র। তাদের হত্যা করা হবে এ ধরনের কৰে আহমন্ত হয়ে তারা ভারত গমন করে। অৱতে ছাত্রদের আশ্রয় ইনও নেই। আবার ব্যবস্থাও নেই। কোন রকম কাজ না করে শুধু রে বেনের কোন অধিকার তরে নেই এ-ধরনের তিরস্কার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অহরহই তাদের করছে। ভাৰতীয় কতৃপক্ষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তাদের সামরিক ট্রেনিং গ্রহণের নির্দেশ প্রদান
| তিনি বলেন যে, খাওয়া থাকার ব্যবস্থা না থাকায় তারা তাদের ইন্দ্রর বিরুদ্ধে নির গ্রহণের জন্য নাম লিখাজে। ঐনিং ক্যাম্পে তাদের মস্তিষ্ক ধােলাই করা হবে। অত:পর তাদেরকে পূর্ব পাকিস্তানের ব্রীজ, যােগাযােগ ব্যবস্থা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহ বিনষ্ট করার কাজে নিয়ােগ করা হচ্ছে। তাদের কাজের ব্যাপারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কড়া নজর রাখে। মন্ত্রী বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন যে, এদের মধ্যে অনেকেই তাদের মারাত্মক আকাশ পুকুর ও জঙ্গলে ফেলে দিয়ে পাকিস্তান থেকে ফিরে গিয়ে ভারতীয় কর্তপক্ষকে তাদের সফল অভিযানের কাহিনী শুনায়। এভাবেই অবস্থার শিকারে এসব তরুণরা নিজেদের জমি বাঁচাতে চষ্টা করে। | আমাৰ মজুমদার পাকিস্তানে ফিরে এসে পুনরায় পড়াশুনা শুরু করার জন্য গুণ সমাজের প্রতি আৰসেন জানায়। তিনি বলেন, এদের কনা আমার প্রাণ কাশছে, কারণ শিক্ষক হিসাবে আমি বহুকাল তাসের মধ্যে অতিবাহিত করেছি। নিজের দেশের যে ও যোগাযােগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে তারা শুধু নিয়তের গােপন দুরভিসন্ধি পূরণের পক্ষেই কাজ কাজ। আমি কিন্তু তাৰে বিশ্বাস করি যে একদিন তারা তাদের এ ধরনের কাজে
মালিক সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী আউংশুপ এপিপি-র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, ‘প্রদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযােগ মিথ্যা’। পরিকায় কলা
| ‘পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যালঘু বিষয়ক মঞ্জী মি: আউংশুক গতকাল শুক্রবার প্রদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লােকদের নির্যাতন ও হয়রানি সংক্রান্ত ভারতীয় অভিযােগ আনে করে। এপিপির সাথে এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রী বলেন যে প্রেসিডেন্ট ও গতির সংখ্যাল সম্প্রদায়ের লোকদের বার বার পুরােপুরি রক্ষার আশ্বাস এবং সমান অধিকার ও সুযোগসুবিধা দানের নিশ্চয়তা দিয়েছে।
তিনি বলেন যে, খাদেশীক মন্ত্রীদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দেশে পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে জনমনে আস্থা সৃষ্টি করা। এ কাজে সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যাপারে আৱাে বেশী গুরুত্ব আরােপ করবেন। পূর্ব পাকিস্তানের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লােকদের নির্যাতন সম্পর্কিত ভারতীয় প্রচারণা প্রসঙ্গে মি; আউংশুক বলেন যে ভর সম্প্রদায়ের লােকের অনুগত, শান্তিপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক এবং তাদের প্রতি সরকারের আকাশ খুবই চমৎকার ও উনার।
________________________________________
তাদের কখনো বিরক্ত করা হয়নি। সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীর লােকেরা বরং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহায়ক। মন্ত্রী বলেন, ভারত পাকিস্তানের ঐক্য নষ্ট করার জন্য চষ্টা চালাচ্ছে এবং পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণের জন্য ভারতীয়দের কোন প্রীতি নেই। সে পাকিস্তানকে কংসের ন ত অনুসরণ করে চলছে। ভারতীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে যৌথ সম্মেলনের ব্যাপারে গভর্নর ভা; মালিকের প্রস্তাব সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী বলেন যে এই প্রস্তাব সম্পর্কে ভারতের কাছ থেকে এখনাে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, সংখ্যালঘুই হােক আর যেই হােক পূর্ণ পাকিস্তানের কারাে জন্য ভারতের ভালবাস নেই।
মি: আউংশ পূর্ব পাকিস্তানে বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংসের ভারতীয় প্রচারণাকে ডাহা মিথ্যা বলে বর্ণনা করেন ।”২০।
এ দিকে গভৱ ডা: মালিক ২৩ অক্টোবর খুলনায় স্থানীয় অফিসার ও শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এক সমাবেশে বাত্যাগীদের প্রতি পুনরায় দেশে ফেরার আহ্বান জানালেন। তিনি বললেন, ভারতীয়দের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের ও আমাদের দেশকে ধ্বংস করা। এর আগে গতর স্থানীয় জেলা স্কুল মিলনায়তনে আয়ােজিত রাজাকার সমাবেশেও বক্তব্য রাখেন। দৈনিক পাকিস্তান’ প্রতিবেদনে জানানাে হয় ;
খুলনা ২রা অক্টোবর, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডা: এ, এম, মালিক যে সব পূর্ব পাকিস্তানী ভারতীয় প্রচারণায় বিশ্রাপ্ত হয়ে ভারতে চলে গেছে তাদের প্রতি দেশে ফিরে আশার জন্য আর একবার আহবান জানিয়েছেন। আমি সকালে এখানে স্থানীয় অফিসার ও শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমাবেশে ভাষণদানকালে গভর্নর বলেন, সরকার বাস্তুত্যাগীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই তাদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয়ার ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন।
পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারত পরিচালিত ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের নিন্দা করে তিনি বলেন, এসব কার্যকলাপের দ্বারা তারা জাঙ্ক আক্ষ লােকের দুঃখ দুর্দশা সৃষ্টি করেছে। শিল্প কারখানার ক্ষতি সাধন করে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ব্যক্তিরা শ্রমিকদের বেকার করে। দিয়ে এই দুর্দিনে দুঃখ-কষ্টে ফেলেছে এবং যােগাযােগ বিচ্ছিন্ন করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি জনসাধারণকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভারতীয়দের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের ও আমাদের দেশকে ধ্বংস করা। তিনি শিক্ষিত লোকদের প্রতি গ্রামে গিয়ে জনসাধারণের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়ে বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা ও দেশের শত্রুরা জনগণের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে।
তিনি বলেন, যে সৰ দুষ্কৃতিকারী জনসাধারণের সম্পত্তি নষ্ট করছে এবং দেশের স্বার্থবিরােধীকাজে লিপ্ত রয়েছে তাদের কেউ কেউ আমাদের আত্মীয় স্বজন হলেও তারা সবাই আমাদের শত্রু। ইতিপূর্বে স্থানীয় জেলা স্কুল মিলনায়তনে রাজাকারদের উদ্দেশে ভাষণদানকালে গভর্নর তাদের প্রতি সমাজে শান্তি ও শৃখলা বজায় রাখার কাজে আনিয়ােগ করার এবং সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পুত চরিত্র দ্বারা জনগণের স্নেহ ও ভালবাসা
________________________________________
পরে গভর্নর ঘুর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত লােকদের জন্য খােলা সাহায় শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি কিন্তু লােকদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং জেলা কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতির প্রয়ােজনীয় সাহায্য দেয়ার নির্দেশ দেন।
| ড: মালিক মন্ত্রিসভায় খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী নওয়াজিশ আহমল ২ অক্টোবর জুয়াঞ্জাঙ্গায় লৌছেই শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকারদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। পরে এক জনসভায় ভাষণদানকালে মন্ত্রী জুনাগকে সমাজবিরােদা কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। তিনি জনগণকে পাক প্রেসিভেট ঘােষিত সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন। মন্ত্রী অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নেবার জন্য সকলকে কঠোর পরিশ্রম করারও আহবান জানান। মন্ত্রী মেহেরপুর মহকুমাও পরিদর্শন করেন।”
গভর্নর ভা: এ, এম, মালিক অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ময়মনসিংহ সফর করেন। স্থানীয় সার্কিট হাউস ময়দানে আয়োজিত এক জনসভাতে তিনি ভাষণ দেন। গভীর বলেন, ভারতীয় হুমকি মােকাবেলায়, আগ্রাসন রােধে নিজেদের মতো তুলে সকলকে এক কাতারে সমবেত হতে হবে। তিনি বলেন, শত্রু দেশের সংহতির বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রে জাল বুনছে, এখন একে পরের বিরুদ্ধে কথা বলার সময় নয়। তিনি বলেন, এই কঠিন বাস্তবতায় সরকার এক শ্রেণীর বিপথগামী নাগরিকদের প্রতি গণ্ডীর নজর রাখছে। এরা পূর্ব পাকিস্তানিদের পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, মুসলমানেরা কোনাে যুদ্ধে পরাজিত হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও শকতা সত্ত্বেও তারা টিকে আছে। গভর্নর বলেন, যারা কথায় ও কাজে শক্রর সঙ্গে আছে, শীঘ্রই তাদের শুভবুদ্ধির উপায় জলে।’
এ দিকে ৮ অক্টোবর জা; মালিক মন্ত্রীসভায় আরাে তিনজন সদস্য মােঙ্গ দিলেন। পণকায় এ বিষয়ে বলা হলাে :
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় গতর ভবনে এ অনভুস্বর অনুষ্ঠানে আরাে তিনজন প্রাদেশিক মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন। | এপিপি ও পিপিআই পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডা: এ. এম, মালিক শপথ গ্রহণ করান।
এই মন্ত্রীরা হচ্ছেন, ময়মনসিংহ থেকে নির্বাচিত প্রাদেশিক পন্নিষন সদস্য জনাব এ, কে, মােশাররফ হােসেন (পিডিপি), সিলেটের জনাব জসিম উদ্দিন আহমদ (পিডিপি) এবং কুমিল্লার এডভোকেট জনাব মুজিবুর রহমান (কাইয়ুম লীগ)। এই তিনজনকে নিয়ে গভর্নরের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য সংখ্যা হলাে তের।”
শিক্ষা মন্ত্রী আব্বাস আলী খান ৯ অক্টোবৰ বগুড়ার আলতাফুল মাঠে আয়ােজিত এক সমাবেশে সূর্যোগপূর্ণ অবস্থায় সীমান্ত অতিক্রমকারী পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফিরে নতুন জীবন শুরু করার আহবান জানান। তিনি পাকিস্তানি নাগরিকদের ফিরে আসার পথে বাধা দেয়ার জন্য ভারতকে পোষারােপ করেন। তিনি বলেন, একানি হচ্ছে ইসলামপ্রেম সত্যিকার পাকিস্তানিদে ভারতীয় এজেদের দুষ্টকৌশল নস্যাৎ করার উপযুক্ত সময়। তিনি পাকিস্তানের পবিত্র মাটি থেকে ভারতীয় এজেন্ট এবং দুতিকারীদের সমূলে উৎপাটন করার জন্য কারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান।
________________________________________
“আক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে লিলা অপুর সাক করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল কাসেম। দিনাজপুরে আয়োজিত সমাবেশে মন্ত্রী কোনো ভারতীয় জন এবং প্রতিকারীদের আশ্রয় দেরি 24 ইণের প্রতি আহবান জানান। | রাজস্ব = এ, কে, এম, ইউফ ১০ প্রবির খুলশী সফর করেন। খুলনা ডাক্ত বাংলায় আয়োজিত দুলন কেন্দ্ৰীয় শান্তি কমিটির সভায় মন্ত্রী শান্তি কমিটির সদস্যদের উচ্ছসিত প্রশংসা করে বলেন, ‘তাদের তৎপরতার ফলেই খুলনায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। সভায় বার এট ল’-র এ, কে, ফারাকী, আলহাজ্ব আবদুল আহাদ খান, ডা: মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, এ, এফ, এম, আবদুল জলিল, এডভােকেট মওলানা শামসুর রহমান, তাইফুর রহমান, এডভোকেট আতাউল্লাহ, অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, এডভােকেট রেজাউল আলীসহ আরাে অনেকে উপস্থিত ছিলেন।”২৭।
এ দিকে সুর্থমন্ত্রী আবুল কাসেম নাটোর সফর করলেন অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এ সফরকালে মা বলেন, শান্তিকামী জনগণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন প্রদেশে পর্যাপ্ত অস্যিশস্য মজুদ রয়েছে। নাটোর শান্তি কমিটির সভাপতি কাঞ্চন উদ্দিন তার বক্তৃতায় নাটোরের জনগণের পক্ষ থেকে সরকারকে সব রকমের সহযােগিতা ও সমর্থনের আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী সাম্প্রতিক সফরের অংশ হিসাবে ঠাকুরগা, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং লালমনিরহাটের বিভিন্ন জনসভায় ভাষণ দেন। জনসভাগুলােতে মন্ত্রী পাকিস্তানের আদরে উপর গুরুত্ব আরােপ করে বলেন, ভারতীয় কৌশলের প্রতি জনগণকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খান বগুড়ার শেরপুরের এক জনসভায় পাকিস্তান সত্যদিশ বিরােধী সস্তা শ্লোগান বাঙালি জাতীয়তাবাদের তীব্র নিন্দা জানান। মন্ত্রী ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাড়াতে জনতাকে একত্র হওয়ার আহবান জানান।
অক্টোবরে রাজস্ব পুর্ত, বিদ্যুৎ, ও সেচ মন্ত্রী মওলানা এ. কে. এম. ইউসুফকে খুলনার মিউনিসিপ্যাল হলে মহকুমা ও থানা শান্তি কমিটির দেওয়া এক নাগরিক সম্বর্ধনা সভায় বলেন, খুব তাড়াতাড়িই রাজাকারদের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। তিনি বলেন, নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষা করার জন্য নৌরাঙ্গাকার বাহিনী গঠনের প্রস্তাবও সর্বকালের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। মন্ত্রী নিশ্চমাজা দেন যে, পাকিস্তানে জনগণ ভারতীয় আগ্রাসন কখতে যে কোনাে ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, ভারত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু পৃথিবীর কোনো শক্তিই পাকিস্তানের মতাে সত্য ও মায়ের দেশকে ধংস করতে পারবে না । এটি ১৯৬৫ সালের যুদ্ধতেই প্রমাণিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে “চাষী কল্যাণ সােসাইটি’র সদস্যরাও মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাঘেন।”৩০
এ সম্পর্কে অপর পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তান’-এ বলা হলাে :
‘খুলনা, ১১ই অক্টোবর (এপিপি)। পূর্ব পাকিস্তানের রাজস্ব মন্ত্রী মওলানা এ, কে, এম, ইউসুফ রাজাকারদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। গতকাল এখানে জেলা স্কুল মিলনায়তনে তিনি রাজাকারদের এক সমাবেশে ভাষণ পান করছিলেন। দুষ্কৃতিকারী ঔ ভাৱৰীয় সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের কার্যকলাপ দমনের জন্য রাজাকাররা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে এতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
________________________________________
তিনি বলেন, রাজাকাররা শুধু অনুপ্রবেশকারীদের হামলাই সাফল্যের সাথে প্রতিহত করেনি, তারা বেশ কিছু সংখ্যক দুস্কৃতিকারী ও ভারতীয় ছাপমারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশ এ গােলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। মওলানা এ, কে, এম, ইউসুফ ভাসানকালে ঘােষণা করেন যে, দেশের সার্বভৌমত্বের উপর হামলার যে-কোন অপচেষ্টা নস্যাৎ করে নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের পেছনে আমাদের সাহসী জনগণ একব
এর পূর্বে সমাবেশে ভাষণ দানকালে তুলনার ডেপুটি কমিশনার এবং জেলা রাজাকার কমান্তা খুলনায় রাজাকারদের কার্যকলাপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাজস্ব মধী আজম খান কমার্শিয়াল কলেজ মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রসংঘ আয়ােজিত এক সভায়ও ভাষিণ
| তিনি ছাত্রদেরকে প¥শুনায় মনােযোগ দানের অনি জানান। তিনি হাসলের নিকট পাকিস্থান আন্দোলনের পটভূমি ব্যাখ্যা করেন। সীমান্তের অপর পায়ে চলে যাওয়া ছাত্রদের দেশে ফিরে এসে জাতি গঠনমূলক কাজে অংশগ্রহণেরও আহবান জানান।
| অক্টোবর মাসে শিক্ষাম। আব্বাস আলী খান জয়পুর হাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক জনসভায় ভারতকে সীমান্তে উস্কানিমূলক আচরণের জন্য সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, ভারত যদি আবারো ১৯৬৫ সালের মতো ভুল করে, তাহলে পাকিস্তানের প্রতিটি স্তরের জনগণ তার সমুচিত জবাব দেবে। সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সেনা প্রদেশের বিরুদ্ধে তিনি জনগণকে সতর্ক করে দেন।”৩২,
গভর্নর ডা: এ, এম, মালিক ১৫ অক্টোবর সিলেট সফর করেন। তিনি এখানে এক জনসমাবেশে বিপথগামীদের প্রতি কলেরা অভিসন্ধি’ অনুধাবনের আহ্বান জানালেন। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে এ সম্পর্কে বলা হলো :
সিলেট, ১৫ই অক্টোবর (এপিপি)। আজ প্রাদেশিক গভর্নর ডা: এ এম মালিক পাকিস্তানকে খণ্ড-বিখঞ্জ করার ভারতীয় দাবীতে বিভ্রান্ত লােকদের প্রতি এর বিপজ্জনক পরিণাম এবং, শাদের আসল অভিসন্ধি অনুধাবনের উপদেশ গিয়েছেন। তিনি এখানে শহরের বিভিন্ন স্তরের লােকদের এক জনসমাবেশে ৰাক্তা করছিলেন। গভর্নর বলেন, নিয়মতাত্বিক পন্থায় নায্য দাবী-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করা দােষের নৰ স্থি তা কোন মাতেই দেশের শান্তি, সংহতি ও অজ্ঞতার বিনিময়ে চলতে পারেন । তিনি দুঃখ করে বলেন, যখন পূর্ব পাকিকানের মানুষ তাদের প্রাপ্য নয় নৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার লাভের আকাক্ষা করছিল তখন চরমপন্থী লােকেরা এমনকি দেশকে বিচ্ছিন্ন করার প্রাণী তুলছিল।
| এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে গতরি সীমান্ত অতিক্রম করে দেশত্যাগকারী পাকিস্তানীদের শক্রর হাতকে শক্তিশালী করে নিজেদের লটাকেই চিরস্থায়ী না করায় এবং হাজার হাজার লােকের দুঃখ কষ্ট আরো না বাড়ানাের আহ্বান জানান ।
উদ্বাস্তুদের দুর্দশায় বিচলিত গহনা, তাদের প্রতি এই মুহুর্তের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের শুভবুদ্ধির দ্বারা পরিচালিত হওয়ার এবং তৎকালীন সমাজের শোষকদের শােষণ মুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠিত নিজেদের বাসভূমিতে ফিরে আসার আহবান জানান। তিনি কোন লক্ষ্য অর্জনের জন্য ধ্বংস সাধনের পথ বেছে নেওয়ার জোর নিন্দা করেন। তিনি বলেন,
________________________________________
যােগাযােগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং সরকারী সম্পত্তি ইংস করে শুধু জনসাধারণের দুঃখ-কষ্টই বাড়ানাে যায়।
শিক্ষা বনের সর্বনাশা প্রতিটির কথা উল্লেখ করে গভীর বলেন, এই আঘাত নীতি শুধু ব্যক্তি নয় গােটা জাতির পক্ষেই ক্ষতিকর। এর ফলে যে শূন্যতার সৃষ্টি হবে তা কখনােই পূর্ণ হবেনা। মুসলমানরা এভাবে ইংরেজী শিক্ষা বর্জন করে পিছিয়ে পড়েছিল। লােকজনের প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে জেলা কর্তৃপক্ষের উৎসাহব্যঞ্জক রিপাের্টের উল্লেখ করে গভীর সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রতি সহানুভূতি ও তাদের সাথে সময় ব্যবহার করার জন্য আহবান জানান।
গভর্নৱ প্রত্যাবর্তনকারীদের দ্রুত পুনর্বাসনের নির্দেশ দিয়েছেন। সিলেট জেলার এ যাবত প্রায় ৪৭ হাজার পাকিস্তানী, অধিকাংশই অনানুমােদিত পথে ফিরে এসেছেন বলে জেলা কইলক্ষ গরকে জানিয়েছেন। এদের মধ্যে ৩০ হাজারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লােক। ট্রেনিংপ্রাপ্ত সশস্ত্র লােকজন সহ, প্রকৃত পাকিস্তানার সীমান্ত অতিক্রম করে সংস্থানে আত্মসমর্শণ করেছেন বলে গভর্নরকে জানানাে হয়।
সরকারি কর্মকর্তা এ চা বাগান মালিনের সাথে গভর্নরের আলোচনায় আরো জানা গেছে, মে ১০০ চা বাগানে কাজ চলছে এবং ৮৪টি চা বাগানে শতকরা ৮০ ভাগ শ্রমিক কাজে যােগদান করেছে। চা বাগান মালিকদের একজন প্রতিনিধি গভর্নরকে বলেন, চা। বাগানগুলাের উন্নতি ঘটছে।
গমন ঠোর আগে অবস্থা, স্বাস্থ্যরক্ষন পরিস্থিতি এবং আইন শৃঙ্গা পরিস্থিঝিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সভায় ঝরেকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি রাজাকার বাহিনী পুণর্গঠনের এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির পর্যাপ্ত সরবরাহ অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছেন। তারা বাইরের আক্রমণের মােকাবেলায় সর্বস্তরের লােকের পূর্ণ ঐক্য ও সম্প্রীতি রক্ষার আশ্বাস
পরি পরে স্থানীয় রাজাকার ট্রেনিং কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি তাদের শক্রর হুমকি মােকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার এবং সাহসিকতার সাথে তা প্রতিরােধ এবং জনগণের সেবায় আত্মনিয়ােগ করার আহবান জানিয়েছেন। | হেলিকপ্টার যােগে গজনৱ স্থানীয় সালটির বিমান বন্দরে অবতরণ করলে স্থানীয় পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক অফিসাররা গভির্নরকে অভ্যর্থনা জানান। সেখান থেকে সােজা তিনি হযরত শাহ জালালের (রঃ) মাজারে ন্যাশ এবং, ফাতেহা করেন।
অপর পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাক’ ১৬ অক্টোবর সংখ্যায় এ সম্পর্কে সিলেটে নাগরিক সমাবেশে গভর্নরের বক্তৃতা, রাজাকার বাহিনী পুনর্গঠনের সুপারিশ শিরোনামে জানালাে :
‘সিলেট, ১৫ই অক্টোবর (এপিপি)-পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডা: এ, এম, মালিক বিপথগামী ব্যক্তিদের ভারতের পাকিস্তান বিরােধী ষড়যন্ত্রের পরিণতি সম্পর্কে হুশিয়ার থাকার আহবান জানান। তিনি ভারত কর্তৃক বিপরগামী এই সমস্ত ব্যক্তির পাকিস্তানকে খিঞ্জিত করার ভারতের মাৰি এবং ইহার চূড়ান্ত লুত্রভিসন্ধি উপলব্ধি করার পরামর্শ প্রদান
গভর্ণৱ মালিক অন্য সিলেট শহরে সর্বশ্রেণীর নাগরিকদের এক সমাবেশে বক্তৃতা করিতেছিনে। বক্তৃতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া
________________________________________
আদায়ের আন্দোলনে কোন আপত্তি নাই। কিন্তু শাস্তি, সংহতি ও দেশের অন্যতায় বিনিময়ে এই দাবি আদায়ের প্রচেষ্টা সমর্থন করা যাইতে পারেনা।
গভর্নর দুঃখ প্রকাশ করিয়া বলেন যে, যে সময়ের পূর্বপাকিস্তানের জনগণ তাহাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার লাভের জন্য উন্মুখ হইয়া উঠিয়াছে, তখন চরমপন্থীরা দেশকে বিচ্ছিন্ন করার মতো দাবি উত্থাপন করিতেছে।
ডা: মালিক দুঃখজনক ঘটনার উল্লেখ করিয়া ভারতে গমনকারী সমস্ত পাকিস্তানীকে তাহারে অনুশাবনের আহবান নি। তিনি বলেন, তাহা যদি না হয়, তাবে তাহতে কেবল শক্রর হাতকেই শক্তিশালী করা হইবে এবং হাজার হাজার লােকের দুর্দশা বৃদ্ধি করা। হইবে মাত্র।
বাস্তুহারাদের করুণ অবস্থার জন্য গভরি শুভবুন্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিদের পরিস্থিতি অনুধাবন করিয়া স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্বদেশেই শােষকদেখা প্রতিরােধ করি নাকচ রহিয়াছে।
ডা: মালিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্জনের বিষয়ও তাহার বক্ততায় উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এমন আত্মঘাতী কার্যকলাপ কেবল ব্যক্তি বিশেষেরই ক্ষতি করিবে না, ইহার জন্য। সন্ত্র জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হইবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্জনের পরিণতিতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হইলে তাহা কোনদিনই পূরণ হইবেনা । গভর্নর বর্তমান পরিস্থিতির সহিত মুসলমানদের ইংরেজী শিক্ষা বর্জনের ঘটনার তুলনা করিয়া বলেন, ইংরাজী শিক্ষা বর্জনের জনা মুসলমানরা পশ্চাতে পড়িয়াছিল। চা বাগান পরিস্থিতি গভর্নরের সহিত চা বাগান মালিক ও কর্মকর্তাদের যে আলোচনা হয়। তাহতে জানা যায় যে, সিলেটে ১০০টি চা বাগানে কাজ চলিতেছে এবং ৮৪টি চা বাগানে শতকরা ৬০ জন এমিক তাহাদের কাজে যোগদান করিয়াছে।।
চা বাগান মালিকদের একটি প্রতিনিধি দল গভর্নরকে চা বাগানের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন।
গভর্নর ফসলের উৎপাদন গণ- স্বাস্থ্য এবং আইন শৃগালা পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ
অক্টোবর মাসে মালিক মন্ত্রীসভার ত্রাণ ও পুনর্বাসন মধী অধ্যাপক শামসুল হক চট্টগ্রামের মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে এক জনসমাবেশে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সাম্রাজাবালী চক্রকে নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান। মন্ত্রী পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচিত হন। তিনি বলেন, নির্বাচন ছিলাে ছয় দফা ভিত্তিক এবং স্বায়ত্তশাসন পাওয়ার জন্য। তিনি দুঃখ প্রাশ করে বলেন, ভারতের সংড়যন্ত্রে তার ভ্রাপ্ত হয়ে বিচ্ছিন্নতাবলীতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্রোহীরা কখনাে সফল হয় না, যেমন হয়নি আব্রাহাম লিংকনের সময় আমেণিকারী । এ সভায় সম্ভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম।
এ দিকে অর্থমন্ত্রী আবুল কাসেম অক্টোবরের মধ্যভাগে এক প্রভাব বজায় দেশত্যা জনগণকে ফিরে আসার আহবান জানান। তিনি বলেন, সরকার তাদের পূর্ণ
________________________________________
দায়িত্ব নেবেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেন। মন্ত্রী প্রাক্তৰেলী ঠির #ংসাত্বক থেলাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তারা আমাদের জাতির উপর হত্যার ইন বইয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের জাতির অস্তিত্ব আজ সংকটের মুখে। জনগণকে সকল শক্তি নিয়ে পাকিস্তানের এক তাকে ধরে রাখতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
অর্থ মন্ত্রী বলেন, যারা যােগাযােগ ব্যবস্থা নষ্ট করছে, অর্থনীতি পঙ্গু করে দিচ্ছে তাদেরকে তিনি দেশদ্রোহী, ধ্বংসকারী হিসাবে আখ্যায়িত করে এসব দেশদ্রোহী সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য উদগণের প্রতি আহ্বান জানি।’
এ দিকে খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী নওয়াজেশ আহমদ চাঁদপুর কলেজ প্রাঙ্গনে আয়ােজিত অনশণ ও বাঞ্চালের এক সমাবেশে ভারতীয় হুমকির বিরুদ্ধে আফগণকে সংগঠিত হবার আহবান জানান। মন্ত্রী যারা সীমান্ত অতিক্রম করেছেন তাদেরকে ঘরে ফিরে এসে পাকিস্তানের স্থানীয় নাগরিকদের মতো নতুন ভবন শুরু করার আহবান জানান। তিনি সীমান্তের ওপারের কোনাে গুণ এবং প্রপাগাণ্ডায় ভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও জনগণকে পরামর্শ দেন। পরে মন্ত্রী শান্তি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে ব্যালাকারদের কাজের ভূয়শী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই পবিত্র কাজে, রাজাকারদের দায়িত্ব ও কুশলতার কারণে তাদের জীবন যে ঝুকিপূর্ণ সে সম্পর্কে সরকার সম্পূর্ণ সজাগ আছেন। তিনি বলেন, সরকার ঘোষণা দিয়েছেন যে, এই পবিত্র দায়িত্ব পালনকালে যদি কোনাে রাজাকার বা শাস্তি কমিটির সদস্যের মৃত্যু হয় তাহলে সরকার তার ক্ষতিপূরণ দেশৰে ।৩৭ | “ডা: মালিক মন্ত্রী সভাৱ অপর সদস্য আউং অক্টোবরে চট্টগ্রামের জেলা কাউন্সিল হলে এক নাগরিক সমাবেশে রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দুঃখ করে বলেন, যেখানে অন্যান্য জেলায় জাকারদের ভূমিকা সন্তোষজনক সেখানে চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে তা পর্যাপ্ত নয়। তিনি শান্তি কমিটির সদস্য বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই কমিটি সদস্যদের উচিত্র ভালাে মানুষদের রাজাকারে যােগ দেওয়ানো। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, রাজাকাররাই এই চ্যালেঞ্জ মােকাবেলায় যথােপযুক্ত এবং ক্ষমতাশালী। তারা অস্ত্র ব্যবহারেঞ্জ পারঙ্গম। তিনি বলেন, ভারত ওঃ (মক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিকে সংকুচিত করতে চাচ্ছে। বােমা হামলা চালিয়ে খাদ্য জাহাজকে নষ্ট করে এর প্রতিনিয়তই আমাদের স্বাভাবিক বিতাকে ব্যাহত করতে চাচ্ছে।
| অর্থমন্ত্রী আবুল কাশেম-এর চাকা লেভারের দেওয়া ভাষণেৱ আশ বিশেষ ইতোমধ্যে। উল্লিখিত হয়েছে। ইতিহাসের প্রয়োজনেই মধার পুরাে ভাষণটি উপস্থাপন করা যেতে পারে। মতার দুষণে উনালেন : | জাতীয় জালনের নাম সন্ধিক্ষণে এদেশে মন্ত্রীসভা গঠিক হয়েছে। এমন সংকটকালে মন্ত্রীসায় যোগদান করে যে দায়িত্ব বরণ করে নিয়েছি তা অত্যন্ত গুরুতর । দুবহ। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলে করেই এ গুরুভার কাধে নিয়েছি। কাণ এটিকে জাতীয় ও মানবিক কর্তব্য বলেই মনে করেছি। বহি:শত্রুর চক্রান্তে যখন দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন, জনজীবন বিপর্যস্ত, প্রতিটি মানুষ দিশেহারা তখন শুধুমাত্র নীরব, নির্জীয় দর্শকের ভূমিকা পালন করাকে জাতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করারই সামিল বলে গণ্য।
________________________________________
তাই আমাদের ক্ষুদ্র শক্তি নিয়ে আমরা এগিয়ে এসেছি। আমাদের সাফল্য নির্ভর করছে আপনাদের সক্রিয় সহযােগিতার উপর। একটি বিদেশী শক্তির চক্রান্তের ফলে প্রদেশে হত্যা, লুণ্ঠন ও সম্পদ নাশের যে নারকীয় বিভীষিকার সৃষ্টি হয়েছিল তাতে পাকিস্তানের অস্তিত্বই বিলুপ্ত হওয়ার উপক্রম হয় এবং পরিস্থিতি সামরিক হস্তক্ষেপকে অনিবার্য করে তোলে।
রাষ্ট্রবিরােধী শক্তিগুলাের অশুভ পতা তখন দেশময় পৰিৱৰ্যাপ্ত হয়ে পড়েছিল। সেগুলোকে দমন করার জন্য সৈনাবাহিনীকে কর্তব্যভার গ্রহণ করতে হয়। রাষ্ট্র বিরােধী শক্তিগুলাে তাদের কৃত পাপের দায়িত্ব নিরপধ মানুষের উপর চাপিয়ে দিবে। সরে পড়লাে। মানুষ তখন কিন্তু অসহায়, বিমূঢ়, হতবাক ও দিশেহারা। তাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। তাদের এমন অসহায় অবস্থায় আমরা চুপ করে থাকতে পারিনি।
আমরা এগিয়ে এলাম । শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে আত্মনিয়ােগ করলাম। শান্তি কমিটি গঠনে ব্যবস্থা করা হলাে। অচিরেই তা সারা দেশে সম্প্রসারিত হয়। আতংকগ্রান্ত ভেঙ্গে পড়া মানুষের মনে নিরাপত্তার ভাব ফিরে আসতে লাগলো। ছেড়ে যাওয়া বাড়ীখনের তারা ফিরে এলাে। অনেকটা আস্থা ও স্বস্তির কাৰ তারা ফিরে পেলাে । খােন্দার দরলারে অশেষ একৱিষা সমগ্র দেশের মানুষ যখন হাহাকার করছে সেই মহা সংকটের দিনে আমরা এগিয়ে এসে অন্তত কিছু ঐবিন ও সশদ খাক্ষ করতে পেরেছি।
মাসুম মানুষের জীবন ও সম্পদ ৰক্ষার যে সংকল্প গ্রহণ করেছি আল্লাহতায়ালা তা রক্ষার জন্য যেন তওফিক দান করেন।
প্রিয় ভাই নােনদের, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মৃণ্য কারসাজিতে লেশের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। পাকিস্তানের ত্রি মিলে সে মরণ আঘাত হানতে উত। সর্বশক্তিতে এবং সর্বস্ব পণ করে প্রতিহত করতে হবে। পাকিস্তান আমাদের, সে চলে আমরা বাচবাে জাতি হিসাবে অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবাে।
অামাদের ঈমান আমান, সুখ সমৃদ্ধি সবই পাকিস্তানের অস্তিত্বের উপর নির্ভশীল। সুতরাং, আজকের সংগ্রাম হবে পাকিস্তানকে রক্ষা কার সংগ্রাম, পাকিস্তান বিরোধী চক্রান্তকে বানচাল করে দেয়ার সংগ্রাম। একথা উপলব্ধি করতে হলে যে এই গয়াৰ দেশের মানুষের শ্রমে, অর্থে ও প্রক্তে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে তিল তিল করে যে সম্পদ গড়ে উঠেছে তা রংস করে দেয়ার মুখ দেশের মানুষকেই বঞ্চিত করা, এসের এবং ভাবী বংশধরদের চরম সর্বনাশ সাধন করা।
| পত্রের উস্কানীতে নিজের ঘরে কি কেউ আকন লাগায়। নিজেদের ঘরে আগুন দেওয়ার খেলায় যারা মত্ত হয়ে উঠেছে তারা নিরু এHয় পরিণাম একবারও ভেবে দেখবেনা । দেশের শিল্পবাণিজ্য, বেল, টামান, বাস ট্রাক, ইমার-কাঞ্চ, সড়ক, সেতু ইত্যাদি সম্পল আমাদের অর্থে ও কল্যাণেই গড়ে উঠেছে। এগুলো যারা ধ্বংস করে দিচ্ছে তাৱা আমাদেরই সর্বনাশ সাধন করছে। আবার এলাে গড়ে তুলতে কত শ্রম ও সময়ের দরকার হবে। আর সে অর্থ আসবেই বা কোথা থেকে। এদেশের কোটি কোটি অনাহারী অধ[হারা মানুষকেই তাে সে অর্থ যােগাতে হবে। চক্রান্ত পরায়ণ প্রতিবেশীর আচার ও মিথ্যা স্তোক ৰাকে বিভ্রান্ত হয়ে যায় আত্মঘাতি কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে পড়েছে তারা কি একবার ভেবে দেখবেনা যে এসব কার্য দ্বারা তারা কার পুরভিসন্ধি চরিতার্থ করছে আর কাদের ধ্বংস ও বিনাশের পথ উক্ত করে দিয়েছে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিলে
________________________________________
করে দিয়ে প্রদেশের সর্বত্র খাদ্য শস্য পৌছানাে ব্যাহত রাৱ হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সুতরাং একথা নঃসন্দেহে বলা চলে যে যায় এসব নাশকতামূলক কাজে লিপ্ত রয়েছে অথবা যারা তাদের কাজে সাহায্য করেছে তারা প্রদেশের জনগণের কল্যাণকাৰী নয়, তারা তাদের পৱম শক। এরা গণ দুশমন, এৱা মানবতার শত্রু। দেশের অস্তিত্বের মূলে এরা আঘাত হানছে। যােগাযােগ বাবস্থা বিন্নি হওয়ার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চরম বিপর্যয় দেখা
| প্রদেশে দাত্রি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাতে প্রদেশের গোটা জনসমষ্টিই সর্বশান্ত হয়ে পড়বে। তাই আসুন, সর্বশক্তি প্রয়ােগ করে এই সৰ পণদুশমনদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। বিশ্রান্ত হয়ে যারা এদেশ ছেড়ে শত্রু দেশে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের আবেদন, আপনার আপনাদের নিজেদের হাতে গড়া পাকিস্তানকে পাক ভূমিতে নির্ভয়ে ফিরে আসুন এবং পুনর্গঠনের কাজে আত্মনিয়ােগ করুন।
এদেশ আপনাদেরই এসেলে সসখানে বাস করা আপনাদের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। সে অধিকার কে হরণ করে নিতে পারবেনা। আমি নিশ্চিত আশ্বাস দান করছি। আলশের আশংকার কোন কারণ নেই। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যারা গৃহহীন হয়েছেন তাঁদের পূনর্বাসন করা হবে। যারা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তাদের জীবন ধারণের ব্যবস্থা করা হবে। পরভূমে পর প্রত্যাশী হয়ে বহু দুঃখে বহু বিড়ম্বনায় আপনারা দিন অবাহিত করেছেন। কিন্তু মন ভ্রান্সনাদে পড়ে আছে ফেলে যাওয়া পাকিস্তানের প্রিয়তম বা ভিটার উপর। আপনাদের বাস্তুভূমি আপনাদের গুহাঙ্গন হাতছানি #য়ে আপনাদেব জছে আপনাৱা, ফিরে আসুন। আপনালের গিরাপত্তার পূর্ণ দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করেছি। আপনারা ফিরে এলে সব সমস্যার সমাধান আমরা একত্রে বসে করতে পারবাে। দুষ্কৃতিকারীদের রােষানলের শিকার হয়ে আপনাদের অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত, অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ এবং সর্বহারাদের পুর্নবাসনের নানাবিধ ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে।
আপনাদের স্বাভাবিক জীবন ধারায় পুন:প্রতিষ্ঠার সংকল্প নিয়েই আমরা মন্ত্রীসভায় যােগদান করে। পরম নিষ্ঠার সাথে এ সংকল্প আমরা পালন করে যাব। এ ব্যাপারে আমাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আপনাদের সক্রিয় সহযােগিতা একান্ত অপরিহার্য। হতাশা বর্জন করে দৃঢ় মনােবল নিয়ে আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। এ বিশ্বাস আপনাদের রাখতেই হবে যে, দুর্যোগের অবসান ঘটবেই, গীবনে আবার প্রতিষ্ঠিত হবেন।
সুদিন আবার আসবে। বিস্ত গহের আঙ্গিনা আনা আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠবে। এ সবগুলােই নির্ভর করেছে পাকিস্তানের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তায় । সুখি ও শক্তিশালী পাকিস্তান আপনার সুখ ও শক্তির উৎস। অথও পাকিস্তানই আপনাদের সুখ-সমৃদ্ধি ও মর্যাদাকে সুনিশ্চিত করতে পারে।
পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্যে আমরা সবাই যদি অবিচল থাকতে পারি তাহলে দুশমন রাষ্ট্রের শক শক্তিগুলাে আপনা থেকেই নিম্নময় হয়ে পড়বে। সল দুরভিসন্ধি বানচাল হয়ে যাবে। শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরে আসবে, সকল অচলাবস্থার অবসান ঘটবে। জীবন আবার গতিময় হয়ে উঠবে। আসুন আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানের সুশমনদের মােকাবিলা করি এবং পাকিস্তানকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নতুন শপথ গ্রহণ করি।’
________________________________________
গভীর আ: এ, এম, মালিক ময়মনসিংহের এক জনসভায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতীয় ছমকি মােকাবেলার আহবান জানালেন। এ সম্পর্কে পএিকায় বলা হলাে :
পূর্ব পাকিস্তানের গণ্ডীর : , এম, মালিক মা জাপানকে সৰ ৰাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক ও অফিতা শক্তি নিয়ে ভারতীয় আক্রমণের হুমকি মােকাঙ্কিার আজান Wানান। তিনি স্থানীয় সার্কিট হাউস মদনে এক জনসভায় বক্তা
গভর্নর বলেন, কে কতটা দোষী একথা বলার সময় এটা নয়। এখন শ দেশের সংহতি বিনাশে উলাই। অন্য সৰ স্বার্থকে তুলে এখন সব কিছুর ওপর পেশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রশ্নকে স্থান দিতে হবে। পাকিস্তানই যদি না থাকলাে তবে বাচবে কে এবং পাকিস্তান থাকলে কেউ মরবে না।
অবরতের পূর্ব পাকিস্তানে আধিপত্য বিস্তারের জন্য অভিসন্ধির মুখােশ উদ্ঘাটন করে ডা: মালিক বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টিকে স্বীকার করতে না পারার দরুনই ভারত এগুলাে করছে। পশ্চিম বঙ্গে ক্ষুধা, দাবিদা ও থেঙ্গে পড়া অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত এই অঞ্চলকে গ্রাস করার চেষ্টা করতে হলে গর উল্লেখ করেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমনকি এখনাে পশ্চিম বঙ্গের তুলনায় পূর্ব পাকিস্তানে নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্য এবং অন্য আসা সস্তা দরে পাওয়া যায় ।
৬নর একটি কঠোর বাস্তব দিকের প্রতি বিপথগামী লােকদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষ করেন। তিনি দের এখাটা ভেবে দেখাতে বলেন যে, যখন পশ্চিম বাংলার লােকেরা শিল্পীর হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাচ্ছেন তখন পূর্ব পাকিস্তানীদের পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কে? তিনি বলেন, নাংলা বলতে পশ্চিম বঙ্গ, পূর্ণ নয় উকেই বুঝায়।
তাই বাংলা দি স্বাণীন হয় তাহলে তাতে পশ্চিম বঙ্গও থাকা উচিত। অতএব দেখা যাচ্ছে, বাঙ্গালী জাতীয়তাবালের নাম পূর্ণ বাংলাকে ভারতের সাথে যুক্ত করার জন্যই এ আন্দোলন। ৫ই মুহূর্তে তেল পাকিস্তানীক, তিনি যেখানেই থাকুন, এরিতের এই খেলা বুঝে নিতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে এটাকে ব্যর্থ করে দিতে হবে।
উদ্দীপ্ত জনতাকে উদ্দেশ্য করে গভর্নর বলেন, বিশ্বাসঘাতকেরা পেছন থেকে ছুরি না মারা পর্যন্ত মুসলমান কখনাে কোন যুদ্ধে হারেনি। যারা কমায় এবং কাজে শরুর দিকে হাত বাড়িয়ে নিয়েছেন তার বুদ্ধির উদয় হবে বলে গণর আশা প্রকাশ করেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি স্বাধীন বাংলার প্রবক্তাদের মীর জাফরের ভাগ্যের কথাটা একবার স্মরণ করতে গেল। তিনি বলেন জগৎশেঠ, উমিচলি, ক্লাইত ও অন্যরা তাকে বাংলার মসনদে বসানাের অঙ্গীকার করে তা পালন করেনি। তাই তিনি তাদের এই ঐতিহাসিক সত্য অনুধাবনের এবং দেশে ফিরে আসার পরামর্শ দেন।
রাজাকারদের উদ্দেশ করে গভর্নর বলেন, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা নিয়ে তাদের কাজ করে যেতে হবে। বাইরের সকলের প্রতিরােধ করা ছাড়াও তাদের সমাজ বিরােধীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে। গহর শান্তি কমিটির সদস্যদের সাথে দেখা করেন এবং আইন শঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলােচনা করেন। তিনি শান্তি কমিটির সদস্যদের কয়েকটি সুপারিশ অত্রা সহকারে শােনেন।
________________________________________
| মন্ত্রী আউংশু রাঙ্গামাটি থেকে ২৭ মাইল দূরে মহালাডুতে এক সমাবেশে বলেন, পাকিস্তানের জন্মলগ থেকেই এই কাজটিকে ভারত দখল ও ধংস করতে জায়। নী এক্সিকিারদের সঙ্গে দেখা করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের মূলান এম এ জণর স্বার্থরক্ষায় রাজাকারদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
“শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী মােঃ আখতার উদ্দিন আহমদ বরিশালে শান্তি কমিটির সদস্য ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ভার ৩ায় এজেন্ট ও দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহবান জানান।নি বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে মুসলমান ও ইসলামের নিরাপত্তা রূক্ষার্থে । সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মুসলিম লীগ সহসভাপতি শাহ, নাজিবুল হক। এর পূর্বে মােঃ শমসের আলী, সদার। সুলতান মাহমুল, আশরাফ আলী খান চৌধুরী, আল মদি যান এবং নুরুল ইলমসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।”৪২।
এ দিকে শিক্ষামন্ত্রী আকরাম আলী খান এক নেতার ভাষণে আসরে দেশে ফিরে আসার আহবান জানান। সংবা মামলা হয়
প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী জনাব আব্বাস আলী খান গতকাল মঙ্গলবার সীমান্তের ওপারে। বা এপায়ে ছাত্র সমাজের পdষ্ঠয়ে দেশে ফিরে এসে তাদের শিক্ষা জীবন শুরুর আকুল। আবেদন নিয়েছেন। এপিপির খবরে প্রকাশ, এক বেঞ্জার ভাষণে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট যে আদি মা প্রদর্শন করেছেন তা আমাদের শুয়েজারই প্রমাণ বহন কাজে।।
তিনি বলেন যে আমাদের মধ্যে মারা শরুর দ্বারা বিলান্ত হয়ে অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টের সম্মুখীন হযেত, শিক্ষা জীবনে তাদের পূনর্বাসন করাই আমাদের কর্তব্য। [৩ান বলেন যে, তার কাছে সৰ ছাত্ৰই নির্দোষ। তাদের সকল অপকর্মের হন। বিপথগামী নেতৃত্ব ও তুল শিক্ষানীতিই দায়ী।
বর্তমান সরকার এই শিক্ষানীতি পরিবর্তনে বদ্ধপরিকর বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শিক্ষার্থী বফোন যে, ছাত্রিলের যাতে একটা নাছর নষ্ট করতে না হয়, তার জন্য কিছু করা। যায় কিনা, সরকার এ বিবেচনা করে দেখছে।’
‘সমবায়, মন ও মহস্য মঞ্জ) আউংশু রঞ্জামাটি থেকে ১৭ গাে কিরে এক সমাবেশে শান্তি কমিটি, আদিবাসী হেডম্যান ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বললেন, যে কোনাে মূল্যে দেশের অখণ্ডতা ও সংহতি রক্ষায় দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে
| ‘আ: মালিক মসিভার আইন ও সংসদ বিষয়ক ন জসীম উদ্দীন মাহম, সিলেটে অনুষ্ঠিত এক জনসমাবেশে বললেন, বাঙালিদের প্রতি ভারতের ভালােবাসার বহি:প্রকাশ হচ্ছে আমাদের অর্থনীতি #ংস এ নিরীহ লােকদের হত্যা করা। মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই মাসের সূত্রপাত ঘটায়। ধরা আনেক নিহ, লোককে হও]] =ণছে। তিনি বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, শহ) রাজাকারলো মধ্য খাস জমি বিতরণ করা হবে। কারণ খাজাকার আতিমধ্যেই একটি নিয়মনিষ্ঠ শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। গােলাম জিলানীৱ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভারতীয় আগ্রাসন থেকে পাকডুম রক্ষায় যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার জণ্য গগের প্রতি আহ-ন জানানাে হয়।’
________________________________________
খুলনাতে অর্থমন্ত্রী আবুল কাসেম আধিপত্যনাল থেকে পবিত্র মাটিকে রক্ষার জন্য জনগণকে এগিয়ে আসার আহবান উনালেন। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এ সফরকালে ম|| স্থানচ্যুত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার সবকিছুই করবেন বলে ঘােষণা দেন।’
| ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী অধ্যাপনা শামসুল হক চট্টগ্রাম শহরে এক সমাবেশে বলেন, দেশ এক সঙ্কটময় সময় অতিক্রম করছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে আঞাতের সকল ভেদঃতদ ভুলে সাক্তে সঞ্চযোগে কাজ করতে হবে। মা বলেন, তিনি জনগণের সঙ্গে আছেন।
‘সংখ্যালঘু সমবায়, বন ও মৎস বিষয়ক মন্ত্রী আউং অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে কক্সবাজারে পেশাৰী, শান্তি কমিটি, রাজাকানা ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সম্পদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ এ সঙ্কটময় সময় অতিক্রম, কাজ। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বৌদ্ধদের সংর্ণ নিরাপদ বােধ করা উচিত এবং দেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবে।
এ দিকে খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী নওয়াজেশ আহমেদ কুষ্টিয়ার আলমসাঙ্গায় জনগণ, রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রত্যাবর্তনকারীদের বার পুনর্বাসনে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন। প্রত্যাবর্তনকারীরা পূর্ন শিৱশিনে ও পিত্তার মধ্যেই থাকবে। মা এখনো যারা অন্য অবস্থান করছে= তাদের তাড়াতাড়ি ফিরে এসে সত্যিকার পাকিস্তানি নাগরিকদের মতাে স্বাভাবিক জীবনথাপন করার অনুরোধ জানান। পত্রিকায় বলা হলো ?
“অশিমজাদা, কুষ্টিয়া) ২০শে অষ্টাবণী।=মাদ্য ও কৃষিময়ী নাৰ নওয়াশে আহমেদ যে সকল উদ্বাস্তু এখনো সীমান্তের অপয় পায়ে রয়েছেন তাদের সর ফিরে এসে পাকিস্তানের প্রকৃত নাগরিকের মতাে স্বাভাবিক জলন শুরু করাৰ উদাত্ত আহবান এ নিয়েছেন। | মা ফাংগলিপী কুষ্টিয়া ও যশােঃ তােলা সফর উপলক্ষে ঢাকা থেকে এখানে এসে এক সভায় শুষণ দিচ্ছিলেন। জনাৰ নওয়াজেশ আহমেদ বলেন যে, সরকার ইতিমধ্যেই প্রত্যাবর্তনকারীদের বাড়াঘৱ ত্বরিত পুনর্বাসনের উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন তারা এখানে পুরোপুরি নিরাপদে থাকবেন। তিনি দেয় সীমান্তের ওপাত্রের অন্য উদ্দেশ্য প্রঙ্গোলিন্ত প্রচারণায় কর্ণপাত না করার উপদেশ দেন। | মন্ত্রী ছাত্রদের নিয়মিত ক্লাসে মােগদান এবং পাকিস্তানের খাটি দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে এশিয়|ৰেী দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তাদের উপকারের জন্যই সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রমজানের ফুটি বাতিল করেছে।”৪১
অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে গরি : , এম, মালিনয় , এফ, পি-র প্রতিনিধির সঙ্গে এক সাক্ষাঙ্কারে নির্বাচন সম্পর্কে বেশকিছু কথা বলেন। পত্রিকায় বলা হলাে :
“পূর্ব পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচন হয়ত নিখুঁত হবেনা কিন্তু এটা শাসন ব্যবস্থাকে আবার চালু করার পক্ষে সহায়ক হবে। প্রাদেশিক গভর্নর ভাণ্ডা, এম মালিক গত মঙ্গলবার এ, এফ, পিত্ত প্রতিনিধিকে একথা বলেছেন। গতকাল শুক্রবার লিলিয়াই এ অৰণ পরিবেশন করেছে।
________________________________________
| ডাক্তার মালিক এই সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রদেশের একার অস্বাহাবিক অবস্থান। সম্ভোষক নির্বাচন হতে পারেন। তবে শাসন ব্যবস্থাকে আবার চালু করা গেলে সেই হবে এর সাফল্য। বেআইনী যোযিত অহয়ামী লীগ দলের ৭৮ জন যােগ্য যোষিত জাতীয় পরিষদ সদস্যের স্থলে আগামী ডিসেম্বরে পূর্ব পাকিস্তানীর নয়া সদস্য নির্বাচিত
জানুয়ারীতে প্রাদেশিক পরিষদের ১০৫টি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত নির্বাচনে পরাজিত ৬টি দক্ষিণপন্থী এবং ধর্মীয় রাজনৈতিক দল এর মধ্যেই এর পরিষদের ৭৮টি আসন নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগী করে নিয়েছে, এরূপ খনৱেৱ প্রতি গভর্নলের দৃষ্টি স্নাকর্ষণ করা হলে গভরি বলেন, এ ধরণের মৈত্রী টেকে খুব বেশী গুরুত্ব দেয়া ঠিক হবেনা।
| গভীর বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সব কটি দলেই বেজাইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের ৬ দফার (কয়েকটি দল জড়া) অনুরূপ অনৈতিক সু সামাজিক কর্মসূচী রয়েছে। _ উক্তির মালিক বলেন, তার কাছে অত্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নিরাপত্তা, প্রত্যেক জেলায় সুষ্ঠুভাবে খাদ্য পরিবহনের ব্যবস্থার পরে নির্বাচনের স্থান *৫০
| অক্টোবর মাসের চতুর্থ সপ্তাহে টাঙ্গাইলে শাস্তিকমিটিসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বললেন শ্রম, সমাজকল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী এ, এস, এম, সােলায়মান । মন্ত্রী দেশপ্রেমিক জনগণকে ধংসাত্বক শক্রর প্রতি কড়া নজর রাখার আহ্বান জানান। তিনি অর্থনীতিকে চাঙ্গা এনাং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সচল নাও মাইয়ান জানান।
এ সফর প্রসঙ্গে অপর এক পত্রিকায় বলা হলো :
পূর্ব পাকিস্তানের এম, সমাজকল্যাণ ও পরিবার পরিকনা মন্ত্রী জনাব এ, এস, এম, লোলায়মান সকল রকমের ভারতীয় ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ও বিহিৰালীদের তৎপরতার বিরুদ্ধে সর্বদা সতর্ক থাকার জন্য শান্তিপ্রিয় নাগকিলের প্রতি গত ২৪শে অক্টোবর আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এসব বিচ্ছিন্নতাবাদী লােকেরা আমাদের শত্রুদের হাতের পুতুল হিসেবে কাজ করছে।
টাঙ্গাইলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের লােক ও শান্তি কমিটি কর্মীদে এক সমাবেশে তিনি ভাষণদানকালে উক্ত মন্তব্য করেন।
জনাৰ সােলায়মান দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করেন। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য সবাইকে নিজ নিজ শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক তৎপরতার গতি অব্যাহত রাখার জন্য পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে নিন্নি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে এবং জনগণকে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে লতে হবে। তিনি বলেন, শিহানাবালীদেরকে তাদের। অর্থাতী কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে দেওয়া হলে তাতে শক্রমের উদ্দেশ্যই হাসিল হবে।। মাতৃভূমি রক্ষার জন্য আত্মত্যাগের প্রয়ােজন। মন্ত্রী জনাব এ, এস, এম, সােলায়মান পাকিস্তানের জন্য বাচা ও পাকিস্তানের জন্য মরতে নগণের প্রতি আকুল আবেদন নিয়েছেন।
________________________________________
নারায়নগঞ্জ মহকুমার বৈদ্যের বাজারে এক বিরাট ভনিসভায় তিনি ভাষণ দিহ্মিলেন জ্যাৰ সােলায়মান তার ভাষণে বলেন, মাতৃভূমি রাক্ষরি ‘ন্য আখত্যাগের চেয়ে বড় ত্যাগ আর কিছুই হতে পারে না। তিনি ঘোষণা করেন যে বই ত্যাগের বিনিময়ে অজিত স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখার জন্য সকল দেশপ্রেমিক নাগরিক আজ ঐক্যবদ্ধ।
জনাব সােলায়মান তার নিজ থানা সফরে গেলে তাকে বিপুলভাবে সপনা আপন করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে দেশবিভাগের আগে কিংবা পরে জনাব সােলায়মানই হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহকুমা থেকে নিযুক্ত প্রথম মন্ত্রী।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে, মালকে মমীসভার তথ্য মসী মুজিবুর রহমান মিঞ্চার টা হলে ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে বুদ্ধিজীবীদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর পেছনে
বন্ধ হয়ে দাড়ালার আহ্বান জ্ঞানালেন। পত্রিকায় বলা হলো :
কুমিল্লা, ২৪শে অক্টোবর। পূর্ব পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী জাৰি মুজিবুর রহমান। বুদ্ধিজীবীপের বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলকি করে জনমত গঠন করে তারা হামলার মুখে মাখুমকে রক্ষার তান সেনাবাহিনীর পেছনে এক্যবদ্ধ হয়ে পড়াবার ম্যান জানিয়েছেন।
তিনি স্থানীয় টাউন হলে বিভিs| শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাত্র ও শিক্ষক সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। মন্ত্র। বর্তমান সংকটের সঠিক এ জাসিক পটভূমি তুলে ধরার ক্ষেত্রে শিক্ষালির দায়িত্বের কথা সুখে করেন।
জনার রহমান আবুল কালাম আজাদ, আবদুল গাফঞ্চর খান ও গরি অতিঃ উদ্বেখ করেন। তিনি বলেন যে ভারতের বর্তমান ভূমিকা পূর্ব পাকিন্তানের জনগণের প্রতি সহানুতি থেকে উদ্ধৃত নয় বরং পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য । যত
| ‘রাজস্বম। মওলানা এ, কে, এম, ইউসুফ সিলেট সরকারি আমলা ও শান্তি কমিটির কাশ্যদের সঙ্গে এক সভায় মিলিত হয়ে থানালেন, এ পর্যন্ত সরকার স্থানচ্যুত জনগণের পুলাসান ২ কোটি ৮৫ জঙ্ক টাকা ব্যয় করেছে। তিনি শাঞ্জি এমিটির সদস্যদের উদ্দেশ করে বলেন, শান্তি কমিটি হলাে জনগণ ও সরকারের মধ্যে যােগসূত্র। তিনি তাদের সুতিকাণ ও সেকারীদের বিরুদ্ধে সঙর্ক থাকার আহবান জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল কাসেম চট্টগ্রামে জনগকে আশ্বাস দিয়ে বললেন, ‘প্রতি ইউনিয়নে প্রয়ােজনীয় সংখ্যক রাজাকার আশলৈ’। পত্রিকায় বলা হয় :
“প্রদেশে হিংসাত্মক কার্যকলাপের যে সকল নিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটছে, তাতে আইন ও -খলা পণিস্থিতি সম্পর্কে পাশ না হওয়ার জন্য সোশক অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল কাসেম জনগণের প্রতি আবেদনা জানিয়েছেন। সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করছে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিউট হলে আয়ােজিত বিভিন্ন স্তরের লােকের এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রায় ৫০ হাজাৰ ৰাজাকারকে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। এই শেষে, এদেখে অস্ত্রে সজ্জিত করে প্রতি ইউনিয়নে নিয়োগ করা হবে। বাকিলের সাধা। ধীরে ধীরে বাড়িয়ে এক লাখে উন্নীত করা হবে। প্রতি ইউনিয়নে প্রয়ােজনীয় সংখ্যক এবাঙ্গাকার পকিৰে। এছাড়া রয়েছে পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যে আইন ও শূলা পরিস্থিতি
________________________________________
পুলিশ বাহিনীর নিখণে আসছে। তিনি বলেন বেসামরিক সরকার গঠনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনমনে আস্থার ভাব ফিরিয়ে আনা। ইনশা আল্লাহ শীঘই অবস্থার উন্নতি হবে।
সীমান্ত অতিক্রম করে যে সকল যুবক ভারতে চলে গেছে তাদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় মিথ্যে প্রচারণায় বিভ্রাপ্ত হয়ে অপর পারে গিয়ে তারা যে ব্যবহার পেয়েছে এবং যে অশেখ সুর্গতি পুইয়েছে তাতে তাদের ভ্রান্তি কেটে গেছে। এখন উচিত স্বদেশে তাদের প্রত্যাবর্তন না। তারা আমাদেরই ছেলে। তারা রাগ করে পালিয়ে গেছে। শ্রমরী। তাদের মাফ করে নিয়েছি। তিনি প্রশ্ন করে বলেন কেন আপনারা আপনাদের ভাইকে হত্যা হবেন ?
একজন মােহারে বক্তার প্রশ্নের উওরে ময়) বলেন মােহাজেরণের প্রতি এখানে । ঘটে গেল এক বাঙ্গালী মুসলমান হিসেবে তিনি তার জন্য লতি ও সুখত। এতিম, বিধবা ও অভিভাবকহীন মােহাজের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা সরকার করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
এছাড়া গত গােলযােগে স্থানীয় যে সকল লােক জন্তু হVIছন সরকার তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করবেন। মােট কথা ক্ষন্তি প্রতিটি লােকের পুনর্বাসনের জন্য এক ব্যাপক পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। এ-কাজ সম্পন্ন হলেই এর নাস্তবায়নে হত দেওয়া বে।
মন্ত্রী বলেন, মান কোন সুযোগ আসে তখন ভাল ও মন্দ সকল লােকই ক্ষান্ত হয়। সেরূপভাবে গ গোলযােণে পূর্ব পাকিস্তানে এমন কোন লােক নেই যিনি কোন না কোনভাবে অতিষ্ঠ হননি। তিনি বলেন আমরা অনেক ভুল করেছি। এর জন্য প্রায়শ্চিত্ত হয়েছে। এখন আমাদের ক্লাচত সবকিছু ভুলে যাওয়া ।
পাক-ভারত সম্পর্কের কথা উয়োগ করে মন্ত্রী বলেন ভারতীয় ব্যাংকারের কাছ পাকিস্তান না স্বীকার করবে না। আমরা জানি কি করে যুদ্ধ করতে হয়। শবে নিশ্চিহ্ন করতে আল্লাহ সুলশানলের সংয়ি হবেন ইসলামের ইতিহাসে এর বই নারি বরাদেছে।”
সাহায্য ও পুনর্বাসন য় অধ্যাপক শামসুল হক-এর চট্টগ্রাম সফরের বিষয়টি ইতোমধ্যে সাধিত হয়েছে। এ সমরের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায় ‘লাক সমাচার পত্রিকা ও পত্রিকায় বলা হলাে :
সাহায্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল হক সম্প্রতি চরম বলেন যে, রাজনৈতিক গােলযােগে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্যে একটি সর্বাত্মক ফাম তৈরি করা হচ্ছে।
জেলা কারণ হলে চট্টগ্রাম পৌরসভা শহর কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণদানকালে তিনি বলেন যে জনগয়ে সুখে সুখে তাদের পাশে থেকে যাতে তিনি তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে জন্যেই দেশের এই অJন্ত সংকটকালে তিনি তার। দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
মধী মানসিক পুনর্গঠনের প্রয়ােজনীয় তার উপর জোর দিয়ে বলেন যে অ3ীতের বিরােধ ভুলে গিয়ে আমাদের দেশ সেবায় আত্মনিয়ােগ করা উচিত। তিনি বলেন যে বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে যে আদর্শের উপর পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে তার উপর ভিত্তি। করেই আমাদের সমাজব্যবস্থা পুনর্গঠন করা যেতে পারে।
________________________________________
| প্রাদেশিক রিলিফ ও পুনর্বাসন দফতরের মধী অধ্যাপক শামসুল হক পাকিস্তানের নিজে ভারতের সাম্রাজ্যবাদী আড়যন্ত্র নস্যাৎ করে নেওয়ার আগ জনগণের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অন্য নারীর হস্তক্ষেপ না করার ব্যাপারে জাতিসংঘের নীতি কার্যকরী করার জন্য তিনি জাতিসংঘের প্রতিও আহবান জানান।
| মন্ত্রী বলেন, যদি জাতিসংঘ পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় তবে এর পরিণতির দায়িত্ব তাদেরও গ্রহণ করতে হবে।
বেআইনী ঘােষিত আওয়ামী লীগ দল হতে নির্বাচিত সদস্য অধ্যাপক হক বলেন যে, জনগণ আওয়ামী লীগকে ৬-দফা অথবা স্বায়ত্তশাসনের দাবীতেই ভোট দিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় ষড়যন্ত্রকারীরা ভারতের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে বিভিন্নতার দাবী করছে। এ-প্রসঙ্গে তিনি আব্রাহাম লিঙ্কনের সময়কার আমেরিকার অবস্থার উদাহরণ দিয়ে বলেন, বিদ্রোহী কখনই সাফল্য লাভ করতে পারেননি।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট সাধারণ ক্ষমা ঘােষণা করে দেশত্যাগকারীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আহবান জানিয়েছেন। তার এই সেশস্তগীর সংখ্যা অতিরঞ্জিত করে বলছে।
মন্ত্রী উপস্থিত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের তাণের ছেলেমেয়েদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তােলার আহবান জানান। কারণ তার মতে এক আদর্শের প্রতি উদাসীনতাই আজকের সংকটের কারণ।
মিট কলেজের অধ্যক্ষ জনাৰ রেজাউল করিম সবয় সভাপতিত্ব করেন।
শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আখতার উদ্দীন-এর বরিশাল সফরের বিষয়টিও ইতোমধ্যে উল্লিখিত হয়েছে। মালিক মন্ত্রী সভা সদস্যের এ সফরের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়। “পাক সমাচার” পত্রিকায়। সংবাদে বলা হয় :
| প্রাদেশিক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব আখতারউদ্দীন আহমদ পাকিস্তানের সংহতি ও অখণ্ডতার জন্যে দুতিকারী ও ভারতীয় এজেন্টদের মুণ্য তৎপরতা দৃঢ়তার সাথে প্রতিহত করার জন্যে পুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি তার দলীয় কর্মী ও শাস্তি কমিটির সদলাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন। _ তিনি বলেন ইসলাম ও মুসলমানদের নিরাপত্তার জন্যই পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবহন সংকট দূরীকরণের ব্যবস্থা
প্রাদেশিক শিল্প ও বাণিজ্যমী কানাৰ আখতার উদ্দীন আহমদ বলেন যে, প্রদেশের পরিবহণ সংকট দূরীকরণের জন্য শিগগীরই ট্রাক ও কোস্টারের আরো চালান এসে পেছৰে। আর আমেরিকান কোষ্টাৰ ও ৮ নৌযান পূর্ব পাকিস্তান আসার পথে রয়েছে। এগুলাে সরকার চার্টার কতেছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের ট্রক জারি করার আহবান জানান। এসব কি কিস্তি ভিত্তিতে অরিন করা যাবে। ব্যবসায়ীরা কোষ্টার সমূহ ও খরিদ করতে পারবেন বলে মন্ত্রী জানান।
স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য কাঁচামালের উপর ভিত্তি করে ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা গঞ্জে তোলার জন্যও ঋনাব আহমদ বাবসায়ীদের পরামর্শ দেন। এসব শিল্প প্রদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে বিশেষ সহায়ক হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
________________________________________
শিল্প বাণিজ্য খাত বর্তমানে যে সব অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে, তার উল্লেখ করে মন্ত্র এ মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন যে, সে সব অসুবিধা দূরীকরণে সরকার ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ‘৫৭
গর্ভনর ডা: এ, এমি, মালিক অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে কুমিল্লা সফর করেন। এখানে রাজাকারদের এক সমাবেশে গর্ভফর তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, দেশকে ভালােবাসো, জনগণের জন্য কাজ করাে আর দেশের সংহতি » অক্ষত ৰক্ষায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করাে। গতর ঢাকা থেকে বিমানে কুমারী পেীছে সম্প্রতি বােমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ও হতাহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের সান্ত্বনা দেন। ডাঃ মালিক আঙ্গারদের ভূমিকায় উচ্চ প্রশংসা করে দেশের অভ্যন্তঙ্গের দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে চরম আঘাত হানার জন্য রাজাকারদের প্রতি নির্দেশ দেন । গাৱ পৰি ৰমজান মাসে বােমা হামলার মতাে দুষ্কর্ম থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। কারণ এ মাসে মুসলমানরা খান্নাপ কাজ, বেসামরিক হত্যায় থেকে বিরত থাকে। গনৰ ভাৱত আশ্রয়ী বিলুপ্ত আওয়ামীলীগের মুসলিম নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলামের প্রতি যদি তাদের বিশ্বাস থাকে তাহলে তারা যেন এ মাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। ডা: মালিক বলেন, নিরীহ লােকদের হত্যা করা একটি নৃশংস কাজ এবং তা যদি হয় মুসলমানি কর্তৃক মুসলমান
| গভর্নর ডা: মালিক লাহােরে উর্দু মাসিক পত্রিকার সম্পাদনে সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘সেনাবাহিনীর ২৫শে মার্চের কার্যক্রমে পাকিস্তান রক্ষা পেয়েছে। সংবাদে বলা
লাহাের, ৩০ শে অক্টোবর (এপিপি)।-পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডাঃ এ, এস, মালিক বলেছেন, ভারত পাকিস্তানে ‘আক্রমণ চালালে তাকে প্রtিa আঘাত হানার ক্ষমতা ও মােগ্যতা পূর্ব পাকিস্তানীদের রয়েছে বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস। স্থানীয় উর্দু মাসিক পত্রিকা উর্দু ডাইলেষ্টের সম্পাদক জনাব আলতাফ হােসেন কোরেশীদ সাথে এক সাক্ষাৎকারে গর্ভনর। একথা বলেছেন। গনর মালিক একটা একটা করে প্রশ্নের জবাব প্রদান করেন।
| প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের পৱিকনা নেহাতই একটা সুযোগের ফলশ্রুতি অথবা বাঙালী জাতীয়তাবাদের আবরণে কয়েক বছর আগে শুরু করা সুপরিকল্পিত গ্রামেরই পরিণতি।
দুর: হ্যা, আমার মনে হয় তাই।
প্রশ্ন : বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে পাকিস্তানের আদর্শের পরিপন্থী বলে আপনি মনে করেন কি?
উর; যেভাবে তার অভুলয় দেখেছি তাতে তা নিশ্চিতভাবেই পাকিস্তানী আদর্শের পরিপন্থী।
| প্রশ্ন : সামরিক বাহিনীর তৎপরতার পর সারা পৃর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক সফর করে আমার এই ধারণা হয়েছে মে আওয়ামী লীগ পাকিস্তান থেকে ইসলামী জীবন ব্যবস্থানে মুছে ফেলতে চেয়েছে। এরূপ মনােভাবের অধিকারী লোকের সাথে এখন কি একত্রে কাজ করা সম্ভব ?
উক্ত ; ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ওঁ ক্ষমার মনােভাব নিয়ে এবং যারা ইসলামে বিশ্বাসী তারা যদি ইসলামের শিক্ষাকে কাজে প্রয়ােগ করেন, মহানবী (সঃ) ও তাঁর সাহাবারা যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা এক সাথে থাকতে পারি।
________________________________________
প্রশ্ন: ইসলাম ছাড়া পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বন্ধনের আর কোন স্থ আছে বলে আপনি মনে করেন কি না। যদি না থাকে তাহলে কোন্ পথে এগুলাে জনগণের মধ্যে সত্যিকার ইসলামী আলশের উদ্বোধন ও অনুশীলন ঘটানো যাবে? | উত্তর : পাকিস্তান অর্জনে আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি ইসলামের আদর্শ মোতাবেকই সাধারণ লক্ষ্য, অাশা আকাঙ্খ, উদ্দেশ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য একত্রে। বসবাসের ইচ্ছাই আমাদের বন্ধন। ইসলামী জীবন ব্যবস্থা ও সাংস্কৃ৫ণ বিকাশের ইচ্ছত্র আর একটি কারণ, যখন আমরা বলি, আমরা মুসলিম এবং ইসলামের অনুসারী, সাথে সাথেই ইসলামী ভ্রাতৃত্ব নােধ সামনে এসে যায়। আর এজন্যই ইকবাল বলেছেন, মুসলমানের কাছে সারা জাহান হামারা’।
প্রশ্ন : কোন কোন মহলের ধারণা যারা পাকিস্তানকে কংস করার চেষ্টা করেছে তারা। এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছে। এপ ধরিণাঝে আপনি যুক্তিসঙ্গত মনে कडा कि ।
উত্তর : যে মহল এরূপ ধারণা পােষণ করেন এরূপ ব্যক্তি সম্পর্কে তাদের হাতে সুস্পষ্ট তথ্য থাকলে তাদের যুক্তি ঠিক, অন্যথায় নয়।
প্রশ্ন : আপনি কিতাবে বাঙ্গালী ও অবাঙ্গালীদের সম্পর্কের উন্নতি করতে চান। অবাঙ্গালীরা নিজেদের রাষ্ট্রে সমমর্যাদার নাগরিক হিসেবে ভাবতে পারে তাদের মধ্যে। এপ কোন মনােভাব জাগানোর কোন পরিকল্পনা আপনার আছে কি? | উওর: এর জবাবটাও দেশের দু’ অংশের বন্ধন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবেই অনুরূপ
প্রশ্ন : সেনাবাহিনীর তৎপরতা অপরিহার্য দায়িত্বসমূহ পালনের সকল লক্ষ্য অেিন সফল হয়েছে কি ?
উ: ২৫শে মার্চের রাতে সেনাবাহিনী যে কার্যক্রম নিয়েছে তাতে পাকিস্তান রক্ষণ। পেয়েছে।
প্রশ্ন : আমার বেসামরিক সরকার পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করছে কি ?
উত্তর : বর্তমান সংকট থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্যে বেসামরিক প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা দু পায়ে হাটি এবং আমরা। তাই করছি।’
প্রশ্ন : আপনার মন্ত্রীরা কেউই তেমন বিশিষ্ট ব্যক্তি নন। এটা কি ইচ্ছাকৃতভাবে এরা হয়েছে অথবা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মন্ত্রীত্ব গ্ৰহা করতে অস্বীকার করেছেন কি?
| উল; অমাৱ মন্ত্রীরা বিশিষ্ট ব্যক্তি নন একথা আমি স্বাক্ষর করি না। তাদের মধ্যে দু’জন জুনাব আবুল কাসেম এনাল সােলায়মান সারা পাকিস্তানে পরিচিত। প্রথমজন। পাল্টিান কাউন্সিল মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক। এক সময়ে জাতীয় পরিষদে ডেপুটি স্পীকার ছিলেন এবং অতীতে গণ পরিষদের সদস্য ছিলেন।
জনাব সােলায়মান একজন বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা এবং পাকিস্তান কৃষক-শ্রমিক পার্টির সভাপতি। তিনি বেশ কয়েক বছর জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।
প্রশ্ন : আপনার বর্তমান মন্ত্রীদের দ্বারা বৰ্তমান সংকটের সমাধান হবে কি? ওর; আমার সেটাই বিশ্বাস।
________________________________________
পূর্তমন্ত্রী ময়মনসিংহের নান্দাইলে ভারতের দ্বিমুখী হামলার বিপদ সম্পর্কে সচেতন থাকার আহ্বান জানালেন। পত্রিকায় এ শর্কে বলা হলাে :
‘নান্দাইল (ময়মনসিংহ), ১১ই নভেম্বর, (এপিপি)-পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ত, বিদ্যুৎ ও সেচ মন্ত্রী জনাব এ, কে মােশাররফ হােসেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের দ্বিমুখী আক্রমণের বিপদ সম্পর্কে পুরাে সচেতন থেকে নিজেদের প্রস্তুত থাকার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। গত সােমবার এখানে তিনি তিন মাইল দূরবর্তী নান্দাইল রেলস্টেশনে এক বিরাট জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ হামলা ছাড়াও আপলিক ও সাংস্কৃতিক আক্রমণ চালাচ্ছে। মন্ত্রী জনসাধারণকে প্রত্যক্ষ হামলায় চেয়ে বেশি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক আক্রমণের প্রতিক্রিয়া অনুধাবন করার আহবান জানান। | তিনি বলেন, বর্তমান সংকটে কিস্তান আরো শক্তিশালী হয়েছে ও একটি দৃঢ় ৩ঞ্জির উপর দাড়িয়েছে।
এ দিকে আজ মন্ত্রী মওলানা এ. কে. এম. ইউসুফ সাতক্ষীরায় রাজাকার শিবির পরিদর্শন করলেন নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সংলে জানা যায় :
সাতক্ষীরা, ১২ই নভেম্বর।=পূর্ব পাকিস্তানের রাজস্ব মন্ত্রী মওলানা এ, কে, এম, ইউসুফ গত মঙ্গলবার সাতক্ষীরা রেজাকার শিবির পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী রেজাকারসের সাথে কথাবার্তা আসেন এবং তাদের ভূমিকার টুসী প্রশংসা কনেন।
মওলানা উসুফ সন্তোষ প্রকাশ করেন যে, ভারতীয় অনুচর ও অনুপ্রবেশকারীদের হন ও শাহ, বার ব্যপারে সহকারী মহকুমার রেইঞ্চিাগা মূল্যবান তুমি জান করেছে। তিনি রেজাকারদের আশ্বাস দেন যে, তাদের চাকুরীর অবস্থার উন্নয়ন করা হবে। ইসলামঃ পথ অনুসরণ এবং আদর্শিক প্রেরণা সহকারে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কিনি রেজাকারদের প্রতি আহ্বান জানান। | অপৰাদিক শ্রম ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী এ. এস. এম. সােলায়মান করাচীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রেজাকারদের জাতীয় বীর বলা উচিত’ বলে মন্তব্য করলেন । “দৈনিক সংগ্রাম” জানালাে ;
করাট, ১৫ই নভেম্বর (পিপিআই)।-পূর্ব পাকিন্তানের শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী জনাব এ, এস, এম, সােলায়মান বলেন যে, পাকিস্তানের যে কোন অংশে ভারত নগ্ন হামলা চালালে পূর্বাঞ্চলে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ তাদের স্বদেশভূমির প্রতিরক্ষার জন্য জীবনদান করবে। কন্সরে নাজে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে জনাব সোলায়মান বলেন, অতি সম্প্রতি ভারত উপনির্বাচন বানচাল ও যােগাযােগ ব্যাহত করার জন্য নাশকতামূলক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
শ্রমমন্ত্রী বলেন যে, বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি শান্তির প্রতি হুমকিস্বরূপ। ভারত নিয়মিত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী পাঠাচ্ছে।
রোজাকারদের সঙ্গে জনাব সোলায়মান বলেন যে, তারা অত্যন্ত প্রশংসারজনক কাজ করছে এবং তাদেরকে জাতীয় বীর বলা উচিত। তিনি পশ্চিমাঞ্চলের দলসমূহকে পৰকল বেজাৰ পঠাবার আহবান জানান।
প্রদেশের শিল্প পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন যে, শিল্প এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পুনরুন ও উৎপাদন বাড়াবার জন্য শ্রমিকরা
________________________________________
কঠোর পরিশ্রম করছে। তিনি বলেন, পরিবহনের অসুবিধার দরুন আমাদের পাট অফার পরিমাণ কমাতে বাধ্য হতে হয়েছে।’
| এদিকে আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জসীম উদ্দীন আহমেদ এপিপি-র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বললেন, শান্তি কমিটি এবং, জনগণকে হাতে হাত রেখে কাজ করতে হবে, গঠন কণাতে হবে -াপত্তা কমিটি”। তিনি বলেন, রাজাকারী সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে। তাদের এবং পুলিশ বাহিনীকে শত্রুর মােকাবেলায় ভারী অস্ত্র সরবরাহ করতে হৰে । ৰাফিরদের সাহায়ে। নিরাপত্তা দল গঠন করতে হবে। প্রতি ইঞ্জনিয়ন এবং মহড়ায় এলের প্রত্যেককে অস্ত্র সরবরাহ করতে হবে। জনগণের জীবন ও সম্পত্তি ব্যক্ষার জন্যই এটি প্রয়োক্সন বলে তিনি অভিমত দেন। তিনি বলেন, ‘এথাকথিত ‘মুক্তিবাহিনী নিরীহ বাঙালীদের নির্বিচারে হত্যা করছে। মন্ত্রী বলেন, জনগণ এখন অনুভব করতে পারছে যে, যুক্ত বাংলার তথাকথিত নায়কের আত্মালীদের লাশের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছে।’ | রাঙ্গা চুদিব রায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার বিশেষ দূত হিসাবে সিংহল, নেপাল ও থাইল্যান্ড সফর করেন। সামৰিকান্তার পক্ষে বিশ্ব জনমত অনুকুলে আনার লক্ষ্য নিয়েই যে এ সব অনুষ্ঠিত হয় তা বলাই বাংলা। এ সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় :
| এহলামাবাদ, ২৩শে নভেম্বর।=পূর্ব পাকিস্তান হইতে নিবাচিত এম, এল, এ, রাজা ত্রিদিব রায় প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত হিসাবে সিংহল, নেপাল ও থাইলান্তি সফর করিতেছেন বলিয়া আজ এখানে সরকারীভাবে ঘােষণা করা হয়। রাজা ত্রিদিব রায় এই সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের নিকট পূর্ব পাকিস্তানে বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করবেন। ইহা ব্যতীত তিনি পাকিস্তানের অস্তিরীণ ক্ষেত্রে ভারতে অ্যাচিত হস্তক্ষেপ এবং আমাদের সীমান্তে ভারতীয় সৈন্যদের সমাবেশ ও আমাদের এলাকা গোলাবাগের ফলে উত্তত পরিস্থিতি শান্তি ও নিরাপত্ত্বর উপর যে বিপদাশঙ্কা নমিয়া আসিয়াছে সে সম্পর্কে তাদের অবহিত করবেন।
| অরি। তিনি এখন হইতে আশা করিয়াছেন। পৰৱ৪ দফতরের একজন ডিরেক্টর ও তাহার সহিত রহিয়াছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, গত ২১শে নভেম্ব ব্লাজা ত্রিদিব ফ্লাই প্রেসিডেন্টের সহিত সাক্ষাৎ করেন।”sb_
এ দিকে গভর্নর ডা: মালিক করাচী বিমান বন্দরে পৌছেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে তিনি রাজাকারদের ভূমিকার প্রশংসা করলেন। পত্রিকায় বলা হয় ।
করাটা, ২৪শে নভেম্বর (এপিপি)।–পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডাঃ এ, এম মালিক দুষ্কৃতিকারো নাশকতামূলক তৎপন্নতা কার্যকর ভাবে রোধ করার ব্যাপারে গতকাল পূর্ব পাকিস্তানে রাজাকারদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
| ঢাকা থেকে এখানে আগমনের পর বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা ছিলেন।
ভা: মালিক বলেন যে, রাজাকাররা চমৎকার কাজ করছে। তারা দেশপ্রেমিকদের জান মাল রক্ষা করছে এবং নিজে সেই জীবনের বিনিময়ে রাষ্ট্রবিরোধী ব্যক্তিদের নাশকতামূলক পরতার বিরুদ্ধে প্রহরা দিচ্ছে।
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানে আইন ও শল্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
গভীর ডা: মালিক বাওয়ালপিন্ডিতে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানলেন, সাধারণ বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ আন্দোলন একটা তা’। পত্রিকায় বলা হলো :
________________________________________
জন্য সােলায়মান চার দফা দাবী পেশ করে বলেন, অবিলম্বে ভারত এই পাণগুলাে মেনে না নিলে ১২ কোটি মানুষ তার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করবে। চার দফা দাবী হচ্ছে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান এলাকা থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রত্যাহাৰ, ভারতীয় গােলাবর্ষণের ফলে জান-মালের যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ পান, পূর্ব পাকিস্তান থেকে সকল অনুপ্রবেশকারী ও দূতিকারীকে ফিরিয়ে নেয়া এ সীমান্তে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক মােতায়েনে সম্মতি প্রদান করা। অসম্পূর্ণ মানচিত্র। ঢাকা শহর জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম সরওয়ার ঘােষণা করেন যে, আহত পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত নয় বরং এদেশের মুসলমানদের ঈমানের উপর হামলা চালিছে। তিনি বলেন, মুসলমান কখনাে পরাজিত হয় না, তারা শহীদ অথবা বিজয়ী হয়ে গাজী হয়।
| জমায়েত নেতা বলেন, ভারতীয় হামলার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানী মুসলমানরা যে ঐক্যবন্ধ আজকের মিছিল তারই প্রমাণ। তিনি বলেন, আমাদের মানচিত্র অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে, হানাদার শত্রুকে নির্মূল করে আসাম, পশ্চিমবাংলা ও কাশীরকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করে আমরা এই মানচিত্র পূর্ণ করে ছাড়বাে। ঘরের শত্রুদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি | পিঙপি’র সহ-সভাপতি ও প্রৰীণ জননেতা এনাল আবদুল জলাৱ অক্ষর আত্রের শকদের সম্পর্কে জনগণকে উঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তৱে মীরজাফররা সীমান্তে হানাদারদের চাইতেও বেশি ক্ষতি করছে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী যাতে পূর্ণ শক্তি দিয়ে হানাদারদের খতম করাতে পারে সে জন্যে এই ঘরের শত্রুদেৰ ধরিয়ে দিয়ে ঘর পরিষ্কার করার কাজ জনগণকেই করতে হবে। রেভিওর ব্যর্থতা। পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক জনাব নূরুমান সংবাদপত্র, রেডিওসহ সকল প্রচারযন্ত্রকে জেহাদী প্রেরণা নিয়ে দুশমনদেৱ মােকাবিলায় এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি শক্র বেতারের প্রচারণার মােকাবিলায় ঢাকা বেতারের ভূমিকার ব্যর্থতার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি সৌদি আরব, চীন ও পশ্চিম জার্মানিসহ যেসব বন্ধুরাষ্ট্র এ সঙ্কট মুহূর্তে অন্ধ সাহায্য দিচ্ছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদান করেন।
गि दम् । ইতিহসিক ব্যথাসমাবেশে নেজামে ইসলাম নেতা মওলানা আশরাফ আলী মোষণা করেন যে, ভারতীয় হামলার ফলে মুসলমানদের ওপর বর্তমানে জেহাদ ফরজ হয়ে পকেছে।
এডভােকেট শহীদুল হক তাঁর ভাষণে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘােষণার জন্য প্রসিডেন্ট ইয়াহিয়ার প্রতি আহবান জানান। | ‘ডিসেম্বর মাসের গােড়াতেই ডা: মালিক মন্ত্রী সভার বেশ কয়েকজন সদস্য আত্র। শহী, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা সফর করেন। রাজশাহী ও মন্ত্রী ইসহাক ভাৱতীয় আগ্রাসন কখ? পাক সশর বাহিনীকে পূর্ণ সমর্থন দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান।
________________________________________
চট্টগ্রামেমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল হকের উদ্যোগে চllাম জেলা কাউন্সিল হলে স্থানীয় । শান্তি কমিটি সদস্য, নির্বাচিত এম, পি.এ. এবং সকল দলের প্রতিনিধি সমন্বয়ে এক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সহযােগীতা কমিটি’ গঠিত হয়। মন্ত্রী সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধাস্তের প্রশংসা করেন। কুমিল্লায় তথ্যমী মুজিবুর রহমান আলবদর বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন যে, তারা বদরদের ঐতিহ্য রক্ষা করছে এবং দেশকে রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার
| ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে, এদিকে শিক্ষা মন্ত্রী আকরাম আলী খান ডিসেম্বরের প্রথম। সপ্তাহে এক বেতার ভাষণে নাগরিকদের জেহাদের জন্য তৈরি হওয়ার আহ্বান জানালেন। সংবাদে বলা হলাে :
| ‘পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রী জনাব আব্বাস আলী খান গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টন, রেজিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্র হইতে প্রচারিত এক বেতার ভাষণে পাক এয়তনের হেফাজতের উদ্দেশ্যে হাৈলের জন্য তৈরি হইতে প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আবেদন।
বেজার কাগ মন্ত্রী মহোদয় বলেন : পাকিস্তান, ইসলাম ও মানবতার দুশমন। সাম্রাজ্যবাদী হিন্দুস্থান তার সাম্রাজ্য লিন্দা চরিতার্থ করার জন্য অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া চারদিক হইতে পূর্ব পাকিস্তান তথী পাক ওয়া তনের উপর পাইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু প্রশ্ন হইতেছে, হিন্দুস্থান কি মনে করিয়া রাখিয়াছে, সে কি অষ্টের ইতিহাস বেমালুম ভুলিয়া গিয়াছে। সে হয়তাে ভুলিয়া গিয়াছে যে মুসলমান এক অনুপম ও মজবুত মতবাদ এবং আদর্শে বিশ্বাস। এ মতবাদের প্রতি তার ঈমান ও আকিলাহ, অত্যন্ত সু-৮ ও শাশ্বত এবং তা এক বিন্দাটি অপ্রতিরোধ শক্তি ও সাহসের উৎস। তার বক্তব্য মুসলমান একমাত্র বিশ্বস্রষ্টা ও বিভু আল্লাহ, রাধুল আলআমীন ব্যতীত অন্য কোন শক্তিকে কমাত্র ভয় করে না, এমনকি মৃত্যুকেও না। ইসলামে সত্য ও সুন্দর আদর্শের জন্য জীবন দান করাকেই প্রকৃত স্ক্রীন লা= বলিয়া আখ্যায়িত করা হইয়াছে।
বেতার ভাষণে মন্ত্রী মহােদয় আরও বলেন : একজন প্রকৃত মুসলমান মুতুর দ্বার অতিক্রম করিয়াই মৃত্যুঞ্জয়ী ও চিরঞ্জীৰ হয়। সংখ্যাধিক্য কোন দিনই যুদ্ধজয়ের কারণ হইতে পারে না এবং অতীতে হয় নাই। যুদ্ধের উপকরণবিহীন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুসলিম বাহিনী বিপক্ষ দলীষ বিরাট বাহিনীকে পরাভূত ঐ নিশ্চিহ্ন করিয়া দিছে। এ বিজয়ের পিছনে ছিল।
কালের আদর্শের প্রতি অদম্য বিশ্বাস, আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতা, অটুট মনােবল, ঐক্য ও দৃঢ়সংকল্প। এসবের দৃষ্টান্তে ইতিহাসের পৃষ্ঠা ভরপুর হইয়া আছে।
বেতার ভাষণে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন : এ এক ঐতিহাসিক সত্য যে পাকিস্তান ইসলামের জন্য অজিত হইয়াছে। ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে ন্যায়ের উপরে প্রতিষ্ঠিত একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনই পাকিস্তান আন্দোলনের উদ্দেশ্য হল। সে জন্য পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি ভূমি ও আমাদের নিকট মসজিদেরই ন্যায় পূণ্যলুত ও পকি। তেনাে কোটি মানুষ। এ পূণ্যভূমি রক্ষার জন্য প্রতি মুত্যুতে প্রস্তুত আছে। হিন্দুস্থান এখনো যপি নিকৃত না হয়, তা হইলে ইনশাল্লাহ অতীত ইতিহাসের পুনরাবৃৱি ঘটিবেই।
জনাৰ আব্বাস আলী খান আরও বলেন, পাকিস্তানের জাত জাভা, ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, মজুর, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী-মােটকথা, প্রতিটি
________________________________________
নাগরিকের কাছে আমার নিবেন, এ পাক ওয়াইন আমাদের, এর ৩টি ইঞ্চি আমাদের। এ সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে জড়িত আমাদের আদর্শ, তাহজিব-তমদুন এবং আমাদের জীবনমরণ। অতএব এর হেফাজতের উদ্দেশ্যে জেহাদের জন্য তৈরি হােন। সীমান্তের রণক্ষেত্রে আমাদের ভাই বীর মুজাহিদ জোয়ানদের সকল প্রকার সাহায্য করুন। দেশের অতস্তরে আমাদের দেশ ও জাতির দুশমনদের সকল চক বাথ করিয়া দিন। গুজব রটনাকারী, বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী হিন্দুস্থান কিংবা কল্পনাৱাজ্যের তথাকথিত বাংলাদেশের সঙ্গে চারুবাকার আমাদের দুশমন। তাহাদের প্রতি সন্তান। প্রধম মোগেই তাহাদের বিষদাঁত ভাঙ্গিয়া দিন। আমাদের রাজাকার, বন্দর, শামস প্রভৃতি বাহিনীগুলির কাধে কাধ মিলাইয়া দেশরক্ষার কাজে নামিয়া পড়ন। আমরা আছি সত্যের উপরে এবং সত্যের জয় সুনিশ্চিত।“৭০।
‘এলিকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গভর্নর ডা: এ. এম. মালিকের আহবানে সাড়া দিয়ে ঢাকার মসজিদে মসজিদে জোহর নামাযের পর বিশেষ মােনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় অসিন মােকাবেলায় পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী যেন জয়ী হতে পারে সে জন্যই এ বিশেষ মােনাজাতের আয়োজন করা হয়। | ‘৮ ডিসেম্বর শ্রম, সমাজকল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী এবং জেলা সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান এ. এস. এম. সোলায়মান জনগণকে যে কোনাে মূল্যে শান্তি রক্ষার আহবান জানালেন। তিনি শান্তি কমিটির সকল সদস্যের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে সিভিল প্রতিরক্ষা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সভায় ঢাকার সিভিল প্রতিরক্ষা প্রধান নওয়াব খাজা হাসানও বক্তৃতা কলেন। সভায় ঢাকার ডেপুটি কমিশনার তার ভাষণে শান্তি প্রতিষ্ঠার মন। রকম সহযােগিতার আশ্বাস দেন।
| শেষ রক্ষা হলাে না। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিভেন্টের কাছে গভীর এ. এম. মালিক ও তার মন্ত্রীসভার সদস্যগণ ১৪ ডিসেম্বর পদত্যাগ করলেন । ১৪ ডিসেম্বর পদত্যাগ পত্র যারা স্বাক্ষর করলেন তারা হলেন- এ, এম, মালিক, আবুল কাসেম, এ, এস, এম, সােলায়মান, নওয়াজেশ আহমেল, এ. আহমদ, এম. ইউসুফ, মাে: ইসাহক, মুজিবুর রহমান, জসীমুদ্দিন আহমদ, মাে: ওবায়দুল্লাহ মজুমদার, এ. কে. মােশাররফ হােসেন এবং আব্বাস আলী খান।
| ভা; এ, এম, মালিক তার দলবল নিয়ে প্রাণের তাগিদে বাঁচার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত হােটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আশ্রয় গ্রহণ করলেন।
| তথ্য নির্দেশ ১. দৈনিক আজাদ, ২৪ জুন ১৯৭১ ২. দৈনিক ইত্তেফাক, ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ৩. দি মর্নিং নিউজ, ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ৪. স্বাধীনকাধুদ্ধ দলিলপত্র; সকান খ, পৃ ৫৯৯ ৫৭৮ ৫. দৈনিক পাকিস্তান, ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
দৈনিক পাকিস্তান, ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ৭, দৈনিক পাকিস্থান, ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ও মন নিউজ, ২০ সেপ্টেম্বর ৭১
________________________________________
৯, পাক সমাচার, ২৪ সেন্টেম্বর ১৯৭১ ১০, দৈনিক পাকিস্তান, ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ১১. দৈনিক সংগ্রাম, ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ১২. দি মনিং নিউজ, ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ১৩, দি মর্নিং নিউজ, ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ১৪, দৈনিক পাকিস্তান, ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ১৫. গৈনিক আজা, ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ১৬. দি মনি, নিউ, ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ১৭, পাক সমাচর, ১ অক্টোবর ১৯৭১
১৯, পৃষ্ণ সমাচার, ১ অক্টোবর ১৯৭১ ২০, দৈনিক পাকিস্তান ২ অক্টোবর ১৯৭১ ২১. দৈনিক পানি ৩ অক্টের ১৯৭১
২৩. পি মনিং নিউজ, অক্টোবর ১৯৭১ ইম, দৈনিক পাকিন, ৯ অক্টোবর ১৯৭১ ২৫, পি মনির মিউজ, ১০ অক্টোবর ১৯৭১ ২%, দি মনিং নিউজ ১০ অক্টোবর ১৯৭১ ২৭, দি মনি, নষ্ট, ১১ অক্টোবর ১৯৭১ ২৮, দি মর্নিং নিউজ, ১২ অক্টোবর ১৯১৭ ২৯, ডি মর্নিং নিউ, ১২ অক্টোবর ১৯৭১ ৩০, দি মর্নিং নিউজ, ১৯ অক্টোবর ১৯৭১ ৩১, দৈনিক পাকিস্তান, ১৩ অক্টোবর ১৯৭১ ৩৯. দি মর্নিং নিউক, ১৩ অক্টোবর ১৯৭১ ৩০, দৈনিক পাকিস্তান, ১৬ অক্টোবর ১৯৭১ ৩%, কমল, ১৬ অক্টোবর ১৯৭১ ৩. সি মনি মিউক, ১৭ অক্টোবর ১৯৭১ ৩৯ . নিউ, ১৭ অক্টোবর ১৯৭১ ৩৭ দমন , ১৭ অক্টোবর ১৯৭১ ৩৯, দি মণি নিউজ, ১৭ অক্টোবর ১৯৭১ ৯, দৈনিক পাকিস্তান, ১৮ অক্টেবর ১৯৭১ ৪০, দৈনিক পাকিস্তান, ১৮ অক্টোবর ১৯৭১ ৪১, দি মর্নিং নিউজ, ১৮ অক্টোবর ১৯৭১। ৪৯. সি মনিং নিউজ, ১৯ অক্টোবর ১৯৭১ w৩, দৈনিক পাকিস্তান, ২০ অষ্টোত্র ১৯৭১ ৪৪. পি মর্নিং নিউজ, ২০ অক্টোবর ১৯৭১ ৪৫, সি মনিং নিজ, ২০ অক্টোবর ১৯৭১ ৪৬, সি মর্নিং নিউজ, ২০ অক্টোবর ১৯৭১
________________________________________
৪৭, দি মনিং নিউয়, ২১ অক্টোবর ১৯৭১ ৪৮, পি বি নিউ, ২১ অক্টোবর ১৯৭১ ৪৯. সৈনিক পাকিস্তান, ২২ অক্টোবর ১৯৭১ ৫, দৈনিক পাকিস্তানি, ২৩ অক্টোবর ১৯৭১ ০১. নি মর্নিং নিউজ, ২৬ অক্টোবর ১৯৭১ ৫২. পাক সমাচার, ২৯ অক্টোবর ১৯৭১ ৫৩, দৈনিক পাকিস্তান, ২৭ অক্টোবর ১৯৭১ ৫৪, দি মনি, নিউরি, ২৭ অক্টোবর ১৯৭১ ৫৫. পক সমাচার, ২৯ অক্টোবর ১৯৭১ ৫৬. পাক সমাচার, ২৯ অক্টোবর ১৯৭১ ৫. প্রাক সমাচার, ২৯ অক্টোবর ১৯৭১। ৫৮, দি মাই টি, ৩০ অক্টোবর ১৯৭১ ৫৯, দৈনিক পাকিস্তান, ১ নভেম্বর ১৯৭১ ৮০, সৈনিক পাকিস্তান, ১২ নভেম্বর ১৯৭১ ৬১, সৈনিক সঙ্গম, ১৩ নরে ১৯৭১ ৬২, সৈনিক সংগ্রাম, ১৭ নখের ১৯৭১ ৬৩, ডি মণি নিউজ, ২০ নভেম্বর ১৯৭১ #, দৈনিক আজাদ, ২৪ নভেম্বর ১৯৭১ ৪৫, দৈনিণ পাকিস্তান, ২৬ Fন ১৯৭১ ৬৬, দৈনিক পাকিস্তান, ২৭ নভেম্বর ১৯৭১ ৬৭. সৈনিক পাকিস্তান, এ মঞ্চের ১৯৭১ ৩৩৮, দৈনিক সন্তান, ৩০ নম্বর ১৯৭১ ৬৪, দি মর্নিং নিউজ, ২ ডিসেম্বর ১৯৭১ ৭০. দৈনিক ইত্তেফাক, ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ ৭১, দি মহি নিউজ, ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১। ৭৯. পি ম| নিউজ, ৯ [6সেগর ১৯৭১
________________________________________
যষ্ঠ অধ্যায়
পাকিস্তানি সামরিক সরকার ও সেনা তৎপরতা
১৯৭১ সাল। মার্চ মাসের প্রথম ভাগেই অত্যন্ত গােপনীয়তার সঙ্গে তৈরি করা হয় নাড়ালি হত্যার কাল নকশা “অপারেশন সার্চ লাইট।” এই পরিকল্পনায় নায়ালি সৈনিকদের কেবল পরিহার করা হলাে না, তাদেরকে বিভক্ত করে মে দুর্বল করে একে একে নিরস্ত্র করার ব্যবস্থা রাখা হলাে। অপারেশন সার্চ লাইট’-এর পরিকল্পক ছিলো-অনারেল আলি মােহাম্মদ ইয়াহিয়া খান, জেনারেল আবদুল হামিদ খান, লে. জেনারেল টিক্কা খান, লে, জেনাবােল এম, পাবলাি, মেজর জেনারেল রাও ফরমান আঙ্গি এবং মেজর জেনারেল খাদিম হােসেন রাজ। অপারেশন বাস্তবায়নে লে. জেনারেল টিক্কা খান স্বয়ং তাৰ স্টাফ নিয়ে ঢাকায় সেকেন্ড ক্যাপিটালের সামরিক আইন ছেত্র কোয়ার্টারে ২৫ মার্চ রাতে অবস্থান করে সকল বিষয় দাৱকি করছিলেন। মর জেরেশ রাও ফরমান আলীর তাবধানে ছিলাে ৫৭তম ব্রিগেজ। ঢাকার বাইরে অপারেশন বাস্তবায়নে রইলেন মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন খাগ। পঁচিশে ব্রাতে ঢাকায় অবস্থিত ১৪তম ভিভিশনের জেনারেল স্টাফ নাৰী ৰাইৰেণ সেনাসদর দফতর লোনে আক্রমণের নির্ধারিত সময় জানিয়ে দিলো। নিবারিত এইচ আওয়ার ছিলাে ৯৬০১০০ অর্থাৎ রাত একটা। আবশ্য পাকিস্তানিরা এই সময়ের পূর্বেই নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। | প্রিগেডিয়ার আদালন ব্রিগেডকে ঢাকা অপারেশনের মূল Wারিত্ব দেয়া হলাে। এই ব্রিগেডের দায়িত্ব ছিলাে : ১৩তম ফ্রন্টিয়ার ফোর্সকে রিক্সা হিসাবে ঢাকা সেনানিবাসে রাখা । প্রয়ােজনে তারা সেনানিবাস রক্ষার কাজ করবে। ৪৩তম হালকা এন্টিএয়ারক্রাফট রেজিমেন্টকে নিয়ােগ করা হলো ঢাকা এয়ালাের্ট এলাকায়। ২৪তম যে রেজিমেন্টকে দেয়া হলাে ইপিআর সদর দফতর পিলখায় অবস্থানমাহ বাালি সেনাদের নিরস্ত্র করার দায়িত্ব। ৩২ পাঞ্জাব রোমণ্ডকে পাঠানাে হলাে রাজারবাগ পুলিশ লাইন দখলের জন্য । ১৮ পাঞ্জাবকে পাঠানাে হলাে নওয়াবপুর এবং অন্যান্য পুরনাে ঢাকা এলাকায়। সেকেন্ড ক্যাপিটাল শেরে বাংলা নগর এলাকায় পাঠানাে হয় নি রেজিমেন্টকে। পাকসেনাদের কাছে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা বিশেষত ঈদগন্নাথ হল এবং ইকবাল হল ভুলিয়ে দেবার জন্য ১৮ পাঞ্জাবি থেকে এক কোম্পানি, ২২ বেলুচ থেকে এক কোম্পানি এবং ৩২ পাব ত্রেজিমেন্ট থেকে পাঠানাে হয় আর এক
________________________________________
কোম্পানি সৈনিক। ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুঞ্জিবকে জীবিত ধরার ফন্য এক প্লাটুন কমান্সে পাঠানাে হলাে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে। এই প্লাটুনের সঙ্গে ছিলাে সেন অফিসার লে. কর্নেল জেজ, এ, অনি এবংমেকার বেলাল।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকা সেনানিবাস থেকে রাত মা দশটার দিকে রওয়ানা হয় তাদের পণিী-কল্পনা বাস্তবায়নে। পাকসেনা কনভয়গুলো সেনানিবাস থেকে বেরিয়ে ঢাকার ফার্মগেটের কাছে পৌছুলে বাঙালিদের প্রতিরােধের সম্মুখীন হয়। ব্যাৱিকে সৃষ্টিকারী ছাত্র জনতা ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে ফার্মগেট এলাকা প্রকম্পিত করে তােলে। পাকিস্তানিরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করলাে অতি মানুষকে।
সেদিন ছিলো ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। শুরু হলাে মানব ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায়, গণহত্যা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হলেন। উৎফুর পাক সেনা অফিসার অথাবলে সে খবর পাঠালাে ‘}}} BIRD) IN THE CAGE … OTHERS NOT IN THEIR NESTS | আমরা জানি, মার্চ মাসে অসহযােগ আন্দোলন চলাকালে বিপুল সংখ্যক বিদেশী সাংবাদিক চাকায় অবস্থান করছিলেন সংলাল সংগ্রহের জন্য। ২৫ মার্চের কালাে রাতে পাকিস্তানি হামলার মাত্র একদিন পর অর্থাৎ, ২৭ মার্চ ৫ জন বিদেশী সাংবাদিককে বহিষ্কার। করা হয়। ঘটনা প্রত্যক্ষদশী বহিষ্ণুত্র সাংবাদিকদের মধ্যে একজন ছিলেন “নিউইয়র্ক টাইমস’ এর সিডনি শনবার্গ। এই সাংবাদিক ঢাকা ত্যাগের পর ২৭ মার্চ ভাৱ পত্রিকার। জন্য যে রিপাের্ট পাঠিয়েছিলেন এ প্রসঙ্গে তা স্মরণ করা যেতে পারে। মার্গ তার পিটি জানালেন। | ৫ মিলিয়ন মানুষের পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন ধ্বংস করার জন নির্বপ্ন সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে পাকবাহি+ী কামান ও তারি মেশিনগান ব্যবহার করছে।
কোনো সতর্কীকরণ ছাড়াই বৃহস্পতিবার রাতে আক্রমণ শুরু হয়। পশ্চিম পাকিস্তানি সৈরা, সেনাবাহিনী এষেছে যাদের সংখ্যাথিক্য, তদশিক রাজধানী ঢাকার রাস্তায় নেমে আসে বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন শক্ত ধাটি ‘অবরােধের উদ্দেশ্যে।
কত নাগরিক আহত না নিহত হয়েছে সেটা জানার কোনাে উপায় নেই। প্রদেশের বলিক অঞ্চলে কাছে সে সম্পর্কেও জ্ঞানাে সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ঢাকা আক্রমণের আগে পেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় পশ্চিম পাকিস্তানি সৈনা ও নাগরিকরা মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাও|| জিল।
| প্রথম দিকে গােলাগুলি চলছিল বিক্ষিপ্ত, তবে নতি একটার দিকে তা সেরিলার ও বিরামহীন হয়ে ওঠে এবং প্রায় তিনঘন্টা ধরে এমনি চলে। প্রাণের ভয়ে ইনটারকন্টিনেন্টল হােটেলে আটকে থাকা বিদেশ সংবলিলতা কামানের গোলাবর্ষঃপর আগুন দেখতে পেয়েছেন, শুনেছেন এর শব্দ।
উতর চাকায় অবস্থিত আমাদের হােটেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, বাঞ্চালিনের সংখ্যাধিক্যসম্পন্ন আধা-সামরিক বাহিনী ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস-এর ব্যারাকসহ শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশাল মহনঘজ্ঞ দেখা যাচ্ছিল।
আজ খুব সকালে যখন ৩৫ জন সাংবাদিককে ঢাকা থেকে বহিস্কার করা হয়, তখন (লা’ পর শব্দ শােনা যাচ্ছিল এবং ইস্ত আগুন জ্বলছিল।
________________________________________
হায় আল্লা, হায় আল্লা’ হেটলের জানালা থেকে এসব দেখে চোখের জল চাপতে চাপতে একজন পাকিস্তানিম নলছিল, ‘ওদেরকে মেরে ফেলছে। ওদেরকে জানাই
ঘরে ঘরে অগ্নিসংযোেগ সামরিক ট্রাকের বহরে কঠোর পাহারায় বিমানবন্দরের দিকে যেতে যেতে সাংবাদিকরা দেখেছিলেন সৈন্যরা গরিব বাঙালিদের আবাস রাস্তার ধারের বস্তিগুলােতে আগুন জ্বালাচ্ছিল। স্ব-শাসন আন্দোলনের দৃ সমর্থকদের মধ্যে রয়েছে, এইসব বস্তিবাসী।
বৃহস্পতিবার রাতে আমন্ত্রিক অভিযানের শুরু থেকে সৈন্যরা ঢাকার বা লােকায় “জিন্দাবাল নি দিয়ে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, মেশিনগান ও ব্রিকয়েললেস রাইফেলে প্রথমে দালানকোঠায় গােধুলি ছোড়ে ও পরে গোটা জলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
বিদেশী সাংবাদিকরা সকলেই অবস্থান করছিলেন হােটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। কি আছে বোর ইন বাইরে যেতে চাইলে ব্যাপকভাবে মােতায়েন সেনাপ্রহরীরা তাদের জোর করে ভেতরে ঠেলে দেয় এবং সে অননের বাইরে পা বাড়াবার চেষ্টা মিলে তাদের
হােটেলেৰয় অশিপাশে গোলাগুলি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং রাত একটার দিকে গােটা শহরেই গুলি বর্ষণের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
১২৫ মিনিটে বাইনের মিলিটারি গাওঁদের দুকুম হােটেলের টেলিফোন লাইন কেটে দেওয়া হয়। একই সময়ে টেলিগ্রাফ টাওয়ারের বাতি নিভে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও অন্যানা অঞ্চল থেকে ভরি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলির আওয়াজ ভেসে আসতে থাকে। কারণ রাত ২-১৫ মিনিট মেশিনগান বসানাে একটি জিপগাড়ি হােটেলের সামনে নিয়ে মায়মনসিংহ কােতে ওঠে এবং একটি শপিং সেন্টারের সামনে থেকে লোর জানালার দিকে নিশানা করে এক ডজন সৈন্য পায়ে হেটে জিপর পিছু পিছু অবস্থান নেয়। তাদের কারাে কারো কাধে রকেট জাতীয় অস্ত্র। | দােতলা থেকে হঠাৎ চিৎকার ভেসে আসে, ‘বীর বাঙালি এক হও এবং সৈন্যরা নীকে কে মেশিনশানের এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে ভবন ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়। এরপর সৈনারা গুলি তেতে শপিং সেন্টারের পাশের গলিতে চোকে এবং পথ-আটকেরাখা গাড়িগুলাে উল্টে ফেলে দেয়। সৈন্যদের হাতের টর্চের আলােয় ভাসিত হয়েছিল। এইসব দৃশ্য এবং হােটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একাদশ-তলা থেকে দর্শনৱত সাংবাদিকদের কাছে এসব ছিল এক অবিশ্বাস নাটক।
সৈনিকরা যখন গলির ভেতরে গুলি ছিল তখন প্রায় ২০০ গজ দূর থেকে ১৫০ জন বায়ালি তরুণের একটি দল তাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। তারা সৈন্যদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছিল, তবে মনে হচ্ছিল তারা নিরস্থ, তাদের কারাে হাতে কিছু নেই।
জিপের ওপরের মেশিনগানের নিশানা খুরে গেল তাদের দিকে এবং শুরু হলাে একটানা গুলিবর্ষণ। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসজ্জিত সৈন্যরাও যােগ দিল সাথে। দু’পাশের ছায়াময়
________________________________________
অন্ধকারে আটকে পড়লাে বাঙ্গালি তরুণেরা। কেউ আহত-নিহত হলাে কি-না স্থান থেকে ঠাহর করা অসম্ভব।
এনিপর সৈন্যরা আবার গলির দিকে দৃষ্টি ফেরালাে। একটি গ্যারেজে আগুন লাগিয়ে এগিয়ে গেল। দৃশ্যত তাদের মূল লক্ষ্য, সৈন্যবাহিনীকে কটাক্ষকারী শেখ মুজিবের কড়া সমর্থক ইংরেজি দৈনিক দি পিপল-এর দপ্তর ও ছাপাখানা।।
পশ্চিম পাকিস্তানিদের ভাষা উর্দুতে চিৎকার করে ভাৱা ভেতরের লােকদের আত্মসমর্পণ নচেৎ মৃত্যুবরণ করার হুশিয়ারি জানালো। কোনাে জবাব মিললাে না, ভেতর থেকে কেউ বেরিয়ে এলাে না। এরপর সৈন্যরা বনের দিনে তাক করে কেট টুডে মরলাে এশং মেশিনগান ও হালকা অস্ত্র গুলিবর্ষণ শুরু করলাে। তারপর তারা প্রেস ও যন্ত্রপাতি ভাচুর করে ভবনে আগুন লাগিয়ে দিলাে।
আরো ভেতরে এগিয়ে গলিতে যেসব দােকান ও ঝুপড়ি ছিল তাতে তারা অগ্নিসংযােগ করলো এবং অগ্নিশিখা দ্রুত দোতলা ভবনের মাথা চাহিয়ে উঠলাে।
রাত চারটার অব্যবহিত পর আর্তচিৎকার কিছুটা থিতিয়ে এলাে, তবে কামান ও মেশিনগানের গােলাগুলি বর্ধশের বিক্ষিপ্ত আওয়াজ পাওয়া যালি। অনেক দূর থেকে ছেড়া ট্রেসার বুলেট হােটেলের পাশ দিয়ে ফুটে যাচ্ছিল।
৪H৫ মিনিট ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস-এর হেa কোয়ার্টারের দিকে আরেকটি বড় অগ্নিকাও দেখা গেল।
৫-৪৫ এন পিকে সকালের ধূসর আলােয় জট চৈনিক টি-৫১ ট্যাঙ্কে সওয়ারি সৈনারা। মুঘর করে শহরের দিকে এগিয়ে গেল এবং, রাঙ্গায় টহল শুরু করলাে।
গতকাল সারাদিন এবং আজ সকালে সাংবাদিকদের বহিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত থেকে থেকে হন ঐ গোলাবর্ষণ চলছিল।
| গতকাল সকালে মাথার ওপর হেলিকপ্টার চক্কর দিয়েছে, নিশ্চিওই তদারকির কাজে। গত নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ের পর মাণকাজের জন্য সৌদি আৱৰ ৰৈ চাৱটি হেলিকপটার পাকিস্তানকে দিয়েছিল, এই সামরিক অভিযানে সেগুলো ব্যবহৃত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইয়াহিয়া পশ্চিম পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর দখলকৃত ঢাকা বেতারে সকাল সাতটায় ঘোষণা কন্না হয় প্রেসিডেন্য অাগা। মােহাম্মদ ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে এসেছেন এবং রাত আটটায় জাতির উশ্যে ভাষণ দেবেন।
২৬ তারিখ প্রত্যুষে সেনাবাহিনী যখন জানালাে যে ঢাকা বিজয় সম্পন্ন হয়েছে তখন টিক্কা খান সাে ছেড়ে অফিস ঘরে ঢুকলেন। সময় ঐটা। দিনের আলাে ফুটতেই গিরি যার অবাব জুলফিকার আলী ভুলে হোটেল থেকে নিয়ে শিরাপদে বিমানবন্দরে। পৌছে দেয়ার জন্য ওয়ানা হলেন। বিমানে ওঠা আগে ডুয়ো সপ্রশংস দৃষ্টিতে ব্রিগেডিয়ার আরবের দিকে তাকালেন। বললেন, গতরাতে হত্যাযজ্ঞ সেনাবাহিনীর একট পাৱণীয় বিজয়। আরবাবের পিঠ চাপড়ে দিয়ে বললেন, ‘Tlianak tod, Pakistani has leen Savel? করাটা পেীছেও এই একই উচ্চারণ করলেন।
________________________________________
সাংবাদিক সাইমন ড্রিং জানালেন, ‘ভােরের কিছু আগে গুলিবর্ষণ থেমে গেল এবং সূর্য ওঠার সাথে সাথে এক ভাতিজক নিঃশব্দতা শহরের ওপর চেপে বসলাে; ফিরে আসা দু’তিনটি ট্যাংকের শব্দ, মাঝে মাঝে কনভয়েনা শব্দ ও নাকের চিৎকার ছাড়া সম্পূর্ণ শহর মনে হচ্ছিল পরিত্যক্ত এবং মৃত।
আমরা একথাও জানি যে, ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ইকবাল হল, রমনা কালী মন্দির এবং পুরনাে ঢাকার শাখারীবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিলাে। এ প্রসঙ্গে বর্তমান লেখকের একটি প্রবন্ধের কিছু অংশ উক্ত করা যেতে পারে।
এই হত্যাযজ্ঞ ছিলাে নৃশংস বর্বর। জগন্নাথ হলের গৃহশিক্ষক শ্রী গোপাল নাথ জগন্নাথ হলের বীভৎস হত্যাকাঞ্জের সাক্ষী হিসেবে আজো বেঁক্ত আছেন। তিনি লিখেছেন :
জগন্নাথ হলে অপারেশন চালানাের জন্য পাকিস্তানীদের প্রধান আঁটি ছিলাে মাঠের উত্তর-পূর্ব কোণে ৭ নং বাংলাের পেছনে। ঐ সময় ৭ নং বাংলোয় থাকতেন প্রফেসর নফিস আহমদ সাহেব। এর দ্বিতীয় অবস্থান নিয়েছিলাে আমাদের বাসার পশ্চিম পাশে। জানালা দিয়ে হলের দিকে তাকাতে লাগলুম। গােলার আঘাতে জলের দেওয়ালে আগুন ভুলে ভরছিলাে। একা প্রচণ্ড গোলার আঘাতে উশুর বার সলুশ আম গাছের একটা বড় ভাল ভেঙ্গে পড়লাে।
রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটে। মাঠের দক্ষিণ দিকে অবহিত দারােয়ান বেয়ারানরদের আরগুলোতে ও গ্রীন লাগিয়ে দিল। উত্তর বাড়ির মধ্যে সৈন্যদের মতায়াত ই দেখা যাচ্ছিল। দক্ষিণ বাড়ি থেকে তৈলে আসা শব্দে বুঝতে পারলুম পাকিস্তানী পশুর দল সেখানেও অম নুসিক অ3fTচার চালাচ্ছে। রাতে যেখানে কতকগুলাে মৃতদেহ ড় করে রাখা হয়েছিল সে বরাবর উত্তর-দক্ষিণে পঞ্জ আছে আরও অনেক লােক। মনে হলাে লােকগুলােকে উত্তর-দক্ষিণে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করা হয়েছিল। বেলা চাটার পিকে মাঠে প্রবেশ করলাে একটা বিরাট বুলভার । মতলেগুলাে যেখানে পড়েছিলাে আর পাশ ঘেঁষে উত্তর-দক্ষিণে খোড়া হতে লাগলাে একটা গর্ত।
সাড়ে পাঁচটার দিকে ড্রইং রুমের দালান দিয়ে মাঠের দিকে তাকিয়ে দেখলুম গত খোড়া হয়েছে, পাশেই রয়েছে উচু মাটির স্তুপ। লােকগুলাের মধ্যে তখনও কেউ কেউ জীবিত ছিলাে।
কিছুক্ষণ পরেই উকরলিকের রাস্তায় পূজারের শব্দ শােনা গেল। শামসুন নাহয় হলের গেটের সামনে গর্ত করে অনেকগুলাে লােককে মাটি চাপা দেয়া হলো। কাজটি চুল ও দশটা পর্যন্ত।
| জগন্নাথ হলের দক্ষিণ বলে ২৩৫ নং কক্ষের ছাত্র কালীরণ শীল সে রাতে পাকিস্তানীদের হাতে ধরা পড়ে। তাকে নিয়ে টানানাে হয়েছিলো অসংখ্য মৃতদেহ। অলৌকিকভাবে লাশের মধ্য থেকে বেঁচে গেলেন তিনি। কালীরঞ্জন শীল বলেছেন।
আমাদের আবার লাশ নিতে বলল। হলের মেইন বিল্ডিংয়ের সামনে শহীদ মিনারের সংলগ্ন লাশগুলির কাছে জড়াে করতে লাগলাম লাশগুলি। শেষ যে লাশটা টেনেছিলাম তা
________________________________________
উত্তর ভবনের ১৯ নং কক্ষের ছাত্র হরিপন পাসও সে রাতে অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন:
বুটের শব্দ দেৱ গোড়ায়। হাতে হাত মিলিয়ে একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। এতক্ষণ তিনজনে জড়াজড়ি করে বসেছিলাম। এবাৱ তিন কোণায় সরে গেলাম । আমি দরজার পাশে। ব্রাশ ফায়ারে দরজা ভেঙ্গে গেল। সাথে সাথেই দুটো প্ৰছ ও বিষ্ণোরণ। গ্রেনেঙ সাজ। জালিটি বলে উঠলাে, বাতাও জয়বাংলা বানচইত শেখ মুজিব কাজ গিয়া। পেঙ্কিল টটের সাহায্যে দেল কা কেমন হয়েছে। সাদা গোল পরবর্তী কক্ষে। এভাবে ভাের পর্যন্ত চলতে থাকে। এদিকে আমার কক্ষে আগুন ধরে গেছে। স্বাস বন্ধ হয়ে আসছে বারুদের গন্ধে ! আমার কি হয়েছে বুঝতে পারছি না। ভাঙা দরজার নিচে চাপা পড়ে আছি। কোনাে মতে হামাগুড়ি দিয়ে সুনীল ও অন্য বস্তুর কি অবস্থা জানতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু এর কোথায় হাড়িয়ে কিছুই বুঝতে পারছি না। কমে পান । কাদা এল কোথেকে, একটু পরেই বুঝলাম মেশিনগান ও গ্রেনেজের আঘাতে গুদের দেহ টুকরাে টুকরাে হয়ে গেছে। বক্তে সমস্ত ফ্লোর ভেসে গেছে। দু’জন শহীদ হলো।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. অজয় রায় জগন্নাথ হল
… ২৭ মার্চ। কয়েক ঘন্টার জল; সান্ধ্য আইন শিথিল। উতি সন্ত্রস্ত চিন্ত্রে ছুট। গেলাম জগন্নাথ হলে ছোট ভাই বাবুর খোঁজে ।… সাৱা হল এলাকা জাম্যহল ভবনগুলি বিধ্বস্ত, অগ্নিদগ্ধ, রক্তাপুত। নৰমেধযজ্ঞের সাক্ষ্য হিসেবে তখন সিক্কিতে, স্বাদে, বিভিন্ন কক্ষে-এখানে সেখানে পড়ে রয়েছে গুলিবিদ্ধ, বেয়ােনেটবিদ্ধ অসংখ্য ছাত্রলের লাশ। ৰক্ত, মৃতদেহ আর বারুদের গন্ধে বাতাস ভরপুর। সামনের মাঠে সদ্যখােদিত এক গণকবর। অনেকেরই হাত পা বেরিয়ে রয়েছে !…. আচ্ছন্ন ও মােহগ্রস্থতার মধ্যদিয়ে পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলাম। বাবুর দােতলার ঘর পর্যন্ত । সায়া আর বিপর্যস্ত, রক্তাক্ত পেলাম না। তার মৃতসেহের সন্ধান। বুঝলাম, ৰাৰু আরও অনেকের সাথে গণকবরের অন্তরে শায়িত।’
আমরা পরবর্তীতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওড়িৎ প্রকৌশল অধ্যাপক জ, নূরল উdার নিজের ক্যামেরায় তােলা শিখি হলের হত্যাযজ্ঞে মর্মান্তিক দৃশ্যের কথা যেমন জেনেছি, তেমনি বাসন্তী গুহঠাকুরতার খুণ্ডিচারণায় শিক! জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অনেক করুণ কাহিনীর কথাও জেনেছি।
পাকসেনারা ইকবাল হলের ওপরও আগ্রমণ চালালাে বেপরােয়াভাবে। পাকসেনাদের পরিকল্পনায় ‘ইকবাল হল’ ছিলো লাল তারকা চিহিত লক্ষ্যবস্তু। ইকবাল হল আক্রান্ত হলে রাত একটার দিকে। ইকবাল হল সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে বলা হয় :
. একটা দেড়টার দিকে শুরু হলাে পাক হানাদারদের আক্রমণ । স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয় অস্ত্রের ভয়ালি গর্জনে সমস্ত এলাকাটা প্রকাশমান।… হানাদাররা ঘিরে ফেলেছে, হল। এলাকা। কামান দাগছে, গ্রেনেড ছুঁড়ছে।… ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। এসেমব্লি হল ও পাঠাগারে আগুন জ্বলে উঠলাে দাও মাও করে, পাশের রেল সড়কের বস্তিও জ্বলছে। ওদিক থেকে ভেসে আসছে মৃত্যুযন্ত্রণাকাতর মানুষের আর্তনাদ। … ইকবাল হলের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বেল সড়কের বস্তিতে যখন আগুন লাগিয়ে দেয় হানাদার বাহিনীখন
________________________________________
বস্তিবাসী নারী-পুরুষ-শিশু বৃদ্ধ যুবা সবাই পাঁচিল ডিঙিয়ে ছুটছিলে হলের ভেতর দিকে আশ্রয়ের আশায়।… যেমনি দলে দলে লাফ দিয়ে পাঁচিল ভিজিয়েছিলো তেমনি দলে দলেই মুখ থুবড়ে পড়লাে স্বদেশের পবিত্র মাটিতে পাক হানাদারদের বুলেট খেয়ে।..রাতে হামালাণ হলের প্রতিটি খরের তালা ভেঙ্গে আসবাব, বিছানাপত্র সব পুড়িয়েছে, মূলবান জিনিসপত্র বা চোখে পড়েছে সৰ লুটে নিয়ে গেছে আর যাকে পেয়েছে সামনে তাকে হত্যা করেছে নির্মমভাবে। … ২৬ মার্চের ভোৱে ইকবাল হলের যেখানেই দৃষ্টি পড়ে সেখানেই দেখা যায় শুধু লাশ।’
| ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এমন দৃশ্য ছিলাে প্রায় সর্বত্র। আমরা জানি, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাকসেনাদের ৪১ নং ইউনিট ইলাে পশ্চিম দিকের রেল লাইন জুড়ে। দক্ষিন লিকে ছিলো ৮৮ নং ইউনিট এবং উত্তর দিকে ছিলাে ২৬ নং ইউনিট। এই ২৬ নং ইউনিটের কমারি কলে তা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেমন ধহসম চালায় তেমনি চালায় রাষ্ট্রনঃনাগ পুলিশ লাইন এলাকায়।
পাকসেনারা পাঁচশের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রােকেয়া হলে যেমন আক্রমণ চালালাে তেমনি আক্রমণ চালালাে রােকেয়া হলের পার্শ্ববর্তী কর্মচারী কোয়াটারে। এই আক্রমণে ৪৬ জন নিহত হয় বলে জানা যায়। পত্রিকায় এসম্পর্কে লেখা হলাে :
“রাত তখন সাড়ে বারােটা । হলের প্রায় সকল ছাত্রী কয়েকদিন আগে হল ত্যাগ কলেও সেদিন রাতে হলে হিলেন সাইন আd।… শটের দল হামলা করেছিলাে হলের প্রভোস্ট মিসেস আখতার ইমামের বাড়িতে। রাত তখনি সেটা থেকে দুটো। বাইরে দরজা ভে8ে ‘তারা! চুকেছিলাে ।… তারা কি কো লে আস্ত।’ ইমাম বললেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মেয়ের বাড়ি গেছে। ass
করেছে, লাড়কি হা, লাড়কি অপরদিকে ছাত্রীরা হলের ভিতরে স্টাফ কোয়ার্টারে নিরাপণ স্থানে আশ্রয় নিয়ে নেন। বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী হলের সার্ভেন্ট কোয়ার্টারে আক্রমণ চালিয়ে হলের মালি, দাবােয়ানি, অফিস শিওন, ঋতুদাসহ তাদের পরিবারের অপর ছেচশিজনকে হত্যা করেছে। মারা করে আহত অপর চৌদ্দজন হাসপাতাল “চকিৎসার পর শরীরে আঘাতের নিদারুণ ক্ষত নিয়ে কোনাে রকমে বেঁচে গেছেন।’
পাকসেনারা রমনা কালীমন্দিরও ধ্বংস করলাে। পত্রিকায় বলা হলাে :
.. ২৭শে মার্চ দিবাগত রাত ১২টার পর বর্বর পাকবাহিনী আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রমনা কালীবাড়ির নিরীহ জনসাধারণের উপর পশুর মতাে ঝাপ দিয়ে পড়ে। কালীবাড়ির সমস্ত লোক প্রশস্তয়ে মন্দিরে আশ্রয় নেয়।… স্বামীজী সবাইকে বলেন… যে। যেভাবে পার প্রদীবন বৃক্ষ । তিনি… অন্যের জীবন বাঁচাবার জন্যে নগ্ন লাইন এ দাড়ান।… আমাকে প্রথমে কপালে গুলি করে পরে আর একটা গুলি করে পেট।… শহীদ হলেন দেশত সাধক। এরপর লাইনের অন্য সকলকে ও বর্বর বাহিনী নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। লাইনে যারা ছিলেন তাদের আনুমানিক সংখ্যা ছিলো ৫০/৬০ ইন। এরপর বর্বর পাকবাহিনী কালীবাড়ির সমস্ত রে অতিন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরে কে মায়ের স্মৃতি জাথি মেরে ফেলে দেয়। দামী দামী জিনিসপত্র লুট করে এবং মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্বামীজীর স্ত্রী, এ নাবালিকা কনা ও নাবালক ছেলে এবং তার বড় বােন কোনাে প্রকারে রক্ষা পান।…এই খটনার পরও পোড়া মন্দিরটি ধ্বংসের চিহ্ন
________________________________________
নিয়ে দাড়িয়ে ছিলাে। কিন্তু এপ্রিল মাসের শেষের দিকে অথবা মে মাসের প্রথম দিকে তারা মন্দিরটা ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।’
| এ &িত্র ছিলাে ঢাকা শহরের প্রায় সর্বত্র। পাকসেনারা পুরোনাে ঢাকাতেও ব্যাপকভাবে হামলা চালায়। তারা শাখারীবাজার, তাতিবাজার, নওয়াবপুরসহ প্রায় পুরাে এলাকায়। **ংস চালায়। ২৫-৩০ মাঠ-এ bা শহরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের নীরব সাক্ষী হয়ে। বেয়ে রয়েছে সমাজের অন্ত্যজ শ্রেণী নামেন্না শ্রমী মানুষ। পরদেশী ডােমাকে (জোম?) ডেকে ঢাকা পৌরসভায় চেয়ারম্যান মোরে সালামত আলি খানশুর এবং প্রশাসনিক অফিসার মােঃ ইদ্রিস নির্দেশ দিয়ে বললাে, “অন্যান্য সুইপার-ডোমদের নিয়ে ঢাকা শহর থেকে সকল মৃতদেহ পরিষ্কার করো-ইলে কেউ বাঁচতে পারবে না। বলাবাহুল্য এ নির্দেশ ছিলাে সামরিক জান্তার। এরপন্ন পন্নদেশী তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে শুরু করলাে চান্স শহৰা থেকে লাশ পৰিৱষ্কাৰ অভিযান। পৌরসভা অফিসে ১৮ জন সুইপার ডােমকে তিনটি দলে ভাগ করা হলাে। প্রতি দলের সঙ্গে দু’জন করে সুইপার ইনসপেক্টরকে ব্রীজ হলাে। লাদেশী তার সাক্ষাত্কারে বলেছেন:
পুপুর প্রায় দুটার সময়। আমা ব্রমনা কালীবাড়িতে চলে আসি পৌরসভার ট্রাক নিয়ে। লাশ উঠালার জন্য ট্রাক বরমনা কালীবাড়ির দরজায় দাড় করিয়ে রেখে, দুজন ট্রাকে দাঁড় করিয়ে রেখে আমরা চারজন কালীবাড়ির ভিতরে গিয়ে দেখি সবকিছু পুড়ে ভন্ম হয়ে আছে। কালীবাড়ির ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানাে ছিটানাে ৪১টি পােড়া লাশ আমি ট্রাকে তুলেছি। কালীবাড়ির এসব লাশ আমন্না ফলপুরের ময়লার ডিপােতে ফেলেছি …
| ২৯শে মার্চ শাখারীবাজারের যেতে বলা হয়… জজকোর্টের সমুদ্ধে আগুনের লেলিহান শিখা তখনও জুলহিলাে… পাটুয়াটুলী ফাড়ি পার হয়ে আমাদের ট্রাক
রাববারের মধ্যে প্রবেশ করল। আমরা শাম্বারীবাজারের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ নামদেখলাম নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, বালক-বালিকা, শিশু-কিশােরের বীভৎস পঁচা অসাশ। চারিদিকে ইমারতসমূহ ভেঙে পড়ে আছে। মেয়েদের অধিকাংশ লাশ আমি সম্পূর্ণ উলঙ্গ খেলাম।… খ, পােড়া ভA লাশ দেখেছি।… বিহারী জনতা শাখারীবাজারের প্রতিটি কারে বেশ মধ্যে মূলানা আসবাবপত্র, সােনালী সুষ্ঠন করে নিয়ে যাচ্ছিল।
আমৱা অবিরাম কলিগের মুখে প্রাণের ভয়ে দুই ট্রাক লাশ তুলে আনি। পরে লাশ তোলার জন্য সেদিন আর শাখারীবাঞ্জারে প্রবেশ করার সাহস পাই নাই।”
সুইপার সুপারভাইজার পঞ্চম ত্যর সাক্ষাৎকারে বলেছেন:
তার (ইদ্রিস) নির্দেশে আমি সুইপার ইন্সপেক্টর রামদীন, ডােম পরদেশী, লেমু, গণেশ এবং লাল বাহাদুর-আমরা সবাই প্রথমে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালের লাশঘর থেকে লাশ তুলতে যাই। আমি সেদিন মিটফোর্ড থেকে ট্রাক লাশ তুলেছি- সকল লাশ আমরা এয়াণী আউটফলে ফেলেছি। সেখানে পূর্বেই শ্রমিকদের দ্বারা বিরাট বিরাট লম্বা লম্বা গত করে রাখা হয়েছিলাে।
হে উন ভাম বলেছেন:
… আমাদের ট্রাক ইংলিশ রােডের মুখে সাহেব বাজারের প্রবেশপথ দিয়ে গােয়ালিনগরের ফুল ও মানােনা সমুখে যেয়ে থামানাে হয়। মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে হাফ সার্ট ও হাফ প্যান্ট পরা এক চৌদ্দ বছরের সুন্দর ফুটফুটে ছেলের সদ্য মৃত লাশ দেওয়ালে ঠেশ দিয়ে পড়ে থাকতে দেখলাম।
________________________________________
… গােয়ালনগরের দক্ষিণ দিকের রাস্তা দিয়ে আমরা সৱ হয়ে দুর্গা মায়ের মন্দিরের নিকটবর্তী বাড়ির অভ্যন্তরে রান্নাঘরে প্রবেশ করে সেখানে এক গবেই এগারটা পচা মুলা লাশ দেখলাম । তিনজন বাইনো অবশিষ্টগুলি পাং এর নিচে … ঘরের ভিতরে পালং-এর নিচ থেকে আরও ছয়জন যুবক ছেলের লাশ তুলে নিলাম ।… সমন্ত লাশ ধলপুর ময়লার ডিপােতে ঢেলে দিলে কুলিরা মাটি ফেলে গর্ত বন্ধ করে দিল। লাশ তােলার জন্য প্রত্যেককে সেদিন তিন টাকা করে দেয়া হয়েছিলাে।”
ঢাকা শহরে ২৫-৩০ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিলাে-তার কিছু ঘণ্ড চিত্র তুলে ধরা হলাে। পাক বাহিনী ২৫-২৬ মার্চ রাতে কেল ঢাকা নয়-চট্টগ্রাম সেনানিবাসের অন্তর্গত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারেও হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিলাে অসংখ্য নিরস্ত্র প্রশিক্ষণার্থী বাঙালি সৈনিককে। ‘… ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের প্রায় নিরস্ত্র বাঙালি সৈনিকদেনা এপর পঁচিশের রাতে ২০ বেলুচ। রেজিমেন্টের সৈনিকরা প্রথম বড় রকমের আক্রমণ চালায়। সঙ্গে ট্যাঙ্কও নামানাে হয়। মহাকালি প্রশিক্ষণ সৈনিকরা সে পথ ও তার পরদিন শয়ে শয়ে প্রাণ দিল। ইব আত্মসিতে পচিশের পাতে ডিউটি অফিসার ছিলেন ক্যান্টন এনামূল হক চৌধুরী। সে রাতের কথা স্মরণ করে এনামুল হক এক সাক্ষাত্তারে উল্লেখ করেছেন। … দেখতে পাই বাজালি সৈনিকদের মৃত্যুর আগুনীল। কেউ বাবারে-মায়ে-বলে চিৎকার করছে। কেউ পানির জন্য কাতরাঞ্জে। কেউ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। মুমূধু বালি সৈন্যদের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের নির্যাতন যথেচ্ছ চলছিল। যাৱা মুর্থ অবস্থায় ছটফট করছি, পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যরা তালের গলার ওপর বুট লিৰে চেপে ধরেছে, যাতে তাড়াতাড়ি ভায়া মারা ব্যায়। ২৬ শে মার্চ =োয় ৭টার দিকে পাক সৈনারা যেসব লােকদেরকে রাতে নির্দয়ভাবে হত্যা করেছিল, তাদেরকে একটি ট্রাকে ভর্তি করতে দেখতে পাই। আমার সামনে নিয়েও অনেকের পর লাশ নিয়ে যেতে দেখতে পাই। এতক জলাশকে চারজন সৈন্য হাত-পা ধরে মরা কুকুরের মতো ‘নয়ে যাচ্ছিল। মাঝে মাঝে দুজন সৈন্যকে কয়েকটি লাশ মাটিতে ছড়িয়ে নিয়ে যেতে দেখতে পাই।
২৫-২৫ মার্চ কমেৰা আর কোথাওঁ এত ব্যাপক আকাদের হত্যায় সংঘটিত হয়নি। এক হাভিরের মতাে সৈনিক এ সময়ে প্রাণ দিয়েছিলেন | | | ‘অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই পাকিস্তানি সামরিক জান্তা সমগ্র বাংলাদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনতে স্বামী হয়। পাকিস্তানিদের এ সব প্রয়াস, তপনর প্রান ঘটে অবরুদ্ধ বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলিতে।
সামরিক একাতলঞ্চ এক হ্যান্ড আউটে জানালে- স্বাভাবিকতা ফিরিয়া আসিতেছে, ঢাকায় সান্ধ্য আইন আরও শিথিল’। পত্রিকায় এ সম্পর্কে বলা হলাে : | ‘গতকাল (রবিবার) সামরিক কর্তৃপক্ষের এক হ্যাক আউটে মলা হয় যে, পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি উত্তরােত্তর স্থিতিশীল হইয়া উঠার সংগে সংগে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়া আসিতেছে এবং ঢাকা সহ অন্য শহর ও গ্রামাঞ্চলে স্বাভাবিক বিন আহার উন্নতি অব্যাহত রহিয়াছে।। | হ্যা আGট আজ বলা হয় যে, আজ সোমবার হইতে টাকা সাঙ্গ আইন আরও আড়াই ঘন্টার জন্য শিথিল করা হইয়াছে। আজ সােমবার হইতে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মি, হইতে সকাল ৫ টা পর্যন্ত সাক্ষ্য আইন বলবৎ থাকিবে।
মন হইতে অহেতুক ও গুহীন শঙ্কা দূর করার উদ্দেশ্যে ঢাকায়। নাগরিক কমিটি গঠন করার জন্য সামরিক আইন প্রশাসকের নিকট প্রস্তাব পালন করেন। দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরাইয়া আমার ব্যাপারে সামরিক আইন প্রশাসককে পূর্ণ সহযােগিত| সারেও তাহার আশ্বাস দিন। তাহারা পাকিস্তানের আ97ণ ল্যাম্পারে মরিতের হস্তক্ষেপ এবং ভারতের বিত্বেপূর্ণ ও ভিত্তিহীন প্রচারণার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
প্রতিনিধি সলের সহযােগিতার আশ্বসনের জন্য সামরিক আইন প্রশাসক তাহাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রতিনিধি দলকে সামাকি আইন প্রশাসক কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক জীবনের পুনর্গঠন সম্পর্কে গৃহীত ব্যবস্থাপি সম্পর্কে অবহিত করেন।
সামরিক আইন প্রশাসক বলেন যে, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অচলাবস্থার ফলে যে ক্ষতি হইয়াছে তাহা পূরণের উদ্দেশ্যে প্রত্যেকেরই কঠোরভাবে কাজ করিতে হইবে।
সাম্প্রতিক “অসহযােগ আন্দোলনে” বেসারিক কর্মচারীদের কাজে যােগদানের কথা উল্লেখ করিয়া সামরিক আইন প্রশাসক মনে যে, তাহারা যে চাপে পড়িয়াই এ কাজ করিয়াছেন, উহা তিনি অনুধাবন করিতে পারিয়াছেন। যাহারা এখনও কাজ যোগদান করিতে পারেন নাই, তাহদের অবিলম্বে যোগদানের গুন। নির্দেশ লিয়াছেন। | বলােহা এবং সমাজবিরােধীদের কার্যকলাপের ফলে স্থান ব্যক্তিদের পুনর্বাসন জ্বগাম্বিত করার প্রয়োজনের উপরও তিনি গুরুত্ব আরােপ করেন। এইসব মানবিক কার্যে সরকারোও সৰ প্রকারের সম্ভাব্য সাহায্যের তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রদেশে কোন খwথাটতি নাই বলিয়া জেনারেল টিকা পানি প্রতিনিধিকে জানান। এই প্রসঙ্গে তিনি হশিয়ারি উচ্চারণ করিষ্যা বলেন যে, দুস্কৃতিকাৱাৰা পাল্যশস্য গেলে বাধা দিলে কোন কোন এলাকা অসুবিধার সম্মুখীন হইতে পারে।
এ ধরনের সুতিকারী, ঈদ্রোহী ও সমাজবিরােধীদের আশ্রয় না দেওয়ায় এবং সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের কিট ইহাদের সংগ্রাম পৌছাইয়া গেওয়ার কথা পুনরুবে করেন। তিনি শান্তিপ্রিয় জনগণের জানমালের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধানের সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতির পুনরুল্লেখ করেন।
৫ এপ্রিল সামরিক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ঘােষণা ও নির্দেশ জারী লরা। হলাে। পত্রিকায় বলা হলো :
‘গতকাল সােমবার সামরিক কর্তৃপক্ষের বরা নিষা। রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্র হইতে নিলিখিত ঘােষণা ও নির্দেশাবলী-জারী করা হয়।
(ক) সান্ধ্য আইন চলার সময় গল্পের জিত আলো জ্বালাইয়া রাখার উপর কোন বিধিনিষেধ নাই। সাক্ষ্য আইন চলাকালীন সময়ে জনগণ নিজ নিজ গৃহে স্বচ্ছন্দে তাহাদের গৃহকাজ চালাইয়া যাইতে পারেন।
(খ) ঢাকা পৌরসভার ভ্যাক্সিনেটর ও টিকাদানগণ যাহাৱা বর্তমানে ঢাকা শহরের বাহিরে ইউনিয়ন কাউন্সিলসমূহ ও বিল্পি হানে নিজ নিজ কর্তব্য পালন করিয়া চলিয়াছেন। তাহলের অবিলম্বে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন কৱিষা মেজিক্যাল কলেজ, মিটফোর্চ হাসপাতাল আইয়ুব হাসপাতালে রিপাের্ট করিয়া শহরকালে টিক্যলানের কাজে যােগদান রার নির্দেশ। প্রদান করা হইয়াছে।
| সামরিক কর্তৃপক্ষের তরফ হইতে শহনের অনগণকে অবিলম্বে কলেরা এ বসন্তের টিকা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানানাে হইয়াছে।
(গ) সামরিক শাসন কর্তৃপক্ষের এক ঘােষণায় বলা হয় যে, বিভিন্ন রাস্তা সংলগ্ন অসংখ্য বাসগৃহের সম্মুখে ও আশেপাশে ময়লা ও আবর্জনার স্তুপ জমিয়া থাকার ফলে যানবাহন চলাচলের ব্যাঘাত ঘটিতেছে। বাড়ীর আশেপাশে ঐমিয়া থাকা ময়লা আবর্জনা। আগামী ১০ই এপ্রিলের মধ্যে পৱিষ্কার করার জন্য প্রতিটি গৃহের মালিকের প্রতি নির্দেশ জারী করা হইয়াছে।
(ঘ) অপর এক ঘােষণায় জনগণ কর্তৃক বেআইনীভাবে সরকারী ও পৌরসভার জবরদখলকৃত জমি অবিলম্বে পরিত্যাগ এবং উক্ত জবরদখলকৃত যায়গাসমূহে নির্মিত কাঠামাে ও দোকান-পাটসমূহ অবিলম্বে জাঙ্গিয়া ফেলার নির্দেশ জারী করা হইয়াছে। অন্যথায় উক্ত বাড়ীঘরের কাঠামাে ও দোকানপাট সমূহ সামরিক কর্তৃপক্ষের তরফ হইতে ভাঙ্গিয়া ফেলা হইবে এবং পৌরসভার পক্ষ হইতে তাহাদের বিরদ্ধে সামরিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গৃহীত হইবে।
এ দিকে সামরিক আইন কথা ৪ এপ্রিল এক ঘােষণায় জানায় যে, ‘বে-আইনী ঘােষিত আওয়ামী লীগের বিশিষ্টি সদস্য ড. কামাল হােসেন ঢাকায় কর্তৃপক্ষের নিকট স্বেচ্ছায় আর্থসমর্পণ করিয়াছেন। ১০ বলা প্রয়ােজন যে, ৬, কামাল হোসেনকে সেনা কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে জেলখানায় আটক রাখে এবং স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনিও মুক্তি পান।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক সামরিক আইনের ১৩৬ ও ১৩৭ নম্বর আদেশ জারী করেন। সংবাদে বলা হলাে : | ‘১। “খ” অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল টিক্কা খান, এস, পি, কে, পি এস সি, এতদ্বারা কমভোর আর, এ, মুমতাজ, এস, কে, টি, পাক, পি এল (পি এন নং ১০০) সেক্টর ৫-এর উপপ্রশাসক (চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা) এবং ব্রিগেডিয়ার মাহমুদুর রহমান মজুমদার টি কিউ এ সেক্টর ৪ (চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম)-এর উপপ্রশাসকের স্থলে চলতি সালের ৬ই এপ্রিল হইতে সেক্টর ৬-এর উপ-সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করা হইল । পূর্বোল্লিখিত দুইজনকে হালের দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি পান করা হইয়াছে।।
২। এলাকা-চাম, পার্বত্য চাহিম এবং চট্টগাম বন্দী এলাকাসহ সমগ্র বেসামরিক জেলাসমূহ।।
৩। গলার ল -ভ্রাম । ৪। এতদ্বারা ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইনেয় ৮৬ এবং ১১৩ নং নির্দেশ বাতিল করা
১৩৭ নং আদেশ।
‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল টিক্কা খান, এস, পি, কে, পি। এস সি এতদ্বারা পিএ ৫৭ ব্রিগেডিয়ার এম, এম, এ, বেগ (অবসর প্রাপ্ত), প্রযত্নে হিগী। এন্ড কোং, স্পেনসার বিল্ডিং, চট্টগ্রাম-কে চট্টগ্রামে সামরিক আইন প্রশাসকের লিয়াজো অফিসার নিযুক্ত করিতেছেন। এই নিয়ােগ অবিলম্বে কার্যকরী হইবে।১১
________________________________________
৯ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক প্রশাসক ইয়াহিয়া খান নয়া সামরিক বিধি ৭৮ জারী করে সামরিক শাসকদের ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করেন। এই ক্ষমতাবলে সামরিক শাসকা বস্তুত যা খুশী তাই করার ক্ষমতা লাভ করে। সামরিক বিধিতে বলা হলো :
সামরিক আইনৰিথি ৭৮
১। প্রধান সামরিক প্রশাসক না কোন সামরিক প্রশাসক অথবা সামরিক প্রশাসকের পক্ষ হইতে অনুমোদন প্রাপ্ত কোন উপসামগ্রিক প্রশাসকের মনি কোন ব্যক্তিবিশেষ সম্পর্ক এই মর্মে প্রতি মিয়া থাকে যে, তাহা কোনরূপ রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কার্যকলাপ অথবা নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা না জনস্বার্থ বা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা জনংখলা, অন্য কোন দেশের সহিত পাকিস্তানের সম্পর্কে পাকিস্তানের যে কোন অংশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা অক্ষুন্ন রাখা বা অত্যাবশ্যকীয় সরবরাহ ও সা৬ি অক্ষুন্ন রাখার প্রয়ােজনে বিরত রাখা দরকার তবে তিনি এক আদেশ বলে।
(ক) অনুরূপ ব্যক্তিকে উক্ত আদেশ মােতাবেক উপরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত রুটে পাকিস্তান ত্যাগ করার নির্দেশ দিতে পারেন এবং তাহৰি পাকিস্তানে প্রবেশ দ্ধি করিয়া নিতে পাবেন।
(খ) নির্দেশ দিতে পারিবেন যে, তাহাকে আটক করা হউক।
(গ) নির্দেশ দিতে পারিবেন যে, সে অত্র আদেশে নির্ধারিত বিধিনিষেধ ৰা আদেশে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি অথবা কর্তৃপক্ষের দ্বারা নির্ধারিত হইবে এইরূপ বিধিনিষেধ সাপেক্ষে কোন শপ্ত ব্যতিরেকে পাকিস্তানের কোন বিশেষ এলাকায় থাকিতে পারিবে না। | (ঘ) তাকে আদেশ নির্ধারিত পাকিস্তানে কোন এলাকার মধ্যে বা কোন স্থানে। থাকিতে বা বসবাস করিতে অথবা আদেশ মােতাবেক নির্ধারিত কোন স্থানে না এলাকায় চলিয়া যাইতে বাধা করিতে পারবেন।
(a) তাহাকে আদেশে নির্ধারিত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের নিকট স্বীয় গতিবিধি জ্ঞাপন করতে ৰা হাজির হইতে অথবা গতিবিধি জ্ঞাপন এবং নির্দিষ্ট সময়ে এ উপায়ে হাজির হওয়া এ উভয়বিধ প্রকারে বাধ্য করিতে পারিবেন।
(চ) তাহার উপর চাকুৱা লা লালায় সম্পর্কে, অন্য ব্যক্তির সহিত সম্পর্ক বা যোগাযোগ সম্পর্কে এবং খবর প্রকার বা মতামত ব্যক্ত করার ব্যাপারে তদন্ত পৱত্ৰা সম্পর্কে আদেশ মােতানে নিখিনি যিশ আরোপ করিতে পারিবেন।
| (ই) আদেশ মােতাবেক তাহার উপর কোন দ্রব্য বা দ্রব্যসামগ্ৰী প্ৰাথা বা উহা বাবর সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞী বা বিধিনিষেধ আরোপ করিতে পারিবেন।
() অন্যথায় আদেশ মােতাবেক যে কোন বিষয়ে তাহার আচরণ নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন। বিধান দেওয়া যাইতেছে যে, (ক) ধারার অধীনে পাকিস্তানের কোন নাগরিকের বিরুদ্ধে আদেশ প্রদান করা যাইবে না। প্রধান সামরিক প্রশাসক ব্যতীত অপর কোন ব্যক্তি অনুরূপ আদেশ নিবেন না।
২। ১ম আলুক্ষেদের অধীনে কোন ব্যক্তির উপর কোন আদেশ জারী করা হইলে তাহাকে অত্র আদেশে নির্ধারিত বিধিনিষেধ ও শর্তাবলী পালনের ব্যাপারে জামানতসহ বা ব্যতীত মুলাে সম্পাদন করিতে হইবে।
________________________________________
৩। ১ম অনুঞ্জেলের অধীনে প্রদত্ত আদেশ লংঘনপূর্বক কোন ব্যক্তি যদি কোন এলাকায় বা স্থানে থাকেন অথবা কোন এলাকা বা স্থান ত্যাগে ব্যর্থ হন তবে কোন পুলিশ অফিসায় অথবা প্রধান সামরিক প্রশাসন না সামরিক প্রশাসক বা সামরিক প্রশাসকের পক্ষ হইতে অনুমােদিত উপসামরিক প্রশাসকের পক্ষে কর্তব্যরত কোন ব্যক্তি তাহাকে সেই এলাকা বা স্থান হইতে অপসারণ করিতে পারিবেন।
৪। এই বিধিবলে যে ব্যক্তিকে আটক করা হইবে তাহাকে এমন স্থানে এবং এমন অবস্থায় রাখা হইবে যাহাতে শৃঙ্খলা রক্ষা করিতে ও শৃংখলা ভঙ্গ করিলে শাস্তি পাইতে পারে। সময়ে সমধ্যে সামরিক আইন প্রশাসক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান সামরিক আইন।
শাসক কিংবা কোন সামরিক আইন প্রশাসন অথবা সহকারী সামরিক আইন প্রশাসক এই স্থান নির্ণয় করিতে পারিবেন।
৫। যুলি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক কিম্বা কোন সামরিক আইন প্রশাসক অথবা। এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কোন উপসামরিক আইন প্রশাসক বিশ্বাস করেন যে, যে ব্যক্তি সম্পর্কে (ণি কে এল) ধারার ১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন নির্দেশ জারী করা হইয়াছে এবং নির্দেশ হাতে কার্যকরী না হইতে পারে তাহৰি জনা আত্মগােপন করিয়া থাকে, তাহা।
(ক) উল্লেখিত ব্যক্তি যে প্রথম শ্রেণীর এলাকায় সাধারণভাবে বসবাস করিয়া থাকে তাঁহার নিকট একটি লিখিত রিপাের্ট দিতে হইবে এবং উহার পর উক্ত ব্যক্তি এবং তাহার সম্পত্তির বিরুদ্ধে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী আইনের ৮৭.৮৮ ধাৱা প্ৰয়ােগ করিতে হইবে। এ ক্ষেত্রে সংফি বাক্তিকে গ্রেফতারী পরর্বনায় পলাতক আসামী হলে গণ; করিতে হইবে।
(খ) বিজ্ঞাপিত নির্দেশে উল্লেবিত ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিরূপিত নির্দিষ্ট স্থানে হাজির হওয়ার আদেশ করিতে হইনে এনং উক্ত ব্যক্তি যদি এই নির্দেশ পালনে অসমর্থ হইয়া প্রমাণ করতে না পারে যে, এই পালন তাহার পক্ষে সম্ভব হয় নাই এবং সে যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অফিসারের নিকট হুকুম পালনের অসমর্থতার কারণ শু সে কোথায় ছিল শুহি আনা হতে অসমর্থ হয়, তাহা হইলে তাহারা ৭ বৎসর সশ্রম কারাদির নিদ্রা জরিমানা অথবা উভয়বিধ লপ্ত হইতে পারিবে।
৬। (ক) কোন নাকি এই বিধি অনুযায়ী কোন নির্দেশ ** রিলে তাহাকে ৫ বত্সরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা জরিমানা কি উকয়বিধ দণ্ড দেওয়া যাইবে।
(খ) অত্রবিধি অনুসারে কোন নির্দেশ ভঙ্গ করিয়া ২নং অনুপ্তেদ অনুসারে প্রদত্ত মুচলেকা বাজেয়াফত হয় তাহা হইলে উক্ত বালির বিচারের ক্ষমতাসম্পন্ন আদালত ও ব্যক্তির নিকট হইতে জরিমানা আদায় করিতে কিম্বা কেন জরিমানা দেওয়া যাইবে না, “জাহান কারণ দর্শাইতে এবং ২লি পর্যাপ্ত কারণ দর্শান না হওয়া ও জরিমানা না দেওয়া হয়, “তাহা হইলে আদালত ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী আইনের ধারা বলে যে উপায়ে উক্ত জরিমানা আদায় করিয়া থাকে, সেই ব্যবস্থা প্রয়ােগ করিতে হইবে।”১২
এ দিকে লেঃ জেনারেল টিক্কা খান প্রাদেশিক গভর্নর হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন ৯ এপ্রিল। সংবাদে বলা হলাে :
________________________________________
ঢাকা, ৯ই এপ্রিল।-লে: জেনারেল টিক্কা খান এস, পিকে আজ স্থানীয় গভর্ণমেন্ট হাউসে এক ভাৰণর অনুষ্ঠানে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন বলিয়া এক সরকারী হ্যান্ড আউটে উল্লেখ করা হয়। ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জনাব বি, এ, সিফিকী এস, পিকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সংগে সংগে জাতীয় পতাকা উতেনে করা হয়।
ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতিগণ, কুটনৈতিক সদস্যবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক অফিসারবৃন্দ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যােগদান করেন।১৩
অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকাৱেৱ পক্ষ থেকে বিভিন্ন কূটনীতিকের কাছে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে জানানাে হলাে ভারত পাকিস্তানে অরাজকতা সৃষ্টিতে উৎসাহ যােগাইতেছে। পত্রিকায় এ লকেলা হলাে :
করাচী, ৯ই এপ্রিল। -পাকিস্তান পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদল গত বুধবার এখানকার বিভিন্ন কুটনৈতিক মিশনের সদস্যদের ডাকিয়া পাকিস্তানের আস্তরীণ ব্যাপারে ভারতের হস্তক্ষেপের নিন্দাসূচক একটি সন্তাৰ হস্তান্তর
প্রতিনিধিদলের নেতত্ব করেন জনাব এম, আহম, ই এইচ জাফর। প্রতিনিধিদল বৃটেনের ওজপুটি হাইকমিশনার, ফরাসী কাউন্সিল জেনারেল, সােভিয়েট ইউনিয়ন, গণচীন, যুক্তরা, ইরান, তুরস্ক, পশ্চিম জার্মানী ও সিংহলের হাই কমিশনার ও ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনারের সহিত সাক্ষাৎ করেন। গতকল্য প্রতিনিধিদল ভারতেন। পাকিস্তান হামলার বিরুদ্ধে যে প্রস্তাব গ্রহণ করেন তাহার একটি করিয়া কপি বৈদেশিক সূতাবাস প্রধানদের দেওয়া হয়।
এবিল সমবেত কুট/তিকদের নিকট প্রারতের ক্ষমতা সম্প্রসারণের সমত নাতি ও পাকিস্তানকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনায় বিশ্ব ব্যাখ্যা
তাহা বলেন, ভারত পাকিস্তানে অরাজকতা ও সশস্ত্র বিপুৰ টির জনা যে উৎসাহ জোগাইতেছে ইহা ভবিষ্যতে ভারতের বিরুদ্ধেই বুমেরাং হইয়া দেখা দিবে। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুমুখো নীতি অনুসরণ করিয়া চলিয়াছে। পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করিয়া ভাৱত নির্লজ্জতাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলা চালাইয়াছে। প্রতিনিধিদল পাকিস্তানের অভ্যন্তর হইতে অবিলম্বে সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার ও পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ হইতে ভারতকে বিরত করার জন্য বৃহৎ শক্তিবর্গের প্রতি
প্রতিনিধিদল ভারতীয় হাইকমিশনার অফিসে গমন করিয়া মৌখিকভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের মনােভাবের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাহাৱা হাইকমিশন কর্মচারীদের পরিকল্পিত উপায়ে ভাবতে যে মুছলিম নিধন যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হইতেছে উহা বন্ধ করার ও তাদের জানমাল সংরক্ষণের আহবান জানান।
পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে তুরস্ক, ইরান, নয়া চীন ও সিংহল যে বন্ধুত্বসুলভ মবেভাবের পরিচয় দিয়াছে তজ্জন্য প্রতিনিধিদল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
________________________________________
ধ্বংসের খবর ভিত্তিহীন বলে দাবী করলাে। পত্রিকায় বলা হলাে :
| ঢাকা, ১৩ই এপ্রিল। একজন সরকারী মুখপাত্র আজ এখানে বলেন যে, বিবিসি কর্তৃক প্রভাবিত ঢাকায় হিন্দু এলাকা কংস করার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
মুখপাত্রটি প্রসংগত বলেন যে, সেনাবাহিনী সায়িক ও ধর্মীয় বই বিতর ছাড়াই দুষ্কৃতিকারী ও রাষ্ট্রবিরােধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছে।
| সেনাবাহিনী সংখ্যালঘু সদস্যগণ সহ সকল নাগরিকের জানমাল রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর বলিয়া মুখপাত্রটি পুনরুল্লেখ করেন।১৫।
অথচ আমরা জানি, সামরিক সরকারী মুখপত্রের এই দাবী যে কতো অসার তা কেবল ঢাকায় ২৫-২৬ মার্চ সংঘটিত ঘটনাবলীর উল্লেধই যথেষ্ট। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তার দোসরদের প্রধান টার্গেটই ছিলাে এ দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়।
যাহােক, ১৬ এপ্রিল তারিখের সংবাদপত্রে ‘সশস্ত্র বাহিনী ঠাকুরগা পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে, প্রতিরােধের সকল কেন্দ্র নিমূল করা হয়েছে’- এমন একটি সংবাদ পাওয়া যায়। সংবাদে বলা হয় :
পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী দিনাজপুরে আরও উত্তরে এগিয়ে গিয়ে ঠাকুর পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে। এর আগেই পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী দিনাজপুর থেকে সকল প্রতিরােধকারীকে বিতাড়ন করে।
| দিনাপুর ও ঠাকুরগায়ের মধ্যে প্রতিরোধের সকল কেন্দ্র নির্মূল করা হয়েছে এবং পুত্নে অঞ্চল এখন তিকণিী ও অনুপ্রবেশকারীদের কবল থেকে মুক্ত হযে%।
গণল বৃহস্পতিবার ঢাকায় পরিবেশক এই যুবরে বলা হয় যে, এদেশের অন্য সকল স্থানে চট্টগ্রাম, যশোর, খুলনা, কুমিল্লা, সিলেট, পাবনা, লালমণিরহাট, সৈয়দপুর, রংপুর ও রাজশাহীসহ অন্যান্য সকল গান শহর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাসকরা নিয়ণে। হয়েছে।
পেশাgণ অবশিষ্ট পকেটগুলােকে উপযুক্ততাৰে মোকাবিলা করা হচ্ছে।
এই অভিযানে গােলযােগপূর্ণ স্থানে সৈন্য ও সরঞ্জাম পরিবহগে পাকিস্তানী বিমানবাহিনী। অংশ নিয়েছিল। পিআইএ ফকার বিমান ও পূর্ব পাকিস্তানে স্বাভাবিক মাতস অপু দেখে ও খনই প্রয়ােজন মূল্যবান সহায়তা দান করেছে। উৰুকায়োগ্য যে, সকল প্রধান শহরে। ময় বিমান চলাঃল পুনরায় শুরু হয়েছে।’ | ১৮ এপ্রিল তারিখের পত্রিকায় চাকা ৪ নারাবগঞ্জ শহরে স্কুলসমূহ খােলার সময় তালিকা” শীর্ষক সংবাদ পাওয়া যায়। সংবাদে বলা হলাে :
সাকা, ১৭ই রাখল । Wাকা ও নারায়ণগঞ্জে সকল পর্যায়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিয়া আসায় যাক, ও নারকগঞ্জ শহরে অবস্থিত বিদ্যালয়সমূহ শিবর্ণিত সময় তালিকার মধ্যে পুনরায় খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে।
(ক) প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী ২৬ শে এপ্রিল সোমবার শিক্ষকগণকে কাজে
| (খ) ধাশকদের সেকভারী তুলসমূহ শিক্ষকগণকে আগামী ১লা মে শনিবার কাজে যােগদান করিতে হইবে। ছাত্রদের আগামী ৮ই মে শনিবার ক্লাশে যােগদান করিতে
________________________________________
(গ) বালিকাদের সেকেন্দরী স্কুল : আগামী ৮ই মে শনিবার শিক্ষকদের কাজে। যােগদান করিতে হইবে।
| ঢাকা বিভাগের শিক্ষা সংস্থার ডেপুটি ডিরেকটর তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ছাত্র ও শিক্ষকদের দৈনন্দিন হাজিরা পরীক্ষার উদেশ্যে একটি পরিদর্শক টিম। গঠন করিলেন। ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ মিউনিসিপ্যালিটির কর্তৃপক্ষ তাহাদের আওতাধীন প্রাথমিক বিন্যাল সমূহেও অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’১৭।
১৮ এপ্রিল এক বেতার ভাষণে প্রবাসীর প্রতি গভীর টিকা দান ঔনিলেন, “দেশপ্রেমিকদের করে কিছু নাই।’ তিনি আরাে বলেন, সুতিকাণী ও সমাজ বিরােধী ব্যক্তিদের আশ্রয় দেবো না।
লে, জেলে টিক্কা খান তার বেতাগা ভাষণে বললেন ;
দেশের বিচ্ছিন্নতা প্রতিরােধ এবং ভারতের দাসত্বের শুরুথলে ভ্রাবন্ধ হওয়া হইতে পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী তলব করা হইয়াছে।
অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগ এমন এক কাৰ্য্য ব্রত হইয়াছিল যাহার ফলে এই উপমহাদেশের মুছলমানগণ বহুতলের বিনিময়ে আবাসভূমি হিসাবে যে সেলটি অর্জন করে, উহা ॥ংস হইয়া যাইত। পাকিস্থান অর্জনে যাহারা নেতৃত্ব দান করিয়াছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সেই মুসলিম জনগণ আজ্ঞা পাখিস্তান |বিত রাখার জনা দাও। উলি আক্রমণাত্বক ও হৈ চৈ সৃষ্টিকারী সংখ্যালঘু অংশ জমিন ও সম্পত্তি নাশের হুমকি দ্বারা সংখ্যাগরিষ্ঠর কণ্ঠকে ব্যর্থ কার দেয়া। এই সংখ্যারই আওয়ামী লীগকে ধংসাত্মক কর্মপন্থা গ্রহণ করিতে বাধ্য করে। রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে অবৈধ ঘােষণা করা হইয়াছে। কিন্তু স্তান্ত অর্থ এই নয় যে, যাহাত্রা এই রাজনৈতিক দলের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাহাদের সকলেই জাতির ঐক্য ও সংহভির বিশেধী। যাহাৱা পাকিস্তানের মঙ্গল চাহেদা, তাহলের শুয়োর কোন কারণ নাই। দেশের ক্ষতি পূরণের কাজে। আগাইয়া আসিয়া অন্যান্যদের সহিত সহযোগিতা করা না আমি তাহাদের প্রতি আহবান জানাইতেছি।। দলত্যাগী সৈন্য ও পুলিশ।
সেনাবাহিনী, ইপিআর ও পুলিশ বিভাগের কিছু কিছু ব্যক্তি কর্মস্থল পবিত্যাগ। করিয়াছেন। ইহালের মধ্যে ছুটি ভোগকারী কিছু ব্যক্তি এখনও কাজে যোগদান করেন নাই । পরিবার পরিজনদের দুশ্চিন্তায় কিছু ব্যক্তি কর্মস্থল পরিত্যাগ করিয়াছেন। কিছু কিছু ব্যক্তি তাহাদের অসুখ, উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের, যারা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির অভিলাষী, কুমন্ত্রণায় বিধাপ্ত হইয়াছেন। যাহারা দুস্কৃতিকা ও দেশের শুরদেনা সংসর্গ পরিহার করা নিকটস্থ সামরিক বাহিনীতে কাজে যোগদান করবেন বর্তমান অবস্থার কথা বিবেচনা করিয়া তাহাদের সহানুভূতি সহিত গ্রহণ করা হইবে। এই সুযােগ গ্রহণ যার জন্য আমি কাহানের উপদেশ পান কতিকেজি। অন্যথায় তাজিন্সের সম্পূর্ণভাবে ধংস করা হইবে। সরকারী কর্মচারী
১লা মার্চ হইতে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত সরকারী কর্মচারীরা কলে যোগদান করিতে পারেন নাই। কারণ এখন তাহাদের ও পরিবার পরিজনদের জীবন মারাত্মক হুমকির সম্মুখ ছিল। যে অবস্থায় মুখে তাহাৱা কায় যােগদান হইতে নিরও ছিল আমি তাহা
________________________________________
সম্পূর্ণভাবে উপলবধি করি। বর্তমানে যেহেতু দুষ্কৃতিকারী ও ফ্যাশীপীদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হইয়াছে এবং, দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করিতেছে, তাহাদের পূর্ণ আন্তরিকতার। সহিত ভয়জতি পৱিহার করিয়া জাতিৰ মেৰায় আত্মনিয়ােগ করা উচিত। দুষ্কৃতিকারীদেৱে আশ্রয় দিবেন না ।
| দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং আইন ও শলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ অনুপ্রবেশকারী। লুকতিকাৱা এ সমাজবিরােধা ব্যক্তিদের ধ্বংস করার জন্য প্রতি। এই সকল বাক্তিকে আশ্রয় না দেওয়ার জন্য আমি জনগণের প্রতি আ্যান জানাইতেছি,। অন্যথা তাহারা নিজেও ক্ষতির সম্মুখীন হইতে পারেন। আমরা চাই যাহাতে জানমালের কোন প্রকার। ক্ষতিসাধন না হয়। কিন্তু কিছু সংখ্যক দুস্কৃতিকারী বিভিন্ন বাড়ী ও শহরে আশ্রয় গ্রহণ করা মাসের শোবাহিনীকে এমন কাজ করিতে বাধ্য করছে অহয় ফলে নিরপরাধ ব্যক্তিরাও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হইতে পারেন। দুষ্কৃতিকারীরাই ইহার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। তাহাদের আশ্রয় দিবেন না। আপনাদের বাড়ী ও এলাকা হইতে তাহাদের ভাড়াইয়া দিন। খাদ্য পরিস্থিতি
| দেশের খাদ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি বিশেষভাবে উদ্বি! রহিয়াছি। দেশে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য সার উলামজাত রহিয়াছে এবং আরও প্রচুর খাদ্য আসিতেছে। কিন্তু কোনও কারণে ঘড়ি আসিয়ায় সম্মননাহ, ব্যাহত হয় তাহা হইলে দেশে সাধারণ মানুষ। মারাত্মক দূরবস্থার সখীন হইবে। দুস্কৃতিকারীরা যাতে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে বাধার সৃষ্টি কনিতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখা নগণের অবশ্য কর্তব। এই ব্যাপারে আমি। প্রত্যেকের পূর্ণ সহযােগিতা কামনা করি।
পরিশেষে জনগণকে আমি এই আশ্বাস দান করিতে চাই যে, দেশপ্রেমিক জনগণের সক্রিয় সহযােগিতা লাভ করিলে দেশের সশস্ত্র বাহিনী আইন ও শলা পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব পালন করিয়া দেশকে রক্ষা করতে সমর্থ হইবে।
এপ্রিল মাসের তৃস্টীয় সপ্তাহে ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক শাসক ২৬ এপ্রিলের মধ্যে ৫ জনকে সেনা কপক্ষের কাছে হাজি হওয়ার নির্দেশ জারা রে। নিশে তলার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের জবাব দেবার জন্য বলা হয়। পত্রিকায় এ সম্পর্কিত সংবাদে।
‘খ’ অঞ্চলের সামরিক শাসনক্ষষ্ঠ লে: জে: টিকা খান ঢাকা, নাকেরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহের পাচ ব্যক্তিকে আগামী ২৫শে এপ্রিল সকাল ৮ ঘটিকায় কাস্থ মিহীয়। রাজধানীতে এক নম্বর সেকটরের সামরিক আইনের সাব-এডমিনিস্ট্রেটরের নিকট হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামরিক আইনবিধি ও সামরিক আদেশ অনুধ্যায়ী আনীত কতিপয় অভিযােগের জবাব দানের জন্য তাদের হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তার হাজির হতে ব্যর্থ হলে এম এল আর = ৪০ অনুযায়ী তালের অনুপস্থিতিতেই বিচার করা হবে।
| গতকাল মঙ্গলবার পি আইডির এফ হ্যাণ্ড আউট এই খবর পরিবেশন করা হয়। যে পাঁচ ব্যক্তিকে হাজির হওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন :
১. তাজুদ্দিন আহমণ, ৫১, ধনিমণ্ডি আবাসিক এলাকা, সাত মসজিল কােড, ঢাকা। ২. তােফায়েল আহমদ, মা- কোৱালিয়া, পোঃ- খৈয়ার হাট, জেলা- বাকেরগঞ্জ। ৩, এস, এম, নজরুল ইসলাম, লাল শিমুল, পোঃ = কাম্পানি, লাে
মৰা নাই। ৪, আবদুল মান্নান, মনসুর লি, ১১০, সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা। ৫. আকিলুর রহমান, স্বত্বাধিকারী, দি পিপল, ঢাকা।
উপরােক্ত ৫ ব্যক্তিকে পাকিস্তান গণ্ডবিধির ১২১, ২২৩ ক, ১৩১ ও ১৩২ নং ধারা এম এ আর ৬, ১৪, ১৭ ও ২০ এ এম এল ‘খ’ অঞ্চলে ১২৪ নং এবং ১২৯ নং ধারা নালে আনীত অণ্ডিকােগোর জবাব দিতে হবে। এদের সকলের বিরুদ্ধে এই সব খারা বলে অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৫নং অভিযুক্তকে (আবিদুর বহমান) ‘আ অঞ্চলে এম সালের ১১৭ ১১৯ নং ৰায়ণ সাথে পঠিত এম এল আর ১৯ নং ধারা বলে আনীত অভিযােগের জবাব দিতে হবে।’
এ দিকে পূর্ব পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ বন্ধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবী করলাে সেনা কর্তৃপক্ষ। এপিপি জানালাে :
“পাকিস্তান সশস্ব বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানেৱ পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায়। তাদের অবস্থান আরাে সুসংহত করেছে এবং প্রতিবেশী ভারতীয় বাঙ্গাসমূহ থেকে আরাে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সীমান্তসমূহ, সুদৃঢ়ভাবে সুরক্ষিত করা হয়েছে।
চারদিন আগের সামরিক কার্যক্রমে কুমিল্লা এলাকার প্রাক্ষণবাড়িয়া ও আখাউগ এবং কুষ্টিয়া এলাকায়। চুয়াজাল ও মেহেরপুর অফিতে আসার পর এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকাগুলো আৰুত্ব আনার পর সশস্ত্র বাহিনী এই সকল এলাকায় মুফতিকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের খাদ বা আ লাে উদ্ধার করেছে এবং অধিকাংশ দুস্কৃতিকাৰী ও অনুপ্রবেশকারীদের নির্মূল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কতিপয় লােক অল্প পিছনে ফেলে ভারতীয় এলাকাবা আশ্রয় নিয়েছে। নালিী নােন্তার মিথ্যার ঐতিহ্য আজায় রেখে বিরােধী ব্যক্তিগণের হাতে চুঞ্চিাঙ্গা ও কসবা পুনর্দখলের অলীক কাহিনী প্রচার করে আসছে।
| অনুরষ্টীয় % কােন অঞ্চকে bয়ী হলেঞ্চারীদের বিলাশ বলে ঢাকায় সরকারীভাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং উল্লেখ কী হয়েছে, যে সেনাবাহিনী কওঁক আয়াস্ত্রে আনার পর এই সকল এলাকা তাপের সুদৃঢ় নির্যন্ত্রণ রয়েছে। নয়াrিgী বেঞ্জার সিলেট বিমান ক্ষেত্র সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করে আসছে এবং অনবরত এটাকে শালুটিকর নিমাক্ষের মলে আজয়িত করা হচ্ছে।
| ঢাকায় সরকারীভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বিনানকে মিলেট বিমানকে বল পরিচিত এবং এটাকে অন্য যে কোন নামে। আখ্যায়িত করা ভুল হবে যেমন ভুল হবে ভার৫ে এর প্রদেশকে যুক্ত দেশ আখ্যায়িত
ঢাকায় আরাে বলা হয়েছে যে, সিলেট বিমান বন্দর সই সেবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে এবং পি আই । ঢাকা থেকে এই বিমান বন্দরে নিয়মি# Wাইট চালিয়ে আসছে, ‘২০।
________________________________________
এক সরকারি হ্যান্ড আউটে ‘ঢাকা আবার কম মুখ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়া আলিয়াছে’ বলে দাবী করা হলাে। পত্রিকায় বলা হলাে :
ঢাকা, ২১শে এপ্রিল-ঢাকায় স্বাস্তবিক অবস্থা ফিরিয়া আসিয়াছে। ঢাকায় বসবাসকারী সরকারী, আধা সাকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কারণ কাজে যােগদানের উদ্দেশে। পুনরায় ঘিনে প্রত্যাবর্তনের পর শহরের উনপলগুলি আজাব মুখরিত হইয়া উঠিয়াছে। বাস, প্রাইভেট মােটর, রিক্সা ৪ ফুটারগুলি আসী বােঝাই অবস্থায় গন্তব্যস্থলে যাতায়াত। করিতেছে বলিয়া আজ এক সরকারী হ্যান্ড আউটে বলা হইয়াছে।
মৎস, শাকসবজী, ডিম, দুধ ইত্যাদিসহ বিপুল পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য বাজারে আমদানী হইতেছে। খাদ্য দ্রব্য ও অন্যান্য নিত্য প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র বােঝাই বহু ট্রাক ও গরুগাড়ী শহরের রাস্তায় চলাচল করতেছে। প্রত্যই ঢাকার শ্যামবাজার, সদরঘাট, মাদারটেক . অন্যান্য পাইকারী বাজারে বহু নৌকা বাই শাকসঙ্গী, মৎস, দুধ ইত্যালি আসিয়া পেীছিতেছে।
হাত আটট আরও বলা হইয়াছে যে, বিভিন্ন ধরলে শাকসব্জী ও নত}পরোঞ্জনীয়। দ্রব্যাদির মূল্য পিনের পর দিন স্বাভাবিক পর্যায়ে আসিতেছে। বাজারে বড় ধরনের সজ। যেমন আলু ও টমেটো প্রচুর সরবরাহের ফলে বেশ সস্তা দামে বিক্রয় হইতেছে।”২৯
d দিকে সেনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশের পর আরও কর্মচারী কাজে যোগদান করেছে। বলে সরকারিভাবে দাবী করা হলো। ‘আজাদ’ পত্রিকায় এ সম্পর্কে বলা হলো :
ঢাকা, ২১ শে এপ্রিল’= সামরিক আইন কর্তপক্ষের নির্দেশের পর আজ এখানে। আরও সরকার বিভাগ, জাইবোটে, স্বায়ত্বশাসিত ও আধা-স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মচারী লজে যোগদান কহিছে।
তাহাদের কেহ পদব্রজ, ট্রেন, বাস, কোচ, স্কুটার, রিক্সা, ষ্টীমার, লঞ্চ, ফেয়ী ও নৌকা যোগ কাজে যােগদানের জন্য আগমন করে।
| গোলযােগকালে তাহারা তাহাদের পূহে চলিয়া গিয়াছিলেন এবং প্রধান গােলযােগ। ব্যবস্থার আংশিক বিচ্ছিন্নতার দরুণ তাহাদের কাস্থলে প্রত্যাবর্তন করতে অক্ষম। হইয়াছিলেন। আজ সকালে বৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও অফিসগারা বাস স্টজে এড় জমান এবং সড়কসমূহে, সকল প্রকার বেসরকারী যান চলাচলের ফলে শহরটি ব্যস্তৱপ ধারণ করে।
ক্রমাগত আঙ্গাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়া আমাৰ ফলে ব্যাংক, ইসুরেন্স কোম্পানি । অন্যান্য সার্ভিস এজেন্সী সুষ্ঠানে কাজ করিতেছে এবং শহর ও শহরগুলাতে আর। লোকানপাট, হােটেল ঐ দেখোৱা খুলছি।
ব্যবসায়িক কাজে ও জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রবাপি সংগ্রহে জনগণ সকল দিকে চলাফেরা করিয়াছেন। জাকঘর ও টেলিগ্রাফ অফিসে বহু সংখ্যক ব্যক্তিকে দেখা গিয়াছে।
আজ বাজারগুলােতে আরও কেনাবেচা চলে । ৰাজাৱে দিন দিন চাউল, ডাল, এগ্রিকালী, ফল, ডিম, মাছ ও গোশিতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাইতেছে। অপরাহে, বহু ব্যক্তি তাহদেৱ আৰ হইতে বাহির হইয়া আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বান্ধবের গুদে বেড় হতে যান। এ সিনেমা দর্শক সান্ধ্য শোতে ভিড় জমান এবং রমনা পার্কের চিলড্রেন করে নিজরা। আনন্দ এবং কলরবে মাতিয়া উঠে।
________________________________________
এ দিকে এক সরকারি প্রেসনােটে গুজব সৃষ্টিকারীকে ধরিয়ে দেবার আহ্বান জানানাে
| জাকা, ২৮ শে এপ্রিল। রেডিও পাকিস্তানের এক ঘােষণায় আজ বলা হইয়াজে পূর্ব পাকিস্তান সরকার এই মর্মে এক প্রেসনােট জারী করিয়াছেন যে, শান্তি প্রিয় নাগরিকদের মনােৰল নষ্ট করা ও বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে কিছু সংখ্যক সমাজ বিরােধী ব্যক্তি দূরভিসন্ধিমূলকভাবে নানা রূপ মিথ্যা গুজব রটনা করিয়া বেড়াইতেছে। সরকারী প্রেসনােটে বলা হইয়াছে যে, প্রদেশে বিশেষ করিয়া ঢাকায় পূর্ণ শান্তি বিরাজ করিতেছে। সরকারও শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্র বিধানে বদ্ধপরিকর। এমতাবস্থায় দুস্কৃতিকারীদের মিথ্যা প্রচারণায় কর্ণপাত না করার জন্য জনসাধারণকে আহবান জানান ইয়াছে।
সরকারী প্রেসনােটে এই সৰ মিথ্যা গুজৰ সৃষ্টিকারীর নামধাম কর্তপক্ষের গোরীভূত করার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহবান জানান, হইয়াছে। সরকার এই ধরনের গুজব সৃষ্টিকারীকে কঠোর শাস্তি প্রদান করিবেন বলিয়া এশতেহারে উল্লেখ করা হইয়াছে ।২৩
আবারো ঢাকায় পূর্ণ স্বাভাবিক শ্ৰবস্থা বিরাজমান’ বলে দাবী করা হলাে। আজাল’ তবেদনে বলা হলাে :
ঢাকা, ২৪শে এপ্রিল ঢাকা শহরে স্বাভাবিক অবস্থা ও শান্তি আন্ধ্যাহত রহিয়াছে। শহরে স্বাভাবিক অবস্থা পুনরায় ফিরিয়া আসায় আরও বহু ব্যক্তি নগরীতে প্রত্যাবর্তন অব্যাহত হয়ছে। ফলে খারাপ আবহাওয়া সত্ত্বেও শহরের অভ্যন্তরে ও আশে পাশে নিপনিক ও আবাসিক এলাকায় আজ কর্ম ব্যস্ত জীবন পরিলক্ষিত হয়।
শহরে আরও অধিক দোকান পাট খুলিয়া গিয়াছে এবং সড়ক ও নৌী যানবাহন ব্যবস্থার আরও ®য়নের ফলে খালা সুৰা ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের চাহিদা পূরণ করা হইছে ।
বাজাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ মৎস্য, মাংশ ও টাটকা শাকসৰজা আমদানী হইতেছে এবং বাজারে ক্রেতাদের ভীড় মাখকে বৃদ্ধি পাইতেছে। কৰ্মৰাপ্ত দােকান মালিকগণ যেমন “তাহাদের বিয়ের হার বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট রহিয়াছে ক্রেতা সাধারণ তাহাদের চাহিদা মত পণ্য পাইয়া সন্তোষ প্রকাশ করিতেছেন।”২৪ |
এ সময় সামরিকজাস্তা ১৪৮ নম্বর সামরিক বিধি জারী করে।
এ দিকে পাজান্তা ২৬ এপ্রিল এক ঘােষণায় ঢাকাস্থ ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশন বন্ধ করে দিলাে। এ সম্পর্কে পত্রিকায় বলা হলাে :
ইসলামাবাদ, ২৫ শে এপ্রিল। জনৈক সরকারী মুখপাত্র এখানে প্রকাশ করেন যে, অন্য মধ্যাহ্ন ১২টা হইতে ঢাকাস্থ ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশন বন্ধ করিয়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত মােমত্র সময় পাকিস্তান সরকার এই তারিখে ভারতীয় মিশন বন্ধ করিয়া দেওয়ার শেষ দিন নির্দিষ্ট করেন।
মুখপাত্র বলেন যে, ভারত সরকার কলিকাতায় নবনিযুক্ত পাকিস্তানী ডেপুটি হাইকমিশনার জনাব মেহদী মাসুদকে প্রয়ােজনীয় সুযােগ-সুবিধা দানে ব্যর্থ হওয়ার দরুনই পাকিস্তান সরকার ঢাকায় ভারতীয় কমিশন ও কলিকাতায় পাকিস্তানী ডেপুটি হাই কমিশন বন্ধের জন্য ভারতকেই পুরােপুরিভাবে দায়ী বলিয়া গণ্য করেন।
________________________________________
ভিয়েনা কনভেনশন লংঘন করিয়া জনাব মেহদী মাসুদের প্রতি যে ব্যবহার করা হইয়াছে, তাহাতে পাকিস্তান সরকার গুরুতর মনোভাব পোষণ করেন।
আর এক সংবাদ মীরপুর ও মােহাম্মদপুর এলাকায় সমাজ বিৰােধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা-গৃহীত হসেছে বলে সরকারী ঘোষণায় বলা হলাে। পত্রিকা জানালো :
‘ঢাকা, ২৮ শে এপ্রিল। – পি, আই, ডি, কর্তৃক প্রচাৱিত এক হ্যাভ আউটে বলা হইয়াছে যে, আজ সকালে ঢাকা শহরের মীরপুর ও মােহাম্মদপুর এলাকায় কিছু সংখ্যক সমাজ বিরােধী লােক হয়রানি, অগ্নি সংযোগ ও লুঠতরাজে লিপ্ত।
আইনানুগ নাগরিকদের নিরাপত্তা ও শান্তির নিশ্চয়তা বিধানের জন্য কর্তব্যরত সেনাবাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ফলে ৭ জন গোন্ডা নিহত ও ৪৫ জন গ্রেফতার হইয়াছে।
ভবিষ্যতে এই ধৱানের কার্যকলাপ ৰন্ধের উদ্দেশ্যে সামরিক আদালতে তাহাদের বিচার হইবে এবং আদর্শ শাস্তি দেওয়া হইৰে।’
সান্ধ্য আইনের মেয়াদ আরাে শিথিল করার সংবাদ জানা যায় আজাদ’ পত্রিকার ২৯ এপ্রিল সংখ্যায়। সংবাদে বলা হয় :
ঢাকা, ২৮ শে এশি। – সামরিক আইন সম্পর সফর সের = ১ হইতে প্রচারিত এক প্রেসনােট কলা হইয়াছে যে, জাকায় বলবৎ, সান্ধ্য আইনের মেয়াদ আজ হইতে আরও শিথিল রা হইয়াছে।
প্রেসনােটে বলা হইয়াছে যে, নয়া সময়সূচী হিসাবে রাত্রি সাড়ে দশটা হইতে শ্লোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত সান্ধ্য আইন বলব, থাকিবে।
মসজিদে প্রাতঃকালীন নামাজ পাঠে মুছল্লীদের সুবিধার জন্য সান্ধ্য আইনের মেয়াদ আরও শিখিল করা হইল বলিয়া প্রেসনােটে উল্লেখ করা হয়।
এ দিকে পাক সেনা প্রধান লে: হামিদের কতিপয় এলাকায় সেনা ইউনিটসমূহ পলিন’ শীর্ষক সংবাদ পাওয়া যায় দৈনিক আজাদ পত্রিকায়। সংবাদে বলা হলাে :
“ঢাকা ২৯ শে এপ্রিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান মােমেনশাহী, যশোর ও খুলনা এলাকায় দুইদিন ব্যালী লক্ষণে পর আজ। অপরাহ্নে ঢাকায় ফিরিয়া আসেন।
এই সফরে পূবালায় কমান্ডের কমান্ডার এবং জি ও সিও হার সহিত ছিলেন।
জেনারেল হামিলকে এইসব এলাকার কতিপয় স্থান দেখান হয়, যেখান হইতে দুতিকারী, রাষ্ট্রবিরোধী ব্যক্তি ও অনুপ্রবেশকান্ত্রীদের নিশ্চিহ্ন করা হইয়াছে। এখানকার স্থানীয় কমান্ডারগণ তাহাকে স্ব স্ব এলাকায় উচ্ছেদ অাওনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়া অবহিত করনি।
ইহা ছাড়া তাঁহাকে যশাের সীমান্তের নিকট পলায়নরত ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের। পরিত্যক্ত কি ভারতীয় অস্ত্রশল এবং গুলি গােলাও দেখান হয়। এই গুলির মধ্যে কলিকাত্তা হইতে প্রেরিত ঔধপত্রের একটি চটের বস্তা রহিয়াছে। এই বস্তুটি আসলে গুলিগোলায় ভর্তি ছিল।
জেনারেল হামিদকে জানান হয় যে, দুস্কৃতিকারীরা এখন হতাশায় ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে। কোন ৰূপ প্রতিরােধ চালানাের পত্রিৰষ্ট্রে তাহাৱা জান লইয়া পলায়ন করিতেছে। কারণ
স্থানীয় লােকজনে সমর্থন তাহার হারাইয়াছে এবং সীমান্ত দিয়া অনুপ্রবেশের পথও কঞ্জ হইয়া গিয়াছে।
সেনাবাহিনীর চীফ অন ষ্টাফ প্রত্যেক ষ্টেশনে সৈনদের সহিত আলাপ কবেন এবং দেখিতে পান যে, তাহারা বেশ প্রফুল্ল রহিয়াছে। তিনি তাহাদের খাদ্য ইত্যাদির ব্যবস্থা দেখেন এবং কুশল জিজ্ঞাসা করেন।’
| পাক বিমানবাহিনী প্রধানের ঢাকা ত্যাগের সংবাদ পাওয়া যায় ১মে তারিখের সংবাদ পত্র। সংবাদে জানানাে হলাে; | “চা, ৩০শে এপ্রিল। = পাকিস্তান লিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল এ. রহিম। খান ৩ দিন ব্যাপী পূর্ব পাকিস্তান সফর আস্তে আঞ্জ করাঠার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ।
| এখানে অবস্থানকালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ইমিট ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।*২৯ | ‘সেনাবাহিনীর তৎপরতা পর্যবেক্ষণকক্ষে জেনারেল হামিদ খান উত্তরবঙ্গ সফর করেন। পত্রিকায় এ সক্ষত্রে বিস্তারিত বিবৱণ দিয়ে জানানো হলাে :
| ‘ঢাকা, ৩০শে এপ্রিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হাখিল খল অলা পূর্ব পাকিস্তানের উওরাঞ্চলে মােতায়েন স্যোদলের মধ্যে এক কর্মব্যস্ত দিন যাপন করেন।
এই সময়ে ইষ্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার এবং জি, ও, সিও হাৰ সহিত থাকেন।
উত্তরাঞ্চল সফরে তিনি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন এবং এই সফণ্যপদেশ নাটোর, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁয়ে অবতরণ করেন।
প্রত্যেক স্থানে তাহাকে দুষ্কৃতিকারী, বিরােধী ও ভাৱতীয় অনুপ্রবেশকারীলিশকে নির্মূল করার ব্যাপারে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা বুঝাইয়া দেওয়া হয় ।
তাহাকে জানানাে হয় যে, পাকিস্তানী সেনাবাহিনী পশ্চিম সীমান্ত বন্ধ করিয়া দিলে রাষ্ট্রবিরোধীদের হৃত মনােবল জিয়াইয়া রাখার উদ্দেশ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তের পরপর হইতে পাকিস্তানী এলাকার মধ্যে কামান ও মর্টারের গােলাবর্ষণ শুরু করে।
ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী ও রাষ্ট্রবিরােধীদের ধন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হইলে স্থানীয় কমান্ডার জেনারেল হামিদকে জানান যে, তাহারা লানতঃ সেনাবাহিনীর চলাচল পথে ৰাধার সৃষ্টি করিয়া থাকে। কিন্তু এই ৰাধা অপসারণ করার সাথে সাথেই অনুপ্রবেশকারী ও তাহাদের সহযোগীরা বিশেষ কোন প্রতিরোধ ছাড়াই প্রান্তে দৌড়াইতে থাকে। সময়। সময় ত্বরিত বেসামরিক পোশাক পরিণ করিয়াও তাহারা তাহাদের প্রাণ রক্ষা করে। বিমানে এক স্থান হইতে অপর স্থানে গমনা গমন কালে তিনি পল্লী এলাকায় চাষীদিগকে হাল চাষ ও অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে নিয়ােজিত থাকিতে দেখেন।
কতিপয় শহরে তিনি মােটয়ে ভ্রমণ করেন এবং প্রথায় স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য লক করেন। স্থানীয় কমান্ডারগণ কেবেলকে জানান যে, পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এই এলাকায় পেীছর পূর্বে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীলল সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহর হইতে কয়েক লক্ষ টন খাদ্যশস্য লইয়া যাম ও একমাত্র দিনাজপুর হইতেই, তাহারা প্রায় ৩ লক্ষ টন চাল ও গম লইয়া যায়।
________________________________________
ইহা ছাড়া তাহাদের সহিত সহযােগিতা করিতে অস্বীকার করিলে, ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীগণ দেশ পরশী জনগণের উপর যে অত্যাচার। করে জেনেফার নিক) ইরঞ্জ কলি দেওয়া হয়।
প্রত্যেক স্থানে জেনারেল হামিদ সেনাবাহিনীর যােনিদের সহিত দের সুখসুবিধা সম্পর্কে আলাপ করেন। অপরাহ্নে জেনারেল হামিদ বিমানে ঢাঝা প্রত্যাবর্তন করেন।”
‘পাকিস্তান ও ভাতের মধ্যে ফাকা ও কলিকাতার কুটতিকদের স্বদেশ প্রেরণ প্রশ্নে সমঝােতার গজনা” শীর্দকি সংবাদ পাওয়া যায় ১মে ৩ [রিখের সংবাদপপল। ‘আজাদ।
নয়াদি, ৩০শে এপ্রিল। ঢাকা এবং কলিকাতা হইতে কূটনীতিকদের স্বদেশ। প্রেণের প্রশ্নে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শীঘ্রই একটি রফা হইতে পারে বলিয়া আশা করা যাইতেছে।
| কুটি ওকাদের স্বদেশ প্রেরণের প্রায় অচলাবস্থা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে গত মঙ্গলবার। ভারত পাকিস্তানের নিকট যে প্রস্তাব পেশ করিয়াছিল, পাকিস্তানের নিকট হইতে এখনও তাহার উত্তর পাওয়া মৰা নাই।।
গুয়াকেফহাল মহল হইতে বা হয় যে, পাকিস্তানের নিকট হইতে এই উত্তর আসিয়া পেীছিলে, এই সমস্যার একটি সমাধান হইতে পারে। সম্ভবতঃ আগামীকালই এই উন্ন আসিয়া লেছিৰে। গত সােমবার ঢাকায় ভারতীয় মিশন এবং কলকাতায় পাকিস্তানী অফিস বন্ধ রিয়া দেওয়া হয়।
দশদিন পূর্বে বাংলা দেশ” মিশন হিসাবে মিলন খলকারী পাকিস্তানী কূটনীতিক দিগকে স্বদেশ প্রেপের জন্য ভাৰাক্ত পাকিস্তানের দাবী প্রত্যাখ্যান করে এবং এই বিষয়টিই এই বিরোধে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কূটনীতিকদিগকে কোন পথে স্ব স্ব দেশে। ফেৰত পাঠানাে হইবে, সে ব্যাপারেও পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে মতবিরোধ রহিয়া। গিয়াছে। ভারতীয় কর্মচারীদিগকে কাঠমুভূয় পথে ও পাকিস্তানী কূটনীতিককে সরাসরি করাচী শ্রেরণ করা সম্পর্কে পাকিস্তান ভারতের নিকট সে প্রস্তাব করিয়াছিল, ভারত তাহ: পাখিনি করিয়াছে।
সংঘাত বিক্ষুব্ধ পূর্ব পাকিস্তানে ক্রমশঃই পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় স্থাপথে ঢাকা হইতে ৮০ মাইল দূরে ভাঙ্গায় সীমান্তে লইয়া যাওয়া সম্ভব হইতে পায়ে।
গত সােমবার পাকিস্তানা কুটনাতকদের দেশ ত্যাগের উপর বাধা নিষেধ আরােপের ফলে উশুয় দেশের মধ্যে যে উত্তেজনার জাৰ সৃষ্টি হইয়াছিল অদা তাহা জাম পাইয়াছে বলিয়া অনুমিত হইতেছে।
নৈক পাকিস্তানী মুখপাত্র বলেন যে, মিঃ আচাৰ্য প্রত্যাবর্তন করলে স্বদেশ প্রেরণ সম্পর্কিত আলােচনা চি-রী অথবা ইসলামাবাদে অনুখি হইবে, তাহা জানার জন্য জনাৰ লাল হয়লা অলা ভারতের পররাষ্ট্র দফতরে গমন করেন।
হাইকমিশনগুলি যাহাতে তাহাদের স্ব স্ব রাজধানীর সহিত যােগাযােগ রক্ষা করতে পারে, তাহার জন্য তিনি শিল্পী ও ইসলামাবাদের মধ্যে এটলিফোন লাইন সর্বক্ষণ চালু বাজার দাবী জানান।
ইসলামাবাদে তরফ হইতে এই প্রধান আসায় এই বিষয়ে একটা মতৈকে পেীছার ব্যাপারে পাকিস্তানের আগ্রহই প্রমাণিত হইতেছে। মুখপাত্রটি বলেন যে, কলিকাতায় একটি পুলিশ রেষ্ট হাউসে ৪৮ ঘটা অস্বরিণবিদ্ধ থাকার পর বর্তমানে তাহাকে শিল্পী হাইকমিশনে টেলিফোন করার সুযােগ দেওয়া হইয়াছে।
শুবন্ত পাকিস্তানের শর্তাবলী মানিয়া না লইলে চাকায় ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারকে প্রদত্ত সুযােগ-সুবিধা পুনর্বিবেচনা করার সম্ভাবনা ছিল।
প্রসঙ্গত বলা প্রয়ােজন যে, কলকাতায় পাক ডেপুটি হাইকমিশনার এম. হোসেন আলীর নেতৃত্বে প্রায় সকল কর্মকর্তা কর্মচারী পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগ কত্রে বাংলাদেশ সকালের প্রতি তাদের আনুগত্য ঘােষণা করায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। কলকাতার হাইকমিশন অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উওোলন করা হয় এবং এই অফিসই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ দিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চীফ অণ ঃ জেনারেল আবদুল হামিদ খান ১মে সকালে পূর্ব পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সের সদর দফতর পরিদর্শন করেন । ইপিসিএএফ-এর মহাপরিচালক সেনা প্রধানকে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত করেন ৩২।
এ সময় সামিরক আইন কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে অননুমােদিত গৃহাদি অপসারণের নির্দেশ দান কালাে। পত্রিকায় বলা হলাে : | “ঢাকা, ১লা মে, সামরিক আইন কর্তপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান হইয়াছে যে, মহাখালী নেলগুয়ে লেভেল ক্রসিং হতে পুরাতন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে ষ্টেশন (কুর্মিটোলা) পর্যন্ত রেললাইন ও ঢাকা ময়মনসিংহ ডি আই টি রােডের মধ্যবর্তী ধাৰতীয় অনুমােদিত গৃহ-কাঠামাে ১৯৭১ সালের ৫ই মেনের মধ্যে অবশ্যই অপসারণ করিতে
উপরােক্ত নির্দেশ মােতাবেক সাধারণ উহা অপসারতে ব্যর্থ হইলে আগামী ১০ই মে-ৰী মধ্যে সরকার নিজস্ব এজেন্সর মাধ্যমে এগুলি অপসারণ কৱিলেন।’
এ দিকে সামরিক আইন কর্তৃপক্ষ কঠোর হশিলী উচ্চারণ করে জানালে কৃষিকাজে বাধা দেওয়া জানে না। সংবাদে বলা হলো :
ঢাকা, ১লা মে। সামরিক আইন কর্তপক্ষ আজ এখানে হুশিয়ার করিয়া দিয়াছেন যে, কেহ যদি চাষীদের হয়রানি করে বা স্বাভাবিক কিমে বাধা দেয় তবে তাহাদের বিরুদ্ধে নকঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে। দুতিকারীরা জান্ধীদের বােরাে ধান কাটায় এনং আউশ ও পাট চাষে বাধা দিতেছে এই মর্মে কতিপয় এলাকা হইতে খবর পাওয়ার পর এই দুশিয়ারী দেওয়া হইল।
প্রতীয়মান হয় যে, দুতিকার ও সমাজ বিৰেী ব্যক্তি বা প্রদেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত কলার এবং সাধারণ মানুষের জন্য সর্বঙ্গে প্রকারে দুগ সৃষ্টি করার প্রয়াস পাইতেছে। উহারা প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের পাটের বাজারে প্রতিযোগিতা হইতে পূর্ব পাকিস্তানকে হটাইয়া দেওয়ার ভারতীয় চক্রান্ত বাস্তবায়নে হাতিয়ার হিসাবে কাজ করিতেছে।।
কর্তৃপক্ষ চাষীদের পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস প্রদান পূর্বক পৱামর্শ নিতেছেন যে, তাহার যেন অনুরূপ হয়রাণীর খবর নিকটবর্তী সামরিক আইন সদর দফতর বা আইন প্রয়োগকার সংস্থার নিকট পৌছাইয়া দেন।’
________________________________________
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব পাকিস্তানে ছয়টি বেতার ষ্টেশনই চালু রহিয়াছে” বলে। সরকারিভাবে জানানাে হলাে। সংবাদে বলা হলাে :
| ‘ঢাকা, ২ মে। আর এখানে মৱাৱীভাবে জানান হয় যে, পূর্বাঞ্চলে রেডিও পাকিস্তানের দুটি ষ্টেশনই স্বাভাবিকভাবে চালু রহিয়াছে এবং স্বাভাবিক সংখ্যক অফিসার ও কর্মচারী সমবায়ে এগুলি কাজ করিতেছে।
পূর্ব পাকিস্তানের দুয়টি ষ্টেশনের মধ্যে কেবলমাত্র ঢাকা ষ্টেশনটি চালু রহিয়াছে বলিয়া নয়াদিল্লী বেতারে য়াহ] প্রচার করা হইয়াছে উহ্য চিরাচরিত মিথ্যা প্রচারণার আর একটি নিদর্শন বলিয়া জনৈক সরকারী মুখপাত্র উল্লেখ করেন।
উক্ত মুখপাত্র বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙশাহী, খুলনা, রংপুর ও সিলেট ষ্টেশন শুধু যে চালু রহিয়াছে তাহা নহে, এগুলির ধাক্স জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলীর বিষয় শ্রোতাদের যথার্থভাবে জানান হইতেছে।
পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল হামিদের সিলেট সফরের সংবাদ জানা যায়। দৈনিক আজাদ পত্রিকার ৩ মে সংখ্যায়। সংবাদে বলা হয় ।
| ‘ঢাকা, ২রা মে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান আজ পি, আই, এ-এর একটি ফুকার বিমানযােগে সিলেট গমন করেন। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক এবং জি.ও. সি এই সফত্রে তাহার সহিত ছিলেন।
| চা অন যক্ষের তথায় পৌছয় স্থানীয় মাত্রায় সিলেট অঞ্চলের রাষ্ট্র বিরোধী ও অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদের বিস্তারিত বিবরণ অবহিত করান। জেনারেল হামিদকে জানানাে হয় যে, ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা প্রধানতঃ শোলা, হেমু ও ছাতক রুট ধরিয়া প্রবেশ কয়ে। উহাদের উদ্দেশ্য ছিল ব্যাট্রিবিৰোধী ব্যক্তিদের সহায়তায় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলাে উড়াইয়া দেওয়া। কিন্তু তথায় নিয়ােজিত পাক ফৌজের যথাসময়ে হস্তক্ষেপের ফলে হেমু ও ছাতকে শিল্প প্রতিনিলি উড়াইয়া দেওয়ায় | ব্যর্থ হইয়া যায়। উহাদেয় মেশিনগান, মর্ট, ইফেল ইত্যাদিসহ প্রচুর অগ্র-শস্ত্র ও গোলাগুলি শীক ফৌজ হত্বগত হইয়াছে। এই সকল অস্ত্রশস্ত্র, জারতীয় অস্ত্র কারখানার সুস্পষ্ট ছাপ জেনারেল হামিদকে দেখানাে হয়।
‘তাহাকে আরও বলা হয় যে, ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্তবর্তী শহরগুলি হইতে প্রচুর পরিমাণে পেট্রোল ও খাদ্যশস্য লইয়া গিয়াছে। পাকিন্তানী সৈন্যদের পেীছাৱ পূর্বে একে হেমু হইতেই তাহারা কমপক্ষে ১০ হাজার গ্যালন পেট্রোল সরাইয়া ফেলে।
জেনারেল হামিদ এই সফরে ওয়ানদের সহিতও ঘরােয়াভাবে আলাপ করেন। তিনি ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী ও রাষ্ট্রবিরােধী ব্যক্তিদের নিশ্চিহ্ন করার ব্যাপারে আস্থাশীল ও বদ্ধপরিকর দেখিতে পান। তিনি আজ অপরাহ্নে পুনরায় ঢাকায় ফিরিষা আসিয়াছেন।
সামরিকজান্তার গভর্নর লে, জেনারেল টিক্কা খান ৩ মে বরিশাল ও ফরিদপুর সফর করেন। সফরকালে কানাডার হাই কমিশনার সি, জে. মূল গভর্নরের সঙ্গে ছিলেন। খায় এ দিনই ঢাকা নিয়ে আসেন।
এ দিকে সেনা সরকার যে সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়েছে বলে দাবি হরে তার তালিকা নিয়ে সকলকে ক্লাসে যােগদানে পুনরায় নির্দেশ প্রদান করে। সংবালে বলা হলাে :
________________________________________
| Uকা, ৩ ব| মে, সরকারী সিদ্ধান্ত মােতাবেক ১৯৭১ সালের ২৬ শে এপ্রিল হইতে নিলিখিত প্রতিষ্ঠান সমূহে নিয়মিতভাবে ক্লাস শুরু হইয়াছে।।
১। ইনষ্টিটিউট অব পোষ্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন ঢাকা। ২। প্যারা মেডিকেল ইনষ্টিটিউট মহাখালী, ঢাকা। ৩। মাতৃসদন ও শিশু মঙ্গল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আজিমপুর, ঢাকা। ৪। সেবিকা প্রশিক্ষণ স্কুল মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা। ৫। সেবিকা প্রশিক্ষণ স্কুল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, ঢাকা।
৬। যে সকল ছাত্র এখনও ক্লাসে যােগদান করেন নাই তাহাদের ক্লাসে যােগদান করার জন্য মিলেশ দান করা হইয়াছে বলিয়া স্বাস্থ্য বিভাগের এক প্রেস শহরে জন্য যায়।”
এদিকে সামরিক আইন প্রশাসক সাত ব্যক্তিকে সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রাণান্ত রে। কাকে বলা হলাে :
“ঢাকা, ৩ মে। ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক প্রশাসক ও ব্যক্তিকে ঢাকায় ফিীয় বালানীস্থ সেগর- এর মাল ল* সাব-এমিনিস্ট্রেটমের নিকট পাকিস্তান দত্ত বিধির ১২১, ১২৩, ১৩১ এবং ১৩২ ধারা এবং ১০ নং ১৪ নং সামরিক বিধির অধীনে তাহাদের সকলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে বাংলা গানের জন্য ১৯৭১ সালের ১০ই মে বেলা ৮ ঘটিকায় উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ লিয়াছেন।
| এই সকল ব্যক্তিদের ৩ জনকে পাকিস্তান দণির ২৪৪ ধারার অধীনে হাসেন বিরুদ্ধে আনা আমেখি সম্পর্কেও জবাব কাম করিতে হইবে। ম =যুক্ত ব্যক্তিগণ হইতেছে ; ১। এ, এস, এম আবদুল বারক, পিতা-আব্দুল বারিক, চান্দ জাঙ্গালিয়া, পাে: রামগতি,
জেলা নােয়াখালী। ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডাকু, ইকবাল হল, ঢাকা। ২। আবদুল কুসুস ওরফে মাখন, পিতা-মােহাম্মদ আব্দুল আলী, মুড়াইল, থানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জেলা-কুমিতা সাধারণ সম্পাদক, ডাকসু, ইকবাল হল। ৩। নুরে আলম সিদ্দিকী, পিতা-নুরুন্নবী সিদ্দিকী, কিনাইদহ যশাের ই পি এস এল
এন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, ইকবাল হল, ঢাকা। ৪। শাহজাহান সিরাজ, পিতা-মৃত আবদুল গণি মিয়া, টাঙ্গাইল শহর (সাধারণ
সম্পাদক) ই, পি, এস. এল, ইকবাল হল, সাল। ৫। খাইরুল ইমাম ওরফে খসরু, পিতা-সৈয়দ মােহাম্মদ কাইয়ুম আলম, ১৯
(পুরাতন) এবং ২৩ (নুহন) পল্টন। ৬। মােস্তফা মোহসান ম, পিতা- মৃত ঘােতিল জান্নান, ৩০২ এলিফ্যান্ট রােজ
ঢাকা, ৭। সলিম মােহসিন- পিতা- মৃত ঘােতিল জাহান , ৩০২, এলিফ্যান্ট রােড, ঢাল।।
উপরােক্ত ব্যক্তিদের কেহ যদি উপরােল্লিখিত তান্নিখ ও সময়ে উপস্থিত হইতে বাখ হয় তাহা হইলে ৪০ নং সামরিক বিধির অধীনে তাহাদের অনুপস্থিতিতে শ্রাহ্যদের বিচার অনুষ্ঠিত হইবে।’৩৮
________________________________________
এ সময় সেনা সরকার মিলাদুন্নমুণী উপলক্ষে ৬৬ ঘন্টা @ সান্ধ্য আইন ইত্যাহার করার কথা ঘােষণা করে। সংবা বলা হয় ।
“ঢাকা, ৪ঠা মে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আগামী শুক্রবার তোর সাড়ে চারটা হইতে ৬৬ ঘন্টার জন্য সাজা আইন প্রত্যাহার করা হইয়াছে। উল্লেখযােগ্য যে, আগামী ৮ই মে ঈদে মিলাদুন্নবী উৎসব পালিত হইবে।
আগামী ৯ই মে রবিবার রাত্রি সাড়ে দশটা হইতে পুনরায় সান্ধ্য আইন বলবৎ থাকিবে বৃদিয়া এক প্রেস এশতেহারে বলা হয়।
ঈদে মিলাদৰী পালন উপলক্ষে সভা, সেমিনার, সিম্পােজিয়াম ও শোমাত্র কন্নান জন্য সামরিক শাসন কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি লাগবে না। অবশ্য সভা ও শােভাযাবার সময়, স্থান ও পথ পূর্বাহ্নেই সামরিক কর্তৃপক্ষে গোচরীভূত করিতে হইবে।’
“প্রমেশের ডাক ও তার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বলেও পত্রিকায়। দাবী করা হয়? ‘আজাল’ প্রতিবেদক এ সম্পর্কে জানান : ‘রাজধানী শহর ঢাকার সহিত প্রদেশের বিভিন্ন শহর ও মফঃস্বল এলাকায় ডাক ও তার যােগাযোঙ্গ শুরু হইছে। মে সব এলাকার সহিত এখনও ডাক ও তার যোগাযোগ – হয় নাই সেইসব এলাকার সহিতও কিছুদিনের মধ্যেই যােগাযােগ স্থাপিত হইবে বলিয়া আশা করা যাইতেছে। বর্তমানে দেশের বিল্পি স্থান হইতে চিঠি-পত্র, টেলিগ্রাম এখানে। পাওয়া যাইতেছে। এথি নারায়ণগঞ্জ হইঞ্চে #bাম, সাপ ভক্তি স্থানে টমার সান্সি চলিতেছে। সুদূর লেকা সম্পূপ হইছেও চিঠিপত্র পাওয়া যাইতেছে বলিয়া বিভিন্ন লােকের নিকট হইতে খবর পাওয়া গিয়াছে। এছাড়া চট্টম, সিলেট প্রভৃতি স্থান হইতেও চিঠিপত্র পাওয়া যাইতেছে বলিয়া বিভিন্ন লােকের নিকট হইতে খবর পাওয়া গিয়াছে। ডাক ও তার নিভাঢ়োর বিভিন্ন ক্ষেত্রের কাজ-কর্ম যথারীতি চলিতেছে। তাছাড়া ঢাকা হইতে চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকার সহিত পূর্ব হইতেই টেলিফোন যােগাযােগ চালু রহিয়াছে। খবরে প্রকাশ, ঢাকা-চট্টগ্রাম সরাসরি যোগালােগ ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, কুমিল্লা, চাঁদপুর, জয়দেবপুর, নরসিংদী, মিরকান্দীম, মানিকগঞ্জ, বরিশাল ও ফরিদপুরে ট্রাঙ্ক যােগাযােগ চালু রহিয়াছে। অন্যান্য স্থানেও অনতিবিলম্বে ট্রাঙ্ক যোগাযোগ চালু হইবে বলিয়া আশা করা: যাইতেছে।”
| ১নং সেক্টরের উপ-সামরিক আইন প্রশাসকের সদর দফতর প্রাদেশিক পরিষদ। চেম্বাসে স্থানান্তর করার সংবাদ পাওয়া যায় দৈনিক আজাদ’ পত্রিকায়। সংবাদে বলা হলো :
“ঢাকা, ৫ই মে। সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের ১নং সেক্টরে উপ-প্রশাসকের সদর দফতর দ্বিতীয় রাজধানী হইতে এয়ারপাের্ট রােৱে মৰমনসিংহ, রো®) প্রাদেশিক পরিষদ চেম্বাসে স্থানান্তরিত করা হইয়াছে বলিয়া আজ সরকারীভাবে ঘােষণা করা হইয়াছে।
আগামী ৭ই মে (শুক্রবার) হইতে এই সদর দফতরের কাজ শুরু হইবে।। অবশ্য ইহার ফলে ১নং সেক্টরের বর্তমান টেলিফোন নম্বরের কোন পরিবর্তন হইবে
________________________________________
এ সময় লে. জেনারেল এ. এ, কে নিয়াল সিলেট সফর করলেন। সফরকালে ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার নিয়াজী সমস্ত এলাকার কর্তৃত্ব আরাে সুদ করার নির্দেশ দেন হনায় সেনা কমাজারকে। এ বিষয়ে সংবাদে বলা হলাে : | “
হণ করে কমার লে: জে: এ, এ, কে, নিয়াজী গত রবিবার সিলেট এলাক সফর করেন। তিনি সিলেট পৌছলে সেনাবাহিনীর স্থানীয় কম্যাঙ্গার তীকে অভ্যর্থনা জানান এবং পরে এ এলাকায় দুষ্কৃতিকারী নির্মূল অভিযানের অগ্রগতি ভাঁকে অবহিত করেন। তাকে জানানাে হয়, সীমান্ত পর্যন্ত সশ্ন এলাকায় সেনাবাহিনী তল্লাশী ও গ্রেফতার অভিযান চালায়। এলাশটি পুরােপুরি তাদের আয়ত্বে রয়েছে।
হনীয় কমার বলেন যে, রাষ্ট্র বিরােধী লােকজন ও ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের সীমান্ত সন্নিহিত গোপন আ লােতেও অভিধান চালানাে হচ্ছে। দেশপ্রেমিকরা খেলদালিত হয়ে এসব গােপন আসা সম্পর্কে যথাযথ অবর নিচ্ছে। তারা রাষ্ট্রবিরােধী ব্যক্তি ও ভারীয় অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় নেয়নি।
জেনারেল নয়াজ মােটরে হেনুতে যান। এই স্থানটি সিলেট শহর থেকে ১৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত ভারতীয় অপ্রবেশকারীদের প্রবেশ পথ বন্ধ করার জন্যে কই এলাকায় যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তিনি তা পরিদর্শন করেন। সীমান্ত এলাকাটিতে কর্তৃত্ব আরাে ? করার জন| তিনি ওখানেই আদেশ দেন।
| গ্রাম এলাকার মধ্য দিয়ে পনের মাইল ব্যাপী ভ্রমণকালে জে: নিয়াজী দেখেন যে, চাষীরা বােরাে ধান কাটছে এবং অকির ল চরছে, মাঠে। মিলিও সিলেট শহরের মত শপ্ত। হেমু থেকে ফেরার পথে তিনি সিলেট বাজানাের মধ্য গিয়ে আসেন। বাজারের পরিবেশ স্বাভাবিক। জে; নিয়াঞ্জ বিকালে ঢাকায় ফিরে আসেন।৪২ আওয়ামী লীগ ২৬শে মার্চ স্বাধীন বাংলা ঘােষণার পরিকল্পনা করিয়াছিল” শিৰোনাম সংবাদ প্রকাশিত হয় ৭ মে তারিখে। আওয়ালপিজি এক সরকারি মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে পত্রিকা জানালাে ;
বেআইনী ঘােষিত আওয়ামী লীগ ২৬শে মার্চ প্রত্যুষে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ লজত আমি ও সুশাস্ত্র অথানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছিল বলিয়া পাকিস্তান সকালের একজন সরকাৰি মুখপাত্র আর এখানে তথ্য প্রকাশ করেন। পূর্ব পাকিস্তান। পরিথি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ| সম্বলিত এক বিবৃতিতে মুখটি বলেন যে, পশ্চিম পাকিস্তানের সহিত সেনাবাহিনীর আকাশ ও সমুদ্র পথকে বিচ্ছিন্ন করিয়া দেওয়ার জন্য ঢাকা এবং, চাম দখলের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হইয়াছিল কিন্তু প্রেসিডেন্টের আহবামে সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগের নির্ধারিত সময়ের মাত্র কয়েক ঘন্টা পূর্বে অর্থাৎ ২৫শে ও ২৬শে মার্চের মধ্যরাত্রে অভিযানে বাহির হয় এবং কয়েক দফা ভূরি আক্রমণ চালাইয়া wংসের হাত হইতে দেশকে রক্ষা করে।
তিনি আরও বলেন যে, এই সময় ১২টি পশ্চিম পাকিস্তানী ব্যাটেলিয়ানসহ মােট ১৮টি ব্যাটেলিয়ান দ্বারা গঠিত এক ডিভিশন সৈন, কুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক হইয়া চাকা ক মেন্ট হইতে দেশের অভ্যন্তরে ছড়াইয়া পড়ে এবং ভারতীয় সীমান্ত বরাবর অবস্থান গ্রহণ করে।
ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী, পূর্ব পাকিস্তান রাইফেল ও ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট হইতে পলাতক ব্যক্তিগণ এবং অন্যান্য সাহায্যকারী বাহিনীর লােকের মটর, রিকয়েললেস,
________________________________________
রাইফেল ও ভারী ও হালকা মেশিনগান লইয়া ঐক্যবদ্ধ হয়। সীমান্তের অপর পার হইতে উপরােক্ত অস্ত্রশস্ত্র উদারভাবে বিদ্রোহীদের সরবরাহ করা হয়। এই সময় আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্নতার কাজ চলিতে থাকে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের সকল প্রণে ব্যর্থ হওয়ায় প্রেসিডেন্ট তখন স বাহিনীকে তাহাদের কর্তব্য পালন এবং সরকারের পরিপূর্ণ কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার আহবান জানান।
২৫শে ও ২৬শে মার্চের রায়ে জগন্নাথ হল হইতে মটার বশ এবং ২৫শে মার্চের রাত্রে মাত্র ৩ ঘন্টার মধ্যে শহরের সর্বত্র ব্যারিকেড সৃষ্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দুই পরিকল্পনা ও উত্তম সংগঠনের প্রমাণ পাওয়া যায় বলিয়া বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
মুখপাত্রটি একটি আপােষ মীমাংসায় উপনীত হওয়ার জন্য শেখ মুজিবের সহিত আলােচনা অনুষ্ঠানের জন্য প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টার কথা এবং শেখ মুজিবের সহিত একটি মীমাংসায় উপনীত হওয়ার উদ্দেশ্যে পশ্চিম পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতাসহ একের পর এক পশ্চিম পাকিস্তানী নেতাদের পূর্ব পাকিস্তান সঞ্চলের কথা উল্পেখ।
কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রধান “গ্রহণ কর অথবা ত্যাগ কর”-এই নীতি কঠোৱাৰে আহণ করিয়া আলাপ আলােচনার সকল পথ রুদ্ধ করিয়াছেন।
একটি অখও দেশের মধ্যে থাকিয়া স্বায়ত্বশাসন লাভের সর্বাধিক ব্যবস্থা বলিয়া নির্বাচনের পূর্বে শেখ মুজিব ৬ দফার যে ব্যাখ্যা দান করিতেন তাহা হইতে সরিয়া গিয়া পরবর্তীকালে তিনি কনফেডারেশন পৰিী এবং মাসী কায়দায় চক্রাপ্ত ও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে উহা অর্জনের যে ভূমিকা গ্রহণ করেন মুখপাত্র উহার যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা পান করেন।
জাতীয় পরিষদে শাসনত প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি গ্রহণযােগ্য চলা উদ্ভাবন কল্পে বিভিন্ন পলের নেতাদের মধ্যে আলােচনা অনুষ্ঠানের সুবিধা প্রদানের জন্য জাতীয় পরিষদের অনশন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার ঘােষণায় আওয়ামী লীগ প্রধান ব্যাপক আইন অনান, আন্দোলন শুরু করলেন। হাবর পর নারকীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়, তা মস্তিায় নামিয়া অগ্নিসংযােগ, খুন, বলাৎকার ও লুটপাটে লিপ্ত হয়।
৭ মে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত এক ভাষণে প্রেসিজেন্ট জেনারেল আগা মােজিদি ইয়াহিয়া খান আবাসভূমি পাকিস্তানের হেফাজতে আয়োগের জন্য জাতির প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, “আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র পাকিস্তান এছলামে গৌরব হিসাবে একটি অমর তিস্ত। ইহা চিরস্থায়ী থাকিবে। আল্লাহর বাণী ও মহানবীর আদর্শ অনুযায়ী আমাদের জীবনধারা গড়ে তোলা এবং দুষমনের হামলা হইতে নিজেদের রক্ষার উদ্দেশ্যে একটি আশ্রয়স্থল হিসাবে আমরা ২৩ বৎসর পূর্বে যে আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা করিয়াছি তাজা রক্ষার জন্য আসুন আমরা আত্মনিয়োগ করি। পাকিস্তান বর্তমানে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থার মধ্য মিয়া আসর হইতেছে। পাকিস্তানের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করিয়া মােনাজাত করার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
এ দিকে পাকিকানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবদুল হামিদ খান বার দিনব্যাল পূর্ব পাকিস্তান সফর করে ৮ মে রাওয়ালপিন্ডি ফিরে যান।
এ সময় সেনা কর্তৃপক্ষ সংবাশপত্রের প্রতি কঠোর মশিয়ারী উচ্চারণ করে ৭৭ নং সামরিক বিধি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করে। সংবাদে বলা হলাে :
________________________________________
রাওয়ালপিন্তি, ৭ই মে, এক সরকারি প্রেসনােটে বলা হইয়াছে যে, গত ২৬শে মার্চ পর্যন্ত দেশের সংবাদপত্রগুলি প্রকৃতপক্ষে সম্পূর্ণ বাক স্বাধীনতা ভােগ করিতেছিল। ঐ সময় হইতে দেশে উদ্বেগজনক জরুরী অবস্থার উদ্ভব ঘটে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পালটাইয়া যায়। জাতি আজ এক মহাসংকটে নিপতিত হইয়াছে এবং সবকিছুকে এই সংকটের নিয়ে স্থান দিতে হইবে। পরিস্থিতির অধিকতর অবনতি রােধের উদ্দেশ্যে সরকার ৭ নং সামরিক বিধি জারী করিয়াছেন। ইহাতে পাকিস্তানের সংহতির পক্ষে ক্ষতিকর এবং জনগণের মধ্যে ভীতি ৰা হতাশা সৃষ্টি বা পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের লােকদের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি কহিবে এমন কিছু ছাপা ও প্রকাশ করা নিষিদ্ধ করা হইয়াছে। এই বিধিতে সেন্সরশীপের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দল বা নেতার প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করিতে পারে এমন রাজনৈতিক তৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করারও ব্যবস্থা করা হইয়াছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করিয়া প্রায় সবগুলি সংবাদল এই খবর ও মত প্রকাশের ব্যাপারে সময়ে চি গংঘমে পরিচয় দিচ্ছে।
অনশ উরগেনর সহিত লক্ষ্য করা যাইতেছে যে, কতিপয় সংবাদপত্র এমােন আধিত্ব উনি হাশের ন্যায় আচরণ করিতেছে তাহা জাতির স্বার্থের পরিপ।
অভিযােগ, পাল্টা অভিযোগ, রাজনৈতিক বিতর্ক এবং জনমনে তিতা সৃষ্টি করার মত দ্বায়িত্ত্বজ্ঞানহীন লেখা পুনরায় শুরু হইয়াছে। উত্তেজনা হ্রাসের পরিখে ইহা পরিবেশকে দূষিত করিয়াছে। ইহা এমন এক সংকট মুছতে ত্রিীয় এক ক্ষুন্ন করতেছে যখন স্বাভাবিক অবস্থা ফিরাইয়া আমার জন্য সকল লােকের এক বান্ধ প্রয়োতন। কাহাকেও এই প্রচেষ্টা নিম্নত করিত্রে দেয়া হইবে না।
ম চালানাে | বর্তমান সংকটের অবসানের সংগে সংগে সংবাদপত্রের নিহণ ব্যবস্থা শিথিল । হইবে। কিন্তু তাহার পূর্ব পর্যন্ত অক্ষরে অক্ষরে ৭৭ নং বিধি মানিয়া চলিতে হইবে। সংশপত্রলি সব সময় এই বিধি মোতাবেক নিয়ােজিত সেন্সরশীল কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে তাহাদের শৈখ সন্দেহ দূর করিয়া লইতে পারে। কিন্তু এই বিধি লংকান নকৰিলে তাহাদের শাস্তি পাইতেই হইনে।৬।
সেনা সরকারের বিশেষ উদ্যোগে প্রদেশের সর্বত্র যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে মিলুবী উদ্যাপন করা হয়। দৈনিক আলি প্রতিবেদক এ প্রসঙ্গে লেগেন ; | ‘গত শনিবার সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যালৰাি সহিত ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়। এই উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদে মিলাদ মাহফিল, সিরাত মাহফিল এবং মহানবীর জীবনী ও আদর্শ সূর্বে সিম্পােরিয়ামের আয়োজন করা হয়। মসজিদে মসজিলে ও মিলাদ মাহফিলে পাকিস্তানের ওপরবরি জন্য মােনাজাত করা
ঈদে মিলাদুন্নী উপলক্ষে ঢাকা টেলিভিশন এবং রেডিও পাকিস্তানে ঢাকা কেন্দ্র হইতে মহানবীর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়।
| প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকা শহরে বিশেথ কর্মসূsীর মাধ্যমে ঈদে মিলালুন্নবী উদযাপন করা হয়। গত শুক্রবার দিনগত রাত্রে মহল্লার বিভিন্ন মসজিদে সবিনয়ে খতমের আয়ােজন করা হয়। নজরুল একাডেমী, এছলাম একাডেমী, পাকিস্তান কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রামানিক সংস্থার মিলনায়তনে হযরত মুহম্মল (সঃ) এর জীবনী ও আদর্শের উপর আলােচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সরকারী ও আধা সরকারী অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সওদাগী সংস্থাসমূহ বন্ধ রাখা হয়। সকল সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উল্লোলন করা হয়। সন্ধ্যায় আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়। সিরাত কমিটি ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্ৰীয় সিদরাত কমিটি তিনদিন ব্যাপী কর্মসূচী পালন করিতেছে। গত শনিবার অপরাহ্নে বায়তুল মােকারম মসজিদে কেন্দ্রীয় সিতি কমিটির উদ্যোগে প্রথম সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের দুইটি পৃথক অধিবেশনে মওলানা আলাউদ্দীন আল আজহারী, মাওলানা শামসুদ্দীন কাসমী, মওলানা মনতাছির আহমদ রহমানী ও অধ্যাপক গােলাম আজমসহ বিল্মি পণ্ডিত ব্যক্তি মহানীর জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বস্তা করেন। মওলানা সৈয়দ আল মাদানী সেমিনারের উত্তোলন রুবেন এবং সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক গোলাম আজম।
গতকাল রবিবার বিকালে কার্জন হলে মহানবীর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। নবাব বিচাপতি বাকের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এবং দ্বিতীয় অলিলেশনে জাগতিত্ব করেন জনাব আলল জলার খনি। এই সেমিনারে বক্তৃতা করেন। ডক্টর মােস্তাফিজুর রাহমান, অধ্যাপক গােলাম আজম, ব্যারিষ্টার আমার উদ্দিন, অধ্যাপক। আবদুল গফুর ও কট্টর হাবিবুয়াহ প্রমুখ। আজ সােমবার বিকালে জন হলে দলে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শিল্পাত কমিটি কর্তৃক আয়ােজিত তৃতীয় এবং শেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হইবে। সেমিনারের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করিবেন। অধ্যক্ষ মােহাম্মদ জালাল উদ্দিন এবং দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করিবেন জনাব এ কিউ এম শফিকুল ইসলাম। যাব মুরগি, অক্টর মােহর আ*সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ইহাতে বকুজা করিবেন। নজরুল একাজেমী নজরুল একাডেমীতে আয়োজিত সিম্পাে9ি4ামে জনাৰ বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ এব্রাহাম খান মহানবীর জীবনী ও আদর্শ অনুশানোর আহবান জানান। সিম্পোজিয়ামের পর একাডেমীতে নাতে রসুল অনুষ্ঠিত হয়।
শাকিস্তান শান্তি ও কল্যাণ পরিষদের বিভিন্ন শাখা। বিশেষ কর্মসূচীর মাধ্যমে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করে।”
এ দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেনা সৱকাৱ ট্রেনিংগ্ৰহণৰত শিক্ষকদের স্কুলে ফিরে। যাওয়ার নির্দেশ দিল। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলো :
‘ঢাকা, ৯ই মে প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ১৯৭০-৭১ সেসনে বি এড, এম, এ, ও নি, পি, এ কোর্সে অধ্যয়নরত মহাপের ফাইনাল পরীক্ষা অদ্যাবধি অনুষ্ঠিত হয় নাই)শিক্ষক, নিয়ােগকৃত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে জানানাে হইয়াছে যে, তাহারা যেন অবিলম্বে নিজ নিজ স্কুলে বা অফিসে ফিরিয়া গিয়া কাজে যােগদান
অবশ্য পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তক ফাইনাল পরীক্ষার তানিশ ঘোষণা। করা হইলে তাহারে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হইবে বলিয়া একি সরকারী প্রেস করে বলা হয়।’
________________________________________
কর্মচারীদের অফিসে যোগদান প্রসঙ্গে সামরিক আইনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় দৈনিক আজাদ’ পলিকার ১১ মে সংখ্যা। পত্রিকায় বলা হয় :
টাকা, ১০ই মে। ১৯৭১ সালের ২১শে এপ্রিলের মধ্যে ঢাকাতে এবং প্রদেশের অবশিষ্ট এলাকায় কোন বিশেষ অঞ্চল সামরিক বাহিনী কর্তৃক মুক্ত করার ১০ “পন পর সহকারী, আধা সরকারী, আধা স্বায়ত্ত্বশাসিত ও আয়ত্ত্বশাসিত অফিসের সকল কর্মচারীকে নিজ নিজ বিকাপে কাজে যোগানের রিপাের্ট করার নির্দেশ দেওয়া হইয়াছিল বলিয়া সামরিক আইন দফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হইয়াছে। সামরিক আইন বিধান সম্পর্কে কিছুটা সন্দেহ দেখা দিয়াছে বলিয়া মনে হইতেছে। নিম্নে ইহার পরিস্কার বাখ্যা দেওয়া হইল।
নির্ধারিত তারিখের পর নিলম্বে কর্মচারীদের যােগালানের ব্যাপারটি প্রত্যেকের ক্ষেত্রে
গুলার এওয়ে বিবেচনা না হইবে। বিলম্বে যোগদানের বেলায় ন্যায়সঙ্গত কারণ দেখান হইলে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না। তবে আন্দোলন অথবা রাষ্ট্র বিরােধী কার্যকলাপের সহিত জড়িত ব্যক্তির সামরিক আইনবিধি/ সামরিক আইন আদেশ অনুযায়ী বিস্তার রা হইবে।”৪৯ যশাের সীমান্ত ফাড়িসমূহে গুলীবর্ষণ, ভাৰত অন্তৰ্থাতীদের হামলা চালাইতে বাধ্য করিতেছে’ শীর্ষক সংবাদ পাওয়া যায় একটি জাতীয় সৈনিক পত্রিকায় ১২ মে সংখ্যায়। সংবাদ দাতা জানালেন। | যশাের, ১১ই মে, সীমান্তের ওপার হইতে প্রেরিত ৭ সর্বপ্রকার সাহায্যপুষ্টি সশস্ত্র ভারতীয়গণ ও অস্থায়ী ব্যক্তিরা যশাের সেক্টরে পাকিস্তান সীমান্ত লংঘন ও বিভিন্ন সীমান্ত ফাড়ির উপর গুলিবর্ষণ করিতে কলিয়া? পিপি’র লিশে #তিনিধি মােহিয়া আফজাল খান জানাইয়াছেন এই সকল হামলার একটি সাধারণ পদ্ধতি হিসাবে ভারত কর্তৃক প্রেরিত এই সকল ব্যক্তিরা প্রথমে বেশ কিছু সংখ্যায় সীমান্তবর্তী পাকস্তানী মামসমূহে কিয়া পড়ে। তারপর কয়েক মিনিট খালি মটার ও মেশিনগানযােগে গােলাবর্ষণ করিতে থাকে। অতঃপর পাকিস্তানী সৈন্যগণ প্রত্যুওরে গোলাবর্ষণ শুরু করামাত্র তাহাৱা সরিয়া পড়ে। কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনী অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্যার্থে সীমান্তের ওপার হইতে গােলাবর্ষণ করে।
অনুপ্রবেশকারীদের অপর একটা উদ্দেশ্য হইতেছে পাকিস্তানী এলাকা হইতে খাদ্যশস্য সংহ। ‘তাহর! রাতের অন্ধকারে চুপিসারে পাকিঝনা গ্রামে ঢুকিয়া পড়িয়া গ্রামবাসীদের গান-চাউল ও আটা বলপূর্বক নাড়িয়া লইয়া যায়।
পত সপ্তাহে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চৌগাছস্থ টহলদার বাহিনীটি মছলিয়ার নিকট একদল অনুপ্রবেশকারীর সহিত উর তথা সংঘর্ষে বৃত্ত হয় । প্রায় ২শত অনুপ্রবেশকারী উক্ত স্থানে সুইটি পাকিস্তানী গ্রামে প্রবেশ করিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করিয়াছিল। | এই গ্রাম দুইটির একটিতে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ প্রস্তুতির লক্ষণাদি দেখিতে পাওয়া যায় । ভারতীয় অস্ত্রসজ্জিত ভারতীয় লােকজনই এগনে ছিল। প্রাপ্ত অধাশ ও ঔষধপত্রে “কলিকাতায় তৈরি” কথাগুলি লিখিত দেখা যায়।
মলিয়ার যুদ্ধে যে সকল অস্ত্রশস্ত্র পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হস্তগত হয় উহাদের মধ্যে ৮টি হালকা ধরনের মেশিনগান, ২৭টি ভারতে তৈরি রাইফেল, ১৫টি ভারতীয় টমিগান,
প্রায় ৮ হাজার রাইড গােলাবারুদ এবং ২০ রাউন্ড মর্টারের গোলা রহিয়াছে। উপরােক্ত ৮টি হাল্কা মেশিনগানের অধিকাংশই ভারতে তৈরি। ইহা ছাড়া ভারতে তৈরি পানির নােতও পাওয়া গিয়াছে। টহলদাৰী দল কয়েকজন আমার নিকট হইতে এই অনুপ্রবেশের সংবাদ লাল করে। উক্ত গ্রামবাসীগণ সেনাবাহিনীর সাহায্য লাভের জন্য অগিমণ করে। তাহারা জানায় যে, প্রায় ২শত ভাগ্নী আত্মসজ্জিত ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী কপােতাক্ষ নদী অতিক্রম করিয়া গ্রাম দুইটিতে আস্তানা গাড়িয়া খালের জন্য গ্রামবাসীলৈ হয়রানি শুরু করে।
সংখ্যায় অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও টহলদার পাটির কমার স্বীয় সৈjদলকে দুই ভাগে বিভক্ত করার দুঃসাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। একটি দলকে গ্রাম দুইটিতে প্রেরন কণিীয় অপর একটি দল লইয়া কমান্ডার নন্দী সম্বরণাপূর্বক অনুপ্রবেশকারীদের পশ্চাদভাগে আকস্মিকভাবে আক্রমণ চালান। তিনি শক্রপক্ষে মেশিনগানসমূহ দখল কৱিষা অনত্র দাটিতে তীবর্ষণ শুরু করেন। ইতিমধ্যে টহলদার পাটিৰ বিশ্রী দলটিও গ্রাম দু’টিতে পৌছিয়া যায়। তাহারা সমুথ’ভাগ হইতে আশ্ৰমণ করিয়া শসের নাস্তানাবুদ করিষ্যা ফেলে। ইহার ফলে তাহারা আতঙ্কগ্রস্ত হইয়া বিশশাঙাৰে পশ্চাদপসরণ শুরু করে। ফলে অনুপ্রবেশকারীদের প্রায় ৬৫ জন হতাহত হয়।
গত সপ্তাহে বেনাপােল সীমান্তেও বিক্ষিপ্ত গুলীবর্ষণের সংবাদ পাওয়া গিয়াছে। এই সকল উষ্কানী সত্ত্বেও পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত চরম ধৈর্যের পরিচয় দান করিয়াছে।
মজলিয়া যুদ্ধের একজন লেন্সনায়েক যে অন্যান্যদের সহিত সীমান্ত অতিক্রম করিয়া পশ্চিমবঙ্গাভিমুখে পলায়ন করিয়াছিল, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নিকট সে আত্মসমর্পণ করে। কে জানায় যে, ভারতীয় সেনান্মাহিরি অফিসারদের দুলহার হারানীর শিকার। হইয়াংসাত্মক কার্যে লিপ্ত ব্যক্তিরা চরম হতাশা ও অসুবিধার মধ্যে পতিত হইয়াছে। তাহাদের গীমান্তের নিকটবর্গা ক্যাম্পসমূহে রাখা হইছে এবং পশ্চিমবঙ্গের অভ্যস্থল্পে যাইতে দেওয়া হইতেছে না। এই সকল ক্যাম্পের কোন কোনটি পাকিস্তান সীমান্তের এক মাইলের মধ্যে অবস্থিত। ভারতীয়গণ এই সকল অন্তৰ্থাত ব্যক্তিদের সীমান্ত অতিক্রম। করিয়া পাকিস্তানী হাড়ির উপর গুলীবর্ষণে বাধ্য করে বলিয়া সোনায়। | ভারীগণ বলে, “ভারত হইতে আগ্রশস্ত্র লইয়া খাও, কিন্তু তোমামের খলিলু) পাকিস্তানী এমবাসীদের নিকট হইতে কাড়িয়া লইতে হইবে। উহার পর পাকিস্তানী ঘাঁটির। উপর তোমাদের আক্রমণ চালাইতে হইবে।” ।
কিন্তু এই সকল অন্তর্যাগ ব্যক্তিদের মনােবলো দারুণ অবনতি vটায় তাহারা পাকিস্তানী খাটির উপর আক্রমণে সাহসী না হইয়া স্বল্পক্ষমার জন্য ইতস্তত বিথি গুলী। চালাইয়া দ্রুত সরিয়া পড়ে। মহাৱা পাকিস্তানা আঁটির নিকট যাইতে অবিক হয় আর তায়াগণ তাহাদের হত্যা করিয়াছে এক ঘটনা মাঝে মাঝে টিছে।’
এ দিকে সেনা সরকার বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংসের খবর ভিত্তিহীন’—বলে দাবী। করলাে। সংবাদে বলা হলাে :
ঢাকা, ১১ই মে । -পাকিস্তানী সশস্ত্র বাহিনী চট্টগ্রাম এলাকায় বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংস করিয়া ফেলিয়াছে এই মর্মে ভারীয় নেতারে যে বিবরণ প্রচার করা হইয়াছে আজ জনৈক সরকারি মুখপাত্র উহাকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন।
________________________________________
মুখপাত্রটি বলেন, প্রকৃত ঘটনা হইতেছে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত ব্যক্তি ও ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের হস্তে বৌদ্ধ সম্প্রদায় হয়রান হইতেছিলেন। এমতাবস্থায় বৌদ্ধ সলয়ের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ তাহাদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সাহায্য কামনা করেন।’
সশল্প অথবা আড়মারী সম্পর্কে সরকারি বিশ্বতির সুখ বিবরণ পাওয়া যায় দৈনিক অজ্ঞান পত্রিকার ১২ ও ১৩ মে সংখ্যায়। বিবরণে নলা হলাে :
(বেআইনী যােখিত আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে সশস্ত্র ঋতুকানাে পরিকল্পনা করিয়াছিল বলিয়া সম্প্রতি যে সরকার বিবরণ মনঃশি হইয়াছে আংশিকভাবে এই আজাদে’ ছাপা হয়। ইহার পূর্ণ বিবরণ অতঃপর প্রশিত হইল।)
| ‘পাকার উপমহাদেশের আশা-আকাংক্ষা বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত ক্ষক্ষয়ী সংগ্রামের ফলেই ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট সার্বভৌম পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হইয়াছিল।
হিন্দু সাম্রাজ্যবাদের কথাকাতে নির্মিত পূর্ণ বাংলার মুছলমান সমাজ পাকিস্তান ১ষ্টির সুনা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। শিল্প এলাশা কলিকাতার পানি হিসাবেই গণ্য করা হতাে এ পূর্ব বাংলাকে আর শিল্পের জন্য প্রযােজনায় কাঁচামাল উৎপাদনের জন্যই শুধু পূর্ব বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়া হতাে। হিন্দুদের নির্যাতন থেকে মুক্ত করার জন্য পাকিস্তান সৃষ্টির ৪২ বছর আগে বাংলাকে বিভক্ত করা হয়। ভারতের বৃটিশ প্রতিনিধি লর্ড কার্জন মুছলমানদের সুবিধার জন্যই ১৯০৫ সালে পূর্ব বাংলাকে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ করেন। কিন্তু হিন্দু শাসকগােষ্ঠী সমগ্র বাংলা ভূমিতে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারেন জনাই বঙ্গস বাতিল করানির অনি, সয়াম শুরু কতেন এবং সুনাম ও বংশ পর বঙ্গস বাতিল করা জ। পাক জ্ঞাৱত বিরােধের মূল কারণ। ভাৰত কখনই পাকিস্তানের অস্তিত্ব মেনে নিতে পাত্রে নি। এটাই হচ্ছে পাক-ভারত বিরােধের মূল কারণ। এমনকি ৬ি, পাতিলের মত দায়িত্বশীল নেতাও ভারতের সার্থকত্রণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। শুধু তাদের এ ইচ্ছা বাস্তবায়নের কন্যই তারা পানিস্তানকে বিনষ্ট করার প্রশ্নটা নিয়ে আসছেন। তাই পাকিস্তানের খালের পানি বন্ধ করে দিয়েছে, আর অর্থওৈক সঙ্কট সৃষ্টির জন্য শত শত মুছলমানকে পাকিস্তানের মামাঞ্জের হে গুণ জার করে উঠলে নিয়েছে। তারা জুনাগড় জোর করে দখল করে নিয়েছে, কারণ এর জনগণ হিন্দু ১৯৬৫ সালে আন্তর্জাতিক বিধি লংমান করে ভারত আকস্মিকভাবে পাকিস্তানে হামলা চালায়। পূর্ব পাকিস্তানে বিশংখলা সৃষ্টি করে আরও এমন আবার পাকিস্তানের সংহতি বিনষ্ট করার জন্য লিপ্ত হয়ে পড়েছে। ভারত প্রতিরক্ষা ইনটিউটের ডিরেক্টর সুত্রামানিয়াম সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত ইনষ্টিটিউট যে বক্তৃতা দিয়েছেন তা থেকেই আমাদের এমন দুরভিসন্ধি প্রকাশ হয়ে পড়েছে। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, আমাদের স্বাথেই পাকিস্তানকে ২ বিঞ্জ না উচিত এবং একথা খাতের অবশ্যই উপলজি নাতে হবে। পাকিস্তানকে খও নিখ করার জন্য এখন যে সুযােগ এসেছে তা হয়তাে আর কোন দিন| ও আসতে পারে।
এ সুযােগ নিয়েই ভারত শুধু পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তে এক লক্ষ সৈন্য মােতায়েনে করে না, তারা পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তের ভেতরে সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের পাঠিয়েছে।
________________________________________
ভারত দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্রে-শস্ত্রে সুসজ্জিত করছে এবং কলিকাতার একটি সরকারি হােটেলে তথাকথিত “বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীরা অবস্থান করছেন বলে বিদেশী পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ থেকে একথা পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে, পূর্ব পাকিস্তানে হামলা পরিচালনার জন্য ভারতের ভূমিতেই ||টি হিসাবে। বহার করা হচ্ছে। বৈষমা প্রসঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানে বহু সংখ্যক সহযােগী ঐ কর্মী রয়েছে এ কথা অহীকার করার কোন উপায় নাই । পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্যের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের সহানুভূতি রয়েছে এবং যথাসময়ে এ বৈষম্য দূর করার ব্যাপারে তারা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। কিন্তু বহুদিনের অবহেলায় সৃষ্ট বৈষম্য দু’দশকে সমাধান সম্ভব নয়। হিন্দু সামাজ্যবাদীরা এ এলাকাকে চরম অবহেলিত বলে গণ্য করতো। পাট উৎপাদন করে বৃটিশ সরকারও তাদের স্বার্থ উদ্ধায় লাতাে। ঢাকায় একটা পাকা বেলিং, প্রেস স্থাপনের জন্যে তার কোন রকম অনুমতি দান করে নি। দেশ বিভক্তির পর পূর্ব পাকিস্তান একটা নগণ্য পরিস্থিতি থেকে অগ্রগতি সুরু করে। আর এরপর থেকে এখানে বিশ্বের বৃহত্তম চটকারখানা, পাকিস্তানের বহম সার কারখানা এবং প্রথম ইস্পাত কারখানা স্থাপন করা। হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত প্রধানমন্ত্রী খিদিন পাকিস্তান পরিচালনার দায়িত্ব। পালন করেছেন ।
পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যার চাপ না পায়। বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ন বসতিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান। প্রতি বর্গমাইলে এক হাজার চারশাে ব্যক্তির বাস। প্রতি বছর বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ফলে এ এলাকায় জনগণের উপর নেমে আসে সুযোগ।
ভারতীয় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য পাকিস্তানের অগ্রগতি ব্যাহত হয়। আন্তর্জাতিক বিধি লংঘন করে ভারত গঙ্গা নদীতে দ্রুত অফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে। এ থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি ভারঙ্গের দরদের নমুনা উপলব্ধি করা যায়। এ লাবের নির্মাণ কাজ শেষ। হালে পূর্ব পাকিস্তানের শত শত একর জমি মরুভূমিতে পরিণত হবে ও লক্ষ লক্ষ লােক অনাহারে মৃত্যুবরণ করবে।
এ সমস্ত ঘটনার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেআইনী আওয়ামী লীগ পশ্চিম পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ সৃষ্টির অভিযান শুরু করে এবং নির্বাচনের হাতিয়ার হিসেবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দু’ দফা প্রচার করে।
ছ’ দফা প্রকতপক্ষে একটি রাষ্ট্রের আইনগত কাঠামাের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বাধিক পরিমাণ স্বায়ত্তশাসন লাভের দাবী। এ ছাড়া সুশীর্থ এক বছর যাবৎ, নির্বাচনের প্রচারণার সময় তাত্ৰা হ’ নফা সর্ষে এমন প্রচারণা ও সমালোচনা চালাচ্ছিল যা পাকিস্তানের কাঠামাের পরিপন্থী। পশ্চিম পাকিঙ্কানের নেতৃবৃন্দ সরকার ঘােষি। আইনগত কাঠামাের ভিত্তিতে শেখ মুজিবর রহমানের সাথে নির্বাচন প্রচারণা চালানাে না| আত্রাই প্রকাশ করেছিল।
এখানে উল্লেখ করা যায় যে, যে আইনগত কাঠামাে আদেশের আওতায় আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলাে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তাতে পরিষ্কারভাবে
________________________________________
এবং ব্যথহীনভাবে উল্লেখ আছে যে, শাসনতান্ত্রিক যে কোন ব্যবস্থাতেই হােক না কেন তাতে পাকিস্তানের ঐক্য অখণ্ডতা ও সংহতির ব্যবস্থা করতে হবে।
যাহােক শেখ মুজিবর রহমান স্বায়ত্ত্বশাসনের প্রশ্নে নির্বাচকমণ্ডলীর রায় পাওয়ার পরই এমন ভাবে ৬ দফাকে ফেনাতে লাগলেন এবং তার নূতন ব্যথ্যিা দিতে শুরু করলেন, যা নাকি নির্বাচকমণ্ডলীর রায় এহণ করার সময় কখনই বলা হয় নি। তিনি এমন এক আপােষহীন মনােভাণ গ্রহণ করলেন যে তখন আর আলাপ-আলােচনার পথ খোলা রইল না। তার মনােভাব পড়লাে এমন যে, “হ মানে না হয় না মানাে। পশ্চিম পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতাসহ একের পর এক অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা নিস্পত্তির জনাে ঢাকা এলেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টও কয়েকবার ঢাকা এলেন-কিন্তু কিছু লাভ হল না। প্রকাশ্যভাবে পাকিস্তানের ভবিষা, প্রধানমন্ত্রী বলে উল্লেখ করা হলেও শেখ মুজিবর রহমান নিখিল পাকিস্তানভিত্তিক ভূমিকা গ্রহণে কোন আগ্রহ প্রকাশ করলেন না, যে ব্যাপাত্রে সমগ্র জাতির শুধু সতিই ছিল না বরং তিনি যে ভূমিকা গ্রহণ করবেন সেন জাতি উন্মুখ হয়ে ছিল। এমনকি তিনি পশ্চিম পাকিস্তান সফর করতেও রাজী হলেন না। তিনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার বিষয়টিকে ব্যাপকভাবে আইন ও শলাসে হাণ্ডিয়ার হিসাবে এহণ করলেন। যদিও পরিষদের মধ্যে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের একটা সম্মত পন্থা নিন্ধ পথে দলীয় নেতৃণতৈরি মধ্যে আলাপ-আলোচনার সুযােগ প্রদানের জন্যে অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
| নিরাপর যা ঘটল তা মানা জানা যায়। সর্বত্র রক্ষায় পরিস্থিতির উদ্ভব হলাে। জনতা পথে বেরিয়ে পড়ে অসংযােগ, হত্যা, বলাকার এবং সুঠতরাজে নিয়ােজিত হলো। পূর্ব পরিকল্পিত এক সংকেতের সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকরা মিলের কাজ না করে বেরিয়ে এলাে। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ হয়ে গেল।
সরকারি কর্মচারীরা দফতরে যােগদান করা থেকে বিরত থাকতে শুরু করলেন। যারা স্কোয় এসব ব্যাপারে সহযােগিতা পালেন না তাদের নালী পদ্ধতিতে বাধ্য করা হলাে। রাসের রাজত্ব এমন এক পর্যায়ে উপনীত হয় যে, সাধারণ জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে। প্রশাসন পরিচালনাকারী আইনসম সরকারের পরিবর্তে আওয়ামী লীগ সম্পর
ওর থেকে খাজনা বন্ধের নির্দেশ জারী করা হয়, অথবী কার কেন্দ্রের পরিবর্তে প্রাপশক তহবিলে জমা করতে বলা হয়। সরকারী খজনা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার পরিবর্তে বেসরকারি ব্যাংকে জমা করতে বলা হয়। ১লা মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত দেশের বেসামৰিক প্রশাসন সূবে পছু হয়ে যায়। ঢাকা, চয়মি, খুলশী, রাজশাহী, সিলেট প্রভৃতি দেশের বিভিন্ন শহর ও অন্যানা এলাকা থেকে পুন, অগ্নিসংযোগ, বলাৎকার ও লুটালের খবর আসতে থাকে। সর্বত্র এক নাম্বসী উদ্যা বিৱাজ করতে থাকে। সৈন্যবাহিনী এসব শুনে এবং চোখের সামনে জাতীয় পতাকা পােড়াতে ও কায়েদে আজমের ছবি পালিত হতে দেখে উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ হয় সত্যি, কিন্তু উর্বতন কর্তৃপক্ষের কড়া নির্দেশে তারা সম্পূর্ণ নিরস্ত থাকে। আলাপ-আলােচনার মাধ্যমে একটি মীমাংসায় উপনীত হতে রাজনৈতিক নেতৃবশকে একটি সুযােগ প্রদানের জন্যই সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র রাখা হয়েছিল।
________________________________________
নিজস্ব ছয় দফায় সঙুষ্ট না হয়ে শেখ মুজিবর রহমান এবারে আরাে চার দফা যােণ করলেন। এর মধ্যে রইলাে অবিলকে সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবী এবং প্রেসিডেন্টের একটি ঘােষণার মাধ্যমে অনতিবিলম্বে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবী। পূর্বে তিনি চেয়েছিলেন যে, একমাত্র জাতীয় পরিষদের মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা যেতে পারে, তার এই মূলনীতি থেকে বিচ্যুত হয়ে তিনি তখন ঘােষণা করলেন যে, ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পর্যন্ত তিনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যােগদান করবেন না। অথচ জাতীয় পরিষদে তাৱা নিৰঙুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল, আর জাতীয় পরিষদ সার্বজনীন পূর্ণ বয়স্কদের ভােটাধিকার ও একজনের একটি ভােটের ভিত্তিতেই গঠিত হয়েছে।
স্বভাবতই অন্যান্য রাজনৈতিক দল দাবী করল যে, জাতীয় পরিষদের মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তর হােক। জাতীয় পরিষণ একটি অন্তবর্তীকালীন শাসন ও প্রধান করবে এবং তা অনুমােদনের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পেশ করা হবে। তারা এই মর্মে। অভিমত প্রকাশ করলেন যে, প্রস্তাবিত প্রেসিডেন্টের ঘােষণার কোন আইনগত ভিত্তি নেই, কেননা তা সামরিক আইনের আওতায় পড়বে না কিংবা তা জনসাধারণের ইজার ভিক্তিতেও হবে না। এর ফলে একটা শূন্যতার সৃষ্টি হবে এবং বিশৃংখলার পথ সুগম হবে।
| আবার প্রেসিডেন্ট ঢাণ গেলেন। দশদিন পর্যন্ত আলাপ-আলােমাধ্যমে একটি নিম্পতিতে পৌছাবার চেষ্টা চললাে যাতে করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করা যায় এবং ক্ষমতা হস্তান্তর সম্ভব হয়। আলাপ-আলােচনার সময় শেখ মুজিবর গহমান প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে পাওয়া ম্যান্ডেটকে বিস্তারিত করে একটি কনফেরেশন’ গঠনের দাবী জানালেন। তার মানে হলো প্রস্তাবিত প্রেসিডেন্টের ঘােষণা জারী করার পর সামরিক শাসনের অবসান, ক্ষমতা হস্তান্তরের দ্বারা পাকিস্তানের পাঁচটি প্রদেশকে বিলি করে ফেলা যায়। ফলে স্বভাবতঃই জাতীয় সার্বভৌমত্ব প্রকৃতপক্ষে বিনষ্ট করা। | শেখ মুজিবর রহমান আরও দাবী কত্রেছেন যে, প্রাথমিক অবস্থায় জাতীয় পরিষদ দুইটি কমিটিতে বিভক্ত হয়ে আলাদাভাবে মিলিত হবে। একটি হবে পূর্ব পাকিস্তানের মাসর নিয়ে এবং অন||ট ও থাকবেন পশ্চিম পাকিস্তানের সদস্যগণ। পরে এন এ থেকে আরও পাণ করলেন যে, দুই অধিবেশনে দুটি আলাদা শাসনতন্ত্র প্রণাম কৰে ।
তাদের অভিপ্রায় অভ্রান্তভাবে পরিষ্কার ছিল। আওয়ামী লীগের মূল নেতৃত্ব বুঝেছিলেন। যে, সি৯েট অথবা অন্যান্য রাজনৈতিক দল পাকিস্তানের শাসনতাস্বিক দ্বিধাবিভক্তিতে
এবং এই মিলছারা না জেনে বা সবার অনুমােদন ছাড়াই শক্তি ও যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে গোপন প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তাদের সে ষড়যন্ত্র আর তলা মামলার দ্বারা প্রকাশ হয়ে পড়ে। স্বেচ্ছাসেবকরা ভারত থেকে কালােবাজারে আনা অঞ্চ নিয়ে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে প্রত্যেক জেলায় ঐনিং নিতে থাকে। এই অস্ত্রশস্ত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলসহ প্রদেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্টক করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের এই চেষ্টা কতখানি সুপরিকল্পিত ও সুসংগঠিত ছিল তা ২৫শে মরত সাদ শহরে অসংখ্য বেবিকেও রচনা শু ইখ জল থেকে মায়ের গোলাবর্ষণ থেকেই বােঝা যায়।
আলাপ-আলােচনার মাধ্যমে উদ্দেশ্য হলে লেতে আওয়ামী লীণ ব্যর্থ হওয়া নালী কায়সার আশ্রয় নেয়। তার ফলে ভীতির রাজত্ব কায়েম হয় এবং অসংখ্য দুকাতি সংঘটিত
________________________________________
হয়। আওয়ামী লীগের কালীবালী লােকেরা যে হত্যাক্তা পরিচালিত্ব করেছিল তার উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার হয়েছে।
| যে সমস্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে দেখা যা যে, ২৬ শে মার্চের শুরুতেই সশ অভুথলি এবং আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ” গঠনের সময় বলে নিরিত করা হয়েছিল। তাদের ঢাকা ও চ9a||ম দখল করার পরিকল্পনা ছিল যাতে করে সেনাবিভাগের পশ্চিম পাকিস্তান অভিমুখী বিমান ও নৌপথ রুদ্ধ হয়ে যােগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ সময় সেনাবাহিনীর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত ১২ ব্যাটেলিয়নসহ ১৮ ব্যাটমিশনের এক ভিশিন সৈন্য ছিল এবং তারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে অপ্তর এলাকায় বিস্তৃতভাবে অবস্থান করছিল। এদের বিরুদ্ধে ছিল ভারতের সুসজ্জিত অনুপ্রবেশকারী, ইষ্টি পাকিস্তান রাইফেলস, ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দলত্যাগী লােক এবং অন্যান্য সাহাধ্যকাৰী শক্তি। তাদের হাতে ছিল মর্টার, স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং ভারী ও হালকা মেশিনগান এবং ভারতীয় সীমান্তের ওপার থেকে উদারভাবে সরবরাহকৃত অশ। আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্নতাবাদীতার প্রচেষ্টা এখনও চলছে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমত| হস্তান্তরের সকল পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রেসিজেন্ট সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের কর্তব্য পলিনের এবং সরকারী কর্তৃত্ব পূর্ণ বা ৩ষ্ঠার জন্য আহবান জানালেন।
অাওয়ামী লীগের পূর্ব নির্ধারিত কাজ শুরুর সময়ের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পূর্বে এই আহবান ‘অাসে এবং সশস্ত্র বাহিনী ২৫-২৬ মার্চের মাঝরাতে শত্রুপক্ষকে কোন সুযোগ না দিয়েই উপযুপরি আঘাত হেনে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে এবং দেশকে বৃক্ষণ করে।
তারপর কি হবে? ২৬ মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট একথা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমার উদ্দেশ্য একই রয়েছে। তা হচ্ছে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ার সাথে সাথে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্যে আমি নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করবাে।’
এ দিকে সামরিক কর্তৃপক্ষ ফলে ওসমানীর প্রতি হাজিরার নির্দেশ জারী করলাে। পাঁকায় বলা হলাে :
ঢাকা, ১৩ই মে ।-অ অঞ্চলের সামরিক প্রশাসক অবসরপ্ত কর্মে এম, এ, জি, ওসমানীকে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ১২১,১৯৩, ১৩১ এবং ১৩২ ধারা এবং ১০ ও ১৪ নং সামনিক আইন বিধি অধীনে তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের জওয়াবদানের নয় ১৯৭১ সালের ২০শে মে বেলা ৮ গটিকায় ঢাকার দ্বিতীয় রাজধানীস্থ ১নং সেক্টরের মাৰি মার্শাল’ল এডমিনিস্ট্রেটরের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়াছেন। অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ওসমানী উপরিল্লিখিত তারিখে ও হানে উপস্থাপিত হইতে শখ হইলে ৪০নং সামরিক বিধিৰ অধীনে তাহৰি অনুপস্থিতে তাহার নিয়চার অনুষ্ঠিত হইবে।’
৩শত মাইল সীমান্তে অনুপ্রবেশের সকল পথ রুদ্ধ, সমগ্র সিলেট দখল শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয় ‘আজাদ’ পএিকার ১৪ মে সংখ্যায়। সংবাদদাতা জামালাে :
‘সিলেট, ১৩ই মে।-পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব-পাকিস্তানের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের সিলেট জেলা ও উহার সন্নিহিত অঞ্চলের তিনশত মাইলের মধ্যবর্তী অনুপ্রবেশের সমস্ত প্রধান পথ সম্পূর্ণ বন্ধ করিয়া দিয়াছে।
এপিপি’র বিশেষ সংবাদদাতা জনাব আফজল খান জানান যে, সেনাবাহিনী চলতি সকাহের প্রথমে সুনামগঞ্জ এলাকা মুক্ত করিয়াছে। উত্তর-পূর্ব সেক্টরে এই এলাকাটি অন্তর্মাতাদের সর্বশেষ পকেট ছিল।
| সিলেট হইতে প্রেৱিত খৰৱে উক্ত সংবাদদাতা জানান যে, সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে মৌলবীবাজার, ছাতক, সুনামগঞ্জ, কুলাউরা, শেরপুর ও হরিপুরসহ উত্তর-পূর্ব সেক্টরের সকল করুত্বপূর্ণ শহর দখল করিয়াছে। সেনাবাহিনী অন্তৰ্থাহীদের ব্যাপকহারে হতাহত করার ফলে এই সেক্টরে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী ও তাহাদের সহযােগীদের যাবতীয় প্রতিরােধ বৃহ ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। প্রকাশ, সেনাবাহিনীর হাত হইতে এইসব ধ্বংসাত্মক ব্যক্তিদের যাহারা প্রাণে রক্ষা পাইয়াছে তাহাদের অনেকেই সীমান্ত অতিক্রম কিংবা চরম
কান্তির মধ্যে প্রত্যন্ত গ্রামে পলায়ন করিয়াছে। তাহলে অনেকেই আগ্রই ফেলিয়া গিয়াছে।
সেনাবাহিনী সুনামগঞ্জের আদরে অন্তর্মাতাদের নিকট সামান্য বাধা পায়। কিন্তু দ্রুত ভাহালের নিশ্চিহ্ন করিয়া দিয়া সেনাবাহিনী বিনা অসুবিধায় শহরে প্রবেশ করে।
গত সপ্তাহে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সিলেটের উত্তর-পূর্বে হেমু এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানীর উপর আকস্মিক হামলা চালায়। এই কোম্পানীটি তাহাদের সহযােগীদের সাহায্যার্থে তথায় আগমন করে। গাছ-গাছড়া ও ঝাড়ি লোপে জন্য এই অঞ্চলে ভারতীয় সৈন্য ও অন্তর্ঘাতীরা ট্রেঞ্চে ভারী মেশিনসহ প্রস্তুত ছিল।
পাকিস্তান টহলদার বাহিনীকে দেখামাত্র তাহারা গুলীবর্ষণ করে। সংখ্যায় অত্যন্ত কম। হওয়া সত্ত্বেও টহলদার বাহিনীর পাল্টা গুলীবর্ষণে নিয়মিত ভারতীয় বাহিনী অন্তৰ্থাতীদের পশ্চাতে ফেলিয়া তৎক্ষণাৎ পলায়ন করে। | টহলদার বাহিনীর একটি অংশ পশ্চাৎ দিক হইতে অভিযান চালাইয়া ট্রেঞ্চে অবস্থানত হামলাকারীদের হটাইয়া দিতে সমর্থ হয়। অন্তর্ধার্তদের ১২৭ জন নিহত হওয়ার পর অনারা চরম আতঙ্কিত হইয়া পলায়ন করে। সেনাবাহিনী ৩৫ জন অর্থাতীকে আটক এবং বহু পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গােলাবারুদ উদ্ধার করিয়াছে। ইহার অধিকাংশ
সেনাবাহিনী কর্তৃক আটককৃত ব্যক্তিরা প্রকাশ করেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রথম সুলার শব্দ শােনামাত্রই ভারতীয়রা পশ্চালুপসারণ করে। তাহারা তাহাদের চাবিশত সহযােগীকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়া সুন্নিয়া পড়ে যে, যদি তাহারা (সহযােগী) কিছু সময়ের জনা টিকিয়া থাকিতে পারে তৰে কামানের গােলাবর্ষণের মাধ্যমে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করা হইবে।
এই অভিযানকালে পাকিস্তান বাহিনী গােলাবারুদ বােঝাই একটি ট্রাক আটক করে, যাহা ভারতীয় এবং ভারতের কিরী ফ্যাক্টরীর নামাঙ্কিত রহিয়াছে। উহাতে মেসিনগান, হাতবােমা, ৪টি হালয় মেসিনগান, ৪০টি রাইফেল হাড়াও অন্যান্য সরঞ্জাম রহিয়াছে। সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে লাহু মুক্ত করে। ইহা রেলওয়ে লাইনে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ সমান্ত স্থান। পাকিস্তানের সিলেট ও ভারতীয় করিমগঞ্জের সহিত উল্লেখিত রেলওয়ে লাইন সংযুক্ত। সেনাবাহিনীর একটি দল মাতৃ পৌছিলে তথায় কোন প্রতিরােধের সম্মুখীন হয় নাই। যথাক্রমে সার ও সিমেন্ট ফ্যাক্টরী অবস্থিত শিল্পশহর ফেঞ্চুগঞ্জ ও ছাতক সম্পূর্ণ
________________________________________
দখল করা হইয়াছে। একাড়া কোন প্রতিরােধ ছাড়াই হরিপুর ও পাওয়ার বাজারস্থ গ্যাস ও তৈল এলাশ মুক্ত করা হইয়াছে।
এপিপি’র উক্ত সংবাদদাতা জানান যে, ভারতীয় অনুপ্রবেশকাৰীয়া ও তাহাদেয় সহযােগীরা লুটতরাজ, অগ্নিসংযােগ ও হত্যাকাণ্ড চালাইয়া যাইতেছে। ভারতীয়রা যােগাযােগ বিচ্ছিন্ন করার সুনা সেতু ধ্বংস কাৰ্য্য তদারক করিয়া থাকে। মৌলবীবাজারে তাহারা স্থানীয় ব্যাঙ্ক লুণ্ঠন করে এবং পাকিস্তানী মুদ্রা লইয়া পলায়ন করে। সেনাবাহিনী বর্তমানে স্থানীয় জনগণের সহযােগিতায় সমগ্র জেলায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরাইয়া আনার কাজে ব্যস্ত রহিয়াছে।
এ সময় সামরিক জান্তা ৭৯ নম্বর সামরিক আইনবিথি আর কণে সহকারী সামরিক আইন প্রশাসক হিসাবে ৪জন কমাজ্জাকে নিয়োগ দেয়। সংবাদে বলা হয় :
রাওয়ালপিঞ্জি, ১৪ ই মে । অন্য প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক কর্তৃক ইস্যুকৃত ৭৯নং সামরিক আইনবিধি অনুসারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৪জন কমান্ডারকে সহকারী সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করা হইয়াছে। তাহারা হইলেন- লে: জে: এ. এ, কে, নিয়াজী জোন। “বি, মেজর জেনারেল বি, এম, মুস্তাফা জোন ‘ভি’, মেজর জেনারেল চৌধুরী নাসির আহমদ জোন-হ, মেজর জেনারেল খাদিম হােসেন রাজ্জা জোন এফ”।
উপরোক্ত ৭৯নং সামরিক আইন বিধির ধাৱা ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ ইকুহ ৭৪নং সামরিক আইন বিধির সংশােধন করা হইয়াছে।
| গবর্নর টিক্কা খান এপিপি-র দু’জন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “প্রদেশে সংঘবদ্ধ সশস্ত্র প্রতিরােধ নির্মূল করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পত্রিকায় বলা হলো :
| Uক, ১৫ই মে, পূর্ব পাকিস্তানে গরি ও প্রাদেশিক সামরিক আইন প্রশাসক মাে: জেনারেল টিকা খান লন যে, সারা দেশে সংঘবদ্ধ সম্পদ প্রতিরােধ নিশ্চিহ্ন করিয়া দেওয়া হইয়াছে। তিনি বলেন যে, কেবলমাত্র অস্তরাগে বিভিন্নভাবে দুষ্কর্ম চালান। হইতেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে খুটতরাজ, সন্ত্রাস সৃষ্টি ও নিরীহ জনগণকে হয়রানির মাধ্যমে এই দুঙ্ককর্ম চালান হইতেছে। গৱৰ্ণর গতকাল গবর্ণন্ন হাউসে এপিপির দুইজন সংবাদদাতার সহিত ঘরােয়াভাবে সাক্ষাৎ করেন।
৪৫ মিনিট ব্যাপ আলােচনার সময় গবর প্রদেশের বর্তমান সামগ্রিক পরিস্থিতির প্রতি আলােকপাত করেন। বিশেষ করিয়া তিনি ভারতীয় অনুপ্রবেশ, প্রশাসন ব্যবস্থার পূর্ণ পুনঃ প্রতিষ্ঠা এবং পূর্ণ অর্থনৈতিক তৎপরতার পুনরুজ্জীবনের কথা উল্লেখ করেন।
এক প্রশ্নের জওয়াবে গৰ্ণর বলেন যে, সামরিক বাহিনী দুস্কৃতিকারীদের কোনঠাসা। করিয়া ফেলিয়াছে এবং তাহাদের উৎখাত করিয়া নিতে বেশী দেরী হইবে না।
ভারতীয় অনুপ্রবেশের কথা উল্লেখ করিয়া জেনারেল টিক্কা খান। কােন যে, ভারতীয় অনুপ্রশেকারীরা বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসাত্মক কার্য চালাইতেছে। কিন্তু তাহাতে তাহাদের কোন সুবিধা হইতেছে না।
প্রশাসন ব্যবস্থা পুনঃপ্রএিটা সম্পর্কে বলেন যে, একমশঃ অধিক হারে সকারী কর্মচারীগণ কাৰ্যে যোগদান করিতেছে।
প্রসংগমে গতর প্রকাশ করেন যে, প্রাপ্ত প্রশাসনিক জনশক্তিকে গাধিক পরিমাণে। কাজে লাগানাের জন্য তিনি একটি কর্মসূচী চালু করিয়াছেন। এই কর্মসূচী অনুযায়ী জেলা
“ঢাকা, ১৬ই মে–পূর্ব পাকিস্তানের প্রবর্ণয় ও খ অপরলের সামরিক আইন প্রশাসক লেঃ জেনারেল টিক্কা খান আজ বরিশাল,
________________________________________
পর্যায়ে পূর্ণ সাহায্য পান করা হইতেছে। তিনি আরও বলেন যে, এই ব্যবস্থার দ্বারা প্রশাসন ব্যবস্থাকে জোরদার করার পথ কলাংশে প্রাপ্ত হইয়াছে। | পূর্ব পাকিস্তানে আসন্ন দু9িক্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়াছে বলয় বিদেশী পত্র-পত্রিগবর্নর প্রত্যেক জায়গায় স্থানীয় সরকারী কর্মচারী ও শান্তি কমিটির সহিত আরোতালে আলাে করেন। তিনি প্রদেশের যে কোন স্থানে ক্ষুধায় কাহাকেও মন্ত্রিতে না দেয়ার জন্য সরকারী সিদ্ধান্তের কথা পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, সরকারের হাতে বিপুল খাদ্যশস্য মওজুদ রহিয়াছে, আহ ঘূর্ণিবাহ্যা উপদ্রুত অঞ্চলের দূরব এলাকাতে বিলি করা হইতেছে। | লে: মােরেল টিক্কা খান স্থানীয় সরকারী কর্মচার্থীদের নিকট হইতে তাহাদের স্ব স্ব এলাকা বর্তমান স্বাদ্যশস্য মওজুদের পরিমাণ ও বিষ্যতে প্রয়োজনীয় চাহিদা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ শুলেন। তাহাকে অবহিত করা হয় যে, কোথাও কোনরুপ আশিস্যের অভাব নাই এবং সরিষার তৈল, কেরােসিন তৈল ও সাবান জাতীয় অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যালি নিয়মিত সরবরাহ করা হইতেছে।
গর্ণর লেন, আল্যশস্য ও অত্যাবশ্যকীয় প্রবানি ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে আরও নান ও ঢেউটিন দরনের গৃহ নির্মাণ সরঞ্জামাদি প্রেরণ করা হইবে, যাহাতে বেআইনী ঘােষিত অধুনী গুপ্ত আওয়ামী লীগের অসহযােগ কার্যকলাপের ফলে শাহত পুনর্বাসনের কাজে সূত কােনো পুনরায় আত্মনিয়োগ করিতে পারে।
| তিনি প্রসঙ্গতঃ বলেন সরকার আসন্ন ঘূৰািতা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে স্থানীয় লােকদের আবাসিক ব্যবস্থার জন্য বহুসংখ্যক পাকা কমুনিটি সেন্টার নির্মাণের কাজে শীঘ্ৰেই হাত দিবেন।
গৰণৰা মথাসত্বর পূনর্বাসন কর্মসূচীর কাজ সমাপ্ত করার অন] এই সমস্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখার প্রাঞ্চ করুত্ব আরােপ করেন। তিনি জনগণকে দুবৃত্তদের ঠাই মা দেওয়ার না পরামর্শ দেন। ইহার অনাথা পুনর্বাসনের কাজ ব্যাহত হইলে তাহারা নিজেরাই সুজোগ পােহ্য হবে। তিনি জনগণকে তাহাদের এলাকা হইতে রাষ্ট্রদ্রোহীদের বিতাড়িত করার এবং তাহাদের গোপন আস্তানা সম্পর্কে সামরিক কর্তৃপক্ষকে অবহিত কলাৰ জন্য আহবান জানান।
শান্তি কমিটি সমূহের সদস। গল গফরকে জানান যে, এই সব অঞ্চলে পরিপূর্ণ শান্তি বিরাজ বণিয়ছে, এবং, কোথাও হইতে কোনরূপ সাথক কার্যকলাপের খবর পাওয়া! যায় নাই। ফলে শত্রুরা ৯০ভাগ লােক তাহাদের মাঝে ফিরিছে এবং পুনরায় কাজ শুরু করিয়াছে। সােফানিপাট খুলিয়াজে এবং ডাকঘর, শাঞ্চি, জারী ও কোট-কাচারী স্বাভাবিক ভাবে চালু হইয়াছে। শবর অপরাহে ঢাকা প্রত্যাবর্তন কণেণা।”
সেনা গবর্নর টিক্কা খান এক ঘােষণায় উপসামরিক আইন প্রশাসকদের নন ক্ষমতা প্রদান করলেন। পত্রিকায় এ প্রসঙ্গে বলা হলাে :
ঢাকা, ১৭ই মে-পূর্ব পাকিস্তানের কর ও খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জে: টিকা খান প্রদেশের উপ-সামরিক আইন প্রশাসকের পুলিশ অফিসার অথবা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ব্যবহারের অধিকার কাম কৰিছেন।
১৯৭১ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের সামরিক আইন আপে অনুযায়। আমার উপর Fন্তু ক্ষমতাবলে আমি গে; ; টিক্কা খান ‘খ’ অঞ্চলের পামরিক আইন প্রশাসকদেরকে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি মােতাবেক পুলিশ অফিসার ও প্রথম শ্রেণীর ম||#2ষ্ট্রটের ক্ষমতা ব্যবহারের অধিকার পান করিতেছি। এই ক্ষমতা অনুসারে
________________________________________
ভাহাৱা যে কোন ব্যক্তিকে হাজতে আটক, হাজতে প্রেরণ, সিভিল প্রিজনে প্রেরণ ও গ্রেফতাৱসহ অপরাধের তদন্ত কার্যের দ্বায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন। আলােচ্য সামরিক আইন আদেশের স্বার্থ সংশ্নিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হইতেছে যে, এই আদেশের শ্রীনে কোন ব্যবস্থা গইত হইল, কোন কিছু করা হইয়া থাকিলে অথবা আমতা প্রয়ােগ করা হইয়া থাকিলে তাহার বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টসহ কােন আদালত কর্তৃক বা আদালতে আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।”৫৭।
এ দিকে উৎসাহী কুমিল্লা জেলা কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ এক সভার আয়ােজন করে ‘রাষ্ট্র বিরােধীদের দমন কল্পে সহযােগিতার আহবান জানালাে। সংবাদে বলা হলাে :
| কুমি,১৭ই মে গত সপ্তাহে এখানে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা জেলা কাউন্সিলের এক সাধারণ সভায় অনুপ্রবেশকারী ও দুস্কৃতিকারীদের রাষ্ট্র বিরােধী তৎপরতা দমনকরে সরকারের সহিত সহযােগিতা করার জন্য জেলার জনসাধাগের প্রতি আহবান জানান হয়।
সভায় স্ব স্ব এলাকার সড়ক, ৱেলপথ ও পুল রক্ষাকল্পে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে দেশপ্রেমিক লােকদের লইয়া বেসামরিক প্রতিরক্ষা কমিটি গঠনের জন্য। কাউন্সিল সদস্য ও ইউনিয়ন কাউন্সিল সমুহে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের প্রতি আহ্বান। জানানাে হয়।
জেলা কাউন্সিলের সভায় ভারতীয় বেতারে বিদ্বেষপূর্ণ ও জগন্য অপপ্রচারের নিন্দা করা হয় এবং উক্ত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণায় কর্ণপাত না করার জন্য জনসাধারণের প্রতি পরামর্শ দান করা হয় ।
কাউন্সিল দেশ ও এলাম রক্ষার জন্য সময়ােচিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাকিস্তান। সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আন্তরিক তা &পন করে এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন
এদিকে অন্যদিকে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, পাবনা ও বগুড়ায় লে: জে: নিয়াজীর সৈনল পরিদর্শনের সংবা জানা যায় আজাদ’ পত্রিকার ১৯ মে সংখ্যায় । সংলে জানানাে হলাে :
ঢাকা, ১৮ই মে-পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লে: জে: এ, এ, কে, নিয়া অন্য । গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, পাবনা ও বড়া সৈনাদল পরিদর্শন করেন। একটি সামরিক হেলিকপ্টারের সাহায্যে তিনি এই সকল এলাঙ্কা সফর করেন। এতে স্থানে সৈন্যদের। সহিত তিনি ঘরােয়াভাবে কথাবার্তা বলেন। তিনি তাহাদের অত্যন্ত ভাল অবস্থায় এবং তাহাদের মধ্যে উচ্চ মনােবল প্রত্যক্ষ করেন। | স্থানীয় কমাগরিণ লে: জে: নিয়ন্ত্রিীকে জানান যে তাহাদের স্ব স্ব এলাকায় ক্রমাগত উলে অভিযান চালাইয়া গাবদ্ধ সশস্ত্র প্রতিরােধকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হইয়াছে। বড় রকমের আর কোন বংসাত্মক কার্যকলাপের খবর পাওয়া যায় নাই।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমের পরিপ্রেক্ষিতে গোনারেল নিয়াজী স্থানীয় কমাজারদের সহিত গ্রামাঞ্চলে সৈন্য চলচ্চিা অথছত রাখার ম্যায়ে আলাপ আলােচনা করেন। অন্যশিষ্ট দুতিকারীদের নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে সৈন্যদের পল্পীর প্রত্যন্তভাগে প্রেরহের জন্য। পর্যাপ্ত পরিমাণ নৌযান পাওয়া গিয়াছে বলিয়া স্থানীয় কমান্ডারগণ তাহাকে অলিনি।। জেনারেল • এই ধরণের কতিপয় নৌযান পরিপশন করেন।
________________________________________
জেনারেল নিয়াজী অপরাহ্নে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন।
উন্নয়ন সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে গবর টিক্কা খান সারা বছর বাম কাজে চালু রাখার উপর গুরুত্ব আরােপ কলেন। পত্রিকায় বলা হলাে :
| ‘ঢাকা, ২০শে মে-পূর্ব পাকিস্তানের গৰৱ লে: জেনারেল টিক্কা খান গত মঙ্গবার বিভিন্ন উন্নয়ন বিভাগ এবং উন্নয়ন সংস্থাসমূহের প্রধানদের সহিত ১৯৭০-৭১ সালের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গতি পর্যালােচনা করেন।
তাহারা চলতি সরে উঠান বাজেটে অর্থ সর্বাধিক ব্যবহারের পন্থা সম্পর্কে আলােচনা করেন বলিয়া এক সরকারী হ্যাপ্ত আecট উল্লেখ করা হয়। গৰায় উন্নয়ন স্কীমসমূহের বাস্তবায়নে বিভিন্ন সংস্থাকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। চলতি সালের উন্নয়ন বাজেটের পরিমাণ ছিল ৩শত ৮ কোটি টাকা (স্থানীয় মুদ্রায় ২শত ৪৩ কোটি টাকা ও বৈদেশিক সাহায্য ৩৫ কোটি টাকা)। | ঋণ চুক্তির চুড়ান্তকরণসহ বিভিন্ন কারণে মাত্র ৩০ কোটি টাকার পরিক সাহায্য কাজে লাগানাে সম্ভব হইণে। বিভিন্ন পরিকল্পনা সতর্কতার সহিত বাছাই এবং চলতি সালেৱ বাকী কয়েক সপ্তাহে পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহ কি পরিমাণ তহবিল কার্যকভাবে ব্যবহার করতে পারিবে তাহা নিরূপণের পর চলতি মালের উন্নয়ন কর্মসূচীতে মোট ২শত ৪৫ কোটি টাকা ব্যবহৃ ৩ হইবে। (পেশায় মুদ্রায় ২১৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সাহায্য ৩০ কোটি টাকা)। বৈঠকে ১৯৭১-৭২ সালের উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে আলােচনা হয় এবং যে সকল পরিকল্পনা দ্রুত উৎপাদনে অক্ষ্য হাসিল করিতে পারে উহার্থে প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। জালু পৰিকল্পনাগুলির উপর আলােচনায় জোর দেওয়া হয়।
গষর জরুরী নহে, এমন ব্যয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত মিতব্যয়িতার উপর রে দেন।
তিনি এই মর্মে জোর দেন যে, উন্নয়ন কাজ সারা বৎসরই চলা উচিত এবং আর্থিক সালের প্রত্যেক মাসেই যাহাতে কাজ হয় সেইভাবে ক্ষায় ভাগ করা প্রয়োজন।
মে মাসেই সেনা সরকার এক প্রেসনােটে ২ আগস্ট থেকে সকল কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার নির্দেশ দিলো। সংবাদে বলা হলো :
| ‘ঢাকা ২০শে মে (এপিপি)। প্রাদেশিক সরকার আগামী ২রা আগষ্ট থেকে সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলাে পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আজ এখানে। প্রকাশিত এক প্রেসনােটে না হয়েছে। প্রেসনােটের পূর্ণ বিবরণ নিম্নলিখিত সময়সূচী অনুযায়ী পলিটেকনিক ও অন্যান্য কারিগরি ইনষ্টিটিউটসহ, সমস্ত কলেজ, মেডিকেল কলেঙ্ক, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ক) পলিটেকনিক ও অন্যান্য কারিগর। ইনষ্টিটিউট সহ সমস্ত সরকারী কলেজ, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এবং ঢাকাস্থ পূর্ব পাকিস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনােলজি বিশ্ববিদ্যালয় ।
(১) শিক্ষকদের ১৯৭১ সালের ১লা জুন কাজে যোগদান করতে হবে।
________________________________________
(২) ১৯৭১ সালের ২ আগষ্ট থেকে ক্লাশ শুরু হবে। (খ) বেসরকারী কলেজ সমূহ (ইন্টারমিডিয়েট ও ডিগ্রী কলেজ)। (১) শিক্ষকদের ১৯৭১ সালের ১লা জুলাই কাজে যোগদান করতে হবে। (২) ১৯৭১ সালের ২রা আগষ্ট থেকে ক্লাশ শুরু হবে।
নির্ধারিত তারিখ থেকে ক্লাশ শুরু করার উদ্দেশ্যে শিক্ষকরা তাদের কাজে। যোগদানের তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করেন।
নির্ধারিত তারিখে কাজে যােগদান না করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের তাদের চাকুরী থেকে নরখাস্ত করা যেতে পারে। ‘আঁটি নাগরিকদের প্রতি প্রেসিডেন্টের আবেদন, গৃহে ফিরিয়া আসুন’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয় ‘
আল” পত্রিকার ২২মে সংস্থায়। সংবাদে বলা হলাে : করাচী, ২১শে মে-পূর্ব পাকিস্তানের গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতির দরল পাকিস্তানের যে সল খাটি নাগরিক বাড়ীঘর ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছেন প্রেসিভেন্ট তাহাদের প্রতি বাড়ীঘরে ফিরিয়া আমার আবেদন জানাইয়াছেন। প্রেসিডেন্ট রোদেল আগা মােহন ইয়াহিয়া খান আজ সন্ধ্যায় এখানে এক বিবৃতিতে বলেন নি, পূর্ব পাকিস্তানে আইন ও শমলা। পুনঃপ্রতিষ্ঠা হইয়াছে এবং নাগরিক জীবনে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়া আসিতেছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন যে, পকিস্তানের আইনানুগ নাগরিকদের নিজ নিজ গৃহে ফিক্লিয়া? আসার অনুমতি না দেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
প্রেসিতে র বিরোধীদের মিথ্যা প্রচারণায় বিশ্রান্ত না হইয়া স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাইয়া যাওয়ার জন্য তাহলের প্রতি আবেদন জানান।
প্ৰসংগক্রমে প্রেসি!6) আরও বলেন যে, কেবলমাত্র পাকিস্তা+কে দুমকি দেওয়ার ®ন্য নহে পাঞ্চিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে উহার হস্তক্ষেপের যৌক্তিকতা প্রদর্শনের জন্য ভারত এই প্রশ্নটি সম্পর্কে অতিরঞ্জিত প্রচার চালাইতেছে। ইহা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, লক্ষ লক্ষ টাকায় মুছমদিকে তাহাদের বাড়ীঘর হইতে উৎপী করা হইয়াছে এবং বাধ হইয়া তাহারা পাকিস্তানে আসিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছে। কিন্তু ভারত সরকার এ ব্যাপারে মােটেই উদ্বিগ্ন নহেন।
শ্রেসিলেট বিবৃষ্টি বলেন যে, ১৯৬৪ সালের পর পশ্চিমব, অাসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য হইতে ৫ লক্ষাধিক মুছলমানকে উথখাত করা হইয়াছে। কিন্তু আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও ভারত সরকার তাহাদের ফিরাইয়া নিতে অসন্মতি জানান।
প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তান এখনও আশা করে যে, ভারত সরকার এই ব্যাপারে তাহাদের স্থায়িত্ব পালন করিবে।”৬৯
মে মাসেই গৰণৰা লে: জেনারেল টিক্কা খান খুলনা সফর কালে স্থানীয় অফিসাদের সঙ্গে প্রশাসনিক বিষয়ে আলােচনা করােন। সংবাদে বলা হলাে :
‘গতকাল রবিবার রাত্রে রেডিও পাকিকানেৱ খবরে প্রকাশ, পূর্ব পাকিস্তানের গবর্ণর ঔ সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল টিক্কা খান গতকল্য খুলনায় এক সংক্ষিত্রে সফরকালে স্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক অফিসারদের সহিত প্রশাসনিক বিষয়াদি সম্পর্কে আলােচনা করেন। খবর স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্যদের সহিত ও দেখা যারেন এবং
শুরুর মাত্র কয়েক মন্টা পূর্বে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কয়েকশঙ্কা আত হানি তাহাদের উঞ্জ যড়যন্ত্র নস্যা করিয়া দেয়।
পরবর্তীকালে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে, বর্তমানে তাহা সর্বজনবিদিত। ভারতীয় হিন্দুদের সহিত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সড়যন্ত্রের বিষয়টি বর্তমানে ক্রমশই স্পষ্ট হইয়া
হংগাম শুরু হওয়ার এই পূর্বেই ঢাকার একটি হিন্দু ছাত্রাবাসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ। স্থানে ভারত হইতে অবৈধভাবে আমদানীকৃত অস্ত্র পাওয়া যায়। সময় ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী দল পূর্ব পাকিস্তানের খাদ্যের দাম, সড়ক, সেতু, ট্রেন এবং ষ্টিমার যোগাযোগৰৱ উপর হামলা চালায়।
ভারত কেবল মাত্র অস্ত্র সরবরাহ, এবং অনুপ্রবেশকারী দল শ্রেণিরণ কৰািই সন্তুষ্ট থাকিত্রে না পারি আর এক ধাপ আগাইয়া যায়।
________________________________________
এ ব্যতিফলন, সদ্য, বাসস)
স্বাভাবিক অবস্থা ফিরাইয়া আনার ব্যাপারে শান্তি কমিটির ভূমিকার প্রশংসা করেন। লেঃ জেনারেল টিক্কা খান জাহাজে নিউজপ্রিন্ট বােঝাইয়ের কাজ দেখিয়াও সন্তোষ প্রকাশ করেন। গনৱ গতকালই যশাের হইয়া যাক প্রত্যাবর্তন করেন।’
এ দিকে গবর্নর এক আদেশ বলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পূনর্বিন্যাস কমিটি গঠন করলেন। পত্রিকায় বলা হলো :
‘ঢাকা ২৯শে মে (এপিপি)। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকে পুনর্বিন্যাস করার জন্য গভর্ণর নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেন :
ড: সাজ্জাল হুসাইন, ভাইস-চ্যান্সেলর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ডঃ হাসান জামান, ডিরেক্টর, জাতীয় পুনর্গঠন ব্যুরো, ডঃ মােহর আলী, সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জনাব এ, এফ, এম, আবদুর রহমান, সদস্য, সাকা বিশ্ববিণালিয়। উঃ আবদুল বারী, সদস্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ভ; মকবুল হােসেন, সদস্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ভ: সাইফুদ্দিন জোয়ারদার, সদস্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
কমিটি নিলিখিত বিষয়গুলাে সম্পর্কে সুপারিশ করবেন । (১) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস। (২) সিলেবাসকে জাতীয় চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করে তোলার জন্য ইহার সংশােধন এবং (৩) উপরােক্ত ব্যবস্থাগুলাে বাস্তবায়নের ব্যাপারে সুবিধাজনক অন্যান্য সুপারিশ।
১৯৭১ সালের ৩১শে আগষ্টের আগেই কমিটিকে ইহার নিপাের্ট সরকারের কাছে পেশ করতে হবে।’
২৫-২৬ মাঠের মধ্যরাতে কয়েক দফা আনো মাধ্যমে পাকিস্তান সনাবাহিনী। আওয়ামী লীগের সন্ত্র নস্যাৎ কগে বলে এক থোর পর্যালােচনায় বলা হয়। এ সম্পর্কে পত্রিকায় লেখা হয় ;
h, ৩১শে মে – গতরাত্রে পাকিস্তান বেতার কেন্দ্র হইঞ্জ প্রচারিত এক সংবাদ পর্যালোনায় বলা হয় যে, ২৫ ও ২৫ মার্চের ধাপরালে অব মেক্তি আওয়ামী লীগ কর্তক পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তানের সহিত উহার স্বাভাবিক বন্ধন হইতে ছিন্ন করার জনা সংগ্রাম
________________________________________
বিদেশী সংবাদপত্রে প্রকাশিত খননাে না হয় যে, ভারত তথাকথিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার ব্যবস্থা করি। উক্ত সরকারের সকল নেতাকে তলিকতায় সরকারী মােসাফের খানায় থাকার ব্যবস্থা করে।
বর্তমানে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন, কবে হইতে ভারত ও ভারতীয় হিন্দুগণ পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদের একটা গুজয় হইয়া উঠিয়াছে। ভারত কেন জাতিসংঘ শাল, আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন উপেক্ষা করিয়া পূর্বপাকিস্তানে অস্ত্র ও অনুপ্রবেশকারী সূল প্রেরণ, দলত্যাগীদের আশ্রয়লান এবং ভারতে রাষ্ট্র বিকাে পল গঠনে। উদ্যোগী হইয়াছে
মে মাসে চাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এক সভায় মিলিত হয়ে কর্মচারীদের ১৫ই। জুনের মধ্যে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিল। সংবাদে বলা হলাে :
“ঢাকা, ৩১ শে মে -মপ এখানে অনুষ্ঠিত ঢাক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিণ্ডিকেটর এক সভায় এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মচারী সর্বশেষ ১৫ই জুনের মধ্যে কাজে যােগদান করিতে ব্যর্থ হইলে তাহারা আপনা হই হই না গান্ত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাহারা যে পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তাই| শনা বলিয়া বিবেচিত হইবে।
উল্লেখযােগ্য যে শিক্ষণ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানগণসহ, ঢাকা বিশ্বনিম্যালয়ের অফিসার ও অন্যান্য কর্মচারীর তাহাদের স্বপ্ন কালে গত ২১লে এগ্রিক ‘৭১ সালে কাজে যোগদান করিতে বলা হইয়াছিল। শিক্ষকদের ১লা জুন ‘৭১ সালে কঙ্গে যোগদান
এরপর নিপলিপ্যালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পাকায়া বলা হলাে অধিকাংশ শিক্ষক কাজে যােগদান করিয়াছেন। সংবাদে উল্লেখ করা হয়
“ঢাকা, ১লা জুন – ঢাকা শহরে বিশ্ববিদালয় এবং সরকারী কলেজ সমূহের অধিকাংশ শিক্ষক ৩ মাস পরে তাহাদের কাজে যােগদান করিয়াছেনা খাল কর্তপক্ষায় সূত্রে উল্লেখ করা হয়। গত ২৭ মার্চ হইতে বেআইনী ঘােষিত আওয়ামী লীগের অসহযোগ আন্দোলনের পর পূর্ব পাকিস্তানের বিশ্ববিল্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ বন্ধ হইয়া যায়। সরকার আজ শিক্ষকদের কার্যে যোগদানের ঋন্য নির্দেশ দিয়াছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রেস ব্রিলিজে বলা হয় যে,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতকরা ৮০ জ্ঞাগেরও অধিক শিক্ষক আজ বেলা ১টা হa মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যলবের ১৯টি বিভাগ হইতে প্রাপ্ত রিপাের্টের ভিত্তিতেই শিক্ষকদের হাজিরার উপরােক্ত হিসাব প্রদান করা হয়। শহরের বিভিন্ন সরকারী কলেজের কর্তৃপক্ষ জানাইয়াছেন যে, অধিকাংশ শিক্ষক কাজে যোগদান করিয়াছেন। তাহারা এবান যে, অন্যটি শক মাহারা দূতী জেলায় তাহাদের বাড়িতে গিয়াছেন বলিয়া মনে করা হইতেছে তাহারাও শীই ফিরিয়া আসিবেন বলিয়া আশা করা যায়।
সরকারী-বেসরকারী কলেজসমূহের শিক্ষকদের আগামী ১লা জুলাই কাজে। যোগদানের নির্দেশ লিয়া ।’
________________________________________
এ সময় সেনা শাসক শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়ে ১৪৯ নম্বর সামরিক আইন আদেশ জারি করলো। সংবাদে বলা হলাে :
ঢাকা, ২৭ জুন।-‘খ’ এলাকার সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল টিক্কা খান এদিও ১৪৯ নং সমনিন অাইন্য আদেশের বিবরণ নিম্নে প্রদত্ত হইল।
(১) ১৯৭১ সনের ২১শে মে তারিখে স্থানীয় সংবাদ পত্রসমূহে প্ৰ’শিত সময় সূচি অনুরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিসহ সকল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিদানসমূহ পুনরায় খেলা
(2) উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষকদেরকে নির্ধারিত তারিখ গুলিতেই কাজে যোগদান করিতে হইবে। উক্ত সময়সীমার অতিরিক্ত পনের লিনেনা মধ্যে কাজে যোগদান করিতে ব্যর্থ হইলে তাহাদেরকে চাকরী হইতে বন্যস্ত করা যাইবে এবং বিশেষ ক্ষেএসমূহ ২৫নং সামরিক আইন বিধি অনুসারে সামরিক আদালতে বিচার করা যাইবে।
(৩) “খ” অঞ্চলের ১২১ সামরিক আইন আদেশ এখন হইতে বাতিল করা হইল। ৬৮
এ দিকে এক সরকারি ঘােষণায় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল এবং পুলিশের যে সকল সদস্য তারতীয় জামপন্থীদের দ্বারা বিপথগামী হয়ে সীমান্তের ওপারে চলে গিয়েছে, এবং, দেশদ্রোহী কাজে অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে নিকটস্থ সেনা দফতনে অথবী পুলিশ স্টেশনে অল্পসহ, অথবা অস্ত্র ছাড়া আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
এ দিকে রাজশাহী সদর মহকুমা মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান। নাৰী কইলেন, রাজশাহীতে স্বাভাবিক অবস্থা নিদাজ করছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মান্নান দুতিকাদের তৎপরতায় যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা পূর্ণণের জন্য উদনগণ কঠোর পরিশ্রম করছে বলে জানানাে হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শান্তিকামী জনগণের জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষা আর গুন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসাও করা হয়। | জুন মাসে শক সরকার উদ্বাস্তু প্রশ্নে এক বিবৃতি প্রচার করে। বিবৃতিতে বলা হয় : “পাকিস্তানের প্রেসিজেন ২১শে মে এক বিবৃতিতে পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগকারীদের তাহানের নিজেদের গৃহে প্রবর্তনের আহবান জানান। সেমিতে “ট ২৪ শে মে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উক্ত বিবৃতি পুনঃখ করে এইসব উদ্বাস্তুদের পূনর্বাসনের সকল প্রকার
উহার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাই প্রাদেশিক সরকার পাকিস্তানী উদ্ধাদের গ্রহণের উদ্দেশ্যে কয়েকটি সম্বর্ধনা শিবির স্থাপনের কথা গােণা করেন। উপরােক্ত কর্ম তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান সরকার ভারতে পূর্ব পাকিস্তানী উদ্যানের সাহায্য কয়ে নিযুক্ত উদ্য সংক্রান্ত জাতিসংঘের হাই কমিশনার প্রিন্স সরুদ্দিন আগা খানের প্রতি এ সম্পর্কে সর্বপ্রকার সহযােগিতা প্রদানের নিশ্চয়তা দান করেন।’
সেনা সরকার সামদিক আইনেয় ১৫০ নম্বর আদেশ জারী করে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইনের সেক্টরসমূহ পূনর্গঠিত করে। এ সম্পর্কে প্রকাশিত খবরে বলা হলাে :
ঢাকা, ৮ই জুন। = গতকাল এখানে ‘স্ব এলাকার সামরিক আইন প্রশাসকের সদর দফতর হইতে আরাকৃত সামরিক আইনের ১৫০ নং আদেশ অনুসারে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন মেরি গুলি পুনর্গঠিত হইয়াছে।
________________________________________
নিম্ন সামরিক আইনের ১৫০ নং আদেশের পূর্ণ বিবরণ দেওয়া হইল; |
১। ‘খ’ এলাকার সামরিক আইন প্রশাসকের জন্য ১৯৭১ সালের ১০ই জুন হইতে পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশকে নিম্নলিখিত সেক্টরে বিভক্ত করা হইল।
ক) সেক্টর-১
(১) ফরিদপুর জেলা বাদে এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা ও সিলেট জেলাসহ সন্ত্র বেসামরিক ঢাকা বিভাগ।
(২) সদর দফতর – চাকা। (৩) সাব-সেক্টর (ক) সাব-সেক্টর-১ ঢাকায় সদর দফতরসহ ঢাকা জেলা। (খ) সাব-সেক্টর-২ মোমেনশাহীতে সদর দফতরসহ, মােমেনশাহী ও টাংগাইল জেলা। (গ) সাব-সেক্টর-৩ কুমিল্লায় সদর দফতরসহ, কুমিল্লা জেলা। (ঘ) সাৰ-সেক্টর সিলেটে সদর দফতরসহ সিলেট জেলা। (খ) সেক্টর (১) সমর বেসামরিক রাজশাহী বিভাগ। (২) সর দর-Cটার। (2) শাল-সেঞ্চয়। (ক) সাব-সেক্টর-৫
থে সরা দকসহ পাবনা ও রাজশাহী জেলা। (খ) সাব-সেক্টর-৬ বগুড়ায়! সন্দর দফতরসহ ৰভু জেলা। (গ) সাব-সেক্টর = ৭। রংপুরে সদর দফতরসহ রংপুর ও দিনাজপুর জেলা। (গ) সেক্টর- ৩ (১) 6া বিগের ফরিদপুর জেলাসহ — ১ালনা বন্দী বাদে সময়! বেসামরিক খুলনা | বিভাগ। (২) সদর দফতর- যশাের। (৩) সাব-সেক্টর। (ক) সাব-সেক্টর – ৮ যশােরে সদর দফতরসহ চালনা বন্দর বাসে যশাের ও খুলনা। (খ) সাব-সেক্টর-৯ ফরিদপুরে সদরসহ কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং ফরিদপুর জেলা।
________________________________________
(ঘ) সেক্টর-৪ । (১) চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম (চট্টগ্রাম বন্দর বাদে), পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নােয়াখালীর | Alag বেসামরিক এলাকা। (২) সদর দফতর চট্টগ্রাম। (৩) সাব সেক্টর (ক) সাব সেক্টর – ১০ চট্টগ্রামে সময় ফতর সহ, ১ম খণর বালে সয় ১৯৭ম শো।। (খ) সাব-সেক্টর-১১ রাংগামাটিতে সুন্দর দিকরত সহ পার্বত্য চট্টগ্রাম গেল। (গ) সাব-সেক্টর-১২ নােয়াখালীতে গণৰ দত্রে জ নােয়াখালী জেলা। (ঙ) সেক্টর-৫ (১) পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় জলসীমা সহ চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর। সদর দফতর – b]গ্রাম বন্দর।
(২) এতখারা ‘খ’ এলাকার সামরিক আইনের ১, ২, ৬, ৯, ১০, ১৭, ১৯, ২০, ৩৪, ৩৮, ৪৭, ৪৮, ৬৪, ৬৫, ৭৮, ৮২, ১১, ১৩৮, ১৩৯ এবং ১৪০ নয়, আদেশ বাতিল করা হইল।”৭২
এ সময় বিশেষ সামরিক আদালতে বিচার সম্পন্ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ ৫ ঋশের ১৪ হর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলাে। এ সম্পর্কে বলে বলা হলাে :
ঢাকা, ৮ই জুন। ১নং বিশেষ সামরিক আদালত অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগের প্রখ্যাত নেতৃবৃন্দসহ, ঐ ব্যক্তিকে ১৪ নম্বর করিয়া সশ্রম কারাদণ্ড ও তাহাদের প্রত্যেকের সম্পত্তি লাজেল করার নির্দেশ দিয়াছেন।
পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের সম্মুখে হাজির হইতে ব্যর্থ হওয়ায় সামরিক আইনের ৪০ নং বিধি মােতাবেক তাহাদের অনুপস্থিত বিচার কার্য সম্পন্ন করা হয়। সন্তি আসামীগণ হইতেছে : জনাব তাজউদ্দীন আহম্মদ সাত মসজিদ রােড ঢাকা, তোফায়েল আহমদ কোরল পােষ্ট অফিস, লাে বাকেরগঞ্জ ইনাৰ , এম নজরুল ইসলাম, লাঙ্গল শিমলা, জেলা-মােমেন শাহ। জনাব আবদুল মান্নান, ১১৯/সিদ্ধেশ্বরী, জেলা-ঢাকা ও ইবাৰ আবিদুর রহমান, পিপলস পরিকার স্বত্ত্বাধিকারী ও সিন্ধোৱা, ঢাকার বাসিন্দা।
| পূর্ব পাকিস্তানী বাস্তুতাগীদের বিপুল সংখ্যায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুরু সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক আজাদ’ পত্রিকায়। সংবাদে বলা হয় :
ক ঢাকা, ৮ই জুন। – যে সকল পাকিস্তানী নাগরিক পূর্ব পাকিস্তানে সাম্প্রতিক গােলযোগের কালে ভারতে চলিয়া গিয়াছিলেন তাহারা বর্তমানে বিপুল সংখ্যা৷ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুরু করিয়াছেন বলিয়া এক সরকারি হ্যান্ড আউটে জানা গিয়াছে।
গতকাল প্রায় ১ হাজার পূর্ব পাকিস্তানী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের নিকট পাকিস্তান এলাকায় প্রবেশ করেন। তাহাদের দ্রুত পুনর্বাসনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইতেছে।”
নয় যে খবর প্রকাশিত হইয়াছে, জে; টিক্কা খান জােরের সহিত তাহার সত্যতা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, খাদ্যশস্যের কথা বলতে গেলে তাহার কোন দুষ্প্রাপ্যতা নাই। সরকারের প্রচুর পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুদ রহিয়াছে।
তবে কোন কোন এলাকায় যােগাযোগ ব্যবস্থা বিচিত্রা হইয়া যাওয়ায় খাদ্যশস্য পরিবহনে অসুবিধা সৃষ্টি করিতেছে। উদাহরণ স্বরূপ তিনি উল্লেখ করেন যে, ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে কয়েকটি রেলসেতুর ক্ষতি সাধন করিয়াছে। তবে ঐগুলি দ্রুত মেরামত করা হইতেছে। অর্থনৈতিক অবস্থার কথা উল্লেখ করিয়া গরুর বলেন যে, বেশীর ভাগ মিল-নকল-কারখানা ও দোকান-পাটে কাজ শুরু হইয়াছে। অবশিষ্ট শিল্প ও সওদাগী সংস্থা সমূহে, শীঘই হাতে কাজ চালু হয় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইতেছে। যে সকল ব্যক্তি তাহাদের শিল্প ও সওদাগরী প্রতিষ্ঠান চালু করিতেছেন না সামরিক আইন প্রশাসন কর্তৃপক্ষ তাহাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে মনস্থ করিতেছেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে গররি নলেন খে, তাহাদের সকলকে তাহাদের প্রতিষ্ঠান চালু করার জন্য রাজী করান হইতেছে।
যে সকল শিল্প ইউনিট ও সোনপাট এখন খােলা হয় নাই তাহাদের বন্ধ করিয়া দেওয়া অথবা প্রদেশের অর্থনীতির স্বার্থে অপর কাহারও নিকটে তাহা বলি বরাদ্দের সঞ্জাবনা আছে কিনা-এই মর্মে এক প্রশ্নের জওয়াবে তিনি বলেন , এইকল সম্ভাবনার কথা তিনি উড়াইয়া দিতেছেন না । এইভাবে তাহাদিগকে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতিকে আঘাড় করিতে দেওয়া নাইতে পারে না।
| কৃষি ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থার জন্য গর্পর সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি মন্তব্য করেন যে, পূর্ব-পাকিস্তানের অস্থির দিক দিয়া ইহা উৎসাহ,এক কাপর ।
এক প্রশ্নের জওয়াৰে গৰণর বলেন যে, সিলেটে শ্রমিক চা বাগানে ফিরিষা আসিতেছে এবং চা শিল্পের ক্ষতি হয় নাই । গৰ্ণর একজন প্রশ্নকারীর নিকট বলেন যে, গোলযোগের সময় কহিল সররী ট্রেজারী ও বাঃ হইতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুট হইয়াছে উহ উদ্ধারর জন্য জোর তৎপরতা চালান হইতেছে। তাহার মতে কোন কোন এলাকার ক্ষেত্রে এই অর্থ দেশের বাইরে চলিয়া গিয়াছে।
এ সময় গবর্নর লে: জে: টিক্কা খান বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভােলা সফর শুর বললেন, ‘কেউ অনাহারে মারা যাবেন না।’ সংবাদদাতা জানালেন :
পটুয়াখালী ও ভােলা ধাপ সফর করেন। গত বৎসর ঘুর্ণিবাত্যা ও সামুদ্রিক ঐলােপ্যাসের ফলে উপরোক্ত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছিল। প্রাদেশিক অন্য বিভাগের সেক্রেটারী ও রিলিফ কমিশনার সমভিব্যাহারে পর রিলিফ ও পুনর্বাসনের কাজ সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের জন্য উপকূলীয় এথলে আজ দ্বিতীয়বারের মত সফর কনে। | লে: জে: টিক্কা খান সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যােগে উগ্রত অগালে গমন করিরে এক বিরাট জনতা তাহাকে অভ্যর্থনা জানায়। তাহারা পাকিস্তান শিবাল, কায়েদে আজম জিলাৰাল’, সহ দেশপ্রেমমূলক বিভিন্ন শ্লোগান প্রদান করে। অবরুদ্ধ বাংলাদেশ ২৩
________________________________________
তাজুদ্দিন প্রমুখের প্রধান অভিযােগের বিচার শৱে হইবে’ শিরােনামের সংবাদ প্রকাশিত হয় ১০ জুন। ‘আজাদ জানালাে :
ঢাকা, ৯ই জুন। – সামরিক কর্তৃপক্ষ সমীপে উপস্থিত না হওয়ার জন্য ৪০ নম্বর সামরিক আইন বিধি অনুযায়ী তাজুদ্দিন আহমদ, সাত মসজিদ রােড, ঢাকা, তােফায়েল আহমদ, পােঃ কোৱালিয়া, জেলা-বাকেরগঞ্জ, এ, এস, নজরুল ইসলাম, লাংগল সিমলা, কেলা-মােমেনশাহী, আব্দুল মান্নান, ১১০, সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা এবং পিপলস” এর মালিক ও জাকার সিদ্ধেশ্বরীর অধিবাসী আবিদুর রহমান এই সকল ব্যক্তিকে ১৪ বৎসর করিয়া সশ্রম কারাশও দেওয়া হইয়াছে এবং তাহাদের সম্পত্রুির শতকরা ৫০ ভাগ বাজেয়াপ্ত করা। হই ।
৫নং সামাজিক মাইন বিধির সহিত পঠিত পাকিস্তান বিধি ১২১ ধারা অনুযায়ী জাপান। অভিযোগের জন্য তাহাদের বিচার করা হইবে।’
শীগ্রই ১৫টি নয়া অভ্যর্থনা শিবির চালু, বস্তুত্যাগীরা আরও অধিক হারে ফিরিয়া আসিতেছে’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয় ‘আজাদ’ পত্রিকার ১০ জুন সংখ্যায়। পত্রিকায় বলা হল:
| চাকা, ৯ই জুন।-সীমান্তের অপর পার হইতে আরও অধিক সংখ্যক লােক পূর্ব পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাসমূহে ফিরিয়া আসিতেছে।
প্রকাশ, রাজশাহীতে ১৫০ জন, দিনাজপুরে ৫০০ জন ও সাতক্ষীরায় ১২০ ব্যক্তি ফিরিয়া আসিয়াছে। অবশ্য কেবল মাত্র পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তে ভারত হইতে প্রত্যাগতদের গ্রহণের ব্যবস্থা করা হইয়াছে। আগামী ১২ই জুনের মধ্যে সাতক্ষীরা, বেনাপোল, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, টেকনাফ ও উকিয়াস্থ ৬টি অভ্যর্থনা শিবির পুরাদমে চালু হইবে। পক্ষান্ধবে আগামী ২০শে জুনের মধ্যে আমাদের লোকদের গ্রহণের জন্য পাকা ১৫টি শিবির স্থাপিও হইবে। প্রত্যেক আচ্ছাপন যুক্ত অভ্যর্থনা শিবিরে আনুমানিক দুই ইইক তিন হাজাখ লােকের স্থান সংকুলাম এবং প্রতিদিন ৫ শত হইতে এক হাজার প্রত্যক্ষ ব্যক্তির প্রয়ােজনের প্রতি নজর দেওয়া হইবে।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, অর্থন শিবিরে সকল প্রত্যাগতদের জন্য থালা, থাকার জায়গা ও চিকিৎসার পূর্ণ ব্যবস্থা করা হইয়াছে। তথ| হইতে তাহলে হে গমনের জন্য যাদবাহনের ব্যবস্থা করা হইবে। সীমান্তে সকাল ৮টা হইতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হালের
সকল ঋটি পাকিস্তানকে তাহাদের পাকিস্থানে প্রত্যাবর্তনের পথ চিনিয়া লইতে পরামর্শ দেওয়া হইয়াছে। গতকাল দিনাজপুর ভােলার ফুলবাড়ি এলাকার ৭০টি পাকিস্তানী পরিবার তাহাদের গৃহে প্রত্যাবর্তন করিয়াছে। পূর্ব পাকিস্তানে সাম্প্রতিক গোলযােগের রুশ তাহার গৃহ ত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছিল।
এদিকে ভারত মণ হনকারী ও অন্যান্য স্থানে আগােপনকারী সকল রে নাগরিককে দেশে ফেরার আবেদন জানালেন লে: জে: টি খান। আজাদ প্রতিবেদক এ
কা, ১০ই জুন। মিথ্যা ও দূরভিসন্ধিমূলক প্রচারণায় বিভ্রান্ত হইয়া পূর্ব পাকিস্তানের যে সকল নাগরিক বাড়িঘর ত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছেন পূর্ব পাকিস্তানেৱ গৰণৱ ও
________________________________________
সামরিক আইন প্রশাসক লে: জে: টিকা খান আজ তাহানের প্রতি তাহাদের বাড়িঘরে ফিরিয়া আসর আবেদন জানাইয়াছেন।
ছাত্র, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, সরকারী কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনী, ইপিআর, পুলিশ, মুজাহিদ ও আনসারের মত আইন প্রয়ােগকারী বাহিনী, রাজনৈতিক কর্মী ও নেতৃবৃন্দ এই সা লােকজনদের প্রতি ক্ষমা প্রায়শন বা হইয়াছে।
| যে সমস্ত লােক মীমান্ত অতিক্রম করিয়া চলিয়া গিয়াছেন । মায়া গোপন করিয়াছেন, তাহানের প্রায় সকলে বাড়িঘরে ফিরিয়া আসিয়া নিজেদের পরিবার পরিজনের সহিত মিলিত হইতে এবং তাহাদের স্বাভাবিক কাজ কর্ম পুনরায় শুরু করতে ইচ্ছুক এই তথ্য তদন্ত শেষে জানার পর উপরোক্ত অাহবান জানানাে হইয়াছে। ইহা সমকতাবে উপলজি করা যাইতেছে যে, তাহাৱা নিরর্থক পুহীনতা ও রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি নিতেছে। সরকার চান যে, তাহারা ফিরিয়া আসিয়া জাতীয় পুনর্বাসনের কাজে অংশগ্রহণ
এখানে উল্লেখ করা যাইতে পারে যে, আমাদের যে সৰ লােক সীমান্ত অতিক্রম করিয়া চলিয়া গিয়াছেন, তাহাদের গ্রহণের জন্য সীমান্ত বরাবর প্রধান প্রধান রুট ম্যান শিবির খােলা হইয়াছে। বিনা পয়সায় খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিবির হইতে বাড়িঘরে গমনের যানবাহনের ব্যবস্থা করা হইবে। তাহাদের পুনর্বাসনের সম্ভাব্য সকল প্রকার সাহায্য দেওয়া হইবে।
তাহাৱা যখন ফিরিয়া আসিবেন তখন তাহাৱা জনগণ ও রাষ্ট্রের দুশমনদের দূরভিসন্ধিমূলক প্রচারণার অসারতা বুঝিতে পারিবেন। সরকারী ও সওদাগরী অফিসসমূহ খোলী হিEে, Iশ ও কৃষি কাজে স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, ভুলসমূহ সুপিয়াজ ও ছাত্ররা ক্লাশে উপস্থিত হইতেছে যোগাযােগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছে এবং প্রদেশে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য মওকুল রহিয়াছে।
যাহারা বর্তমানে অহেতুক দৃশ ভোগ করিতেছেন বাড়িঘরে ফিরিয়া আসিয়া স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা শুরু হবার জন্য তাদের প্রতি আবেদন জানান হইয়াছে।
জুন মাসে ঢাকার ২১০টি সড়কের নয়া নামকরণ করা হলাে। ঢাকা পৌরসভা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ প্রসঙ্গে সংবাদে বলা হয় :
| প্রাদেশিক ৰাজধানী ঢাকা শহরের ২ শত ১০টি রাস্তার নতুন নামকরণ করা হইয়াছে। | ঢাকা পৌরসভা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানাইয়াছে। রাস্তাসমূহের বর্তমান ও নতুন শামসমূহ নিয়ে দেওয়া হইল :৭৮ বর্তমান নাম (১) লালমোহন পেশার লেন
নতুন নামি। (২) হবিচরণ রায় কােন
আবদুল করিম খান রােড, (৩) শাখারী নগর গেন
মাহল বিন কাসেম রোড, 48) ঢালিকা করলেন।
কলকলন ‘ট, (৫) কিষাণ ব্যানার্জী বােত
ইসমাইল স্ট্রিট,
= (৬) নবীনচাপ গােস্বামী রােড
আলীবন্দীরে, – বখতিয়াত্ৰ খিলঞ্জী রােড,
________________________________________
(৭) কালীচরণ সাহা রােজ (৮) সতীশ সরকার রােজ
গাজী সালাউদ্দিন রােড, নওয়াব আলী রােড,
(১০) দীননাথ সেন রোজ (১১) শশীভূষণ চ্যাটার্জী লেন (১২) রজনী চৌধুরী রােজ (১৩) এস, কে, দাস রােভ (১৪) মালাকা টোলা লেন (১৭) রেবতী মােহন দাস রােড (১৬) বসন্ত কুমার পাশ রােজ
(১৮) আনন্দ লাস লেন (১৯) মােহিনী মােহন লাল লেন (২০) পলাল দাস লেন। (২১) সেপেন্দ্র নাথ দাস লেন। (২২) শুকলাল দাস লেন (২৩) রূপচান্স লেন। (8) হবিমোহন মুগ। লেন (২৫) জয়চন্দ্র ঘোষ লেন। (২৬) হরিশচন্দ্র বােস স্ট্রিট (২৭) পিয়ারী দাস রােড (২৮) হেমেন্দ্র দাস রােড (২৯) শ্ৰীশ দাস লেন। (৩০) ঈশ্বর দাস লেন। (৩১) প্রতাপ দাস লেন। (৩২) গােলাপ সাহা লেন (৩৩) পুর্ণচন্দ্র ব্যানার্জী লেন (৩৪) গােবিন্দচন্দ্র লেন । (৩৫) শ্যামা প্রসাদ রায় চৌধুরী লেন। (৩৬) কে জি গুপ্ত লেন (৩৭) এইচ, কে দাস রােভ (৩৮) ঠাকুর দাস লেন (৩৯) জাষ্টিস লালমােহন দাস লেন। (৪০) তনুগঞ্জ লেন (৪১) সুভাষ বােস এভিন্ন (৪২) গােবিন্দ দত্ত লেন (৯৩) রাজচন্দ্র মুন্সী লেন
হায়দার আলী রােড, সৈয়দ সলিম টি, ইলাম খান রােড, সিরাজউদ্দৌলা রােড, নােমানী স্ট্রিট, শহান আলাউদ্দিন রােজ, আবদুল হামিল ফ্রীধুরী রােড, দৌলত কাজী স্ট্রিট, আবদুস সামাল ট্রিট, মুজিবুল হক টি, নুরুন্নবী &ট, নগুয়াৰ ফারুকী স্ট্রিট, হাফিজ মােহাম্মদ হােসেন (6, ফজলুর রহমান , বাহার ইয়াৰ জং , থওয়াজা নসরুল্লাহ টি, ইবনে খালেন রােড, মওলানা মােহাম্মদ আলী রোড, মওলানা শওকত আলী রেজি, মােস্তফা দ্ভিট, । আবদুল হাফিজ স্ট্রিট, লতিফ ভাতাই ট্রিট, গােলাব শাহ ট্রট, শাহ মালেক স্ট্রিট, শাহনিয়ামতুল্লাহ Eিট, শাহ ওয়ালী টি,
ওয়াজ শাহাবুদ্দিন ঠুট, মােহাম্মদ গজনভী রােড, হযরত মাহবুব ইলাহী ট্রট, কাজী জহুরুল হক রােড, হযরত নাক্স-ঈ-বন্দ ঐট, আলিদ বিন ওয়ালিন এভি, আরমা ওয়াসতফ্রট,
________________________________________
(৪৪) পাঁচ ভাই ঘাট লেন
– (৪৫) নবদ্বীপ বসাক লেন।
ডি আই টি, (৪৬) কুঞ্জ বাৰু লেন । (৪৭) গধুলাখ লাস লেন (৪৮) পি, কে, রায় বােজ বাংলা বাজার) =
ইবনে রুশদ টি, (৪৯) চিত্তরঞ্জন এভিন্ন
ইবনে সিনা রােড, (৫০) শাখারী বাজার রােড
নাজিমুদ্দিন এভিনিউ, (৫১) পটুটুলী লেন
টিক্কা খান বােত, (৫২) কবিরাজ ফোন। (৫৩) রমাকান্ত পোন্দার লেন
ইমাম মালেকট, (৫৪) ডঃ কে, এইচ ধনুর বেড়ি
ইমাম শাফী &ট, (৫৫) কৈলাশ ঘােষ লেন ।
| আহমদ শাহ আবদালী রোড, (৫৬) অশােক জমাদার লেন
ইমাম হাম্বলট, (৫৭) গোপীনাথ পণ্ড কবিরাট
আশেক জমাদরাট, (৫৮) রায় ঈশ্বর চন্দ্র ঘােষ বাহাদুর উট –
উলি সুলতানা রােত, (৫৯) সুটীপন্যা রিপা লেন
উঃ শহীদুলাহ রােড, (৬০) রাধিকা মােহন বসাক লেন।
সুলতানউলীন টি, (১) ব্রাখালচন্দ্র বসাক লেন
মহকত খান ঐট, (৬২) হরিপ্রসন্ন মিত্র রােড
নওয়াব ইসমাইলট, (৬৩) নরায় লেন
মুর্শিদকুলী খান রোড, (৬৪) বাসচন্দ্র সেন পেশার
আলিমুয়াহ ট্রীট, বলা বাহুল্য এ তালিকা অসম্পূর্ণ এবং পরবর্তীতে তা প্রকাশ করা হয়েছে-এমন কথ্য
– লালন শাহ, রােজ। আমাদের হাতে নেই।
এ দিকে লে: জে: নয়াজীর ১৬ জুন উত্তর-পূর্বাঞ্চল সফরকালে স্থানীয় কমান্তর সীমান্ত এলাকায় পথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে বলে নদীকে অবহিত করা।
| ‘ঢাকা, ১৬ই জুন পূর্বাঞ্চল কমাতের কমান্ডার লে: জেনারেল, কে, নয়াজি আজ পূর্ব পাকিস্তানের উনা-পূর্ব অঞ্চলে সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেন। জি ও সিও তাহার সহিত
| লে: জেনারেল নিয়াজি হেলিকপ্টার যােগে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রথমে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অবতরণ করেন। সেখান হইতে তিনি সাহবাজপুরে গমন করেন। স্থানীয় কমান্ডারী লে: জে: নিয়াজিকে অভ্যর্থনা জানান।
স্থানীয় কমান্ডার লে; শিয়াইকে নািন যে, সত্য এলাকা বা বিয়োবীদের কবলমুক্ত এবং সীমান্ত এলাকায় পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কায়েম করা হইয়াছে। পরিস্থিতি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রহিয়ায় এবং লোকজন বাড়িঘরে ফিরিয়া আসিয়াছে।
স্থানীয় এলাকায় যে সৰ কলতা ই সে তাগিয়া ফেলা হইয়াছিল সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই তাহা মেরামত করছে। স্থানীয় এলাকায় যােগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।”৭১
________________________________________
এ দিকে “ৰি জোন এর সামরিক আইন প্রশাসনেয় সান সেক্টর ৫, ৬ এবং ১১-এর এক্রিয়ার পুনঃনির্ধারণ করা হয়। সাব সেক্টর ৫-এর মধ্যে পাবনা এবং রাজশাহী জেলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং পাবনায় এর সদর দফতর করা হয়। সাব সেক্টর ৬-এ রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় থাকবে এবং এর সদর দফতর থাকবে রংপুরে। সাব সেক্টর ১১ এর অধীনে থাকবে বগুড়া জেলা এবং এর সদর দফতর থাকবে বগুড়াতে ও
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ১৮ জুন এক বিবৃতিতে দেশত্যাগী সংখ্যালঘুদের গৃহে প্রত্যাবর্তনের আহবান জানান। বিবৃতিতে বলা হলাে :
রাওয়ালপিণ্ডি, ১৮ই জুন, প্রেসিডেন্ট জেনারেল এ. এম ইয়াহিয়া খান আজ জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকল পাকিস্তানী নাগরিকদের, যাহারা বিভিন্ন কারণে ভারতে গিয়াছেন, পূর্ব প্রকিস্তানে হাহানের গৃহে প্রত্যাবর্তনের আহবান জানান।
তিনি বলেন যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদসাদের পূর্ব পাকিস্তানে তাহাদের গৃহে প্রত্যাখামনে কোনরূপ বিশালংশা থাকা উচিত নহে। তাহাদেরকে পাকিস্তানের সমান নাগরিক হিসাবে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও অন্যান্য সুযােগ সুবিল পে ওয়া হইবে এবং কোনরূপ বৈষম্যমূলক আচরণের প্রশ্নই উঠিতে পারে না।
প্রেসিডেন্ট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লােকদের পাকিস্তানের বাহিরে যে দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণা চলতেছে, তাহার দ্বারা বিহস্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।
আজ সন্ধ্যায় প্রদত্ত এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বলেন, গত ২১শে মে আমি বিভিন্ন কারণে যে সব পাকিস্তানী ভারতে গমন করিয়াছিল তাহাদিগকে তাহাদের নিজ নিজ এরশাড়ী ফিরিয়া স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম শুরু করার জন্য ব্যক্তিকে আহবান জানাই। গত ২৪শে মে আমি কন্যাচীতে আমার সাংবাদিক সম্মেলনে আমি আমার পূর্বেকার বিবৃতির কথা পূনরুখে করি এবং তাহাদের প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসনের ব্যাপারে প্রয়ােজনীয় সাহায্যের আশ্বাস নেই। ইহা সুখের বিষয় যে, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাধা সত্ত্বেও বহু পাকিস্তানী ফিরিয়া আসিয়াছে এবং আরও বহু ব্যক্তি নিজ নিজ ঘরবাড়ীর পথে রহিয়া। আমি আশা করি আরও বহুলােক তাদের অনুমাণ করিনি। আমাদের নিঞ্জলের নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনের অনুমতি প্রত্যাহারের কোন প্রশ্নই উঠে না। বস্তুতঃ পূর্ব পাকিস্তান সরকার তাহাদের গ্রহণ এবং পুনর্বাসনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন।
দোতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল পাকিস্তানীরা এই ছিল আমার আবেদ। ফিরিয়া আদায় ব্যাপারে সংগলিঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের কোন দ্বিধা থাকা উচিত নহে। তাহাদেৱকে পূর্ণ। নিরাপত্তা এবং সুযোগসুবিধা দেওয়া হইবে। তাহারা পাকিস্তানের সমান নাগরিক এবং তাহাদের প্রতি বৈষম্যমূলক ব্যবহারের কোন প্রশ্নই উঠে না। পাকিস্তানের বাহিরে যে, প্রচারণা চালান হইকেছে তাহাতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমি তাহাদের প্রতি আহ্বান জানাইতেছি।”+১
পুৱাৰা পাক সেনা প্রধান জেনালে আবদুল হামিদ খান ঢাকায় আসনৰ ২১ জুন। এ সমর প্রসঙ্গে পত্রিকায় বলা হলাে :
“bাকা, ২১শে জুন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ নোলে আবদুল হামিল। খান গতকাল রাতে ঢাকা আগমন করেন।
________________________________________
পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর ও ‘খ’ অঞ্চলের সামগ্রিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল টিক্কা খান, ইষ্টার্ণ কুয়ার মাজার লে: জে: , , কে, মিয়া এবং অন্যান্য উনি সামরিক অফিসার গণ বিমান বন্দরে তাহাকে অপ্রার্থনা জানান।
পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থান কাল জেনারেল হামিল সেনাবাহিনী ও সামরিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করিবেন । | পাক সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান ঢাকা আসার পর পরই তিনি ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকা সফর করেন। খবরে বলা হয় । | ঢাকা, ২৩শে জুন সেনাবাহিনীর ট্রফি অব স্টাফ জেনারেল আবাল হামিদ খান অণ্য পূর্ব সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী এলাকার সেনাদল পৱিদর্শন করেন। এই সময়ে পূর্বঞ্চলীয় কমাণ কমান্ডার ও বি ও সিস্ট তাহার সঙ্গে থাকেন।
স্থানীয় কমান্ডারবৃন্দ তাহাদের স্ব স্ব এলাকার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করিয়া বলেন যে, সেনাবাহিনী তাদের স্ব স্ব আওতাধীন সীমান্ত বন্ধ করিয়া ভারতীয় প্রবেশ ও লাশস্য চোৱা চালানাের সম্ভবন, ইসি কৰিছে।
ইহার ফলশ্রতি হিসাবে সীমান্ত এলাকার খাদ্য পরিস্থিতির যথেষ্ট উ|| হইয়াছে ইলমা তাহারা জানান।
জেনারেল হামিদকে আরও জানান হয় যে, গত সপ্তাহে, যারা সেনাবাহিনীর সাহাপুষ্ট ও সীমান্তের ওপার হইতে ভারতীয় গােলন্দাজ বাহিনীর গোলার আদিনে কিছুসংখ্যক্ষ রাবিরে| পূর্বাঞ্চল সীমান্তের কতিপয় এলাকায় প্রবেশ করে।
জাহারী পাকিস্তানের যােগাযােগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন নয়ি চেষ্টা করে, কিন্তু সময়মত তাহালের সন্ধান পাইয়া তাহলিশকে সমূলে উদ্দে করা হয় বলিয়া জেনারেল হামিদকে জানান হয়।
তাহারা আরও জানান যে, এই সমস্ত লােকের নিকট হইতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারু ও বিক্ষোৱক পদার্থ আটক করা হয়।
| সামরিক হেলিকপ্টারে নোবেল হামিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় মাতলা এবং ফেনী এলাকার বকশীহাট সফর করেন।
প্রতিটি এলাকায় তিনি সেনাবাহিনীর জোয়ানদের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তাহাদের মঙ্গল|মঙ্গল সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি জোয়ানদের খুব প্রফুল্ল দেখিতে পান।
জেনারেল হামিদকে জানান হয় যে, দুষ্কৃতিকারীদের কবল হইতে রেহাই পাওয়ার অন্য অসংখ্য লােক স্বেচ্ছায় গ্রামরক্ষী দল গঠন কক্সিতেছে। এই সমস্ত পল জাগলের মনে আস্ত্র মিলাইয়া আপনার জন্য কর্তৃপক্ষের সহিত সহযোগিতা করিতেছে।
| পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় সীমান্ত এলাকার যে সমস্ত লােক বাড়দির ত্যাগ করিয়া সীমান্ত অতিক্রম করিয়াছিল, তাহারা পুনরায় স্বগৃহে ফিরিয়া আসিয়াছে।
* বিভিন্ন এলাকা সফরায়ে জেনারেল হামিদ অল্পনাকে টাকা প্রত্যাবর্তন করেন। “জেনারেল হামিদের প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল সফরের অভিজ্ঞতা, সেনাবাহিনী বর্ষা অগুসুম মােকাবেলায় প্রস্তুত’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয় “আজাদ’ পত্রিকার ২৫ জুন সংখ্যা। পত্রিকায় এ প্রসঙ্গে বলা হলাে :
________________________________________
ঢাকা, ২৪শে জুন, অ্য পূর্ব পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চল সফরকালে সেনাবাহি+বীৰা চীফ অব ষ্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খানকে বিভিন্ন শান্তি কমিটি কর্তৃক সম্পাদিত বিভিন্ন কল্যাণকর কাজ। এবং বেসামরিক জনতা ও সামরিক কর্তৃপক্ষের মধ্যেকার সৌহার্দ্যের কথা জানান হয়।
জেনারেল হামিদ অন্য বিকালে পূর্বাঞ্চলীয় কমালের কমান্ডার ও জি ও সি সহ যশাের, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা এবং ফরিদপুর সফর করিয়া অপরাহ্নে পুনরায় ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন।
জেনারেল হামিদকে জানান হয় যে, অঞ্চলের পেশারনা জনগণ দেশ হইতে রাষ্ট্রদ্রোহীদের উচ্ছেদে কর্তৃপক্ষের সহিত সক্রিয়ভাবে সহযােগিতা করিতেছে। এই সমস্ত রাষ্ট্রদ্রোহীর মধ্যে কিছু সংখ্যক্ষ লােক আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে শান্তিপ্রিয় লােকালয়ে আত্মগােপন কৱিলে স্থানীয় জনসাধারণ তাহাদিগকে খুঁজিয়া বাহির করিয়া শাস্তি প্রদান। করে। ইহাদের শাস্তি প্রদানের জন্য দেশে বহু রাজাকার বাহিনী গঠিত হইয়াছে।
আঞ্চলিক কমান্ডার জেনারেল হামিদকে জানান যে, দেশদরদী জনসাধারণের সহায়তারা কর্তৃপক্ষ জনগণের মন হইতে অহেতুক ভীতি দূর করতে সমর্থ হইয়াছেন। জনসাধারণ বর্তমানে শত্রুপক্ষীয় মিথ্যা প্রচারণার মূল অনুধাবনে সমর্থ হইয়াছে বলিয়া কমারি প্রকাশ করেন।
জলপথে অনুপ্রবেশের সম্ভবনা সম্পর্কে বলিতে যাইয়া আঞ্চলিক কম|ঞ্জার জেনারেল। হামিদকে জানান যে, জাপথালি কার্যকরীভাবে রোধ করা হইয়াছে এবং প্রয়োজন হইলে। জলপথে অভিযান পরিচালনার উদ্দেশে সেনাবাহিনীকে এনিং লান করা হইয়াছে।
চুয়াডাঙ্গায় জেনারেল হামিদ সেনাদলকে নৌকা, শ্রেলা এবং অপরাপর উন্নত পন্থায় আলপথের বাধা অতিক্রম কষ্টিতে দেখেন। তিনি সেনাবাহিনীকে বর্ষা মওসুমের জন্য। সম্পূর্ণ প্রস্তুত দেখিতে পান।
পাক সেনাবাহিনী প্রধান ফক: আবদুল হামিদ খান ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সামরিক কেসমূহও পরিদর্শন এলেন। এ সফরের বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে পত্রিকা জানালাে :
bাকা, ২৫শে জুন।-পাকিস্তান সেনাবাহিনীর টফি আর জাফফ জেনারেল আবুল হামিদ অান অাজ সকালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং এর সদর দফতর পরিদর্শন করেন।
পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডার এ, এ, কে নিয়া তাহার সহিত ছিলেন। সর দফতরে আগমনের পর পূর্ব পাকিস্তান p্যাগ অফিসার কমারি রিয়ার একমিরাল এম, শরীফ তাহাকে অভ্যর্থনা জানান এবং সদর হয় পরিদর্শনে সহায়তা করেন। পূর্ব পাকিস্তানে নৌ-বাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কেও তিনি তাহাকে অবহিত করেন।
| নৌবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে ব্যাখ্যাদানকালে চীফ অব স্টাফ রিয়ার এডমিরাল শরীফ চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর চালু রাখা ছাড়াও চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং অন্যান্য স্থানের মধ্যে নৌযান চলাচল ব্যবস্থা অ+ রাখার কথা ছি]কে জানান।
বিগত গেলদােগের সময় প্রদেশের সূরনত এলাকাসমূহে, খাদ্যশসা ও অন্যান্য প্রয়োজণীয় দ্রব্যে সরবরাহ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে নেী-বাহিনী য়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করিয়াছে তিনি সে সম্পর্কেও তাহাকে ‘মৰহি করেন। এগ্রস্থ। এ আইন ও
অবরুদ্ধ বাংলাদেশ ২৪
________________________________________
শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে নৌ-বাহিনী সেনাবাহিনীর সহিত যে সহযােগিতা প্রদান করিয়াছে এডমিরাল শরীফ ত্যাহারও উল্লেখ করেন।
ফ্লাগ অফিসার কমান্ডিং এর সদর দফতর পরিদর্শনের পর জেনারেল হামিদ নারায়ণগঞ্জ সল। এবং সেখানে বর্ষাকালে সেনাবাহিনীর গতিশীলতা বৃদ্ধিকল্পে সেনাবাহিনী। নর্থক স্থাপিত “ওয়াটার ম্যানশিপ ট্রেনিং ক্যাম্প” পরিশোন নেন। তিনি নৌ-বাহিনীর কতকগুলি ইউনিটও পরিদর্শন করেন এবং একটি জাহাজে কিছুকাল অতিবাহিত করেন।
ইতিপূর্বে জেনারুেল হামিদ পূর্ব পাকিস্তান বেসামরিক সশখ বাহিনীর (ই. পি, সি, এফ) সলর দফতর পরিদর্শন করেন। সেখানে উক্ত সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জমশেদ খান তাহার নিকট পূর্ব পাকিস্থান বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনী। এবং ইণর ভূমিকার কথা উg বেশ।
পাক সেনাপতি মোরেল আবদুল হামিদ মানি উৱৰঙ্গও সফর করলেন। ২৬ জুন অনুষ্ঠিত এ সফর প্রসঙ্গ পত্রিকায় বলা হলাে :
ঢাকা, ২৬ শে জুন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ ৪োরেল আবদুল হামিদ আনি আজী নাটোর, বগুড়া ও সৈয়দপুর সফর করেন। এই সফরের সময় তিনি প্রদেশের উত্তর সীমান্তে সৈন্য মােতায়েন সম্পর্কে একটা ব্যাপক ধারণা লাভ করেন।
জেনারেল হামিল সেনাবাহিনীর সহিত আজকের দিন অতিবাহিত করেন এবং হাজামের সহিত খোলামনে মিলিত হন। স্থানীয় কমান্ডার জেনারেল হামিদ খানকে জানান যে, এই অঞ্চল হইতে দুস্কৃতিকারী ও রাষ্ট্রবিরােধীদের উৎখাত করা হইয়াছে।
স্থানীয় কমাণ্ডার আরও জানান যে, লােকজন তাহাদের বাড়ীঘরে ফিরিয়া আসিয়াছে এবং স্বাভাবিক জীবনমাত্রা শুরু করিয়াছে। তাহারা রাজাকার বাহিনী গঠন করিয়াছে এবং এই অঞ্চলের কালভাট ও সেতু পাহারা দিতেছে। পূর্বাঞ্চল কমান্ডের কমান্ডার লে: জেনারেল নিয়াজিঞ্জ জেনারেল হামিদের সহিত উক্ত অঞ্চল সফর করেন। | সরকারি অফিস, ফুল, শিল্প প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্য কেন্দ্র, সড়ক ও রেলওয়ে পরিবহণ, উকি, তার ও টেলিফোন বিভাগও স্বাভাবিকভাবে কাজ চালাইয়া যাইতেছে বলিয়া জেনারেল হামিদকে অবহিত করা হয়।
নাটোৱে জেনারেল হামিদ সৱকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করিয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষয়িত্রী ও ছাত্রীদের সহিত সাক্ষাৎ করেন। নীল ইউনিফর্ম পরিহিতা ছাত্রীরা ভুল প্রাঙ্গণে সারিবদ্ধভাবে দাড়াইয়া সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গায় এবং পাকিস্তান জিন্দাবাদ, কায়েদে আজম জিন্দাবাদ’ নিতে স্কুল প্রাঙ্গণ মুখরিত করিয়া তোলে । বগুড়ায় জেনারেল হামিম সামরিক আইন কতৃপক্ষের সদর দফতর পরিদর্শন করেন। এখানে বেসামরিক আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সমর পরিস্থিতি আয়ত্তে আলিয়া আইন ও শৃঙ্খলা অক্ষুন্ন রাখিয়াছেন বলিয়া তাহাকে জানানাে হয়। শান্তি কমিটিগুলিও এ ব্যাপারে মূল্যবান সহযােগিতা প্রদান করিতেছে বলিয়া ইষ্টার্ণ কমান্ডের কমান্ডার তাহাকে জানান।
জেনারেল হামিদ ২৭ জুন সফর কল্লোল নিশাল, চাদপুর ও চট্টগ্রাম। এই সফর প্রসঙ্গে পত্রিকায় বলা হলাে :
| ঢাকা, ২৭শে জুন রফতানীর জন্য যে সকল মালামাল চট্টগ্রাম বন্দরে পড়িয়া রহিয়াছিল তাহার সমস্তই জাহাজযােগে চালান দেওয়া হইয়াছে।
________________________________________
চট্টগ্রাম পাের্ট ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান আজ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ তেরেল আবদুল হামিদ খানকে এই তথা অনিনি। জেনারেল হামিদ খান আজ মক্কালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন।
জেনারেল হামিদ খান আজ চাঁদপুর এবং চট্টগ্রামও সফর করেন। জেনারেল হামিদ খান চট্টগ্রামে পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্লেয়ার পি এন এস বাবা পরিদর্শন করেন। | চট্টগ্রাম পাের্ট ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান চীফ অব স্টাফকে জানান যে, বন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রমিক থাকায় জাহাজ বোঝাই ওঁ খালাসের কাজ তরাণিত করা সব হইতেছে।
| চাঁদপুরে স্থানীয় নাগরিক ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জেনারেল আবদুল হামিদ থাকে জানান যে, তাহারা শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের মনে নিরাপত্তা বােধ জাগাইয়া তুলিতে সক্ষম হইয়াছেন। বরিশালে বিশিষ্ট নাগরিক ও শান্তি কমিটির সদস্যরা তাহাকে জানান যে, এই এলাকায় পূর্ণ শান্তি বিরাজ করিতেছে। | সঁদপুর ও বরিশালে সরকারি অফিস আদালতসমুহে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হইছে বলিয়া জেনারেল হামিদকে জানানাে হইয়াছে।
জেনারেল হামিদের ঢাকাস্থ পি এফ খাটি পরিদর্শন সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশিত হয় ২৯ জুন তারিখে। সংবাদে বলা হয় :
” ‘ঢাকা, ২৮শে জুন।=পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান আজ ঢাকাস্থ পাকিস্তান বিমান বাহিনীর খাটি পরিদর্শন কােন।
জেনারেল হামিদ খুঁটিতে আগমন করিলে এয়ার কমোডর ইনাম এইচ খান (এয়ার অফিসার কমান্ডিং পূর্ব পাকিস্তান) ভঁহাকে অভ্যর্থনা জানান। তিনি জেনারেলকে পূর্ব পাকিস্তানে বিমান বাহিনীর ভূমিকা ও সংগঠন সম্পর্কে অবহিত করেন এবং পরে বিমান। আঁটি ঘুরাইয়া দেখান।
জেনারেল হামিল, তরুন পিএ এফ অফিসারদের সহিত সাক্ষাৎ করেন এবং তাহাদের। সহিত ঘরােয়াভাবে আলোচনা করেন।
পূর্বাঙ্গে তিনি ঢাকাস্থ সামরিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন |৮৮
পাকিস্তানি প্রেসিভেনন্ট জেনারেল এ, এম, ইয়াহিয়া খান ২৮ জুন সন্ধ্যায় এক বেতার ভাষণ দেন। ভাষণটি ঐতিহাসিক কারণেই গুরুত্ববহ। তিনি তার ভাষণে বললেন :
‘পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী আমাদের সকলকে পীড়া দিয়াছে। ব্যক্তিগত ভাৱে আমি এ সকল দুঃখজনক ঘটনাতে বাধিত এবং নিরাশ হইয়াছি। গত সােয়া দুই বছর রিয়া আমার লক্ষ্য হইতেছে দেশে গত পুনঃপ্রতিষ্টা করা এবং পাকিস্তানের প্রত্যেক অঞ্চলের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা। বিশেষ করিয়া আমি পূর্ব পাকিস্তানীদের ন্যায্য দাবীদাওয়াগুলি সম্পর্কে সচেতনা রহিয়াছি।।
এই সকল দাবী দাওয়া পূরণের জন্য অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইয়াছে এবং এই ব্যাপারে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হইয়াছে। আমার পক্ষে ইহা মনে করার যথেষ্ট কারণ। রহিয়াছে যে, গণতান্ত্রিক জীবনধাৱা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমার পরিকল্পনার প্রতি পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলের সাধারণ ও জাহানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পূর্ণ সমর্থন
________________________________________
জানাইয়াছে। ১৯৭০ সালের আইনগত কাঠামাে আদেশ মােতাবেক অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাহাৱা সকলে অংশগ্রহণ করেন। এই আইনগত কাঠামাে শ্রাদেশে এক পাকিস্তানের ভিত্তিতে প্রদেশগুলির জন্য সর্বাধিক স্বায়ত্বশাসন এবং বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের জন্য কেন্দ্রের হাতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা মাপ্ত করার ব্যবস্থা রহিয়ায়।
| বেআইনী ঘােষিত্র আওয়ামীলীগ ও আইন গত কাঠামাে আদেশের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। সুতরাং তখন ধরিয়া লওয়া হইয়াছিল যে, তাহারাও এক পাকিস্তানে বিশ্বাসী। অবশ্য পরে তাহলের নেতৃবশ কমে আইনগত কাঠামাে আদেশের আন্দশ হইতে দূরে সরিয়া যান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্বেষকে নির্বাচনী প্রতারণার ভিত্তি করিয়া তুলেন এবং উতৰ অঞ্চলের মধ্যে উত্তেজনা ও ভুল বােঝাবুঝির সনির প্রয়াস পান।
আমাদের আলােচনার এক পর্যায়ে আমি শেখ মুজিবর রহমানকে আওয়ামীলীগের জয় দফা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি আমাকে নিশ্চয়তা দেন যে, দাগুলি আলােচনা সাপেক্ষ। তিনি স্পষ্টভাবে ইহা বলেন যে, পরিষদের বাহিরে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আলাপআলােচনার দ্বারা শাসনতন্ত্রের প্রধান প্রধান বিধানগুলি নিস্পত্তি করা হইবে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এক ধরনের আলাপ আলােচনা একটা স্বাভাবিক ন্যাপার। নির্বাচনের পরে পাকিস্তানের ভবিষ্যত শাসনাত রুশকে একটা মতৈকে জাের উদ্দেশ্যে দলগুলিকে একত্র হইয়া আলােচনা করিতে বলিলে ইহা পাকার হইয়া যায় যে, মুজিব তাহার লক্ষ্য হইতে নড়িবেন না। স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, তাহার এই লক্ষ। হইতেছে বিচ্ছিন্নতার শামিল। তাহার অসৎ উদ্দেশের আর একটা প্রমাণ এই যে, বারং বার আমন্ত্রণ করা সত্ত্বেও তিনি পশ্চিম পাকিস্তান সফর করিতে এবং এই অঞ্চলে আলাপআলােচনা করিতে অস্বীকৃতি আপন করেন। সামগ্রিক ভাবে দেশের সংখ্যা ও পলের নেতা হিসাবে দায়িত্ব জ্ঞান ও দেশ প্রেমের পরিচায়ক পথে খসর হইবার ইচ্ছা তাহার ছিল না। পারিলে চাতুর্যের সাহায্যে এবং উহা সাৰ না হইলে বল প্রয়ােগের দ্বারা দেশকে দুই খন্ডে বিভক্ত করার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই মনস্থির করিয়া ফেলিয়াছিলেন। বিচ্ছিন্ন হওয়ার ষড়যন্ত্র আমারি ২৫শে মার্চের ভাষণে আমি আপনাদের বলিয়াছিলাম যে, ১৫ই মার্চ হইতে শুরু করিয়া তার পরবর্তী সময়ে আমার ঢাকা অবস্থান কলে শেখ মুজিব ও হর উপদের সংগে আমার অনেকগুলাে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের সংগে আলাপ-আলােচনার সময় তিনি তাহার অনুগামীরা গােপনে অপ্রয়ােগের স্বাৱা ছড়ান্তভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করিয়েছিলেন। ‘আলাপ-আলাইনার শেষের দিকে এই কথা সলী পরিষ্কার হইয়া যায় যে, এক পাকিস্তানের ভিত্তিতে সমঝােতায় পৌছা শেখ মুজিব ও তাহার উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং তাহাদের উদ্দেশ্য ছিল কোন রকম আমার নিকট হইতে একটি ঘােষণা আয় করা যাহার দ্বারা কার্যক্ষেত্রে জাতীয় পরিষদ দুইটি স্বতন্ত্র সংবিধান পরিষদে বিভক্ত হইয়া যায়, ফেডারেশনের পরিবর্তে একটি কমফোরেশনের জন্ম হয় এবং সামরিক আইনের ক্ষমতা বিলােপ করিয়া দেশে পূর্ণ অরাজকতা সৃষ্টি করা। এই পৰিকল্পনার মাধ্যমে তাহারা বাংলাদেশ নামক একটি স্বতন্ত্র এই প্রতিষ্ঠার আশায়। করিয়াছিলেন। বলা নিষ্প্রয়ােজন, ইহার অর্থ হইত জাতির পিতার সৃষ্টি পাকিস্তানের অস্তিত্ব বিলোপ।
মর পূর্ণ
ইফাই অ
অরাজকতা। বে-আইনী গােষিত আওয়ামীলীগের নীতি জ্ঞানশূণ্য ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ব্যক্তিরা দেশকে অণ্ডিত হওয়ার কাছাকাছি টানিয়া আনিয়াছিলেন। উপমহাদেশের মুছলমানদের আশাআকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং নিরলস সংগ্রমের সমাপ্তির প্রতি আমাদের প্রিয় আবাসভূমি বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিরাট বিপদে ছিল। তিন সপ্তাহের অধিকাল শেখ মুজিবর রহমা এবং তাহার অনুসারীদের প্রচণ্ড অসহযোগ আন্দোলনের ফলে ব্যাপকভাবে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাযজ্ঞ শুরু হইয়াপিয়াছিল।
পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণ প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসনের জন্য ভোট দিচ্ছিলেন দেশকে খণ্ডিত করার জন্য নয়। বর্তক মূলক রাজনৈতিক ও শাসনতাধিক বিষয়গুলি জাতীয় সংহতির খাতিরে পারস্পরিক সমঝোতা ও দেওয়া আর নেওয়ার মনােভাব লইয়া নিম্পত্তি
করিয়া বেআইন ঘােষিত আওয়ামীলীগের কোন কোন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি বিরােধিতা, বিভেল ও বিচ্ছিন্নতাৱ পথ ৰাছিয়া নেন। একটি গ্রহণযোগ্য ও স্থায়ী শাসনতান্ত্রিক কাঠামাে প্রণয়নের ব্যাপারে মতৈক্যে পেীছার জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে সাহায্য করার জন্য আমার সব রকমের প্রচেকে বে-আইনী যেথিত আওয়ামীলীগের কিছু সংখ্যক সদস্য। বানচাল করিয়া দেন। এদিকে জাহাৱা তাহাদের অপরিবর্তনীয় আপােষহীন মনােভাব ও এক গুয়েমির দ্বারা আলাপ-আলােচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি করেন এবং অপর দিকে সরকারকে প্রকাশ্যে অস্বীকার করার ঘৃণা প্রচার এবতা বৃদ্ধি করেন। যে দেশ সৃষ্টির জন্য আমাদের হরি হজিৱাি ভাই প্রাণ বিসর্জন দেন এবং লাখ লাখ লোক ‘অবর্ণনীয় মুঃখ-সুশায় পতিত হন সেই দেশের অস্তিত্বই বিপন্ন হইয়া পড়িয়াছিল । এইরূপ অবস্থাতেই সরকারের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমি সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়াছিলাম। কোন প্রকৃত সরকারই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য এবং সশস্ত্র বিদ্রোহের দ্বারা দেশকে কংস হইতে দিতে পারে না। ভারতীয় যােগসাজশ পাকিস্তানের বীর সশস্ত্র বাহিনী সব সময় একান্ত নিষ্ঠার সংগে জাতির সেবা করিয়া আসিতেছে, তাহারা দুস্কৃতিকারীদের কার্যকলাপ স্তব্ধ করিয়া দিবার জন্য দৃঢ় সংকল্প লইয়া অাগাইয়া আসেন। তাহাদের দুজহ, কণ্ঠনা পান করিতে হয়। পুরুখে নিয় যে, আমাদের প্রতিবেশী কখনাে আমাদের দেশকে দূর্বল কিংবা পংগু করার কোন সুযােগই হাত ছাড়া করে না, আরও উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে লােকবল এবং প্রধাসামগ্রী লইয়া বিচ্ছিন্নতা বাদীদের সাহায্যে আগাইয়া আসে। এই সবই ছিল পূর্ব পত্রিকল্পিত। সেনাবাহিনী অগ্রসর হইয়া চারিদিকে ছড়াইয়া পড়ার সংগে সংগে আওয়ামীলীগ চরমপন্থী বিদ্রোহী এবং শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশীর মধ্যে যােগসাজশের গােটা মুণ্য পরিকল্পনা ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়। ইহা স্পষ্ট হইয়া উঠে যে, বিচ্ছিন্নতাবাদী, দুতিকাৰী, বিদ্রোহী এবং সীমান্তের ওপার হইতে আগত অধিকার প্রবেশকারীরা অত্যন্ত সর্তকতা সংগে এবং দীর্থ দিন ধরিয়া তাহাদের গােটা অভিযানের পরিকল্পনা করিয়াছিল । তাহাদের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের অখণ্ডতা বিনষ্ট করা এবং জোরপূর্বক দেশের পূর্বাঞ্চলকে দেশের অবশিষ্ট অংশ হইতে বিচ্ছিন্ন করা। দুষ্কৃতিকারী, বিদ্রোহী ও অনধিকারী প্রবেশকারীরা যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গতিপথে দৈহিক প্রতিরােধ সৃষ্টি করিতে থাকে, তখন ভারতীয় নেতার ও
________________________________________
সংবাদপত্রগুলি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক মিথ্যা ও জঘন্য প্রচার অনুষ্ঠান শুরু করিয়া পূর্বপাকিস্তানের ঘটনাবলী সম্পর্কে সারা দুনিয়াতে ল ধারণা সৃষ্টির প্রয়াস পায়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক অভিযান, সশস্ত্র এবং, আক্রমণের প্রকাশ্য হুমকিসহ আহ মধকার সকল রকম এৰাতিমূলক ব্যবস্থাই প্রয়োগ করিতে শুরু করেন। আমাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে এই প্রকাশ্য হস্তকে অত্যন্ত মণিক পরিস্থিতির সৃষ্টি কত পারি। কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী | রােগী ব্যক্তিদের ধ্বংস করিয়া দ্রুত পরিস্থিতি আয় আলিয়া ফেলেন। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ক্ষতি গর্বিত। তাহাৱা জাতির প্রশংসা ও শ্রদ্ধার পাত্র। দেশ যে বিচ্ছিন্নতার হাত হইতে রক্ষা পাইয়াছে আসুন, সেইজন্য আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় আমাদের মাথা নত করি। ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্য অপরিবর্তিত জাতির উদ্দেশ্যে প্রপত্র আমার বিগত ভাষণে আমি আপনাদের আশ্বাস দিয়ছিলাম যে, আমার প্রধান লক্ষ্য ক্ষমতা হস্তান্তর অপরিবতি রহিয়াছে। আমি আরও বলিয়াছিলাম যে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমি নতুন কন্নিয়া ব্যবস্থা গ্ৰহণ করিব। প্রথমেই আমি স্বার্থহীনভাবে বলিতে চাই যে, নতুন করিয়া নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন প্রশ্নই আসে না। মুষ্টিমেয় লােকো দুষ্কর্মের দরুশ বিপুল অর্থ, সময় ও শক্তির বিনিময়ে অনুষ্ঠিত দেশের সর্ব প্রথম সাধারণ নির্বাচনের গােটা ফলাফলকে নস্যাৎ করিয়া দেওয়া যায় না।
আওয়ামীলীগকে আমি রাজনৈতিক দল হিসাবে নিষিদ্ধ ঘােষণা করি। কিন্তু এই লুপ্ত ফলের বাড়ি জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যগণ ব্যক্তিগতভাবে তাহাদের গলা শলে বহাল রহিয়াছেন। তবে আমি বলিয়া বাবিতেছি যে, সেই সব নির্বাচিত সদস্য রাষ্ট্র বিরােধী কাকিলাপে অংশগ্রহণ করিয়াছেন অথবা সমাজ বিরােধী কার্যকলাপের আশ্রয় লইয়াছেন, তাহাদের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য পণ বাতিল হইয়া যাইবে। যাহাবা অযোগ্য নলিয়া ফোধিত হইবেন তাহাদের সঠিক সংখ্যা আমি এখন পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে পরিমাপ করি নাই। পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানের পর এই গানের লােকদের একটি তালিম প্রকাশ করা হইবে। ইহ করার পর যে সব আসন শূন্য হইবে, প্রচলিত পদ্ধতিতে উপনির্বাচনের মাধ্যমে সেইগুলি পূরণ করা হইবে। পৱিষণ সদসাসের প্রতি আহবান ইতিমধ্যে বেআইনী ঘােষিত আওয়ামী লীগের যে সব নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষন সদস্যের উক্ত দলের শাসকগােষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতির ব্যাপারে কোন কিছু প্রার ছিল না এবং ঐ সব নাতি অনুসরণে যাহা কোন অপরাধমূলক কাজ করার দােষে সেখী নন অথবা যাহারা তাহাদের পাকিস্তানী ভাইদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার নির্যাতন চালান নাই তাহাদের প্রতি আমার আজান তাহারা যেন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক কাঠামাে পৃগঠনের কাজে তাহলের নিজ নিজ ভূমিকা পালনে আইয় আসেন। শাসনতন্ত্র প্রণয়ন গভীরভাবে ও সর্তকতার সাথে পরিস্থিতি বিশেষ করিয়া সাম্প্রতিক ঘটনাবলী পর্যালােচনা করার পর আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছি যে, পরিষদ কর্তক শাসনতন্ত্র প্রণয়ন সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের ইতিহাস খুব বেশি উৎসাহব্যঞ্জক ও
________________________________________
প্রীতিকর নয়। একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করিতে দুইটি গণ পৰিষদে ১৯৪৭ সাল হইতে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত মােট ৯ বছর সময় লাগে। একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়নের প্রচেষ্টায় দেশের নেতারা আইন পরিষদের অভ্যস্থলে অস্থানিক রকম পাম সময় যায় নেন। অন্যলিকে জঞ্জরী সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাবলী অবহেলিত ও উপেক্ষিত থাকে। কিন্তু পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের সবচাইতে দুঃখজনক ঘটনা হইল এই যে, ইহার ফলে সকল প্রকার আঞ্চলিক ও সংকীর্ণ মনােভাবের বিকাশ লাভের সুযোগ ঘটে। প্রকৃতপক্ষে শাসনতন্ত্র প্রণয়নকে কেন্দ্র করিয়া নিকুটিতম রাজনৈতিক কোন্দল ও যকৃনাে সৃষ্টি হয়,
হয় আমাদের দেশের অস্থির পক্ষে হুমকি হইয়া দেখা দেয়। এবং ১৯৫৬ সালে যখন তাহাৱা একটি শাসন প্রণয়ন করেন তখন উহাতে সরকম পরস্পর বিরােধী অালাই সুবিধানের সংমিশ্রণ দেখা যায়। ফলে উক্ত শাসনতন্ত্র স্বল্পায়ু হয় এবং ১৯৫৮ সালের অক্টোবর হইতে ১৯৫২ সালের জুন পর্যন্ত দেশে সামরিক নান বলবৎ থাকে। ইহার পর দেশের শাসন কার্য চলে এমন একটি শাসনতন্ত্রের অধীনে ম্যহ সুনিন্দিত কারণে গোড়ী হইতেই ইনপ্রিয় ছিল না। ১৯৬৯ সালে এই শাসনতমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়িয়া উঠে। তাই আমি ভাবিয়া ছিলাম যে, পাদ প্রতিনিধিদেরই শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করা উচিৎ। তবে পাকিস্তানে শাসনত এণয়নের পূর্ববর্তী প্রয়াসলির মধ্যে যে সকল অলির বিয়ের এর ঘটতে দেখা ৰ। ই গুলি উদর বিবার উদ্দেশ্যে এই কাজের জন্য আমি একশত বিশ দিনের সময় সীমা নির্ধারণ করিয়া শিয়াহিলাম । অধিকন্তু আমার আইনগত কাঠামাে আদেশে আমি শাসনতন্ত্রের জন্য কতিপয় মৌলিক নীতি নির্ধারণ করিয়া দিয়াছিলাম। আমি যখন ১২০ পিনের সময়সীমা নির্ধারণ করি তখন মুজিবর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতাদের সহিত পরামর্শ করিয়াই তাহা করি । আশা করা গিয়াছিল যে, শাসনতন্ত্র প্রণয়নের কাজে তাহাৱা পুরাপুরি মনোযোগ দিবেন এবং পরিষদের বাজিরেই শাসনতন্ত্রের প্রধান প্রধান শিকগুলির উপর সাধারণভাবে ঐক্যমত প্রতি হইবে যাহত করিয়া নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে শাসন প্রণয়নে কাজ সমাধী করার পথে কোন অসুবিধা না হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত: বেআইনী ঘােষিত আওয়ামী লীগেৱ আপােষহীন ও স্বদেশবিরােধী মনোভাবের ফলেই আমার সময় আশা ও পরিকল্পনা। ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। বিশদ্ব কমিটি। এই পটভূমিতে তথা বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমি দেখিতে পাইতেছি যে, একদল বিশেষজ্ঞ দ্বারা এই শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করাইয়া নেওয়া ছাড়া আমার জন্য অন্য কোন বিকল্প নাই। এই শাসনতন্ত্র জাতীয় পরিষদে সংশোধন সাপেক্ষ হইবে। সংশোধনের পদ্ধতি শাসনতয়েই লেখা থাকিলে। এবং উক্ত পদ্ধতি অনুসারেই শাসনতন্ত্র সংশােধন করিতে হইবে। কিছু সংখ্যক শাসনতম্বের সতর্ক পর্যালােচনা এবং বিগত দুই বছরে পাকিস্তানের বা এ অঞ্চলের জনগণের আশা-আকাক্ষা সম্পর্কে আমার যে ধারণা জন্মাইয়াছে উহার উপর ভিত্তি করিয়াই এই শাসনতন্ত্র প্রণীত হইবে। ইতিপূর্বেই আমি একটি শাসনতন্ত্র কমিটি নিয়ােগ করিয়াছি এবং তাহার খসড়া তৈরির কাজ শুরু করিয়াছেন। খসড়া প্রণয়নের কাজ শেষ হইলে ইহার বিভিন্ন বিধান সম্পর্কে পরিষদের বিভিন্ন নেতার সংগে আমি আলাপ-আলােচনা করি। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও নেতার সংগে
________________________________________
অামার যে আলাপ-আলােচনা ও পরামর্শ হইৰে উহার আলােকেই শানতন্ত্রের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হইবে। আইনগত কাঠামাে আদেশ আমি উল্লেখ করিতে চাই যে ১৯৭০ সালের আইনগত কাঠামাে আদেশে ইতিপূর্বেই ভবিষ্যত শাহনত সম্পর্কে কতিপয় নীতিগত পথ নির্দেশ প্রকাশ করা হইয়াছে এবং জনসাধারণ সেইগুলির প্রতি সাধারণভাবে অভিনন্দন জানাইয়াছেন। প্রথমত: পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র অবশ্যই ইসলামী আর্দশের উপর ভিত্তি করিয়া রচিত হইবে যে আর্দশের উপর ভিত্তি করিয়া পাকিস্তান রচিত হইয়াছিল এবং যে আর্দশের উপর ভিত্তি করিয়া তাহা এখনও টিকিয়া আছে। ইহাকে সত্যিকার অর্থেই পাকিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্রের শাসনতন্ত্র হইতে হইবে। শাসনতন্ত্রে আমাদের সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতি পূর্ণাঙ্গ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের বিধান থাকিতে হইবে। শাসনতন্ত্র ফেয়ারে হওয়া উচিৎ এবং উহাতে ফেডারেল শাসনতম্বের সমস্ত বৈশিষ্ট্যই থাকিতে হইবে। আইনগত কাঠামাে আদেশে যেমন বলা হইয়াছে আইন প্রণয়, প্রশাসন এবং অর্থনৈতিক বিষয়সহ সকল বিষয়ে প্রদেশগুলির সর্বাত্মক স্বায়ত্তশাসন থাকিলে ভরে ফেডারেল সরকারের হাতেও আইন প্রণয়ন, প্রশাসন এবং অর্থনৈতিক বিষয়সহ সকল বিষয়ে পর্যাপ্ত ক্ষমতা থাকিতে হইবে আহত বৈদেশিক ও আউওরীণ ব্যাপারে উক্ত প্রকার উন্নার যথাযথ দায়িত্ব পালন করিতে পারেন এবং দেশের আজালী ও অখণ্ডতা অক্ষুন্ন রাখিতে পারেন। জাতীয় অখন্ডতা । আমি কমিটিকে এই কথাও জানাইয়া দিয়াছি যে, আমরা যদি জাতীয় অখণ্ডতা রক্ষার উদ্দেশ্যে বিশেষ একটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ এবং বাস্তবিক পক্ষে জাতীয় ভিত্তিক নয় এমন কোন দিকে বেআইনী ঘােষণা করি জানে তাহা দেশের জন্য কল্যাণকর হইবে। ইহা ছাড়া প্রতিটি দলের ভিতর আবার ২, ৩ অথবা ৪টি করিয়া উপদল থাকা প্রবণতাকেও আমাদের অবশ্য পরিত্যাগ করিতে হইবে। সংক্ষেপে বলতে গেলে আমি আশা করি এই শাসনতন্ত্র যে সব জিনিস আমাদের রাজনৈতিক জীবনকে কষ্টকর, দুর্বল, নিরাপত্তাহীন ও স্বদেশপ্রেম বিমুখ করিয়া তুলে সেইগুলিকে নিমূল করিয়া এবং জনসাধারণ ও রাজনীতিবিদদের মনে সঠিক মনােভাব আগাইয়া তোলার নিশ্চয়তা বিধান করিবে। শাসনতন্ত্র অবশ্যই সমগ্র পাকিস্তানের মংগলের জন্য হইবে, কোন বিশেষ ব্যক্তি বা দলের মংগলের জন্য নহে। ইহা অবশ্যই কেরে ক্ষমতা এবং সামগ্ৰিকতাৰে এর অখণ্ডতাকে কোনভাবে অর্ন না করিয়া প্রত্যেকটি প্রদেশকে সঠিকভাবে উন্নয়নের পথ দেখাইয়া দিবে। এখানে আমি পত্রিকার করিয়া বলিয়া দিতে চাই যে, এই শাসনতন্ত্র জাওয়ি পরিষদের প্রথম অধিবেশন হইদ্ধে কার্যকরী হইবে। অবশ্য এর আগে যে সব উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে সেইগুলি গত সাধারণ নির্বাচন যে ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হইয়াছিল সেই একই ভিত্তিতে অর্থাৎ আইনগত কাঠামাের তিতি অনুষ্টি ৩ হইবে। ‘ক্ষমতা হস্তর। পাকিস্তানের ভবিষ্যও শাসনতন্ত্র সম্পর্কে এই আমার বক্তব্য। এইবার ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত আমার পরিকল্পনার সূত্র ধরিয়া বলিতেছি। আমি আগেই বলিয়াছিলাম যে জাতীয়
________________________________________
ও প্রাদেশিক পরিষদের শূন্য আসনগুলি পূরণের জন্য উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। জনগণের মনােভাব বিবেচনা করিয়া আমি নিশ্চিত হইয়াছি যে, এই সক উপনির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণা আইনগত কাঠামােতে বণিীত নীতির ভিত্তিতেই পরিচালিত হইবে। পাকিস্তানের অখণ্ডতার গােনর তর বিরোধী মনে কন্যা যাইতে পারে এমন কোন মতামত প্রকাশ কেহই বরদাশত করিবে না। আমার মনে হয় যে, প্রচারণা সংক্ষিপ্ত হওয়া বাঞ্চনীয়। এই সকল নির্বাচন অনুষ্টানের কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর যথারীতি জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করা হইবে এবং সমগ্র দেশে বেকায় সরকার গঠন করা হইবে। জাতীয় পরিষদকে আর গল্প পঘি হিসাবে কাজ করিতে হইবে না। শপথ। গ্রহণের পরই ইহা আমাদের কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ বলিয়া গণ্য হইবে।
সম্প্রতি জাতি এক মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হইয়াছিল বলিয়া আমি সিদ্ধান্ত। করিয়াছি যে, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সকারগুলি কিছু দিন পর্যন্ত সামরিক আইনের আইন। গত সহায়তা পাইতে পারিবে। কাতি: সামরিক আইন ইহাও বর্তমান আকারে বলবৎ থাকিবে না। কিন্তু দেশের কোন অংশেই আমরা বিশৃংখলাকে প্রশ্রয় নিতে পারি না।। সুতরাং, সব কিছুর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্তু সরকারগুলির হস্তকে শক্তিশালী রুণিয়া ভালার। প্রয়ােভন রহিয়াছে।
এই নতুন পরিকল্পনার প্রয়ােজন অনুসারে ১৯৭০ সালের আইনগত কাঠামাে আদেশ। মন্ত্রীহি সংশােধন করা হইবে।
. এই পরিকল্পনার সময় কাঠামাে সম্পর্কে আমি এইন একটি কথা বলিতেছি। অস্পষ্টতই পরিকল্পনাটি সামগ্রিকভাবে ঠিক এই মুহুর্তেই চালু করা যাইবে না, কারণ জমা হস্তান্তরের কথা আমাদের চিন্তা করার পূর্বে দেশে মােটামুটিভাবে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়া। অাসা প্রয়ােজন। কিন্তু অনপিকে পরিকল্পনা চালু করার ব্যাপারে কিছুতেই বিলম্ব করা। চলিবে না। যখন আমরা স্বাভাবিক অবস্থার কথা বলি তখন আইন শলার পুন- স্থাপনা, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শাসন কাঠামোর পুনর্বাসন এবং কিছু মাত্রায় অর্থনৈতিক পুনর্বাসনকে বুন্দাই ।। পরিস্থিকি আয়ত্তাধীন। আইন শলা পরিস্থিতি প্রসংগে এই কথা বলতে পারায় আমি আনন্দিত যে, পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি সেনাবাহিনীর পুরাপুরি আয়াক্তে রহিয়াছে। সেনাবাহিনী দুস্কৃতিকারী, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত ব্যক্তি এবং অনুপ্রবেশকারীদের ধ্বংস করিয়া দেওয়া সত্ত্বেও আইন-শখলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হইতে কিছুটা সময় লাগবে। সাধারণ এবং তাহাদের দেশপ্রেমিক নেতাদের সহযােগিতায় এই ব্যপারে পূর্ণাদ্যমে প্রচেষ্টা। চালাইয়া যাওয়া হইতেছে। লুঙ্গিকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের সমূলে উৎখাতের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় সহযোগিতার ব্যাপারে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ প্রগাঢ় দেশপ্রেম এবং জাতীয় সংহতির পঠিয় দিয়াছেন। বিপর্যন্ত অর্থনীতি অসহযোগ আন্দোলনের চুলে পূর্ব-পাকিস্তানের অর্থনীতি সম্পূর্ণ অচল হইয়া যায়। আওয়ামী লীগ বিলিনা, সমাজ বিদ্যোধী এবং অনুপ্রবেশকাৰীৰ ব্যাপক ক্ষয়ংসাঙ্ক, অগ্নিসংযােগ, লুটপাট এবং ভীতি প্রদর্শনের ফলে নিরপরাধ জনসাধারণ অবর্ণনীয় দুঃখকষ্টের সম্মুখীন হয়। সাধারণ একটা বিরাট অংশকে ভয় দেখাইয়া উজাত করা হয়। এবং তাহাদের ধন সম্পত্তি বিনা দ্বিধায় মাংস করা হয়।
________________________________________
এই সব মানুষের প্রতি আমার এবং সমগ্র জান্নি পূর্ণ সমলেনা এহিয়াছে। এই সব মানুষের দ্রুত পূনর্বাসন ব্যবস্থার প্রতি যথোপযুক্ত অগ্রাধিকার এবং মনােযোগ না দেওয়া অমানবিক শজ হইবে।
এই প্রসংগে আমি আশার বলিতে, ধর্ম, বর্ণ এবং গােত্র নির্বিশেষে পানিজ্ঞানের যে সকল অধিবামী, বিদ্রোহ, দুস্কৃতিকারী এবং অন্যান্যদের মিথ্যা প্রচারণায় সন্ত্রস্ত হইয়া সীমান্ত অতিক্রম করিয়া তায়তে লিয়া! পিছন, তাহার অবশ্যই তাহলের বাক স্বারে ফিরিয়া আসিতে হইবে। পূর্ব পাকিস্তান সরকার জাহাদের অভ্যর্থনা এবং পরিবহনের জন্য প্রয়ােজনীয় সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন। এই সব ভাগ্যাহত লােকদের মধ্যে সাহারা নিজেদের বাড়ি ঘরে ফিরিয়া আসিয়া আখীয় স্বজনের সংগে পুনরায় মিলিত হইতে চান তাহাদের পক্ষে কোন বাধা সৃষ্টি না করার জন্য আমি ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাইতেছি। এইসৰ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের পাকিস্তানে পুনরায় ফিরাইয়া আনার ব্যাপারে জাতিসংঘের যে কোনরকম সহায়তা পাকিস্তান আনন্দ এবং কৃতজ্ঞতার সহিত গ্রহণ করিবে। জনগণের পূর্ণ অংশগ্রহণ এইরূপ মত প্রকাশ করিতে শােনা যাইতেছে যে, সর্বক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাভাবিকতা ফিরিয়া না আসা পর্যন্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিৎ নহে। আমি ইহার সহিত একমত নই, আমার মনে হয় ইহা সম্পূর্ণ অস্তন ও অকার্যকরী, আৰু ইহা জাতীয় জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিককে উপেক্ষা করার শামিল। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হইতেছে প্রশাসন ব্যবস্থায় নগণের পূর্ণ অংশগ্রহণ ছাড়া কোন দেশেই প্রকৃতপক্ষে স্বাভাবিকতা ফিৰিয়া আসিতে পারে না।
স্বাভাবিকতা ফিরাইয়া আমার কার্যক্রমের জন্যই অনগণের সক্রিয় সহযােগিতা প্রয়ােজন। শুধুমাত্র চিণ্ড প্রতিনিধিরা দেশের প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করিলেই ইহা সম্ভব হইতে পtিণ।। ‘আমার ৮ বিশ্বাস যেইমাত্র আমরা দেশের আইন শহর একটি মৌলিক ভিত্তি স্থাপনে সক্ষম হইব এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর পুরােপুরি শক্তিশালী হইবে তখনই আমি ক্ষমা হস্তান্তর সংক্রান্ত আমার পরিকল্পনা কার্যকরী করিতে সক্ষম হই। বর্তমান পরিস্থিতি এবং নিকট ভবিষ্যতে তাহা যেরূপ ধারণ করিতে পারে উহার পরিপ্রেক্ষিতে আমি আশা করি এবং বিশ্বাস করি, চার মাসের মতো সময়ের মধ্যে আমি অামার লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হই।
| অবশ্য এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ স্বাভাবিকভাবেই সেই সময়কার আভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক পরিস্থিঠির উপর নির্ভর নকৰিনে। আমি আপনাদের কাছে এইমাত্র যে পরিকল্পনার রুপরেখা প্রকাশ করিলাম এর বাস্তবায়ন এবং আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের উপরই নির্ভর করতেছে দেশের অস্থতা এবং কল্যাণ নিহিত বলিয়াই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
এইবার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই। দেশের সাধারণ অর্থনৈতিক পৰিস্থিতির উপর সাম্প্রতিক মাটনালীর প্রতিক্রিয়া বেশ স্পষ্ট। নির্বাচন পূর্ব এবং নির্বাচনােত্তর সময়ে নাদিকাল ব্যাপী রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ফলে অর্থনীতির উপর জরুত চাপ পড়ে। আর গত মার্চ মালে পূর্ব পাকিস্তানের অখনতিতে বস্তুত: অচলাবস্থার সৃষ্টি হইয়াছিল।
________________________________________
সেনাবাহিনী কর্তক ব্যবস্থা অবলম্বনের সফলতার সংগে সংগে পরই মােটামুটি স্বাভাবিক হইয়া আসিতেছে এবং প্রদেশে সুতিক কার্যক্রম পুণহীবন লাভ করছে। আমি মত যে, পুরাপুরি স্বাভাবিকতা ফিরাইয়া মালা এবং পাকিন্তানের প্রায় পড়ে তোলার কার্যক্রমে ধশের সব দেশপ্রেমিক শক্তি আইন শলা রক্ষাকারী কক্ষের সংগে পুরােপুরি সহযােগিতা করিবেন।
অর্থনিতিকে পুনরুজ্জীবিত এবং ইহাকে পুরাপুরি শক্তিশালী করিতে স্বল্প মেয়াদী এবং নাম মেয়ানী কার্যক্রম গ্রহণ প্রয়ােজন। এই উদ্দেশে। আমরা উদ্যোগ গ্রহণ কবিষয়ছি, যাহা শীঘই আশানুরূপ ফলপ্রসূ হইবে। বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল গতমাস গুলিতে পূর্ব পাকিস্তান হইতে রফতানীর পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমিয়া যাওয়ায় আমাসের বৈদেশিক মুদ্রা তহবিলের উপর বিশেষ চাপ পড়ে। জাতীয় অবিভাজ্যতা রক্ষা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি অব্যাহত রাখার উদ্দেশে যখন আমাদের সব সম্পদ সংহত করার প্রয়োজন ছিল, সে সময় কর আদায়ও ব্যাহত হয়।
বর্ধমান জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মােকাবেলার উদ্দেশ্যে সরকার সামাবিল ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন। এই সৰ সিদ্ধান্ত সব সময় প্রতিকর হয় না। আমাদেরকে আমাদের সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও বেশী সংহামের পরিচয় দিতে হইৰে। এই আশা দুঃখ-কা। বন্ধ এবং ত্যাগ স্বীকার ছাড়া আর কোন বিকল্প নাই। কোন জাতির অর্থনৈতিক সমস্যা। সমাধানের ক্ষেত্র ইহাই হইতেছে একমাত্র বাস্তব পন্থা।
কয়েক সপ্তাহ আগে আমি আমদানী নীতি সম্পূর্ণভাবে সংশােধন করার নির্দেশ দিয়াছিলাম। অপরিহার্য নয় এমন সব প্ৰব্য অথবা যেসব দ্রব্য না হইলেও আমাদের স্কুলে সেগুলি লোমশ কীমের আওতাভুক্ত থাকিলেও নিষিদ্ধ করা হয়। কাজেই যেসব বােনাস ভাউচার ছাড়া হইয়াছে সেগুলি কাচামাল এবং অন্যান্য অপরিহার্য দ্রব্যের জন্য সংশােধিত আমদানী নীতির অধীনে বাবহার করিতে হইবে। ব্যয় সংকোচন আভাতী ৰায়ের ক্ষেত্রেও সর্বাধিক পরিমাণ ব্যয় সংকোঠন করা হইত। আগামী বছরের জ্য আমরা একটা পরিমিত উন্নয়ন কর্মসূচী প্রণয়ণ করিয়াছি। যাহা আমার আত ও একান্ত প্রয়ােজনীয় চাহিদাসমূহ পূরনে সক্ষম হইবে। অনতি বিশেষ করিয্যা পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতি পূণর্বাসনের উপর জোর দেওয়া হইবে। আত্মনির্ভরশীলতা। আমি চাই যে, আত্মনির্ভর হওয়ার পথে দেশ এত অগ্রসর হউক। জাতীয় লক্ষ্যসমূহ, অর্জনের জন্য নিজস্ব সম্পদের প্রতি আমাদের আরও বেশি করিয়া মনােযােগী হইতে হইবে। এই জন্য প্রয়ােজন সরকারী ও ব্যক্তিগত ব্যয়ের ব্যাপারে সর্বাধিক পৰিমাণ কত অবলম্বন করা। সরকার এই লক্ষ্যের সাথে অর্থনীতির সর্বপ্রকারে সমন্বয় সাধন করিতেছে। কিন্তু, একমাত্র জনসাধারণের সক্রিয় সহযােগিতার মাধ্যমেই সেইগুলি সফল। হইতে পারে। আসুন একটা জাতি হিসাবে আমরা আমাদের জীবন ধারণের ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরও অধিক কঠোরতা অবলম্বন করি এবং সকল প্রকার বাহঃ আড়ম্বর পরিহার করি। ইহাতে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতির অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি হইবে।
সেনাবাহিনী কর্তক ব্যবস্থা অবলম্বনের সফলতার সংগে সংগে পরই মােটামুটি স্বাভাবিক হইয়া আসিতেছে এবং প্রদেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনর্জীবন লাভ করিতেছে। আমি নিশ্চিত যে, পুরাপুরি স্বাভাবিকতা ফিরাইয়া আনা এবং পাকিস্তানের পুনরায় গড়ে কোলার কার্যক্রমে ধশের সব দেশপ্রেমিক শক্তি আইন বলা রক্ষাকারী কলাক্ষের। সংগে পুরােপুরি সহযােগিতা করিবেন।
অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত এবং ইহাকে পুরাপুরি শক্তিশালী করিতে স্বল্প মেয়াশী এবং দাম ময়ানী কার্যক্রম গ্রহণ প্রয়ােজন। এই উদ্দেশ্যে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করিয়াছি, যাহা শীষই আশানুরূপ ফলপ্রসূ হইবে। বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল গতমাস গুলিতে পূর্ব পাকিস্তান হইতে রফতানীর পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমিয়া খাওয়ায় আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা তহবিলের উপর বিশেষ চাপ পড়ে। জাতীয় অবিভাজ্যতা রক্ষা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে যখন আমাদের সব সম্পদ সংহত করার প্রয়ােজন ছিল, সে সময় কর আলায়ও ব্যাহত হয়।
| বর্তমান জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মােকাবেলার উদ্দেশ্যে সৱকাৰ নামধাবিদ ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন। এই সণ সিদ্ধান্ত সব সময় প্রতিকার হয় না। আমাদেরকে আমাদের সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আধ্যও বেশী সংলামের পরিচয় দিতে হবে। এই জন্য দুঃখ-কষ্ট বরণ এবং ত্যাগ স্বীকার ছাড়া আর কোন বিকল্প নাই। কোন জাতির অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ইহাই হইতেছে একমাত্র বাস্তব পন্থা।
কয়েক সপ্তাহ আগে আমি আমদানী নীতি সম্পূর্ণভাবে সংশােধন করার নির্দেশ। দিয়াছিলাম। অপরিহার্য নয় এমন সব প্রথা অথবা যেসব দ্রব্য না হইলেও আমিয়ে চলে সেগুলি লোম কামের আওতক থাকিলেও নিষিদ্ধ করা হয়। কাজেই সে বােনাস ভাউচার আড়া হইয়াছে, সেগুলি কাঁচামাল এবং অন্যান্য অপরিহার্য দ্রবের জন্ম। সংশােধিত আমদানী নীতির অধীনে ব্যবহার করিতে হইবে। ব্যয় সংকোচন। আতরীণ বা মেয়র ক্ষেত্রেও সর্বাধিক পত্রিমাণ ব্যয় সংকোচন করা হইতেছে। আগামী বরের জন্য আমরা একটা পরিমিত উন্নয়ন কর্মসূচী প্রণয়ণ করিয়াছি। যাহা আমার আত। ও একান্ত প্রয়ােজনীয় চাহিদাসমূহ পূরনে সক্ষম হইবে। অনীতি বিশেষ করিয়া পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতি পূণর্বাসনের উপর জোর দেওয়া হইবে। আত্মনির্ভরশীলতা আমি চাই যে, আত্মনিতর হওয়ার পথে দেশ দ্রুত অগ্রসর হউক। জাতীয় লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য নিজস্ব সশলের প্রতি আমাদের আরও বেশি কৰিা মনােযোগী হইতে হইবে। এই জন্য প্রয়ােজন সরকারী ও ব্যক্তিগত ব্যয়ের ব্যাপারে সর্বাধিক পরিমাণ কৃচ্ছতা অবলম্বন করা। সরকার এই লক্ষ্যের সাথে অর্থনীতির সর্বপ্রকারে সমন্বয় সাধন করিতেছে। কিন্তু, একমাত্র জনসাধারণের সক্রিয় সহযােগিতার মাধ্যমেই সেইগুলি সফল হইতে পারে। আসুন একটা জাতি হিসাবে আমরা আমাদের জীবন ধারণের ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরও অধিক কঠোরতা অবলম্বন করি এবং সকল প্রকার বাহ্য আড়ম্বর পরিহার করি। ইহাতে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতির অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি হইবে।
________________________________________
এই সৰ মানুষের প্রতি আমার এবং সমগ্র জাতির পূর্ণ সমবেদনা রহিয়াছে। এই সব মানুষের এত খুনর্বাসন শস্থার প্রতি যথোপযুক্ত অগ্রাধিকার এবং মনােযােগ না দেওয়া আমলবিক কাজ হইবে।
এই প্রসংগে আমি আবার বলিতেছি, ধর্ম, বর্ণ এবং গােত্র নির্নিশেষে পাকিস্তানের যে সকল অধিবাসী, বিদ্রোহী, দুস্কৃতিকারী এবং অন্যান্যদের মিথ্যা প্রচারণায় সন্ত্রস্ত হইয়া সীমান্ত অতিম করিয়া হাতে লিঃ লিয়ছে, তাই আর অবশ্যই তাহলের বাড়ি ঘরে ফিরিয়া আসিতে হইবে। পূর্ব পাকিস্তান সৱকাৱ জাহাদের অভ্যর্থনা এবং পরিবহনের জন্য প্রয়ো-মী মণ রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন। এই সৰ ভাগ্যাহত লােকদের মধ্যে মাত্রার নিজেদের বাড়ি ঘরে ফিরিয়া আসিয়া আত্মীয় স্বজনের সংগে পুনরায় মিলিত হইতে চান জাহাদের পথে কোন বাধা সৃষ্টি না করার জণ্য আমি ভাত সকালের প্রতি আহ্বান জানাইতেছি। এইসব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের পাকিস্তানে পুনরায় ফিরাইয়া আনার ব্যাপারে জাতিসংঘের যে কোনরকম সহায়তা পাকিস্তান আনন্দ এবং কৃতজ্ঞ। তার সহিত গ্রহণ
জনগণের পূর্ণ অংশগ্রহণ এইরূপ মত প্রকাশ করিতে শােনা যাইতেছে যে, সবক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাভাবিকা ফিরিয়া না আসা পর্যন্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিৎ নহে। আমি ইহার সহিত একমাত্র নই, আমার মনে হয়। ইহ; সম্পূর্ণ অৰতিন ও অাকরা, আর ইহা জাতীয় জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিককে উপেক্ষা করার শামিল। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হইতেছে, এ সময় ব্যবস্থায় জনগণের পূর্ণ অংশগ্রহণ ছাড়া কোন দেশেই, প্রকৃতপক্ষে স্বাভাবিকতা ফিরিয়া আসিতে পারে না।
স্বাভাবিকতা | ইয়া আনৰ কামের জন্যই জনগণের মায সহযোগিতা প্রয়োজন। শুধু নির্বাচিও প্রতিনিধিরা দেশের প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করিলেই ইহা সম্ভব হইতে পারো। আমার ৮ বিশ্বাস যেইমাত্র আমরা দেশের আইন শহর একটি মৌলিক ভিত্তি স্থাপনে সক্ষম হইন এনং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর পুরোপুরি শক্তিশালী হইবে তখনই আমি ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্ষিপ্ত অামাৰ পৰিকল্পনা কার্যকরী ও সক্ষম হই। বর্তমান পরিস্থিতি এবং নিকট ভবিষ্যতে তাহা যেরূপ ধারণ করিতে পারে উহার পরিপ্রেক্ষিতে আমি আশা করি এবং বিশ্বাস করি, চার মাসের মতো সময়ের মধ্যে আমি অামার লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হইল।
অবশ্য এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধাৰণ স্বাভাবিকভাবেই সেই সময়কার আভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক পরিস্থিতির উপর নির্ণনা করলেন। আমি আপনাদের কাছে এইমাত্র যে পরিকল্পনার রূপরেখা প্রকাশ করিলাম তার বাস্তবায়ন এবং আমাদের চুড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের উপরই নির্ভর করিতেছে দেশের অখণ্ডতা এবং কল্যাণ নিহিত বলিয়াই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
এইবার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই। দেশের সাধারণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রতিক্রিয়া বেশ স্পষ্ট। নির্বাচন পূর্ব এবং নির্বাচনোত্তর সময়ে পদিকাল ব্যাপী রানৈতিক আনা তার ফলে অর্থনীতির উপর গুরুতর
________________________________________
হইয়াছে। এই উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সরকার সকল প্রকার সুযােগ-সুবিধা দিয়া তাহাদের
মূল শক্তি দুর্বল হয় নাই আমরা বর্তমানে যে সব অসুবিধার সম্মুখীন আমি পরিস্কারভাবে সেগুলি আপনাদের কাছে তুলিয়া ধরিয়াছি। কিন্তু ইহাতে হতাশ হওয়ার কিছু নাই । বর্তমানে আমরা যেসব অসুবিধার সম্মুখীন উহা অধিকাংশই অস্থায়ী । ইহাতে আমাদের অর্থনীতির মূল শক্তি দুর্বল হয় নাই। কৃষি ও শিল্প উভয়ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির আমাপের বিপুল সম্ভাবনা রহিয়াছে। বর্তমানে আমাদের উন্নত শ্রেণীর কৃষক সমাজ, শিল্প মালিক ও মাঝারী ধরনের পুঁজি বিনিয়ােগকারী শ্রেণী রহিয়াছে তাহারা সংখ্যায় নিতান্ত সামান্য নহে। ইহাদের উপরই একটা দ্রুত উন্নতশীল অর্থনীতির বুনিয়াদ রচিত হয়। ইতিপূর্বে জাতি উহার ইতিহাসের স্বল্প সময়ে কঠোর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হইয়াছিল। ইনশাল্লাহ এ বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহ যে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা আমাদের বর্তমান অসুবিধাগুলি কাটাইয়া উঠিতে পারিব এবং একটা সমৃদ্ধ ও ন্যায় বিচার ভিক্তিক সমাজ গঠনে আমাদের চেষ্টা পুনরায় শুরু করিতে পারিব। বিদেশের প্রতিক্রিয়া এইবার আমাদের অভ্যন্তরীণ গোলযােগের ব্যাপারে বিদেশের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলিতেছি। এই গা ভানিয়া আমার মধ্যে লাভ করিতে পারি যে, বিগঞ্জ কয়েকমাস দেশ যে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইয়াছিল সে বিষয়ে অধিকাংশ বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া আমাদের অনুকূলে এবং আমরা যে সব সমস্যার সম্মুখীন হইতাছি, সেইগুলি সমাধানের জন্য আমাদের এই চেষ্টার প্রতি তাহারা সহানুভূতি ও সমঝোতার মনােভাব লইয়া সাড়া দিয়াছে। ঐক্য ও সংহতি অক্ষুন্ন রাখার জন্য পাকিস্তান সরকার যে বাবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন তাহার প্রতি আমাদের বিদেশী বন্ধুরা পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করিয়াছেন । তাহারা একই সময় আমাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে যাহারা হস্তঙ্কে করার চে| করিয়াছিল। তাহলে সে চেষ্টা হইতে বিরত থাকার জন্য হুঁশিয়ার করিয়া দিয়াছে। এই সুযােগে আমি পাকিস্তান সরকার ও উহার জনসাধারণ এবং আমার নিজের পক্ষ হইতে তাহHের প্রশংসা করিতেছি ও তাহাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি।
পূর্ব পাকিস্তানের রাজনেতিক জীবনের ক্ষয়ক্ষতি পৱিত্রণের জন্য বিভিন্ন বিদেশী রাষ্ট্র বিশেষ করিয়া জাতি সংঘ ও উহা সংস্থাসমূহ, যে অনুকূল সাড়া দিয়াছেন তার জন্যও আমরা বিশেষভাবে উৎসাহিত বােধ করিতেছি।
বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রিলিফ কাজের জন্য প্রয়ােজনীয় সাহায্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বন্ধুভাবাপন্ন দেশসমূহ ও জাতিসংঘের সেক্রেটারী জেনারেলের সহিত আমরা আলাপআলােচনা করিতেছি। ভারতীয় হস্তক্ষেপ অর্থনীতির পূণর্গঠন ও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক তৎপরতা শীঘ শুরু করার জন্য আমরা পরিকল্পনা করতেছি। আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের অবাহিত হস্তক্ষেপের ফলে অামাদের এ প্রয়াস বাধাগ্রস্থ হইতেছে। সশস্ত্র অনুপ্রশে ও বিচ্ছি তাবাদীদের প্রতি
হইয়াছে। এই উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সরকার সকল প্রকার সুযােগ-সুবিধা দিয়া তাহাদের উৎসাহিত করবেন। মূল শক্তি দুর্বল হয় নাই আমরা বর্তমানে যে সব অসুবিধার সম্মুখীন আমি পরিস্কারভাবে সেগুলি আপনাদের কাছে তুলিয়া ধরিয়াছি। কিন্তু ইহাতে হতাশ হওয়ার কিছু নাই । বর্তমানে আমরা যেসব অসুবিধার সম্মুখীন উহা অধিকাংশই অস্থায়ী । ইহাতে আমাদের অর্থনীতির মূল শক্তি দুর্বল হয় নাই। কৃষি ও শিল্প উভয়ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির আমাদের বিপুল সম্ভাবনা রহিয়াছে। বর্তমানে আমাদের উন্নত শ্রেণীর কৃষক সমাজ, শিল্প মালিক ও মাঝারী ধরনের পুঁজি বিনিয়োগকারী শ্ৰেী রহিয়াছে তাহারা সংখ্যায় নিতান্ত সামান্য নহে। ইহাদের উপরই একটা দ্রুত উন্নতশীল অর্থনীতির বুনিয়াদি রচিত হয়। ইতিপূর্বে জাতি উহার ইতিহাসের স্বল্প সময়ে কঠোর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হইয়াছিল। ইনশাল্লাহ, এ বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহ, যে একবন্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা আমাদের বর্তমান অসুবিধাগুলি কাটাইয়া উঠিতে পারি এবং একটা সমৃদ্ধ ও ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ গঠনে আমাদের চেষ্টা পুনরায় শুরু করিতে পারি। বিদেশের প্রতিক্রিয়া। এইবার আমাদের অভ্যন্তরীণ গোলযােগের ব্যাপারে বিদেশের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলিতেছি। এই কথা জাৰিয়া আমরা সন্তোষ লাভ করিতে পারি যে, বিগত কয়েকমাস দেশ যে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইয়াছিল সে বিষয়ে অধিকাংশ বিদেশী রাষ্ট্রের প্রক্রিয়া আমাদের অনুকুলে এবং আমরা যে সব সমস্যার সমীন হইছি সেইগুলি সমাধানের জন্য আমাদের এই চেষ্টার প্রতি তাহারা সহানুভূতি ও সমঝোতার মনােভাৰ লইয়া সাড়া দিয়েছি। ঐক্য ও সংহতি প্র কার নি। পাকিস্তান সরকার যে বাবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন তাহার প্রতি আমাদের বিদেশী বন্ধুরী পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করিয়াছেন। জাহারা। একই সময়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে যাহারা হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করিয়াছিল তাহলে সে চেষ্টা হইতে বিরত থাকার জমা জুশিয়ার করিয়া দিয়াছে। এই সুযােগে আমি। পাকিস্তান সরকার ও উহার জনসাধারণ এবং অমিয়ার লিজের পক্ষ হইতে তাহাদের প্রশংসা করিতেছি ও তাঁহাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি।
পূর্ব পাকিস্তানের রাঙ্গনেতিক জীবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিপূরণের জন্য বিভিন্ন বিদেশী রাষ্ট্র বিশেষ করিয়া জাতি সংঘ ও উহার সংস্থাসমূহ, যে অনুকূল সাড়া দিয়াছেন তার জন্যও আমরা বিশেষভাবে উৎসাহিত বােধ করিতেছি।
বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রিলিফ কাজের জন্য প্রয়ােজনীয় সাহায্য সগ্রহের উদ্দেশ্যে বন্ধুভাবাপন্ন দেশসমূহ ও জাতিসংঘের সেক্রেটার্থী জেনারেলের সহিত আমরা আলাপআলােচনা করিতেছি। ভাৱকীয় হস্তক্ষেপ অর্থনীতির পূণর্গঠন ও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক তৎপরতা শীঘ্র শুরু করার জন্য আমরা। পরিকল্পনা করিতেছি। আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের অব্যাহত হস্তক্ষেপের ফলে আমাদের এ প্রয়াস বাধাগ্রস্থ হইতেছে। সশস্ত্র অনুপ্রবেশ ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি
________________________________________
তাহাদের প্রকাশ্য উৎসাহ ও সাহায্য উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করিয়াছে। আমরা যদি জাহাদেণ এক তরফা দাবীর প্রতি নতি স্বীকার না করি তাহা হইলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একক ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়া ভারতের দায়িত্বশীল মহলগুলি হইতেও বিদ্বেষপূর্ণ বিবৃতির ঝড় বহিয়া পিয়াছে। বর্তমানে একমাত্র প্রয়ােজন হইতেছে ঐ ধরনের কার্যকলাপ ও বিবৃতি দান বন্ধ রাখা।
কারণ পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করিয়া তুলিৰে । একমাত্র আলােচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা যায়, সংঘর্ষের মাধ্যমে নয় । সংযম ও সর্তকতার সংগে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে হইবে, যাহাতে আমাদের সমস্যাবলী আরও জটিল হইয়া
*
|
সাবভৌমত্ব রক্ষার সঙ্কেল্প। আমি আগেই বলিয়াছি, সশস্ত্র সংঘর্ষে কোন কিছুর সমাধান হইবে না। আমাদের দিক হইতে আমরা আমাদের সকল প্রতিবেশীর সংগেই শাস্তি সতও সাস করিতে চাই। আমরা অন্য লােকের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না এবং অন্য কাহাকেও। অামাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিতে দিব না। তবে আমাদের উপর যদি কোন পরিস্থিতি চালাইয়া দেওয়া হয় তবে আমাদের দেশের অষতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। পাকিস্তানের আজালী ও সংহতি অক্ষুন্ন রাখার ব্যাপারে আমাদের সংকঃ সস্পর্কে কোন তুল ধারণা থাকা উচিৎ নয়।
আমার প্রিয় সেশসী, উপসংহারে আমি আবারও আপনাদের কাছে বলিতে চাই যে, জাতির জন্য ইহা পরীক্ষার সময়। আমাদের প্রত্যেকেই সর্বাধিক সততা ও আন্তরিকতার সংগে চেষ্টা করিতে হইবে যাহাতে অগ্রগতির পথে আমাদের আবাসভূমির জয়যাত্রা অব্যাহত থাকে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরাইয়া আনা এবং পাকিস্তানের ঐক্যের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য কোন ত্যাগকেই অত্যাধিক বলা চলে না। এই হুমকি মোকাবেলার জন্য আমাদের যাহা দরকার তাহা হইল, যে মনােবল ও উৎসাহ উদ্দীপনা লইয়া আমরা পাকিস্তান অর্জনে সক্ষম হইয়াছিলাম এবং দেশী ও বিদেশী হুমকির হাত হইতে দেশকে রক্ষার জন্য বিন্নি সময়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও মনোবল দেখাইয়াছি সেই মনােবল, প্রতিজ্ঞা ও উৎসাহ উদ্দীপনার পুনরুদ্ধশত করা দরকার।
আমাদের ঐক্যে ভাংগন দেখা দিবে এই মিথ্যা আশায় আমাদের শত্রুরা আত্মতৃপ্তি জলা করিতেছে। আমাদের প্রিয় দেশকে ধ্বংস করার উন) তাহারা তাহ]নের যথাসাধ্য চেষ্টা চালাইয়াছে। কিন্তু তাহারা ভূলিয়া গিয়াছে যে, তাহারা এমন একটা জাতির সংগে মােকামেলা করিতে আহারে জীবন মহনিীর প্রেমে স্পন্দিত, আহাদের হৃদয় ঈমানের আলােকে উসিত এবং সর্ব শক্তিমান আল্লাহর উপর যাহাদের অটল বিশ্বাস। আসুন, আরা পরিস্থিতি মােকাবেলার জন্য প্রস্তুত হই। আসুন, আমরা জাতির পিতার আশার। উপযােগী হই এবং পুনরায় শত্রুর নিকট প্রমাণ কত্রিয়া দেই যে, আমরা একটি এক্যবন্ধ। জাতি এবং তাহাদের কারসাজি ও অসৎ উদ্দেশ্য পঞ্জ করিয়া পিতে চির প্রস্তুত। আমরা প্রত্যেকে একজন মুজাহিদ । আমাদের ক্ষতি করার কোন চেষ্টা করলে কাহারা নিজেদের সর্বনাশ জাকিয়া আনিবে।
________________________________________
আমাদের কণর দেশপ্রেমের প্রতি ঋণ-আস্থা রহিয়াছে। আমি এই ব্যাপারে নিশ্চিত যে আমাদের লক্ষ্য এক দেশের গণতন্ত্রের পুনঃ প্রতিষ্টা, দেশের অখগুতা ও সংহতি ৰক্ষা এবং সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন। আমি এই আশা রাখি যে, এই লক্ষ্য অন্যের প্রায় প্রত্যেক পাকিস্তান সর্বান্তঃকরণে আমার সাথে সহযোগিতা করবেন। আল্লাহ আমাদের প্রচেষ্টাকে সাফল্যমন্ডিত করুন। আল্লাহ, আপনাদের সহায় হউন। ‘
আহ আপনাদের সকলের মংগল করুন।
এ দিকে সংক্ষিপ্ত ১নং সামরিক আদালতে ছাত্রনেত্রী সহ ৬ জনের ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডি করা হলো। এ সংবাদ নিয়ে ‘আশি’ প্রতিবেদক নিলেন :
| ‘ঢাকা, ২৮শে জুন। – ঢাকার ১ন, সংক্ষিপ্ত বিশেষ সামরিক আদালতে বিশিষ্ট ছাত্রনেতা সহ, ৬ ব্যক্তিকে ১৪ বছর করিয়া সশ্রম কারাদণ্ডে দতি এবিং, তাহাদের বিষয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় । দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ হইতেছেন : নােয়াখালী জেলার রামগতি থানাধীন চাঁদপুর জাঙ্গালিয়ার অধিবাসী ও ঢাকাস্থ ইকবাল হলের ডাকসুর সহসভাপতি এ, এস, এম, আবদুর র; কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া থানাধীন মুরাইলের অবামী ও ঢাকাস্থ ইকবাল হলের স্টাকসুর সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদুস ওরফে মান; যশাের জেলার কিনাইদহের অধিবাসী ও ঢাকাস্থ ইকবাল হলের ইপি এস এল এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী; টাংগাইল শহরের অধিবাসী ও ঢাকাস্থ ইকবাল হলের ইপি এস এল এর সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ; ১৫৯ (পুরাতন) ও ২৩ (ক) পুরানা পলটন, যা ‘কালার শয়ন্স ইন করফে খসরু এবং, ৩০২, এলিফেন্ট রোড, ঢাকা ঠিকানার মােস্তফা মােহসিন ওরফে মন্টু।
নির্দিষ্ট তারিখে সামরিক আইন কর্তৃপক্ষ সমীপে হাজির না হওয়ায় সামরিক আইনের ৪০ নং বিধি অনুসারে, তাহাদের অনুপস্থিতিতেই তাহাদের বিচার করা হয়।
মূল অভিযােগ এখনও বহাল রহিয়াছে এবং ধরা পড়িলেই সেই অভিযােগ অনুসারে মামলা হইবে ৯০
গভর্নর লে: জেনারেল টিক্কা খান জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে চুয়াজ্জিাঙ্গা, নাটোর ও রাজশাহী সফর করেন। তার এ সফর প্রসঙ্গে পএিকায় বলা হলাে :
“পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর ও সামরিক আইন শাসনকর্তা লে: জে; টিক্কা খান গতকাল সােমবার চুয়াভাঙ্গা, নাটোর ও রাজশাহী সফর করেন।
এপিপি পরিবেশিত এই খবরে প্রকাশ, সফরকালে তার সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘ আন্তঃ জেলা প্রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান মি: রাহাত আল জাকিল, তার সহকারী ও উপদেষ্টা মি: গ্লান-ই-হায়জন, রেডক্রস সােসাইটি লীগের মি: পিষ্ট্যানসিস ও রিলিফ কমিশনার জনাব মােহাম্মদ আলী।
গতীর এই সফরকালে স্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীগণ ও শক্তি কমিটিসমূহের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।
তিনি তাদের সঙ্গে আইন ও শখলা পরিস্থিতি, মওজুদ খাদ্য পরিস্থিতি, যােগাযােগ ব্যবস্থা পুন: প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা করেন।
________________________________________
তাকে জানান হয় যে সারা রাজশাহী বিভাগে গােলযােগ সৃষ্টিকারীদের নির্মূল করা হয়েছে এবং জনসাধারণ তাদের ঘর বাড়িতে ফিরে এসেছে। পর্যাপ্ত খাদ্য মওজুল রয়েছে, দোকানপাট খােলা হয়েছে, সরকারী অফিসে কাজকর্ম চলছে এবং অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিসসমূহে স্বাভাবিকভাবে কাজ চলছে।
বিভিন্ন স্থানে শান্তি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলােচনা প্রসঙ্গে তিনি শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখা এবং জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তাদের উওম কাজের প্রশংসা করেন। তিনি গোলযােগ সৃষ্টিকারীদের উপস্থিতির কথা কর্তৃপক্ষকে ভালাবার জন্য জাদের আহ্বান জানান যাতে করে আইন ও শৃংখলা রক্ষাকারী এজেন্সীসমূহ তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
সর্বত্রই জনসাধারণ আগাহের সঙ্গে গভর্ণৱকে অভিনন্দন জানান এবং পাকিস্তান পাশ্রোবাল ও কায়েলে আজম জিন্দাবাল শ্লোগান দেয়। চুয়াল চুয়াডাঙ্গায় গভীর অভ্যর্থনা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি দেখেন যে, প্রত্যাবর্তনকারীদের গ্রহণের জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তিনি বাসস্থান, খাদ্য ও চিকিৎসা সুবিধা পরিদর্শন করেন। তিনি কয়েকজন প্রত্যাবর্তনকারীর সঙ্গেও দেখা করেন। এবং তাদের সঙ্গে ঘরোয়াভাবে আলাপ করেন।
গজকাল অভ্যর্থনা শিবিরে আগত একটি পরিবারের প্রধান গভর্ণরকে জানান যে, তিনি ইতিপূর্বে অনুমােদিত পথে দেশে আসার চেষ্টা করেছেন কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপঙ্ক ‘ভাকে আসতে দেয়নি। পরে এক অননুমােদিত পথে পূর্ব পাকিস্তানে আসতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আরো বলেন তিনি অন্যান্য প্রত্যাবর্তনকারালের অভ্যর্থনা কে ভালােভাবে দেখা হনা রা হঞ্জে।
গভর্ণর প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে লুঙ্গি ও শাড়ী বিতরণ করেন।
গম্ভীরের প্রশ্নের জবাবে অভ্যথনা শিবিরের মেণ্ডিকেল অফিসার জানান যে সকল ইত্যাবর্তনবিকে চিকিত্সা সুবিধা দেয়া হয়েছে এবং কোন গুরুতর অসুস্থতা বা মহামারি ঘটেনি। তিনি আরাে জানান, কয়েকদিন আগে আগত কয়েকজন প্রত্যাবর্তনকারী কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছিলাে কিন্তু তাদের অবিলম্বে রক্ষা করা হয়। নাটোর। নাটোরে জে: টিকা খান জিন্নাহ সৱকাৰী হাইস্কুল ও সরকারী গার্লস স্কুল পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করেন। তাকে জানানাে হয় যে, উপস্থিতি সন্তোষজনক এবং ক্লাশ খামিত উলছে। গার্লস স্কুয়েনা ছায়া স্কুল শ্রাঙ্গণে লাইন লিরে লড়ায় এবং জাতীয় সঙ্গীয় শােয়া। ত্রিনি পরে গাযোগে বাজারের মধ্য দিয়ে অতিক্রম কনে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রত্যক্ষ করেন।
রাজশাহী
রাকশাহীতে শান্তি কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণদান প্রসঙ্গে গভীর বলেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে এই গল্পের মুল্যবান অবদান রয়েছে এবং পাকি৷ানকে পে দেয়ার। অন্য কোন ব্যক্তিবিশেষ ৰা রাজনৈতিক দলাকে তারা ম্যাট দেয়নি। তারা প্রাদেশিক
________________________________________
স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে ভােট দিয়েছেন কিন্তু বিলুপ্ত আওয়ামী লীগ পাকিস্থানকে ভেঙ্গে দেয়ার ম্যাটে হিসাবে তাদের সমর্থনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। জনসাধারণের সক্রিয়। সহযোগিতায় সশস্ত্র বাহিনীর সময়ােচিত হস্তক্ষেপের ফলে ভাঙ্গনের হাত থেকে পাকিস্তান। বক্ষা পেয়েছে এবং বর্তমানে পাকিস্তানকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করার জন্য সকল প্রচেষ্টা। চালান প্রয়োজন।
শান্তিপূর্ণ অবস্থা পুন:প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে শাস্তি কমিটিসমূহের প্রচেষ্টার জন্য তিনি বিশেষভাবে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
গভরি বলেন তিনি অবহিত আছেন যে, গত মার্চ মাসে বিভিন্ন কারাগার থেকে ক্রমাগতভাবে জড় গেরুয়া প্রায় ১১ হাজার প্রাপ্ত বিচারাধীন ব্যক্তি কতিপয় স্থানে শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের হয়রানি করছে। তিনি বলেন যে তাদের খুঁজে বের কন্যা এবং শান্তি দানের জন্য শাসন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে জনসাধারণের সহযােগিতা কামনা করেন। তিনি শান্তি কমিটির সদস্যদের জানান যে এদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে আইন শমলা রক্ষাকারী এজেন্সীসমূহকে সাহায্য করার জন্য রাজাকার গঠন করা হচ্ছে এবং ঐনিং দেয়া হচ্ছে।
পরে জে টিক্কা খান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরির্শন করেন। তাঁকে জানানাে হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল কর্মচারী কাজে যােগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ২রা আগষ্ট পুনরায় খােলার কথা।
গভর্ণর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পরে গাউযােগে বিশ্বদ্যিালয় প্রাঙ্গণের মধ্য দিয়ে। অতিক্রম কৱেন । জেনারেল টিক্কা খান বিকেলে ঢাকা হ্যনির্জন করেন ১
এ লিকে লে; জেনারেল এ, এ, কে, নিয়াজ জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সমগ্র সিলেট এলাকা পরিদর্শনকালে স্থানীয় মাগুর তাকে জানান, ‘গােটা সিলেট জেলা থেকে দুষ্কৃতিকারীদের বিতাড়িত করা হয়েছে।’ পত্রিকা জানালো :
ইষ্টার্ণ কম্যাণ্ডের কার লে: জে: এ, এ, কে, নিয়াজী গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট এলাকা সফরকালে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত বরাবর প্রতিরক্ষা কাজে নিয়ােজিত সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেন।
তিনি জিওসি সমভিব্যহারে এই সফরে যান বলে এলিপির খবরে প্রকাশ।
সীমান্ত নিয়ে যাতে আর কোন রকম অনুপ্রবেশ না ঘটে বা কোন রকম হামলা ! চলে ভাই, জন্যে এই সেনাবাহিনী মােতায়েন করা হয়েছে। সীমান্ত ঘাটিতলি সবই সেনাবাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জে: নিয়াজী সৈন্যদের সাথে সরােয়াজাৰে কাকা বলেন এবং তাদের কুশল। জানতে চান। তিনি তাদেরকে অত্যন্ত ভালাে অবস্থায় দেখতে পান।
স্থানীয় কম্যাগুর কে: নিয়াজীকে জানান যে, বেসামরিক জনসাধারণের সক্রিয়। সহযােগিতায় সারা সিলেট জেলা থেকেই গােলযােগ সৃষ্টিকারীদের বিতাড়িত করা হয়েছে। কমাণ্ডার জানান, ভারতে ট্রনিংপ্রাপ্ত কিছু দুস্কৃতিকারী মাঝে মাঝে সমস্ত পথে ভিতরে ঢুকে প্রধানত: আমাদের যােগাযােগ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টা করে । কিন্তু তাদেরকে যথোপযুক্ত শিক্ষা দেয়া হয়েছে।
অব বাংলাদেশ ২৫
________________________________________
বিভিন্ন স্থানে সূতিকারীরা যে নাশণরুতামূলক তৎপরতা চালাবার চেষ্টা করে স্থানীয় জনসাধারণ ও রাজাকান্ত অত্যন্ত সাফল্যের সাথে তা প্রতিহত করে বলে মাস্তায় জানি।
জে: নিয়াঞ্জী সিলেট থেকে হেলিকপ্টারে জৈয়পুর যান এবং সেখানে তিনি সংবর্ধনা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তাঁকে জানানাে হয় যে, ৭ হাজার গৃহত্যাগী মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে এখনে ফিরে এসেছে। এদের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ও ১২শ’ লােক রয়েছে। অনুমােদিত পথে ফিরে আসার ব্যাপারে ভারত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় এদের বেশির ভাগই অনুমােদিত পথে পাকিস্তানে ফিরেছে।
সংবর্ধনা কেন্দ্রের কাছে দরবস্ত পুনে এক বিরাট জন নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর, পাকিস্তান পায়েদাবাদ ও কাCTCH আজম জিহাদ স্কানি দিয়ে জে; নিজকে স্বাগত জানায়।
এরপর জে: নিয়াজা শ্রীমঙ্গল এলাকার কুশিয়ারা নদীতে শেওলামুখ ফেরী পরিদর্শন করেন।
শ্রীমঙ্গলে স্থানীয় কমাণ্ডার জেনারেল নিয়াজীকে জানান যে এই এলাকায় চা বাগান গুলিতে কোন রকম বল প্রয়োগের হুমস্তি প্রদর্শন করা হয়নি। তিনি বলেন দুস্কৃতিকাৱীৱী অবশ্য চা বাগানগুলির দক্ষ শ্রমিকসের ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলে তাদেরকে কাক থেকে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করে। এই দুস্কৃতিকারীরা স্বভাবতই ভারতের ট্রেনিং শিবির থেকে এলো । কত তাপের সীমান্তে এই সৰ শিবির স্থাপন করেছে।
সীমান্ত এলাকায় যে উল্লেখযােগ্য পরিমাণ ভানুর এয় বিস্ফোরক ব্যাদি পাওয়া গেছে সেগুলিও জেনারেল নিয়াকে দেখানাে হয়।
নােগ্রেল নিয়াজী সন্ধ্যায় ঢাকা। ৯িরে আসেন।
লে: জেনারেল এ, এ, কে নিয়াজী। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে চট্টগ্রাম সর করেন। স্তাৱ এ সকালে স্থানীয় কমাগুরাণ ‘গােটা পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত সেনাবাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ফেনারেল নিয়াজীকে জানানাে হয়। এ প্রসঙ্গে সংবাদে বলা হয় :
“পূর্বাঞ্চলীয় কমার নাস্তার লে: জে: এd, এ, কে, নিয়াজী গতকাল শনিবাণ চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেন বল এপিপির খানের প্রকাশ।
| চট্টগ্রাম পৌছলে সেনাবাহিনী ও নৌ-সেনাবাহিনী সিনিয়র অফিসাররা সে নিয়াজীকে সংলধনা নান। পরে স্থানীয় কমাণ্ডার | আয়ে এলাকার মাইন শলা পরাখি এবং সীমান্ত বরাবর প্রতিরক্ষা কাজে নিয়ােজিত সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের বিবরণ দেন। আইন শামলার কথা বলতে গিয়ে স্থাণীয় কমাণ্ডার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে উনসাধারণের সহযােগিতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
| জে; নিয়াস্ত্রীকে জানানাে হয় যে, অনুপ্রবেশের সব ব্য স্থল ও নৌ-পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা হয়েছে এবং পূর্বাঞ্চলীয় সমাপ্ত বরাবর গোটা এলাকা এখন সেনাবাহিনীর কার্যকরী নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। | চট্টগ্রাম থেকে জে; নিয়াজী হেলিকপ্টারযােগে দোহাজারী, কাপ্তাই ও রাঙ্গামাটি যান। দোহাজারীতে এক বিরাট জনতা তার চারপাশে সমবেত হবে, দেশাত্মবােধক শ্লোগান দেষয়। তিনি তাদের সাথে করমন করেন এবং এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও বজায় রাখায় তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
________________________________________
পদে জে; নিয়াজী কাপ্তাই পানি বিদ্যুত কেন্দ্র পৱিদর্শনে গেলে তার কাছে ধ্বংসাত্মক কাজের হাত থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রটিকে রক্ষার ব্যবস্থাদি বিশ্লেষণ করা হয়।
তাঁকে জানানাে হয় যে, সব শ্রমিকরাই কাজে যােগদান করেছে এবং বর্তমানে সেমানে স্বাভাবিক বিলুৎ উৎপাদনের কাজ চলছে।
| রাঙ্গামাটিতে : নিয়াজীকে জানানাে হয় যে, উপজাতীয়রা দুস্কৃতিকারীদের অনুসরণ করে ধরা সাহায্য করছে এবং যেীলী প্রধানরা কতৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রাখছেন। কয়েক জায়গায় তারা নিজেরাই ক্ষতিকারীদের ধরে তাদের অস্ত্রশস্ত্র আটক করেছে।
জে; নিষ্ঠার এই সফরকালে ঢাকমা প্রদান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য রাজা ত্রিদিব রাও উপস্থিত ছিলেন।
অপরাহ্নে @ে+[ারেল নিয়াজী ঢাফি! ফিরে আসেন।
এ দিকে জুলাই মাসে সেনা সরকার জাতীয় পুনর্গঠন ব্যুরাে (বি, এন, আর) ভেঙে দিয়ে নতুন সংস্থা ‘পাকিস্তান বিষয়ক একাডেমা গঠন করলেন। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ পাওয়া যায় দৈনিক পাকিস্থান পত্রিকায়। পত্রিকায় বলা হলো :
“পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর লে: @ে: টিক্কা খান ১৯৭১ সালের পাকিস্তান নিয়ৰু একাডেমী অর্ডিন্যান্স নামে একটি অর্ডিন্যান্স জারী কৱেছেন বলে এক সরকারী প্রেসনােটে জানানাে হয়েছে।
অর্ডিন্যান্সের বিধান অনুযায়ী জাতীয় পুনর্গঠন বুরাে ভেঙ্গে দিয়ে তার পরিবর্তে পাকিস্তান বিষয়ক একাণ্ডেী নামে আর একটি সংস্থা চালু করা হবে। একাডেমী বিশেষ করে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পটভূমি এবং সাধারণ ভাবে পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণায় নিয়ােজিত থাকবে। এছাড়া একাডেমী পূর্ব পাকিস্তানের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় প্রান্দি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াদি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশনার দায়িত্বও গ্রহণ।
পরজন সরকারী ও বেসরকারী সদস্য সময়ে গঠিত একটি বাের্ডের উপর এই একাডেমীর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বভার শাস্ত্র থাকবে। বাের্ড একাড্রোর এণ্য পালনের নাতি নির্ধারণ করবে। ৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত কার্য নির্বাহক কমিটি দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন করার। এই ৫ জন সদস্য বাের্ডের সদস্য থাকবেন। বিলুপ্ত জাতীয় পুনর্গঠন ব্যুরোর ডিরেকটর জনাব হাসান জামানকে মন্ম স্থাপিত একাডেমী স্বর পাকিস্তান ফেয়ার্স এর ডিরেক্টর নিয়ােগ করা হয়েছে।E
গভর্ণর লে: জেনারেল টিক্কা খান ২৫ জুলাই কুমিল্লায় এক সমাবেশে ভাষণদানকালে জানালেন ‘ভাঙ এখনও পূর্ব পাকিস্তানীদের বন্ধু হতে পারে না। পাকায়। এ প্রসঙ্গে বলা। হলাে ;
‘পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর ও খ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জে: টিক্কা খান। গতকাল রোববার পূর্ণালীয় সীমান্ত এলাকা সফরাল কুমিষ্টাৰ এক প্রতিনিধি সমাবেশে বলেন যে, যে ভারত গত বুধবার কুমিল্লা শহরের বেসামরিক লোকদের উপর নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করতে দ্বিধা করেনি সে কখনাে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বন্ধু হতে পারে না।
এপিপির খবরে প্রকাশ উস্কানিবিহীন এই ভারতীয় গােলাগুলিতে নিহতদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করে গীর বলেন, এই ব্যবস্থা নিরপরাধ জনসাধারণের জীবনের প্রতি ভারতের চরম অবজ্ঞাই প্রদর্শন করেছে।
________________________________________
জে: টিক্কা খান বলেন, আমরা আমাদের জনগণের অর্থনৈতিক ভাগেপ্লনের জন্য। শান্তি চাই। কিন্তু ভারত সীমান্তে উত্তেজনা জিইয়ে রাখছে।
গভর্ণর বলেন, ভারতীয় সৈন্যরা তাদের চরদের সহযােগিতায় মাঝে মাঝে বেসামরিক পােশাকে সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ করে এবং আমাদের অর্থনীতির ধ্বংস সাধনের উদ্দেশ্যে যােগাযােগ ব্যবস্থা বিদ্ধি করে। পরিণামে সাধারণ মানুষকেই দুর্ভোগ পােহাতে হয়। তিনি জনসাধারণকে তাদের শক্রদের সম্পর্কে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন পল্লী এলাকার লোকদের গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের হাত থেকে নিভেদের রক্ষায় সক্ষম করার উদ্দেশ্যে রাজাকারদের নিয়ে করা হচ্ছে।
তিনি শান্তি বজায় রাখায় এবং দুতিকারীদের দমনে শান্তিকমিটির প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন যে শান্তিকমিগুলো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান না এবং তারা পাকিস্তানের সংহতি ও সার্বভৌমত্ব ক্ষায় একমাত্র লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে।
জে; টিকা আন জনসাধারণকে গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ নিয়ে বলেন, এগুলো জনসাধারণের স্বার্থের পরিপন্থী। সম্প্রতিক একটি উদাহরণ দিয়ে গভীর বলেন যে, ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে এস এস সি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যারা বিভ্রান্তিকর ওজবের দরুন পরীক্ষা দেয়নি তারা একটি মূল্যবান শিক্ষাবর হারিয়েছে।
এলাকার খ্য মজুদেণঃ পরিমাণে সন্তোষ প্রকাশ করে গণি বলেন, যােগাযোগের অসুবিধা সত্ত্বেও প্রদেশের সব অংশের অঙৰী লােকদের কাছ থালা পেছানাে হবে।
সীমান্তের ওপার থেকে গৃহত্যাগী ব্যক্তিদের প্রত্যাবর্তনের উল্লেখ করে গভীর বলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছেন যে, সর্ব পাকিস্তানীর গৃহে প্রত্যাবর্তনকে অভিনন্দন জানানাে হবে। এর মাঝে ১০ হাজারেরও বেশি লােক ফিরে এসেছে। অনুমােদিত পথে ভারতীয়রা বাধা দিচ্ছে বলে তাদের অধিকাংশকেই অননুমোলি ত পথে অমিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গভর্ণর বলেন যে, পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক মােতায়েনের প্রস্তাব গ্রহণ শুরছে কিন্তু ভারত তা প্রত্যাঙ্গানি করেছে। কারণ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে তার সত্যিকার অসিন্ধি ফাস হয়ে পড়বে।
কুমিল্লা থেকে জে: টিক্কা খান ফেনী ও লাকসামের মধ্যবর্তী জায়গায় গুণবতা রেলসেতু দেখতে যান। ইতিপূর্বে অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা ডিনামাইট দিয়ে সেতুটি উড়িয়ে দেয়। সেতুটি এখন পুনর্নির্মাণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
গভর্ণর ফেনী ও মাইজদি কোর্টও (নােয়াখালী) সফর করেন এবং সেখানে স্থানীয় কর্মকর্তা ও শান্তি কমিটির সদস্যদের সাথে মিলিত হন।
তিনি শান্তি কমিটির পণ্যপের সাথে ঘরোয়া পরিবেশে আলাপ করেন এবং শান্তিপূর্ণ অনহা কাকার রীখ ও জনসাধারণের আস্থা ফিরিয়ে আশায় তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি স্থানীয় সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে আইন শওলা, আH; ও যোগাযোগ মন্ত বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
সফরকালে জলানী রাষ্ট্রদূত সৈান কামাল আল শরীফও গভর্ণরের সাথে ছিলেন। গতণর গতকাল অপরাহ্নে ঢাকা ফিরেন।
________________________________________
২৮ জুলাই দিনাজপুর সামরিক আইন প্রশাসক এক আদেশে দশকে জানালো যে, “আর একদিনের মধ্যে নিজ অবস্থানে ফিরে | আসলে মালিকানা বাজেয়াপ্ত করা হবে। নির্দেশে বলা হলাে :
“বালুবাড়ি ও লায়াডাঙ্গার অধিবাসিগণকে জানানাে যাইতেছে আর একদিনের মধ্যে। তাহাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরিয়া আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাইতেছে, অন্যথায় বালুবাড়ি ও লালুম্ভিাঙ্গার সমস্ত খালি বাড় তালা বন্ধ করিয়া সিল করিয়া দেওয়া হইবে।
| দিনাজপুত্র শহরের সমস্ত দোকানের মালিকগণকে জানান যাইওছে যে, যাহাদের দোকান বন্ধ অবস্থায় পড়িয়া আছে, তাহা ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে না পুলিলে ঐ সকল। দোকান তালাবদ্ধ করিয়া দেওয়া হইবে, এবং, মার্শাল ‘ল’ কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করা হইবে । অন্য লােককে বন্দোবস্ত দেওয়া হইবে।
– পুল হট, বালুবাড়ী, রামনগর খৈয়াড় ও ফুলতলা খাট; কাঞ্চন ঘাট, রাজাপড়া ঘাট, বাঙ্গা বেচা পাড়া খাট ও কসাইখানা আগামী ৩১শে জুলাই বেলা ১২টায় মিউনিসিপ্যাল। অফিসে প্রকাশ্যে নিলাম হইবে। ডারে সব টাকা সঙ্গে সঙ্গে জমা দিতে হইবে। ৭ দিনের মধ্যে অফিসের নির্দেশ মােতাবেক এগ্রিমেন্ট দাখিল করিতে হইবে।
পরবর্তী কোন দেশ না পাওয়া পর্যন্ত প্রত্যহ রাত ১০টা হইতে সকাল ৪টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকিবে। উক্ত সময়ের মধ্যে কাহাকেও ঘরের বাহিরে কিংবা রাস্তায়। পাওয়া গেলে গুলি করা হইবে।
| ‘চাকুরীজনীলের পরিবারে এস. এস. সি পরীক্ষার্থীদের সম্পর্কে অনুসন্ধান বিষয়ক একটি সংলাপ পাওা যায় সরকারী দলিলপত্রে। ৩১ জুলাই জারীকৃত এ চিঠিতে বলা। হলাে :
CONFIDENTIAL/URGENT GOVERENMET OF EAST PAKISTAN Services & General Administration Department General Admiaistration Branch
Section IV No. G Tv231/71-608:540)
Dated 31-7-7। From: A. MF. Rahman, SK.. Addl. Chief Secretary to the Government of East Pakistan To: The Secretary to the Govt. of East Pakistan Education Department
It is considered necessary to find out from all overnment servants and the employees of the autonomous bodies under the Govt. of East Pakistan working in Dacca city whether their wards were due to appear in S. SC Examination, 1971 and whether those who were due to appear actually appear or not, In the cases of those who did not appear, reasons for their not doing so are also required to be ascertained
Sd/-A. M. F. Rahman
1, 7I Addl. Chief Secretary
No. 0/10M-53/71-7542)-Edn, Dafeed the 5th August 3071,
copy forwarded to the Director of Technical education/Director of publie Instruction, all autonomous bodies. Registrar, Dacea University and all section Officer’s of this Department with the request to furnish the required information by Toth August. 1971 positively
জুলাই মাসের শেষ সজ্ঞাহে ঢাকা থেকে ২৫ মাইল উত্তরে গাঞ্জার বন্দুক তৈরি কারখানা পরিদর্শনে গেলেন হষ্টার্ন কমাঞ্চের কমার লে: জেনারেল এ, ঐ, কে নিয়াজী। কারখানার আবাসিক পরিকলণ জেনারেল নিয়াকে অভ্যর্থনা জানান। তিনি নিয়াজীকে কারখানা ঘুরিয়ে দেখানাের সময় জানান যে, বেশিভাগ শ্রমিকই কাজে যোগ নিয়েছে এবং কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে চলছে। এর আগে জেনারেল নিয়াজী ঢাকার সাভারে মিলিটারী ফার্ম পরিদর্শন করেন। | এ দিকে শাহী নওগা এলাকায় ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী ও এক কোম্পানী বি, এস, এম সীমান্ত অতিক্রম কালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক সংঘর্ষে ৬ জুন ভারতীয় নিহত ৫ ১৯ জন আহত হওয়ার সংলাপ নিলাে মানিঃ নজ”। সংবাদে বলা হয়, ৭৭ বি, এম, এফ-এর একটি কোম্পানি মেশিনগান ও অন্যান্য স্বয়ংক্রিয় অসহ, বালুরঘাট দিয়ে পাকিস্তান প্রদেশে করার চেষ্টা করে । সংবাগে অনুপ্রবেশকারীরা এই এলাকায় লুটপাট ও যােগাযােগ ব্যবস্থা রুথংস করতে এসেছিলাে বলে উল্লেখ করা হয়।
আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ সকল বিভাগীয় প্রধানের কাছে তাদের স্ব স্ব বিভাগের ছাত্রদের দৈনিক উপস্থিতির হার পাঠাবার অনুরােধ জানিয়ে চিঠি দিলাে।
NO- 305485
OFFICE OF THE REGISTRAR UNIVERSITY OF DACCA
DACCA-2 Dated, Dacca, the 6th August 1971
VERY URGENT/EXPRESS
2nd Reminder To 1. All Heads of Departments 2. The Directors of Institutes Dacca University Dear Sir,
In inviting a reference to this offee letter No. C/73819 dated the 2nd June, 1971 and subsequent reminder No. 2400-440 dated the 2nd August. 1971. on the above subject. I am to inform you that daily report of the students’ attendence from some of the Departments are not being received in this office even 11.00 AM on the following day.
I am therefore to request you to kindly send the report to this oflice by 11-00 A M positively on the following day in order to
________________________________________
পাকিস্তানি শমরিক সার ও সেনা তৎপরত্রা enable this once to forward the consolidated report to the Government in time 300
Yours Faithfully Sd/-lllegible
Registrar
University of Dacca আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে লে: জেনারেল , এ, কে, নিয়াজীর বগুড়া সফরের সংবাদ জানা যায়। দৈনিক পাকিস্তান’ পত্রিকায় । সংবাদে বলা হয় ।
“পূর্বাঞ্চলীয় কমাজের অধিনাষাক ও খ এলাকার সহকাৰী সামরিক আইন প্রশাসক লে: জে; , , কেনিয়ায় পাকিস্তানের এক)-সংহতি রক্ষায় বগুড়ার ইনসাধারণের একনিষ্ঠ কথ৮ষ্টাৰ আজ উ প্রশংসা করেন।
ই; নিয়া নে স্বাগত জানানাে জন্য তথায় সমবেত অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও শান্তি কমিটির সদস্যদের এক যৌথ সভায় তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন।
জেনারেল অফিসার কমাঞ্চিাও জে: নিয়াজীর সাথে গমন করেন। পশ্চিম সীমান্ত বরাবর আত্মরক্ষামূলক কাজে সেনাবাহিনী মােতায়েন ব্যবস্থা পরিদর্শনে আন্য জে: মিয়াজী অত্র এলাকায় এক দিনের সফরে গমন করেন।
জনসাধারণের সাথে আলাপ প্রসঙ্গে Wে; নি বলেন যে, আপনারা দাতিনা দিক। এক অমূল্য সব করছেন। নি আরও বলে যে, ইসলাম র! পাকিস্তানের সেবা করার অর্থ হলাে ইসলামের সেবা করা এবং আন্ধাহ তাদের এ মহান কাভোর ) অবশ্যই পূৱত করবেন।
লে: নিয়াজী জনসাধারণবে মুসলমানদের আহি গ্রেীৱবের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন যে, ইসলামের অনুশাসন অনুসরণ করে একদিন তারা বিরাট রে অঞ্জলি করেছিলাে এবং আমরা যদি ইসলামের অনুশাসন মছতার সাথে অনুসরণ কৰাি, তবে আমদার | অজন করতে পারি।
জাতীয় স্বার্থ ব্যাহত করার জন্য যে সী লােক শqানক হবে। কাজ করছে জেঃ নিয়াজী জনসাধারণকে তাদের বিরুদ্ধে দুশিয়ার করে দেন। উপরোক্ত ধরনের লােকেরা যে। সর্বদাই মুসলমানদের ঐক্য ও সংহ এর অতি সাধন করে সে সম্পর্কে যে নিয়তি ইতিহাস থেকে কতিপয় নজিরের উদ্ধৃতি দেন।
| কে; নিয়াজী আরও বলেন উদ্বাস্তু শিবিরে যারা আমাদের নারী ও শিশুদের প্রতি দুর্ব্যবহার করছে, ও আমাদের অর্থনীতি ধংস কৰাৰ ] অামাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যাহত করছে, হারা কখনই জনসাধারণের তাকাংখী হতে পারে না। এ $ করার। সাথে সাথে সমবেত জনসাধারণ পাকিস্তানের শত্রুদের নির্মূল করার জন্য তাদের দৃঢ় মনােঞ্জাব ব্যক্ত করে উচ্চ কণ্ঠে শ্রেনি প্রদান করে।
হে; নিয়াজ্জী জনসাধারণের দেশ প্রেমিক আদর্শ ও উৎসাহ উদ্দীপনার উচ্চ প্রশংসা করেন। দেশের প্রতিরক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সাথে নসাধারণের সহযােগিতার ও হিনি। প্রশংসা করেন।
স| শেষে জে: নিয়াজ| সামরিক আইন সদৰা তরে গমন করেন। ৩থায় তিনি আইন শংখলা পরিস্থিতি তথা সমাজের সকল স্তরে স্বাভাবিক বন মাত্রা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হন।
________________________________________
পরে জে; নিয়াজী সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেন। তিনি সৈন্যদের সাথে ঘরোয়াভাবে আলাপ করেন ও তাদের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাদেরকে আস্থানান ও উৎসু দেখতে পান।
| অত্র এলাকা পরিদর্শনকালে স্থানীয় কমাজার জে; নিয়াজীকে জানান যে, জনসাধারণের সক্রিয় সহযোগিতা অত্র এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব পালনের কাজে বিরাটভাবে সহায়ক হয়েছে। তিনি আরও আননি যে বিপুল সংখ্যক লােক রাজাকার হিসাবে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করছে।
জে; মিয়া} অপরাহে ঢাকা ফিরে আসেন। গতকাল শুক্রবার এপিপি ঢাকায় এ খবর পরিবেশন করে।”১০১
আগষ্ট মাসের প্রথম ভাগেই দিনাজপুর সামরিক আইন প্রশাসন পরিত্যক্ত বাড়িঘর এ পেশায় ফিরে আসার নির্দেশ এবং আরাে কয়েকটি ঘোষণা দিলাে। ঘােষণায় বলা
(১) স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে মাল ‘ল’ কর্তৃপক্ষ সকলকে তাহাদের পরিত্যক্ত বাড়িঘরে ফিরিয়া আসার জন্য ও নিজ নিজ পেশা এবং গ্রামাঞ্চলে কুথিকাষ আরঞ্জ করার জন্য উপদেশ দিতেছেন। আগামী ১০ই আগষ্টের মধ্যে পরিত্যাক্ত বাড়িঘরে ফিরিয়া মা আসিলে তাহা অন্য লােককে ইজারা দেওয়া হইবে। প্রকাশ থাকে যে মার্শাল ‘ল’ কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি নাগরিকের জান ও মালের পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস নিতেছেন ।
(২) পরিত্যক্ত দােকান, হােটেল, বাড়িঘর ইত্যাদি বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য তারিখ নন্দলাইয়া দেওয়া হইয়াছে এ মgdাওয়ারী তারিখ দেওয়া হইয়াছে। দরখাস্তকারীগণ যেন। নির্ধারিত তারিখে এ, ডি, সি, সাহেবের অফিসে বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকেন।
নিমতলা, মালদহপট্টি ও মাড়ওয়ালাপট্টি-১ই অগই বেলা ১০টা হইতে ১টা পর্যন্ত। বাসুকিয়াপঠি, খড় বন্দর – ১০ই আপঃ ১০টা হইতে ১টা পর্যন্ত। অলরি বাথর, বালুবাড়ি – ১১ই আগষ্ট বেলা ১০টা হইতে ১টা পর্যন্ত।
(৩) এভখারা অনননি যাইতেছে যে, মিউনিসিপালিটির পুলহাট ঘােড়া, বালুবাড়ি খােয়া®, কাঞ্চনাট এবং, মিঃ সিপালিটির অফিস সংলগ্ন ৮টি নারিকেল গাছের ডাব নারিকেল, আগামী ৯ই আগষ্ট রােজ সােমবার বেলা বারটায় প্রকাশ্যে নিলামে বন্দোবস্ত দেওয়া এবং বিক্রয় করা হইবে। চুড়ান্ত ভকিকারীকে সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত টাকা জমা দিতে হইবে এশিং, যাকের তারিখ হইওে ৭ দিনের মধ্যে অফিসের নির্দেশ মােতাবেক এম দাখিল করিতে হইবে।
(৪) আজ রাত ১০টা হইতে সকাল ৪টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকিবে। উক্ত সময়ের মধ্যে কাহাকেও ঘরের বাহিরে কিংবা রাস্তায় পাওয়া গেলে গুলি করা হইবে।
By order M. L. Administrator
Dinajpur
5-57 এ দিকে ঢাকা শহরে অবস্থানরত চাকুরিজীবীদের শিক্ষার্থী সন্তানদে4 সম্পর্কে তথ্য পাঠাবার জন্য সেনা সরকার ১০ আগস্ট একটি চিঠি লিখলাে।
________________________________________
CONFIDENTIAL GOVERNMENT OF EAST PAKISTAN Scrivces & General Administration Department General Administration Branch
Section IV No. GAIV/246/71-663 (35)
Dated, Dacca the 10th August, 71 From: A. M. F. Rahman, SK.
Addl. Chief Secretary to
the Govt. of East Pakistan. То
It has been decided to obtain the following information from Government servants and employees of autonomous bodies under the Government of East Pakistan working in Duoco city about their wards
a) Name and age of the ward. b) School/College he/she is studying in ch if he/she is attending class? If not, why not? d) Place he/she is reading in?
2. The head of the Administrative Department may obtain the required information in respect of the wards of all officers and employees working in that Department, the Diretorates, attached offices and the autonomous bodies under his administrative control. The information so obtained may be compiled by the department and a consolidated report sent to the Chief Secretary to the Govt of East Pakistan.
3. Information in respect of the employees working in the Divisional Commissioner’s omce, Collectorate and the SubDivisional Officers’ Offices of Dacca sadar South and sadar North Subdivisions may be obtained by the Divisional Commissioner Deputy Commissioner and the respective. Sub Divisional Omcers who may transmit them to the Board of Revenue after compilation The Board of Revenue may compile the information received from the Divisional Commissioner. Deputy Comissioner and the two S.D.O’S and send a consolidated report to the Chief Secretary:
4. This may be treated as urgent as report in the matter is required to be submitted to the HO. M. L A ZONE B.
Sd/-A.M. F. Rahman
10.8. 71
Addl. Chief Secretary অপর লে: জেনারেল টিক্কা খান আগষ্ট মাসের ১১ তারিখে রংপুর ও দিনাঞ্জপুর সফ করেন। তার এ সফরের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায় দৈনিক পাকিস্তান’ পত্রিকা ১২ আগষ্ট সংখ্যায়। পত্রিকায় বলা হলাে :
________________________________________
| ‘পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর ও ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক শাসনকতী লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান গতকাল বুধবার বলেন যে, যারা যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ও কলকারখানার ক্ষতি সাধন করে তারা জনগণের ভাকাংখী হতে পারে না।
জেনারেল টিক্কা খান রংপুরে শান্তি কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তৃত্রা দিচ্ছিলেন। গভর্ণবের সাথে ছিলেন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ভা: এ, এম, মালিক ও জাতিসংঘের উদ্বাস্তু হাইকমিশনারের প্রতিনিধি মি: জন আর ফেলি।
গভীর তার বক্তব্যে বিশেষ করে বলেন যে, যোগাযােগ ব্যবস্থা না হলে জনগণের কাছে খাদ্যশস্য পৌঁছতে অসুবিধা হবে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটালে শিল্পোন্দা স্বল্প হবে এবং পরিণামে বেকান্ত জনে কলকারখানার শ্রমিকরা।
গভর্ণর এসৰ গণবিরােধী লােকদের আলাদা করার এবং তাদের উপস্থিতির কথা একপক্ষকে জানার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
| গােলযোগ সৃষ্টিকারীদের নির্মূল এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার কাজে সহায়তা নার জন্য শান্তিকমিটি যে প্রচেষ্টা গুলিনে তিনি তার প্রশংসা করেন। গভীর কলেন যে শান্তি কমিটিগুলাে হলাে অরাজনৈতিক সংস্থা এগুলাে প্রদেশে সর্বত্র শান্তি বজায় রাখার এবং জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজে সহায়তা করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা। চালাচ্ছে। তিনি আরাে বলেন যে, রাজাকারেরাও দুস্কৃতিকারীদের হামলার মুখে নিজ নিজ এলাকা রক্ষা এবং সেতু ও কালভাট গহণা নিয়ে বিশেষ সরকারী দায়িত্ব পালন করছে।
ফিরে আসা উদ্বাস্তুদের প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন যে প্রেসিভেট বারংবার বলেছেন যে, গােলযোগ কালে যেসব প্রকৃত পাকিস্তান সীমান্ত অতিক্রম করে গিয়েছিল তারা দেশে ফিরে আসলে তাদের স্বাগত জানানাে হবে। তাদের মা আতর্থনা শিবির লোলা হয়েছে এবং তাদের পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে প্রয়ােজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। যার নলেন কিন্তু স্যার তালে ফিরে আসতে দিচ্ছে না।
এই বিয়টি খোলাসা করে বলতে গিয়ে গত বলে আমাদের লােকদের গ্রহণ করার জন্য আমরা অভ্যর্থনা শিবির স্থাপন করেছি। আর তাদের দেশে ফেরা বন্ধ করার জন্য ভারত বসিয়েছে চেক পােস্ট। শুধু তাই নয় ভারত নিজ এলাকায় জাতিসংঘের পনেক্ষক মােতায়েনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কারণ পর্যবেক্ষক মােতায়েন করা হলে ভাবণের আসল উদেশ্য প্রকাশ হয়ে পড়বে। উদ্বাস্তুরা যাতে বাড়ি ফিরতে না পারে সেজন্য সীমান্তে গােলযোগ সৃষ্টি করাই হলাে ভারতের পুন: পুন: গোলাবর্ষণের অন্যতম প্রধান উচ্ছে । সরকারী কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ ভোলার সরকারী কর্মচারীদের প্রতি একটি পৃথক সমাবেশে গভীর বক্তৃতা দেন। গভীর সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা জানার উদ্দেশ্যে তাদের কাজে যাওয়া এনি, যতটুকু সম্বৰ দ্রুত গতিতে এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করে সেসব অসুবিধা দূর করার জন্য সরকারী কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছেন। দিনাজপুরে গভর্ণর পরে গভর্ণর বিমানযােগে দিনাজপুর যান। তিনি সেখানে শান্তি কমিটির সদস্যবৃন্দের ও স্থানীয় অফিসারদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন । গত মার্চে গৱেৱ দায়িত্ব গ্রহণের পর
________________________________________
এটাই হলাে দিনাজপুত্রে লে; জেনারেল টিক্কা খানের প্রথম সফর। সেনাবাহিনী এই জেলাটি উদ্ধারের আগৈ দুস্কৃতিকারীদের হাতে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গরি তালের জানান। তার সমবেদনা।
| শান্তি কমিটির প্রেসিডেন্ট গন্নিাকে জানান যে, সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের আন্তৱিক প্রচেষ্টার সুফল পাওয়া গেছে। জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে এবং জনগণের আস্থা পুন: প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”১০৫
এ দিকে পাকিস্তানি সেনা কর্তৃপক্ষ কয়েক দফায় ৭২ জন এম, এ, এ-কে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে জানাৰ দেবার জন্য সেনা আদালতে হাজির হনার নির্দেশ জান্না করে। একটি আদেশে বলা হলো :
“অ’ অঞ্চলের সামরিক আইন কর্তা লে: জে: টিক্কা খান সামরিক বিধি ও পাকিস্তান পবিধি অনুসারে, আনীত অভিযােগের জবাব দেবার উদ্দেশ্যে আগামী ২২শে আগষ্ট ১াকাল ৮টায় ২নং সেক্টরের উপ-সামরিক শাসনকর্তার নাটোৱস্থ আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ১৪ জন নির্বাচিত এম, এম, এ, কে নির্দেশ দিয়েছেন। ‘ অথতলের সামরিক শাসনকর্তার সদর দফতর থেকে গতকাল সােমবার প্রকাশিত এক নােটিশে একথা জানানাে হয়েছে।
এপিপির খবরে প্রকাশ উপরােক্ত ১৪জন নির্বাচিত এম, এন, এ, যদি হাজির না হন তাহলে ৪০নং, সামরিক বিধি বলে তাদের অনুপস্থিতিতেই তাদের বিচার করা হবে।
_ এম, এন, এ-vlণ হলো : ১। রিয়াজুনি ভ্রাহমদ, পিতা-দদলিল উদ্দীন, গ্রাম হিরুলৱা, থানা- কুড়িগ্রাম
জেলা-রংপুর। ২। মােশাররফ হােসেন চৌধুরী, পিতা- হাজি মাে: মফিজ উদ্দীন, দক্ষিণ মুন্সী পাড়া,
কোতােয়ালী, জেলা= দিনাজপুর। ৩। আবদুর রউফ, পিতা-হাজি আলিমুল্লাহ, পাে: বাগডোকরা, মির্জাগঞ্জ, রংপুর।
মতিউর রহমান, পিতা- ড: মমিদুর রহমান, এম বড় বিশালপুর, পো: বােগনগর থানা পীরগঞ্জ, ভোলা= রংপুর। মফিজ আলী মােহাম্মদ চৌধুরী, পিতা- মরহুম আলী মােহাম্মল চৌধুরী, গ্রামপেমিয়য়া, পাে:- মামাবাড়ি, জয়পুরহাট, লাে= নয়। মােহাম্মদ আজিজুর রহমান, পিতা- মরহুম আকিম উদ্দীন, মােহাম্মদপুর ইউনিয়ন কাউন্সিল নং ২, থানা- ঠাকুরগাঁও, জেলা- দিনাজপুর। নাহ মাহতাব আহম্মল, পিতা-হাঞ্জি সিরাজ উদ্দীন, গ্রাম-উত্তর পলাশ বাড়ি, থানা
চিরির বন্দর, জেলা- দিনাজপুর। ৮। মজিবুর রহমান, পিতা মিশারত উল্লাহ, গ্রাম-আলাে, থানা-আদমদীঘি, জেলা
– বগুড়া। ৯। মোতাহার হােসেন তালুকদার, পিতা- ইমুদ্দীন তালুকদার, লিয়াকত আলী রােড,
সিরাজগঞ্জ, পাবনা। ১০। আবদুল আওয়াল, পিতা- মো: আবদুল বারী, সরাই, হায়গাছা, রংপুর। ১১। আবদুল মমিন তালুকদার, পিতা- আবদুল গফুর, গ্রাম= নাককতা, থানা
বেলকুচা, জেলা- পাবনা।
৪।
৫।
১২। আবু সাঈ, পিতা- নাসির উদ্দীন সরকার, এম- বৃষখিলা, থানা- বেড়া, জেলা
পাবনা। ১৩। এ, বি, এম, মকসেদ আলী, পিঙ|- মরহুম নেয়ামত আলী সরঞ্চার, পো:
সেতাবগঞ্জ, থানা- বােচাগঞ্জ, জেলা- দিনাজপুর। ১৪। প্রফেসর মোঃ ইউসুফ আলী, পিতা- মাে: গরি উদীন, গ্রাম ফরাক্কাবাদ, খনা
বিরোলি, জেলা- দিনাজপুর। ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক শাসনকর্তা লে: জে: টিব্রা খান এইচ কিউএ, এস পি কে, পি এস সি এই ১৪ এন এম এন এ-না প্রত্যেককে পৃথক পৃথক নােটিশে তাদের বিরুদ্ধে মানা অজিযোগের বিবরণ দিয়ে ভালোকে সামরিক আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।”১০৫।
অভিযুক্ত অপর এম, এন, এ-দের নামের তালিকা দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার ১৮, ২০ ও ২১ আগষ্ট তারিখে প্রকাশিত হয়। একটি তালিকায় ১৬ জন, অণর তালিকায় ১৩ জন এবং অন্য একটি তালিকায় ২১৯ জন এম, এন, এর নাম ঠিকানা প্রকাশিত হয়। আৱাে ১৬ জন এম এল এ কে সামরিক কর্তৃপক্ষের নিকট হাজির হতে বলা হয়েছে ১। আতােয়ার রহমান তালুকদার, পিতা-মাহুম হাজী জসীমুদ্দীন তালুকদার, গ্রাম
মথুরাপুর, থানা- বলছি, জেলাজশাহী। মো: বায়তুল্লাহ, পিতা মরহুম লাল মােহাম্মদ, খাম= ক এনায়েত, পো: নওগাঁ, রাজশাহী। আলিন্দ আলী মিয়া, পিতা- হাঞ্জা ইউনুস আলী মিয়া, গ্রাম- সন্তোষপুর, পাে:=
আলীনগর, রাজশাহী। ৪।
শাহ মাে: জাফরুল্লাহ, পিতা- হাকিমুলান, গ্রাম- তাহেরপুর, থানা- বাগমারা, রাজশাহী। এ এইচ এম কামরুজ্জামান, পিতা-মো: আবদুল হামিদ, মালােপাড়া, রাণীবাজার,
পাে: – বােয়ালিয়া, ব্রাজশাহী। ৬। আমিরুল ইসলাম, পিতা-গুয়?সেল হোসেন, গ্রাম-মধুপুর, পো:-ইমানপুর,
জেলা-কুষ্টিয়া। আজিজুর রহমান আক্কিাম, পিতা আয়েজুনি, গ্রাম-বাহিরমোদী, থানা
দৌলতপুর, কুষ্টিয়া। ৮। আবু আহমদ আফজালুর রশিদ, পিতা-রুম আলী বিশ্বাস, গ্রাম- নদিয়া, থানা
আলমডাঙ্গা, কুষ্টিয়া। কামরুজ্জামান, পিতা- শামসুদ্দীন আহমদ, গ্রাম- কাঞ্চননগর, থানা-ঝিনাইদহ,
শােন। ১০। ইকবাল আনােয়াধল ইসলাম, পিকা=খােশবাণ, স্যার ইকবাল রােড়, থানা
বিনা ইলহ, যশাের। ১১। সুৰােধ কুমার মিত্র, পিতা-উন্ননেন্দ্র নাথ মিত্র, গ্রাম-বেলিয়াডাঙ্গা, থানা
কেশবপুর, যশাের।
________________________________________
১২। খােন্দকার আবদুল হাফিজ, পিতা-আবদুল শুদু খন্দকার, গ্রাম-মহিমাখোলা,
থানা- নড়াইল, যশাের। ১৩। সােহরাব হোসেন, পিতা-গােলাম তহুর, মাগুৰা কাউন্সিল অফিস, পাে:-মাওয়া,
যশাের। ১৪। এমি, রওশন আলী, পিতা-মাশার আলী, পো:- পা, যশাের। ১৫। মােহাম্মদ মহীন, পিতা-মরহুম তসিমুদ্দিন, এম, টি রোড, খুলনা । ১৬। মহি6/%, পিতা-ইয়াকুব হোসেন, ওয়ার্ড নং-২, মেহেরপুর টাউন, কুষ্টিয়া।১০
৪।
আরাে ১৩ জন এম এন এ’র প্রতি হাজির হলার নির্দেশ। ১। মিসেস নূরজাহান মুর্শেল, স্বামী-ভ; সরােয়ার মুর্শেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭ই,
বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকা, ঢাকা। মিজানুর রহমান চৌধুরী, পিতা- মরহুম মাে: হাফিজ চৌধুরী, ওয়ার্ড নং-৩,
bদপুর পৌরস, পো:-পুরান বাজার, থানা চাদপুর। | | এ, ওয়ালিউল্লাহ, পিতা- ওয়াজুনি সরকার, গ্রাম = ৮ররামপুর, লা:রামপুর
বাজার, কুমিল্লা। কাম্ভী হল কাইয়ুম, পিতী-কাজী জুলফিকার হােসেন, গ্রাম=চিও, খানা
চেী+agীম, কুমিল্লা। ৫। খোকায় মুশফি আহমাল, পিতা-খবির উদ্দিন খােন্দকার, গ্রাম-পাড়া,
থানা-দাউদকান্দি, কুমিল্লা। ঘুরশিপ আলম, পিতা- অলিজা মইন উনি ভূইয়া, বাউল, কুমিল্লা পৌর
এলাকা, কুমিল্লা। ৭। নূরুল ইসলাম চৌধুরী, পিতা- আবদুস সালাম চৌধুরী, এম–গোবিন্দেৰ খিল,
থানা-পটিয়া, চট্টগ্রাম। মোহাম্মদ ইলিশ, পিতা-মরহুম মাে: ইসমাইল, ৮৬ টাইগারপাস, পাহাড়তলী, থানা-ডামুরিং, চট্টগ্রাম। মুস্তাফিজুর রহমান, পিতা-হাজী মাে: হােসেন চৌধুরী, মাম দক্ষিণ রহমানগর, থানা-সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম। আন্সি মােহাম্মদ আলী, পিতা-মাে; নাহি ভাই মিয়া, মরমস, থানাজাফপুর, নােয়াখালী। খাজা আহমদ, পিতা-মরহুম আসলাম মিয়া মোক্তার, নাশপাড়া-কোয়ার্টার, থানা
ফেনি, নােয়াখালী। ১৯। নুরুল হক, পিতা আবদুল মজিদ, এম হাজীপুর, থানা-বেগমগঞ্জ, নােয়াখালী। ১৩। মােহাম্মদ ইলিঃ, পিতা-মরহুম মৌলানা ইব্রাহিম, গ্রাম-কলিকাপর, থানা-বেগম গয়া, নােয়াখালী।১০৭।
আৱো ২৯ জন এম এন এ কে হাজিরের নির্দেশ খ অঞ্চলের সামরিক শাসনকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থান থেকে নির্বাচিত আরাে ২৯ জন এম এম কে আগামী ২৪ শে ও ২৫শে
________________________________________
আগষ্ট সকাল ৮টায় নিজ নিজ এলাকা উপ-সামরিক শাসনকর্তার সম্মুখে হাজির হয়ে। তাদের বিরুদ্ধে সামরিক বিধি ও পাকিস্তান দপ্তবিধি বলে আনীত কতিপয় অভিযােগের জৰ দের নির্দেশ দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ও গত বৃহস্পতিবার খ অঞ্চলের সামরিক শাসনকর্তার সদর দফতর থেকে প্রকাশিত নােটিশে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খ অঞ্চলের সামরিক শাসনকর্তা পৃথক পৃথক নােটিশে এই এম এন এ-দিগকে নিজ নিজ এলাকার উপ-সামরিক শাসনকর্তার সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নােটিশে আছে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযােগের নিবরণ এবং যে যে ধারায় অভিযােগ। করা হয়েছে সেই ধারাগুলাের উল্লেখ ।) ১। আবদুল মমিন, পিতা-আ: আজিজ, আম-কাজিআটি, থানা-মােহনগঞ্জ,
ময়মনসিংহ। ২। আবদুল হামিদ, পিতা-তায়েবুদ্দিন হাই, এম কামালপুর, পাে: আ: নিখ
ধামপাড়া, ময়মনসিংহ। ৩। মাে: আ: হাকিম, পিতা- হাজি মাে: জয়নুদ্দিন, গ্রাম-পাথালিয়া, থানা-জামালপুর,
ময়মনসিংহ। ৪।। জিল্লুর রহমান, পিতা-মেহের আলী, গ্রাম-ভৈরবপুর, থানা-ৰৈ, ময়মনসিংহ।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, পিতা- সৈয়দ এ, রইল, গ্রাম-বীরধামপুরা, থানাকিশােরগঞ্জ, ময়মনসিংহ। মওলৰী হুমায়ুন খালিদ, পিতা-শমসের আলী, গ্রাম–দৱৰিৱ ছড়ি, থানা-খাটাইল, টস ইল। শামসুর রহমান খান, পিতা-আবদুল মালেক খান, মান-বাজনা, থানা-ঘাটাইল, টাঙ্গাইল। কে, এম, ওবায়দুর রহমান, পিতা-খান আতিকুর রহমান, গ্রাম-শঙ্করপাড়া, থানা-নগরান্দা, ফরিদপুর। মােল্লা জালাল উদ্দিন, পিতা হাতেম মােল্লা, আমড়া , থানা=গোপালগ,
ফরিদপুর। ১০। শামসুদ্দিন মােল্লা, পিতা-নুরুদ্দিন আহমদ, গ্রাম- চুমুৱদি, খানা-নগরকান্দা,
ফরিদপুর। ১১। এম, এ, গফুর, পিতা-মৃত জনাৰ আলী, ধর্মসভা ক্রস রােড, খুলনা শহর। ১২। শেখ আবদুল আজীজ, পিতা-মৃত শেখ হাফিজুদ্দিন, গ্রাম-মােহসিনাবাল, থানা
১৩।
নুরুল ইসলাম মসুর, পিতা-মৃত হেমায়েত উদ্দীন আহমদ, বগুরাবােয়া,
আবদুল মান্নান হাওলাদার, পিত্রা-হাসেম হাওলাদার, আমি–দক্ষিণ নারায়ণগঞ্জ,
থানা-বাকেরগঞ্জ, বরিশাল। ১৫। আবদুর মুৰ সেরনিয়াবাত, পিতা-আবদুল খালেক সেরনিয়াবাত, গ্রাম-রোল,
থানা-গৌরনদী, বরিশাল। ১৬। এনায়েত হােসেন খান, পিতা-আবলুল কাদের খান, শেহানাল, বাকেরগঞ্জ। ১৭। তাহেরুদ্দীন ঠাকুর, পিতা-ফিরােজ উদ্দীন ঠাকুর, গ্রাম-বড় দেওয়ানপাড়া, থানা
সরাইল, কুমিল্লা।
________________________________________
১৮। আলী আম, পিতা-মজিল ভূইয়া, মধৱী পাড়া, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, কুমিল্লা। ১৯। আবদুস সামপি, পিতা-মৃত শরিয়ত উল্লাহ, মি=ভুয়াখালী, থানা-জগন্নাথপুর,
সিলেট। ২০। আবদুর রব, পিতা-মৃত আলহাজ্জ মনােয়ার, গ্রাম– আভানিয়া, পাে; আগুড়া,
সিলেট। ২১। মুস্তফা আলী, পিজা-মৃত হাজী নাজাত আলী, শায়েস্তা নগর কোয়াটার, হবিগঞ্জ,
সিলেট। ২৯। লুঙ্কর রহমান চৌধুরী (মানিক), পিতা-আবদুল বশির চৌধুরী, গ্রাম-কাওড়া,
হবিগঞ্জ, সিলেট। ২৩। দেওয়ান ফরিল গাজী, পিতা-হামিদ গাজী, গ্রাম-কুয়াহাপাড়া, কোতয়ালী, সিলেট। ২৪। মো: ইলিয়াস, পিতা–মাে: জাহির, শ্রীমঙ্গল টাউন, পাে-শ্রীমঙ্গল, সিলেট। ২৫। ফজলুর রহমান, পিতা- জহির উদ্দিন ভূইয়া, প্রাম-তারাকান্দী, থানা-মনোহালী,
জেলা ঢাকা । ২৬। এ, কে, শামসুজ্জোহা, পিতা-ইজি ওসমান আলী, ৯১, bাষাড়া, পাে-নারায়ণ,
ল্যা==ঢাকা। ২৭। আবদুল করিম বেপারী, পিতা-মৃত হাজী ফালান বেপারী, গ্রাম- উত্তর
রামগোপালপুর, থানা-মুন্সীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা। ২৮। আবদুর রাজ্জাক ভূইয়া, পিতা–মোহাম্মদ আলী ভূইয়া, গ্রাম-কাঞ্চন হাটাবাে,
থানারূপগঞ্জ, জেলা ঢাকা। ২৯। শামসুল হক, পিতা- ওসমান গণি, গ্রামটাংরাবন্দ, থানা- কালিয়াকৈর, জেলা
সেনা কর্তৃপক্ষ একলিকে পরিষদ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযােগ উত্থাপন করে সামরিক আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, অপরদিকে পৰিষদৰ সদস্যদের পূর্ণ নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে নির্বাচক মণীর প্রতি দায়িত্ব পালনের আহবান জানায়। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ পাওয়া যায় দৈনিক পাকিস্তান” পত্রিকায় ।
“বেআইনী ঘােষিত আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত এম এন এ ও এম পি এ গণ যারা পরিষদে ব্যক্তিগতভাবে তাদের আসন বহাল রাঙ্খার সুযােগ পেয়েছেন, পূর্ব পাকিস্তান সরকার তাদের পুরোপুরিভাবে ব্রক্ষা করার নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন বলে গতকাল সােমবার এপিপির খবরে বলা হয়।
প্রাদেশিক সরকারের জনৈক মুখপাত্র গতকাল সােমবার ঢাকায় বলেন যে, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের এসব সদস্য তাদের নির্বাচনী কেন্দ্রের নির্বাচিত প্রতিনিধি বিধায় জাতি বর্তমানে যে অসুবিধাজনক সময়ের সম্মুখীন হয়েছে, তাতে নির্বাচক মণ্ডলীর প্রতি তাদের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালনে এগিয়ে আসতে তাদের দ্বিধা করা উচিৎ নয়।
উক্ত মুখপাত্র আরও বলেন যে, বিলুপ্ত আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত এম এন এ ও এমপি-পের কেসসমূহ পুঙ্খানুপু,ভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং ৮৮ ‘উনি নব নির্বাচিত এম এন এ ও ৯৪ জন নির্বাচিত এমপি এর বিরুদ্ধে আপওিকর কিছুই পাওয়া যায়নি। তাই তাদের ভতি হওয়ারও কোনই কারণ নেই এবং দায়িত্ব পালনে তাদের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।১০৯।
আগষ্ট মাসে শেষ সপ্তাহে, ঢাকার ধোলাই খাল এলাকার একটি বাড়িতে রাজাকার ও পুলিশ ফোর্স আক্রমণ চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র গোলাবারুণ উদ্ধার করে বলে জানা যায়। এসব অস্ত্রশস্ত্র ভারতীয় বলে দাবী করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে একটি ২ মর্টার, ৮টি হাতবােমা, ৩৬ টি মাইন, বেশকিছু গুলি ও ৬০ সের এক্সপ্লোসিভ ছিলাে বলে মর্ণিং নিউজ’ পত্রিকা সূত্রে জানা যায় ।১৯০
১ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসকের সদর দফতর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেয়ার ব্যাঙ্কর এক চিঠিতে লে: জেনারেল টিক্কা খান বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক নীলিমা ইব্রাহীমকে ও ইংরেজি বিভাগের ড, সিরাজুল ইসলামকে ভবিষ্যতে বিৰোধী কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়। অপরদিকে লে: জেনারেল টিক্কা খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিগের ৬, মােহামণ মনিরুজ্জামান, বাংলা উন্নয়ন বাের্থের চেয়ারম্যান ও বাংলা বিভাগের সংখ্যা অতিরিক্ত প্রভাষক ৬, এনামুল হক ও ইসলামের ইতিহাস বিগের প্রধান 6, , বি, এম, হবীবুল্লাহকে চাকুরিচ্যুত করে। ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসকের স্বাক্ষরের নিচে ১৫ সেপ্টেম্বর Wাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৈলে সাজ্জাদ হোসাইন স্বাক্ষর করেন। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অস্থায়ী প্রভাষক সৈয়ল আকরাম হোসেন-কে সামরিক আইন প্রশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬ জুন ১৯৭১ থেকে সাময়িকালে বরখাস্ত করা হয়। বন্যস্থান্তের এ চিঠিতে স্বাক্ষর দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় রোট্টার নুরুদ্দিন আহমদ।
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই ঢাকার সামরিক আইন প্রশাসকের সদর দফতর থেকে জাৰ্থীক নির্দেশে বেশ কয়েকজন অধ্যাপক ও সরকারী কর্মকর্তাকে সেনা দফতরে। হাজির হওয়ার জন্য বলা হলাে। এ প্রসঙ্গে পত্রিকায় প্রশশিত প্রতিবেদনে জানা যায় :
শ, অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল টিক্কা খান গতকাল বুধবার এক ইশতেহারে পাঁচ ব্যক্তিকে তাদের সকলের নিরুদ্ধে ২৫ন, সামরিক আইন বিধি ও সেই সঙ্গে পঠিতব্য খ, সামরিক আইন অঞ্চলের ১২০ নম্বর নির্দেশ অনুযায়ী ৮ই সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় ঢাকা এম পি হােস্টেলে ছয় নম্বর সেক্টরের সাব মার্শাল ‘ল” এডমিনিট্রটরের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মিলিখিত ব্যক্তিদের হর হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে; ১। মােজাফফর আহমদ চৌধুরী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২। আবদুর রাজাক, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । ৩। সারওয়ার মুর্শেদ, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । ৪। মাজাহারুল ইসলাম, বাংলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় । ৫। আবু জাফর শামসুদ্দিন, বাংলা একাডেমী।
এরী হাজির হতে ব্যর্থ হলে ৪০ নগর সামরিক আইন বিধি অনুয়ায়ী এদের অনুপস্থিতিতে এদের বিচার করা হবে।
য, অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল টিকা আনি গতকাল এক পৃথক ইশতেহারে ১৩ জন অফিসারকে ওদের সকলেৱ বিৰা-ছে ২৫ নং সামরিক আইন বিধি ও সেই সঙ্গে পঠিতব্য ও সামরিক আইন অঞ্চলের ১২০ নম্বর নির্দেশ অনুযায়ী ৮ই সেপ্টেম্বর
________________________________________
সকাল ৮টায় ঢাকার এম পি , হােষ্টেলে ছয় নম্বর সেক্টরের সাব মার্শাল “ল” এডমিনিস্ট্রেটরের কাছে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত ১৩ জন অফিসার হচ্ছেন : ১। খােন্দকার আসাদুজ্জামান, সি এস পি, জয়েন্ট সেক্রেটারী, অর্থ বিভাগ, টাকা। ২। এইচ, টি, ইমাম, সি এস পি, ডিসি, পার্বত্য চায়। ৩। জনাব আবলুস ছামাল, সি এস লি, ডিসি, সিলেট। ৪। জনাব মােহাম্মদ এন কিট খান, সি এস পি, ডিসি, পাবনা। ৫। সৈয়দ আবদুস সামাদ, সি এস পি, পুনর্বাসন অফিস, পার্বত্য চট্টগ্রাম। ৬। কুদরত এলাহী চৌধুরী, সি এস পি, অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার, রাজশাহী। ৭। মােহাম্মদ পূরশেদুজ্জামান চৌধুরী, সি এস পি, এসডিও, কিশােরগঞ্জ। ৮। কাজী ব্রাকুবদিন, সি এস পি, এসডিও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।। ১। ওয়ালিউল ইসলাম, সি এস পি, এসজিও, মাগুরা। ১০। আকবর আলী খান, সি এস পি, এসডিও, হবিগঞ্জ। ১১। কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সি এস পি, এসডিও, নড়াইল ।। ১২। মােহাম্মদ তৌফিক এলাহী চৌধুরী, সি এস পি, এসভিও, মেহেরপুর । ১৩। সাদাত হােসেন সি এস পি, এসিষ্ট্যান্ট কমিশনার, যশাের।
| এরা হাজির হতে ব্যর্থ হলে এদের অনুপস্থিতিতে ৪০ নম্বর সামরিক আইন বিধি অনুযায়ী এদের বিচার করা হবে।’১১১
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই “খ” অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে; জেনারেল টিক্কা খান ৪৮ জন এম, পি, এ-র বিরুদ্ধে গণহত্যা, অগ্নি সংযোগ, রাষ্ট্রিদ্রোহীতা ইতালি অভিযোগ উথাপন করে কাদেরকে কি কতপক্ষের নিকট ৮ সেপ্টেম্বর হাজির হবার নির্দেশ ভারী কালাে। দৈনিক পাকিস্তান’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হলাে :
| “খ” অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লেঃ জেনারেল টিক্কা খান অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগের ৪৮ জন নবনির্বাচিত এমপিকে সামরিক আইন বিধি ও পাকিস্তান দম্প্রবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কতিপয় অভিযােগের জবাব দানের জন্য ৮ই সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় দুই নম্বর সেক্টরের (নাটোর) সাৰ-মার্শিাল ল এডমিনিস্ট্রেটজের কাছে হাজির। হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
| এপিপি পরিবেশিত এই অবরে প্রকাশ, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রদোহীতা, গণহত্যা, অগ্নিসংযােগ । উক্ত নির্দেশ অনুযায়ী তারা হাজির হতে ব্যর্থ হলে ৪০ নম্বর সামরিক আইন বিধি মােতাবেক তাদের বিচার করা হবে। এম পি-দের নাম ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযােগ নিচে দেয়া হলাে :
১। আবদুর রহমান চৌধুরী, পিতা- রেশম উদ্দিন চৌধুরী, গ্রাম-নীলফামারী, ডাকঘর ও থানা-নীলফামারী, জেলা-রংপুর।
ক) ১৬ (ক) সামরিক আইন ৰিধি এবং, ৩০২/১০৯ পাকিস্তান সবিসি ।। খ) রাষ্ট্রদ্রোহীতা – পাকিস্তান দণ্ডবিধি ১২৪ (ক)। খ) সামরিক বিধি ।।
২। আজহারুল ইসলাম, বি, এ, পিতা-মফেল উদ্দিন মিয়া, গ্রাম-উত্তর বড়ছিটা, ডাকঘর-উত্তয় বড়ভিটা, থানা-কিশােরগঞ্জ, জেলা-রংপুর।
ক) সামরিক আইন বিধি ১৬(ক), পাকিস্তান দম্প্রবিধি ৩০২/১০৯। খ) রাষ্ট্রদ্রোহীতা- পাকিস্তান দণ্ডবিধির ১২৪ (ক)।
গ) বিরোধী তৎপরতায় বিদ্রোহী ই পি আর কর্মচারীদের সহায়তা দান ও পৰিচালনা সামরিক আইন বিলি , ঐ ১৬ (ক)।
৩। ডা: জিকরুল হক, পিতা-জিয়ার উল্লাহ আহমদ, নতুন বাৰু পাড়া, ডাকঘর ও থানা-সৈয়দপুর, জেলা-রংপুর।
ক) সামরিক আইন বিধি ৯ ও ১৬ (ক) এবং পাকিস্তান দগুনিধি ১০৯/৩০২। খ) রাষ্ট্রদ্রোহীত-পাকিস্তান দণ্ডবিধি ১২৪(ক)।
গ) রাষ্ট্রবিরােধী তৎপরতায় ই, পি, আর কর্মচারীদের সহায়তা ও সাহাষাদানসামরিক বিধি ৭ ও ১৫ (ক)।
৪। আকিল আলী, পিতা- শিৱদ্দিন, খাম –যুণগঞ্জ, ডাকঘর ও থানা পাটগ্রাম, জেলা-রংপুর।
ক) রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় বিলােহা ই, পি, আর কর্মচারীদের সাহায্যপান-৭ নম্বর সামরিক আইন বিধি ।
খ) সৈন্যদের চলাচলে বাধাদানের জন্য তার এলাকায় কালভাট ও ননসমূহের ইংসায়ে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ ও সংগঠন-১৪ নম্বর সামরিক আইন বিধি।
গ) সামরিক আইন বিধি ৯/৫, পাকিস্তান দণ্ডবিধি ৩০২/১০৯। ঘ) রাষ্ট্রবিরােধী তৎপরতা – সামরিক আইন বিধি ১৪(ক)।
৫। কলিম উদ্দিন আহম্মদ, পিতা- মরহুম জসিমুদ্দিন আহমশ, আম-কাশিরাম, ডাকঘর-করিমপুর, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-রংপুর।
ক) পাকিস্তান দণ্ডবিধি ৩০২/১০৯।
খ) সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে এইকাপ বিদ্রোহী বাহিনী সংগঠনে সক্রিয়ভাবে অংগ্রহণ-সামরিক আইন পণ্ডবিধি ৭।
৬। এলাহী বক্স সরকার, পিতা- হাজী জহর উদ্দিন সরার, গ্রাম–সায়ের, থানা= বদরগঞ্জ সদর, জেলা-রংপুৱ।।
ক) পাকিস্তান নবধ ৩০২/১০৯। খ) রাষ্ট্রদ্রোহীতা-পাকিস্তান সন্তবিধি ১২৪ (ক) ও সামরিক আইন দণ্ডবিধি ১৬ (ক)।
৭। মাে: সিদ্দিক হােসেন, পিতা- খয়ের উদ্দিন, মৌজা- বখতাৱপুর, থানাকোতয়ালী, জেলা-রংপুর।
ক) সামরিক বিধি ১৬ (ক) সামরিক আইন বিধি ৯।
খ) রাষ্ট্রবিরােধী ভধপবতায় অংশহণের জন্য গ্রামগুলােতে সংগ্রাম পরিষদ সংগঠনসামরিক আইন বিধি ১৬ (ক)।
গ) ১৯৭১ সালের ২৮শে মার্চ রংপুর ক্যান্টনমেন্টে হামলার সংগঠন ও নেতৃত্বদান = সামরিক আইন বিধি ১৫ (ক)।
৮। মাে: গাঞ্জা রহমান, পিতা-গনী সরকার, মমি-পীরগঞ্জ, ডাকঘণয় ও থানাপীরগঞ্জ, জেলা-রংপুর।
________________________________________
ক) পীরগঞ্জ থানা অস্ত্রাগার লুট এবং লুট কৱা অস্ত্র ভিকারীদের মধ্যে বন্টনের জন্য দাৰী সামরিক আইন বিধি ৯ ও ১% (ক)।
খ) রাষ্ট্রদ্রোহীতা= পাকিস্তান দূতাবাথ ১২৪ (ক)।
গ) ১৯৭১ সালের ২৮শে মার্চ, বরংপুর ক্যান্টনমেন্টের হামলার সংগঠন ও পরিচালনা সামরিক আইন বিধি ১%(ক)।
খ) সামরিক আইন বিবি ৯।
১৯। মাে: সামসুল হক চৌধুরী, পিতা–কাজী শরফুদ্দিন চৌধুরী, গ্রাম- চরবানিয়া, থানাতুঙ্গামারী, জেলা-রংপুর।
ক) সামরিক আইন বিধি ১৬ (ক) ৪১। খ) রাষ্ট্রদোহীতা – পাকিস্তান দণ্ডবিধি ১২৪ (ক)। গ) পাণিপ্তান দৰিধি ৩০২/১০৯। ঘ) সামরিক আইন বিধি ১৬ (ক)।
১০। আবদুল হাকিম, বি, এড, পিতা- মফিজউদ্দিন শেখ, গ্রাম-রসনাবাদ (নাগেশ্বৰী), জেলা-রংপুর।
ক) তার নিজের এলাকায় বিদ্রোহী দল সংগঠন ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করা এবং এভাবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা-পাকিস্তান দাৰাৰ ১২১/১০৯।
খ) সামরিক আইন বিধি ১৬(ক)ঞ্জ। গ) রাষ্ট্রদ্রোহীতা = পাকিস্তান দণ্ডবিধি ১২৪ (ক)। ঘ) সামরিক আইন নিধি ১৬ (ক)।
১১। আবুল হােসেন, পিতা- কসিম উদ্দিন মজল, আমি স্যাতনা, থানা লালমনিরহটি, জেলা রংপুর।
ক) সামরিক আইন বিধি ১৫ (ক) ও পাকিস্তান বিধি – ১০৯/৩০২। ঘ) সামরিক আইন বিধি-৯।
১২। আবদুল্লাহ, সােহরাওয়ার্দী, পিতা-আহমদ হোসেন মণ্ডল, গ্রাম-চাকি পাশের ভালুক (উলিপুর), জেলা-ংপুর।
ক) গ্রামে গ্রামে বিদ্রোহী দল সংগঠন ও পরিশেষে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধসামরিক আইন বিধি ১৬ (ক) ও সামরিক আইন বিধি ৭।
খ) সামরিক আইন বিধি ১ ও ৫।
১৩। নূরুল ইসলাম, পিতা-নায়েৰ উন্না, রেীমারী ইউনিয়ন কাউন্সিল, জেলারংপুর।
ক) পাকিস্তান দণ্ডবিধি ৩০৯। খ) রাষ্ট্রদ্রোহীতা -পাকিস্তান দণ্ডবিধি ১২:৪ (ক)। গ) সামরিক বিধি ১৬ (ক)।
উপর্যক্ত একই প্রকৃতির অভিযােগে অভিযুক্ত অপর এম, পি-গণ হলেন রংপুরের এম, এ, ভালেৰ মিয়া, মােঃ ওয়ালিউর রহমান, আজিজুর রহমান, দিনাজপুরের কমরউদ্দীন আহমদ, সিরাজুল ইসলাম, মাে: ফজলুল করিম, মাে: গােলাম রহমান, এস. এম.
________________________________________
ইউসুফ, এম, আবদুর রহিম, মাে: আহিবুর রহমান, সদর মােশাররফ হােসেন, বউভার সানুর রহমান, কাজিম উদ্দিন আহমদ, রাজশাহীর : মঈনুদ্দীন আহমদ, বগুড়ার মাে: ডাঃ গােলাম সরওয়ার, মোজাফফর হোসেন, হাছেন আলী সরকার, মাে: মাহমুদুল হাসান খান, রাজশাহীর এম. এ. হামিদুর রহমান, এ, ঐ, এম, মেসবাহুল হক, মাে: ‘ছা: বশিরুল হক, ইমাজউদ্দীন প্রামাণিক, গিয়াসউদ্দীন সরদার, মােঃ আজিজুল হক খান, রিয়াজ উদ্দীন আহমদ, আবদুল হাদী, সরদার আমজাদ হােসেন,
ডা: মাে: আলাউদ্দীন এবং রাজশাহী জেলার নাটোরের শ্রী শংকর গােবিন্দ চৌধুরী। এই তালিকায় অবশিষ্টরা হলেন :
৪৩। ‘আশরাফুল মিয়া, পিতা-গসিউরাহ, গ্রাম-তাজপুর, থানা-সিংড়া, জেলা
ক) পাকিস্তান দম্পৰিধির ৩০২ ধারা। খ) এম, এল, আর ৭ ও ৯। প) রাষ্ট্রবিরােধী কার্যকলাপ এম এল আর ১৬ (ক)।
৪৪। মােহাম্মল মনসুর আলী, পিতা-মরহুম হরফ আলী সরকার, গ্রাম- ভগবপুর, লেঃ ওঁ হৈ-পাবনা।
ক) ১৯৭১ সালের মার্চ-এপ্রিলে বিদ্রোহী দুস্কৃতিকারীদের প্রধান সংগঠক হিসেবে কাজ করা- এম এল আর ১৪ (ক) ও
গ) রাষ্ট্রদ্রোহীতা – ১২৪ (ক)।
৪৫। সৈয়দ হায়দার আলী, পিতা-সৈয়দ আকবর আলী, গ্রাম-আল মাহমুদ এভিনিউ, পাে-সিরাজগঞ্জ, জেলা-পাবনা।
ক) এম এল আর ১/2 ও পিপিসি ৩০২/১০৯।
খ) পুলিশ, আনসার ও ইপিআর কর্মচারীদের উত্তেজিত করা ও একটি বিদ্রোহী বাহিনী সংগঠন কৱে উল্লাপাড়া থেকে নাবাড়ি ঘাটের দিকে আগত পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে তাদের লেলিয়ে দেয়া এম এল আর ৭ ও ১।
৪৬। রওশানুল হক, পিতা ওকেল হক, গ্রাম কল্পদিয়া, পাে: পাঙ্গাসি, জেলা পাবনা। ক) এম এল আর ৭ ও ১৫।
খ) বগুড়র কাছে আবিমােহনে অস্ত্র ও গােলাবারুদ লুট ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য সেগুলিকে দুষ্কৃতিকারীদেরকে সরবরাহ এম এল আর ৯ ও ১২/৫।
গ) রাষ্ট্রদ্রোহীতা-পিপিসি ১২৪ (ক)।
৪৭। গোলাম হাসনাইন, পিতা-আলহাজ আবদুল হামিদ, মাম ও পোঃ-উল্লাপাড়া, জেলা-পাবনা।
ক) সিপিসি ৩০২/১০৯।
খ) ৭১ সালের ২৭-২৮শে মার্চ সেনাবাহিনীর একটি কম্পানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিদ্রোহ ও দুস্কৃতিকারীদের পক্ষে অংশ গ্রহণ-এম এল আর ১২ ।।
গ) এম এল অর ৯ ও ১৬(ক)। ম) এম এল আর ১৪ ও ১৬(ক)।
________________________________________
৪৮। আবদুর রহমান, পিতা-মােহাম্মদ ওয়াহেদ আলী, মনিরামপুর গােলা, শাহজলিপুর, জেলা-পাবনা।
ক) এম, এল আর ৯ ও ১৫(ক)।
খ) ‘৭১ সালের ২৭-২৮শে মার্চ বিদ্রোহী ও দুস্কৃতিকারীদের সাথে মিলিত হয়ে সেনাবাহিনীর একটি কম্পানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ-এম এল আর ১২।
গ) রাষ্ট্রদ্রোহিতা-পিপিসি ১২৪(ক) ১১২
সামরিক সরকার আরো ১৪৫ জন এম পি এ- কে সামরিক আদালতে হাজির হয় নির্দেশ দিলাে। এই নির্দেশে নির্বাচিত সদসালের ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টায় ‘স্ব স্ব এলাকার সামরিক উপ-শাসনকর্তার নিকট হাজির হওয়ার জন্য বলা হলাে। দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে এ সম্পর্কে বলা হলাে :
“গতকাল বৃহস্পতিবার “খ” অঞ্চলের সামরিক শাসনকর্তার সদর দফতর থেকে জারীকৃত এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় আরও ১৪৫ জন প্রাদেশিক পরিষদের সদসাকে তাদের বিরুদ্ধে সামৱিক নিধি ও পাকিস্তান দণ্ডবিধি অনুযায়ী। আনীত কতিপয় অভিযােগের জবাব দেয়ার জন্য ৯ই সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় তাদেরকে স্ব স্ব এলাকার সামরিক উপ-শাসনকর্তার নিকট হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তাঁদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযােগের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহীতা, অগ্রগার লুণ্ঠন, সূতিকারীদের মধ্যে অননুমােদিত অস্ত্র বিতরণ, ভায়াত থেকে অস্ত্র চোরাচালান এবং রাষ্ট্রবিরোধী ব্যক্তিদের ট্রেনিং এমান। স্বামি তান্না নির্দেশ মত হাজির হতে ব্যর্থ হয়। তাহলে। Ea নৱ সামরিক বিধি অনুযায়ী তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে গতকাল ৪৮ জন এমপি এ কে আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় ২ নম্বর সেক্টরের নাটোর উপ-সামরিক শাসনকর্তার সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজকের তালিকা প্রকাশের পর সামরিক বিধি ও পাকিস্তান পাবধি। অনুযায়ী অভিযুক্ত এমপিএ-র সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৩ জন। নি৮ে ১৪৫ জন এমপির নাম এবং তঁাদেরকে যে সমস্ত সামরিক বিধি ও পাকিস্তান দগুলিৰি যে সমস্ত ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত করা হয়েছে, তার বিবরণ দেয়া হলাে ।
| এই বিবরণে সেক্টর-১ টাকায় উপ-সামরিক শাসনার সামনে ||Wর হওয়ার। নির্দেশের তালিকায় নাম পাওয়া যায় ৬০ জন অভিযুক্ত এম পি-র। সেক্টর = ২ নাটোরে উপ-সামরিক শাসনকর্তার সামনে হাজির হতে বলা হলাে ২ জন এমপি-কে, সেক্টর-৩ যশােরে উপসামরিক শাসনকর্তার দফতরে হাজির হতে বলা হলাে ৪৮ জন এমি, পিএকে: সেক্টর-৪ চট্টগ্রাম উপ-সামরিক শাসন কার সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশের তলক্ষা নাম পাওয়া ১৬ জন এমপিdi+ এবং, সেক্টর-৬ ঢাকাতে ১৯ জন এমপি-কে হাজির হতে বলা হলাে, উপ-সামরিক শাসন কর্তার কাছে।১১৩
এ দিকে সেপ্টেম্বর মাসেই বেশ কিছু ই.পি.সি,এস, অফিসারকে সামরিক বিধিমালায় অভিযুক্ত করে তাদেরকে সামরিক শাসনকর্তার কাছে হাজির হওয়ার নির্দেশ না করা হলাে। এ সম্পর্কে পত্রিকার প্রতিবেদনে উwেখ করা হলাে:
‘খ’ অঞ্চলের সামরিক শাসনকর্তা ৪৪ জন ই, পি, সি, এস, অফিসারকে এম এল আর ২৫/w” অঞ্চলের সামরিক আইমের ১২০ নম্বর আদেশের অধীনে তাদের বিরুদ্ধে
________________________________________
০
আনীত অভিযোেগসমূহে জনাব পানের জন্য আগামী ১৮ই ও ৯ই সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় ৬ নম্বর সেক্টরের উপ-সামরিক প্রশাসকের কাছে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ মোতাবেক হাজির হতে ব্যর্থ হলে ৪০ নম্বর সামরিক বিধির অধীনে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার করা হবে।
নিম্নোক্ত ৩৩ জন ই, পি, সি, এস, অফিসারনে ৮ই সেপ্টেম্বর ঢাকা এম পি এ হােস্টেলে এস এম এল এ-র সামনে হাজির হতে হবে। ১। মো: আলতাব হোসেন খান, ইপিসিএস, পিতা-আশরাফ আলী খান, গ্রাম
| চকমােহনবাড়ি, পাে-বাগবাটি, জেলা-পাবনা। ২। তিলাল চক্রবর্তী, ইপিসিএস, পিতা-রাধা শ্যাম, গামতলা, পাে
রহমগঞ্জ, হেলা-ফরিদপুর। ৩। আলতাব হােসেন, ইপিসিএস, পিতা- মরম মেী; উমির উদ্দিন সরকার, এমি ও
পে-কমজোরি, জেলা-রংপুর। এ, কিউ, এম, কামরুল হুলা, ইপিসিএস, পিতা-মরহুম মো: ইশহাক উদ্দীন, ৩৬, জেল রোড, ময়মনসিংহ। মো: আবদুল মতিন সরকার, ইপিসিএস, পিতা- মরহুম সোলায়মান সরকার,
গ্রাম-কৃষ্ণপুর, পাে-তুলসীঘাট, থানা-পলাশবাড়ি, রংপুর । 9। হেলাল উদ্দীন খান, ইপিসিএস, পিতা- মরহুম মো: আমৰ উজনি খান, খাম=
ফুলবাড়ীয়া, পাে-জিন, জেলা ময়মনসিংহ। মাে: আবদুল লতিফ, ইপিসি এস, পিতা-মরহুম মৌ: মাে আবদুর রশীদ, এম = হরিশংকরপুর, পাে-পিরিজপুর, রাজশাহী। আবদুল হালিম, ইপিসিএস, পিতা-মােঃ দরবেশ আলী মিয়া, গ্রাম-কাশিবাড়ি, পােদটাইল, জেলা-টাঙ্গাইল। জিয়াউদ্দিন আহমদ, ইপিসিএস, পিতা- এ, এস, এম, মজহারুল হক, গ্রাম-শ্রাণী।
নার, লাে=মধ্যনগর, থানী=রপুরা, জেলা=Uন্সি। ১০। ক্ষিতিশ চন্দ্র কু, ইপিসিএস, পিতা- অন্নদাচরণ কুর, অমিত্রীফলতলা, পাে
রামপাল, থানা-রামপাল, খুলনা। জাঞ্চী লুৎফুল হক, ইপিসিএস, পিতা- কাজী আজহার উদ্দিীন আহমদ, গম ও
পাে-ষােলঘর, থানা-শ্রীনলয়, জেলাচাকা। ১২। মাখন চন্দ্র মানি, ইপিসিএস, পিতা-মৃত শশীমােহন মাঝি, গ্রাম-ফুলবাড়ী, পাে
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, কুমিল্লা। ১৩। মাে: মিজানুর রহমান, ইপিসিএস, পিতা-আবদুর রহমান, গ্রাম-আলমপুর, উপ
রাত্রদলঞ্জ, নােয়াদ্বিাণী। ১৪। আবদুল কাদের মুন্সী, ইপিসিএস, পিতা- মরহুম আজিহার ইয়াকুব আলী মুন্সী,
মি-খন্তাকাটা, পাে-শরণখােলা, খুলনা। ১৫। নিজেন্দ্ৰ নাথ ব্যাপারী, ইপিসিএস, পিতা- দীনবন্ধু ব্যপারী, গ্রাম- ছােট হাজারী,
পাে-মীরখালী, বাকেরগঞ্জ। ১৬। মানিক লালা সমদ্দিার, ইপিসিএস, পিতা–অমৃত লাল সমাদ্দার, গার্লস স্কুল রােড,
পাে–মাদারীপুর, ফরিদপুর।
২
৮
|
________________________________________
আফতাবুলীন, ইপিসিএস, পিতা-জীমুল আলী, সাগর নলটি এষ্টেট, পাে
সাগরনাল, থানা- কুলাউড়া, সিলেট। ১৮। কাসামন্দ মােহন দাস, ইপিসিএস, পিতা-মৃত কিলোল দাস, মম-সাটল পুর,
পেরেসা দাউদপুর, সিলেট। ১৯। অমিয়াংক সেন, ইপিসিএস, পিতা-অমৃত চরণ সেন, মম-নরমল টি ষ্টেট,
পো-বারাসাত, সিলেট। ২০। মােহাম্মদ ইসহাক, ইপিসিএম, পিতা-মরহুম বশির উদ্দিন, গ্রাম, পাে: ও থানা –
২১। মো: আনাদুল আলী, ইপিসিএস, পিতা-মােঃ হেল্প মিফ, এম,বালিয়াকাশী
পাে-উনিশী, ফরিলপুর। ২২। এ, কে, এম, কল আমীন, ইপিসিএস, পিতা-মো: আবদুল লতিফ, গ্রাম
সাউথ বালিয়া, পাে-গােবিন্দিয়া, থানা-চাদপুর, কুমিল্লা। ২৩। ইয়াকুব শরীফ, ইপিসিএস, পিতা-মরহুম মুন্সী ইয়াসিন হাওলাদার, এম=
বাগদিয়া, পাে-কলসকাটি, বাখরগঞ্জ। ২৪। চিত্তরঞ্জন চাকমা, ইপিসি এস, পিতা-মেগঞ্জ পল পরবাড়ি, এম-খুদা, লাে
বাবুছড়া বাজার, থানা-হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। ২৫। প্রাণী বন পাস, ইপিসিএস, পিতা- যোগেন্দ্র লাল দাসখাম – ধলাই, পাে
কাটিরহাট, থানা-হাটহাজারী, চট্টগ্রাম । ২৬। নর গম সাহা, ইপিসিএস, পিতা- ‘কারক ৮ শাহ, গ্রাম, পাে: ও থানী=
উজিরপুর, বরিশাল। ২৭। অমরেন্দু মজুদার, ইপিসিএস, পিতা-মৃত তরুণী কুমার, গ্রাম-চর আমানুল্লাহ,
পাে–দাসেরহাটি, থানা-হাতিয়া, নােয়াখালী। ২৮। গােলাম আকবর, ইপিসিএস, পিতা-মরহুম মো: আনােয়ারুল হক, ৩৪, পিটার
রাে, থানপুর, পাে-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা। ২৯। বিবেকানন্দ মজুমদার, ইপিসিএস, পিতা-জাও মজুমদার, মিঠাখালী, পো
মঠবাড়িয়া, বরিশাল। ৩০। দীপক কুমার সাহা, ইপিসিএস, পিতা–মনােমােহন সাহা, গ্রাম-সাতবাড়িয়া, পাে:
ও থানা-সাবাড়িয়া, পাবনা। ৩১। সুবীর কুমার ৬াচা, ইপিসিএস, পিতা-সুধীর চন্দ, মমি ও পো-বাখি, থানা
গৌরনদী, বরিশাল। ৩২। অনিলচন্দ্র সিংহ, ইপিসিএস, পিতা-মৃত উমেশ চন্দ্র সিংহ, মাম-করিয়াবাসা,
পাে-মুন্সীরহাট, থানা-হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ। ৩৩। আবদুল লতিফ ভূঁইয়া, ইপিসিএস, পিতা-মম উমর আলী ভুইয়া, গ্রাম
মনােহরপুর, থানা-ফুয়া, পাে= আভা, কুমিল্লা। নিম্নলিখিত অবশিষ্ট ১১ জন ইপিসিএস অফিসাৱৰুে আগাৰ্মী ৯ই সেপ্টেম্বর এস এম এল এএমপি হােষ্টেলে সিক্টর ৬ নম্বর – এ জ|| হ্য, হবে;
________________________________________
১। এইচ, এম, আবদুল হাই, ইপিসিএস, (৩৪৩), অব রাজশাহী। ২। মােহাম্মদ আমানত উল্লাহ, ইপিসিএস, (১৮৮), অব ঢাকা। ৩। রিয়াজুর রহমান, ইপিসিএস, (৩০২), অব মালদহ (পশ্চিমবঙ্গ)। ৪। এ, এফ, এম, রমিজ উদ্দীন, ইপিসিএস, (২০৮) অব ঢাকা। ৫। জ্যোতি বিনোদ দাস, ইপিসিএস, (৪০৪) অব নােয়াখালী। ৬। আজিজুর রহমান, ইপিসিএস, (৬৫) গ্রাম লক্ষ্মীপুর, পাে: ও জেলা রাজশাহী। ৭। বিভূতি ভূষণ বিশ্বাস, ইপিসিএল, (১৯৯) অব ফরিদপুর। ৮। জিতেন্দ্রলাল দাস ইপিসিএস, (৩৮৩) অব সিলেট। ৯। খান আমীর আলী, ইপিসিএস, (৬১৪) গ্রাম মাটিভাঙ্গা, বরিশাল। ১০। যােগেশ চন্দ্র ভোমিক, ইপিসিএস, (২১৫); ১১/১ শেখ হবে বাজার, ঢাকা- ২
(হেমিছিদ্রির-কুমিল্লা)।। ১১। জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইপিসিএস, (১৪৪) অব ঢাকা ৫৯১৪
৩ সেপ্টেহ্মর ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক হিসাবে লে: জেনারেল এ. এ. কে, নিয়াজ্ঞী দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সংবাদে বলা হলাে :
“পূর্বাঞ্চলীয় কমালের কমান্তাব লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ, এ, কে, নিয়াজী একাল শুক্রবার যা অলর সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
এপিপি পরিবেশিত এই খবরে আত্মো বলা হয়েছে যে, মেজর জেনারেল রহিম খান গতকাল ‘খ’ অঞ্চলে সহকারী সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। | এ দিকে দিনাজপুরের সামরিক আইন প্রশাসক ৮ সেপ্টেম্বর জনসাধারণের গতিবিধি, সান্ধ্য আইন ও নলাম শান্ত এক আদেশ জাতী কর। আদেশে বলা হলাে :
(১) সৰ্বসাধাৰণর অবগতির জন্য জানান যাইতেছে যে তাহারা বাহির হইতে দিনাজপুর টাউনে আসিতেছেন তাহাৱা যেন জেলা শান্তি কমিটির নিকট তাহাদেৱ আগমনের কথা রিপোর্ট করেন। | (২) আগামী ৯ই সেপ্টেম্বর সকাল ১০-৩০ মিনিটে নিমলিখিত্ত জিনিসগুলি অষ্ট্রেলেশিয়া গানের সম্মুখে অস্থত ১ন, রিলিফ গােল্লাউনের সম্মুখে প্রকাশ্যে নিলামে বিশ্রয় হইবে। | সুপারি, বাশ ও রং, হাইড্রো-সালফাইড, চিনা পাউডার, প্যাকিং কাগ, পড়ি, পাথর, নানা প্রকার জুতা, বস্কা, খালি বাক্স, ফ্যান বেল্ট, ঝুড়ি, সাইকেলের মার্ডগার্ড, কড়াই, ২৫ সের ওজন করার লাঘর, এক ৱেল সি, আই, সিট, পলিথিন পেপার, সাম, হেলের খালি টীন, লেমন ক্রোম, হজ, উডেন প্রেস্ক।।
(৩) পরিত্যক্ষ বাড়িঘর ইতালি সম্পত্তি বিধবাদের নিকট বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য বিধবাদের নিকট হইতে দরখাস্ত চাওয়া যাইতেছে।
| সবুর রংয়ের দরখাস্তের ফরম আনজুমানে মােহাজেরিনের অফিস ও টাউন হলে। নিকট অবস্থিত শান্তি কমিটির অফিসে পাওয়া যাইবে। শান্তি কমিটি ও রিলিফ কমিটির
________________________________________
মেম্বারকে এবং সমস্ত সমাজকর্মীকে বিধবাদের উক্ত ফরম পূরণ করতে সাহায্য করার জন্য অনুরােধ করা যাইতেছে। ফরম পূরণ করিয়া আগামী ১০ই সেপটেম্বরে মধ্যে ডি, সি, সাহেবের অফিসের দাখিল করিতে হইবে।
(৪) প্রত্যহ রাত ১১টা হইতে সকাল ৪টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকিবে।”১১৬
৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বিভাগের জনৈক উপ সচিব স্বাক্ষরিত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র অনুপস্থিতি সংক্রান্ত একটি সার্কুলার পাওয়া যায় স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্রে। চিঠিতে বলা হয়:
Government of East Pakistan Education Department. Dacca.
Dated the 7th September 1971 M০ 0/10-13/71 BA)-Eain
CIRCULAR Sub: Attendance in schools, colleges, Universities etc.
It has come to the notice of Government that apart from the circulation of baseless rumours by anti-state elements, some teachers are directly or indirectly discouraging students from attending the classes, in certain cases the conduct of the start of the educational Institution is a major factor for low attendance. The heads of Institutions should ensure that all the members of stall under them perform their duties properly and loyally. They should also see to it that the teachers positively encourage that students to attend classes and create confidence in them and also explain to them that the rumourongers Te no end of the wind they should attend their class in their own interest
2. It has also been observed that various sorts of posters dinding the students and teachers to attend classes are pasted on the walls of the Institutions by anti-state elements. This also happens with the convaince of the staff of the institution. The heads of the Institutions should be directed to ensure that the instituiton premises are not used for sticking or pasting posters of any kind. They should also be asked to take steps to issue Identity Cards to students with their photographs pasted there in so that there can be produced in case of necessity)
Sd/-Illegible.
7.9.147।
Deputy Secretary ‘খ’ অঞ্চলের নব নিযুক্ত সামরিক আইন প্রশাসক ৮ সেপ্টেম্বর উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল সফরকালে এ অঞ্চলের মানুষকে বললেন চালিয়ে নেওয়া হলে আক্রমণকারীর মতেই
________________________________________
যুদ্ধ হবে।’ এ সফর বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায়।
*এপিপির এক খবরে প্রকাশ, ইষ্টার্ণ কমাগুৈর কমাজার ও ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল , এ, কে, নিয়াজী গতকাল বুধবার দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে সফরকালে জনগাের প্রতি এই মর্মে আশ্বাস দেন যে, আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হলে আক্রমণকারীর ভূখণ্ডে যুদ্ধ করার মতাে যথেষ্ট শক্তি পূর্ব পাকিন্তানে অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনীর নায়েছে।
তিনি জনগণের প্রতি প্রদেশ থেকে জানা তায় উনা ও রাষ্ট্রবিরােধী ব্যক্তিদের খাতে দেশপ্রেমিক হিসেবে তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখার উপদেশ দেন। জেনারেল নিয়াজী এক দিনের জন্যে পাবনা, রাজশাহী ও বগুড়া জেলা সফর করেন। সব কালে কি, ও, সি তার সাথে ছিলেন।
জেনারেল নিয়াজী সেনাবাহিনীর একখানি হেলিকপ্টারে সফর করেন। প্রথমে তিনি নাইটারে অবতরণ করেন। স্থানীয় বাজার তাকে জানান যে, সদা জাগ্রত সৈখাৱা আক্রমণের সলনার সকল পথ বন্ধ করে গিয়েছে এবং এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
| হাৰীয় কম্যাস্তার জানান যে, কিছুসংখ্যক ভারতীয় চন মাঝে মাঝে পাট চলাচল ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু রাজাকার ও স্থানীয় জনসাধারণ তাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে নিয়েছে। স্থানীয় কম্যাপরে আত্রে জানান যে, ভারতীয় বেরা, কয়েকবার পাটের চোরাচালান করে ভারতে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। কিন্তু তা ব্যর্থ করে দেয়া হয়। মহাদেবপুরে (রাজশাহী) জে; শিয়ায় শিক্ষারত রাজাকারদের দেখেন। | তিনি তাদের গুলি চালনা অনুশীলনও পর্যবেক্ষণ করেন। একই এলাকায় তিনি স্বাভাবি নংরত সৈন্যদেরও দেলেন। মহাসেনপুর থেকে জেনারেল নিয়াজী ও ও জেলার সীমান্ত এলাকায় যান। সেখানে তিনি প্রতিরক্ষায় নিয়ােজিত সৈন্যদের পরিদর্শন ককেন। তিনি কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করার নির্দেশ দেন, যাতে দুশমনেরা কোন রকম সুযােগ নিয়ে না পারে।
সীমান্ত এলাকায় একটি &ীপে সফর করার সময় তিনি জনসাধারণকে কােথায় সাম্প্রতিক কার্যায় ক্ষতিগছ সড়ক ও নাথ মেরামত করতে দেখেন। তিনি তাদের আস্থা ও মনােবল মেখে মুগ্ধ হন। জেনারেলের যাবার পথে জনগণ হর্ষনি করে তাকে স্বাগত অজানায় ও বিভিন্ন দেশাত্ববোধক শ্রেনি তুলে। তিনি প্রতিটি স্থানে গাড়ি থামিয়ে জনগণের সাথে করমর্দন করেন এবং তাদের খােজ খবর নেন।
| তামৈর সবাইকে সুবী ও প্রযুর লেখা যায়। এর পরে জেনারেল নিয়াজী বন উজ পাবনা জেলা সফরে যান। পাবনা শহরে তিনি স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে রিলিফের ব্যবস্থা নিয়ে আলােচনা করেন। বন্যা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে ও রিলিফের কাজ সন্তোষজনক ভাবে চলছে বলে তাকে জানানাে হয়। স্থানীয় কর্মকর্তারা তাকে স্রানান যে, প্রথম দিকে কিছু কিছু লােক কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও সময়ােচিত ব্যবস্থা নিৰাৱ দরুন কলেরা আর মহামারী আকারে দেখা দিতে পারেনি।
জেনারেল নিয়াজী পাবনা বাজারের মধ্য দিয়ে মটর গাড়ি চালিয়ে যান। তিনি বাজারে পূর্ণ স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম চলতে দেখেন। সফরকালে বিভিন্ন স্থানে নােবেল মিয়া
________________________________________
সৈন্যদের সাথে কােষাজ্ঞানে আলােচনা করেন এবং তাদের উচ্চ মনােবল দেখতে পান। তিনি মহাদেবপুর ও পাবনায় শান্তি কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
সশস্ত্র বাহিনী আক্রমণকারীকে হটিয়ে দেয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে তিনি তাদের। আশ্বাস দেন। কিন্তু অত্যন্তরীণ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী অনিচ্ছা সত্ত্বেও দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ কাজে বাধা হচ্ছে। কারণ তাদের মৃত্যুর অর্থ হচ্ছে, পূর্ব পাকিস্তানের বিধবা ও এতিমের সংখ্যা বৃদ্ধি।
সেতু উড়িয়ে দেয়া, পাইলনে বিস্ফোরণ কিংবা রেল লাইন তুলে ফেলা নিজের ঘর। ধ্বংস করারই সামিল এবং এইগুলি বিপথগামী লােকদের বলার জন্যই তিনি শান্তিকমিটির সদস্যদের উপদেশ দেন। তিনি বলেন যে, এই বিপথগামী লােকেরা বাস্তবিক পক্ষে এই দেশেরই সন্তান এবং এ দেশটি তাদের। তাই দি অাক সরববাহ, চোরাচালান ত্যা হয়, বা প্রদেশের মধ্যে তার চলাচলে বাধা দেয়া হয় তাহলে এর জন্য সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ্ন। পােহৰে ।।
জেনাৱেণ পরাধীন জাতির দুশির বর্ণনা দিয়ে আজাদী পূর্বকালে মুসলমানগণ যে দু:খ দূর্দশায় দিন যাপন করেন, তা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন যে, আমাদের সন্তানদে হিন্দুদের অধীনে যেতে দিব না। আমরা আমাদের মা-বােনদের তাদের দয়ার উপর ছেড়ে লিব না। জেনারেল নিয়ায় ইসলাম ও পাকিস্তানের দুশমনদের মোকাবিলার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উপদেশ দেন।
তিনি মুসলমানপেগ্ন ইতিহাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে, আমাদের প্রতিপক্ষ শ্রেষ্ঠ হয়েও আমাদের কখনাে পরাজিত করতে পারেনি। তিনি বলেন যে, শুধু দেশদ্রোহীরা। আমাদের এককে ফাটিশ পরানাের জন্য কয়েকটি যুদ্ধে আমাদের পরাজয় বরণ করতে হয়।। | তিনি এই সব শেদ্রোহী সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্যে ও ত্যাগের নিলি করার কাজে কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করার জন্য জনসাধারণের প্রতি উপদেশ দেন।১১৮।
ঢাকার পুরানা পলটন এলাকার এক বাড়িতে পাকিস্তান সে|| বাহিনী ও পুলিশ হানা লিয়ে ৪টি রাইফেল, ৩টি স্টেনগান, ১২টি গ্রেনেড় ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করে বলে মনিঃ নিউ’ পত্রিকা সূত্রে জানা যায় । অপর এক সংবাদে ই, পি, সি, এ, এফ নারায়ণগয়ে হামলা |লিয়ে ১৩ জন ভারতীয় এজেন্টকে হা করে বলে ধরে জষ্ট্রেখ।
এদিকে রাজশাহী রে খানজানপুর ও আশহরে প্রায় ৩০ ৩ারতীয় অনুপ্রবেশকারীর সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক ব্যাপক সংঘ হয়। সংঘর্ষে ৪০ জন অনুপ্রবেশকারী নিহত ও ২২ জনকে আটক করা হয় বলে দাবী করা হয়। পাক সেনারা এখান থেকে ২৮টি ম্যাগাজিনসহ ৩টি হালকা মেশিনগান, ১০০ কাউঞ্জ গুলীসহ ৩টি রাইফেল, ২৪টি ম্যাগাজিনসহ, ৪টি স্টেলানি এবং ৩৮টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয় বলে পত্রিকা সূত্রে জানা যায় ১৯৯০
সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে লে: জেনাবেল . এ, কে নিয়াজী চট্টগ্রাম সল। করেন। সফরকালে শান্তি কমিটির সদস্যদের উস্পেশে। বললেন, ‘বিজিৰালী ব্যক্তিদের খুজে বের করে খতম করতে হলে।’ তার । মনাকালে স্থানীয় সেনা কমাঞ্জাবির জানান যে, “প্রহর ব্যাপারে রাজাকার ও ই, পি, আর, খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত খবর নিয়ে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় জানানাে হলাে:
________________________________________
এপিপিৱ খবরে প্রকাশ, ইস্টার্ন কমাঞ্চের কমার এ ‘খ’ অল্পলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: নােবেল , এ, কে নিয়াজী গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শাস্তি কমিটির সংসদে প্রতি বিপথগামী দেশত্যাদের মন থেকে ভ্রান্ত ধারণা অপসারণ ও দেশে ফিরে এসে জাতীয় পুনর্গঠনের কাজে আনিয়ােগের জন্য তাদের বােঝানোর আহবান
| সামরিক আইন প্রশাসক বলেন যে, বিপথগামী ব্যক্তিরা তাদের অন্তর বাড়ি ও পরিবার পনিরজন ছেড়ে এক শোচনীয় অবস্থার মধ্যে বাস করছে। তিনি বলেন যে বাস্তবিক পক্ষে তারা হচ্ছে, আমাদের জাতীয় সুশ তবে সত্য উপলদি করে দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে পুনরায় তাদের জীবনযাত্র শুরু তে হবে।
পক্ষান্তরে তারা তাদের বিচ্ছিতাবাদী তৎপরতা অব্যাহত রাখলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই লাভ করবে না।
| জেনারেল নিয়াজী বলেন যে, বিন্নিতাবাদী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে অশ্রম করতে হবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের কষ্ট ভোগ করা উচিৎ নয় ! জেবেল নিয়াজী শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, তাদেরও রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য রয়েছে এবং রাষ্ট্রবিরােধী ব্যক্তিদের নির্মূলের ব্যাপারে প্রশাসন ব্যবস্থাকে সাহায্য করা উচিৎ।
বার্তা ও এর নিরাপত্তা সম্পর্কে জেনাৱেল নিয়াজী বলেন যে, পাকিস্তান হচ্ছে ইসলামের দৃণ এবং ধারা পাকিস্তানকে ধংসের তৎপরতায় লিপ্ত, তারা কার্যত: ইসলামের শত্র। তিনি বলেন যে, পাকিস্তান হচ্ছে সম মুসলিম জাহানের আশা আকাঙ্ক্ষায় প্রতীক। তাই এই ন্ত্রের নাগরিকদের জন্য ইসলামী নীতিসমূহের অনুসরণ অবশ্য কর্তব্য। | ইসলামে জাগতিক সুখ শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির বিধান রয়েছে। ইতিহাস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, যতদিন আমরা ইসলামী নীতিসমূহ মেনে চলেছি ততদিন আমরা সন্ন ছিলাম। কিন্তু যখনই আমরা ইসলামকে অবহেলা করেছি তখনি আমির এক পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি। তিনি বলেন যে, ইসলামী জীবন যাত্রা পদ্ধতি অনুসরাণের মাধ্যমে মুসলিম জাতি আবার তার গৌরবময় শিখরে আরােহণ করতে পারে।
এর আগে জেনারেল নিয়াজী, এম ইনিং মহগৱত ৰাজাকারদের পরিদর্শন করেন। তিনি তাদের মনোবল ও উৎসাহের প্রশংসা করেন। পরে জেনারেল নিয়াজী, ব্রাঙ্গামাটি সফর করেন। সেখানে তিনি শান্তি কমিটির সদস্যসহ এক বিরাট জনতার
দেশ্যে ভাষণ দেন। জনসাধারণ প্রচণ্ড রােদ উপেক্ষা করে জেনারেলকে অভ্যর্থনা জানাতে আসেন। এদের মধ্যে চাকমা প্রধান ও নির্বাচিত এম এন এ, জি এপি বারও উপস্থিত ছিলেন।
জেনারেল নিয়াজী রাঙ্গামাটি এলাকা থেকে সুতিকারীদের সফলভাবে উগত জ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সাধারণের প্রঞ্চি অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানে যে সৈন্য আছে, তাদের পক্ষে প্রতিরােধ ও নাশকতালুক তৎপরতার সকল উৎসকে নির্মূল করতে লাফ দি গবে না। কিন্তু নির্মমভাবে কোন নির্মূল অভিযান পরিচালিত হলে বই মূল্যবান জীবন নষ্ট এবং নয় নারী নিধনা ও শিক্ত এতিম হয়। এরা আমাদের মা-বােন ও সন্তান এবং তাদের জন্যে আমাদের সবরকম শ্রদ্ধা রয়েছে।
তিনি শান্তি কমিটির সদস্যদের প্রতি বিপথগামা ব্যক্তিদের দেশে ফিরে এসে দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে সম্মাননাক বন সুরু করার জন্য তাদেরকে বােঝানাের
________________________________________
আহবান জানান। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টuাম সফরকালে জেনারেল নিয়াজা সৈন্যদের সাথেও মিলিত হন। স্থানীয় কম্যাগার এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন যে, আইন ও শৃংখলা রক্ষা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলাে প্রহরার ব্যাপারে রাজাকার ও ই, পি, আর খুবই উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করছে ফলে সেনাবাহিনীর উপর চাপ অনেকখানি হ্রাস পেয়েছে এবং তাত্রা এখন প্রধানতঃ সামাঙ্কি রক্ষার ব্যাপারেই নিয়োজিত আছে। ফেরেন। নিয়াজী বিকেলে ঢাক্স ফিরে আসেন। সফর কালে জিওসিও তার সাথে ছিলেন। ১৯৭১।
সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিলেট জেলার লাতু সীমান্ত এলাকা দিয়ে আর্টিলারীর গােলাবর্ষণের সাহায্যে ৩৫০ জন ভারতীয় এজেন্ট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের ওপর পাল্টা আঘাত হানলে ৭৮ জন। ভারতীয় এজেন্ট নিহত এবং ৩ জনকে জীবিত আটক করা হয় বলে সরকারি খবরে বলা। হয়। সংঘর্ষ স্থল থেকে পাক বাহিনী ৫৮টি রাইফেল, ৮টি হালকা মেশিনগান, ১২টি স্টেনগান, ৬৯টি মাইন, ১৫টি গ্রেনেড এবং ৩০০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলে। মর্নিং নিউজ” পত্রিকা সূত্রে জানা যায় ।১৯৫।
এদিকে ঢাকার তিন মাইল পূর্বে নাসিরাবাদে ভারতীয় এজেন্টদের সঙ্গে ই, পি, সি, এ, এফ, বাহিনীর এক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ৯ জন ভারতীয় এজেন্ট নিহত ও অবশিষ্ট পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়। পাকিস্তানির! মাসিবাদের একটি বাড়ি থেকে ৯টি রাইফেল, ৩টি স্টেনগান, ৪টি শর্টগান, ৩৯টি গ্রেনে, রোকশ’ কার্তুজ, ৪টি মাইন ও বিপুল পরিমাণ এগপ্লাসিত উদ্ধার করে। ওই বাড়ি থেকে একজন। ভারতীয় এজেন্টকেও গ্রেফতার করা হয় বলে সংবাদে বলা হয়। বলা প্রয়ােজন যে পাকিস্তানিরা মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় এজেন্ট, অনুপ্রবেশকারী’ ইত্যাদি অওিপায়। অভিহিত করতে।
সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সিলেট সীমান্ত দিয়ে ২৫০ জন ভারতীয় এজেন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পাক সেনাবাহিনী তাদেরকে এম্বুশ করে ২৩ জনকে হত্যা করে বলে জানা যায়। অপরদিকে মেহেরপুর মহকুমার সােনাপুর গ্রামে টহলরত পাকসেনাদের সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের এক সংঘর্ষে ১২ জনকে হত্যা করা হয় বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়। দুটি স্থান থেকেই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুণ উদ্ধার কী হয় বলে জানানাে হয়।৯৭৪।
যশাের জেলার সাতক্ষীরাতেও অনুরূপ সংঘর্ষে পাক বাহিনী ৫২ জন ভারতীয় এজেন্টকে হত্যা এবং ৯ জনকে জীবিত ধরে ফেলার সাধ্য করা হয়। বৃহদের মধ্যে ছিলেন ইম্পিয়ার বাহিনী ত্যাগকারী সুবােদর তবারকউglাহ ১২৫
২৯ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর সামরিক আইন প্রশাসক আর একটি ফরমান জয়ী করলাে।
পেট্রল ও ডিজেল তৈল ফ্রি সেল করা হইয়াছে, পেট্রল ও তিলে তৈল কিনিতে কোন পারমিট লাগিবে না। ঘরবাড়ী মেরামত ও ছােট ছোট ব্যবসায়ী ও বৃত্তিজীবীদের খরাতা সাহায্যের ব্যবস্থা করা হইয়াছে। দৰহ্মাণের ক্ষমা নিজ নিজ মহিলার পিস কমিটির মেধারগণের নিকট পাওয়া যাইবে। আগামী ২৮শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায়। সুইহারি রাইস মিলে অনুমান ২ শত মণ চাল প্রকাশ্যে নিলাম বিক্রয় হইবে।
________________________________________
সর্ব সাধারণের অগতির জন্য জানান যাইতেছে যে, দিনাজপুর টাউনের প্রত্যেক বাড়ীঘর, দোকান প্রভৃতিৰ সমুখ ও আশপাশ হইতে জঙ্গল ও আবর্জনা যেন অবিলম্বে পরিষ্কার করা হয়। আগামী ২৮শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মার্শাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরীক্ষা করা হইবে। বাড়ীঘর, দােকান ইত্যাদি স্থানের সম্মুখে কিথা আশে পাশে অপরিষ্কার পাওয়া গেলে সেই স্থানের মালিককে সঙ্গে সঙ্গে মােবাইল কোর্ট কর্তৃক ১০০ শত টাকা পর্যন্ত জরিমাণ করা হইবে।
এতদ্বারা জানান যাইতেছে যে, আগামী ২৮শে সেপেম্বর বেলা ১১টায় কোতয়ালী থানায় মালিক বিহীন ৩টি ট্রাক, ১টি বাস, ১টি জিপ প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রমা হইবে।
এতদ্ধারা জানান যাইতেছে যে যাহারা গােলযােগের জন্য সময়মত মটৱৰাস ইত্যাদির লাইসেন্স, রুট পারমিট করিতে পারে নাই বা লাইসেন্স ও রুট পারমিট খােয়া গিয়াছে, তাহাদেরকে লাইসেন্স ও রুট পারমিট (এর জন্য) আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দরখাস্ত করতে বলা যাইতেছে।।
প্রত্যহ রাত ১১টা হইতে সকাল ৪টা পর্যন্ত কারফিউ বলবত থাকিবে।”১২৬
অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে, যশােরের ডেপুটি কমিশনার নিহত রাজাকার ও শাঞ্জি কমিটি সদস্য পরিবারের জন্য গম বরাদ্দের কথা ঘােষণা করলাে। চিঠিতে বলা হলাে :
Government of East Pakistan Omee of the Deputy Commissioner, Jessore. Memo No. (4) Dated, Jessore Oct/71
From: Mr. Tanul Haq Addl, Dy. Commissioner (G)
Jessore. To The Sub-Divisional Officer
Sadar/Jhenidah/Magura/Narail Sub: Allotment of G. R Wheat for the families of the deceased Rajakars and Peace Committee members.
It has been decided that families of Razakars and members of Peace Committees who were killed by misereants should be provided with G. R. wheat as a measure of assistance to the
… families. For this purpose, a separate quota of 1000 maunds of G R wheat are allotted to the different subdivisions as below Distribution should be made through Master Roll at prescribed rate le 3 seers per adult per week and one and half seers per minor per week and proper account should be maintained for audit. S.D. O. Sadar
400 munds. S.D.O.. Jhenidah
20) .. 5, 10, 0., Magura
200 . S.D.O., Narail
10000 histikds.
(azul Haq Sd/Add. Deputy Commissioner (Gent) Jossore.
200 =
Meatla No. VI/a1/01/1144)/IX}RIA | | a/10/7। Copy forwarded to
1) ASMLA, Jessore. This has reference to his discussion with the undersigned the other day in Presence of the president. Dist. Peace Committee, Jessore in my chamber
অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল এ, এ, কে, নাঙ্গী চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা পুনরায় সফর করেন। তার এ সফরকালে স্থানীয় কমাক্তারগণ এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, রাজাকার এবং মুজাহিদগী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। এলাকার শান্তি স্বাভাবিকীকরণে এরা স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সাহায্য করছে।১৯৮।
| দিনাজপুর সামৱিক আইন প্রশাসক ১৪ অক্টোবরে আরাে একটি নির্দেশ জারী করলাে। এই ঘোষণায় বলা হলাে :
আগামী ১৮ই অধােবর সকাল সাড়ে ১০টায় এস, ডি, ও সাহেবের বাড়ীর নিকট রিলিফ গোউনের সম্মুখে অনেকগুলি জিনিস প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় হইবে।
জিনিষের নাম :- রেডিও, হ্যাজাক লাইট, ষ্টোভ, টেবিল ও দেওয়াল ঘড়ি, গ্রামােফোন, বিয়েঙ্গারেটার, মটর সাইকেল, ইত্যাদি । বিস্তারিত বিবরণ রিলিফ অফিসে
দিনাজপুর জেলায় জাতীয় পরিষন সমূহের উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নিকট হইতে নমিনেশন পেপার রিটার্নিং অফিসারের নিকট দাখিলের তারিখ ২০শে অক্টোবর, নমিনেশন পেপার বাছাই করার তারিখ ২২শে অটোবর, নমিনেশন পেপার প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ২৮শে অক্টাবর।
প্রাদেশিক পরিষন সমুহের উপনির্বাচনের জন্য নমিনেশন পেপার গ্রহণ করা হইবে। ২১শে অক্টোবর, নমিনেশন পেপার বাছাই করা হইবে ২৩শে অটোর, নমিনেশন লার প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ২৮ শে অক্টোবর।
বাড়ঘির মেরামতের খয়রাতি সাহায্য পাওয়ার স্বাস্তের ফরম যাহাৱা এখন জমা দেন নাই, তাহারা যেন ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে টাউন হলের পা স্পী কমিটির অফিসে। অবিলম্বে জমা দেন।
প্রত্যক রাত ১২টা হইতে সকাল ৮টা পর্যন্ত কারফিউ বলবত থাকিৰে।১৯৯
লে: জেনারেল , এ, কে, নিয়াজী অস্ত্রোর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে, পাবনা সফরকালে রাজাকারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাদেরকে দেশ রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালনের মহনি। সুযােগ দেয়া হয়েছে।’ এ সম্পর্কে প্রকাশিত বিস্তারিত প্রতিবেদনে বলা হয় :
পূর্বাঞ্চলীয় কমাজের অধিনায়ক ও ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল , এ, কে নিয়াজী গতকাল মঙ্গলবার রাজাকারদের প্রতি শৃংখলা ও জাতির প্রতি নিঃস্বার্থ সেবার গুণাবলী অঞ্জনের আহ্বান জানান। এপিপির খবরে প্রকাশ, নাৈরেল। নিয়াজী পাবনায় রাজাকারদের এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। এতে শান্তি কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেনারেল নিয়াজী স্থানীয় ট্রেনিং স্কুলে ট্রেনিং ঘহগাৱত ৰাজাকারদেৱ পৰিদর্শন করেন। জি ও সি তার সাথে ছিলেন। জেনারেল
________________________________________
রাজাকারদের হলেন যে, তাদেরকে দেশ রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালনের মহান সুযোগ দেয়া
তিনি বলেন যে, এই মহান দায়িত্ব পালনে অন্যে গল্পীর শৃংখলাবোধ ও আদর্শের প্রতি নিঃস্বার্থ নিষ্ঠার প্রয়ােজন। জেনারেল নিয়াজী বলেন যে পাকিঙ্কান রক্ষা করা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তাদের নিজেদের বাড়ীঘর রক্ষার শামিল। তিনি বলেন যে, মানুষের জন্যে মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যু হচ্ছে গৌরবমণ্ডিত। তিনি বলেন, এর দ্বারা তার সমস্ত পাপ মুছে যায় এবং সে আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হয়। এর আগে পাবনায় পৌছালে এক বিরাট উৎসুক জনতা জেনারেল নিয়াজীকে সম্বর্ধনা জানায়। পরে তিনি রাজশাহী যান । সেখানে তিনি ছাত্র ও বিশিষ্ট নাগরিকদের এক বিরাট সমাবেশে ভাষণ দেন। তিনি শান্তি কমিটির সদস্যদের সাথে দেখা করেন। রাজশাহীর সমাবেশে ভাষণ দান কালে জেনারেল নিয়াজ বলেন যে, অভ্যন্তরীণ গােলযােগ ৰী, দেশদ্রোহীদের চ.এন্ত্রের দ্বারা দুর্বল হয়ে পড়| ছাড়া মুসলমানেরা ইতিহাসে আর কখনাে পরাজয় বরন করেনি।
| তিনি জামাগত বা সংকীর্ণ সংস্কারো উস্কানি নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান। প্রেসিষ্টে যে সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন করেছেন সে সম্পর্কে জেনারেল নিয়াজী বলেন যে, যায় ফিরে এসেছে তাদের সবাইকে ক্ষমা ও পুনর্বাসন করা হয়েছে।
| তিনি দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি শঙ্কর ঘূণ্য উদ্দেশ্য নস্যাৎ করে জাতি গঠনের কাজ আহানির উদ্দেশ্যে দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে বােঝানাের আহবান জানান। তিনি নলেন যে, কোন ঘরােয়া বিরােধ থাকলে তাতে প্রতিবেশীপের অথবা হস্তক্ষেপের সুযোগ না দিয়ে গল্পের মধ্যেই তা সমাধা করা উচিত। পুল উড়িয়ে গিয়ে খাদ্যশস্য পরিবহনে বা শিল্প উৎপাদনে বাধা দিয়ে যারা সাধারণ মানুষের জন্যে অর্থনৈতিকভাবে অসুবিধার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তাদের সনাক্ত ও নির্মূল করার জন্য তিনি জনসাধারণের প্রতি আহবান জানান। জেনারেল নিয়াজির জ্ঞাগের পূর্বে স্থানীয় জনগণ স মিনার ও এক জানিয়ে বক্তৃতা ও কবিতা পাঠ করেন ।
| তারা মাতৃভূমিৰ প্ৰাণাক্ষার জন্য তাদের শেষ রক্ত কিসনের শপথ হন। করে। সভা শেষে জেনারেল নিয়াজী গাড়ীতে রাজশাহী ৰাঞ্জাবের মধ্যে দিয়ে স্থানীয় সেনাবাহিনী সদর দফতয়ে যান। সেম্মানে জানে নাজশাহী জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে সম্প্রতি উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গোলাবারুদ ও বিক্ষোরক দ্রব্য দেখানাে হয়।
স্ত্রীয় কমাখার জেনারেলকে জানান যে, বর্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে দুঞ্জিকারীদের তৎপরতা ক্রমশঃ কমে আসছে। জেনারেল নিয়াজী সৈন্যদের পালিশন করেন এবং তাদের সাথে নেয়া ভাবে আলাপ করেন। তিনি লেশ রক্ষার জন্যে তালের পুরোপুরি প্রস্তুত ও তাদের উচ্চ মনােবল লক্ষ্য করেন।১৩০
অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কুমিল্লা, বরংপুর এবং সিলেট জেলায় তিনটি পৃথক মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০৮ জন ভারতীয় এজেন্ট নিহত ও বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে পাক কর্তৃপক্ষ দাবী করে।১৩১।
এ দিকে কুমিল্লা জেলায় কসবা নিয়াস্ত্রণে আনার জন্য ভারতীয় এজেন্টদের দু’লফা আমগের চরম মূল্য দিতে হয়। এই সংঘর্ষে ৪৩৮ জন ভারতীয় একেস্ট নিহত ও ১০০ জন আহত হয়। বিপুল পরিমাণ গােলাবারুদ উদ্ধার করা হয় বলে জানা যায়।
________________________________________
| লে: জেনারেল এ. এ, কে, নিয়াজী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে, রংপুর জেলার নীলফামারীর উত্তরে ডোমারে শান্তি কমিটির সদস্যদের এক সমাবেশে ভাষণদান কালে বললেন, তার প্রদেশবাসীর কাকালী হতে পারে না। সংবাদ | হলাে :
‘পূর্বাঞ্চল কমাডের কমার শু ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লেফটেন্ট জেনারেল এ. এ, কে নিয়াজী বলেছেন, যে ভারতে প্রতিদিন আমাদের সীমান্ধাত্রী গ্রামগুলাের উপর গােলাবর্ষণ করে বছ, নিরপরাধ নাৱী পুরুষ ও শিশুকে হত্যা কাছে সে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের শুভাকাঙ্গী হতে পারে না। এপিপি পরিবেশিত খবরে বলা হয়। জে: নিয়াজী গতকাল রংপুর জেলার নীলফামারীর উত্তরে ডোমারে শান্তি কমিটির সদস্যদের এক সমাবেশে বক্তা ছিলেন।
তিনি ঐ এলাকায় একদিনের সফর করেন। জেনারেল নিয়াজী রংপুর এবং লালমগির হাট ও সফর করেন। উচ্চ পদস্থ সামরিক অফিসারগণ ওঁর সঙ্গে ছিলেন। জেনারেল নিয়াজী স্বাধীনতা পূর্ণ কালে হিন্দু শাসনাধীনে উপমহাদেশের মুসলমানদের দুর্দিনের কথা উদ্যেখ করে তিনি বলেন, যে ভাৰত অৰিাৱও এই দেশকে তার পদানত করার চেষ্টা। চালাচ্ছে।
| তিনি ভারতের দুরভিসন্ধি সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য জনগণকে শিকার করে দেন। এবং মুসলিম জাতি হিসেবে স্বার্থানতাৰঃ মূলা উপলব্ধি কৰাি আহবান জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে দাসত্বের টনিন যাপনের চেয়ে মাতৃভূমির জন্য মৃত্যুবরণ অনেক সম্মানজনক । ভারতের কথা ও কাজের মধ্যে অসঙ্গতির উল্লেখ করে জেনারেল নিয়াজী। বলেন একদিকে ভারত পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের জন্য দল দেখিয়ে গননা করছে। অপর পিকে আমাদের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলাের উপর প্রতিদিন অবিৰাম গােলাণর্ষণ করে বন্ধু। নিরপরাধ নারী পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করছে। তিনি আরো বলেন যে ভারত অর্থাতীদের ট্রেনিং দান ও অস্ত্র সজ্জিও করে পূর্ব পাকিস্তানে পাঠিয়ে জনগণের দুর্দশা বৃদ্ধি ছাড়া আর। কিছুই লাভ করছে না। | তিনি জিজ্ঞেস করেন, এই অংশের জনগণের জন্য ভারতের সমবেদনা দেনার কি এটাই পস্থা? জেনারেল নিয়াজী পাকিস্তানের শুনদের বিতাড়নে রংপুর জেলার জনগণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এ ব্যাপারে তিনি রাজাকারদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন যে রাজাকাররা পাকিস্তানের অঞ্জলা সংহ ও বান্দার জন্য মূল্যবান সেবা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রত্যেক মুসলমান ইসলাম ওঁ তার মামির জন্যে এহন নিবেদিত মুজাহিল।
এর আগে সেখানকার স্থানীয় কমাণ্ডার রাজাকার আল বদর ও আল-শামস বাহিনীর তৎপরতায় কম্বা জেনারেল নিয়াজীকে জানান। এরাও স্বতভাবে এবং নিয়মিত সৈন্যদের সঙ্গে একযোগে বিভিন্ন দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। স্থানী| মাগুরা জেনারেলকে জানান যে প্রধানতঃ রাঙ্গাদের সাদা জাগ্রত থাকার দরুই এই এলাকায় ভারতীয় চলে একটি সেতু অথবা কালার্ট ধ্বংস করতে পারেনি। সম্প্রতি ভারতীয় চরদের সঙ্গে সৈন্য ও রাজাকারদের বিভিH সংঘর্ষে যে সব অঞ্জ শস্ত্র গোলাবারুদ ও বিবেক দ্রব্য আটক করা হয়। জেনারেল fিাজী তাণ্ড দেখেন। টােনারেল মোটর যােগে তোমার ও লালমণির হাটে যান। সেখানে রাস্তার দুশে সারিবদ্ধ জনতা ফোনারেলকে। দেশাত্মবােধক ফানি দিয়ে অভিনন্দন জানায়।”১৩৩। এরর বাংলাদেশ ২৭।
________________________________________
নভেম্বর মাসে সেনা কর্তৃপক্ষ ১৩ জন সি, এস, পি অফিসারসহ ৫৫ জন অফিসারকে সামরিক আদালতে দােষী সাব্যস্ত করে ১৮ বৎসর করে সশ্রম কারাল দাত করে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হলাে : | ‘চাকার বিশেষ সামরিক আদালত পূর্ব পাকিস্তানে নিয়ােজিত ১৩ জন সি এস পি অফিসারকে ক্ষতি করেছেন। আদালত এদের প্রত্যেককে ১৪ আছর করে সশ্রম কারাদণ্ড নিয়েছেন।
এপিপির অবরে প্রকাশ, দয়িত অফিসারদের সশও শতকরা ৫০ ভাগ বাজেয়াফত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অফিসারগণ আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হওয়ায় ৪০ নম্বর সামরিক আইন বিধি মােতাবেক তাদের অনুপস্থিতিতেই তাদের বিচার করা হয়। এসব অফিসারকে ২৫ নম্বর সামরিক আইন বিধি মােতাবেক লায়েরকৃত মুক্তিযােগের জবাব দেবার অন্য ১৯৭১ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর ঢাকার ৬ নম্বর সেক্টরের সান মার্শাল ল এ্যাঙমিনিস্ট্রেটরের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
আদালত এদের প্রত্যেককে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডে দজিত করেছেন। এদের ৫০ ভাগ সক্সি জেয়াফত করা হয়েছে।
শেষােক্ত অফিসারদের ও তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার করা হয়েছে। তাদেরকে ২৫ নম্বর সামরিক আইন বিধি মোতাবেক অভিযোগের জবাব দেবার জন্য ১৯৭১ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর ৬ নং সেক্টরের সাৰ মাশাল ল এ্যাডমিনিস্ট্রেট আদালওে হজির হবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। লখিত অফিসারগণ হলেন। ১। কে, এইচ, আসাদুজ্জামান, জয়েন্ট সেক্রেটারী, ফিনান্স ডিপার্টমেন্ট, ঢাকা,
| সিএসপি। ২। এইড, টি, ইমাম, ডিসি, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিএসপি। ৩। জাৰি আনাদুস সাম, জিলি, সিলেট, সিএসপি। ৪। মােহাম্মদ এন কিউ স্থান, ভিসি, পাবনা, সিলেলি। ৫। সৈয়দ আবদুস সামাদ, রিহ্যাবিলিটেশন অফিসার, চট্টগ্রম, সিএমপি। ৬। কুদরত-ই-এলাহী চৌধুরী, এডিশনাল ডিসি, রাজশাহী, সিএসপি। ৭। মােহাম্মদ খুরুজ্জামান চৌধুরী, এসডি, কিশােরগঞ্জ, সিএসপি। ৮। কাজী রুকুনউদ্দিন আহমদ, এসডিও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিএসপি। ৯। ওয়ালিউল ইসলাম, এসভিও, বগুড়া, সিএসপি।। ১০। আকবর আলী খান, এসডিও, হবিগঞ্জ, সিএসপি। ১১। কামাল উদ্দীন সিদ্দিক, এসডিও, নড়াইল, সিএসপি। ১২। মােহাম্মদ তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, এসডিও, মেহেরপুর, সিএসপি। ১৩। সলিত হােসেন, এশিলটেন্ট কমিশনার, যশাের, সিএসপি। ১৪। আলতাব হোসেন খান, ইপিসিএস, পাননা। ১৫। উদীতে গাল চক্র’, ইপিসিএস, ফরিদপুর। ১৬। আলতাব হােসেন, হালসিএস, রংপুর। ১৭। এ কিউ এম, কামরুল ইলা, ইপিসি এস, ময়মনসিংহ।
________________________________________
১৮। মোঃ আবদুল মতিন সরকার, ইপিসিএস, রংপুর। ১৯। হেলাল উদ্দীন খান, ইপিসিএস, ময়মবসিংহ। ২০। আবদুল লতিফ, ইপিসিএস, রাজশাহী। ২১। আবদুল হালিম, ইপিসিএস, টাঙ্গাইল।। ২৯। জিয়াউদ্দীন আহমদ, ইপিসিএস, ঢাকা । ২৩। ক্ষিতিশ চন্দ্র কুণ্ড, ইপিসিএস, খুলনা । ২৪। কাঞ্জী লুৎফর হক, ইপিসিএস, ঢাকা। ২৫। মাখন চন্দ্র মাকী, ইপিসিএস, কুমিল্লা। ২৬। মােঃ মিজানুর রহমান, ইপিসিএস, নােয়াখালী। ২৭। আবদুল কাদের মুন্সি, ইপিসিএস, খুলনা । ২৮। এজেন্দ্র নাথ ব্যাপারী, ইপিসিএস, বাকেরগঞ্জ । ২৯। মানিক লাল সমাদ্দার, ইপিসিএস, ফরিদপুর। ৩০। আফতাব উনি, ইপিসিএস, সিলেট। ৩১। ক্ষান্ত মােহন দাস, ইপিসিএস, সিলেট। ৩২। অমিয়াংশু সেন, ইপিসিএস, সিলেট। ৩৩। মােঃ ইসহাক, ইপিসি এসে, চাঁটগ্রাম। ৩৪। মােঃ আবদুল আলী, ইপিসিএস, ফরিদপুর। ৩৫। একেএম রুহুল আমিন, ইপিসিএস, কুমিল্লা। ৩৬। ইয়াকুব শরিফ, ইপিসিএস, বাকেরগঞ্জ। ৩৭। প্রিয়দরিঞ্জন দাস, ইপিসিএস, চট্টগ্রাম । ৩৬। নরঞ্জন সাহা, ইপিসিএস, বরিশাল। ৩৯। অমরেন্দ্র মজুমলার, ইপিসিএস, নােয়াখালী। ৪০। গােলাম আকবর, ইপিসিএস, ঢাকা। ৪১। দীপক কুমার সাহা, ইপিসিএস, পাবনা। ৪২। অনিল চন্দ্র সাহা, ইপিসিএস, ময়মনসিংহ। ৪৩। সুধীর কুমার ভট্টাচার্য, ইপিসিএস, বরিশাল। ৪৪। আবদুল লতিফ ভূইয়া, ইপিসিএস, কুমিয়া। ৪৫। এ, এইচ, এম, আব্দুল হাই, ইপিসিএস, রাজশাহী। ৪৬। মোঃ আমানতকাহ, ইপিসিএস, ঢাকা । ৪৭। রিয়াজুর রহমান, ইপিসিএস, asa on B৮। এ এস এম, রমিজ উশান, ইপিসিএস, ঢাকা । ৪১৯। জ্যোতিবিনােদ লস, ইপিসিএস, (E০৪) নােয়াখালী। ৫০। আফিযুর রহমান, ইপিসিএল, রাজশাহী। ৫১। বিভূতিষণ বিশ্বাস, ইপিসিএস, (১৯৯) ফরিদপুর। ৫২। জিতেন্দ্র লাল দাস, ইপিসিএস, (৯৮৩) সিলেট।
________________________________________
৫৩। খান আমির আলী, ইপিসিএস, বিশাল। ৫৪। যােগেশ চন্দ্র ভৌমিক, ইপিসিএস, কুমিল্লা। ৫৫। জহিরুল হক ভূঁইয়া, ইপিসিএস, (১৪৪) ঢাকা।১৩৪
এ দিকে সামরিক আদালত দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন অধ্যাপকের প্রত্যেককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদরে দণ্ডিত করলাে। পত্রিকায় বলা হলো;
‘টাকার বিশেষ সামরিক আদালতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন প্রফেসরকে দত্তি করা হয়েছে এবং তাদের প্রত্যেককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দজিত করা হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রেস রিলিঙ্গে উল্লেখ া হয়েছে।
এপিপি পরিবেশিত খবরে বলা হয় যে, তাদের সম্পত্তির শতকরা ৫০ ভাগ বাজেয়াফত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই চারজন অধ্যাপকের বিচার তাদের অনুপস্থিতিতেই করা হয়েছে।
২৫ নম্বর সামরিক বিধির অধীনে আনীত অভিযােগসমূহের জবাবদানের জন্য তাদেরকে গত ৮ই সেপ্টেম্বর ঢাকার ৬ নম্বর সেক্টরের এসএমএল এ-র আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
দস্তিত প্রফেসরগণ হলেন : ১। প্রফেসর মােজাফফর আহমদ চৌধুরী, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় । ২। প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ৩। প্রফেসর সাহােয়র মুরশেদ, ইংরেজী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ৪। প্রফেসর মযহারুল ইসলাম, বাংলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ।
এ দিকে সেনা সরকার দেরী না করে পরীখা খননের জন্য পুনরায় নির্দেশ দিলাে। ঢাকায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলাে- প্রদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরীখা খননের পুনঃসিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যা পূর্বেও বলা হয়েছে। ভবন মালিক ও দখলদায়নের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে পরীক্ষা খননের নির্দেশ দেয়া হয়।১৩৬
লে: জেনারেল এ. এ, কে, নিয়াজী নভেম্বরের মধ্যভাগে ফেনী, বেলুনিয়া এবং চট্টগ্রাম পরির্শন করেন। তার এ সফরকালে আঞ্চলিক কমান্ডারগণ তাকে গুনিন সীমান্তের কাজের গ্রামগুলোতে ভারতের ক্রমাগত নােমাৰণে নারী, পুরুষ ও শিশুদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। জেনারেল নিয়াজী সেনা সদস্য এবং রাজাকারদের সঙ্গেও কথা বলেন।১৩৭
গভর্নরের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খুলনায় এক শ্রমিক সমাবেশে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শিল্প উৎপাদন বাড়ানাের আহবান জানান। এ প্রসঙ্গে সংবাদে বলা হলাে: | ‘খুলনা, ১৪ই নভেম্বর (এপিপি)-পূর্ব পাকিস্তানের গণয়ের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী শিল্প শ্রমিকদের প্রতি সব ভেদাতে ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে শিল্পোন্নয়নের গতি বাড়ানাের আহবান জানিয়েছেন। জেনারেল ফরমান আলী আজ খালিশপুর হাউসিং ষ্টেট ময়দানে পূর্ব পাকিস্তান লেবার ফেডারেশন আয়ােজিত এক বিরাট শ্রমিক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
________________________________________
তিনি শ্রমিকদের প্রতি উৎপাদন বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ উৎপাদন বাড়ালে শুধু দেশ নয় শ্রমিক মালিক সবাই উপকৃত হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সব সময় শ্রমিকদের কল্যাণ চেয়েছে। ১৯৬৯ সালে সরকার শ্রমিকদের বেতন ৮৫ টাকা থেকে ১২৫ টাকায় বৃদ্ধি করেছেন। জেনারেল ফরমান আলী বলেন, মিলগুলােতে উৎপাদন না বাড়লে এবং শান্তি না থাকলে মালিক পক্ষ কর্মসংস্থানও বাড়াতে পারবেন না। | শিল্পে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শ্রমিকদের রাজনৈতিক এইভ ইউনিয়ন তৎপরতায় লিপ্ত হওয়া উচিত নয়, কারণ তাতে তাদের ভাল হবে না। তিনি বলেন সুস্থ, ট্রেড ইউনিয়ন দেশে আদর্শ শ্রমিক বাহিনী গড়ে তুলতে সাহায্য করে যা দেশকে আর্থিক দিক দিয়ে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার সহায়ক হবে।
ভারতের যুদ্ধের হুমকী প্রসঙ্গে তিনি বিপুল হর্ষধ্বনির মধ্যে বলেন, আমাদের সেনা। বাহিনী আক্রমণ প্রতিহ করার জন্য প্রস্তুত। বাইরের কোন শক্তি পাকিস্তানের সংহতি ও অখন্ডতা বিনষ্ট করতে সক্ষম হবে না। জেনারেল বলেন, খুলনা চট্টগ্রামে ও অন্যান্য স্থানের যে উন্নতি ঘটেছে, তা পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠার ফলেই সয়ন হয়েছে। অথচ স্বাধীনতার আগে। এসব এলাকা হিন্দুদের শােষণের চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। | ভারতের তথাকথিত বাংলাদেশ” প্রচারণা সম্পর্কে জেনারেল ফরমান আলী ভারতীয়। কর্তৃপক্ষের প্রতি পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষতি না করে পশ্চিম অঞ্চলে স্বাধীনতা প্রদানের অাহবান।
সেনা সরকার বাড়ির মালিকদের পুনরায় ভবন প্রাঙ্গণে পরিখা খননেত্র নির্মশ দিল। সরকারি হ্যান্ডআউটে বলা হলাে :
প্রদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের বিল্ডিংসমূহের মালিক তথা দখলকারীদের আবিলম্বে পরিখা খননের কাজ সমাপ্ত করার ব্যাপারে ওদের সারিত্বের কথা পুনরায় প্রাণ। করিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রেসনােটে সরকার জানান । এটা উঃখযোগ্য যে কিছুদিন আগে এক সরকারি প্রেসনোটে প্রদেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ। শহরের বিভিন্ন সুবিধাজনক জায়গায় পানির অননের সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। ঘোষণা করা।
সরকারের এ ঘােষণার পাশাপ্রক্ষিতে ঢাকা ও অপর কতিপয় শহরে অবশ্য কিছু কিছু পরিখা অন করা হয়েছে। এসব পত্রিকা বাজার, পার্ক ও রাস্তার পার্শ্বেই, প্রধান গান করা। হয়েছে। পূর্বেয় নির্দেশ মোতাবেক পাবলিক ও প্রাইভেট বিল্ডিসমূহের প্রাঙ্গলে খুবই নগন্য। সংখ্যক পরিখা খনন করা হয়েছে।
তাই উপরােক্ত ধরণের বিল্ডিসেমূহের মালিক তথা দখলকারীদের এ ব্যাপারে তাদের দায়িত্বের কথা আর একবার স্মরণ করিয়ে দেয়া যাচ্ছে এবং বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে পরিখা ঘরে কাজ সমাপ্ত করার অনুরােধ জানানাে যাচ্ছে। এপিপি এ খবর পরিবেশন করে।১৩৯
সেনা সরকার যে ক্রমশই বেসামাল হয়ে পড়ছিলাে তা তাদের কাজ কমে ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছিলাে। সেনা সরকার নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে দুষ্কৃতিকারীদের (?) গ্রেফতার বা অবস্থান সম্পর্কে খবর দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘােষণা করলাে। সৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় বলা হলাে :
________________________________________
‘যে সব অনুগত বাকি দুস্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের মতাে নির্ভরযােগ্য খবর দেবে বা নিজেরা দুস্কৃতিকারীদের গ্রেফতার করে আইন প্রয়ােগকারী সংস্থাসমূহের কাছে পেশ করে সরকার তাদের থাপযুক্ত পুর্গফার লেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে গতকাল বুধবার এক প্রেসনােটে জানানাে হয়েছে।
এপিপির খবরে প্রকাশ, পুরস্কারের হার নিরূপ : ক। দুস্কৃতিকারী গ্রেফতার অথবা দুস্কৃতিকারীদের সাথে সরুল মােকাবিলার জন্য ধন
নেওয়ার জন্যে ৫০০,০০ টাকা। থ। ভারতে ট্রেনিংপ্রাপ্ত দুস্কৃতিকারী গ্রেফতারের জন্য ৭৫০,০০ টাকা। গ। রাইফেল, বােমা বা ডুপ্লিকেটিং মেশিন বা অপরাধ করা যায় এমন অন্য কোন
আগে সহ, গ্রেফতারের জন্য ১০০০,০০ টাকা । ঘ। দুস্কৃতিকারী দলের নেতা গ্রেফতারের প্রশ্য ২০০০,০০ টাকা।
বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার অথবা দুস্কৃতিকারীদলে নেতা গ্রেফতারের জন্য পশ হাজার টাকা পর্যন্ত বড় এ পুরস্কার দেবার বিষয় বিবেচিত হতে পারে।
জেলা পুলিশ সুপারিনটেনড়ে এক হাজার টাকা পর্যন্ত পূজার মধুর করতে পারবেন।
সুতিকারীদের শ্রেণী বিভাগ নির্মপ হবে : ক। তথাকথিত মুক্তিবাহিনীর নিয়মিও সদস্য, তথাকথিত মুক্তিবাহিনী ভর্তিতে
आशा कानी।।। খ। প্রেক্ষায় বিদ্রোহীদের খা), যানবাহন ও অন্যান্য প্রান সরবরাহকারী। গ। স্বৈচ্ছায় বিদ্রোহীলের আশ্রয়দানকারী। কা। বিদ্রোহীদের ‘ইনফরমার গা বার্তাবাহক ঈপে যারা কাজ করে এবং 3)
তথাকথিত মুক্তিবাহিনী সম্পর্কিত নাশকতামূলক লিফলেট, প্যালেট প্রভৃতির
লেখক বা প্রকাশক ১৮০ নােংরল নিয়াজী নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে আবারো যশাের সফর ওৱেন । ঠেলে নিয়াজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি জানালেন ‘নগণ ভারতের ইনি দুরভিসন্ধি সফল হতে দেবে না। পত্রিকায় বলা হলাে:
“পূর্বাঞ্চলীর কম্যানের কম]ঞ্জার ও ‘খ’ অঞ্চলেরয় সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল এ, এ, কে নিয়াজীর সভাপতিত্বে গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক বিরাট জনসভায় যশােরের জনসাধারণ ভারতীয় হামলা প্রতিহত কলার ব্যাপারে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে।
এপিপির খবরে প্রকাশ অসাধারণ বিপুল সংখ্যক জাতীয় পতাকা এবং ইংরেজি, উর্দু ও বাংলায় ভারতকে ক্ষমা কর, রক্ত দিয়ে অামরা জাঞ্চী সংহতি রক্ষা করবাে, “আমরা আমাদের বীর সশস্ত্র বাহিনীকে সালাম জানাই প্রভৃতি দেশাত্মবোধক শ্লোগান লিখিত বড় বড় ব্যানার বহন করে।
| তারা তাদের স্বদেশ রক্ষার কাস্টে আত্মনিয়ােগেরও অপ্রিয়। নাক্ত করে। সভায় ভাষণ দান কালে জেনারেল নিয়াজী আশোরেনা সাধারণের খারাপ মনােবলের প্রশংসা করেন। যশােরের জনসাধারণকে মুজাহিদ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন যে যশােরের
________________________________________
WI
সর্বশেষ তারা হামলা জনসাধারণের দৃঢ় মনােবলকে ইস্পাত তুলা করেছে, জনিত পেরে তিনি পুনরায় আশ্বস্ত বােধ করছেন। | জেনারেল নিয়াজী বলেন, পাকিস্তানের প্রতিটি নাগরিকই নিশ্বস্তভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি সহযােগিতা প্রদান করে প্রতিরক্ষার কাজে সহায়তা করতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা এক বিশ্বাস শWর সম্মুখীন হয়েছি। তাঞ্জা অভ্যন্তরীণ কোন্দা তথ্য সামির আল-মাণের দ্বারা আমাদের পরাজিত হতে চায়। কিন্তু পাকিস্তানের জনসাধারণ তার সে হীন পূরভিসন্ধি সফল হতে দেবেন বলে তিনি ঘােষণা শুৱন । জেনারেল নিয়াজী সংক্ষেপে উপমহাদেশের ইতিহাসের রূপৰেখ বর্ণনা করে স্বাধীনপূর্বকালীন মুসলমানদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভারত মুসলমানদের তার অধীনস্ত করার জন্য পুনরায় চেষ্টা করছে, কিন্তু তাকে সে সুযোগ দেয়া হবেনা। স্লেদােল নিয়াজীর ভাষণের পর সশস্ত্র বাহিনীর বিজয় ও পাকিস্তানের সংহতি জন্য সস্তায় মােনাজাত করা হয়।
যশােরে ফিরে জেনারেল নিয়াজী দান নির্বাচিত স্থানীয় এম, এন, এ ও শান্তি কমিটির সদস্যদের সাথে সাক্ষাত্বকাৱে মিলিত হন। হন্তে বিপুল সংখ্যক তরুণ ও ছাত্র বিভিন্ন শ্লোগান নি দিয়ে ও ভারতীয় হামলার নিন্দাসূচক প্লাকার্ড বহন করে তাকে শ৬িনন্দন শি ।।
কবেন এবং শরে কােলে নিয়ে মােটরগে যশাের শহরের মধ্য দিয়ে মমি জনসাধারণ তাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত রযেছেন দেদান্তে পান।১০১
নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ন্যাশনাল আওয়ামী পাটির সকল এপকে নিষিদ্ধ ঘােষণা করে ম্যাপের কতিপয় নেতাকে আটকের নির্দেশ দেন। পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয় :
| রাওয়ালপিঞ্জি, ২৬শে নবেম্বর (এপিপি)=প্রেসিডেন্ট আজ ন্যাশনাল আওয়ামী পাটির সকল উপদল ও এমকে নিষিদ্ধ ঘােষণা করেছেন। আজ এখানে প্রশস্ত এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বলেন যে, তিনি ইতিমধ্যে ন্যাপের কতিপয় নেতাকে আটক করার আদেশ নিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, তবে ন্যাপের টিকিট জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত বাজিলের আসন বহাল থাকবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ন্যাশনাল আও4.মা পাটি দাদালন যাবৎ পাকিস্তানের স্বার্থ ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কাজ করছিল। এর কতিপয় নেতা এই দেশ সৃষ্টির বিরুদ্ধে জোর তৎপরতা চালিয়েছিল এবং এর অস্তিত্ব মেনে নিতে পারেননি।
তারা এই ক্ষতি করার কোন সুযােগই নষ্ট করেননি। এখন যখন তার পূর্ব অংশে। অe্যস্তরীণ নাশকতামূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এই ছ, যখন ভাৰতীয় বাহিনী পাকিস্তানে একা আশ্ৰমণ করেছে এবং এখন তারা (ভারতের) নেতৃবৃন্দ আমাদের এলাক| খল ও ছা নি রাখার কথা বলছেন ন উক্ত লেৰ কপয় নেতা এদেশের শত্রুদের সঙ্গে যােগসাজসে পাকিস্তানকে বিবস্ত জংস করার আড়মারী ও পরিকল্পনা করছেন। প্রেসিঙ্গে বলেন, অধ্যাপক মােজাফফর আহমলে এখন দেশের
________________________________________
৪২৪ অবরুদ্ধ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও তার দোসনসের ওপৱতা বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যারা প্রথমেই পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতা দাৰী করেছিলেন, মওলানা ভাসানী তাদের অন্যতম, এবং এখন তিনি আমাদের শত্রুদের মধ্যে বসবাস করছেন।
এ ছাড়া সব চেয়ে যােরহর পাকিস্তান বিরােধী আবদুল গাফফার খান এই দেশের প্রতি শত্রুতায় কখনাে ক্ষান্ত হননি এবং এখন তিনি এর শত্রুদের সঙ্গে প্রকাশ্য যোগসাজসে কাজ করে য়াজন। এই দলের অন্য কতিপয় নেতা পাকিস্তানের কোন কোন অংশে বিদ্রোহ শুরু করায় গড় করছেন। প্রেসিডেন্ট আর বিবৃতিতে বলেন, আমি ধৈর্যের সঙ্গে আশা করেছিলাম যে এই সংকটপূর্ণ সময়ে আমরা আমাদের অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম করছি। তখন ও বুদ্ধির উদয় হবে এবং, এই পলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে এখনাে যারা পাকিস্তানে আছেন তারা এক সাধারণ শর মোকাবিলায় আমাদের সঙ্গে শরীক হবেন অথবা কমপক্ষে সক্রিয় শক্রতা থেকে বিরত থাকবেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, কিন্তু যথন বৈদেশিক হামলা হয়েছে তখন আমরা আমাদের শত্রুদের অনুরূপ লক্ষ্য সম্পন্ন ও তাদের সঙ্গে সর্বল যােগাযােগ রক্ষাকারী এবং উক্ত লক্ষ সমূহ অর্জনে তাদের (আমাদের শত্রুদের) সক্রিয়ভাবে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা প্রণয়নকারী একটি রাজনৈতিক দলের অব্যাহত অস্তিত্ব থাকতে দিতে পারি না। কাজেই দেশের অভ্যন্তর থেকে এই হুমকি দূর করার প্রয়ােজনীয়তা রয়েছে। spraaaaa. কাজেই আমি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সকল মধূপ ও উপন্দল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আমি ইতিমধ্যেই এই দলের কিছুসংখ্যক নেতাকে আটক করার আদেশ নিয়েছি।’১৮২
এ দিকে নভেম্বরে যশােরের চৌগাছাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনা সংঘর্ষ বৃদ্ধি পায়। পাক সামরিক জান্তা এ সব আমাকে ভারতের সর্বাত্বক আক্রমণ হিসাবে চিহ্নিত করলাে। ‘অবরুদ্ধ বাংলাদেশের পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তান এ সম্পর্কে প্রকাশ করে একটি দাম প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে বলা হলাে :
‘আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘােষণা ছাড়াই ভারত পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ চালিয়েছে। কয়েকমাস ব্যাপী ছোট ছোট হামলা, ছোট-বড় সংঘর্ষ এবং পূর্ব পাকিস্তানের চারলিকে সুপরিকল্পিতভাবে ১২টি পদাতিক ডিভিশন মােতায়েনের পর এই হামলা চালানো হলাে।
গতকাল সােমবার ঢাকায় এপিলি পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, ভারতীয়দের আন্তর্জাতিক সীমান্ত আক্রমণ করে আমাদের এলাকায় খানিকটা ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়, কারণ কেউ এটা ভাবতে পারেন নি যে তারা সকল প্রকার আন্তর্জাতিক রীতিনীতি সম্পূর্ণ গ্রাহ্য করবে এবং হীন ভাবে এক সর্বাত্মক হামলা চালাবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী যশোর সেকটৱে তাদের সর্বশক্তি নিয়ােগ করে। সেখানে ১ জাতীয় পদাতিক ডিভিশন, ৪ ভারতীয় মাউন্টেন ভিভিশন ও দুটি ভারতীয় ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট আক্রমণ চালায়।
যশােরে সারারকি এবং সকালেও প্রচণ্ড লড়াই চলতে থাকে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বং সৈনা হতাহত হয়, কিন্তু ভারী ও প্রচও গোলাবাগের ফলে তারা তাদের আহত সৈনাদের এবং অধিকাংশ মৃতদেহ সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। উক্ত এলাকায় যে কিছু
________________________________________
সংখ্যক মইদহ পড়ে থাকে, তাতে দেখা যায় যে মই ভারতীয় মাউন্টেন এগেড ও ৩৫০ ভারতীয় মাউন্টে ব্রিগেড এই আক্রমণে নেতৃত্ব দেয়। প্রাথমিক রিপাের্টে প্রকাশ, ১৩০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছে। এক হিসেবে প্রকাশ, সম্ভবত ঐ০০ ভারতীয় সৈন্য আহত হয়েছে।
পাকিস্তানী সৈন্যদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা হচ্ছে, ৭ জন নিহত ও ৪০ জন আহত। পাকিস্তানী সৈন্যরা ১৮টি ভারতীয় ট্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত করলে যশােত্রে ভারতী জোষা হামলা ব্যর্থ হয়ে যায়। আরাে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই আশংকায় ভারতীয় সাজোয়া বাহিনী তাদের বিশ্বাসঘাতকতামূলক ও কাপুরুষােচিত হামলা বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যশোর সমান্তে সাফল্যজনকভাবে ভারতীয় আক্রমণ প্রতিহত করে। এখনাে লাই চলছে।
যশােরে ভারতীয় নাট ও মিগ বিমানগুলােও হামলায় অংশ গ্রহণ করে এবং পাকিস্তানী এলাকার অনেকখানি অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নাভারন, সারলা, মানুৱা নামক তিনটি গ্রামের অসামরিক বাশিন্দাদের ঔপর গুলিবর্ষণ করে। ভারতীয় বিমান বাহিনী এভাবে ৭৯ জন। অসামরিক ব্যক্তিকে নিহত ও ১৩০ জনকে আহত করে। ইতিমধ্যে সিলেট থেকেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে পাকিস্তানা এলাকায় ৮ ভারতীয় মাউন্টেন ডিভিশন। ও কতিপয় ট্যাঙ্ক-এর সাহায়ে আক্রমণ চালানাে হয়। | দিনের শুরুতেই এই আক্রমণ চালানাে হয়। সংখ্যা অনেক কম হওয়া সত্বেও পাকিস্তানী সৈন্য সুপরিকল্পিত ও লৌশলী পভার মাধ্যমে সাফল্যজনকভাবে ভারতীয় বাহিনীর হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী শর ৫৮ জন। সৈনিককে হতাহত করে। আমাদের পক্ষে ১১ জন প্রাণ হারায়। শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ১৫ জন পাকিস্তানি সৈন্য আহত হয়। ( ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাওয়া খবরে প্রকাশ, ২৩ মাউন্টেন 1818শনের দুটি ব্রিগেড় চllাম সেটরের উত্তর-পূর্বে পার্বত্য চুমাের পাকিস্তানী অবস্থানগুলো আক্রমণ করে। আশংকা করা হচ্ছে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব পাকিস্তানে আরো কয়েকটি ফ্রন্ট খুলবে। ইতিমধ্যে যশাের, সিলেট ও চঘিমা সেকটর থেকে সংঘর্ষের আরো খবর এসে পৌছেছে।
পাকিস্তানী সৈন্যরা গত রােববার যশােরের উত্তর পশ্চিমে এক রেজিমেন্ট ট্যাঙ্ক-এর সমর্থনপুষ্ট নিয়মিত ভারতীয় বাহিনীর দুটো পদাতিক ব্রিগেড শক্তির এক বড় রকমের হামলা প্রতিহত রুয়েছে। ঢাকায় প্রাপ্ত খনিতে এ কথা জানা গেছে বলে এপিপি-র খবরে
ইউনিটগুলাে প্রথম জম্মু ও কাশীর রাইফেলস ও ৩৫ নম্বর পদাতিক ব্রিগেডের ৪ নমঃ শিথ লাইট-এর অন্তর্ভুক্ত। পাকিস্তানী সৈন্যরা সাফল্যের সাথে হামলাকারীদের হটিয়ে দেয়। সংঘর্বে শক্রদের ৯০ জন নিহত ও ১৬০ জন আহত হয়। পাকিস্তানীদের পক্ষে ৪ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়। এক সময়ে দের ৭টি ট্যাঙ্ক শিক্ষাখা হয়। রােববারের। হামলাটি ছিল পূর্ববর্তী ভারতীয় হামলাগুলাের চেয়ে বেশি মারাত্মক।
সাৱাৱাত ভারতীয় ফিল্ডগান এবং মাঝারী ও ভারী মর্টারের গােলা বর্ষণ করা হয়। ভােরের দিকে গােলা বর্ষণ থামলে সাঁজোয়া বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট ভারতীয় সৈন্য ও তাদের
________________________________________
ররা পাকিনা অবস্থানশির ওপর হামলা চালায়। পাকিস্তানা সৈদর পাল্টা আক্রমণের মুখে ভারতীয় বাহিনী অগ্রসর হতে ব্যর্থ হয়।
কুমিল্লা থেকে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, নিয়মিত ভারতীয় সৈন্যদের সমর্থনপুষ্ট ৪ শত ভারতীয় বার কুমিল্লা জেলার লক্ষ্মীপুর ফাক্কিতে হামলা চালায়। কিন্তু সে হামলা ব্যথা করে দেয়া হয় এবং বিপুল সংখ্যক হতাহত হওয়ার পর অনুপ্রবেশকারীরা পালিয়ে যায়। পার্বত্য চাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর জেলা থেকেও হামলার অনুকপ খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু সদা জাগ্রত পাকিস্তানী সৈন্যরা এমন হামলা পর্যস্ত করে।
অপর দিকে ভারতীয় গােলন্দাজ বাহিনী সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে গােলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হচ্ছে :
সিলেটে আটয়াম, রাধানগর, জৈন্তাপুর। কুমিল্লায় কাইয়ুমপুর, মুকন্দপুর, সালদা দমদী, অবাঙ্গা, মঙ্গলপুর, হরিমঙ্গল বড় জালা। ময়মনসিংহে কামালপুর ও করইতলী । যশােরে চৌগাছ। কুষ্টিয়ায় দর্শনা। রংপুরে অমরখানা।*১৪৩
এ দিকে জেনারেল এ. এ, কে, নিয়াজী সাকার ১৫ মাইল দূরে সাভারে রাজাকার কোম্পানী কমান্ডারদের বিদায়ী কুচকাওয়াস্তে। তিনি ব্রভাকালের উচ্চ মনােবল ও আত্মপ্রত্যয়ে প্রশংসা কল্লেন । পত্রিকায় এ সম্পর্কে বলা হলো :
‘গতকাল শনিবার ঢাকা থেকে ১৫ মাইল দূরে সাভাৱে ৰাজাকার কম্পানী কম্যাজৰিদৰ পথম দলের বিদায়ী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এপিপি পরিবেশিত এই খবরে প্রকাশ, ইস্টার্ন কমাজার ও “খ” অঞ্চলের সামরিক আইন-শাসনকর্তা লো: জেনারেল এ. এ, কে, নি। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং প্রবাদ গ্রহণ করেন।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে যে কম্পানী কমাণ্ডারের পদ মর্যাদা পর্যন্ত জুনিয়র নেতৃত্ব বাজাকারদের নিজেদের গুরই নাস্ত করা হয়েছে। কম্পানী কমায়াদের প্রথম দলের দু সপ্তাহ, নিং, গতকাল সমাপ্ত হয়। পরবরী কোর্স সােমবার থেকে শুরু হবে। কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের পর জেনারেল নিয়াস্ত্রী এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে ভালো দক্ষত্রর প্রশংসা কনে।।
তিনি বলেন যে, রাজাকারদের প্রসন্ন হন, আহপ্রত্যয় ও উচ্চ মনােবল পেথে তিনি বিশেষভাবে মুগ্ধ হয়েছেন। রাকিনিলো ভূমিকা সম্পর্কে ভাষণ সান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একদিকে তার ভারতীয় চরলের সকল চিহ্ন মুছে ফেলতে হবে এবং অপর দিকে বিপথগামী খুনকরে সঠিক পথে আনার চেষ্টা করতে হবে।
জেনারেল নিয়াজী কুচকাওয়াজের পর রাজধাকার কম্পানী খাম||বিলের সাথে ঘরােয়াভাবে দেখা করেন এবং করমর্দন করেন। তারা দেশের সংহতি রক্ষার জন্য দেশপ্রেমমূলক শ্লোগান দেন।*১৪৪।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে জেনারেল নিয়াজী হিল পরিদর্শন করেন। কোরেল লি বাঙ্কারে অবস্থানরত সৈয্যরে সঙ্গে নতুথা বলেন। পত্রিকায় এ সফা প্রসঙ্গে বলা হয় :
ইস্টার্ন কম্যাণ্ডের কমাগুর ও “খ” অম্বলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল . এ, কে, নিয়াজী গতকাল শনিবার হিলি এলাকা পরিদর্শন করেন। তিন দিন আবৃত
________________________________________
এখানে তত্র সংঘর্থ হচ্ছে। এপিপি পরিবেশিত এই খবরে বলা হয়েছে যে শুক্রবার হিলি এলাকা থেকে আক্রমণকারীদের বিতাড়ন করা হলেও গতকাল শনিবারও সীমান্তের ওপার থেকে পাকিস্তানী অবস্থানের উপর ভাবতীয় গােলন্দাজ বাহিনী গোলাবর্ষণ করে। | জেনারেল নিয়াজী যখন সৈন্যদের দেখার জন্য অগ্রবর্তী এলাকায় যাচ্ছিলেন তখন ভারতীয় কামানের ছয়টি গােলা এসে পড়ে। তবে কোন ক্ষতি হয়নি। জেনারেল নিয়াস্ত্রী বিভিন্ন বাঙ্কারে সৈন্যদের সাথে দেখা করেন। তিনি তাদের সাথে ঘরােয়াভাবে আলোচনা করেন। তিনি তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও উচ্চ মানোবল লক্ষ্য করেন। সংখ্যায় কম হলেও তারা ভারতীয়দের বারংবারের হামলা প্রতিহত করেন।
হিলি এলাকা সফর করে জেনারেল নিয়াজী বিদেশী সাংবাদিকদের একটি দলকে সাক্ষাৎ পান করেন। ভারতীয় হামলার স্বাক্ষর পরিদর্শনের জন্য তারা হিলি এলাকা সফরে যান। যুদ্ধে ৩টি ভারতীয় ট্যাঙ্ক অনেকজো করে দেয়া হয় এবং দেড়শত ভারতীয় সৈন। নিহত হয়। তিনি গতকাল বিকেলে ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন।১৯৫
পাকিস্তানি সামরিকজান্তা নভেম্বর মাসেই জরুরী অবস্থা ও পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইন জারী করলাে। সংবাদে বলা হলো :
DEFENCE OF PAKISTAN RULES NOTIFIED Rawalpindi, November 28. APP). The Defence of Pakistan Rules made by the central government tinder the Defence of Pakistan Ordinance promulgated by the President have been notified along with the ordinance in the gazette of Pakistan extraordinary made available here yesterday.
The rules meant to meet the present situation of emergency in the country are 213 in total
The gazette notification is dated November 23. 1971 when emergency was proclaimed in the country due to the threat of extemal agression
OFFICIAL ANNOUNCEMENT REGARDING DECLARATION OF EMRGENCY, BY THE PRESIDENT OF PAKISTAN
November 23, 1971
Whereas the President satisfied that a grave emergency exists in which Pakistan is threatened by external autression
Now, therefore, in pursuance of the proclamation of the 25th day of March, 1969, read with the Provisional Constitution Order and in exercise of all powers enabling him in that behalf the President is pleased hereby to issue this proclamation of emergency
| এ লঞ্চে এক সরকারি মুখপ|| পত্রিকায় দেয়া বিবৃতিতে জানালাে, পূর্ব পাকিস্তানে। অভ্যন্তরে ভারতীয় অনুপ্রবেশ চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে। পএিকায় বলা হলো:
________________________________________
‘রাওয়ালপিঞ্জি, ২৮শে নভেম্বর, (এপিপি)। আর এখানে একজন সৱকারী মুখপাত্র বলেন যে, কুমিল্লা-নােয়াখালী সেক্টরে পাকিস্তানী সৈন্যদের সঙ্গে বিভিন্ন সংঘর্ষে আরাে ৩০ উনি ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব ভারতীয় সৈন্য মারা যায়।
কুমিল্লা-নােয়াখালী সেগরের গুলবানিয়ায় ভায়ন্তীয়া নতুন করে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সেখানে তাদের ১০ জন সৈন্য নিহত এবং তাদের দুটি হালকা মেশিনগান ও ৭টি রাইফেল আটক করা হয়েছে। ময়মনসিংহ সেক্টরে আরাে বিশজন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছে।
ভারতের নিয়মিত সৈন্য ও তাদের চরেরা এই সেক্টৱে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের হাতে তারা প্রচুর ক্ষতি স্বীকার করতে বাধ্য
মুখপাত্রটি আরাে বলেন যে, ভাৱতীয়রা দিনাজপুর জেলার পচাগড়ে প্রচও গোলাবর্ষণ করে। কিন্তু পরে তাদের প্রতিহত করা হয়। এই সংঘর্ষের বিস্তারিত বিবরণ এখনাে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ভারতীয়রা সারা সীমান্তে উত্তেজনা বজায় রাখে এবং ময়মনসিংহ জেলার বরমাণী, আকিপাড়া এ কমলপুর, দক্ষিণ সিলেট এলাকার কেরামত নগর ও ফুলতলা, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার কায়েমপুর ও যশােরের হিরণ, জীবননগর, ও বাকশায় গােলাবর্ষণ করে। মুখপাত্রটির মতে ভারতীয় সৈন্যরা গত ২৪ ঘন্টায় পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর উপর আক্রমণ ও প্রচণ্ড গােলাবর্ষণ করে। ভারতীয়দের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্ত যশাের। সেখানে দুই কোম্পানি ভারতীয় সৈন্য ট্যাংকের সাহায্যে চৌগাছা এলাকায় ইন্দার দিকে আরাে এগিয়ে বাবার চেষ্টা করে।
পাকিস্তানী সৈন্যরা তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। একই সেক্টরে ভারতীয়রা দুই কোম্পানী সৈন্য ও ট্যাংকের সাহায্যে শিমুলিয়া ও নগ্রামে আক্রমণ চালালে আমাদের সৈন্যদের সক্রিয় ঔ সময় মতাে কামানের গােলাবর্ষণে ভারতীয়রা পিছু হটতে বাধ্য হয়। মুম্বপাত্রটি বলেন, দুটি ভারতীয় কোম্পানী কুমিল্লা এলাকার চাদগাজীপুরে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে পাকিস্তানী সৈন্যরা তাদেরকে প্রতিহত করে। ৭।
অপরদিকে লে: জেনারেল নিয়াজীও বিদেশী সাংবাদিকের কাছে জানালেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এ সম্পর্কে দৈনিক পাকিস্তান জানালো ;
নিউইয়র্ক, ২৮শে নবেম্বর (এপিপি)।-পূর্বাঞ্চলীয় কম্যাণ্ডের কম্যাঞ্জাৱ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ, এ, কে, নিয়াজী গতকাল শুক্রবার ঢাকায় একজন বিদেশী সাংবাদিককে বলেছেন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে বলেই তিনি মনে করেন। গত ২১শে নবেম্বৰ ভারত যে আক্রমণ শুরু করেছে, তার কথা তিনি উল্লেখ করে বলেন তাদের যা কিছু আছে সব নিয়েই তারা আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ। হয়ে গেছে। জেনারেলের মন্তব্যগুলো গত শনিশ্বারের নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশ করা হয়। জেনারেল নিয়াজী বলেন, তাদের সৈন্যরা শােচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং মুক্তিবাহিনী ও শােচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তার একমাত্র যে সাফল্য আইনি করেছে তাহলো দেশের অন্তরে নিজেদের লােকনকে সন্ত্রস্ত করা।
জেনারেল বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী নেতৃত্ব দুর্বল এবং তাদের সৈনারাও দুর্বল। সংখ্যায় কম হলেও পাকিস্তানী সৈন্যরা ভারতীয়দের পর্যন্ত করেছে। পাকিস্তানের প্রতি
________________________________________
পাকিস্তানি সামরিক সরকার ও সেনা তৎপরতা
৪২৯ একজনের জায়গায় ভারতের সৈন্য তিনজনেরও বেশী। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানী সৈন্য অদ্বিতীয়’ । আমরা কখনাে পরাজিত হইনি। ইতিহাস দেখুন।
আমি চ্যালেঞ্জ করছি, ইতিহাসে আমাদের বিজয় ছাড়া আর কিছুই পাবেন না। আমরা কখনাে পরাজিত হইনি এবং ভারতীয়রা কখনাে জিততে পারেনি। আমি অতি সহজেই প্রতি একজনে তাদের তিনজনকে ধরে নিতে পারি । ১৪৮
এ দিকে সেনা কর্তপক্ষ ২২ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে ৭ ডিসেম্বর ঢাকার এম, পি, এ হােস্টেলে ৬ নম্বর সেক্টরের উপ-সামরিক আইন প্রশাসকের কাছে হাজির হওয়ার নির্দেশ জাৱী কালাে। সংবাদে বলা হলাে :
‘সারদা পুলিশ একাডেমীর প্রিন্সিপাল ও ভাইস-প্রিন্সিপাল সহ ২২ জন পুলিশ। কর্মচারীকে আগামী ৭ই ডিসেম্বর ঢাকায় এম, পি, এ হোষ্টলে অবস্থিত ৬ নং সেটরেন। উপ-সামরিক আইন প্রশাসকের নিকট উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে বলিয়া। গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকার এপিপি পরিবেশিত সংবাদে বলা হইয়াছে।
তাহাদের বিরুদ্ধে ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন পরিচালকের ১২০ নং আদেশের সহিত পঠিত এম এল আর = ২৫ বিধি অনুযায়ী অভিযােগ আনয়ন করা হইয়াছে।
‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল এ, এ, কে, নিয়াজী এম এল আর ৪০ বিধি অনুযায়ী প্রাপ্ত ক্ষমতা বলে নিম্নলিখিত ২২ জন পুলিশ অফিসারকে উপরােক্ত উপ-সামরিক আইন পরিচালকের নিকট হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়াছেন :
১। পঙ্কজ কুমার মল্লিক, ইন্সপেকটর অন পুলিশ, সাৱদা পুলিশ একাডেমী। ২। এস, আই, মােহাম্মদ বাদশা মিয়া, বরিশাল জেলা। ৩। এস, আই, সায়েদুজ্জামান, ও, সি, বেনাপােল সুন্নাশী বাড়ি। ৪। এস, আই, সামসুল আলম, সেকেণ্ড এস, আই, ঝিকরগাছা থানা। ৫। এস, আই, মাফিল উদ্দীন আহমদ, ও, সি, কোটোপুর থানী। ৬। এস, আই, কাঞ্চন কুমার ঘােষাল, সিনিয়র, এস, আই, ঝিনাইদহ কোর্ট। ৭। এস, আই, আবদুল হাকিম, থার্ড এস, আই, ঝিনাইদহ থানা। ৮। এস, আই, আবদুল মতিন, থার্ড এস, আই, মহেশপুর থানা। ১৯। এস, আই, আবদুল লতিফ, ও, সি, কালিগঞ্জ থানা। ১০। এস, আই, চৌধুরী আবদুর রাজ্জাক, ডি, আই, ও ঝিনাইদহ। ১১। এ, এস, আই, আবল গফুর, ঝিকরগাছা থানা। ১২। এম, অইি, ফজলুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা ১৩। এস, আই, মকবুল আহম, কুয়া জেলা। ১৪। এস, আই, মােঃ ইয়ার আলী, কুষ্টিয়া জেলা। ১৫। এস, আই, মফিজুল হক, কুষ্টিয়া জেলা। ১৬। আমন্ডি এস, আই, নূরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা। ১৭। সি, এস, আই, আজিজুর রহমান, কুষ্টিয়া ®েলা। ১৮। ইন্সপেকটর ক্ষিতিশ চন্দ্র দে, কুষ্টিয়া জেলা। ১৯। শৈলেন্দ্র কিশাের চৌধুরী, ভাইস-প্রিন্সিপাল সাৱদা পুলিশ একাডেমী। ২০। বজলুর রহমান এস, পি, পার্বত্য চট্টগ্রাম।
________________________________________
২১। মােশাররফ হােসেন ডি, আই, জি, মন। ২২। আবপুল খালেক পি, এস, পি । প্রিন্সিপাল, সারদা পুলিশ একাডেমী। | তাহাদিগকে আগামী ৭ই ডিসেম্বর সকাল ৮টায় হিপের বিরুদ্ধে আনিত উপরোক্ত অভিযোগের পালাবদানের জন্য নয়, সেনটরের উপ-সামরিক আইন প্রশাসকের নিকট হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। তাহারা যদি নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে হাজির হইতে ব্যর্থ হনতাহা হইলে তাহলে অনুপস্থিতিতে ৪০ নং সামরিক আইন বিধি অনুযায়ী। তাহাদের বিচার করা হইবে।”AH৯
লে: জেনারেল , এ, কে নিয়াজী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে, সিলেট সফর করেন। এ সফরকালে সিলেটে আয়োজিত এক জনসভাতেও তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। তিনি জনসভায় বলেন, “গীৱবােজ্জ্বল ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করা হইবে।
| ‘সিলেট, ১লা ডিসেম্বর (পিপিআই) – এখানে অনুষ্ঠিত এক বিরাট জন সভায় এই মামো ঘােষণা করা হয় যে, ১৯৪৭ সালে গণভোটে সিলেটবাসী তথাকথিত বাংলাদেশের পক্ষে নহে, পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেয় এবং মাতৃভূমি রক্ষার জন্য সিলেটবাসী তাহাদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত বিসর্জন দিবে।
সিলেট উ9 জনসভায় পূর্বাঞ্চলীয় কমান্সের কমাজার এবং ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল এ, এ, কে, নিয়াক্সিী প্রধান অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন। সীমাপের অনতী এলাকার সেনাবাহিনী লির্শনের জন্য তিনি সিলেট আগমন
সতায় উপস্থিত না ভারতীয় অাক্রমণের নিন্দা করিয়া এবং সেনাবাহিনীর প্রতি তাহাদের সমর্থনের বিষয় উল্লেখ কনিষ বিভিন্ন শ্লোগান প্রদান করে।
জাতা : নিয়াজীকে এক অঞ্জ কোরান শরীফ উপহার দেয়া এবং তাহাৱা পবিত্র কোরানের নামে শপথ করিয়া সেনাবাহিরি সহযােগিতায় মাতৃভূমি রক্ষার অঞ্চিার করে।
উক্ত সভায় সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জনাব আজমল আলী ভারতীয় আক্রমণ ও হস্তক্ষেপের নিন্দা করিয়া বক্তৃতা করেন।
| জনতার উদ্দেশ্যে এজতা প্রসঙ্গ : নিয়াজি। বলেন যে, যে কোন মূল্যে মাতৃভূমি রক্ষায় সেনাবাহিনী এখন তিও এ কোন এলাকা হইতে পশ্চাদপসরণের কোন প্রশ্নই উঠে না।
তিনি বলেন , কর সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে আমাদেরকে পরাভূত করা যাইবে। মা । আমরা সব সময় সংখ্যায় অল্প এবং সব সময় বিজয়ী হইয়াছি। আমরা আমাদের সেই অতীত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করিব।
সবশেষে জে; শিল্পাঞ্জী পথশ্রেষ্ট ও ভারতীয় হাতের কড়ক বানির জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাহাদের হীন কার্যকলাপ বন্ধ করিয়া গম আহণেরয় এখনই সময় আছে। তাহারা যদি সঠিক পথ অনুসরণ না হয় তবে তাহারা ধংস হইবে বলিয়া তিনি উল্পেখ করেন।
ইতিপর্বে সীমান্ত এলাকায় সৈন্যদের পরিদর্শনকালে জেনারেল নিয়াজী দারুণ প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে তাহাদের সাহস এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের প্রশংসা করেন। তিনি
________________________________________
সৈন্যদেরকে বলেন যে তাহারা তাহাদের গৌরবদীপ্ত ঐতিহ্যের মান বজায় রাখিয়াছেন। সৈন্যদেরকে কে নিয়াজী জানান যে, তাহাদের পশ্চাতে দেশবাসীর এবং মুসলিম বিশ্বের সমর্থন এবং সহানুভূতি রহিয়াছে।
৩ ডিসেম্বর সেনা সরকারের আর একটি আদেশ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারী করা হলাে। চিঠিতে ‘প্রতিষ্ঠানসমূহে বােমা বিস্ফোরণের দায় দায়িত্ব সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানকেই বহন করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। চিঠিতে বলা হলাে :
GOVERNMENT OF EAST PAKISTAN EDUCATION DEPARTMENT
GENERAL SECTION 10, 6/1.0.137.1940s Eain.
dated the 3.12.71 From Mr. Zainul Abedin, EPSS, Section Officer, Govt. of East Pakistan. “
2) The Vice-Chancellor. Dacea University. The undersigned Is directed to say that it has come to the notice of Government that in spite of necessary security arrangement bomb blasts take place often in the Educational Institutions Government Lake Serious view of this and have decided that all the Head of the Educational Institutions in the Province both Government and private should be intimated that they would be held personally responsible if any bomb blast takes place within their institutions in future
Sd/ Zainul Abedin
Section Officer (GS) Wানাবাে নিকা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ময়মনসিংহও সফর করেন। এখানে আয়োজিত এক জনসভায় জেনারেল নিয়াজী জানালেন, ‘রক্ত নিয়ে প্রতিষ্ঠিত দেশ ধ্বংস হতে পারে না’। মনসিংহে নিৰাজী জায়ান ও রাজাকানাে সমাবেশে বক্ত. করেন। এ সফর প্রসঙ্গে পাকায় বলা হলাে :
গতকাল শুক্রবার ভারতীয় হামলার নিন্দা জ্ঞাপন এবং যে কোন মুল্যে তার বাহিনী সহযোগিতায় আবাসভূমি রক্ষার জন| সংকর পাশের উদ্দেশ্যে ময়মনসিংহ এক বিরাট জনসঙ্গা অনুষ্ঠিত হয়। এপিপির খবরে প্রকাশ, ময়মনসিংহ শান্তি কমিটি আয়ােজিত এই সস্তায় পূর্বাঞ্চলীয় কমাাকের কম্যআয় ও খ’ অালের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জে: এ, এ, কে নিয়া প্রাদেশিক অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল কাশেম এবং পূর্ত বিজলী ও সেচ ময়ী জনাব এ, কে, মােশাররফ হােসেন ভাষণ নেন।
| সন্ধ্যায় তাল পাল প্রসঙ্গে লে: জে: এ, এ, কে, নিয়াজ জলাবারণের তথয়তা ও উপনার প্রশংসা করে বলেন যে সর্বত্রই জনগণ অঞ্চল মনে তার ব্যক্ত করছে এবং যে কেন ল| দৈন আজ শাককরন পুরােপুরি সংকগুণ।
তিনি বলেন, রক্ত দিয়ে যে দেশের বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠিত তা ধ্বংস হতে পারে না। তিনি জনসাধারণকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ইনশা আল্লাহ জয় আমাদেরই হবে। কেননা আমরা বেকার জন্য ওই করল।
________________________________________
*
| তিনি জনসাধারণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে ভারত তার অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ এবং সম্প্রসারণবালা | চরিতার্থ কার উদ্দেশ্যে দেশের এই অংশকে পাস করার জন্য। যথা সাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
সশেষে জেনারেল নিয়াজী জামালপুর এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানে সৈনিক ও রাজাকারদের এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি তাদের বীরত্বপূর্ণ কাজের প্রশংসা করেন। এবং ক্লাসের আশ্বাস দেন যে গােটা জাতি তাদের পেছনে রয়েছে। ১৪। | এ দিকে সেনা সরকার অনুষ্ঠিতব্য উপ-নির্বাচন স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করলাে। সংবাদে বলা হলাে :
“ইসলামাবাদ, ৬ই ডিসেম্বর, (এপিপি)। – নির্বাচনী কমিশন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আজ পূর্ব পাকিস্তানের উপ নির্বাচন স্থগিত ঘােষণা করিয়াছেন।
নির্বাচনী কমিশনের উক্ত ঘোষণায় বলা হয় যে, যুদ্ধের দরুণ নির্বাচন কমিশন পূর্ব কিস্তানের সকল প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষলের উপ মিশন স্থগিত রাখিয়াছেন।
উক্ত নির্বাচন ৭ই হইতে ২০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরিবর্তিত তারিখ যথা সময়ে ঘােষণা করা হইবে বলিয়া উহাতে বলা হয়।”১৫৩
পাক-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সংৰাপ জানা যায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ৭ ডিসেম্বর সংখ্যায়। সরকারি হ্যান্ডআউট উল্লেখ করে পত্রিকা বলা হলাে :
‘ইসলামাবাদ, ৬ই ডিসেম্বর (এপিলি)। – আজ পাকিস্তান সরকার ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করিয়াছেন। আজ অপরাজে প্রকাশিত এক সরকারি হ্যায় আউট বলা হয় যে, ভারত সরকার তথাকথিত বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি পান করায় সম্পর্ক ছিন্ন করা হইয়াছে। ভারতে মুক্ত সুইচ দূতকে ভারত পাকিস্তানের বিষয়পি দেখার দায়িত্ব। প্রদান করা হইয়াছে।
মার্কিন কর্মকর্তা কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের সমালোচনা ওয়াশিংটন হইতে রয়টারের স্বরে বলা হয়, মার্কিন সরকারী কর্মকর্তারা আজ ভােরে। এখানে বলেন যে, ভারত কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দানের ফলে। উপমহাদেশের অবনতিশীল পরিস্থিতি সুস্পষ্টভাবে আরও এক ধাপ খারাপ হইল উঠিবে। জনৈক কর্মকর্তা বলেন, তাহারা অবশ্য তার এই উদ্যোগকে কোন গুরুতর না পায়। বলিয়া মনে করেন না। কেননা পাক-ভারত সম্পর্ক গত কয়েকলিন যাবৎই অত্যন্ত খারাপ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনৈক কর্মকর্তা বলেন যে, মার্কিন সরকার সরকারীভাবে অবহিত না হওয়া পর্যন্ত ‘তাহৱাি ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তক বাংলাদেশ। সরকারকে স্বীকৃাদানের ঘােষণা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে অপারগ। ভারতীয় কূটনীতিকরা সকল সুবিধা ভােগ করিতেছে রাওয়ালপিণ্ডি, ৬ই ডিসেম্বর (এপিপি) রাজনৈক সরকারী মুখপাত্র আজ এখানে বলেন যে ভারতীয় কূটনীতিকদের সাতটি বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হইয়াছে। উক্ত ব্যবস্থা
________________________________________
তাহাদের ইন্দানুযায়ী করা হইয়াছে। সাবেক হাই কমিশনার জে; কে অটলের অধিকার যে ভবনটি ছিল তিনি সেখানেই বাস করিতেছেন। ভারতীয় কূটনীতিকদেরকে তিনটি শুনে আটক করিয়া রাখা হইয়াছে বলিয়া ভারতীয় বেত্তাত্রে যে উক্তি না হয় উক্ত মুখপাত্র তাহা অস্বীকার করেন।
পাকিস্তান সবার তাহাদের নিরাপত্তা এবং দেখাশুনার কাজ করিয়েছেন। সাবেক ভারতীয় হাই কমিশনার কর্মচারীদের খাদ্য দ্রব্য সংগ্রহের এবং মেডিক্যাল সুযােগ সুবিধা রহিয়াছে। সাবেক হাই কমিশনার নিজে স্বীকান্ত করিয়াছেন যে তাহাৱা কোনপ শালাক কষ্ট বা অসুবিধা ভোগ করিতেছেন না। উক্ত মুখপাত্র বলেন, নয়া দিল্লীস্থ পাকিস্তানী কূটনীতিকদের নিরাপত্তা সম্পর্কে কোন সংবাদ পাওয়া যায় নাই।”১৫৪।
এ দিকে গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকলে সঙ্গে কথা বলেন। এ সৰ্কে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় প্রকাশিত বিশাল প্রতিবেদনে বলা হলাে :
| “পূর্ব পাকিস্ত্রানের গর্বের সামরিক উপদেষ্টা মেজর রোনারেল রাও ফরমান আলী গতকাল সােমবার ঢাকায় বলেন, “বেশ দীর্ঘ সময় ধরে ভারতের আক্রমণের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ চালাতে সম্পূর্ণ সক্ষম।
এপিসির সময় বার্তা পরিবেশক ইকবাল আলী খান এ খবর প্রদান করেন। সাংবাদিকদের সাথে এক ঘরােয়া বৈঠকে জেনাৱেল ফরমান আলী বলেন : আক্রমণকারীকে পৰাজিত করার জন্যই আমরা এখানে আছি। আমাদের সরবরাহ লাইন যাতে নিশ্নি থাকে তার প্রতি লক্ষ্য রালী হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানকে করতলগত রাখতে পারবেন কিনা এ সম্পর্কে একি বন বিদেশী সংবাদদাতা তাকে জিজ্ঞাসা করলে বেনাৱে তার জবাবে বলেন, কেন পারবেন? এ। সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ আস্থাবান। আর সেকারণেই আপনারা আমার মুখে হাসি দেখছেন। মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী বলেন, সাধারণ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সশন্ত্র বাহিনীকে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ চালাতে হয়। এ ধরণের পরিস্থিতিতে অনত্রী আনস্থানের পতন কাটলে পরবর্তী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা খুবই মুশকিল হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ল্লিনি বলেন যে শর অগ্রাভিযান যাতে চরমভাবে স্তব্ধ করে দেয়া যায় তার জন্যে আমাদের নিজেদের পছন্দমত জায়গায় শত্রুকে বাধা দান করাই হলাে পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধরত পাকিস্তানি সৈন্য বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন যে, পাকিস্তানী এলাকা দখলে ভারতীয় নারী তোপহীন। কারণ ভ্রা আমাদের যুদ্ধ কৌশলেই একটা অংশ।
তিনি যশাের, লাকসাম ও আখাউড়া পাকিস্তানী সেনাদলের দ্য নিয়ন্ত্রণে আছে বলে অর্থহীনভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যশাের কোন দিনই শত্রুর কবলিত হয়নি। “শাে যদি শ কবলিত হই তবে তা ৮৫ হাজার পরই মা হয়ে’, দু’দেশেরই বিশ্ব সমরের ন্যায় যুদ্ধ চালানাের সামর্থ নেই পাকিস্তান সশস বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বলে তিনি উড়ে কারন। তিন বলেন যে স্বিীয় বিশ্বযুদ্ধের ন্যায় একটা যুদ্ধ চালানোর সময় ভারত ও পাকিস্তান দুদেশেরই নেই।
________________________________________
| তিনি বলেন যে পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় হামলা প্রতিহত কৰাৰঃ গেলে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাদের মাতৃভূমিকা আঞ্চলিক অন্ততা রক্ষা ছাড়া আর কিছু সস্তা করে না। জিলির যুদ্ধ তিনি বলেন যে হিলিতে রেল লাইনের পাশে ভারতীয়দের কোনই এখতিয়ার নেই। হিলিতে গত ১৪ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে। রেলওয়ে লাইন হলাে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত রেখা। ভারতীয় নৌবাহিনীর চট্টগ্রামে পেীছার চেষ্টা জেনারেল বলেন যে, গত রােববার ভারতীয় নৌবাহিনী তামাম উপনীত হওয়ার চেষ্টা চালায়। আমাদের নৌযান তাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। একজন প্রশ্নকারীর জবাবে তিনি বলেন যে, কুমিঞ্চ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ভেনারেল বলেন, ফেনীতে পাকিস্তান সেনাপজ বুক চালাচ্ছে। চট্টখামকে শিখি করতে হয় তিনি জানান যে নারী গ্রামের সাথে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চায়। কিন্তু সেখানে আমাদের সেনাৱা ৰীৰত্বপূর্ণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। | মেজর জেনারেল এক খান বিলে সাংবাদিককে জানান যে বর্তমানে টাকা বিপন্ন জাতিসংঘ কর্মচারীদের অপসারণের জন্য এই ডিসেম্বর তারিখে ঢাকায় সামরিক তৎপৱা বন্ধ পাখার ব্যাপারে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জাতিসংঘের অনুরোধে সম্মত্ত হয়। কিন্তু ভারতীয় জঙ্গী বিমান »া বিমান বন্দরে আক্রমণ চালিয়ে তাদের ঢাকা ত্যাঞ্জেয়া পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয় বলে ত্রিনি উল্লেখ করেন। তিনি তিহাস্যে বলেন, ঠিক জানিনা কেন ভারতীয়রা এমন কাজ করলাে। আমি কাচারীরা ঢাকা ত্যাগ করা হতো চাহনী। রানওয়েতে একটা গর্ত সৃষ্টি হয়েছে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে আজ ঢাকা বিমান বন্দরের রানওয়েতে একটা গর্ত সৃষ্টি করা ছাড়া হামলাকারী ভারতীয় বিমানসমূহ বিশেষ কোনই সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। “এতক্ষণ নিয়ে হয়তো মেরামতও বরুরা হয়ে গেছে বলে তিনি জানান। তিনি আরাে কলেন মে ১৯৫৭ সালের জুন যুদ্ধে ইসরাইল যেমনটি করেছিল তেমনভাবে ভূমিঞ্চে রাখা পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বিমানসমূহ ধ্বংস করাই ভারতীয় বিমান বাহিনীর ব্যয় বার ঢাকা বিমান বন্দরের ওপর আঘাত হানার প্রধান লক্ষ্য।
জাতিসংঘের দুটো এবং অপর একটা টুইন বিমান ছাড়া ভান্ডীয় ভূমিতে রাখা পাকিস্তান বিমান বাহিনীর আর একটা বিমানের ওপর আঘাত হানতে পারেনি। বিমান বিধ্বংসী কামাল সমূহ, চমৎকার কাজ শুনেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মেজর জেনারেল রাও ফনামান আলী বলেন যে ৪ঠা ডিসেম্বর তারিখে ঢাকায় হামলাকার ভারতীয় অঙ্গ। বিজ্ঞান সমূহের যে দুর্গতি হয়েছে তাতে অবশ্যই আক্রমণকারীর একটা উপযুক্ত শিক্ষা হয়েছে। তিনি বলেন যে গতকাল (সােমবার) বিকাল নাগাল পূর্ব পাকিস্থানে ১৬টি ভারতীয় বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি হয়
________________________________________
বিমান বিধ্বংসী কামান দিয়ে গুলি করে ভূপাতিত করা হয় ও অপর ১০টি পি, এ, এফ বিমান ভূপাতিত কয়ে। ক্ষতিগ্রস্ত অপর ৫টি ভারতীয় বিমান অবশ্য ভারতে পাড়ি জমাতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে ২টি বিমান চট্টগ্রাম এলাকায় পাকিস্তান নৌবাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত
মোর জেনারেল রাও ফরমান আলী বলেন যে ভারত কর্তৃক তিনটি মুখ্য সাফলাকে ভৱিই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার বড় ধ্যানের হামলায় বিরাট-সাফলা বলে প্রচার কমছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রয়ােজনীয় সকল পাটা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে তিনি জানান। উত্তর ময়মনসিংহ উত্তর ময়মসিংহ এলাকায় কৌশলগত যুদ্ধ চলছে বলে মেজর জেনারেল জানান। তিনি বলেন যে কামালপুর ছেড়ে যাওয়ার পূর্বে পাকিস্তান সেনানা ভারতীয় পক্ষের ৬ থেকে ৭ গুণ অধিক লােককে হতাহত করে। ঠাকুরগী এলাকায় বরাবরই ভারতীয়দের মূল অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
ভরিতীয় সেনা অতি সহজেই ঢাকায় ঢুকতে পারবে কিনা, এ মর্মে একজন বিদেশী সাংবাদিক প্রশ্ন করলে মেজর জেনারেল বলেন, ‘ফাজিলকা অতিক্রম করে নিঃীর দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে শহঙ্গ যেমন অামাদের জন্য বাধা স্বরূপ, তেমনি ব্রহ্মপুত্রও একটা চমৎকার বাধা।” সিলেট এলাকা ভারষ্টীয়রা এ এলাকায় যে সাফল্য লাভ করেছে, তা পুনর্দখল করার জন্য সিলেটে যুদ্ধ চলছে বলে তিনি জানান। এ এলাকায় ভাৱত ৩ ডিভিশন সৈন্য মােতায়েন করেছে। তিনি আরাে জানান যে অাউড়া ও কুমিল্লার দক্ষিণবতী লাকসামের বিপরীত দিকে অবস্থিত চৌদ্দগ্রাম নামক এলাকায় ভারতীয় সৈন্য চাপ সৃষ্টি করছে। দুষ্কৃতিকারীদের তৎপরতা বন্ধ হয়ে গেছে জেনারেল ফরমান আলী বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সর্বাত্মক যুদ্ধের পর রাষ্ট্র বিরােধী ও দুষ্কৃতিকারীদের তৎপরতা বর্তমানে প্রকৃতপক্ষে স্তব্ধ হয়ে গেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাফল্য, বিশেষ করে ঢাকার আকাশে পাকিস্তানী বৈমানিকদের বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধে। জনসাধারণ মােটামুটি উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে। ঢাকায় ছত্রী সৈন্য প্রেরণ সহজ নয়। পূর্ব অংশের প্রধান নগরী ঢাকা দখলের পথ সুযােগ করার ব্যাপারে ঢাকায় ভারতীয়দের ছত্রী সৈন্য অবতরণের সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জেনারেল ফরমান আলী বলেন যে, এটা খুব সহজ নয়। তিনি এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন যে, জার্মান ছত্রী সৈন্য অবতরণ করানাে হলে বৃটেনকেও এমন হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছিল । কিন্তু বৃটেন আজো টিকে আছে বলে জানান।
তিনি বলেন, স্থায়ী হবে বলেই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাজ্জিান বিরােধীরা মনে করেছিল যে, পাকিস্তান ৬ মাসের বেশী টিকবে না। কিন্তু পাকিস্তান ২৫ বৎসর কাল টিকে আছে এবং ভবিষ্যতেও টিকে থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।১৫৫
________________________________________
ডিসেম্বর মাসের গোড়ার দিকে যুদ্ধ যখন পুরােদমে চলছে এখনও দালাল মন্ত্রী পরিষদ শিক্ষানীতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সিদ্ধান্তে কতিপয় পাঠ্যপুস্তক ঢেলে সাজাবার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ সম্পর্কে সংবাদে বলা হয় :
“পূর্ব পাকিস্তান সাকারের গণসংযােগ বিভাগের এক হ্যাণ্ড আউটে বলা হয়। বর্তমানে চালু ১ম শ্রেণী হইতে ১২শ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকসমূহ পর্যালােচনার জন্য কিছুদিন পূর্বে পূর্ব পাকিঝান সরকার জনাব এ, এফ, এম আব্দুল হকের নেতৃত্বে ২০ সপা বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করিয়াছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে কমিটি উহার রিপাের্ট পেশ করে এবং গত ৮ই নভেম্বর মন্ত্রীপন্নিাথদের এক সভায় রিপাের্ট বিবেচনা করা হয়। কিন্তু পরিবর্তনের পর রিপাের্ট অনুমােদিত হয়।
এই রিপাের্টের সুপারিশ অনুযায়ী আগামী শিক্ষাবর্ষ হইতে কিছুসংখ্যক পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করা হইবে এবং বাস বাকী বইগুলি ইসলামী মূল্যবােধের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি এবং পাকিস্তানের আদিলগত ভিত্তি তুলিয়া ধরা না ঢলিয়া সাজানো হইবে।
মন্ত্রীপরিষদের সভায় এই মর্মেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ভবিষ্যতে সকল পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন শ্রেণীতে পাঠ্য করার পূর্বে সকল পাঠ্যপুস্তুক ন্যাশনাল একাডেমী অব পাকিস্তান এ্যাফেয়ার্স কর্তৃক অনুমােদিত হইতে হইবে। আরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, পূর্ব পাকিস্তান স্কুল টেক্সট বুক বাের্ডের কার্যক্রমের উন্নয়নের জনা উপযােগী ব্যবস্থা গ্রহণ হইবে।”১৫৬।
এ দিকে এক সরকারি হ্যান্ড আউটে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘােষণা করা হয়। ঘোষণায় শিক্ষকদেরকে সিভিল প্রতিরক্ষা ও সামাজিক কাজে যুক্ত থাকা এনিং, এজন্য সিভিল প্রতিরক্ষার দায়িত্বপূর্ণ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়১৭।
জেনারেল নিয়াজী আবারাে বিদেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন। কিন্তু প্রেক্ষাপট ছিলাে ভিন্ন । বিদেশী প্রচার মাধ্যমে নিয়াজী অবরুদ্ধ বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন- এমন একটি সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টালে এসে হাজির হন। পএিকায় বলা হলো :
| ‘তকাল শুক্রবার পূর্বাঞ্চলীয় কমাতের নামাজয় ও ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক প্রশাসঃ লে: জেনারেল এ, এ, কে নিয়াজী আকস্মিকভাবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গিয়ে উপস্থিত হন এবং জিমে কেন বিদেশী সাংবাদিকরা বিশেষ করে বিবিসির প্রতিনিধি কোথায় আছেন?
তিনি বলেন তাদের সকলকে আমি নিয়ে পিওে চাই যে, সর্বশক্তিমান আল্লাহর অনুগ্রহে আমি এখনও পূর্ব পাকিস্তানে থেকে আমার সেনাবাহিনীকে পরিচালনা করছি। আমি জানি আমার সেনাবাহিনীকে ছেড়ে যাবনা” বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পূর্ব পাকিস্তান থেকে তার অস্তিন সম্পর্কিত ভারতীয় বেতারের সূরভিসন্ধিমূলক বিপোর্ট বিবিসি থেকে প্রচারিত হওয়ায় তিনি দুখ প্রকাশ করেন। কয়েকজন সাংবাদিকদের সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে জেনারেল হােটেল ত্যা করে। ভারতীয় বেতারে জেনাHেণ মিত্র পূর্ব পাকিস্তান থেকে চলে গেছেন বলে যে নি মিথ্যা সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তাতে বিদেশী সাংবাদিকদের মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি ইন্টার কনোল হােটেল পণিন করায় সকল গুজবের অবসান হয়েছে। এপিপির জনৈক হিশেষ প্রতিনিধি এই সংবাদ পরিবেশন করেছেন।১৫৮
________________________________________
কিন্তু তারপর? অতঃপর ১৬ ডিসেম্বর লেঃ জেনারেল এ, এ, কে, নিয়াজীর সমলৰলে মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন।
তথ্য নির্দেশ
আশমী প্রকাশনী, ১৯৯৮), পূ৫-৫৭ ২. সিডনি শৰণ, কটলাইল বাংলাদেশ : ইনি সেভেস্টিওয়ান, মফিকুল হক অলি, চাকা । | সাহিত্য প্রকাশ, ১৯৯৫), পৃ- ১৭-১৯ ৩, সেলিনা হােসেন, একাত্তরে সাকা (ডা: আহমদ পাবলিশিং অফিস, ১৯৯৭), পৃ. ২৩। ৪, সেলিনা হােসেন, ২৪ এ কিম্বারিক, সুকুমার বিশ্বাস, বংলাদেশ : মুক্তিযুদ্ধের গাল মিস, ৬৭, ৬৯ ৬, কুমার বিশ্বাস, এককাজে বাধাকুম ও গণকবর (ঢাকা: অনুপম প্রকাশনী, ২০০০), ৮ ৭, দৈনিক আজাদ, ৫ এলি ১৯৭১ v, দৈনিক জন, ৬ এল ১৯৭১ ৯. দৈনিক আজান, ৬ এপ্রিল ১৯৭১ ১০, দৈনিক আজাদ, এপ্রিল ১৯৭১ ৯৯, সৈনিক আজাদ, ৭ দিন। ১৯৭১ ১৯, দৈনিক আজাদ, ১০ এপ্রিল ১৯৭১ ১৩, দৈনিক জালান, ১০ এপ্রিল ১৯৭১ ১৪, দৈনিক আজাদ, ১৯ এপ্রিল ১৯৭১ ১৫. দৈনিক আজাদ, ১৪ এলিল ১৯৭৯ ১৬. দৈনিক পাকিস্তান, ১৬ এপ্রিল ১৯৭১ ১৭, দৈনিক আজাদ, ১৮ এপ্রিল ১৯৭১ ১৮, দৈনিক আজাদ, ১৯ এপ্রিল ১৯৭১ ১৯. দৈনিক পাকিস্তান, ২১ এপ্রিল ১৯৭১ ২৫, দৈনিক পাকিস্তা, ২১ এপ্রিল ১৯৭১ ২৯, দৈনিক আজাদ, ২৯ এপ্রিল ১৯৭১ ২২. দৈনিক আজাদ, ইম, এলি ১৯৭১ ২৩, দৈনিক আজাদ, ২৫ এপ্রিল ১৯৭১ ২৪, দৈনিক আজি, ২৭ কি ১৯৭১ ২৫, দৈনিক আজ, ২৭ এপ্রিল ১৯৭১ ২৯, দৈনিক আজাদ, ২৯ জিল ১৯৭১। ২৭, দৈনিক আজলি, ২৯ একিল ১৯৭১ ২৮, দৈনিক আজাদ, ৩০ এপ্রিল ১৯৭১ ২৯, সৈনিক আলি, ১ মে ১৯৭১ ৩০, দৈনিক আজল, ১ মে ১৯৭১ ৩১. সৈনিক আজল, ১ মে ১৯৭১ ৩৯. দৈনিক আজাদ, ২ মে ১৯৭১ ৩৭, দৈনিক আজাদ, ২ মে ১৯৭১ ৩৯. দৈনিক আজাদ, ২ মে ১৯৭১ ৩৫. দৈনিক আজান, ৩ মে ১৯৭১ ৩৯, দৈনিক আজ, ৩ মে ১৯৭১ ৩৭. ফনিক আজাদ, ৬ মে ১৯৭১
________________________________________
৮. সৈনিক আজাদ, ৪ মে ১৯৭১
৩০, দৈনিক আজাদ, ৭ মে ১৯৭১ ৪১. দৈনিক আজাদ, ৬ মে ১৯৭১ ৪২. দৈনিক পূর্বদেশ, ৭ মে ১৯৭১ ৪৩, দৈনিক আজাদ, ৭ মে ১৯৭১ ৪৪, দৈনিক আজাদ, ৮ মে ১৯৭১
৫. সৈনিক আকাশ, ১০ মে ১৯৭১ #%. দৈনিক আজাদ, ১০ মে ১৯৭১ ৪৭. সৈনিক হল, ১০ মে ১৯৭১ =৮, দৈনিক আম, ১৬ মে ১৯৭১ ফজ সৈনিক আজাদ, ৯১ মে ১৯৭১ ৫০, দৈনিক আকাশ, ১২ মে ১৯৭১ ৫১, দৈনিক আজান, ১২-১৬ মে ১৯৭১ ৫২. নৈ আজন, ১৪ মে ১৯৭১ ৫৩, দৈনিক আজ, ১৪ মে ১৯৭১ ৫৪, দৈনিক কাল, ১৫ মে ১৯৭১ ৫৫. দৈনিক আজাদ, ১৬ মে ১৯৭১ ৫৬. দৈনিক আজাদ, ১৭ মে ১৯৭৯ ৫৭. নৈক মজ, ১৮ মে ১৯৭৯ ৫৮.নৈক কাজল, ১৯ মে ১৯৭১ ৫৯. দৈনিক অন, ১৯ মে ১৯৭১ ৬০, দৈনিক আজা, ২১ মে ১৯৭১ ৬১. দৈনিক পূর্বদেশ, ২১ মে ১৯৭১ ১২. দৈনিক আনন্দ, ইম, মে ১৯৭১ ৬০, দৈনিক আজান, ২৪ মে ১৯৭১ ৬৬, দৈনিক পূর্বদেশ, ৩০ মে ১৯৭১ ৫. দৈনিক আজাদ, ১ জুন ১৯৭১
৯, দৈনিক আজল, ৩ জুন ১৯৭১ ৯, ল মনিং কি, ৫ জুন ১৯৭১
s, দি অনিং কি , ৭ জুন ১৯৭১ ৭১ দৈনিক আজাদ,
৮ ৯১
তি, দৈনিক আজাদ, ৯ জুন ১৯৭১ ৭. সৈনিক আw, ৯ জুন ১৯৭১।
৫. দৈনিক আজাদ, ৯০ জুন ১৯৭১ ৭৬ সৈনিক আজাদ, ১০ জুন ১৯৭১ ৭৭ সৈনিক আ , ৯৯ = ১৯৭১ ৭৮. দৈনিক আজাদ, ১৫ জুন ১৯৭১
________________________________________
৯. ফ্রনিক আজহাল, ১৭ জুন ১৯৭১ ৮ঠ, দৈনিক আজাল, ১৮ জুন ১৯৭১ ৮১, নৈক আলাল, ১৯ জুন ১৯৭১ ৮২. দৈনিক তরল, ২২ ফু ১৯৭১ ৮৩. দৈনিক অকাল, ২৪ জুন ১৯৭১ ৮৪, দৈনিক আজান, ২৫ জুন ১৯৭৯ ৮৫, দৈনিক আজাদ, ২৬ জুন ১৯৭১ ৮৬. দৈনিক আজাদ, ২৭ জুন ১৯৭১
৭ দৈনিক আজাল, ২৮ জুন ১৯৭১ ৮৮. দৈনিক আজাদ- এ জুন ১৯৭১ br৯, দৈ»ি আজাদ, ম৯ি-২০১০ জুন ১৯৭১ ৯০, দৈনিক আজাদ, ৩০ ফু ১৯৭১। ৯১. দৈনিক পাকিস্তান, ৫৯ জুলাই, ১৯৭১ ৯১. দৈনিক পকিন, ৯ জুলাই ১৯৭১
৩. দৈনিক পাকিস্তান, ১১ জুতই ১৯৭১ b৪, দৈনিক পাকিস্তান, ১৯ জুলাই ১৯৭১
৫, দৈনিক পাকিস্থান, ২৬ জুলাই ১৯৭১ ৯৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র সল্প আ, হাসান হাফিজুর রহমান সম্পানি ও {\া।
গণপ্রজাও ব্যাংলাদেশ সরকা, এখ| আশায়, ১৯৮4). “, ১৬ a৭ প্রাঞ্জ, . ১৭, ৯৮, দি মনির মিউজি, ৩১ জু ১৯৭১ ৯৯. নি এনিং নিউজ, ৩১ জুলাই, ১৯৭১ ১০০, বাংলাদেশের সাধনা যুদ্ধ দলিল পত্র : সপ্তম খণ্ড, , ৫১৮ ১০১, ১৯4 পাকিস্তান, ৭ আগষ্ট ১৯৭১ ১০৪. বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিপ অন্ত, পৃ. ২১ ১০. ঙ্কজ, পূ, ৪২১ ১৪, দৈনিক পকিন, ১৯ আগস্ট ১৯৭১ ১০৫. দৈনিক পাকিস্তান, ২১ আগস্ট ১৯৭৯ ১৩ সৈনিক পাকিস্থান, ১৮ আগস্ট ১৯৭১ ১০৭, কৈ পাকিস্থান, ২১ আগস্ট ১৯৭১ ১০৮ লৈনি পাকিস্তান, ২১ আগস্ট ১৯৭১। ১০. দৈনিক পানি , ২৪ আগষ্ট ১৯৭১ ১১০. দি মানি নউজ, ৩১ আগস্ট ১৯৭১ ১১১, সৈনিক পাকিস্তান, ২ সেক্ষের ১৯৭১ ১১৪, দৈনিক পাকিস্থান, ৭-৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ১১.৩. এ এল বিস্তানি হয় দৈনিক পাকিস্তান, এ মেটেখন ১৯৫১ ১১. সৈনিক পাকিস্তান, ৩ সেরে ১৯৭১ ১১৫. দৈনিক পকিস্তান, ৮ সেন্টের ১৯৭১ ১১৬, বাংলাদেশের স্বাধীনতা গুদ : দলিল, সপ্তম খণ্ড, পৃ ৫১৬। ১৯৭, প্রাগুক্ত, পৃ. ৫১৫ ১১৮. সনিক পাকিস্তান, ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ১১৯, স মর্ণিং নিউজ, ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
________________________________________
৯২০, দি আনং নিউজ, ১৪ মে ১৯৭১ ১২১. ঠনিক শাকিস্তান, ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ১৯৯, লি আমি নিউজ, ১৮ সেলের ১৯৭১ ১২৩, পি মনিং নিট, ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ১২. মর্নিং নিউজ, ২২, সেক্ষেও ১৯৭১ ১২৫, চিন মলিং নিউজ, ২৩ সেটম্বর ১৯৭১ ১২. ফানা গুঞ্চলিল সপ্তম খণ্ড, পৃ. ৬৯২ ১২৭, লাগুক্ত, পৃ. ৯১৩ ১২৮, দি মসিং নি, ১৩ অক্টোবর ১৯৭১ ১২৯. আৰীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র সপ্তম অষ্ট, . ১৯১৮ ১৩০, সৈ’ পাকিস্তান, ১০ অক্টোবর ১৯৭১। ১০১, ৭ মনিং নিউজ, ২১ অক্টোবর ১৯৭১ ১৩৪, ৯ মর্নিং নিউজ, ২৮ অক্টোবর ১৯৭১। ১৩৭, দৈনিক পঞ্জিন, ৪ ও ১৯৭১ ১৩. দৈনিক পাকিন্তান, ১৬ মে ১৯৭১ ১৩. দৈনিক পাকিস্তান, ১০ *২র ১৯৭১ ১৩. দি অলি জি , ১৪ ই ১৯৭১ ১৩৭, দি মনিং নিউজ, ১৫ জন ১৯৭১ ১৮. দৈনিক পাকিস্তান, ১৫ মঞ্চের ১৯৭১ ১৩৯, সৈনিক গান্ধিান, ১৯ অক্ষে ১৯৭১ ১৬০, দৈনিক পাকিস্ত, ২৫ নফের ১৯৭১ ১৪১. aৈy কাঙ্কিল, ২ক্ষেৰ ১৯৭১ ১৪২, দৈনিক পাকিস্তান, ২৭ নক্ষণ ১৯৭১ ১৩, নৈ কিছন, ২৭ তে ১৯৭১ ১৪, দৈনিক পাকিস্তান, ২৮ নভেম্বর ১৯৭১ 3৫. কৈ পাকিস্তান, ২৮ অক্ষে ১৯৭১ ১১৪৬. নি মন নষ্ট, ৯৯ – ১৯৭১ ১৯৭, সৈনিক পাকিস্তান, ২৯ নকে ১৯৭১ ১৮. দৈ-িরু পাকিকান, নভেক্ষণ ১৯৭১ ১৯ দৈনিক ইয়ে, সিকাের ১৯৭৯
৫৩. দৈনিক ইঃফাঃ , ইfaসেম্বর ১৯৭১ ১৫১, আপন দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড, ৩, ৬৩৮ ১৫২. দৈনিক পাকিস্তান, ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ ১৫. সৈনিক ইতেফাক, গfaসেম্বর ১৯৭১ ১৫. সৈনিক ইতেকাক, ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ ১৫৫. ইনি পাকিস্তান, ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ ৯৫৬, সৈনিক ইফাক, ১৬ ডিসেম্বৰ ১৯৭১ ১৫%, পি মনিং নিউজ, ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ ১৫৮, দৈনিক পাকিন্তান, ১১ ডিসেম্বর ১৯৭১
________________________________________
পরিশিষ্ট
কি আছে হামুদুর রহমান কমিশন রিপাের্টে?
পাকিস্তান এখনাে আমিনুর রহমা কমিশন রিপাের্ট প্রকাশ করেনি। গুদ্ধে পরাজখের অব্যবহিত পরে সেদেশের মান নিযুক্ত তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফুলফিকার আলী ভুটা প্রধান বিচারপতি হামুনুর মুহমানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন কৱেন। যুদ্ধে পরাজয়ের সামরিক কারণ খতিয়ে দেখা ছিলাে ওই কমিটির উশ্যে । সম্প্র9ি ভারতের ইন্ডিয়া টুডে সাময়িকী রিপাের্টটি এ#jশ করেছে। এখানে পুয়ো রিপাের্ট প্রকাশিত হয়েছে, একথা বলা যাবে না। ইন্টারনেটে এন্ত রিপোর্ট প্রাঙ্গ পত্রস্থ। করা হলাে। পাক সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ রিপাের্ট প্রকাশ না করায় আমরা হয়তো এর আরাে কিছু অংশ জন দ্যেকে বঞ্চিত হন। | কিন্তু পাকিস্তানের সঠিক চরিত্র অনুধাবনের জন্য এ রিপাের্টটিই যথেষ্ট। অনেক পাঠক। হষকা রিপাের্টটি পড়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিতর্কিত খবর দেখে বিস্ময় প্রকাশ করতে পারেন। তাদের আশ্বস্ত করে বলছি, এগুলাে আমাদের ভাষ্য নয়। পরাজিত বাহিনীর পানি মেডিনের অপচেষ্টা মাত্র। তাদের অপচেষ্টানা কৌশল পাঠকদের সামনে উনেক্রিমের লক্ষ | রিপোর্টের। অথাব অবল তুলে ধরা হলো।
হমুদুর রহমান কমিশনের রিপাের্ট পরাজয়ের জন্য ব্যাপকভাবে সামরিক বাহিনীর যাত্রা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু বর্তুগত অবস্থার বিচারে বাংলালেশের অভুদয় যে অশিথায় ছিলাে, যুবত সে সjfষ্ট অস্বীকার করতে বা এড়িয়ে যেতে পুরো দাতারা সামরিক বাহিনীর পর চালানাে CTIট ।
| বলােট পাকবাহিনীর নৃশংসতা, হ, খল ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করা হয়েছে। পাক নরতা এতােই অমলা ছিলাে যে, তাদের কমিশনের পথে তা অস্বীকার করার কোনাে উপায় ছিলাে না। তবে অত্যাচার, ধর্ষণ, হত্যার ব্যাপকতা উপেক্ষা করে কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার অপর পিয়ে পুরাে বিষয়টি গুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সতেন নাথালি মালই জানেন, বিষয়টি পুৱে উল্টো। অর্থাগ, মাত্র কয়েকজন সেনা সদস্য বাঙালির ওপর হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাল থেকে বিরত ছিলেন কিনা সেটাই প্রশ্ন সাপেক্ষ।
ব্রিলােঃ শহীদের সংখ্যা নিয়ে উপহাস করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী হত্যাণ কোনো ঝ্য জানা। নেই বলে মন্তব্য করা হয়েছে। দু’লাখ নারী ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে মাত্র দুলও কম বলা। হয়েছে। তাদের এ মিথ্যাচারের জবাব কারে লজ্জা পায়ের মধ্যেই নিহিত রয়েছে।
সুন্দর নামে পাক কেনাৱা যে লুটপাটে বা ছিলাে, তা রিপোর্ট অল্প হলেও ঈঠেছে । কিন্তু মাত্রা খুবই, অল্প। অথবা একাত্তরের মা মাসে তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ছিলাে কিঙ্কালে এদেশকে
________________________________________
#BA, অবরুদ্ধ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সামরিকজাস্থা ও তার দােসরর তৎপরতা হােবড়া বানানাে যায় শাসটুকু টেনে নয়। হত্যাযজ্ঞ পরিচালনার কথা অস্বীকা করা হয়েছে হালকাভাবে, দায়সারা গেছে। গণহত্যার পর কোনো রকমে চোখ বুলানাে হয়েছে। অথচ্চ সেদিন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো গােটা সঙ| সমাজ, সে কথা স্মরণে আঙ্গো শিউরে উঠে নি। হামুদুর রহমান কমিশন রিপাের্ট পড়ামাত্রই যে কারো ক্ষোতের জন্ম হতে পারে। তবে এমন এটুকুই যে, ওরাই + অপরাধ অল্প হলেও স্বীকার করেছে। আমাদের বিশ্বাস একদিন পুরাে টলা লেজিয়ে আসলে, ফুটে উঠলে হায়েনার আসল চেহারা। সৱক রিপাের্টের কারণসমূহ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ৯, সালের ডিসেম্বর মাসে এ শুলন্ত কমিটি নিয়োগ করেন। পূর্বাঞ্চলীয় কমাজের কমান্ডার ও তার অধীনস্থ সৈন্যদের অস্ত্র ত্যাগ ও আস্থাসমর্পণ এবং জন্তু ও কাশ্মীর রাজসহ পশ্চিম পাকিস্তান কি ভারত সীমাখে সুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার কারণসমূহ খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে এ কমিশন গঠন করা হয়। এ ব্যাপারে ২১৩ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিণ্ডিতে কমিশন ‘৭২ সালের জুলাই মাসে নিপাের্ট পেশ করে।
২, d এপার্ট পেশ করার আগে একমাত্র মেজর জেনারেল রহিম ছাড়া আত্মসমর্পণ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনকারী অ্যামা উদ্ধতন সামরিক কর্মকর্তাসহ যুদ্ধবন্দি হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র আমাদের কাছে ছিলাে না। তবুও সে সময় যতটুকু তথ্য! পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে আমরা পূর্ব পাকিস্তানের মটনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে কথা মনে রাখতে হবে যে, ঐ রিপােটেন্য উপসংহার ছড়ান্ত নয়। পূর্ব পাকিস্তান যুদ্ধে জকি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছু কিছু মস্কলের ঘটনা ঘটেছিলাে। তবে তাদের নিজ নিজ অবস্থা ব্যাখ্যা করার কোনো সুয়োগ না দিয়ে তাদের সম্পর্কে জড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না। সুতরাং আমরা বলেছি যে পূর্ব পাকিস্তানে আত্মসমর্পণের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারণ এবং পূর্বাঞ্চলীয় কমানাে কমান্ডার ও উধ্বতন কর্মকর্তাদের দেয়া দলিলপত্র পর্যালােচনার ভিত্তিতে একটা উপসংহারে আসা উচিত। (পৃষ্ঠা ২২ মল নিবেন)। কমিশন পুনরুজ্জীবিত করা ৩, যুদ্ধলাদ ও গাৱিক ককাদের সঙ্গে যেসব কােমন্ত্রিক কর্মকর্তাদের ভাংতে নিয়ে যাওয়া হয়, তাপের পাকিস্তানে প্রাকার্বনের পর কোরেল সরকার এ মর্মে নােটিশ জারি করে দেয়, কমিশন একটি নির্দিষ্ট তারিখে নিহিত একটি জায়গা থেকে কাজ শুরু করবে এবং তদন্ত কাজ শেষ হবার পর পাকিস্থানের প্রেসিডেন্টের হে এন রিপাের্ট পেশ ক্তার অন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করবে। যােশিত রিথের দুমাসে মথ! বিষয়গুলাে সামনে রেখে কমিশন কাজ শুরু করে। এ নেটসের একটি কাপ ‘নের এ’ হিসেবে। এ অ]ায়ে সহযােঞ্জিও আছে। কমিশনের সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) আলতাফ কাদির ও সজিন হিসেবে এম এ লভিকে পুনঃনিয়ােগ *য়া হয়। কমিশনের অনুরােধে সরকার কলে এম এ হদিশকে কমিশনের আইন উপদেষ্টা নিসেবে নিয়োগ করে।
8. কমিশন WB সালের ১ জুন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান থেকে ফেরত আসা কপিসহ অন]। সকদের কমিশনের কাজ সশ্রয় নিজ অতিমা জানালার আহবান জানায়। এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি! এটি কপি এTানা ববি’ হিসেবে এ অধ্যায়ে সংযােজিত রয়েছে। अभिया
৫. কমিশন ‘সালের ৩ জন লাহােরে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলি হয় এবং ত্ব প্রাথমিক বিষয় পর্যালােচনা করে ‘৭৪ সালের ১৬ জুলাই আন্মোন্তানা থেকে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত মােয়। ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে কবি ছিলেন এমন কয়েকজন ব্যক্তি
________________________________________
এবং শের এ ব্যাপারে ধারণা আছে বলে মনে হয়েছে তারা বেশ কয়েকজন লোকের কাছে কিপত্র পাঠানাে হয়। সে সময় কর্মরত সশ সেনা সদ, বেসামরিক কর্মকর্তা ও পুলিশ
=েকিত বিবৃতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি।
আলী, মসেদসহ বিল এলাকায় কর্মরত সকল জেনারেল, উর্বতন নৌ-বাহিনী কর্মকর্তা এমিরাল শরীফ, শীর্ষস্থানীয় বিমান কর্মকর্তা এয়ার কমােফর ইনাম, বেসামরিক কর্মকর্তা মুজাফফর হােসেন (চিফ সেক্রেটারি), পুলিশের আইজি মাহমুদ আলী চৌধুরীসহ কমপক্ষে ৭২ করে দেয়া সাক্ষ্য-প্রমাণ নথিভুক্ত করি। শুধুমাত্র মেজর জেনারেল রহিমকে দুপুর আলাপ করা হয়। একমাত্র আ: মালিক-এর ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটে। তিনি প্রায় শেষ পর্যন্ত পূর্ণ। পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে অধিষ্ঠিত থাকায় তার দেয়া তথ্য ছিলাে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি অপূর্ণ বিষয়ে আমরা তার কাছ থােকে তখ। পাই। এরপর আমরা ভাস্ক রিপাের্ট পেশ করার জন্যে নিজেদের প্রস্তুত বলে মনে করি।
৬. এই সৰ সাক্ষ্য-প্রমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পৱ কমিশন। বিভিন্ন কারণে ‘৭৪ সালের ১৫ সেলেটিলেৰা মধ্যে রিপাের্ট পেশ করতে অপারগ হয় এবং ‘৭৪ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রিপােষ্ট পেশের সমখালীমা বাড়ানাের আহবান জানায়। কিন্তু পরবর্তীতে ‘৭৪ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পুনরায় এ সময়সীমা বর্ধিত করার আহবান জানায়। তবে ঐ সেপ্টেম্বর এসিল সাক্ষ্য-প্রমাণ নথিভুক্ত করার পর বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন কমিশনে দু’জন সদস্য ৯-১৯, সেলৌথৰ পঞ্জ। করাচী সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশেষ অধিবেশনে যোগ শে। আবার প্রেসিস্টেও নেতায়। একটি আঞ্চতিক সহােলনে অংশ নিতে যান। এরপৰ আমরা মূল রিপাের্টের পূর্বক রিপাের্ট তৈরির আনে। ‘৭ সালের ২৩ অক্টোবর পুনৰা আৰােৱানালে মিলিত হই। সম্পূরক প্রতিবেদনের পরিকল্পনা।
আমরা সাধারণভাবে বিবেচ্য wি সাক্ষ্য-প্রমাণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালেও মূল রিপাের্টে গৃহীত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার তেমন কোনাে কারণ খুঁজে পাইনি। তবে কোনাে কারণে বিস্তারিত তথ্য। পাওয়া গেলেও আমরা এ সিদ্ধাঞ্চের ব্যাপারে মােটামুটি নিশ্চিত ছিলাম। তাছাৰু মূল রিপাের্ট যেসব wিw লিপিবদ্ধ হয়েছে সম্পূরক রিপাের্টে আমরা তা বাদ দেনার শিক্ষাপ্ত নেই। তনে অতিরিক্ত তথ্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলে তার সার সংক্ষেপ লিপিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিই। তবে অবহেলা করা যায় না এমন কিছু বিষয়ের ভিওিতে আমরা প্রাপ্ত তথ্য যাচাই কবি এবং কিছু কিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রস্তাব করি। এরপর মূল হিপােটের অনুরুপ করে ও সম্পূরক আপিন লেখার প্রস্তাব করা হয়। আমরা রিপাের্টের ২য় অংশে বাউনতিক পটভূমি নিয়ে আলােচনা করি এতে ‘৭১ সালের ঘটনাবলী বিশেষত ৭১ সালের ২৫ মার্চ পরবর্তী ঘটনাগুলাে সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। তবে মূল রিপাের্টের ৩য় অংশে আন্তর্জাতিক সশকের বিষয়ে লিপিবদ্ধ রাখা মতাে তেমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি। একইভানে ত্রিলােটের ৪ অংশে আমরা পশ্চিম পাকিস্তান সামরিক বাহিনী সম্পর্কে না বলার প্রস্তাব করি।।
প্রয়ােজনে পূর্ব পাকিস্তান বিষয়ে মূল রিপাের্টের ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ অধ্যায় নিয়ে কান্তি আলােচনা করা যাবে। এরপর আমরা পূর্ব পাকিস্থানে দায়িত্ব পালনরত সকা বাহিনীর ময়ম- নয়ে আলােচনার প্রস্তাব করি, যার মধ্যে ওই সময় মত সামরিক কর্মকর্তাদের
________________________________________
বিরুদ্ধে আনীত অতিযোগগুলাে স্থান পাবে। শুধুমাত্র ঐ অংশের প্রয়োজনে আমরা পৃথক পৃথকভাবে কিছু ব্যক্তির সঙ্গে আলােচনা করবাে। যদিও পূর্বোক্ত অধ্যায় থেকে এ বিষয়গুলো বেরিয়ে আসবে।
হামুদুর রহমান রিপাের্ট # এ্যানেক্সার
পাকিস্তান সরকার मजनका রাওয়ালপিন্ডি, ২৫মে ১৯৭৪। নং ১০৭/১৯/৭৪ মিন
‘৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিষয়ক মঞ্জণালয় কর্তৃক নিযুক্ত তদন্ত কমিশন ‘৭৯ সালের ৮ জুলাই রিপাের্ট পেশ করে। তবে পূর্ব পাকিস্তান বিষয়ে কমিশন রিপাের্টে উল্লেখ কৱে যে, ভারত যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক থাকা পূর্নাঙ্কা! কমান্ডের কমান্ডার ও উফতিন কর্মকর্তাদের পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তনের পর পূর্ব পাকিস্তানে আত্মসমর্পণের জন্যে সৃষ্ট পরিস্থিতি পুনরায় শুদস্ত করা যেতে পারে।
| ভারতে আটক সকল যুদ্ধশি ও বেসামরিক কর্মকর্তারা পাকিস্থানে ফিরে আসার পর কমিশন প্রদত্ত সুপারিশ অনুযায়ী এগৰ লােকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব পাকিস্তানে আসমর্পণের জন্যে পরিস্থিতি তদন্ত করার ব্যাপারে মত ব্যক্ত করে।
পাকিস্তান কমিশনস অব ইনকোষঝি ১৯৫৬ [vt of 1956] এর সাবসেকশন (১) ও সেকশন ৩০ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার কমিশনকে তারিখ নির্ধারণ করে একটি জায়গা থেকে সন্তু তক কনার নির্দেশ দেয়। তদন্ত শেষে কান্তিানের প্রেসিডেন্টের কাছে রিপাের্ট পেশ করার নির্দেশ দেয়া হয়। কমিশন ঘােষিত তারিখে দু’মাসের মধ্যে এ বিষয়গুলাে নির্ধারণ করে কাঞ্জ শুরু করে।
বল আহম
হামুদুর রহমান রিপাের্ট : এগুলোর শাহের, ১২ন, ‘৭১। = निधई ।
১৯৭১ সালের ২৯ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্য জুলফিকার আলী ভুর নিযুক্ত প্রদত্ত কমিশনকে পূর্ব পাকিজানে নকৰ্মৰক পূর্বাঞ্চলীয় কমাণ্ডের কমায়, তার অবস্থা সশস্ত্র বাহিনীর হ ৩াগ করে আত্মসমপন্য এবং জন্তু ও কাশীরসহ ভাৱত ও পশ্চিম পাকিস্তান সীমাঝে যুদ্ধবিরতির কারণ অনুসন্ধান করে রিপাের্ট পেশ করার নির্দেশ দেয়া হয়। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপওি হামুদুর রহমান এ কমিশনের নেতৃত্ব দেন। কমিশনের অন্য দু’জন সদস্য হলেন- পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বিচারপতি এস আনােয়ারুল হক এবং সিন্ধু ও ফজিক্সান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ম্রোঞ্চাইফ আলী মাদুর রহমান ?-লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) আলতাফ কান্দির ও পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের সহকারি রেজিস্টার এম এ লতিফ যথাক্রমে কমিশনের সামরিক উপদেষ্টা ও সানি নিযুক্ত হন। কমিশন “৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ওয়ালপিন্ডিতে ২১৩ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য-প্রমাণ ক্যামেরাবন্দি করতে শুরু করে। ‘৭২ সালের ১৯ জুলাই তৎকালীন
________________________________________
পাক রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশন রিপাের্ট পেশ করে। রিপাের্টে উল্লেখ করা হয়, পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমাস্কার ও অন্যান্য ৬তিন অফিসার যারা ভারতে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ছিলেন তারা দেশে ফিরে আসার পর পূর্ব পাকিস্তানের আসমর্পণের জনাে সৃষ্ট কারণগুলাে পুনরায় তদন্ত করা উচিত। বর্তমানে এসব কর্মকর্তা পাকিস্তানে মিঠন করার কারণে সরকার £ তদন্ত কাজ শেষ করার অনাে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে। লাহাের সুপ্রিম কোর্ট ভবনে কমিশনের অস্থায়ী অফিস স্থাপন করা হয়েছে। কমিশন যুবশ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ ম লৈHের পূর্ব পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের কারণ সম্পর্কিত নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও মতামত জানাবার জন্যে পৱকতে একটি নির্ধারিত স্থান ঘােষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যতদূর সম্ভব সংক্ষেপ করে ইংরেজিতে ‘লথৈ কমপক্ষে ৫টি কপিসহ এ সাক্ষ্য-প্রমাণ দাখিল করতে হবে। ‘৭৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এটি অবশ্যই তদন্ত কমিশনের কাছে পাঠাতে হবে। তাছাড়া প্রত্যেকে কখন কমিশনেৱ সামনে হাঝির হতে চান সে কথাটিও এর সঙ্গে লিখে জানাতে হবে। | তথ্য আমাগে সেন লক্ষি ভূমিকা ও বিশ্ব অটিনা তুলে ধরা হয়েছে তা সম্পূর্ণরুপে গােপন। রাখা হবে। ‘৭১ সালের ১১ জানুয়ারি সংবাশপত্রে প্রকাশিত পাকিস্তান সরকারের ঘােষণা অনুয়ায়ী কমিশনের সামনে পেয়| বিবরণী ক্যামেরাবন্দি করা হবে। খুলে যেসব প্রথা শো হয়েছে। সেগুলােই কমিশনের কাছে বিশেষভাবে বিনেড়া হবে। পূর্বোক্ত নিতি মিথ্যা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনাে ব্যক্তি দেওয়ানি ও ফৌজদারি তথ্য প্রমাণসহ বিবৃতি দিতে পারবে না। কমিশনকে পাকিস্তানের যে কোনাে নাগরিককে জালাবাল করার জন্যে কল করার ক্ষমতা দেয়া হয়। কোনাে ব্যক্তি সশরীরে আদালতে উপস্থিত হলাৱ আইনত বাধ্যবাধকতা থেকে রেহাই না পেলে। কমিশন কাকে উপস্থিত করানাের জন্যে প্রয়ােজনবােধে গুয়ারেন্ট ইস্যু করাতে পারবে। প্রতিরক্ষা। বিভাগে কর্মরত যেসব কর্মকর্তা কমিশনের সামনে ফোয় সাক্ষ্য দিবেন কমিশনের কাজে। সহযােগিতা করার জন্যে তাদের শক্তিক হবার কোনাে কারণ নেই। হামুদুর রহমান রিপাের্ট নৈতিক দিক ভূমিকা। মূল রিপাের্টের অধ্যায় ৫-এর ১ম অংশে আমরা ‘৭১-এর যুদ্ধে পরাজয়ের কারণগুলাের নৈতিক দিক নিয়ে আলােচনা করেছি। কমিশনের কাছে সমাজের বিচ্ছিন্ন জরের বিপুল সংখ্যক মাকাদশী। এ ব্যাপারে বিভিন্ন কারণ লর্শন করে। তাদের মতে, সামরিক শাসনামলে দায়িত্ব পালনকালে । বিপুলসংখ্যক উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা ব্যাপক দুর্নীতি, মদ ও নারী শিক্ষা এবং সম্পঞ্জর প্রলোভনে পড়ে শুধু ক্ষ করার ইচ্ছই, হারিয়ে ফেলেননি, যুদ্ধে জয়লাভের জমে ভারে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল বিষয়ে পেশাগত সিন্ধও নেয়া উচিত ছিলাে সে দায়িত্বও তারা পালন করেননি। দায়িত্ববান উধতন কর্মকর্তারাও এ-প্রত্যক্ষদর্শীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এসব নৈতিক অৰক্ষা সম্পন্ন লােকদের কাছ থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিজন্তু আশা করা যায় না।
২. প্রত্যক্ষদর্শীলে এলথ সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনী% হই যে, ‘৫৮ সালে সামরিক শাসনামলে দায়িত্ব পালনকালে সশস্ত্র বাহিনীর উফতিন কর্মকাপর যে নৈতিক অধঃপতন হয় ‘৭১ সালে তার খুক্তি ঘটে। প্রকৃঞ্চলক্ষে ‘৬৯ সালের মার্চ মাসে। ইয়াহিয়া খান যখন পুনরায় সামরিক শাসন জারি করে তখনও সামরিক ককালের বিরুদ্ধে এসব অভিWোগ ছিল যে, তারা শুধুমাত্র শক্তি ও সহায় সম্পদ বৃদ্ধিজে যজ্ঞ ছিলাে না, তা অজ্ঞ্যন্ত।
* १६ । बा । म अनका ४१ : शि६ नं ६ নেতৃত্ব দানের ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
________________________________________
৩. এরপর আমরা পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্নার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিজসজ, বেশ কয়েকজন উর্বতন কর্মকর্তা সম্পর্কে বিশেষ মন্তব্য করি। এ অধ্যায়ের ৩৫নং আশে পর্যবেক্ষণ করি যে, এখন যেহেতু জেনারেল নিয়াজীর বিরুদ্ধে এসব অভিযােগ উথাপনের সুযােগ নেই, সেজন্যে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ভারত থেকে তার পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন পাত্তি আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে শুধুমাত্র জেনারেল নিয়াজী নয়, তার ব্যক্তি কমকর্তাসহ বেশ কিছু কয়েকজন বয়াদশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সাবেক পূর্ব পাঞ্চিখানে অভিযান চলাকালে দায়িত্বরত পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধেও যে সাধারণ অভিযােগ আনা হয় তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আর এসবের ভিত্তিতে আমরা একটি চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হবার পথে পেীছাই ।। সামরিক শাসনের জল। ৯, ‘৭১ সালের ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানে সস্ত্র হামলায় পর সেখানকার বেসরকাঞ্জি প্রশাসন কার্যত অচল হয়ে পড়ে এবং এ দেশের প্রবির অবস্থার দায় বলাংশে সামরিক কর্মকর্তাদের উপর বার্তাষ। বেসামরিক কর্মকাতে সামরিক কর্মকর্তাদের #ভুয়ে পড়ার কারণে এ অচলাবস্থা অব্যাহত থাকে। এমনকি গৃশ্চিম পানি থেকে প্রধান সচিব, পুলিশের আইজি ও কমপক্ষে দু’জন বিভাগীয় কমিশনারসহ, উল্লেখযােগ্য সংখ্যক তিন নেসরকারি কর্মকর্তাকে পূর্ব পাকিস্তানে আনা হলেও এ অবস্থা অপরিবর্তিত থাকে।
৫, পুলিশের আইজি এম এ কে চৌধুরী (প্রত্যক্ষদশ নং ২১৯)’র মতে, ‘৭১ সালের মাএপ্রিল মাসে সৃষ্টি অচলাবস্থার পর একজন সামরিক শাসক বেসামরিক প্রশাসনের প্রধান হিসেবে নিয়োজিত হয়। একজন মেজর জেনারেল তার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ কন্মে। প্রায় জিটি ক্ষেত্রে সমান্তরালাৰে সামরিক শাসন চালু ছিলাে। প্রশাসনের প্রতিটি শাখায় আইন-কানুন সম্পর্কিত বিষয়গুলাে সামরিক শাসক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিলাে। পশ্চিম পাকিস্তানে পুলিশের একজন ভিআইঞ্জি, আইজির সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হবার উদ্দেশ্যে প্রাণেশিক হেকোয়ার্টারে থানায় জন্যে স্থানীয় সামরিক কলঙ্কেং অনুমতি পাননি। | ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সৈয়দ আলমার । (এতক্ষণশী নং ২২9)’র মতে, এ ঘটনার জনে বেসামরিক কর্মকর্তাদে দায়ী রা না কমপক্ষে সামরিক কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে প্রাত্যহিক দায়িত্ব পালন করানাের কষ্টা করা হয়। কিন্তু এঞ্চে উল্লেযােগ্য কোনাে লাভ হয়নি। যেসব বাঙালি কর্মকর্তা আনুগত্য প্রদর্শন করে কাজে যােগ দেননি, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ৰা ভাসের উদ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত না করেই এসব কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়।
৬. কামরিক সরকাৱে পকর ‘সেনে ডাঃ এ এম মালেক ও তার নিযুক্ত মীমের অপ্তর্ভুক্ত করা হলেও বেসামরিঞ্চ প্রশাসনে সামরিক বাহিনীর জড়িত থাকার বিষয়টি শেষ হয়ে যায়নি। এ ব্যাঙ্গারে মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর উদ্ধৃতি অন্যায়ী, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডা: মালেক পূর্ব পাকিস্তানে যে পূর্ণাঙ্গ বেসামরিক সরকার গঠনের কথা বলেছেন তা কখনােই সঙ্ক নয়। মালেক একজন দুর্বল চিত্রের মানুষ। প্রশাসনে এ অচলাবস্থার নাে তিনি সামরিক শাসক এ এ কে নিয়াজীকে বিরক্ত করতে পারেন না। অন্যদিকে জেনারেল নিয়াজী উচ্চাকাচ্চা ও ক্ষমা ভালােবাসতেন। কিন্তু তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা বা এর অনিহত উপলব্ধি করার ক্ষমতা ছিলাে না। তিনি বেসামরিক সরকারের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না। কাষত সামরিক বাহিনীই বেসরকারি প্রশাসনে মিয়:৫ণ অব্যাহত রাখে।
________________________________________
. সে সময় পূর্ব পাকিস্তানে কর্মৱত পশ্চিম পাকিস্তানি বেসামরিক কর্মকর্তালের মনে যে দরুণী আনাে ঢাকার তথকালীন অতিরিক্ত সহকারি কমিশনার মােহাম্মদ আশরাফ ল বর্ণনা করেছেন। (প্রস্তাঞ্চদশী নং ২৭৫)। পূর্ব পাকিস্তানে সৃষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে ও বিদেশে গড়ে ওঠা আমাকে বিছান্ত রুমার উদ্দেশ্যেই ‘৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একজন বেসামরিক্স পর নিযুক্ত করা হয়।
: মালেক ও তার মন্ত্রীর সরকাৱে শুধুমাত্র শােভাবর্ধন করে। কিন্তু তখনাে পর্যন্ত যে কোনাে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সামরিক বাহিনীই সিদ্ধান্ত গ্রহন করতাে। আমি পরিষ্কারভাবে নতুন মন্ত্রিসভায় ভূৰি মনে করতে পারি। ষেখানে রাও ফরমান আলী মন্ত্রিসভায় সদস্য না হয়েও পরের জান পাশে বসে আছেন।
৮. এর অল্প কিছুদিন পর জেনারেল ইয়াহিয়া খান উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী নির্বাচনের নির্দেশ দিলে এ ধারণা আরে গাঢ় হয়ে ওঠে। মেজর জেনারেল এও ফরমান আলী, লে: জে-ইন্ত্রেণ 4. এ কে নিয়াজী ও তার অধীনস্থ সামরিক কর্মকর্তারা প্রার্থী বাছাই করায় বেসামরিক প্রশাসনে তানের পূর্ণ নিয়পের ব্যাপারে আর কোনাে সন্দেহ ছিলাে না। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্যে সামরিক বাহিনী উদ্যোগ গ্রহণ করা সত্ত্বেও সেখানে অনেক কর্মকাণ্ড ও যােগাযোগ ব্যবস্থা গুণাবস্থায় চিবিয়ে অনায় ব্যায়ে তার কথা তা স্বীকার করে নেয়।
৯, ভারত থেকে ফিরে আসা কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনার মাধ্যমে সন্দেহের অবকাশ থাকে না যে, সাময়িক শাসন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সামরিক বাহিনীর সীমমতালী অন্তর্ভুক্তি বনের পেশাগ্যতা ও নৈতিক মূল্যবােধের উপর ক্ষতিক প্রভাব ফেলেছিলাে।
পূর্ব পাকিস্তানে ২০৩ () ব্রিগেডের কমান্ত ব্রগেডিয়ার এম সালসিমুল্লাহর মতে, সামরিক শাসনের শীর্থসূত্রতার অঙ্গীকার ও অন্তর্বর্তীকালীন নিরাপত্য ব্যবস্থায় ভূমিকা নেবার কারণে সেনাবাহিনীর পেশাগত দায়িত্বে ভাব ফেলে। পূর্ব কিনে নৌ-বাহিনীর কমান্ডার গ্রিয়ার
ডমিরাল এম শরীফ (প্রতিক্ষণশী নঃ ২৮৩)-এর কাষ্য অনুযায়ী, ‘৫৮ সালে সস্ত্র বাহিনী দেশের নিয়ণ এহ করার সময়ই এ পরাজয়ের ভিত রচিত হয়। নতুন এ দায়িত্বভার গ্রহণের পর ইজনৈতিঙ্ক কলাকৌশল ঠাপার্কে জানতে গিয়ে সৈনিকদের কাজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাটুকুও হারিয়ে ফেলে। তৰা ৰাপিত্ত সম্পন্ন ও মর্যাদা বৃদ্ধির বিষয়ে অধিকতর মনােযোগী হয়। কমােডর আই এম মালিক, পদাতিক বাহিনীর সাবেক কমাজার বিগ্রেডিয়ার এস এস এ কাসিম, কর্নেল মুনসুরুল হক মালিক ও কর্নেল ইজাজ আহমদও একই মত পােষণ করেন।
১০. বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অামরা মূল রিপাের্ট এ উপসংহারে আমি যে, সামরিক বাহ্যিা বেসামরিক প্রশাসনে অংশগ্রহণ করে ব্যাপকভাবে দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে ওঠে এবং তাদের পেশাগত দান্ত্রিত্ব থেকে অনেক দূরে সরে যায়। এতে করে তাদের প্রশিক্ষণের উপগ্রহ নেতিবাক প্রভাব পড়ে। এসৰ কানণে তাহা এ ব্যাপারে যথেষ্ট মনােযােগ দেয়নি, এবং অনেকেই এ ব্যাপাৱে মনােযোগ হারিয়ে ফেলে। প্রদেশ ত্যাগ করা। ১১. ‘৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী আয়ামী লীগকে দমনের নামে নিকি অভিমান লক করলে পরিস্থিতি আরো সমান হয়ে ওঠে। সামরিক বাহিনী শহরের বাইরে কোনাে এলাকায় গেলে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী ও অন্যানা সরঞ্জাম সঙ্গে নিতাে না। প্রথমপিকে বেসামরিক উৎস থেকে তাৱা এগুলাের প্রয়ােজন মেটাতাে। বিন্নি সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে জানা গেছে। সৈনার কোন দােকান থেকে কি কি জিনিস নিয়েছে তার তালিকা না করেই এসব দােকানগুলো।
________________________________________
ভেঙ্গে দিতো। তাদের প্রয়োজনীয় যানবাহন, পাপা সামগ্রী, ওষুধপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মাহিলা ছিলাে এটা ঠি। এগুলো তাদের নিয়মানুধ্যায়ী সংগ্ৰহ কৰা উচিত ছিলাে। কিন্তু তারা সে অনুযায়ী কোনাে কিছু সংগ্রহ কনেয়নি। এ ফলে তিন কাকির্তাসহ সেনা সদস্যদের মধ্যে ধারণ জনাে যে, তারা যা চায় ধাই করতে পারে। এ ঘটনা আমাদের কাছে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লুণ্ঠনের অভিযােগ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
১৭. লে: জেনারেল নিয়াজীসহ সিনিয়র কমাক্তাররা এ কাজে প্রেরণা জুগিয়েছে। জেঃ টিক্কা খানের কাছ থেকে নিয়াজী দায়িত্ব বুঝে পাবার প্রথম দিনেই বলেন, অনও পাচ্ছি রেশনের আটতির কথা। দেশে কি গরু ছাগল মাজ? এটা কিন্তু শহর এলাকা। তুমি যা চাও নিয়ে না । বার্মার বুকে তাই করেছি আমরা। (ম; নাকে ফরমান আলীর সাক্ষ) করা বক্তব্যের কথা অস্বীকার কেন । ভিনি বলেন, যা এখান থেকে মরেছি তার হিসাব লিখে বেসামরিক সকারকে দিয়েছি, যাতে পরে শােধ করে নিতে পারে। অন্যান্য অফিসাররা নিষ্ঠার এ বক্তব্য সমর্থন করেনি। লে: কর্ণেল বুখারী (সাক্ষী নং ২৪৪ফরমান আলীর পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন, অটিকা অভিযানকালে এস সাহেব লিখিত্র আদেশ ছিল। কারন অনুসারে ব্যবহারের নাে আ অ নি অনেক অফিসাররাও স্বীকার করেছেন।
১৩. অতঃপর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডাত্র এবং বিভাগীয় কমান্ডাররা কড়া নির্দেশ জারি করেন। যাতে করে এ ধৰাগের কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়। লুট ৰা মালামাল গনজাধ্যের আলাে কোনাে কোনাে কমান্ডার কাশিপঠ চালায়। লুট করা মালামালের মধ্যে ছিলাে টেলিভিশন গেট, রোজারেটর, টাইল হইতান্ত, ঋড়ি, ঋণ, শীলু এবং অন্যানা আকর্ষণীয় এ্য। আমাদেণকে জানানাে হয় যে, বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত শেষে শাফিNলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এসব মামলার নম্পত্তি হয়নি ১৯৭১ সালের ১৮ লিখবেন আগে।
পূর্ব পাকিস্তানে নিয়ােজিত উজ্জ্বলতম অফিসারদের নৈতিক অধঃপতন।
লে: জে: এ এ কে নিয়াজী। ১৪, মূল রিপাের্টে সাক্ষ্য জামাণসহ জে; ইয়াহিয়া খান, ®ে: আবদুল হামি খান, প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব:) সুদাদাদ খান, লে: জেনারেল এ এ কে মিয়াজী, মেজর জেনারেল Wেহানজেব এবং বিশ্নেভির হায়াতুল্লাহ মতো ব্যক্তিদের আচরণ সংক্রান্ত অভিযােগ উল্লেখ করেছি। আমরা এখানে আরো কিছু সংযোঞ্জন করতে চাই লে: ®ে: নিয়াজা র্কে।
| ১৫. মারাত্মক অভিযােগ করা হয়েছে লে: জে: নিয়াজী সম্পর্কে, যেমন শিয়ালকোট এবং লাহােরে মার্শাল ল প্রশাসক হিসেবে সামরিক আইনের মামলাগুলাে থেকে মায়াজ। অবৈধ অর্থ আষা করেছেন। মহিলা সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির মধ্যে পাঞ্চোরের লগে মিসেস মাঈল বুখারী নামে একজন মহিলার সঙ্গে তার মাখামাখি সম্পর্ক ছিলাে। বুখাৱী সেনারটা হোমের আড়ালে কাহিলালাে ব্যবসা করফেশ। এছাড়া এ মহিল| নয়াজীর প্রতিনিলি হিসেবে ম ইল করতেন। শামিন ফেরদৌস নামে আরো একজন মহিলার হে নিয়াজীর সম্পর্ক আলো কি জানা যায় এ শামিনি লাহোৱেৰ সাদিপার সঙ্গে একই কাজ করছেন। পূর্ব পাকিস্তানে গড়ে ওঠা অভ্যাস প্রতিদিন নতুন মেযে! শয্যাসঙ্গিনী হিসেবে পাওয়া- এসব রাত্রিকালীন মাসি তার প্রদান।
________________________________________
বেশ কঠোকজন জুনিয়র অফিসারের মধ্যেও সংক্রমিত হয়েছিলাে। নিয়াজ পূর্ব পাণিগান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে পান চোরাকারবারিদের সঙ্গেও ভয় পড়েন। আব্দুল কাইউম আনিফ (সাক্ষী। নং-৬), শিয়ালকোটের এবাকেট মুনাওয়ায় আসেন মাঙ্গী নং ১৩), আল হাফিজ কানুদা। (সাষ্ট নং ৭৫), মেজবা সাজ্জাদুল হক (সাম, ১%8) ফোন লিডার সি! | হw (সাক্ষা না ৫৭) এবং ফে: কর্নেল হালিম আজমল । নঃ ১৮৭) এসব অভিযোগ করেন কমিশনের ন!
১৬. গ৫:Hশ শর্থা! তন্তে এসে যেীন গিয়ে এ নিয়মের কুম|10 এবং তার আনুম: প্রানের চোরাকানায়ের বির, তথা গণ কেক এয়। কমিশনের সামনে যাব। বিবৃতি নিয়েছেন স্বাদের মধ্যে সাবেক জিএস ১,৯aভিশন লে: কর্নেল মনসুরুল হক (সাক্ষী নই। ২০), পাকিস্তান বাহিনী লে: সিজিআর ৫ ও খান। {সা নং ২৭), সাবেক এমণ্ডির ইঞ্জিনিয়ার্স, পূর্ণাঙ্গণীয় কমান্ড বিগ্রেডিয়ার ‘আই আর শয়ীw (সাক্ষী , ২৯৯), ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত চিনি মােহাম্মদ আশরাফ (সাক্ষী নং ৪৫) এবং লে: কর্নেল আজিজ আহমেদ আন। তাদের মধ্যে শেষ সাক্ষীর মন্তব্য গ্রহণযোগ) = সৈন্যরা বাজে, কমান্ডার (লে: : নিয়া) নিই যখন একজন ধর্ষণকারী তখন আমাকে থামাবে কি করে। শিয়ালকোট ৫ লাহোরে। নিজৰ একই, একম কুখ্যাতি ছিলাে।
১৭ মেজর জেনারেল কাজী আব্দুল মাজিল খান (সাক্ষী নং ২৫৯) এবং মেজর (নারেল ফরমান আw (সাক্ষী , ২৮) flথা ভুল পন রফতাশি ও মিয়াজীৱ আpলা ও ই পূরণের কথা বলেছেন। মেজর জেনারেল আদুল মতিন বলেন, কে লিনাকে পানি নিতে সহায়তা করতেন দুজন একজন হলেন, বিগকিয়ার আসাম রাজী এবং পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট লিসান। লিজান ঢাকায় চাল স্টাফ হাউসে গে; 4 জে থাকতেন। রে.. মধামান আলী আরো বলেন যে, @েরে নিয়া আমার প্রতি বিরফ ছিলেন, কারণ তাকে আমি সাহায্য করা, পানের নামান্তা। পিআইন নিঃজয়ার হামিদউদ্দিন আমার কাছে অভিযোগ করেন। যে, পশ্চিম পাকিস্তানে পান পরিবহনে পাউন্ড প্রতি বার্শ ও সাম ৩ কল্পে কোৱ হেণ্ডকোয়ার্টার হস্তক্ষেপ করছে। ®ে; নিয়াজিৰ এডিসি আমার অফিসে আসলে তাকে আমি বলেছিলাম, যেহেতু বিষয়টি বাণিজ্যিক ভাই এর স্থাপনা পিআইনিং পান রফতানিকারকদের মধ্যেই হয়ে
চক। আমরা বুঝতে পারি, জে, এ কটাক্ষের কারণ, (জ: নিয়াজির এক জেলে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্থানে পানি বাণি সঙ্গে জড়িত। মেজর ৫শ আন্তৰ (গঞ্জ নং ২৫৯) এবং বিগ্রেডিয়ার আD মােহাম্মদের (সাক্ষী সাং-৯৫৭) বক্তব্য অনুযায়ী এমনকি পুর্বাঞ্চলীয় কমাতের চক অফ স্টাম বিগ্রেডিয়ার কাকির সিদ্দিক পান বাণিত হয়ে নিয়াজীর সঙ্গে ব্যবসায়িকভাবে জড়িত দিলেন। | ১৮, কমিশনের সামনে হাঞ্চিার হলে নিয়াজীকে এসব কথা জানানাে হয়। কাজেই, তিনি এসৰ কিছু অস্বীকার করেন। মহিলাসের সঙ্গে শঙ্কা সম্পর্কে তাকে কিসাসাকালে জৰে তিনি বলেন, আমি বলবাে না, আমি সামরিক শাসনের দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র, যাৰাই আমার সঙ্গে দেখা করতে ড্রেয়েছে তাদের কাউকেই আনি বাধা দেইনি । পূর্ব পাকিস্তানে সংকট সময় মপিঙ্গায় হয়ে ওঠ। সত্যি কথা বলতে কি তার আগে অমী মানুভূক্তি কখনও জানি। মৃত্যুর নথাই তখন বেশি ভাবতাম এসব বিষয়ের চেয়ে।’
১৯. নিয়াজ পা রফতানি সম্পর্কে বলেন, ভূইয়া নামের এক ব্যক্তির অভিযােগের পরিক্ষিতে বিষটি তদন্তের নির্দেশ লিখেছিলেন। পান তানিকারকদের এফটিয়া ব্যবসার অন্ধ বাংলাদেশ ২৯
________________________________________
করুন ওই লােকটি বিরক্ত ছিলেন। : নিয়াজ উল্টা অভিযােগ করেন যে, বাস্তবে ব্রিগেডিয়ার হাফিজ উশিন এবং পিআই এর স্টাফরা নিজেদের মধ্যে পানের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পঞ্চলি-এটাই সত্য।
| ২০. পেলামরিক ও সামরিক উথ প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষীদের কাছ থেকে যেসব গণমাল জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই যে, কো; নিন্তী দুর্ভাগ্যজনকভাবে কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন যৌন বিষয়ে। তার এই কুখ্যাতি আরও বাড়ে শিয়ালকোট, লাহাের এবং পূর্ব পাকিস্তানে পােস্টিং এর সময়কালে। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এর জােনাল মার্শাল ল” প্রশাসকের দায়িত্ব পালনকালে নিয়ে ক্ষমতার প্রয়োগ কিংবা অপপ্রয়োগ করে পান রফতানির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার প্রচুর তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। সে গন থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, অভিযােগ সত্য। যদিও এ বিষয়ে বিবি এন্তে যাওয়া আমাদের কাজ নয়। এ ব্যাপারে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে যে, এসব বিষয়ে কোনাে তদন্ত কিংবা বিচার প্রক্রিয়া শুরু কৰাৰ কোনাে প্রয়োজন আছে কিনা। যা শেষ পর্যন্ত এইসব অফিসারের বিরুদ্ধে যাবে।
১. মেজর রেল মােহান কামাল, সাবেক ওসি ৩৪(এ) ডিভিশন, পূর্ব পাকিস্তান। (৩) ব্রিগেঞ্জির হোন না আৱলাৰু, সাবেক কমান্ধার ঐণ নিয়ে।
(4) লেঃ কর্নেল (এখন বিশ্লেজিয়ায়) মুজাফফর আলী খান জাহিদ, সাবেক সিও ৩১ ফিল্ড রেজিমেন্ট।
(৫) লে: কনেল বাশাৱাত আহমদ, সাবেক শিও ১৮ পাঞ্জলি। (8) লে: কর্নেল মােহানি হয়, সিও এই পাঞ্জাব। (৭) লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তােফায়েল, রুল ৫৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট। (৮) মেজর মলিলি ইমেইন শাহ, ১৮ পাঞ্জাব।
২১. &ি Isএমএস, পূর্বাঞ্চলীয় কমাচ্ছে পোপ্ত কনেল বশির আহমাদ গান (নং২:৬৩) মিলশের সামনে উফখ থেন যে, ১৯৭১-এ ১০ শখকের সকালে মে, গে, জামশেদ খানের জর সঙ্গে কিছু অং নেখিলেন ঢাকা ছাড়ার সময় তিনি আর অতিমোগ করেন যে, পূর্ব পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সেস-এর কর্নেল শাফ লে. কর্নেল রশীদও অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে খবর পাওয়া যায়। পূর্ব পাকিস্তান আমজ ফোর্সেস-এর কমাস্কারা ছিলেন মেজর জেনারেল জামশেদ খান। আমি আরও দৃষ্টিগােচর হয় যে, ১৯৭১-র ১৫ কিংবা ১৫ ডিসেম্বরের সকালে যেসব ব্যক্তি পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করেন তাদের মধ্যে
৯. ব্যাপারে মেজর জে, জামশেদ আনের বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশ মােৰেক যে পরিমাণ টাকা প্রয়ে ফেলা হয় তা থেকে আমি ৫০ হাজার টাকা তুলে নােয়ার আদেশ দিয়েছিলাম। এই অ আমার তত্ত্বাবধানে এসং, কড়া আই-
Iষায় ১৯৭১-এ ১৫-১৬ ডিসেম্বরের রাতে বিহারি ও পাঞ্জালি সংবলিদাতা এনং গর্বিসের মধ্যে অফিসাৱৱ বিলিয়ে হয়।
| আমার নায়িত্ব পালনকালে এক গোপন তহবিল ছিল তথ্য পাওয়ার জন্য সেখান থেকে পুরস্কার নিঙাম। এই তহবিলঃ কেনাে আউট হয়। ১৯৭১-র ১৫/১৬ ডিসেম্বরের রাতে যেসব দুঃস্থ পরিবারকে #ত বাইরে পাঠানাে হয়, তাদেরকে এই অর্থ দেয়া হয় ইপিসিএএফ ডিরেক্টর কোয়েলের তহবিল থেকে। এই তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দের একমাত্র কর্তৃত্ব ছিল আমায় এবং
________________________________________
পরিস্থিতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসো কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের সুপারিশ করার কোনাে ইন্ধা ছিল।
র। উপদােন্নখিত ব্যাখ্যা থেকে এটা সহজেই অনুমাে যে, কোনাে হিসাবরক্ষণ বিভাগের কাছে এই নয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানাের কোনাে প্রয়োজন তার ছিল না।
২৩. সুখের সঙ্গে মলতে হলে যে, জেনারেল কামশেদের জন্য আমাদের কাছে। সম্বোষজনক মনে হয়নি। সাধারণ পরিস্থিতিতে তার দ্বারা তহবিল বিতরণ বিষয়টি অভিযোগ! না হলেও, এর ইন যথাযথ হতে সঠিক তথ্য রাখা। পূর্ব পাকিস্তানে এবং পরে শিবিরে। থাকাক্কালে এমন অফিসাণ অর্থ এই আসন পানের অলির শােনে। সুবাঃ, আমাদের সুপারিশ, এ বিষয়ে আরও তদন্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। যাতে জেনারেলের নিজের স্বার্থে এ বিষয়টিকে ঘিরে রশের অবসান হয়।
২৪, মােজৰ নােবেল নাজিৱ হুসেইন শাহ (সাক্ষী নং-২৪২) জিওসি-১৬ &িfeশন, মে, জে, এমএইচ আনসারী (সাক্ষা নং-২:৩৩) fa এসি, ৯ ডিভিশন এবং চিফ অব স্টাফ, পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড মিডিয়ার বাকি সিদ্দিকী জানান, এসব অফিসার এবং তাদের ইউনিটগুলাে ব্যাপক লুটতরাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মধে। সিরাজগঞ্জের ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৩৫ লাল টাকা লুটপাটের গটনাও অন্তর্ভুক্ত। একটি ট্রাণে নিচের অংশে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ যথন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পাকশি ব্রিজ ক্রসিংয়ে জেসিও বাধা দেয়। ট্রক ইজারা একটি চিরকুট দেখায়। যাতে লেখা ছিল, মেছের মাল ছাত্র নিয়েছেন। আমাদেরকে জানানাে হয়, মেজর জেনারেল এম এ আনসারীর নেতত্বে একটি পথ আদালত গঠন করা হয়। খিনি কিছু প্রমাণও হাতে পান। কিন্তু যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় তপ্ত শেষ করতে পারেনি।
২৫. মােরেল হেডকোয়ার্টারের প্রতিনিধি আমাদেরকে জানাতে পারেননি এলশ অফিসারের ব্যাপারে জেনারেল হেডকোয়াটার কি সিদ্ধাস্ত্র নিয়েছে। ব্যতিক্রম কেবল নিমজিানি কােহজিনা আৱনান। মাকে জিওসি একটি ডিভিশনের অফিসার নিয়ােগ করা হয়। কমিশন মনে করে, তদন্ত শেষ করা এবং অফিসারদের অপৰাধমুক্ত করার আগে এ ধরণের নিয়োগ জেনারেল হেকায়ার্টারের তরফ থেকে গ্রহণযােগ্য। আমাদের সুপারিশ, মেজর জেনারেল আনসারী পূর্ব পাকিস্তানে যে তদন্ত শুরু করেছিলেন কান নিলাজ না করে সেই তদন্ত সম্পন্ন রা। এসব রেকর্ড পুনরুদ্ধারে কোনাে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এ ক্ষেত্রে যেসব স্বাক্ষর প্রয়ােজন তারা এখন
নারকীয় গুণের অভিযােগ ; পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কএক এটা সবারই জানা যে, ১৯৭১-র মার্চের পর পূর্ব পাকিস্তানে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযানকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আচরণের প্রচও নিন্দা ও সমালােচনা করেছে বেশ কয়েকটি মহল। মূল রিপাের্টের পঞ্চম পর্বের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ঐ-৮ অনুচ্ছেদে এ বিষয়ে আলােকপাত কনার সুযােগ। আমরা পেয়েছি। আমাদের হবে আশা নতুন প্রমাণের আলােকে আমরা এসব প্রশ্ন আৱও পরীক্ষা করে দেখেছি। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের অপকর্ম। ২. পূর্ব পাকিস্তানের দুঃখজনক অধTয়াকে যথার্থ পরিপ্রেক্ষিতে গঙ্গার তাণে খতিয়ে দেখায়। প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি। আমাদের এটা তুললে চলবে না যে, ‘৭১ সালের ৩ মার্চে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদের অধিবেশন জেনারেল ইয়াহিয়া স্থগি মেশা করেন ১ মার্চ।
________________________________________
আর এ পটভূমিতেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা হিংসাত্মক ও নিষ্ঠুর তৎপরতা শুরু করে। স্বরণ করা যেতে পারে যে, ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ৩ মার্চের মধ্যে কে কবে কখ অচল করে নিয়ে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকার এহণ করে। নির্ভরযােগ্য সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা যাচ্ছে ওই সময়ে দুবৃত্তরা পাকিস্তানপন্থিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যা ও ধর্ষণে লিপ্ত হয়। এসব ঘটনা ঘটে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চরাম, চন্দ্রঘােনা, রাঙ্গামাটি, খুলনা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুষ্টিয়া, নােয়াখাল, সিলেট, মৌলভীবাজার, রংপুর, সৈয়দপুর, যশাের, বিশাল, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুমিল্লা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, ৰজ, নওগাঁ, সাজ্ঞাহার ও
৩, ওই হিংসারূক তৎপরতা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে নিরাপদে পালিয়ে আশা কহ সংখ্যক নাগরিক ও বিহারির কাছ থেকে নৃশংসতার বিবরণ জানা গেছে। মার্চের গােলযােগপূর্ণ সাগুলােতে কসও অবায়ালিয়া সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ॥ক বিমানবন্দরে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে কখন তারা পশ্চিম পাকিস্তানে নিরাপদে ফিরতে পাৱৰে।
ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে আসে পুর্ব পাকিস্তানে কর্মরত পশ্চিম পাকিস্তানি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জীবনে। তারা নানাভাবে লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত হয়। সাবেক বাঙ্গালি সহযােগীদের হাতেই ব্যাপকসংখ্যক পশ্চিম পাকিস্তানি কর্মকর্তা জবাই হন।
৪, এই শশংসতাবা খবর সম্পূর্ণরূপে ব্লাকআউট’ করে পাকিস্তান সরকার। পশ্চিম পাকিস্তানে বসবাসৱত ৰালিয়া প্রতিহিংসার শিকার হতে পারে এই আশঙ্কাতেই অবশ্য তথ্য গোপন করা হয়। ‘৭১ সালের আগস্টে এ সম্পর্কে একটি খেজপত্র প্রকাশিত হয়। কিন্তু তা জাতীয় ও আন্তজাতিক প্রচার মাধ্যমে তেমন গুরুত্ব পায়নি।
৫, প্রভাবশালী সাংবাদিক কুতুবউদ্দিন আজিজ সম্প্রতি প্রকাশিত তার রাজ এক টিয়ারস” এঙ্গে এই ঘটক |.০ করেছেন। এতে পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসনাত অস। বিহার, পশ্চিম পাকিস্তানি শক্তি বাঙালিদের ওপর নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন চালানাে হয়েছে তার করুণ বিবরণ বিকৃত করা হয়েছে। উনি আজিজের নিবরণ অনুযায়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের দ্বারা এই সময় এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ লােককে হত্যা করা হয়েছে।
৪, আমরা যা বুঝতে পারি তা হল, কুতুবউল আজিজ পূর্ব পাকিস্তানে তাকে স্বজনহারা পরিবারগুলাের কাজ থেকে সঠিক তথ্য নিয়ে এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছেন। তিনি অবশ্য পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত বিপশি সাংবাদিকদের পাঠালা সমসাময়িক প্রতিবেদন ব্যাপকভাবে উদ্ধৃত করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত অবাঙালিয়ে দুর্দশা ও তাদের ব্যাপক ভিত্তিক প্রশাসনে শাকিন সরকারের ওপর বাংলাদেশের অবহিত কপি আযমী লীগের বিরুদ্ধে সংকও অভিযােগের সত্যতা নিশ্চিত করে নিঃসন্দেহে। সেনাবাহিনীতে উস্কানি ২. অপারেশন চলাকালে পূর্ব পাকিস্তানে ফেসব ম্যায় ও অপরাধ সংখণ , একি বৈধতা লিতে তুলে ধরা হচ্ছে না এ তথ্য। বরং নথি সংরক্ষণ এবং অশিয়ে গলমহল ও সঠিক হবে অতিয়ে দেখতেই এই উদ্যেশে। সেনাবাহিনীকে মানসিকভাবে বিষ্ণু কখতে এবং তার মধ্যে বকতা জাগিয়ে তুলতে বাধ্য করেছিল আওয়ামী দুৰ্বকরা। বিশেষত এই গাছগুলােকে তারা যখন
________________________________________
মানবিক বিপর্যয়ের দায়ে তারা অভিযুক্ত হচ্ছিল, তখন তারা তাদের সঙ্গিদের অপমানিত হতে লেগেছে, লেগেছে তাদের খাদ্য ও রেশন, হাম | হচ্ছে ৪ এমনকি কোনও কারুণ বা যুক্তি ছাড়াই “হানের হত্যা করা হচ্ছে। পশ্চিম পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারকে পাইকারি হারে। হত্যা করার খবর সৈন্যদের কাছেও পৌঁছেছিল, তারা আর যাই হোক মানুষ তাে বটেই। এর। প্রতিক্রিয়া হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা পুরস্কারের প্রয়ায় হিংস্র হয়ে ওঠে তারা।
অভিযােগসমূহের বৈশিষ্ট্য ৮. পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্রটিসমূহ ঃ অভিযােগ অনুযায়ী . (ক) ১৯৭১ সালের ২৫ এবং ২৬ মার্চ ব্রাত মিলিটারি অপারেশনে শক্তি ও ক্ষমতার অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছে।
(খ) মিলিটারি অ্যাকশনের সময় ‘সুইপিং প্রপারেশন”- এর আওতায় দেশজুড়ে নিষ্ঠুর উলঙ্কা, অসিংযােগ এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়।
(গ) চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং অন্যান্য পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে গণকবর দেয়। মিলিটারি একশনের প্রথম পর্যায়েই যে হত্যাকাণ্ড চালানাে হয় এবং, ‘কা একা শুত্রের এবং মুক্তি যুদ্ধের ক্রাঞ্জিলগ্ন অর্থাৎ, ডিসেম্বরে অব্যাহত থাকে।
| (খ) পূর্ব পাকিস্তানের বেসামরিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি অথবা সখেজনক ব্যক্তিকে নাড়ির অথবা তাদের বিন্নি অবস্থান থেকে ধরে এনে মার্শাল ল’-এ অলীনে শাস্তি প্রদানের নামে হত্যা করা।
(6) পশ্চিম পাকিস্তানি কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য দ্বারা বিপুলসংখ্যক পূর্ব পাকিস্তানি মহিলা। হয়ণের শিকার হয়। প্রতিশোধ এবং অত্যাচারে অংশ হিসাবে যথেচ্ছ কালে পশ্চিম পাকিস্তানি কর্মকর্তারা এ বর্বরতা ছালায় ।
| (চ) সংখ্যালঘু হিন্দুদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। কামালের মূল অংশ ৯, পাক সেনাবাহিনীৱ নৈক্রিক ও মানসিক শুলার দিক থেকে মারাত্মক সব অভিযোগগুলাের প্রামাণ্যতার কারণে এর আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়সহ বিষয়টি মৌলিক গুরুত্ব বিবেচনা করে আমন্ত্রী। এ নিয়ে প্রত্যাবাসিত সেনা কর্মকর্তাদের কিছু প্রশ্ন করার সিদ্ধান্ত নিই। আমরা অনুধাবন করি অভিযুক্ত সেনা ও আমাদের সামনে এসব অভিযোগ সম্পর্কে যে বিশেষ ধরনের লতি দেবে ত্রা প্রয়ােজনীয় সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে নির্দেশনা দেবে ঔ সাহায্য করবে।
| ১০, লে, জে, নিয়াজী চেষ্টা করলেন, সৰ লোধ এর পূর্বসূরি লে. জে. টিক্কা খানের পুত্র জাপানাের। ‘শষজার বিবরণ অনুযায়ী সেনাপলকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তার ওপরই নির্ভা করেছে, তাদের কর্মকাও। ই জায়গায় বাছবিচার না করে সেনাবাহিনীকে যথেচ্ছ ব্যবহারি ক্লাব নকরণে জনগণ ক্ষুব্ধ হয় না, তারা পাক সোবহার বিরুদ্ধে চলে যা। মা অভিমানের সেই প্রথম শিক্ষাগুলোতে যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানাে হয়, তার পূৱণ থিংবা পুনঃনির্মাণ আর
নােই করা সফল হয়নি। যার ফলে সেনানায়া চেঙ্গিস খান এবং ‘পূর্ব পাকিস্তানেৱ কলাই নামে অভিহিত হন। সামরিক অভিযান শুরু সঙ্গে সঙ্গে তৎকালীন সামরিক আইন প্রশাসক বিশ সংবা মাধ্যম থেকে নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। বহিষ্কার করা হয়। সকল বিদেশী
________________________________________
সংবাদদাতাদের- এটা ছিল অথাের্কিত। এভাবেই প্রােপাশাজী যুদ্ধে পাকিস্তান ভারতের কাছে সম্পূর্ণভাবে পাস্ত হয়। নিয়াজী আরাে বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সেনাবাহিনীর শশলার উপর আমি সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেই। দায়িত্বভার নেয়ার চতুর্থ দিন অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে আমি পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত সকল সেনাদলকে উদ্দেশ্য করে একটি পত্র স্নেহণ করি। এতে আমি কঠোরভাবে নির্দেশ দেই যাতে লুট, ধর্ষণ, কাংসযজ্ঞ ও বেপরােয়া গণহত্যা অবশ্যই বন্ধ করা হয় এনং উন্নততর সেনাশৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়। আমি জানতে পারি যে, লুট করা বিভিন্ন মালামাল পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠানাে হচ্ছে যার মধ্যে গাড়ি, ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনারও ছিলাে।
পূর্ব পাকিস্থান কর্মকর্তাদের নিরস্ত্র করার সময় তাদেরকে ও সাধারণ মানুষদের হত্যা করার অভিযোগের উত্তরে নিয়াজী বলেন, “একম অভিযােগ আমিও শুনেছি। তবে এ সবই খটেছে সেন আকিয়ানের কর দিকে, আমার দায়িত্ব নেয়ার আগে।” ৱেল নিল। এ কথা অস্বীকার করেন যে, তিনি কখনাে সংখ্যালঘু হিন্দুদের পাইকারি হত্যা করার জন্যে তার অধঃস্কন অফিসারদের নির্দেশ দেননি। ডিসেম্বর, ১৯৭১-এ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অভিযোগও তিনি অস্বীকার কল্লেন। তবে তিনি স্বীকার করেন, কিছু কিছু ধর্ষপে খানা খটেছিল। অবশ্য অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হয়েছিল। তিনি আরাে বলেন, এ ধরনের ঘটনা তখনই ঘটেছিল যখন সেনাদল বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই আমি নির্দেশ দেই সেনাদল যেন এক কোম্পানির কমে কোথাও মুত না কত্রে। যখন একটি কোম্পানি এক সঙ্গে থাকে তখন তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য একজন অফিসায় থাকে। কিন্তু বিচ্ছিন্ন হবো সেকশনে বিভক্ত হলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা খুবই মুশকিল। বিভিন্ন অনাচারের জন্যে প্রায় ৪০ জন সৈনিককে আমরা ঢাকা জেলে শক্তি দিচ্ছি।
১৯. তথকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভালাে উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী জাম্য থেকে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিলাশ পাওয়া যায়। *ট, ধর্ষণ, ধ্বংস, জনগণকে হয়রানি ও অপমান করার কাবহ গল্প খুব সাধারণভাবেই আচালী হয়েছিল। আজ আমি একটি নির্দেশমালা লিখেছিলাম। যাতে জনসাধারণের সঙ্গে চমৎকার ব্যবহারের নির্দেশনা ছিল, যাতে সহজেই জনগণের হয় || ক খায়। এই আদেশ ইস্টার্ন কমাজে পাঠানাে হয়। জেনারেল টিক্কা খানের স্বাক্ষর সম্বলিজ। আমি লক্ষ্য করলাম, জেনারেল টিকার অবস্থানও পরিকল্পিতভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়। তার আদেশ উপেক্ষিত হয়। অন্যায় আকুলগুলাের সাফাই ব্যাখ্যা দেয়া হয় নানা কল্পনাপ্রদ গল্প ও মিথ্যা তথা দিয়ে।
১২. বিগ্রেডিয়ার শাহ, আবুল কাশেমের সাক্ষী নং-২৮৭) একটি ভাষায় পাওয়া গেছে, ২৫ ও ২৬ মার্চ ‘৭১-এর মধ্যকার রাতে সংস্থাটি অনাবলী এবং সে রাতে সেনা অভিযানে ব্যবহৃত অতিরিক্ত সৈন্যদল সম্পর্কে। যাতে বলা হয়েছে ২৫ মার্চ রাতে আসলে পাক সেনাবাহিনীকে কোন যুদ্ধ করতে হয়নি। শুধু প্রতিশােধ স্পৃহা ও ক্রোধের বশবর্তী হয়ে অহেতুক অতিৱিকসংখ্যক সেনাসদস্য সে আত ঢাকায় অপারেশন চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল্যে আবাসিক হল Wংস করার জন্য এমনকি মর্টার আরমণও চালানাে হয়। এর ফলে অতিরিক্ত হত্যাকাণ্ড সংঘাতে হয়। এবং সপক্ষে যুক্তি দেয়া হয় যে, হল দুটোকে এই সময়ে কেন এলাে না এবং বিদ্রোহী আওয়ামী লীগৰৱা হলে সন্ত্র বিদ্রোহের জন্য সেগুলোতে অন্ধ ম করে অটো
১৩. আত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বিগ্রেডিয়ার তাসকিন উদীনের (সাক্ষী নং৪৮২) আয়াতে। তথাকমি দুলে দমনের অজুহাতে অসংখ্য জুনিয়র অফিসার ও অন্যাশ) সৈনিকরা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলাে। তথাকথিত দুর্বত্তদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে
________________________________________
স্বাভাবিকল্প য়ে অনেক বেশি অত্যাচার করা প্রয়েছিলাে এবং এর অনেকগুলোই টানা হয়েছিলাে নির্মানের মধ্যে সাধারণ মানুষের দৃষ্ট্রির সামনে। ফলে পাক সেনাবানীর শমলা যে ভেঙে পকেছে তা উগণ বুঝে গিয়েছিলাে। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে ‘ধুমথাট’ মানের একটি রুমণ্ডি অঞ্চলে বেশিকিছু তথাকথিত দুহকে ফায়ারিং, ফিঞ্জে হত্যা করা হয়েছিলো। ঘটনা জানার পর থেকে আমি এর পুনরাবৃত্তি করতে হেল।
১৪. ১৬ ডিভিশনের জিওসি মে, জে, নাজিনা হােসেন শাহ, জকার করেন বিচার ছাড়াই নাৱালিদের হত্যা করা হয়েছিল। এইকালে নিগ্রোয়ার আব্দুল কৰি আনি সাগ নং-২৪৩)। সাক্ষ্য দেন যে, “অ্যাণে বাঙালিদের তুলে আনার অনেকবলা | cট¥ছল।” এক ক্যাভালার মাtি অফিসার লে. ক. এস, এস বােখারী ২৪৪নং সাক্ষী হিসেবে প্রশ্ন জাগে। এফ, “রংপুলে দু’জন বাঙালি অফিসারসহ আরাে ৩০ জনকে বিনা বিচারে || করা হয়েছিল । এমন ঘটনা অন্যরা আট থাকতে পারে। ২৯ ব্যাচের কথা? মন্দির এবং 21f৮ নং সাক্ষী। লে, ক, এস, এম, নয়মি. এর জ্ঞাথে আরো একটি স্বীকারোক্তি পাওয়া গেছে সুইপ অপারেশন’এর সময় আমরা পরখ জনগণকে হত্যা করেছি, যা গাখ মানুষকে নিয়ে হতবাক।
১৫, নি। এসও-১ ভিশনের লে, ক, মসুরুল হক ২০ নং সাক্ষী) বেশ কিছু অভিযােগ। সম্পর্কে খু% ও প্রদান করােন। যে কোন বাঙালি যাকে মুক্তিলা|| কিংবা আমার হিসেবে অভিযুক্ত করা মাত্রই বিনা বিচারে হা করা হঞ্জে। এ আনে। কোন প্রকার পল্প কিংবা । কেম খর কলঙ্কের লিখিত নির্দেশের প্রয়োজন হয়নি।* নির্বিচারে হ%, লুট ধুমাত্র অগঞ্জ পাকিস্তানের শলের উদ্দেশ্যই সাধন করে। এর কবে কার কারণে আমি পুর পরিবালের নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন হারিয়েজি। ২৭ ও ২৮ মার্চ ১৯৭১ সালে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে সংঘটিও মর্মান্তিক ঘটনাই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। সেই সময় যুক্ত ফিল্ড রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লে. জে. Tণ মালিকের জাদুল হোনে ১৭ জন বয়ালি অফিসার ও ১১৫ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। এই একটি ঘটনাই সেনাবাহিনীর অপকর্মের উদাহরণ হিসেবে যথেষ্ট।
বাঙালিদের বিরুদ্ধে সাধারণ সৈনা এমনকি কর্মকর্তা জেনারেলদের মধ্যেও খুগাবােধ ছিল এক স্বাভাবিক ব্যাপার। হিন্দুদের নিমূল করতে হিল অলিৰিত নির্দেশ। শোনবাহিনীর ঘাম এবং ছােট শহরগুলোতে মুক্ত করার মানেই ছিল ক ম নিষ্ঠুরতার ন্যায়পার অঙ্কণীৰ স’, অগ্নিসংযােগ বো হত। জনালে লিAে’হিরা জলিলের বিরুদ্ধে হনকা পল আধা।”
| ১৬, অনেক বেসামৰিক কর্মকাণ্ড একইভাবে চাকরিচ্যুত হন। এখানে ঢাকার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার জনাব মােহাম- আশরাফের একটি উক্তি উতি হিসেবে ব্যবহার করা যথাযােগ। হবে-যার উদাহরণ আমরা আগের একটি ক্ষেও অবস্থা করেছি। এই অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারের বক্তব্য হচ্ছে সামৰিক অভিযানের পর বাঙ্গালিরা তার নিজেদের দেশেই যেন। ব্যক্তি বাতিতে পরিণত হয়েছিলাে। এমন কি অনেক উচ্চপদস্থ পাঞ্জালিশে। জীবন, সম্পত্তি এবংমালখানের নো নিরাপত্তা কিংবা নিশ্চয়তা ছিলাে না। সন্দেহ ** লােকশনের আলােয় বাসা থেকে তুলে আনা হতো এবং আলোকে বাংলাদেশে ফালান না হত্যা মানে জক্য করা। হলো এবং হত্যার সময় এই শটি বাৰহাৰ কৰা জাতে। এসব হতভাগ্যদের মধ্যে ছিলাে বাঙালি। পুলিশ কর্মকর্তা, মেধাহিনীর সদস্য এবং বেসামরিক উপ৫ কাপ পাকিস্তানে এখন আইনের শাসন বলতে কিছু ছিলাে না। একজন মানুষ যদি সেনাবাহিনীর স্টেজ তালিকায়
________________________________________
থাকতাে তাহলে তার আর রাক্ষা পাওয়ার উপায় ছিলাে না….যেসব আমি অফিসাৱৱা গোয়েন্দার কাজ করতেন। তারা ছিলেন অত্যন্ত কাজ্ঞা জাতের। তারা স্থানীয় ভাষা কিংবা বাঙালির আচার – আচরণ সম্পর্কে অবহিত ছিলাে না কিংবা এসবকে উপেক্ষা করতাে।
| ১৭, এ প্রসঙ্গে সিনিয়র কর্মকর্তাণে মনােকান প্রকাশ করার জন্যে বিশ্লোভিয়ার রেহমান শরিফের (সাক্ষী নায়- ২৬৯) অভিযােগ উদ্ধত করা হলো- তিনি অভিযােগ করেন যে পূর্ব পাকিস্তানের রমেশ কমান্ডে তার সফরের সময় জেনারেল ফুল হাসান প্রায়শই সৈন্যদের কাছে আমিও চাইতেন কত জন রায় লিকে তোমরা হত্যা করেছে?
১৮, এ প্রসঙ্গে ৮ বালুচের কমান্ডিং অফিসার অফিসার ও পরবর্তীতে মুজাহিল ব্যাটালিয়নের ৮-এর কমান্ডিং অফিসার লে: কর্নেল আজিজ আহমেদ আন (সাজ্জা নং ২৭৫) এর বিবৃতি সৱাসরি যােজ্য। তিনি তার বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশ্লেয়াির আবার আমাকে জয়দেবপুরের সব আনাড়ি রংসেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। বৃহত্তর ক্ষেত্রে আমি তার এই নির্দেশ মর্যকর করেছি। জেনারেল রিজী আমার ঠাকুরগাও ও বগুড়ার ইউনিট পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তিনি আমাদের কাজে আনতে ফাইলে আমরা ভোজন হিন্দুণে হত্যা করেছি। মে মাসে হিন্দুদের হত্যা করার একটি লিখিত নির্দেশ আসে। এই নির্দেশটি দেন ২৩ বিগ্রেডিয়ার আবদুল্লাহ মালিক। সবুজ পূর্ব পাকিস্তানকে লাল রঙে আঁকা। ২০. ১৯৭৪-লের ২৮ জুন শুক্রবার টাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিযােগ করেন যে, মেজর নােবেল প্রাপ্ত ফরমান আলী নিজের হাতে সরকারি দলিলে লেখেন যে “পূর্ব পাকিস্তানের সবুজ জমিকে লাল বয় সয়লাব করে নিতে হবে। বৈঠকে শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিশ্রুতি দেন যে, রাও ফরমান আলীর এই নির্দেশের ডকুমেন্টের একটি ফটোকপি তিনি কিস্তান সরকারকে দেবেন। এই উকুমেন্টের ফটোকপি এনি পাকিস্তান সরকারকে দিয়েছিলেন এবং তা এই অধ্যায়ের পরিশিষ্ট কি ঙ্গে সংহােজিত করা হলাে। বাংলাদেশের আন্দোলন দমনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক শাসনের ব্যাপক হত্মা ও রক্তক্ষার পরিকল্পনার একটি অতিপয় এই লিখিত নির্দেশের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর এই লিখিত নির্দেশের ডকুমেন্ট পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর গণহত্যার প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা
২১. আমরা মেজর মােরেল রাও ফরমান আলীকে কার এই লিখিত নির্দেশের গুরুত্ব এবং কোন পরিপ্রেক্ষিতে এটা আমার কাছে এসেছে তা অনজিত করেছিলাম। তিনি জানান, পূর্ব পাকিস্থানের সবুজ মন লালে পরিণত করা হবে এই শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন ঢাকার পান মায়াজালে ১৯৭০ সাফের জুন মাসের এক জনসহ একজন ন|পি নেতা। সামরিক সম্পর করের ধারণা যে, এই কথাটি বলেছে, সাপ তো জনাব মােহনায়াহ এনয়, এ জন্যে মােহাম্মদ তোয়াজাকে জেকে দুশিয়ারি উচ্চারণ করে শান্তি বিঘ্নিতকালী এ বয়সে কথা না বলাঞ্জ জন্যে আহ্বান জানাতে আমাকে বলা হয়। মােহাম্মল তােয়াহাকে সতর্কতার নির্দেশ দেয়ার জন্যে আমি এই কথাগুলাে আমাৰা টেবিলের ডায়েরিতে লিখে রাখি-যখন এৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রকালীন আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল ইয়াকুব আমাকে বারবার টলিফোন করে তোয়া জাঝে ইশর করে দেয়ার কথা বলেছিলেন। তাহা পরবর্তীতে এই ধরনের বক্তব্য দেখি Nী অধীকাৰ করে বলেন, আমি নই, কথা কব আহমেদ এবং গ্রাশেদ খান মেনন এই
________________________________________
করে কথা বলেছিলেন। ইনিই এই লোক আক্তার!উল্পে ছলে পেলে আন জেনারেল। ফরমান তা বিরুদ্ধে আর কোনাে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পাহেনি। জেনাৱেণ ক্ষমাণ আরো ব্যাখ্যা প্রদান করে যে, মােহাম্মদ তােয়াহা এবং তার সহযােগীদের সঙ্গে কমিউনিস্টদের যােগাযােগ ছিল। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তারা পূর্ব পাকিস্তানকে কমিউনিষ্ট থাষ্ট্রে পরিণত করার অব্যিক্তিই প্রকাশ করেছিলেন রঞ্চপারে কথা বলেননি। সর্বশেষ মেজর ঠোনারেল রাও ফরমান আলী এ সম্পর্কে বলেন যে, ৬িনি এই লিখিত নােটকে কোনো গুরুত্ব দেননি এবং এটা অবশ্যই তা বাঙালি ব্যক্তিগত সহকারি হস্তগত হয়েছিলো- খান ১৯৭০-এ এই ৬ায়েরিণা পৃষ্ঠা শেষ হয়ে যায়।
১২. বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তান সরকারের কাছে পাঠানাে এই কুমেন্ট। টোকপির মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হয়েছে যে, যে কাগজে এই নির্দেশটি লেখা হয়েছিলাে-সেটা ছিলাে এক ধরণর লেখাৰ পাছ-যেখানে কোনো কিছু আগে ব্যাথার জন্যে নােট করা হয়। এই কাগজরি হেজিংয়ে লেখা ছিলাে- “গকরণ লিয় পূর্ব পাকিস্তান’ এরপরে আরো নানা কিছু লেয়া আয়মাণ একটার সঙ্গে শুৱেকটির কোনাে সংযােগ নেই। ঔপহরণ হিসেবে “সিরাজইকবাল হল- সি’ এই বাক্যগুলাের নিচে কলমের কালিতে একটি লাইন। ওই আবার লেখা হয়েছে ‘জনাল তােয়াহা ও অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা”। এই শব্দগুলাের পর লেখা আছে প্রধান বিচারশক্তির টেলিফোন নম্বর এবং জনাব কামন্ত নামের এক ব্যক্তির নাম। তারপর এই শব্দগুলাে একটি প্রশ্নবােধক চিহ্ন দিয়ে শােধ করা হয়েছে। পুত্রো শপগুলােকে কালাে কলিতে, আঁকা একটি গল্প গিয়ে চিহ্নিত করা হয়েমে। পর আবার একজন অফিগারের নাম লেখা। হয়েছে। আর সঙ্গে পূত্রে শব্দ কিংবা বাক্যগুলোর কোনাে সংশ্নিষ্টতা নেই।
২৩, এই অকুমেন্ট নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ আমাদের মনে কোনো সন্দেহের অবাশ রাখেনি যে জেনারেল রাও ফরমান তার লেখার পাঞ্চ কিংবা টেবিল কায়েরিতে বিল্পি ধরনের নােট রাখার সময় এই কথাটি লিখেছিলেন, একই পায় নাৰ তােয়াহা এ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা কথাগুলাে থাকায় মেয়র নােবেল ও ফরমানের বক্তব্য যে, তিনি লিখেছিলেন নিজের মানে। রাখার জন্যে যাতে করে সামরিক আইন প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী তায়াহাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কি কথা| সঠিকাবে বলতে পার্কে। এই লেখাটিকে পূর্ব পাকিস্থানে ৰক্তপাত ঘটানোর জন্য মেজবা জেলে ও মান আশার কঠিন ঘোষণা কিংবা শাক হিসেবে বিবেচনা করাটা আমাদের কাছে উট মনে হয়েছে। বাং জেনারেল ফরমান এ সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা। দিয়েছেন-তা আমাদের কাছে সঠিক মনে হয়েছে। ১৯৭১-এর ডিসেম্বর মাসে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার অভিযোগ। ১৪. এই আৱ একটি বিষয় যা ঢাকায় পাকিস্তানের প্রধানমীর সঙ্গে বৈঠকের সময় শেখ মুষ্টিবুর। রহমান সুনিনিষ্টভাবে উত্থাপন করেছিলেন। মে ঋণ খোলালে ৬ ফরমান আলীর বক্তব্য অনুযায়ী ১৯৭১-এর ৯ ও ১০ ডিসেম্বর বিকেলে আৰু বিহাগের উপসামরিক আইন প্রশাসক মেজর জেনাকেল অনিশে তাকে টেলিফোন করে এবং পিন সলর লঙ্কারে যাইত ন| হন। জানান। পিলখানার সদর দফতরে পেীছ লেবেল বমান আলী সংখক ও পা এরা অবস্থায় দেখতে পান, মেজর জেনারেল জমশে একটি গাড়িতে উঠছিলেন। তিনি জেলে ফরমানকে তার সঙ্গে যেতে বললেন। তারা এক সঙ্গে ইস্টার্ন কমার শনা করে জেবেল নিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যে রওয়ানা দিলেন। পথে মেজর জেনারেল আমিশেল জেনারেল ফরমান আলীকে অবহিত করলেন যে, তারা কিছু লােকদের মেফার করার কথা চিন্তা কহে।
________________________________________
লীছেও জেনারেল মম আল একই মতামত প্রকাশ করলেন। জেনারেল নিয়াজীও চুপ থাকলেন এবং জেনারেল জামশেদ। কেনারেল ফরমান জানান, সম্পর সফলত থেকে আসার পর কি হয়েছে সে সম্পর্কে আমি কি বলতে পারলাে না কালে তিনি মনে করেন যে, এখাপ খাতুন। কোনাে পক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
২৫. এই প্রশ্নে লে; এ এ কে নিয়া বলেন, স্থানীয় কমান্তৰৰা ১৯৭১ এর ১ ডিসেম্বর তার কার একটি তালিকা দেন যাতে কিছু প্রকারী, মুক্তিবাহিনীর নেত্রদের নাম
যে, তিনি তালিকাভুক্ত এসব লােকদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া বন্ধ করেছিলেন। ১৯৭১ এর ১ ডিসেম্বর কিংবা ভারপরে কোনাে বুদ্ধিজীবীকে গ্রেফতার ও হত্যা কথা সত্যতাও তিনি অস্বীকার করেন।
২৬, মেজর জেনালে জামশেদ অবশ্য এ সম্পর্কে কিছুটা ভিন্ন ভাষ্য প্রদান করেন। তিনি জানান, ১৯৭১ বা ৯ ও ১০ ডিসেম্বর জেনাহেল নিয়াজী আশ নারীতে সাধারণ মানুষেরা। অড়হানের একটি আশঙ্কা প্রকাশ করে তাকে কালিকা অনুযায়ী সাব্য ব্যক্তির জোরে নির্দেশ দেন। সামরিক আইন কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন গােয়েন্দা সংস্থাগুলাে কাজেই তালিকা আগৈই প্রণয়ন কয়া ছিলাে। ১৯৭১-এর ৯ এ ১০ এজন্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়-যে বৈঠকে আফতরের কাব্য ব্যাশ সংশিষ্ট গোয়েন্দা সহ অলােকশান করা হয়। এই তালিকায়। ২ থেকে ৩ হাজার লােকের নাম ছিলাে। জেনারেল জামশেদের ভাষ্য অনুযায়ী কাৰ্য কাজ ব্যবস্থা এবং তাদের বিকাশ ও গেফতারের পদ্ধতিও ২ান্ত হয়েছিলো। কিন্তু এই সময়ে ভারীয়া বিমান বাহিনী জাকার ওপরে বােমা বর্ষণ শুরু এবং অনিবার্য কারণে এনি নিজেই জেনারেল নিয়াজীর সঙ্গে দেখা করে গ্রেফতারের পরিকল্পনাটি ধাপ দেয়ার আহবান জানান। কেৱল আমিশেদ বলেন, সালথ এ কে আর কোনাে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ২৭. টিনা
ও ৫ন জেনারেলের নকশা থেকে মান হয় যে, মালিক ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের শেথ দিনগুলােতে ঢাকা সাধারণ মানুষের অভূত্থান ঠেকাতে আওয়ামী
গের অমৰা মুক্তধৰলাকদের গ্রেফতারের কথা আলােচনা হয় কিন বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে কোনাে বাস্তব পলক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তাই এই ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ যদি বিৰোনাযোগ প্রমাণ দিতে না পারে তাহলে ১৯৭১-এর ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কোনাে বুদ্ধিজীবীকে গ্রেফতার কিংবা হত। ফয়েজ কিনা তা বিল করা। সব না। পূর্ণ পাকিস্তান ইনিটের নির্মাণের সময় শংখটি হত্যাকাণ্ড ১৮. সাক্ষ্য প্রদানের সময় কমিশনেই সামনে সুনির্দিষ্ট অফিল খালিত হয় যে, ৫৩ ফিও রেজিমেন্টের কমাণ্ডিং অফিসার লে: কর্নেল ইয়াকুৰ মালিক ভূমিকা ক্যান্টনমেন্টের ১৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও ৯১৫ জন বিভিন্ন রংকের লােককে হত্যা করার জন্যে দায়ী। ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ৪৪ ফিলঞ্জ ভূগেল এবং বাঙালি এ এল জি শাওনলের নিরস্ত্রীকরণের সময় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসাকাের কাজে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। যে ব্যাখ্যায় , কর্নেল ইয়াকুব মালিক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযােগ অস্বীকাৰ ককেন। তিনি ওই ব্যাখ্যায় বলেন, যে, নিরস্ত্রীকরণের সমt সংইনিটগুলাের শঙ্ক থেকে প্রতিশোধ গড়ে তোলা হয়-যার জনে। সুপক্ষেই হতাহতের খট wং। ভিনি জানান, যাই হোক ১৯৭১ এর এপ্রিল মাসে যখন
________________________________________
পরিস্থিতি স্থিতিশীল হক-তখন নিরীকৃত হাঙণি সেনা সদস্যরা কান্না নিশ্নি ব্যারাকে আটক ছিলােতাহা নবম ডিভিশনের সদর দপ্তরে হিপােট করে। এ থেকে প্রমানিত হব। ১৯৭১-এর মার্চের শেষ দিনগুলােতে নিরস্ত্রীক্ষণ করার সময়ে এ ধরনের কোনাে হত্যাকাও সংঘটিত হয়নি।
এগিরীয় পূর্ব ২৯, কমিশনের কাছে একই ধরণের অভিযোগ উথাপিও ৫ রংপুরের ২৯ পাৰিন্তন সদস্যদের নিরস্ত্রীকাশের সময়। মনিও এই অভিষােগের ক্ষেত্রে বলা হয় যে, মাত্র ২ জন বাঙালি অফিসার এবং ৩০ জুন অন্যান্য জ্যাংকে সেনা সদস্যদের হত্যা করা হয়। এ প্রসঙ্গে কমাtি অফিসার বিগ্রেভিয়ার গল্পীর হোসেনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তিনি অভিযোগ অঙ্গীকার। করে বলেন, খুব অল্পসংখ্যক সদস্য সেখানে ছিলেন-খার আগেই সেখান থেকে পালিয়ে গেছেন অথবা ছুটিতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি-এদের মধ্যে অনেকেই নিপলে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে। যান ইস্টার্ন কমাতের ব্যবস্থাপনায় যারা আবার পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যান্য স্যলে মঙ্গে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
৩০. কমিশনের কাছে, এ ধরনের অতিযােগগুলাের নিষ্পত্রি টানা অবশ্যই খায়নি, এটা হয়তাে সব যে পূর্ব পাকিস্তানি সেনা সদস্য নিরস্ত্রীকরণের সময় অন্য ক্ষেত্রে হত্যার Wটনা। ঘটিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে মিশে গেছে। নির্মমতা ও ভাংসক্সের পরিমাণ কি ছিলাে। ৩০. পূর্ব পাকিস্থানের ১৯৭১-এর ১ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্তু সময়কালে আওয়ামী লীগের হল। সমর্থক এবং পরব ধীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত হও। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা কিংবা বাসষ্যমের পরিমাণ নির্ণয় খুব কষ্টকর বিষয়।
এটাও অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ মিলিটারি এ্যাকশালের পরেও ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী এবং আওয়ামী লীগ পঞ্জিচালিত মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা পূর্ব পাকিস্তানের নাপ্ত এ্যামগুলোতে আক্রমণ করে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযােগে নিয়ােজিত থাকে। এর উদ্দেশ্য। শুধুমাত্র ভীতি লং আল করা কিংবা তারে নিয়ােদী পরিকল্প বাস্তবায়ন ছিলাে এখন আক্রমণের মধ্য দিয়ে তারা সেইসব পূর্ব পাকিস্তানির ওপৰ খতিশােধ নিতো-যা তানাে পক্ষে যোগ দিতে অধীকার করেছিলো। পূর্ব পাকিস্তানিদের ওপর পরিচালিত হতাকাও এবং ফাংসখজের পরিমাণ নির্ণয়ের জন্যে তাই আওয়ামী লীগের জঞ্জী বাহিনী কর্তৃক তাদের নিজেদের ভাই-বােন, আত্মীয়-স্বজননের ওপর পরিচালিত হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসথর কথা বিবেচনায় রাখতে হবে।
৩৯, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ৩০ লাখ বাঙালিকে হতা। এবং ২ লাখ পূর্ব পাকিস্তানি নারীকে ধর্ষণ করেছে। এই সংখ্যা যে অবশ্যই অনেক বেশি। আরিঞ্জন হা বলতে য় বেশি মুক্তিপ্রদানের প্রয়োজন নেই। পূর্ব পাকিস্তানে সে সময়ে নিয়োজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সবাই যদি আর কখনাে কিছু না করে এই কাজ করতাে-তাহলেও এই পরিমাণ হত্যা ও ধ্বংস করা সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীকে সবসময়ই মুক্তিবাহিনীর সসে, ভারীয় অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে এবং পরবর্তীতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নিয়ােজিত থাকতে হয়েছে। তাদের আরাে কাজের মধ্যে ছিলাে বেসামরিক প্রশাসন পরিচালনা, যােগাযােগ ব্যবস্থা এবং সাত কোটি পূর্ব পাকিস্তানিদের খাবারের ব্যস্থা করা। তাই এটা পৰিস্কার। যে, ফাকা কলক্ষ নিয়ে যে সংখ্যা দিয়েছে তা অতিরঞ্জিত ও কল্পনাপ্রসূত।
৩৩. সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিরা হতাহতের বিভিন্ন সংখ্যা প্রদান কঝেছে। তবে @ি এই কিট থেকে আমাদের কাছে সর্বশেষ যে সংখ্যা প্রদান করা হয়েছে তাতে দেখা
________________________________________
গেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এ্যাকশনের সময় আনুমানিক ২৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ড থেকে জেনারেল হেঃকোয়ার্টালে সর্বশেষ পরিস্থিতিৰ ওপর যে ৱিােটলে পাঠানাে হতাে তার ভিত্তিতেই এই সংখা নিত্তপণ করা হয়েছে। এমন কি এই সংখ্যাতে অতিরঞ্জন থাকতে পারে কারণ নিম্ন পর্যায়ের মেশালে বিদ্রোহীসের বিরুদ্ধে তাদের এ্যাকশনের সফলতা দেখানাের জন্যে নিহতের সংখ্যা বাড়িয়ে বলতে পারে। তবে আর কোনাে নির্জনযোগ্য পরিসংখ্যান পাওয়ায় কমিশন জেনারেল হেডকোয়াটার পাঠানাে সর্বশেষ সংখ্যাকেই গ্রহণ করেছে।
৩৪, ১৯৭১-এ পাত্তিানি বাহিনী ২ লাখ বাঙালি নারীকে ধর্ষণ করেছে। শেখ মুজিবুর রহমানের অব্যাহত এই অভিযােগ মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হলো তরুণ যখন তার উনোগে ১৯৭২ সালে বৃটেন থেকে একটি গর্ভপাত টিম আনা হলাে। এই টিমটি কেবলমাত্র ১০০ জন মহিলার গর্ভপাঞ্জ খাটিয়েছিলাে। দায়িত্ববােধের প্রশ্ন ১৫. এখন থেকে প্রায় তিন বছর ধরে বিশ্ববাসী অব্যাহত ভাবে অনেহে চাকা পক্ষের পাঠানাে ১৯৫ জন মহিলার একটি তালিকা স্বাৱা ১৯৭১ সালে এ ধরনের বর্বরতার শিকার হয়েছিলাে। যেহেতু কমিশনের কাছে এই তালিকার রুপি পাঠানাে হয়নি। তাই এই সম্পর্কে কোনাে মন্তব্য করা বা এই তালিকায় কারো নাম অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এ ক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট যে ফুড়ান্ত ও সার্বিক দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে জেনারেল ইয়াহিয়া খান, মো: জেনারেল পীরজাদা মােয়ার জেনারেল ওমর, লেঃ জেনারেল মিয়াকেই। এটা সাক্ষ্য প্রদান করা হয়েছে যে, লে: জেনারেল মিঠা ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্রানে মিলিটারি এ্যাকশন শুরু হওয়ার আগের দিনগুলোতে বিশেষভাবে রিয়াশীল ছিলেন। জেনারেল ইয়াহিয়া ও অন্যান্য জেনারেলরা মিলে ওই দিনরাতে মিলিটারি একশনের দু9ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়ে জেনারেল ইয়াহিয়া ২৫ মার্চ বিকেলেই ঢাষ্ণা ত্যাগ করেন। এই পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন মেজর জেনারেল মিঠা। এটাও প্রতীমান যে, মিলিটারি এ্যাকশন কার্যকর করার সঙ্গে লে: জেনারেল টিক্কা খান, মেজ মােরেল রাও ফরমান আলী ৪ মেন জেনারেল আলিম হােসেন রাজা জড়িত ছিলেন।
৩৬ মিলিটারি এ্যাকশনের জন্যে গৃহীত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের চুক্তি দায়িত্ব আপিও হয় লে: জেনারেল টিক্কা খানের ওপর যিনি ১৯৭১-এর ৭ মার্চ জে: জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব আনের কাছ থেকে আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসক এবং একই সঙ্গে ইন্টার্ন কমান্ডের অধিনায়কের দায়িত্ব গ্ৰহণ করেন। শেষের এই নায়িত্বটি আবার টিকা পান ১৯৭১ এর ৭ এপ্রিল লেঃ জেনারেল নিয়ানির হাতে অপ করেন। এই দিনটি থেকে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমােনর দিন পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব লে: জেনারেল মায়াজার হয়েই, জিগে। ১৯৭১-এর আগস্ট মাসে একজন সিভিলিয়ান গভত্তি নিয়ােগের আগ পর্যন্ত জেনারেল নিয়া পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করেন। কমিশনের এক এটা প্রতীয়মান হয় যে, লে: নােত্রেণ | খান দশময়ই মিলিটারি এ্যাকশনের ক্ষেত্রে কোনাে বাধাক্কি অভিযােগ পেলে সে ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং বাড়াবাড়ি কমাতে সস্ত থেকেছেন।
এটাও বলা হয়েছে যে, দু’জন জেনারেল সৈন্যলের গ্রাস সৃষ্টি এবং অমানবিক কিছু করা মাকে বিরত থাকার জন্যে অব্যাহত শর্মশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এমন কিছু মাশনের
________________________________________
গেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এ্যাকশনের সময় আনুমানিক ২৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ড থেকে জেনারেল হেঃকোয়ার্টালে সর্বশেষ পরিস্থিতিৰ ওপর যে ৱিােটলে পাঠানাে হতাে তার ভিত্তিতেই এই সংখা নিত্তপণ করা হয়েছে। এমন কি এই সংখ্যাতে অতিরঞ্জন থাকতে পারে কারণ নিম্ন পর্যায়ের মেশালে বিদ্রোহীসের বিরুদ্ধে তাদের এ্যাকশনের সফলতা দেখানাের জন্যে নিহতের সংখ্যা বাড়িয়ে বলতে পারে। তবে আর কোনাে নির্জনযোগ্য পরিসংখ্যান পাওয়ায় কমিশন জেনারেল হেডকোয়াটার পাঠানাে সর্বশেষ সংখ্যাকেই গ্রহণ করেছে।
৩৪, ১৯৭১-এ পাত্তিানি বাহিনী ২ লাখ বাঙালি নারীকে ধর্ষণ করেছে। শেখ মুজিবুর রহমানের অব্যাহত এই অভিযােগ মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হলো তরুণ যখন তার উনোগে ১৯৭২ সালে বৃটেন থেকে একটি গর্ভপাত টিম আনা হলাে। এই টিমটি কেবলমাত্র ১০০ জন মহিলার গর্ভপাঞ্জ খাটিয়েছিলাে। দায়িত্ববােধের প্রশ্ন ১৫. এখন থেকে প্রায় তিন বছর ধরে বিশ্ববাসী অব্যাহত ভাবে অনেহে চাকা পক্ষের পাঠানাে ১৯৫ জন মহিলার একটি তালিকা স্বাৱা ১৯৭১ সালে এ ধরনের বর্বরতার শিকার হয়েছিলাে। যেহেতু কমিশনের কাছে এই তালিকার রুপি পাঠানাে হয়নি। তাই এই সম্পর্কে কোনাে মন্তব্য করা বা এই তালিকায় কারো নাম অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এ ক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট যে ফুড়ান্ত ও সার্বিক দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে জেনারেল ইয়াহিয়া খান, মো: জেনারেল পীরজাদা মােয়ার জেনারেল ওমর, লেঃ জেনারেল মিয়াকেই। এটা সাক্ষ্য প্রদান করা হয়েছে যে, লে: জেনারেল মিঠা ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্রানে মিলিটারি এ্যাকশন শুরু হওয়ার আগের দিনগুলোতে বিশেষভাবে রিয়াশীল ছিলেন। জেনারেল ইয়াহিয়া ও অন্যান্য জেনারেলরা মিলে ওই দিনরাতে মিলিটারি একশনের দু9ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়ে জেনারেল ইয়াহিয়া ২৫ মার্চ বিকেলেই ঢাষ্ণা ত্যাগ করেন। এই পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন মেজর জেনারেল মিঠা। এটাও প্রতীমান যে, মিলিটারি এ্যাকশন কার্যকর করার সঙ্গে লে: জেনারেল টিক্কা খান, মেজ মােরেল রাও ফরমান আলী ৪ মেন জেনারেল আলিম হােসেন রাজা জড়িত ছিলেন।
৩৬ মিলিটারি এ্যাকশনের জন্যে গৃহীত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের চুক্তি দায়িত্ব আপিও হয় লে: জেনারেল টিক্কা খানের ওপর যিনি ১৯৭১-এর ৭ মার্চ জে: জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব আনের কাছ থেকে আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসক এবং একই সঙ্গে ইন্টার্ন কমান্ডের অধিনায়কের দায়িত্ব গ্ৰহণ করেন। শেষের এই নায়িত্বটি আবার টিকা পান ১৯৭১ এর ৭ এপ্রিল লেঃ জেনারেল নিয়ানির হাতে অপ করেন। এই দিনটি থেকে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমােনর দিন পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব লে: জেনারেল মায়াজার হয়েই, জিগে। ১৯৭১-এর আগস্ট মাসে একজন সিভিলিয়ান গভত্তি নিয়ােগের আগ পর্যন্ত জেনারেল নিয়া পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করেন। কমিশনের এক এটা প্রতীয়মান হয় যে, লে: নােত্রেণ | খান দশময়ই মিলিটারি এ্যাকশনের ক্ষেত্রে কোনাে বাধাক্কি অভিযােগ পেলে সে ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং বাড়াবাড়ি কমাতে সস্ত থেকেছেন।
এটাও বলা হয়েছে যে, দু’জন জেনারেল সৈন্যলের গ্রাস সৃষ্টি এবং অমানবিক কিছু করা মাকে বিরত থাকার জন্যে অব্যাহত শর্মশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এমন কিছু মাশনের
________________________________________
কাছে এসেছে যে, লেঃ জেনারেল নিয়াজীর কথাবার্তা এবং ব্যক্তিগত একশনগুলাে অত্যা ও ধর্ষণকে উসাহিত করা হতাে।
৩৭, বাড়াবাড়ি ও মমম তার যে সব অভিযোগ আছে, তার সরাসরি দায়িত্ব বর্তায়। অবশই সেইসব সুফিয়ার ও লােপনী পর-যারা মালনি এসব কাজ কলেজে অথবা জেনে শুনে এসব কাজ সংঘটিত হতে দিয়েছে। এসব অফিসার এবং, লােকো শুধুমাত্র ইন্টার্ন কমাবে এই আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসকের নির্দেশাবলী মানতেই গাফিলতি শেখায়নি-ভাৱ অপরাধমূল কর্মকাণ্ডে ময়েঞ্জিত হয়েছে যা সামরিক আইন এবং দেশের সাধাঞ্জণ আইনেও পাখিযোগ্য। সমাপনী বক্তব্য ও সুপারিশ ৩৮, আমরা পূর্বোক্ত অধ্যলােতে যা বলেছি-তাতে এটা স্পষ্ট যে, পূর্ব পাকিস্তানে মিলিটারি এ্যাকশনের আগে এবং একশনের সময় সেখানকার জনগণের এই বাড়াবাড়ির অভিযােগ সত্য। কিন্তু এ ব্যাপারে চাকা কলাক্ষের ভাষা এবং তালে৷ সেয়া সংখ্যা ও পরিমাণ অতিরঞ্জনে। জরপুত্র। তারা যেসব অযােগ করেছে। এর মধ্যে এমন কিছু ঘটনা আছে জ আদী খটইনি, আবার কিছু কিছু আছে যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভাবমূতি জু করা এবং বিশ্ব জনময়ের সহানুভূতি আদায়ের জন্য ইচ্ছে করে ছড়ানাে হয়েছিলাে। আমার কাছে এটা প্রতীয়মান হয়েছে যে, আগামী লীগের কর্মকাজের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে নানাভানে উস্কানি দেয়া হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানে ফেরালেন, সরকারের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এই মিলিটারি এঞ্চিশমের প্রয়োজন কিলাে নিঃসন্দেহ। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে ও আমাদের মতামত হচ্ছে, এটা যে, যে সব সেনা অফিসাররা আইন-শৃখলা পুন:প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে নিয়োজি ছিলেন তাদের অবশ্যই এ্যাকশনের জন্যে স্বল্পতম সৈনিক নিয়োগ করা উচিত ছিলাে। আওয়ামী লীগের জ*-বাহিনী কিংবা ||| দু হকাররা খাই উ+মলক গুলতা ফালাক না কেন এই অজুহাতে একটি সুশল সেনাবাহিনী তার নিজের জনগণের ওপরই আক্রমণ কিংবা নাড়ানাড়ি করাটাকে মেনে। নেয়া যায় না। পাকিজান বেকাহিনীকে ডাক্তা হচ্ছিলাে তার নিজের এলাকায় কার৷ কণার জনে|তাই এটা কোনােভাবেই মেনে নেয়া যায় না যে, তারা সেখানে বহিরাগত আক্রমণকারীপেত্র বিরুদ্ধে যা করা হয়, কিংবা শর মাটিতে বসে যে আকাণ না হয় তাই করবে। তাই আমরা এই মর্মে শারিশ করছি যে, পাকিস্তান সরকারের উচিত্র সে সময়ের বাড়াবাড়ি কিংবা মমতার বিরুদ্ধে দায়ী ব্যক্তিদের শাক্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তপ্ত বিচার ৩৯, কমিশনের কাছে আশা সাক্ষ্য প্রমাণের কিতিতে আমরা কিন্তু সিনিয়র কমাণ ও নাদের পায়-দায়িত্ব প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত দায়দায়িত্ব নির্ধানা করা এবং এ কানে শাবি প্রদানের জন্যে প্রয়ােজন পাকিস্তান সেনাবাহিনী আইন এ। দেশের বিদ্যমান আইনে পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে আমাদের সুপারিশ হচ্ছে পাকিস্তান সরকারের উচিত হবে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আদালত কিংবা কমিশন গঠন করা যে কমিশন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নাম ক্ষুন্ন করার মতাে বাড়াবাড়ির কিংবা নির্মমতার Wায়ী এবং যারা নিজেদের এনগণের ওপর অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এই আদালতের যাবতীয় তদন্ত প্রক্রিয়া অবশ্যই জনসমক্ষে প্রকাশ করকে অকে- তে করে গাঞ্জীয় ও আঞ্জff এক পর্যায়ে এ ব্যাপারে কোনো বিক কিংবা আপত্তি না থাকে।
________________________________________
| B০. কমিশ, মনে করছে যে, এ ব্যাপারে একটি ফলপ্রসূ প্রদত্ত পরিত লিনার জন্যে পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পাকিস্তানে কায়েমে। যেহেতু বাংলাদেশ সরকার এ পাকিস্তান কর্তৃক বাকৃতি পেয়েছে এই ঢাকা কর্তৃপক্ষকেও আন জানানাে সম্ভব হবে যে, তারা এ সংক্রান্ত সকাল। সাক্ষ্য প্রমাণালি এই আদালতের কাছে পেশ করে। কিছু সেনা কর্মকার পেশাগত দায়-Wায়িত্ব মূল নিরপাের্টের পার্ট-৫ এর ১, ৯ এবং ৫ অধ্যায় নৈতিক এবং সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে। এসব খটমা ঔ কারণে ১৯৭১-এর যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাঞ্ছিনী পরাজয়ের দিকে ধাবিত হয়। শি উতন সেনা কর্মকর্তার ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব এক্ষেত্রে বর্ণিত হয়েছে। সম্পূরক রিপাের্টের দুটি অধ্যায়ে কমিশন এসব দিক নিয়ে আনে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং পূর্ব পাকিস্তানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের আচরণ সম্পর্কে মন্তব্য করেছে।
| তবে এখনাে প্রশ্ন রয়ে গেছে কিছু সুনির্দিষ্ট সিনিয়র সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে পেশাগত | দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা লেং পূর্ব পাকিস্তানে পরাজকাে প্রেক্ষিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাওয়া হয়েছে কিনা-তা নিয়ে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ধরণ পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত কিছু সেনা কর্মকর্তার যে মনের দুর্বলতা ও অবহেলা কমিশন লক্ষ্য। করেছে তাতে কি ধরনের শাস্তি প্রয়োজন তা কােলে কমিশন সদস্য নামালে টগ্নি ছিলেন। কমিশন | রে পাকিস্তান আর্মি # ১৯৫২-এর বেশ কয়েকটি ধারায় সরাসী শপির ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথম পিকে সকশন 2.6 এ বলা হয় অপরাধসমূহ শত্রুর ক্ষেত্রে প্রয়োগ হলে শাস্তি হতে পারে যুক্ত। যে কোনাে ব্যক্তি যে নিচের, যে কোনাে অপরাধ করেছে, তার ক্ষেত্রে বলা হয়।
(ক) সেনা, বিমান, নেী যে কোনাে বাহিনীর যে কোনাে পদে কর্মরত ব্যক্তি যে দায়িত্বে ছিলাে অথবা আর কায়িত্ব ছিলাে প্রতিরােধ করার বা যিশ কমাণ্ডিং অফিসার ছিলেন এমন কেউ ধলি লজ্জাজনকভানে কানা দ্যিাগ করেন। অথবা (খ) কোনাে শকর উপস্থিতিতে আজকভাবে অল, গুলি, যা বা কোনাে সরঞ্জাম উড়ে ফেলা বা পুরুষোচিত কোনাে আচরণ করে। | ১৫. মূল রিপাের্টে কমিশন যুদ্ধকা®ীন ক্রান্তিকালে জাতিসংঘের ভূমিকা খতিয়ে দেখেছে। কমিশনের মতে, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের অভিযানের পরপরই জেনারেল ইয়াহিয়া খান কেন নিরাপত্তা পরিষলে অভিযােগ করলেন না তার কোনাে যৌক্তিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। অথবা রাশিয়ার প্রথম প্রস্তাব গ্রহণে অস্বীকৃতির কারণ জানতে সয়ন হয়নি। না পরিস্থিতি প্রণওই সামরিক লক দিয়ে এতােই জটিল হয়ে যায় যে, আত্মসমর্পণ অনিবার্য হয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে কমিশন চাকাস্থ জাতিসংঘ প্রতিনিধি পল ৱ হেনরিকে পাঠানাে মেজর এইনারেল রাও ফরমান আলীর কিছু বার্তার উল্লেখ করেছে। এসব বার্তায় গিয়ে হাসকিকে পূর্ব পাকিস্তানে একটি রাজনৈতিক সমাধানের প্রস্তাব করা হয়।
| চূড়ান্তভাবে কমিশন মন্তব্য করেছে সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ মিসেবে জেনারেল। ইহিষ পান দয়োজনীয় দকতা ও সাজশে সঙ্গে ইন কমান্ডকে পরিচালনা করলে ১৯৭১- এর ১৬ |সেম্বর যা টছে, তার বিকল্প কিছু ঘটতে পারতাে। নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে অন্তত যুদ্ধ নিয়তির মঞ্চে একটা সস্তোষজনক আপসরফা হতে পারতাে।
| ১৬. বর্তমান পর্যায়ে কমিশনের তদন্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়নের মধ্যে পাকিস্তানের বন্ধু রাষ্ট্র এবং ১৯৭১-এর যুদ্ধ সম্পর্কে তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কোনাে লালজি কোনাে কথা
________________________________________
[ বলেননি। অথাবা জাতিসংঘের তৎপরতা সম্পর্কেও শুধুমাত্র মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। তাকে যে বার্তা পাঠানাের দায়িত্ব দেয়া হয় সে সম্পর্কে স্পষ্ট কথা বলেছেন। তিনি জানান, পূর্ব শাকিস্তানের গভর্নরের নির্দেশ মতে, ওই বার্তা সড়! প্রমান করা হয়। পাকিস্তানের প্রেসিস্টে। পূর্ব পাকিস্থানের গরকে রাজনৈকি সমাধানে ||পারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার # পাশ করেন। পূর্ব পাকিস্তানের গহীণের নির্দেশে জেনারেল কামান ওই বার্তাৰ জাতিসংঘ এক•িলি পল হেনরির কাছে জান্তর করেন। জেনারেল আলীর এ বিবৃতি কে ফিরে ১৪ রহস্যের অবসান ঘটায়। আর এ বিষয়টি আঋতিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল ভিলার্টকে কোনভাবেই প্রভাবিও করেনি। মূল প্পিপাের্টের বর্ণিত হয়েছে। शारित नि ১৭, যুদ্ধের সামরিক দিক বিশ্লেষণ করে কমিশন মূল রিপাের্টে যে উপসংহারে উপনীত হয়েছে। তােকে ১৯৭১ সালের বিপর্যয়ে প্রধান ভূমিকা চিহ্নিত হয়েছে, স্থলবাহিনীর। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধ নির্দেশনার # নম্বরে যে কৌশলের ধারণা সে অনুযায়ী ১৯৭১ সালের মার্চে পূর্ব পাকিন্তানে সামরিক কার্যক্রমের ফলে যে রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতির উদ্রেক হয় তার আলোকে ওই নির্দেশনায় কঠোর সংশােধনী প্রয়োজন। কিন্তু আমি হাই কমান্ড নতুন ফ্যাক্টরগুলাের ভাব সম্পর্কে গতরালে কোনাে টি-মা করেনি। শ্রাল পাক-ভারতের ক গ ও সামরিক সামর্থোৰা যে। অসাম্য সে বিষয়েও মনােযােগী হয়নি। ১৯৭১ সালের আগস্টে সােভিয়েত-ভারত চুক্তির কারণে ভারতে সামরিক নয়, আরো বেড়ে যায়।
কমিশন প্রতিরক্ষা নীতির বিস্তারিত বিশ্লেষণের পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান উচ্চ অংশের জন্যে হরেল হকোয়ার্টারের পরিমা সম্পর্কে আলোচনা করেছে। কমিশনের পর্যবেক্ষণ মতে, এই পরিকল্পনায় জটি ছিলাে এবং তাতে ফাক ছিলাে। এতে শরুপের লময় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম যে অপীয় ছিলাে সে বিষয়ে পরিকল্পনায় পলীন পরিলক্ষিত হয়। কমিশন লেখেঞ্জে সামরিক দিক দিয়েও পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধে ইন্টার্ন কমান্দের কমান্ডারসহ এ অংশে কর্মরত উতিন কর্মকর্তার যথার্থ দায়িত্ব পালনের কোনাে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
১৮, এসব কমান্ডারের বিবেচ্য কার্যক্রম পরীক্ষা করে পূর্ব পাকিস্তানে আত্মসমর্পণের কারণসমূহ সম্পর্কে 9ান্ত উপসংহারে উলীহ হবার কমিশন একটি ফর্মুলা ঠিক করে ফেলে।
১৯, লে: জেনারেল এ এ কে মিয়াজীর প্রকৃত পদমর্যাদা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। তিনি একজন থিয়েটার কমার না কঠাল কলোঁ কমান্ডার, যদিও সরকারি ভাবে তাকে ইস্টার্ন কমাতের কমান্ডার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। একজন কোৱ কমান্ডারের কমাতে কয়েক ডিভিশন সৈন থাকে। একজন থিয়েটার মাজার সংশ্লিষ্ট এলাকার নেী বিমানসজ, সৰ ৰাহিনীর কমান্ডের মালিক অন্য । পূর্ব পাকিস্তানের খেলা নেী বাহিনীর অফিসানা রুমাকিং এবং পাকিস্তান বিমানবাহিনীর এয়ারফোর্স কমাওং সামরি নিজ নিও কমাণ্ডার ইন চিফের অধীন, যদিও তাদেয় ঔপ নির্দেশ ছিলাে ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডারের সঙ্গে লিয়াজো এবং সমকা নাজা রেখে চলতে। টেকনিকাল। দিক নিয়ে ফেলজে নিয়াজা থিয়েটার কমান্ডার ছিলেন না এবং তার পরও সেভাবে বিস্ত জিলো।
এ সমস্ত অশাথ এবং মহাপ আগা না-নিচে বর্ণিত অপরাধে কোন ব্যক্তি এ আইনে। শান্তি পানে।
(ক) তিন কর্মকর্তা দুকুম ছাড়া বশী, এশী বা মালামাল বা আহত ব্যক্তিকে বহনের জন্যে মহাগ করলো।
________________________________________
S38
(খ) উএন ইকর্তার ইন ছাড়া যে কোনাে সৃণা ইচ্ছাকৃও এৰে ধ্বংস বা ক্ষতিসাধ।
(গ) পূর্ব সতর্কতামুককে বন্দী করা হয়েছে অথবা আদেশ অমান্য অথবা ইচ্ছাকৃত কম্যে অজয়া অথবা না থাকার পর পুনরায় চাকরিতে যোগ দিতে সমর্থ হওয়া সত্মে আ না।
(ঘ) যথাযথ কর্তৃত্বে অধিকারী না হয়েও গোয়েন্দা যােগাযোগ অথবা শত্রুপক্ষের ফাছে। নার্তা পাঠালাে।
(৪) মোথিক অথবা লৰিত্ৰ অথবা সিগন্যাল মারফত অথবা অনাহাৰে আবর ছড়িয়ে দিবে। সতর্কতা সৃষ্টি।
(চ) কোনভাবে সতর্কতা সৃষ্টির গায়ে কোর্ট মার্শাল হতে পারে। শান্দ্রি হতে পারে সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদ। অথবা এ আইনে উল্লেখিত কমবেশি মেয়াদের শাস্তি হতে পারে। | সেকশন ঐ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি এ আইনে সাজণ, ই তা এবং সামরিক খালা পৃপিছা কাজের পরি। দি হলে কোর্ট মাসে ৫ বছর পর্যন্ত কার্বন অথবা এ আইনে উল্লিখিত কম বেশি মোনের শান্তি হতে পারে। কমিশন সম্পূর্ণ সচেতন যে যুদ্ধে গাজয় এনকি আত্মসমর্পণ, সামরিক অপরাধ হিসেৱে শাস্তিযোগা হবার মাত্র নয় যদি না সংশ্লিষ্ট কমার শত্রুর শা, শক্তি, নিজ সরবরাহ ইত্যাদি নিরিখে পরিস্থিতি অনুয়ায়ী যথাযথ ভূমিকা পালনে ইচ্ছাকৃত অবহেলা না| আকে। অথবা রিকয়না ও অপারেশন লিনা অথবা সময়োচিত কার্যক্রম গ্রহণে ইচ্ছাকৃত ব্যর্থতা।
নিজের অধীনস্ত্র বাহিনী যথাযথভাবে পরিচালনায় ইচ্ছাকৃত ব্যর্থতার দায় কোনভাবেই এড়ানাে যাবে না। উফতিন কর্মকর্তা সময়মতাে পরামর্শ পেনশ- একথা বললে এতে আরো প্রায়মান হয় প্রতিটি কমান্ডারকে তার পামলার সঙ্গে প্রয়ােজনীয়া মােগ্যতা, দক্ষ ও মেধার অধিকারী হতে হবে। কিকে যুদ্ধে পরাজয়ের সব ধরনের লালায়িত্ব বহন করতে হবে। ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি বতে এর পৰেীয় অবহেলা বা পরিস্থিতি তার প্রতিকূলে ঠেলে দিয়েছে। প্রতিরােধ অব্যাহত রাগ্রার মতো শক্তি ও প্রল মন্দ থাকা সত্বেও যুদ্ধে ইহা প্রদর্শন এবং শওঁ কাছে প্রমণ করলে তা শাস্ত্রমােপা অপগ্ৰাধ কৰে। পাকিস্তান আমি এৱেৱ (ক) ধাৰাৰ ২৪ অশে এ সংক্রান্ধ আইন শরিবেশিত রয়েছে। বিচার ও শাস্তির প্রয়ােজনীয়তা বিশ্লেষণ সমাজের বিভিন্ন স্তরের পেশা ও কর্মের বিপুল সংখ্যক মানুষের সাক্ষ্য গ্রহণের পর কমিশন অনুভব রেছে যে, ইসৱ উধা হন সেনা কর্মকর্তার কুমার বিড়ালের ব্যাপারে বেশিরভাগ মানুষ একমত। ওইসব সেনা কর্মকর্তা তাদের পেশাগত অমত, শাস্তিযোগ্য অবহেলা, নায়িত্ব পালন ইকৃত অবহেলা এবা, শক্র হিরোর মতো সামর্থ্য ও রান মজুদ থাকা সত্ত্বেও শারীরিক ও নৈতিক দিক দিয়ে কাপুরুষের মতো মুগ্ধ পরিত্যাগ করে পাকিস্তানেৰী জনে সনৱম অপমানজনক পরাজয় বয়ে এনেছেন। কমিশন মনে করে এ বিষয়ে যথাযথ এবং কঠোর শাস্তি হওয়া দরকা। এবং তা কোনভানেই শুধুমাত্র চাকরিতে অবশই পান নয়। প্রবিষ্যতে ১৯৭১-এর মতো লঙ্কাজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রােধের জন্যেই এ শাস্তি নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
কমিশন বিশ্বাস করে এ কাজের ফলে যেখানে প্রয়োজন সেজানেই শাস্তি জাতির এ সারি প্রাণের পাশাপাশি পেশাগত জবাবদিহিতার ধারণাও জোরদার হবে, যা রাজনীতি, বেসামরিক প্রশাসন এবং সামরিক আইনে ২শস্ত্র দায়িত্বে েিয় কন টোনা এককা বিশৃঙ হছিল।
________________________________________
কোর্ট মার্শাল হবার মতাে ঘটনাবলী নর্তমান রিপাের্টের তর্কীয় অংশে কমিশন পূর্ব পাকিস্তানে লে: জেনারেল নিয়া অঞ্চল প্রতিরক্ষা নীতি বিষয়ে বিশ্লেষণ করেছে। এছাড়া তিনি ও তাল্প অধীনস্থ ডিভিশন ও লিগঞ্জ কমাজার পূর্ব। পাকিস্তানে প্রাপ্ত শক্তি ও সম্পদের ভিত্তিতে কিনে খাঁ নহি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিরূপণ করেন। ভাও কমিশন খতিয়ে দেখেছে। এৱপৰ কমিশন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে সুন্দর প্রতিরক্ষা ব্যহ থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধ না করে আত্মসমর্পণ, একজন ডিভিশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থঙা, প্রগেজ ও ব্যাটালিয়ামে সুনাগী পরিকল্পনা স্বাঞ্চা বোকা মঙ্গে অবস্থান পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা এবং মানবিক ও সামরিক মূল্যবােধের তোয়াক্কা না করে আহত ও অসুস্থদের ফেলে চলে যাওয়া। কমিশন লক্ষ্য করেছে বিশেষ কত্রে সাফ খায় এবং ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ পরিকল্পনাৰ। ইস্টার্ন কমান্ডের ব্যর্থতার কাপ। অথচ ঢাকাকেই পূর্ব পাকিজ্ঞানে রাজনৈতিক ও সামরিক অস্তিত্বের রক্ষাকবচ রূপে বর্ণনা করা হয়।
কমিশন গুইসৰ দুখজনক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে- যা বিশাল বাহিনী ও সরঞ্জামসহ ভারতীয় বাহিনীর কাছে আসমর্পণের দিকে ধাবিত করে। যদিও সব হিসেবেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এখনাে দু’সপ্তাহ বা আরাে বেশি সময় প্রতিরােধ অব্য রাখতে পাতা। এ প্রেক্ষিতে মিম ইস্টার্ন কমাতের কিছু নির্দেশ পর্যালোচনা কয়ে। ইন্টার্ন কমান্ড আত্মসমর্পণের আগে যুদ্ধের স্বাংসলীলা বন্ধে সে নির্দেশ দেয়। এছাড়া আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে ভাৰাতীয় জেনাৱেলদের উপস্থিতিতে ইস্টার্ন কমাপ্তি কমান্ডারের কিছু অজিক আচওঁ কমিশনের পর্যবেক্ষণে এনেছে। এমনকি ভারতের কালপুরে বন্দী গলায় লে; জেনারেল নিয়া। তার অঞ্জন মজাজমেৰা ছমকি চাপ দিয়ে স্তাৱ নামি-দায়িত্ত্ব সংকস্তি নিকিত শিকে বিকল্প একটি সমন্বিত কাহিনী ফান্দার চেষ্টা করে। এ বিষয়টিও কমিশনের নজির এড়ায়নি।
৮, যে সব ঘটনা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পূর্ব পাকিস্তানে আত্মসমর্পণের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এবং পাকিস্তান আর্মির এ সংক্রাপ্ত আইনের বিবেচনায় কমিশনের মতো বিবর্থিত উদ্ধতন কর্মকর্তাসের ভারে অশাধ অনুদায়ী কোটমার্শালে বিচার করা উtঞ্চ। কমিশনের এ সংক্রান্ত সুপারিশও এখানে পর্যায়ক্রমে সন্নিবেশিত হলো। লে: জেনারেল এ এ কে নিয়াজী, কমান্ডার ইস্টার্ন কমান্ড ১. হিনি মনে ভারতের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধের ভয়াবহতা অনুধালনে ব্যর্থ হন। যদিও তিনি জানফেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি নেতাদের নাম ঘােষণার গুরুত্ব, ১৯৭১ সালের আগষ্টে স্বাক্ষরিত ভারত-সােভিতে চুক্তি, ৮ ডিভিশন ভারতীয় সেনা সদস্য, তারা বিমান বাহিনীর ১১ স্কোয়াড্রন এবং বিশাল নৌ-বাহিনী পরিবেষ্টন করে আছে পূর্ব পাকিস্থানকে। এবং পূর্ব। পাকিস্তানে হস্তক্ষেপের ভারতীয় পরিকল্পনা সম্পর্কে নিয়োগ গোয়েন্দী কথার কিকে জি এইচ টি তাকে পরিষ্কার সতর্ক করে দেয়া সত্ত্বেও, তার মােতায়েনকৃত সেনা ভারতীয় বাহিনীর সরাসরি অভিযানের মুখে প্রতিরক্ষা টিকিয়ে রাখতে হয়েছে।
২, তার মতো দল অতি কমা|ভাৱেৰ যে দেশগও সঞ্চ, দাগ এ সূরা প্রদর্শনে কথা তা প্রদর্শনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। ৱিা | আঞ্চলিক বিশলা দমনে তিনি যে সাফল্যের পরিচয় দেন। তা নাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সংগ্রামে লিপ্ত বিদ্রোহীদের ক্ষেত্রে করতে পারেনি। এটা দেখা যায় এর তায়া বাহিনীর সর্বাহক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ফল, ২১ নভেম্বর ১৯৭১ সম্পর্কে ৰং বরিশত্রুর আক্রমণ থেকে পূর্ব পাকিস্কাশকে ক্ষার যে মিশন wিনি পরিচালনা অবরুদ্ধ বাংলাদেশ ৩০
________________________________________
করছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তানের এক মিশত করার দায়িত্বে ছিলেন তার ফলাফলে দেখা গেছে, তিনি তার বাহিনীকে সঠিঙাবে পরিচালনা ব্যর্থ হওয়া কি পরিণতি ঘটেছে।
৩. তিনি বিভিন্ন প্রতিরক্ষা ব্যুহ ও শক্তিশালী অবস্থানগুলাের প্রকৃত সামর্থ্য সম্পর্কে না বুঝে বামী পায় জপো দন করেন। ফলে চরম পরিণতিকে দেখা গেছে, সূখ অজই রয়ে গেছে কিন্তু পাকিস্তান বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ আত্মসমর্পণ কথা হয়েয়ে।। | 6, জিনি Uক রক্ষা কৰাতে গিয়ে পূর্ব পাকিজনের বাকি ?-বকে অবহেলা করেছেন।
৫, জাকা রক্ষা কোনাে কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যর্থতার মাধ্যমে তিনি প্রকৃতই ইচ্ছাকৃক অবহেলা এবং সগুনায় অবহেলা প্রদর্শন করেছেন।
৬. তিনি ওন কমান্ডারদের দিয়ে অগ্রবর্তী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ9ে তুলতে একজন জেনারেলের যে পৰিপঞ্চ বিUায় শকি দরকার তা প্রথমে ব্যর্থ হন। সুগ আগে বলে থেকে অবশেমে সবক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটছে। কমাক্তাররা সময় দােদুল্যমানতায় থেকেছে, তারা বর্বর আচরণ করেছে। কোনাে রাষ্ট্র বিচার করেনি। প্রয়োজনীয় লাশ ক্ষেলেছে। এ ফটো অরাজকতা ও বিশ্বাই হয়েছে এবং এর চাপে অপরিকল্পিতভাবে বাধ্য হয়ে সত্রে দাড়াতে হয়েছে।
| ৭, ১৯৭১ সালে ১৯ নভেম্বর জি এই কিউ রাঝে আশ্বাস নেয় ভার তো লৈ প্ৰয়োজন নেয়া হবে। এ আশায় তিনি যুদ্ধ নাক্সি না ছেলে ৫৩ লিঙ্গেনে ঢাকা থেকে সরিয়ে দেন চলে wঝায় আর কোনো নাম সৈন্য পারলো না। ও ব্রিজ গতি আগে ‘ সেবে দৈন্য ছিলাে এ কাজের মাধ্যমেও দকীয় অংহের সর্শন করেছেন।
টু, পরিবহন, ফেইত্যাদির শান্ত আয়োজন আ ম + ব ম অপরাধ। করেছেন। যার ফলশ্রুঝিকে ন্তু মুহাতে প্রাণপণ ড্রেট কতেও অ! স্থান থেকে মৈনা ঢাকায় সরিয়ে নেন পাকা রক্ষার ফt] ন্যর্থ হয়েছে। আবার মৈনাৰা। কোনাে কমে Wায় পৌছুয়ে পাত্ৰলেও ভারী সরঞ্জাম ফেলে আসতে হয়েছে এবং পঞ্চমধ্যে অজ্ঞনায় হতাহতের শিকার
| ৯. তিন uকা রক্ষায় যা হয়েছে এবং এলিখে মলয়ে আত্মসমর্পণ সম হন। তিনি নিজেই কমিশনে সামনে বলেছিলেন, আচম সাজাতে আয়তীয়দের কমপক্ষে ৭ vণ সময় সরকার আর Uন পরিক্ষা ভুল করতেও আরাে ১ সপ্তাহ লাগবে। একেই ফুটে উঠেছে ভাৱ | ও বরকল্পনা অসাধাতা। শত্রুদের লয়িজন এবং মালামালের পর্যাপ্ত বিমান বাহির সাহায্যের অপা, ফার ইয়াসকে মুজিবাহিনীর উaf% এ ধারণা আরো প্রকট
১০. সামরিক যুদ্ধ পরিচালনায় নিজের অব্যবস্থাপনা, অঙ্গা খাটতে থাকা, অথষ্ট কমাজাহাপের মুগ্ধকরণ গু সিল্ক নির্দেশনা দিকে ব্যথার কারণে ১৯৭১ সালের ৬ ৪ ডিসেম্বরের দিকেই এনি যুদ্ধ করার মানসিকত্র হয়ে ফেলেছিলেন। তাই তিনি ইকৃতভাবে জি এইচ কি সতিবাচক এবং আশঙ্কাজনক বার্তা পাঠান।
১১. তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এবং কি উদ্দেশে। কি কারণে অগীকার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বন্ধ করে দেন। যার ফলে আত্মসমর্পণের পর বিপুল পনিমাণ মূখান যুদ্ধ সংক্রাম, গণ অব্যবহৃত অবস্থায় স্কারায় বাহিনীর হাতে তুলে নিতে পাক বাহিনী ৰাখা হয়। মলি জি এইচ টি ১০ ডিসেম্বর বিশেষ বার্তায়। আসমর্পণে অস্বীকৃতির নীদ্ধি অব্যাহত রাখতে বলেছিলাে।
________________________________________
১২. ভারতীয় বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফের কাছে নিজে থেকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিয়ে। এবং আসমর্পণে রাজি হয়ে তিনি চরম লজ্জাজনক কাজ করেছেন। ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যেীশ কমান্তের কাছে অস্ত্র সমর্শ, বিজয়ী জাতীয় জেনারেল অঝোকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ইমন, ভারতীয় জেনারেলকে গার্ড অব অনার দিতে নিজ ডিসিকে নির্দেশ লান এবং প্রকাশে আত্মসমর্পণের এবং প্রধাখ ৪৫হ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনে। চিরস্থায়ী লজ্জার কালিমা লেপন কথা হয়েছে।
১৩, উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা যেরূপ আচরণ দরকার ছিলাে তার জন্য ছিলাে না। তিনি অান্ত সেন তাত্ত্বিক ব্যক্তি ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্কানে পাম পাচারে তিনি যুক্ত ছিলেন। অনিবার্য পরিস্থিতিতে তিনি তার অধস্তনদের মধ্যে নিজ নেতৃত্বের গুণাবলী ও দৃঢ়তা দিয়ে উজ্জীবিত করে সুশৃঙ্খল এবং নৈতিক মান উন্নয়নের মতো সামর্থ্য তার ছিলো না।
১৪. ভারতের জাপুরে কম্পিvশায় তিনি গৃহবন্দি অধস্তনদের গুমকি ও লোভ দেখিয়ে ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিক টিনা সম্পর্কে জি এইচ কিউ এফিং কমিটির সামনে মনগড়া বক্তব্য দেয়ানাের চেষ্টা চালান, সাত খুদ্ধে পরাজয়ের পেছনে তার দায়-wiয়িত্ব হালকা হয়। | ১৫, পাকিস্তানে ফিরে তিনি ইচ্ছা করেই বলতে থাকেন যে, তিনি যুক্ত করতে চেয়েছিলেন এবং তার সে ক্ষমতা ছিলাে। কিন্তু জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেন। আর একজন দায়িত্বশান সৈনিক হিসেবে তা না করে তার উপায় ছিলো না। মেজর জেনারেল মােহাম্মদ জামশেদ এক্স জিওসি (এক) ৩৬ ডিভিশন
। ৯, ১6 fa৬শন থেকে জরুরি প্রয়ােজনে ওনি ৩৬ জিওসি (এক) ডিভিশন য়োগপ্রাপ্ত হন। ঢাকা ক্ষার ধান পাত্মিত্ব তাৰ উপরে ও ছিলো। তিনি পৰিকল্পনা করতে ইকৃত ব্যর্থ হন। খুনীতি অনুদায়ী ও ফয়ি মােস্তাবেক উদ্যোগ গ্রহণে শাখিযোগ্য ব্যর্থতার পরিচয় দেন। | ২, তিনি ওপুর থেকে ৯৩ খ্রিকােভকে প্রত্যাহার করে ফাক আশার মিশে নিয়ে জড়ান্তু অবহেলার পtি দেন। ডাক্তা বাচ্চায় জামালপুর অনাতমা দুর্গ ছিলাে এটা জেনেও তিনি অপরিকল্পিতভাবে ৯৩ ব্রিগেড়কে মুক্ত করান। পরিণতিতে ব্রিগেডটি পথিমধ্যে শত্রুর আক্রমণে সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়।
৩. আগেই বলা হয়েছে প্রিলি ঢাকা রক্ষা প্রয়ােজনীয় বসন ও সরঞ্জামের অপর্যাপ্ত বিষয়ে লে: জেনারেল মিয়াকে অবহিত করতে দওায় ব্যর্থতার পরিচয় দেন বিশেষ করে ১৯ নভেম্বর ১৯৭১ সালে ৫৩ ব্রিগেড় ঢাকা থেকে ফোন পাঠানাের পর।
| R, দু’সপ্তাহ পর্যন্ত শকে মােকাবেলা করার শক্তি ও রসদ থাকা সত্ত্বেও ইস্টার্ন কমান্ডের। কমারকে ক্ষমা করো ৮ম সাহীনতায় পৰিচয় দিয়ে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্ররােচিত। কলৈছেন।
৫. পাকস্তানে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যথার্থ কর্তপক্ষকে তিনি পাকিজানি। মুদ্রার বাইরে ৫০ হাজার টাকাএক অন্যান্য কৰিলের জাগ পেয়েছিলেন খা খান সুণে ছিলাে। মেজর জেনারেল এম রহিম খান। এক্স জিওসি ৩ ডিভিশন (এছহক) (ক) মূল রিপাের্টের ৫ ভাগের ৩ অধ্যায়ের ৯ থেকে ১১ শতা মেজর জেনারেল রহিম খান। সম্পর্কে কমিশন আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেছে। তিনি তাৰু শিশন ও করেছিলেন এবং ঊাপুর।
________________________________________
থেকে ডিভ্রিশন হেডকোয়ার্টার সন্নিবাে কােন । অনশ্যই ইষ্টার্ন কমান্ডের কমায়ের অনুমতি সাপেক্ষে কোনাে পুনঃস্থাপন কাড়া এবং তাৱ প্ৰস্ত বিঙ্গত ভিভিশন নিয়ে নারায়ণ সেক্টর হেডকোয়ার্টার নামে এক স্থানে একজন ব্রিগেডিয়ান্ত্রের অধীনে পাঠানো হয়। পরে কমিশন মেজর জেনারেল রহিম খানের ডিভিশন ত্যাগ এবং ডিভিশন স্থানান্তর সংক্রান্ত আচরণ নিয়ে পর্যালোচনা করে। এ বিষয়ে তিনি দোমী কি না, কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছেন কি না সে বিষয়ে আরো পর্যাপ্ত তদন্ত প্রয়ােজন বলে কমিশন মনে করে। কমিশন আরাে কিছু বিষয় বিশ্লেষণ প্রয়ােজন বলে
| (গ) যুদ্ধকালে পূর্ব পাকিস্তানে কমতি সিনিয়র অফিসারদের অন্যতম হিসেবে মেজর জেনারেল রহিম খান এ কমিশনের সামনে হাজির হয়ে নিজ অবস্থান পরিষ্কার র ই করেন। ৩১ ডিভিশনের (এডহক) কার্যক্রম বিস্তারিত আলােচনায় সামরিক দিক দিয়ে কমিশন এ জেনারেলের কার্যক্রমে মােটেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কমিশন মনে করে নিচের অভিযােগের কারণে তার কোর্ট মার্শাল হওয়া উচিত।
১. নিজেদের নিরাপত্তার কারণে ডিভিশন ত্যাগ করার জন্য নিজের মতাে ইস্টার্ন কমাজের অনুমতি চান। চালপুর শক্রর মরি মধ্যে পাড়ায় তিনি তার ডিভিশন হেডকোয়ার্টার সেখান থেকে সরিয়ে নেন। ফলশ্রুতিতে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের মাঝামাঝিতে তিনি তার সৈন্য দল এবং অধিকৃত
২. মুক্তিবাহিনীর ভয়ে পশ্চাদপসরণ করতে গিয়ে ১৪ নৌ অফিসার ও ৪ সেনা অফিসান্য নিহত হন। তিনি নিজেও ভারতীয় বিমানের হামলায় আহত হন।
৩. ব্যক্তিগত উদ্ধেগের কারণে তাড়াহুড়া করে উঁদপুর ছাড়তে গিয়ে তিনি ইজাকৃতভাৰে অনেক সিগন্যাল ইকুইপমেন্ট ফেলে যান { ফলে ডিভিশনের যােগাযােগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে এবং তার অধীনস্থ কমাজার ও সৈন্যদের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিতে হয়। | ৪, ১২ ডিসেম্বর ১৯৭১ তিনি জেনারেল নিয়াৰ্জী, জামশেদ এবং ফরমান আলীকে বলেন, খেল খতম। তিনি আরাে বলেন, মুক্তিবাহিনী এখন কচু কাটা শুরু করবে।
৫. তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে জেনারেল হেডকোয়ার্টারে রিপোর্ট জমাদানে বিরত থাকেন। ১৯৭১এর প্রথমদিকে বিশেষ ব্যবস্থায় পাকিস্তান খান। তিনি তার চাদপুর ত্যাগের পরিস্থিতি তুলে ধরেননি। বরং পূর্ব পাকিস্তানে তার কার্যক্রম সম্পর্কে না জেনেই কর্তৃপঙ্ক তাকে চিফ অফ
ব্রিগেঞ্জিয়ায় জিএম ৰারি সিদ্দিকী। সাবেক সিএস, ইন্টার্ন কমান্ড, ঢাকা। (ক) পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের চীফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালনঞ্চালীন সময়ে ইন্টার্ন কমাজার, কমান্ডকে প্রয়ােজনীয় পরামর্শ প্রদানে ইচ্ছাকত অবহেলায় অভিযােগে আমিশন কত দোয়ী শাবান্ত
(খ) পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কাছে যুদ্ধক্ষেত্রে বিরাজমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রকৃত অবস্থার পরিবর্তে অসঙ্গত, ইত্যাশাব্যঞ্জক ও আশঙ্কাপূর্ণ প্রতিবেদন ও থকর প্রেরণের জন্যে তার বিরুদ্ধে অভিযােগ বা হয়েছে। তার প্রেরিত প্রতিবেদনজালো ছিলাে অসমর্পণের অনুমতি প্রার্থনা। সংক্রান্ত দৃষ্টিকোণে ওপর রচিত । কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়। ওই সময় ব্রিগেঞ্জিন জিএম বাবির সিদ্দিকী পূর্বাঞ্চলীয় কমান্তের চিহ্ন ব স্টাফ হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে
________________________________________
তার দক্ষার ক্ষেত্রে অবর্ণনায় ব্যর্থতার পরিচয় দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সিএস ওই মুহূর্তে। লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেছিলেন।
(গ) পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডো যুদ্ধ পরিকল্পনা ছাড়াও কুইশে পূর্বে যুদ্ধ পরিকল্পনার মৌল নীতিমালার প্রতি তিনি নিন্দনীয় জনজ প্রদর্শন করেন। পূর্বাঞ্চলীয় কমাতের যুদ্ধ পৰিকল্পনা চুড়াস্তণের পূর্বে সাপাের্টিং উপদের যেমন সিশন্যাল, ইঞ্জিনিয়ার্স লজিস্টিকস, মেডিক্যাল টুসের কমান্ডারদের উক্ত বৈঠকে পূর্ণমাত্রায় অংশগ্রহণ তিনি বাধা দেন। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর ফলে যুদ্ধ পরিকল্পনায় এই সকল কমান্সারদের প্রদত্ত পরামর্শ যথাযথ মুহূর্তে ইস্টার্ন কমান্ড লে: জে: লিয়ার কাজে পৌঁছানাে সম্পন্ন হয়নি।
(গ) অক্টোবর ‘৭১ রাওয়ালপিন্ডিতে জি এইচ কিউঞ্চে অনুষ্ঠিত এক জরুত্বপূর্ণ কৌশল নির্ধারণী বৈঠকে স্রাসন্ন জাতীয় হুমকির বাপকতা, ভয়াবহতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তাকে অবহিত করা সত্ত্বেও এ সম্পর্কে ইন্টার্ন কমান্ডকে যথাযথ6াবে অবহিত করার প্রশ্নে হার নিন্দনীয়। অবহেলা প্রদর্শনের জন্যে তিনি কমিশন কর্তৃক অভিযুক্ত হন। এছাড়া কমিশন তাকে এ হুমকি মােকাবিলায় সৈন্য বাহিনীর পুনর্বিন্যাসের প্রশ্নে ইস্টার্ন কমাকে একই সময়ে যথাযথভাবে প্রামশ প্রদানে ব্যর্থতার জন্যেও তাকে অভিযুক্ত করে।
(৪) যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে বিভিন্ন কমার্সের মাত্বিপ্রাপ্তদের অপ্রত্যাশিত বুলবলের জন্যেও তাকে কমিশন অভিযুক্ত করে। তার এ সরুল সিদ্ধান্ত যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্রানি সেনাবাহিনীর মধ্যে অনিশ্চয়তা ও বিখ্রির সৃষ্টি করে বলে চিকেনে বলা হয়।
(চ) কমিশনের স্কিনেদনে নলা হয় ব্রিগেডিয়ার জিএম নাকির সিদ্দীকী সিওএস, ইস্টার্ন মা, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও ইচ্ছাকৃ৩৬াবে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি ৪ তলরব । করণীয় পরিকশা বাস্তবায়নে অসহযােগিতার পাশাপাশি তার বাবায়ান বন্ধ রাখেন আর পর। আত্মসমর্পণের পর পাকবাহিনীর মূল্যয়ন যুদ্ধ সরঞ্জামসহ বিপুল পত্রিমাণ সমরাস্ত্র ভাৱতী নাজির কাছে পাচার হয়ে যায়। প্রতিপেনে উল্লেখ হয়, ’৭১ সালের ১০ খ্রিসেম্বর প্রারিখে।ঞ্জ এইচ কিউ-এর পক্ষ থেকে ‘আম্মসমর্পনে অখীকৃতি : ইংলহত্যা পরিকশা বাস্তবায়নের জন্যে। বিশেষভাবে নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও তিনি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তা বাস্তবায়ন মেকে নিজেকে। ত্রি রাখেন।
(ই) আত্মসমর্পণের পরেও এ এইচ -এর সঙ্গে যোগাযােগ বজায় রাখার স্বার্থেই বিশেষ করে যুগ্ধ পাবা প্রয়ােজনীয় সামরিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার প্রয়ােজনে তিনি তার অধীনস্থ সিগনালস কোষের অধিনায়ক (কমাজার) কে আন্তঃদেশীয় ট্রান্সমিটারটি চালু অবস্থায় ব্যথার নির্দেশ দিয়েছিলেন যার দরুন ‘আত্মসমর্পণের পরে এ মূল্যবান আন্তঃদেশীয় ট্রান্সমিটারটি সম্পূর্ণ। অক্ষই ঔ ফালু অবস্থায় শত্রুপক্ষের হাতে চলে ২ বলে কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়।
(জ) কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ শেষে আসমাপন্নের পর জাতীয় বাহিনীর কাছে সুনন্দা’ হিসেবে আটক থাকাকালীন সময়ে তিনি শাহিনীর সঙ্গে সম্পূর্ণ বেমানান ও অসহ বন্ধুত্ব বজায় ট্রেথে চলেন যার পঞ্জ শত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে কলকাতায় কেটার। উদ্দেশ্যে যাতায়াতের অনুমতি দেয়া হয়। কমিশনের প্রতিবেদন বলা হয়, এ সুযোগ রয়েঃ পক্ষের তরফ থেকে সচরাচরা কাউকেই দেয়া হয় না।
(ঝ) আত্মসমর্পণ পরবর্তী যুদ্ধরীতি অনুযায়ী জি এইচ কি এবং কমিশন অব ইনকোরি বরাবর পূর্ব পাকিস্তানে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ ও তৎসংশ্লিষ্ট ঘটনাসমূহের পূর্ণ বিবস্তুণ সমৃদ্ধ
________________________________________
প্রতিবেদন উপস্থাপন সংক্রান্তু বিধি পালনে অনীহা প্রদর্শন করেন যা কিনা কমিশনের প্রতিবেদনে চাকুরিবিধির সুস্পষ্ট বিরােধিতা নলে বর্ণনা করা হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার মােহাম্মদ হায়াত। সাবেক কমান্ড, ১০৭ খ্রিডে (৯ম পদাতিক সিনি )
(ক) ১০২ বলে-এর অধিনায়ক হিসেবে খশোয়ই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুর্গ রক্ষায় একটি সুসমলিত পৰিকল্পনা প্রণয়নে ধীদাসান ও অনীহা প্রদর্শন করেন বলে কমিশনের প্রতিলেলনে না।
। | (খ) রবপুরে পাণিপ্তান সেনাবাহিনী ও পাল্টা প্রমণ অভিশন পরিচালনার পূর্বে তিনি শপক্ষের সামরিক শক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে, অবহেলা প্রদর্শন করুন এবং যুদ্ধাভিমান পরিচালনাকালীন সময়ে গন্তই বহুপূর্ণ ব্রিগেয় কাক এর সার্বিক নিয়ণ থেকে তিনি নিজেকে। বিরত রাখেনি ৰার পুতিতে তিনি সাতটি টুঢ়াং ইরান, পাকিস্তান সেনাজাহির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় এবং যশাের শনার্থের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মক স্থানে নিপন্ন হয়ে পড়ে বলে কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়।
(গ) শপক্ষের ট্যাংক রেজিমেন্ট পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যশাের দূপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কংস করে ফেলেছে এই মর্মে একটি খবর পাওয়ার পর সূর্যোয়ঃখিত পয়েন্টে ললিত ক্রটির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অর্থাৎ গৰৱটিয়া সভ্যতা যাচাই ব্যতিরেকে (জীহাজনিত কারণ/অবহেলাজনিত কারণ তিনি লাজনকভাবে প্রায় বিনাঘুঞ্জে ৬ ডিসেম্বর ‘৭১ তারিখে যশোর সেনানিবাস ত্যাগ করেন। এ সময় যশাের লেখাটিতে মজুত করে রাখা সমগঞ্জ ও গোলাবারুদসহ যাবতীয় যুদ্ধ এWাজনীয় সরঞ্জামাwি Wায় অক্ষত অবস্থায় শক্রপক্ষের হাতে পৌছে যায়। ওই রাতে সাৱা কি কাদের নিজস্ব পদ্ধভিতে লড়াই চালিয়ে যাচিলাে, ব্রিগেডিয়ার মােহাম্মদ হাত (3ধকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১০৭ ব্রিগেড কমান্ডা) অলঞ্জ ইউনিটকে শপক্ষের সঙ্গে কোনো প্রকার যােগাযােগের নির্দেশ প্রপাশ থেকে বিরত থাকে।
() শপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যতিরেকেই যশোর সেনামাটি পারকাশ করার পর তিনি খুলনা থেকেও সৈন্যবাহিনী প্রত্যাহার করে নেন। কমিশনের ওকেলনে তার খুলনা থেকে সরে আসার সিদ্ধাকে ইচ্ছাকৃত বলে বর্ণনা কৰা হয়। এছাড়া মাথা থেকে সৈন্যবাহিনী প্রত্যাহার সংক্রান্ত জি কিউ সি ৯ ডিভিশন-এর নির্দেশও ইক্ষাকৃতভাবে তিনি পান করেন। প্রতিবেনে । হয়। এর ফলে শত্রু শৈল্পে মধুমতি নদী অতিক্রমে বাধা প্রদানে যুদ্ধ পঞ্জিvাপন কৰা ডিভিশনাল কমানোর পক্ষে অসম্ভব হলাে পড়ে। ব্রগেঞ্জিয়ার মােহাম্মদ আসল নিয়াজী। সাবেক কমান্ডার, ৫৩ লিজ (৩৯ হক ডিভিশন)।
(ক) ৩ এগেজ্ঞ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে প্রগেডিয়ার অসিলা নিয়া প্রয়োজনীয় উদ্যোগ, সুতা ও পরিকল্পনা গ্রহন ক্ষমতা প্রণশনে অকল্পনীয় ব্যর্থতাৱ পৰিচয় দেন। তার এই অক্ষমতা দরুন তিনি মুদাফফথাগঞ্জ এর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। প্রতিয় বাম ব্যার্থতার পরিচয় দেন | কি ৩৯ এডহক ডিভিশনের জিওসি কর্তৃক নির্দেশও ছিলাে। ‘৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর ৩৯ % হক ডিভিশনের ফি ও সি কতৃক এই নির্দেশ দেয়া হয়। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর ফলে মুপারগঞ্জ অঞ্চলটি ৬ খ্রিসেম্বর ‘৭১ তারিখের মধ্যে শকপক্ষের নিয়ন্ত্রণে। চলে যায়। মুক্তি করঞ্জের পতন হলে ত্রিপুঞ্জা গু শিবের অংশ] যোগাযোগ ব্যবস্থা। মারাত্মকভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ে।
________________________________________
(খ) ৩৯ হক ১৪শনের সাবেক মাস্টার রিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে মুদাফফরগঞ্জ থেঝে শত্রু সৈন্য হটিয়ে দেয়ার আগে প্রয়ােজনীয় পরিকল্পনা প্রনয়ন ক্ষমতা, মাহসিক ও দৃঢ়তা প্রদর্শনে অনী নাজাৰা পৰিচৰা দেন। ‘৭১ সালেয় ৬ ডিসেম্বর তাৰিখে জিওসি কর্তৃক শক সৈন্য হটিয়ে দেয়া সংক্রান্ত নির্দেশ দেয়া হয়। এর ফলে ২৩ পাঞ্জাৰ কমিটজে ও ২১তম একে সংশ্লিষ্ট ইউনিট ৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর তারিখে ভারতীয় সৈন্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময় ২৩ পাঞ্জান ও ২১ এলে ইউনিটসমূহকে উচ্চমাত্রায় প্রতিকূল অবস্থায় সম্মুখীন হতে হয়। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই মুহুর্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আদ্য ও পানীয়সহ নানাবিধ সঙ্কটের সম্মুখীন হতে হয়। প্রতিবেদনে বলা হয় ওই মুহূর্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ খায় ফুছিয়ে এলেঞ্জিলো। | (খ) দ্বিবেদনে বলা হয়, একই সময় ব্রিগেডিয়ার আসল নির্মলী লজ্জাজনকভাবে ৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর তাৰিখের মধ্যে লাকসাম সেনাঘাটি ছেড়ে চলে যায়। অথচ সাবেক কমান্ডার হিসেবে পাকহাম প্রতিরােধ যুদ্ধে অংশ নেয় এর দায়িত্ব হলাে।
(ঘ) প্রতিবেলনে বলা হয়, ৯ ডিসেম্বর ‘৭১ সালে লাকসাম সেনাটি থেকে কুমিল্লায় সৈন্য প্রজাহারকাদ্যে ব্রিগেডিয়ার মােহাম্মদ আসল। নিয়াজী তার সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঠিকভাবে সমাবেশ ভাট্যতে ইচ্ছাকৃত অবহেলা প্রদর্শন কতেন । এর ফলে গােটা এখোপের (প্রায় ৪ হাজার সৈন্য নিয়ে গঠি} মধ্যে কেবল পাঁচ শতাধিক শৈনসহ এগের কমার লিঙ্ক এ কমতি অফিস ৩৯ নাচ) শত্রু সৈন্যের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় ব্রিগেডিয়ার আসন্ন নিষ্কাজী কুমিল্লা থেকে মাত্র ৩ মাইল দূরে প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় শত্রুপক্ষের হাতে ধরা পড়েন এবং এর ফল গোটা ৫৩ গে% এবং এই সকল ব্যাটেলিয়-সমূহ বিক্রি ও খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে পড়ে।
(9) প্রতিকোনে কলা হয়, লাকসাম শোটি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় ব্রিগেচ্চিাৰ আসল। নিয়াজী সামরিক নীতিমালার প্রতি নিদারুণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসময় তিনি ১২৪ জন অসুস্থ ও আহত সৈন্যসহ দু’জন মেক্সিক্যাল অফিসারকে সেনাঘাটি ছেড়ে চলে। আসর বরটি ইচ্ছাকৃতভাবে না জানিয়ে বসবাকি সৈন্য নিয়ে পালিয়ে স্থান। | (৪) পাকা সেনাটি পরিত্যাগকালে ত্রিপডিয়ার আমলা নিষাঙ্গী ইমাত ও উকে পামূলককালেক সোমাটিতে সকল ভাগ সমতা, গোলাবারুসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায়। বাৰ এ সরয়ামসহ শপজঃ বাবরের হন যেল আসেন। এ মামলা নিয়াজী। হেণ্ডকোয়ার্টারের নির্দেশ পালনে অস্বীকৃতি জানান। বিভাগীয় ব্যবস্থা ॥হণ সং,
এত্ত বিবরণ ১. ব্রিগেডিয়ার এসএ আনসারী এক্স-কমান্ড, ২৩ ব্রিগেড (সিইও) এই কর্মকর্তা, ‘৭১ সালের ১৪ নভেম্বর তারিখে ২৩ ঐগেছের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় দায়িত্ব তার ওপর দেয়া হয়েছিলো। হিলির সামান্য কিছু এলাকা ২০৫ ব্রিগেডের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিলাে। দায়িত্বভার গ্রহণের দিনটি থেকেই তিনি দৃশ্যতঃ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ১ম স ১৫ কের ‘৭১ সালে আয় বাহিনীর WLAN শে ভুরুঙ্গামা। জেলা হাসন হাতছাত্র হয়ে যাথা। এরপর তাদের সেনাবাহিনী অগড় জেলাৰ তাম্বো জরুত্ব অবস্থান হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রগরি খামারী চার সামাহিনীর অবস্থান পুনঃসংহত করতে অক্ষমা পরিচয় দেয়ায় পাকবাহিনীর পক্ষে এই পরাজয় মেনে নিতে হয়।
________________________________________
WITH ALL
এরপর ২৮ ঔ ৩০ নভেম্বর ‘৭১ তারিখে তিনি তারপও এলাকা ছেড়ে চলে যান। এক্ষেত্রে তিনি। শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন।
এর ফলশ্রুতিতে ‘তাকে ৩ ডিসেম্বর ‘৭১ তারিখে পায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তার। বিভাগীয় কমান্ডার মেজর জেনারেল নজয় হোসেন শাহ যুদ্ধক্ষেত্রে ছাত্র পানশিক্ষা সম্পর্কে দুর্বল মন্তব্য করেন। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক্ষেত্রে আমাদের কাছে যে সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ এসে লেহেছে তার তিঝিকে আমরা ডিভিশনাল কমান্ডারের মতামত অনুমােদন করতে পারি। প্রতিবেদনে বলা হয়, আমাদের দৃষ্টিতে ব্রিগেডিয়ার এস এ আনসারী সাহসিকতা প্রদর্শনে ব্যর্থতায় পরিচয় দিয়েছেন। তিনি সৈনাবাহিনী পরিচালনায় যথাযথা নেতৃত্ব ও দৃঢ়তা প্রদর্শনেও একইভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। কমিশনের মতে এই কর্মকর্তা চাকরির ক্ষেত্রে অযােগ্য বলে বিবেচিত। (২) ব্রিগেডিয়ার মঞ্জুর আহমেদ এর কমান্ডার এ৭ ব্রিগেড় (৯ভিEি) এই কর্মকর্তা যুদ্ধ সম্পর্কে সম্যক ধারণা ছাড়াই যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং যুদ্ধ ব্যতিরেকেই ঝিনাইদহ সুখটি ভাগের হাতছাড়া হয়ে যায়। প্রতিবেলনে বলা হয়, কোটালপুরে শপক্ষের রচিত
হ ভাঙার ক্ষেত্রে ব্যক্তিটি ব্যর্থতার পরিচয় দেন। এরপর তিনি ডিভিশনাল কনসেপ্ট-এর সঙ্গে দ্বিমত পােষণ করে কোনো প্রকার নির্দেশ ছাড়াই তার সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেন এবং তার বাহিনীকে ১৬ ডিশনের অধীনে নিয়ে আসেন। তিনি তার মূল সদর দফতরের সঙ্গে যােগাযোগ জাৱিয়ে ফেলেন এবং শেষাবধি সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগবিহীন অবস্থায় থাকেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, তার এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধে তার কোনাে অবদলি না রাখার সত্যকেই প্রতিকি করে এবং তার দক্ষতা এই ধারণারই জন্ম দেয় যে, যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি ছিলেন বিংহাস্ত। কমিশনের দৃষ্টিতে এই কমক করি ক্ষেত্রে যোগ্যতা রাখেন না। (৩) ব্রিগেডিয়ার আব্দুল কাদের খান। এক্স কমাভ, ৯৩ ব্রিগেড (৩৬ ডিভিশন) ত্রিগেজিয়ার আব্দুল কাদের খান সম্পর্কে কমিশনের কাছে যে প্রথ্যাদি দলে পৌছায় তাতে দু’পর্যয়ে দায়িত্ব পালনের বিবরণই হয়েছে। ঢাকাস্থ ইন্টান্ন সাজিল স্ক্রিনিং কমিটির (ব্যক্তি বা বিষয়। সম্পর্কে অনুসন্ধান করা ও তথ্যাদি নিজায় নয়া) প্রেসিডেন্ট হিসেবে এবং পরবর্তীতে ৩৬। ডিভিশনের অধীনে ১৮০ Gহক গেসের কর্মকার হসেবে এনি দায়িত্ব পালন করেন। অপরাপর উদ্ধতন কর্মকাদের দক্ষতা প্রসঙ্গে ৯. লে: জে: এ এ কে নিয়াজী, মেজর জে: মােহাম্মদ জামশেদ এবং মেজর জেনারেল এম রহিম খান, যাদের নিষ! অামরা পূর্বের অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি। এছাগু আরও চারজন বােরো আসমর্পণকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে দায়িত্ব পালনরত ছিলেন। এরা হলেন মেজর জেনারেল এম এইচ আনলাম জিওসি ৯ পদাতিক ডিভিশন, মেজর কোলে কাঠী আব্দুল মাজিদ ভিসি ১৪ পদাতিক ডিভিশন, মেজর জেনারেল নজর হােসেন শাহ, দি সি ১৬ ডিভিশন এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণরের উপদেষ্টা। একই সময়ে এই সকল ব্রিগেডিয়ার ছাড়াও যাদের কথা আমত্ৰা ইতিপূর্বে বলেছি। এছা? অারও ১৯ জন ব্রিগেডিয়ার ব্রিগেড কমাজার হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। চুড়ান্ত পর্যায়ে তিনজন কমান্ডারের সমর্থনে নৌবাহিনীর একজন রিয়ার এদ্র মিতালি ও একজন) Lর কমােজার পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান এয়ারফোর্সে কমান্ডিং-এ দায়িত্ব পালন করেন।
________________________________________
= ১০. বখন আমরা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলাৰ বিষয়টি নিয়ে পৃথকভাবে আলোচনা। করবো, যখন যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি সেনাবাহিনীর কোনাে ইউনিট-এর নেতৃত্বে ছিলেন না,
। সেক্ষেত্রে বিচারপূর্বক আমরা এই মন্তব্য করতে পারি না যে, পূর্ব পাকিস্তানে ‘৭১-এর যুদ্ধ পূর্তিী এ যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে অবস্থানরত সকল হিম কর্মকর্তা তালের ব্যথা ও দুর্বলতার জন্যে সমষ্টিগতভাবে দায়ী আর দরুন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরাজয়া জ্বরাজিত হয়। তথাপি যখন গুদে ব্যক্তিগত দায়দায়িত্ব বিচার করতে হয় কমিশনকে এখন এই বিষয়ে অতি থাকতে হয় যে, এই মুহূর্তের পূর্বাঞ্চলীয় হাইকমান্ড কর্তৃক অনুসৃত ধারণা ও অক্ষ্যসমূহের দরুন অধীনস্ত ধ্বনি সেনা কর্মকর্তারা এক্ষেত্রে ওই সকল উধতিন কর্মকর্তা মালের ইউনিটসমূহে প্ৰয়ােনীয় জনবল ও
পক্ষের বিপুল পর্যাপ্ত গোলাবারুদের আটতি মােকালাে করতে হয়। অথচ তুলনামূলকভাবে সমবায়ের সমাবেশ ছিলাে লক্ষণীয়। কমিশন আরও লক্ষ্য করেছে, উফতিন কর্মকর্তাদের নৈতিক বিচ্যুতি যা কি না রাওয়ালপিন্ডি সেনা হাইকমান্ড এর কিছু অংশ এবং ঢাকা পূর্বাঞ্চলীয় হাইকমান্ডের মধ্যে লক্ষ্যগােচর হয়। চুড়ান্ত ভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে ছিলো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি শীর্ষ ও ঐতিহ্যগত প্রথা। কমিশনের মতে এই প্রথা হলো, তিন সেনা কমান্ডারের প্রতি নিঃশর্ত প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও বাধ্যতা যার ফলশ্রুতিঞ্চে কোনাে উহিন কর্মকর্তাই হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত ও পলক্ষেপসমূহ সম্পর্কে কোনাে প্রকার প্রশ্ন ও উচ্চবাচ্য করা থেকে বিরত থাকেন। কমিশনের মত যুদ্ধের পরবর্তী অবস্থা থেকে যুদ্ধকালীন এবং চূড়ান্তভাবে আলম পন্তি পাকসেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তাদের মধ্যে এই প্রথাটি নিরবচ্ছিাভাবে অবস্থান করছিলো। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হধা, আয় কিছুসংখ্যক সেনা নজমকা ছাড়া পূর্ব পাকিস্তানে মায়িত্বপালনৱ অধিকাংশ সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের একটা বিশাল অংশ আত্মসমর্পণের চুড়ান্ত সিদ্ধান্তটিকে কোনাে প্রকার অবাধ্যতা ছাড়াই আহণ করে নেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এতদসত্ত্বেও এইসকল কর্মকর্তাদের অধিকাংশ শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের গোৱৰ রক্ষায় বিনাপ্রাণে লড়াই চালিয়ে যাওয়া এমনকি তাদের জীবন বিসর্জন দেয়ার জন্যেও প্রস্তুত
ছিলেন।
| ১১, এই সকল বিষয়বস্তু ও উপাদানসমূহ বিলােচনায় রেখে আমরা কমিশনের সদস্যথ)। প্রত্যেকের উতি সেনাকর্মকর্তা ব্যক্তিত ক্ষণ ও কর্মতৎপরতা যাচাই করে দেখছি।
১৯. অধস্তন (জুনিয়র) কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও কর্মতৎপরতা প্রসঙ্গে
১৩, প্রতিবেশনে উল্লেখ করা হয়, তদন্ত কমিশন ব্রিগেঞ্জি পর্যায়ের নিচে অস্তন কর্মকর্তাদের দক্ষ ও কর্মতৎপরতা পঞ্জীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখার মতো অবস্থানে ছিলাে না (কমিশনের প্রতিবেদন মতে সাটিনা প্রবাহের ব্যাবিয়া)। এথও তিনেদনে উদ্যেগ কথা হয় জরুরা এতি প্রয়োজনের তাগিদ বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গটনাপ্রবাহ রুমশন পরবর পেী আয়। যেখানে দেখা যায়। এই সকল আধস্তন কর্মকর্তাদের দক্ষতার কারণে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খুনের ভাগ শিথিত হয়েছিলো।
১৪, এই কমকি পূর্ব পাকিস্তানে ‘৭ সালের ২৮ ফেব্ররি থেকে ‘৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করছিলেন। তিনি ছিলেন প্রগেডিয়ার পায়ের (%) ১৮ পাতিক। ভিকিশনের কমাৰ। এই পদে তিনি ‘৬৭ সালের ২৮ জেয়ারি থেকে ‘৯৯ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বহাল ফিলেন। ‘৬৯ সালের ২৫ মার্চ তারিখে জেনারেল ইয়াহিয়া খান কgক সামরিক শাসন যে কি হয় পর তাকে (রাও ফরমান আলী) গ্রগেডিয়ার (সিলি এফেয়ার্স) পদে নিয়ােগ। দেয়া হয়। মার্শাল ল চলাকালীন সময়ে জোনাল এমিনিটের কার্যালয়ে তাকে এই দায়িত্ব দেয়া।
________________________________________
জয়। ৭১ সালের ৪ জুলাই থেকে ‘৭ মাঝে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি মেজর জেনারেল (পলিটিক্যাল এ্যাফেয়ার্স) পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ‘৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বনা ভারিখ থেকে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের গরের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করুন।
| ১৫. ‘৮৯ সালের ২৫ মার্চ কাবিনে জেনারেল ইয়াহিয়া খান কর্তৃক সামরিক শাসন জারি হওয়ার সময় থেকে প্রথাগত নিয়মেই দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে মেজর গোনারেল রাও ফরমান আলী বেসামৱিক কর্মকা ও রাকনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযােগ স্থাপন করেন। এছাড়া উদ্ধাতন সেনা কর্মকর্তা ও মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর (বিভিন্ন মে ও লেবেলের) কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ওর সম্পর্ক ছিলাে। তিনি কমিশনের কাজে খােলাখুলিভাবে স্বীকার করেন যে ‘৭১ সালের ২৫ মার্চ ভাগ্রিখে সামরিক হারে পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই জেনারেল কওঁক জমা দেয়া লিখিত বিবৃতির ওপও বিস্তারিত বিশ্লেষণর পর এবং কমিশন কাকাকে প্রত্যাখধাৰে দামালী জেলা করার পর এবং পূর্ব-পাকিস্তানের অন্যান্য সাক্ষাভের হল সাক্ষ্য প্রমাণ যাচাই-এৰা পৰা মমরী কমিশনের পক্ষ থেকে মেলা জেনারেল এ কমান আাকে একজন বুদ্ধিমান, অত ইজাসম্পন্ন ও দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাবান একজন ইঞ্চি আফিসার হিসেবে বিভিন্ন পলে পাখি পালনকান সময়ে) বর্ণনা করেছি। এই পদ্ধতিৰুে বিষ্কার বিশ্লেষণ শেষে আমরা তাকে সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নিজস্ব অরীল সামরিক জান্তার একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে বিবেচনা করিনি। তপনে বলা হয়। কমিশন দেখতে গেয়েছে কোনাে পর্যায়েই রাও ফরমান আলী সামরিক শাসকগোষ্ঠীকে উপদেশ প্রদান করেননি, অমৰা জনস্বার্থের বিলাে, নৈতিক বিরােধী কর্মকাণ্ডে পাকবাহিনীর কর্মতৎপরতার সঙ্গেও তিনি একদিকে মঞ্চে w৬ শুনেনি। এজাড়া এই নোবেল মানবিক বিষয়াবলী অথবা সুস্থ রাজনৈতিক চেতনার সঙ্গে মজেকে জড়িত করেননি।
১৪. যুদ্ধের কঠিনতম দিনগুলোতে এই উওম সামরিক কর্মকর্তা কোনাে প্রকার সামরিক অভিমানের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন না কিন্তু সত্ত্বেও এই সামরিক কর্মকর্তা পূর্ব শরফ বলয় »ান কেনা সঙ্গে খলিলভাবে সংযুক্ত ছিলেন। ইনি ‘ ফরমান আ শিed’ নামে যা বলা হয়ে থাকে তার সঙ্গে তিনি ছিলেন সংযুক্ত। আমরা যখন এই প্রাণদনে ‘পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরাও পাকিস্তাশবাজির আগসমর্পণের ঐক্রমাদি নিয়ে দায়িত্ব পালন সহ বিস্তারিত তথাপি’ বিশ্লেষণ করি তখন আমঙ্গা সখতে পাই আসিংয়ে প্রেরিত ৯ ডিসেখg ‘৭১ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ সংক্রান্ত পূর্বাপর যে সকল ভগ্যামি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী কক বিন্দ ও ঠক বুলে ঝর্ণনা করে পাঠানাে হয়েছে পূর্ব পাকিন্তানের পর কর্তৃক এ অনুমােদিত হয়েছে মিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান কর্তক পূর্ণ অনুমােদন সাপেক্ষে পূর্ব পাকিস্তানে পতনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংগে প্রেরিত এই সকল তথাপি হলাে এটি সম্ভব সাগান্ত পৌছানোর লক্ষ্যে প্রস্তাবনা প্রণয়ন ও পূর্ব পাকিস্তানের নন্দীদশা মােচানাের উপলে মহা করা। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পানগেঞ্চিত প্রেরিক তথ্যাদির দায়দায়িত্ব কোনাে অবস্থাতেই এই কর্মকভাৱ ওপর বর্তায় না ।
১৭. [পের শেষ পালটিতে এলে আমরা দেখতে পাই, মোৰ জেনারেল রাও ফরমান আলী পূর্বাঝা কমাতে সদর দফতরে উপস্থি ছিলেন যে মুহূর্থে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা লে: জেনাবেল শিয়ালের সঙ্গে আত্মসমর্পণের বিক্ষয়াদি নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করার উদ্দেশ্যে ইস্টা কমান্ডের সদর দফতরে এসে উপস্থিত হন। আটনা প্রবাহের প্রতিটি ধাপর বিস্তারিত বিচার বিশ্লেষণসহ এই সকল কির্তাদের আচরণ ও লক্ষ্যসমূহ যা কিনা মানের নিকট এসে পৌছে
________________________________________
* এ. ২ য় — * * তার আনুপূর্বিক বিশ্লেষণ শেষে আমরা কোনাে প্রকার দ্বিধা ব্যতিরেকেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যুদ্ধের প্রতিটি পর্যায়েই মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী সুষ্টান সমস্ত লে: জে: নিয়াজীকে সঠিক পথে পরিচালনা করলেন এবং যদি ভাব প্রদত্ত এই সকল পরামর্শ গ্রহণ করা হতাে, কমিশনের মা হয়তাে অনেক অবাঞ্ছিত ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হতো।
১৮, ভাঙীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মানেক শ’ কেন জেনারেল রাও ফরামনি আলকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সি এন সি হিসেবে বর্ণনা করাে লঞ্চলট ছেড়ে wিলেন আমরা তার কারণসমূহ বিস্তাৰিত অনুসন্ধান করে দেখেছি। এই লিফলেটটি ‘৭১ সালের ৮ ও ৯ ডিসেম্বর তারিখে দেখা যায় যে, এ সময় লে: জে: এএকে নিয়াকে কখনাে তার মা বাচ্চায়ের বাইরে দেখা যাচ্ছিলো না এবং বিবিসি থেকে এ সম্পর্কে একটি অন্য প্রচার লা হয় যে, লে: জে: নিক্সার্জী। পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে চলে গেছেন এবং সে; রাও ফনামান আলী তার স্থলাভিষিক্ত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ত গ্রহণ করেছেন। কমিশনের মতে এ কারণেই ভারতীয় সেনাপ্রধান জে: মুন্না ফরমান আলীকে আত্মসমর্পণের আহবান জানায়। কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়ে আমরা সন্তুষ্ট এ কারণে যে কোনাে পরিস্থিতেই মেয়: রাও ফরমান আলী জারঞ্জীয় জনবলদের সঙ্গে যােগাযোগ বজায় ফেখে চলেননি। অবশ্য পৱণতাঁকে এই সমস্যা কেটে যায় এবং, লে: জে: নিয়াবী চাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হােটেলে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জনসমক্ষে হাজির হন।
১৯, লে: জে; নিয়াজী কর্তৃক কমিশনের কাছে এই মর্মে একটি আযাগ করা হয় যে মে কার রোগ ফরমান আলী গায়। আনুমানিক ১০ হাজার পাকিস্তানী জী শাকিস্তানের বাইরে। পাচার করেছেন (তার এক আ ত্রর মাধ্যমে, যিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন হেলিকপ্টার পাইলট)।
মিয়াজ। তার অভিযােগে বলেন উক্ত হেলিকপ্টার পাইলট ‘৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর তারিখে। আত্মসমর্পণের পূর্বে ঢাকা ত্যাগ কখেন। : নিয়াজীর এই অভিযােগের এলে আমরা মেজর জে; রাঙ্গ ফরমান আলীকে এই অভিযোগ সম্পর্কিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্যে আহবান জানাই। তিনি । এর ব্যাখ্যায় বলেন এই ৬০ হাঙ্গার রূপী অর্থ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কর্তক পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের নিকট আত্ম ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পাঠানাে হয়েছে। পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর পদত্যাগ করার পর অথবা ১৪ শিগ ‘৭১ তারিখে মোর : কাও ফরমান আল গতিবের উপদেষ্টা হিসেবে এই অর্থের পয়ত্ব এহণ করেন। তিনি এর মধ্যে ৫ হাজার অপী সালামিয়া প্রেম (Uকা) কে প্রদান করেন এবং কানা এই অর্থ প্রদানের বিষয়টি গারের সামরিক সচিনকে জানানাে হয়। ব্যাঙ্ক ৫৬ হকার রূপাৱা মধ্যে ৫ হাজার পা অক্ষ তিনি মোট : রাম পাহ। অপরাপর ব্যক্তিবর্গকে প্রদান করেন। ১৬ 6িসেম্বর সকালে [ ত্যাগের ফলে তালের হায়াত খরচ নির্বাহের জন্য এই অর্থ খাপ করা হয়। মেজর ; রাও ফরমান আলী ভার। বক্তব্যে জানান, মেজর জে; রহিম খান তাকে জানান, কার ব্যক্তিগত প্রয়ােজনে ও ৫ হাজার অপী অর্থ তিনি ঋণ বাবদ গ্রহণ করেছেন।
২০, মেলা : আহম খাঝে ৫ হাজার বর ও ইলামি গ্রে ॥ ॥ ল’ জাপারে। পর বাকী ৫১ হাঙ্গায় জাপা তিনি তা আধুপুর মেল আলী ওহারের কাছে ১৬ fuসম্বর তারিখে ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে নিয়ে যান। পাকিস্তানি লীহ ও সরঞ্চড়ি কোথাগারে ৬ হাজার পা জমা দেন এবং ট্রাধি খ্রিসিপটি জি ই কিই- এয় লিগেডিয়ার ব্যাৱলী ভাইয়ের পে এন্ড একাউন্ট এর কাছে তুলে দেন। ওন দাবি করেন ৫ হাজার কলা পূর্ব পাকিস্তানের সরকার কর্তৃক
________________________________________
অনুমােশক। পশ্চিম পাকিস্থানে অবস্থানরত তার পরিবারবর্গের কানে কাজ কাকল অ তাকে পশ করা হয়েছে। তিনি জানান, মূলতঃ তার অমেলিত ভাতার পরিমাণ ছিলাে মাসিক ১৪০০ রূপী করে যার ভিত্তিতে ১২ মাসে তার পরিমাণ দিয়েছিলাে ৯৫ হাজার জল অক তিনি কি করেছেন মাত্র ৫ হাজার কালী।
| ২১.কমন তার প্রতিবেদনে মেজর জের মন আর হল শয়তাশ। করে। কমিশন মতে হর প্রদত্ত বাহির সৎ এবং সঠিক ছিলাে। উপসংহার ১. এই ভণ্ড কমিশন (কমিশন অব ইনকোয়ারি) ডিসেম্বর ‘৭১ এ পাকিস্তানের প্রেসিজেন্ট কর্তৃক নিয়ােগ করা হয়। ২শ’ ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পৰীক্ষা শেষে আমাৱা জুলাই ‘ এ মূল। প্রতিবেদনটি জমা দেই। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, একই সময়ে অধিকাংশ ব্যক্তিবর্গের সাক্ষ্য তাদের নিকট পেীছায়ানি শুধুমাত্র মেজর জে: ৰাহিম খান ছাড়া যিনি কিনা পূর্ব পাকিস্তানের আসমর্পণকালীন চূড়ান্ত সময়টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কমিশন মতে কলেরা এই পর্যবেক্ষণ এবং পূর্ব পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের সঙ্গে সংশ্নি সর্বশেষ ঘটনাপ্রবাহসজ অপােপর সাথি ফটকাবাহ সাময়িক হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
২, ভারত থেকে যুদ্ধবন্দী প্রত্যাবর্তনের পর AR সালের মে মাসে এই কমিশনকে পুনরায় সক্রিয় করে তোলা হয়। ওই সময় কমিশন কর্তৃক ৭২ বাক্তি যাদের মধ্যে লে: জে: নিয়াজী, সকল মেজর জেনারেল ও ব্রিগেজিয়ার যারা কিনা তৎকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে সাৰিত্ব পালন করেন, পাকিস্তান নৌবাহিনীর নিয়ৱি এ#মিরাল শরীফ Wণ অফিগার মাক্তি, এয়ার কমাের ইনাম, একক ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাসহ বেশকিা উত্তন বেসামরিক কর্মকর্তা যেমন চিফ সেক্রেটারি, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, সুজন ডিভিশনাল কমিশনার, মেঞ্জজেনারেল এম ৰহিম খানের মতাে ব্যক্তিকেই যায়। তাদের নিজস্ব অণুগােধ পুনঃ পরীক্ষা করে দেখা হয়।
৩, তিবেদনে কলা হয়, আমাদের কাছে এই সত্যটি স্পষ্ট হয়েছে। আর্মজ ফোর্সেস অব পাকিস্তান শুধুমাত্র সামরিক কিছু ঘটনাকীৱ জন্যে পাকিস্তানে পরাজয় বরণ করেনি স্বয়ং আ জক, রাজনৈতিক, নৈতিক ও সামরিক ঘটনাপ্রবাহ, তাদের এই পরাজয় ৰাৰত করে। আমরা আমাদের মূল প্রতিবেদন এই সফল বিষয়াবলী বিচার বিশ্লেষণ করে দেখেছি। আমরা। বর্তমান সম্পূর্বক প্রতিবেদনেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছি। রাজনৈতিক অঙ্গীত ৪. মূল প্রতিবেদনে আমরা পাকিস্তান আন্দোলনের মূল কারণ খুঁজে বের করার ষ্টা করেছি, যে সকল ঘটনা পাকিকান প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছিলাে এবং রাজনৈতিক উন্নয়ন যা কিনা ‘৪৭ সাল থেকে ‘৭১ সাল পর্যও সংঘটিত হয়েছিলাে তা বিচার বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি এবং দু’টো সামরিক শাসনের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিফলনের বিস্তারিত বিচার বিশ্লেষণ করার যা কি পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকে ত্বরান্বিত করেছিলো।
৫, আমরা আমাদের মূল প্রভিন্সেনে পাকিস্তানে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও পাকিস্তান পিপলস পাটির ভূমিকা বিচার বিশ্লেষণ করে দেখেছি যার ফঞেতিতে ‘৭১ সালের ৩ মা জাগে কায় পূর্ব নিধারিত ন্যাশনাল আবেলি বলি Nেষণা করা হয়। আমরা থেকে ৩ মার্চ ‘৭১ তারিখ পর্যন্ত সংঘটিত সকল ঘটনাপ্রবাহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি যে সময় আওয়ামী লীগ : ইয়াহিয়া খানের কাজ থেকে ক্ষমতা দখল করে নেয় এবং যার ফলে ২৫
________________________________________
মার্চ ‘৭১ তারিখে সামরিক তৎপরতার প্রয়ােঞ্চনীয়তা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এছাড়াও আমরা আমাদের প্রতিবেশনে সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ পূর্বাপর বিচায় বিশ্লেষণ করে দেখেছি।
৬. ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া দ্বিতীয় বারের মতাে সাময়িক আইন জাবির দটনাবলী বিখারিজালে ব্যাখ্যা করে আমরা দেখেছি যে, দেশে স্বাঞ্চাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং গণতায়িক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ক্ষমতা দখল নেননি। গায়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জ্ঞানে তিনি এটা করেছিলেন এবং যারা তার এ কাজে সাহায্য করেছিলাে তার জেনারেল ইয়াহিয়ার উদ্দেশের ব্যাপারে পূর্ণ অবগত্র ছিলেন। তারা যে সকল কাজ কর্ম করেছেন তার রেকর্ড থেকে দেখা যায় যে, তারা জেনারেল ইয়াহিয়ার আকাক্ষাকে বাস্তবায়িত করার জন্যে
৭. পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন ও বেসামরিক শাসনের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন তারা। সবাই স্বীকার করছেন যে, যwি৪ সামরিক আইন জাৰি কৰি কয়েক সন্ত্রাহের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানে আইন-
শলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিলাে কিন্তু সামরিক ব্যবস্থা কখনো রাজনৈতিক সমঝোতার পরিপূর্বক হতে পারে না। এদের অধিকাংশই স্বীকার করেছেন যে, রাজনৈতিক সমঝোতার জন্যে সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ছিলাে ১৯৭১ সালের মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পন্তি। কারণ এ সময় পেশের গ্রামাঞ্চলে সরকাৱেৱ নিশা না থাকলেও অকাল প্রায় সকল শহর এলাকায় সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো এবং অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছিলেঃ। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার জন্যে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বরং তাদের সঙ্গে প্রতারণামূলক আচরণ করা হয়েছে, এবং, অপ্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা অংশ করা হয়েছে।
৮, সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কত্তিপয় কর্মকর্তা ও সদস্যদের আচরণ এবং অতিরিক্ত শক্তি বাবহার করার ফলে তাদের প্রতি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের সহানুভূতি পূৱ হয়ে ব্যায়। এখাড়া সেনা অনিকালে তাদেরকে প্রাপ্ত রস সরবরাহ না করাই সেনাবাহিনী লুটপাটে প্রবৃত্ত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের সম্মানিক ব্যক্তিদের সঙ্গে আলােচনার জন্যে সামরিক আইন প্রশাসনের খামখেয়ালিপূর্ণ আচরণ এবং হঠাই করে অালােচনা বন্ধ করে দিয়ে বিষয়। সেন্ট টু বাংলাদেশ নীতি অনুসরণ করা হয় যা পরিস্থিতিকে আরাে অবনতির দিকে ঠেলে দেয়। এছাড়া পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে পাকিস্তানি সৈন্যদের আচরণ ভারতকে বিক্ষুক করে তােলে। এর ফলে ৱিত, পাকিন্তানের কাছ থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে বঅি| করার। ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নেয়। এটা সকলের কাছেই শট ছিলাে কিন্তু তা সত্ত্বেও WেIরেল ইয়াহিয়া। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক সমঝোতার ব্যাপারে কোনো আত পক্ষে ইহণ করেননি। তিনি ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাসে সাধারণ ক্ষমা ঘােষণা করেন কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এ সময় পূর্ব পাকিস্তানের বহু নির্বাচিত প্রতিনিধি ভারতে ছিলেন কিন্তু সাধারণ ক্ষমা ঘােষণা করা হলেও তারা কেনই পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসেনি। বস্তুতপক্ষে এ সকল প্রতিনিধি সে সময় ভারতের কাছে মূল্যবান জিন্মি হিসেবে ছিলাে এন সে (ভারত) তাদেরকে পূর্ব পাকিস্তানে আসতে দেয়নি।
১. এভাবেই পাকিস্তানের সামরিক সরকার মূল্যবান সময় না করতে থাকে কিন্তু এ সময়ে শার মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয় এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গোলা পাকিস্তানে হানা দিতে থাকে। ভেনারেল ইয়াহিন আওয়ামী লীগের নির্ধার্কিত প্রতিনিধিদের অনুপযুক্ত দোষণা করে উপ-নির্বাচন।
________________________________________
দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু এটিপ-নির্বাচন ছিলাে সামরিক বাহিনী কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত এমনকি এ উপ-নির্বাচনের প্রার্থিতা নির্বাচিত হয় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন মেজর এনারেল কর্তৃক আঃ ফলে এ নির্বাচন একটি প্রহসনে পরিণত হয়। এ জন্য এ উপনির্বাচনের মাধ্যমে মাঝাচিত প্রতিনিধিদের নাগালের পক্ষে কথা বলার ক্ষমতা ছিলাে না।
১০, একইভাবে ; মালেককে পূর্ব পাকিস্তানের বেসামরিক গল্প নিয়ােগ এবং তার অধীনে মন্ত্রিসভা গঠন কৰাৰ ফলেঞ্জ ওরি কোনাে প্রভাব পড়েনি। w; মালেক একজন অতি কাধিনায়ক হিসেবে সম্মানিত ছিলেন কিন্তু ভা সত্ত্বেও তারা জনগণের আস্থা আকাশ করতে পারেনি। এভাবে পূর্ণ পাকিস্তানে বেসামরিক শাসন চালু করার প্রচেষ্টা আশার আঞ্জর অভাবে ব্যর্থতায় পলসিত হয়। সকল মাত্র কার্যক্ত সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক শাসক গো; জেৱেল এ কে নিয়াজীর হাতে থাকে। আইন-শৃঙ্গলা বজায় রাখা এনং যোগাযােগ ব্যবস্থাকে সচল রাখার জন্যে সেনাবাহিনী দমনমূণক নীতি গ্রহণ করে।
১১. ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া আশা পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক হামলা ওলামা মাশণীয় নির্দেশ প্রদান করেন। যা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণেঝ সহানুভূতিকে বিনষ্ট করে লাে। তিনি আমী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোন রকম রাজনৈতিক সমঝোতায় উপ! ধর্থ হন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড জনগণকে সন্দিহান করে গেলে যে, জেনারেল জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত নয়। এ সময় আওয়ামী লীগের শীষ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ও ডাঃ কামাল হােসেন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন। কিন্তু কােরেল ইয়াহিয়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে যে কোনো রকম আলােচনার প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করেন। প্ররতের সামরিক পদক্ষেপের ঝাবনা আঁচ করতে পেরে পাকিস্তানের বন্ধু ভাবাপন্ন মশগুলাে ব্যাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠার জলে। জেনারেল ইয়াহিয়াকে পরামর্শ দেন। | ১৯. ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর থেকেই সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে থাকে কিন্তু পরােক্ত গুটি সরাসরি আংবিণাশী সিদ্ধান্তের পর সেনাবাহিনী সরাসরি ৰাজনৈতিক ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। সীমান্ত দিয়ে যাতে মুক্তিনাহি না আরতীয় চরশের অনু*বেশ রোধে পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বস্তুতপক্ষে এভাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গোড়া থেকেই একটি হেরে যাওয়া যুদ্ধ শুরু করে। আন্তর্জাত্তি দৃষ্টিভঙ্গি ১৩. বুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সামরিকভাবে পর্যালােচনা করে আমৱা। অামানো মামলা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি যে, ১৯৪৭ সাল থেঞ্চে ভারতে সঙ্গে আমাদের। বিদ্যমান সম্পর্কের পটভূমির সকে খেয়াল করলে এটা উপলব্ধি করা মােটেই কষ্টকর হওয়ার কথা নয় যে, তার পূর্ব পাকিস্থানে ।কিট সংকট লি ইয়ো রাঙ্গন্তে গণ্য সৰ রিৰে।
| ১০. সামনা সামরিক বাহিনীর আক্রমণের ফলে পূর্ব পাকিখান থেকে ভারতে গমনকার শরণার্থীদের বিষয়টিকে আন্তর্জাতিকীকরণের জন্যে ভারত বিন্নি প্রচেষ্টা ॥াল। ভারঙের = cথাপাকা এতটাই সফল না যে, পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থা ব্যজ্ঞানিক করার জন্যে সাময়িক শাসনের কোনো প্রচlই আন্তজাতিক সম্প্রদায়কে তুষ্ট করতে পাৰে। ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাণে থাবাত সোভিয়া ইউনিয়নের মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষর ফলে এ বিষয়টি আরাে জটিল আকার ধারণ করে।
________________________________________
পাকিস্তানের বন্ধু | লাশষ করে ঈনিটী ওবারী জেনারেল ইয়াহিয়াকে জানিয়ে দেয়। মে, তারতের সঙ্গে তারা পাকিস্তানকে সরাসরি কোনাে সাহায্য করবে না।
| ২৮, পানাম নাহি। মনে কর৷ে পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্য পশ্চিম পাকিস্তানে নিহিত রয়েছে। গে; Wে !!নাল নার্জী কমিশনকে কাম করার চেষ্টা করুন যেপাকিস্তান পাম 3 সুদ্ধ না করা পর্যায় করা পূর্ব পাকিস্তানে সারাঃ যুদ্ধ শুরু ৰণে না । আমার কাছে এইমাম হয় যে, মেশের প্রবল পক্ষের শক্তির ব্যাপারে উপযুক্ত কোনো জায়গা না নিয়েই এহানে কমিশনকে আশ্বস্ত করা হয়েছিলাে। মুক্তিবাহিনী নিজনা কিংবা ভৰাতে প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িত হতে পারে এ ব্যাপারে তাদের বিন্দুমাত্র ধারণা ছিলো না। এছাড়া ভারত প্ৰাক্ষ মদদ মাসের মাথামে অনিষ্টকালের জন্যে এ যুদ্ধকে খলখি কতে পারে জারা এ বিষয়টি বুঝতে পালেনি। উপযুক্ত পরিমাণ অর্থ নিয়ে বাংলদেশ প্রতিষ্ঠা করার ধারণা আমাদের অগ্রাভ ও স্নগ্ন মােকায়েনকৃ৭ সৈন্যদেরকে হত্যার দিকে ঠেলে দেয়। ভাৰাক্ত এভাবে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের মুখােমুখি হয়। আর এর ফলে পাকিমের ক +vই উপায় ছিলাে আর তা হচ্ছে, পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপা নিশ্চিত করা। ১৯৭১ সালের ২১ নথের ভারতীয় বাহ্নিী পূর্ব পাজ্ঞিানে নগ্ন হাসন
লালে এ ধারণাটি আরো সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পশ্চিম ফ্রন্টিয়ার যুদ্ধ শুরু কত দের কাৰি৷ রিতীয় আগ্রাসন পূর্ব পাকিস্তানে ধুদ্ধরত পঞ্চ সেলের মনােবল ভেজ্ঞে দেয়।
২১. ১৯৭১ সালের ১৫ জুলাই পূর্ব কমাক জ্যরকৃত আজিম সংক্রান্ত নির্দেশাবন্তীতে (নির্দেশ নং- ৩) গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পাল্প সপ ও সরবরাহ ব্যবস্থা সম খন্থাৰু কৌশল এহসান নিশশ দেয়া হয় যা পাশ অথবা পেছনে থেকে হামলা না হলে তারা তা অনন্ত পক্ষে ২০০ দিন প্রান্ত নাতে পারে। যে কোনাে মুল্যে ঢাকাকে কবজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। গরম জনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে কলাে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
২২. নিশ্নি জেলা ও মহকুমা শহনে, বড়ো বড়ো গ্রামে এবং বিভিন্ন সেনানিবাসে ২৫টি দুর্গ ৪ টি পয়েন্টে পাকিস্থানি সৈন্যরা তার যুদ্ধের জন্যে অত্যুকি নেবে এ সকল দূর্গ ও পয়েন্টে যথায়খ সৈন্য মােতায়েন করা হয়নি। এ সময় ধারণা করা হয়েছিলাে যে সীমান্তে মােতানেকাণ্ড সৈন্যরা পশ্চদপসরণ করে এ সকল দুর্গ ও পয়েন্টে আত্মরক্ষামূলকভাবে অবস্থান গ্রহণ করবে। “তাৰ ধাৰণা আখ সর্বশেষ সৈন্যটির সর্বশেষ দা লড়াই কনাে হলেও দুর্গগুলাে ঐ গুরুত্বপয়েন্টসমূহ রক্ষা করার কথা ছিলাে।
২০, পুৰক্ষা সংস্ক এ ধারণার সময়কার জন্যে এটি নিল প্রয়োজন ছিলো।
(ক) দুখজলা পর্যাপ্ত খাল ও আধ্যই সায়রুণ শিখি , গায়ে তারা যে কোনাে হামলা প্রতিহত জয়র পাশাপাশি অন্যান্য পুগঞ্জে সাহায্য করতে পারে।
(খ) দুখিলো এমন IVIথায় স্থান করতে হলে মাঝে একে অপনােয় শাহ্য এগিয়ে আসতে পারে এবী
(গ) যে সকল স্থানে সুচিলাে প্রতিষ্ঠিত হলে তার আশপাশের লােকজন পাক স্যৈদের প্রতি বিদ্বোপরায়ণ নয়।
| জেনারেল নিয়া | পপির পূর্ণ সচেতন ছিলেন যে, তার ৪৯ ব|লয়নে সৈন] সংস্থা। ৩৪টি দুগে মেওয়ে করার জন্যে প্রাপ্ত নয়। এ সকল সুখ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এমন অবস্থানে। হলাে না থাকে প্রায় এক জল সাইনাে এগিয়ে আসতে পারে। চিনি এটা জানতেন যে, যে সকল স্থানে দুর্গগুলো স্থাপন করা হয়েছে তার আশপাশের লােকজন পাকিস্তানি সৈন্যদের প্রতি বিদ্বেষপান এবং তার সৈন্যদের তুলাচুল ও তৎপর। মুক্তিবাহিনী কক বাধiaপ্ত হবে। আমরা
________________________________________
এটা ভেবেই পাই না যে, এ ধরনের একটি পরিস্থিতিতে জেনারেল নিয়াজী কিতাৰে স্বাৱা পরিকল্পনার সাফল্য অশ করেছিলেন।
২. সাজ্য, ইনালে দেখা যায় যে গুলােতে খােপযুক্ত সৈন্য মােতায়েন করা হয়নি এবং অৱকিতজৰে করে উপর হামলা চালানাে হলে তা প্রতিরােধ করার ক্ষমতা তাদের ছিলাে না। এ সকল দুখে মােতায়েনকৃত লৈয়া তাদের দুরি পতনের পর অন্যদের কাজ থেকে সাহায্য আশা করেছিলাে। কিছু কিছু দুর্ল গােলন্দাজ ও ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিলাে। এ অবস্থায় সেখান হােকে সৈন্য প্রত্যাহার না হয় কিভাবে? িপেছনে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ফেলে অনেক সৈন্যকে কোনাে রকম আনুষ্ঠানিক নির্দেশ ছাড়াই প্রত্যাহার করা হয়। ১৬ ডিভিশন ছাড়া আর কোনাে স্থানীয় কমান্ডারের কাছে কোনাে রিজাল সৈন্য ছিলাে না এবং রিজার্ভের পরিমাণ ছিলাে মাত্র এক ব্রিগেজ। এ ব্রিগেড আবার পূর্বাঞ্চলীয় সেরকে সাহায্য করার জন্যে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলাে। দুর্গ গঠনে এ চিলোলাভাব যুদ্ধের পরাজয়কে ত্বরান্বিত করে।
| ২৫, আমরা মনে করি শহরে তক্ত ৰুৱা যুদ্ধ মােকাবেলায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পূর্ণ পাকিস্তানে নিজের আধিপত্য অক্ষুন্ন রাখার জন্যে পূর্ব পাকিস্তানে নিক পূর্ব কমান্ডের কমান্ডারের এই পদক্ষেপ ছিলাে অনুপযুক্ত। জেনারেল নিয়াজী যদি তার বাহিনীকে ছােটো এলাকার মধ্যে মামিত রাখতেন এবং ডাক্তাকে প্রাকৃতিক বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে রক্ষা করা চেষ্টা করতেন তাহলে তা হস্কো বিজনােচিত পদক্ষেপ।
২৬. যে কোনাে বিচারেই একটি প্রবল শক যে সম্পদ এবং স্থল ও বিমান শক্তির দিক থেকে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক শক্তিশালী তার সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সাল থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে পূর্ব পরিকল্পিত পরিকল্পনার পাশাপাশি আঞ্চখিকভাবে পরিকল্পনা জগঞ্জ ক্ষমতা থাকা উচিত ছিলাে। কিন্তু পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এ বিষয়টিতে দারুণ অবহেলা সেথায়। তার সৈন্য প্রত্যাহার বা এক স্থান থেকে অপর স্থানে সৈন্য স্থানান্তর করেনি। বরং তারা যা গেছে তা হচ্ছে যুদ্ধ ক্ষেত্রে থেকে পলায়ন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। দুর্গভিত্তিক প্রতিরক্ষা লাবস্থা পাল্টা হামলা চালানাের জন্যে একটি উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিলো। ি১৯৭১ সালের ২১ নম্বরের পরে এটি একটি অপ্রযােজ্য ব্যবস্থায় পর্যবসিত হয়। এ সময়ের পরে এ বাবস্থা কার্যত পাক সেনাদের শত্রুদের জন্যে আশীর্বল হয়ে পাড়ায়। এ সময় তান্না আচমকা হামলা চালিয়ে আমাদের সৈন্যদের হত্র করে দেয় এবং ঢাকার দিকে অগ্রসর হওয়ায় মনােনিবেশ করে।
২৭. ভাষাক্ত পূর্ব পাকিস্তানের চারদিকে ব্যাপক সৈন্য সমাবেশ ও যুগ্ধ প্রকৃতি এহণ করা সত্ত্বেও জেনারেল নিয়াজীৱ বদ্ধমূল ধারণা ছিলাে যে, ভারতীয়দের বিরুদ্ধে তাৰুে ৰড়ে ধরনের কোনাে যুদ্ধ করতে হবে না। পাকিস্তানের চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং ভাইস চিফ অব দা জেনারেল স্টাফ তাদের সর্বশেষ পূর্ব পাকিস্তান সফরকালে সৈনা মােতায়েনের ব্যাপারে জেনারেল নিয়াজীকে কিছু পরামর্শ দেন। জেনারেল নিয়াজী এ ন্যাপারে শীতল প্রতিক্রিয়া দেখান। তিনি ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৩৬ ডিভিশন এবং ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে ৩১ জিভিশন নামে দু’টি এডহক ডিশিন গঠন করুন।
ম৮, লে: জেনারেল নিয়াল তার সৈন্য মোতায়েনের যাত্রা প্রমণের জন্য পশ্চিম পাকিস্তান থেকে তার জন্যে আরে ৮ ব্যাটালিয়ন সৈন্য পাঠানাের ব্যাপারে উনি সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে অনুরােধ করেছিলেন। তিনি তখন দােকানাের চেষ্টা করেন যে, এ অতিরিক্ত সৈন্য এলে তিনি একটি রিজার্ভ কমান্ড গঠন করতে পারবেন এবং এডহক ডিভিশনের সৈন্য আটতিও দূর হবে। তবে সদর দফতর থেকে তাকে এ ধরনের কোনাে আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো
________________________________________
কিনা সে ব্যাপারে কোনাে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওা যায়নি। আমরা আরো দেখতে পেয়েছি যে, যদি জেনারেল নিয়াজীকে অতিরিক্ত সৈন্য পাঠানাে হতাে তাহলেও অবস্থায় বস্তুগত কোনাে উন্নতি হতো না, কারণ ওই সৈন্য মােল্লায়েনের ব্যাপারে কোনাে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিলাে না। তবে অতিরিক্ত সৈন্য এসে পৌছানাের পূর্বে এই ভিভিশন গঠনের মাধ্যমে জেনারেল নিয়াজী প্রাণ শৈনের রিজার্ভ শূন্য করে গেলেন।
২৯, পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি ভূমি রক্ষা করা ও যে কোনো আয়তনের ভূথ নিয়ে বাংলাদেশ গঠন প্রতিরােধ করা ছিলাে গুলঞ্চলীয় কমার উপর অর্পিত দায়িত্ব। সলর দফতর থেকে এ নির্দেশ পরিবর্তন না করায় তিনি তার পরিকল্পনায় কোনাে পরিবর্তন আনেননি বটে। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডো অধিনায়ক যে যুক্তি দেখিয়েছেন তাও জামাসের কাছে গ্রহণয্যোগ্য মনে হয়নি। সদর দফতর থেকে হাজার মাইল দূরে একটি স্বাধীন কোব-এর প্রধান হিসেবে কার এটা উপলব্ধি করা উচিত ছিলাে বিশেষ করে ১৯৭১ সালের ২১ জোরের পরে তার পােWI |৮৩ ছিলাে যে, তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করা। আর লেকে সচল রাখা। এ জন্যে প্রয়ােজনে তিনি ভূ-খঞ্জের কিছু অংশ পরিত্যাগও করতে পারতেন।
৩০, আমরা আর দেখেছি যে, সলর দিক থেকে তার অভিযানের উদ্দেশ্য পরিবর্তনের ব্যাপারে জেনাঞ্জেল নিয়াজীকে ঝোনাে নির্দেশ দেয়া হয়নি বলে তিনি যে দাবি করেছেন তাও সঠিক নয়। তাকে একাধিক নির্দেশ দেয়া হয়েছিলাে যাতে তাকে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিলাে যে, পৃথও এখন আর তেমন গুরুপূর্ণ নয়, কাজের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ রক্ষা করার জন্যে যুদ্ধ করা উচি।
৩১. সম্পূৰু প্ৰতিৰেনে আমরা বিস্তারিতভাবে বলেছি যে, সে সময়কার পরিকল্পনাগুলাে। ছিলাে লক্ষ্যহীন এবং চাকার নিরাপত্তায় জন্যে কোনাে পৱিকানা ছিলাে না। এছাড়া যুদ্ধের কোনাে পর্যায়েই এক ডিভিশন ও ব্রিপে সৈন্য নিয়ে শত্রুদের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার কোনাে নজির নেই । যখন শত্রু সৈন্যরা ঢাকার আশপাশে অর্থাৎ ফরিদপুর, খুলনা, লালকাশি ও চাঁদপুরে গৌছায় তখন জেলে নিয়াজী সৈন্যদের ঢাকাকে রক্ষা করার জন্যে শালপনগর মর্দেশ দেন। কিন্তু এ নির্দেশ দেয়া হয় বিলম্বে। বিশাল যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে সৈন্যদের ঢাকা আসতে ফেরি প্রয়োজন ছিলাে কিন্তু মুক্তিবাহিনী ফেরি সরিয়ে রেখে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। জেনারেল নিয়াদী পূর্বে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন শতকরা ৭৫ ভাগ সৈন্য সুশি আহত হয় তবুও পশ্চাদপসরণ না করার জন্যে। তার এ নির্দেশের জন্যে সম্মিলিতভাবে কোনাে সৈক দলকে অপসারণ করা হRIনি।
৩২. শত্রুপক্ষ যখন যমুনা নন্দী পাড়ি দিয়ে ঢাকার দিকে শুসের হচ্ছিলাে তখন তাদের সুর বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করা যেতাে কিন্তু সে সময় আমাদের বিমান বাহিনীর এক স্কোয়াড্রন বিমান অহেতুক বসিয়ে রাখা হয়। সর্বাত্বক দের চতুর্থ দিনে যশাের, ঝিনেদাসহ পশ্চিমাঞ্চলীয় এবং পূর্বের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাকিস্থানি সৈন্যদের দুর্গগুলাের পতন ঘটে। পরের দিন শারা কুমিল্লায় পাকিস্তান বাহিনীর ঘাটিকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে। একং, ১৯ ডিসেম্বর এটিকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এই দিনই কুষ্টিয়া ও লাকসামেয় দুর্গের পতন ঘটে। অন্যান্য দুৰ্শগুলােও দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি অসুস্থ ২৪ আহত সৈন্যদের দুগের এ নেই অনেক সৈন্য পান করে। এমনকি পাহাড়ি এলাকায় ১৬ দিন যুদ্ধ চালানাের পর ময়মনসিংহে এক ব্রিগেড সৈন্য ভারতীয় বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। তারা ব্রিগেজ কমান্ডার 4 আরো কতিপয় নৈকে আটক করে কারাগারে নিক্ষেপ করে।
________________________________________
আত্মসমর্পণ ৩, সব বপনের ৪র্থ অংশে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আজমল আগের কয়েকদিনের মমত্তিক ঘটনাবলী বিকৃত হয়েছে। অপর দফতর থেকে তাকে আত্মসমর্পণের জনে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলাে বলে যে দাবি করা হয়েছে তাও সঠিক নয়। তবে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমাজারের আকাশস্ত অবস্থা দেখে তাকে শুধু বলা হয়েছিলাে অসমর্পণ করা প্রয়োজন মনে। করলেই যেনাে তিনি আত্বসমর্পণ করেন। জেনারেল নিয়াজী যদি মনে করছেন যে, আকাকে কবজায় রাখার মতাে শক্তি তার রয়েছে, তাহলে তিনি হাই কমাজের নির্দেশ অমান্য করাতে পারতেন। কেনারেল নিয়াজীর ভাষ্যমতে, চাকায় তার ২৬ হাজার ৪শ সৈন্য ফিলাে এবং তিনি আরে দুই খুলিয়ে যেতে পারতেন। কারণ, শ সৈন্যের চাকার চারপাশে জড়ো হতে এক সন্ধায় এবং তার আশপাশে পাকিস্তানি সুসমূহের পতনের জন্য আরাে আরাে এক সপ্তাহ সময় লাগতো। খনি জেনারেল নিয়াজী এটা করতেন এবং যুদ্ধে জীবন দিতেন তাহলে তিনি পাকনের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বর ও শহীদ হিসেবে সম্মাশিত হতেন নয়, ইতিহাস সৃষ্টি করতেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেখা গেছে, ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বরের পর কি যুদ্ধ করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছিলেন। কারণ সে সময় যশাের ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তার প্রধান প্রধান খাটিগুলাের পতন আটকে থাকে। তারপরই ইতিহাস তৈরির কোনাে প্রশ্ন তার মনে জাগে।
৩৪. সামরিক ব্যক্তির চেয়ে দুঃখজনক ছিলো মুক্তিবাহিনী ও বিজীয় বাহিনী সময়ে খায়ক পাকশি যৌথ বাহিনীর সামনে অস্ত্র রেখে আম পণ করতে এই থিম পক্ষের। ভরা ফেনারেল অরোরাকে বিমল বশরে স্বাগত জানতে এবং তাকে গার্ড অব অনার নিতে সম্মত হয়ে গেল নিয়াজীর হীন আচরণ । পনে তিনি পাকিস্তানকে এবং পান্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে আলেম লজ্জার মধ্যে ফেলে দিয়ে রেসকোর্স ময়দানে জনতার উপস্থিতিত্বে অনুষ্ঠানের। মাদ্যমে আত্মসমর্পণ করেন। যদি তিনি পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়েই আসমর্পণ করে থাকেন। তাহলে সে ক্ষেত্র ও আত্মসমর্পণের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত ছিলো। গাজা সেদিন। আত্বসমর্পণের দুশাের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলাে তাদের সাক্ষাতে এটা প্রমাণিত হয় যে, মোবল নিয়াজী। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে নৈতিকভাবে চূড়ান্ত বিপর্যয়ের শিকার হয়েছিলেন।
৩৫, লিও এ পরাজয়ের জন্যে ইস্টার্ন কমার পায়ী তবুও এ ব্যর্থতার দায়ভার সদর পফতরের উঞ্জ বর্তায়। কারণ তারাই পূর্বাঞ্চলীয় কমাতের পরিকল্পনাসমূহ অনুমোদন কয়েলাে। শেষ পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডারের সঙ্গে সদর দফতরে যোগাযোগ অবাহিও ছিলাে। তাই সদর দফতরের দায়িত্ব ছিলাে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্তের পরিকল্পনার ভুলফটিসমূহ শুধরে দেয়। যেহে’ পূর্বাঞ্চলীয় কমাজের অধিনায়ক তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছিলাে তাই সমর দফতরের উকিক ছিলাে পূর্ণালব্ধ যুদ্ধকে দিক নির্দেশনা দেয়া এবং যুদ্ধের উপর প্রভাব বিস্তার করা। কিন্তু
র দক্ষত। তার এ ঈদ পূর্ণ দায়িত্ব পালনে সকলে ব্যর্থ হয়। কমাজার ইন চিফ এ পরাজয়ের ব্যর্থতার দায়ভার এড়াতে পারে না।
৩%, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পরাজদের জন্যে পায় মাতার জেনারেল নিয়া যাও এই অঞ্চলে ও মেজর জেনারেল মােহামৰ জমশে, মেজর জেনারেল মে কাজিম হন এবং আরাে
তাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া এরা কলকের সন ও জনশক্তি নাৈকা ) শিশুর তুলনায় তাদের সৈন্য স্বল্পতা এবং প্রাণ ও উপকং খাটতির কথা বলেছেন। এছাড়া
________________________________________
তারা রাওয়ালপিন্ডির সদর দফতর এবং জাকায় পূর্বাঞ্চলীয় কমা শফতরের বিভিন্ন কমিশনের ভূমিকার কথা বলেছেন ৷ ভাদেরকে ইনমন করে তোলে। সদর দফতৱেয় নির্দেশে প্রতি প্রশ্নাতীত আনুগত্যের জন্যে আসমপণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিয়ে এ কর্মকর্তারা কোনাে হত তোলার সাহস পাননি।
৩৭, আলােচনার এ অংশের শেষে আমরা বলতে পারি যে, আনুগত্য ও শশার কারণে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলেও পূর্বাঞ্চলীয় কমাভের অধিকাংশ কর্মকর্তা ও সৈন্যই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে এবং দেশের মর্যাদার জন্যে জীবন উৎসর্গ করতে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছিলাে। নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ৩৮, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক ও সামরিক কারণ ছাড়া ১৯৭১ সালে যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরাজয়ের পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিলাে আর তা হচ্ছে তিন সেনা কর্মকর্তাদের নৈতিক চরিত্র ও সাহসের অভাব। কমিশনের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে এটা স্পষ্টতঃ প্রতীয়মান হয় যে, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর সামরিক আইনের দায়িত্ব পালনকালে উপতন কর্মকর্তাদের মধ্যে অনৈতিকতার উন্বেষ ঘটে এবং ১৯৬৯ সালের মার্চ মাসে wিীয়বারের মতাে পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করার ফলে উহন সামরিক কর্মকর্তাদের। মধ্যে ফের তাদের সেই অনৈতিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। সেনা কর্মকর্তারা বিপুল . সম্পত্তি, বসতবাড়ি দখল করে অন্যান্য বাণিজ্যিক কর্মকা েলিপ্ত হয় এবং বিলাসী জীবন যাপন শুরু করে যা তাদের পেশাগত উৎকর্ষতাকে এবং নেতৃত্বের গুণাগীকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ থেকে প্রমান হয় যে, তারা তাদের লড়াই করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলে এবং যুদ্ধকে নিজেদের আয় আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়। এ বক্তব্য বিশেষ করে কেনারেল ইয়াহিয়া খান এবং তার স্থানিয় সহযােপী জেনারেল আব্দুল হামিদ খান, মরহুম মেজর জেনারেল খুদ দাশ (1) আম, লে: জেনারেল এ এ ৰুে নিৰঞ্জী এবং আরো কতিপয় কর্মকর্তার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য।
৩৯, প্রাপ্ত প্রমাণালিতে দেখা যায়, যুদ্ধের আগে ও পরে পাকিস্তানি সৈন্যরা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উপর অনী নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা আরাে গ্রমাণ পেয়েছি যে, আওয়ামী লীগে কমিৰাি পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত সৈন্যদের নানাজাৰে ক্ষেপিয়ে তুলেছিলো। এটাও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, পূর্ব পাকিস্থানে কেন্দ্রীয় সরকারের নত্ব প্রতিষ্ঠার জন্যে সেনাবাহিনীর অভিযান চালানাে অপরিহার্য হয়ে পড়েছিলাে এবং সেখানে আইন-শৃংখলা প্রতিষ্ঠার জলাে সেখানে। দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তাদের আয়ােজনে শক্তি ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলাে। কিন্তু বহিঃশক্তির মােকাবেলা আগ্রাসন এবং শত্রু ভূমিতে গিয়ে তৎপরতা চালানাের ব্যাপারে কোনাে নির্দেশ দেয়া হয়নি।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই যে, এ ধরনের তৎপরতার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলাে পাকিস্তান সণকরব ঠিa তরে শান্তি পশ্চিত করা। এজনাে একটি ক্ষমতা আ-ল অবা তদন্ত কমিশন গঠন করা প্রয়ােন এবং জাতীয় ঐকমত্য ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করার জন্যে তাদের সুপারিশমালা প্রকাশ করা প্রয়োজন। | ৮০, পূর্ববর্তী অনুষদসমূহে বর্ণিত উপসংহার থেকে বিশেষত পরাজয়ের সামরিক প্রেক্ষাপটের বিচারে আমাদের দৃষ্টিতে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিলাে যে, কয়েকজন উচ্চপদস্থ
________________________________________
সেনা কমার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কর্তব্যের জরুতর সংখলে পায়ে দোয়া। এবং দূর্গসমূহ রক্ষা না করে সেখান থেকে পালিয়ে আসার মধ্যে লজ্জার হার্টনার জন্যে এখনো দায়ী। আমরা এও দেখেছি যে, ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার এবং চিফ অব স্টাফ রিয়েজিয়ার কাকির সিদ্দিকী অস্বীকার পত্রিকল্পনা কার্যকর করার বিষয়টির প্র%ি ইচ্ছাকৃত অবমা প্রদর্শন করেন, এই ফলশ্রুতিতে যে ব্যাপক পরিমাণের মূল্যবান যুদ্ধ উপকরণ, যন্ত্রপাতি, স্থাপনা, অস্ত্র ও কির আত্মসমর্পণের সময় ভারতীয়দেনা কাছে হস্তান্তরিত হয়েছিলাে। এ ধরনের সকল কলারি বিরুদ্ধে কমিশন আইনানুগতভাবে অনুমোশযোগ্য সময়ে কার্যকর ব্যবস্থা মাছপের আহবান জানাচ্ছে। এ সংকস্তু বিষয়টির ব্যক্তিদের বিস্তারিত অনুমোদন পরবর্তী অশ্যায়ে সরিবেশিত হলো।
#১. এটা কমিশনের নজরে এসেছে যে, বন্দী অবস্থায় এমন কি পাকিস্তানের ক্ষতিপূরণের পরেও লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াৰী তার চিফ অব স্টাফ ব্রিগেডিয়ার বারি সিদ্ধিকর সহায়তায় তার ডিভিশনাল ও ব্রিগেজ্ঞ কমান্ডাৱদেৱকে দুমকি ও ঘুষ দিয়ে মার শরাজয়ের জন্যে
জবা #f ২ কি দেয়ার জনে। পূর্ব পাচিস্তারে ঘটনাবলার একটি বানানাে গল্প উপ খাপন করতে প্রস্তাবিত করার চেষ্টা করেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এবং এর প্রতি নজর দেয়ার আহবান জানাচ্ছি। | B২. পূর্ব পাকিস্তানে আত্মসমর্পণ জাতির জন্যে বস্তুতই একটি শােকাবহ আWত হয়ে দাড়িয়েছে। আসমর্পণের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান হবে।ছ অস্থিতিশীল এনেছ, দক্ষ ও ৮মকার মােজা হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ফুণাবণ হয়েছে। আমরা শুধু এটুকু আশা করতে পারি। মে ট্র্যাকি এই খটনাবলীর ভেতর দিয়ে জাতি প্রয়ােজনীয় শিক্ষা পেয়েছে এবং কালি ও অগভাগের এই কাজটিই, বিলােটে টানা উপসংহারের আলােকে স্থান পাবে। সুপারিশ ১৯৭১ সালে পেশকৃত মূল রিপাের্টের উপসংহারে আমরা ১৯৭১ সালের পৱাবােৰ কাৰণ সম্পর্কে। বিভিন্ন নিরীক্ষাভিত্তিক সুপারিশ করেছিলাম। এসব সুপারিশের কিছু কিছু আমাদের এম্বনার রেকর্ডকৃত বস্তুৰ ওথ্য প্রমাণের আলােকে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পত্রিম রকার। অন্যান্য ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন পরিবর্ধনের গুরুত্ব আরো বেশি। এসব সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার যথাযথ এবং, ভূৰিীয় ব্যবস্থা নিলেই কেবলমাত্র এই কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে বলে আমরা মনে একত্রি। | ২, মূল থিলেটের বলেছি তার পুনরুক্তি এলেও আমরা মনে করি বাছাই এবং কার্যকর নকলায় সুবিধার দিক পিয়ে এম্বন যলি আমালে সকল সুপারিশ একত্র সন্নিবেশিত করা হয় সেটাই যথার্থ হবে। এসব সুপারিশের বিস্তারিত কারণ বিচার বিশ্লেষণ মূল বিলো:টর পাশাপাশি সাপ্লিমেরি বিশাের্টের সংষ্টি অধ্যায়গুলো পাওয়া যাবে। আমরা অবগত আচ্ছি যে, এসব সুপারিশের কিছু কিছু ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু ছাপ্ত বিচায়ের ক্ষেত্রে সেগুলােকে বাপ সেয়ার জন্যে এটা কোন কারণ হঞ্চে পারবে না। বিচার। ৩, এই সকল উচ্চপদস্থ সেনা কমান্ডারদের তালিকাভুক্ত করার আর প্রয়োজন |য়েছে, যারা সংবিধান অংশ, অপরাধমূলক ম ণ মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতা জবরদখল, এর আমনকতা, দায়িত্বের প্রতি ইচ্ছাকৃত এ শাস্তিযােগ্য অবহেলা এণ, শত্রুদের প্রতিরােধ করার মতো সম্পদ সামর্থ্য থাকা সত্বেও যুদ্ধ হ্যাপ রার মতাে শারীরিক ও নৈতিক কাপুরতার মাধ্যমে পাকিস্তানের
________________________________________
জন্যে অসম্মান ও পরাজয় বয়ে এনেছেন। কঠিন ও যথাযথ পদক্ষেপ শুধু যে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে জাহির শান্তি প্রগানের পাৰি চরিতার্থ করবে গাই নয়, একই সঙ্গে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে প্রদর্শিত
জাজনক আচরণের পুনরাবৃক্তির বিরুদ্ধেও নিশ্চয়তা দেবে। এ অনুসারে আমরা অনতিবিলম্বে নিম্নোক্ত বিচার সম্পাদনের সুপারিশ করছি
১, এফএম মােহাম্মদ আইয়ুব খানের কাছ থেকে অবৈধভাবে ক্ষমা করায়ত্ত করার জন্যে অপরাধমূলক গড়ায় অংশ নেয়ার দায়ে জেনারেল ইয়াহিয়া খান, জেনাৰেল আব্দুল হামিদ খান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম জি এম এম পীরজাদা, লেফটেন্যান্য উমর এবং মেজর জেনারেল মিঠার জনসমক্ষে প্রচার হওয়া উচিত। সাধারণ উদ্দশ্যের বাইরে গুসর হয়ে তারা সন্তু ১৯৭০ সালের নিশাচনে নিশেস রকমের ফলাফল আনানের জন্যে হুমকি, ইন্ধন এমনকি গুদ দিয়ে রাজনৈতিক লগুলাের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে এবং পরবর্তীতে ‘৭১ সালের মার্চ মাসে জার অনুষ্ঠিতব্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে যােগদান থেকে বিরত থাকতে ঝোকুটি রাজনৈফিল এবং সেগুলাের নির্বাচিত ব্যাসেম্বলি সদস্যদেরকে তারা প্রভাবিত করেন। নিজেদের মধ্যে যােগসাজশের মাধ্যমে তারা পূর্ব পাকিস্তানে এমন পরিস্থিত্তি আনেন যা থেকে সেখানে অসহযােগ আন্দোলন শুরু হয় এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রাম ও পূর্ব পাকিস্তানে আমাদের সৈন্যদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের অখণ্ডতা ভেদ্ধে যায়।
২. এ উখি কম তাদেরকে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিন্ধানে ব্যে অবহেলার অপরাধে বিচার করা উচিত। যুদ্ধের সামরিক প্রেক্ষাপট বর্ণনার অধ্যায়গুলােতে এই কর্তব্য অবহেলার বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে।
| ৩, সাবেক ১ নম্বর কোৱের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইরশাদ আহমাদ খানকে তার কোরে কর্তব্যে অবহেলার জন্যে বিচার করতে হবে। তার কোৱে যুদ্ধ চলাকালে এমন অবহেলা করেন যে, পশ্চিম পাকিস্তানের শিয়ালকোট জেলার শারগy তে |সলের খায় ৫শ” নিরীহ এবামবাসী কোন প্রকার পাল্টা হামলা ছাড়া শত্রুপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। যার পরিণতিতে দক্ষিণাঞ্চলে সেনা আক্রমণ মারাত্মকভাবে অচল হয়ে পড়ে।
৯. পাম পাকিস্তানের শিয়ালকোট গুলার চুরুলিয়ান স্যালিয়েটির প্রায় ৯৮টি এমন সমম্বয়ে গঠিত বিশাল এলাকায় ইচ্ছাকৃত দায়িত্ব অবহেলা এবং লজ্জাজনক আগমণের জন্যে ১৫ নম্বর ডিভিশনের সাবেক জিওসি মেজর জেনারেল অলিদ জাহিদের বিচার করতে হবে। একই সে এই আত্মসমর্শণ করায় সৈন্যদেরকে প্রায় ১৫শ’ গল্প এগিয়ে নিয়ে মাথা হেও প্রয়াসের অপর ঝুকি ডেকে এনেছিলাে। যুদ্ধের পর ক্ষতি আলিপ্ত না হওয়া পর্ষঞ্জ কলিয়ান সালিয়েটে রাখা আসনের ও গলদারিত্ব সম্পর্কিত তথ্য প্রমাণ কি গোপন রেখেছিলেন।
৫, ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে রাজস্থানের রানিগড়ে ভারতীয় পজিশনৰ দখলের সময় আক্রমণ পরিকল্পনার দত্বে ইকৃত অবহেলার জয়ে ১৮ নম্বর ডিভিশনের সাবেক জিওসি মেকার জেনারেল বিএম মুস্তাফার বিচার করতে হবে। এই আক্রমণ সামরিক দুর্বলতা ও অদক্ষ পত্রিকল্পনার কারণে শেষ পর্যন্ত যানবাহন ও সাজ সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে পর্যবসিত হয়েছিলাে। | ৬, ইস্টার্ন কমান্ডের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজীকে কোর্ট মার্শালে বিচার হতে হবে। পূর্ব পাকিস্তান প্রতিরক্ষায় পেশাগত ও সামরিক দায়িত্ব, ইচ্ছাকৃত অবহেলা এবং প্ররােধের সামর্থ্য ও উপকরণ থাকা সত্ত্বেও এক পর্যায়ে ভারতীয় সৈন্যদের কাছে তার লজ্জনক আত্মসমর্পণের জন্যে সাপ্লিমেন্টারি রিপাের্টের পঞ্চম পর্বের তৃতীয় অধ্যায়ে উল্লিখিত ১৫টি অভিযােগের ভিত্তিতে তার বিচার করতে হবে।
________________________________________
| ৭. ৩৬ নম্বর ডিভিশনে টাকার সাবেঞ্চ জিওসি মেজর জেনারেল মোহশাল জামশেদের বিরুদ্ধে আনীত পাঁচটি অভিযােগের ভিত্তিতে কোট মার্শালে বিচার করতে হবে। ঢাকা প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় ইচ্ছাকৃত দায়িত্ব অবহেলা এবং যুদ্ধ করার সাহস এবং ইচ্ছা না দেখানাে এবং সামথ্য এ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও কমান্ডের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ না করে তারায় সৈন্যদের কাছে আত্মসমর্পণ এবং পাকিস্তানের প্রত্যাবাসনের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের পাকিস্তানি মুদ্রায় ৫০ হাজার কপি বিকরণের ব্যাপারে ইকুকাবে কিছু না জানানাের জন্যে তার বিচার করতে হবে।
৮, ৩নং নম্বর জিভিশনের টলিপুরের সাবেক জিওসি মেজর জেনারেল মা রহিম খানের বিচার পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে কোট মাশালে সম্পন্ন করতে হবে। ন্যক্তিগত নিরাপত্তার অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে নিঞ্জ ডিভিশন, ডিভিশনের সৈন্য এবং দায়িত্বভুক্ত এলাকা ত্যাগ এবং ৮ ডিসেম্বর তারিখে চাঁদপুরের তার ভিশনাল হেডকোয়ার্টার খালি করে দেয়ার পারে। তার বিচার
াতে হবে। মুক্তিবাহিনীর ভয়ে দিনের মধ্যে সরে যাওয়ার ব্যাপারে তার গুরুত্ব প্রদান এবং শরীয় বিমানের গােলাবর্ষণে ন্যাভালরেটিংসহ নিম্নের চাকন কর্মকর্তার মৃত্যু, পাশাপাশি তিনি নিজেসহ কয়েকজনের আঘাত প্রাপ্ত হওয়া, ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত কয়েকটি প্রশ্নের আলােচনায় জড়িয়ে পড়া, হতাশার কারণে চললুরে তার মূল্যবান সিগন্যাল সরঞ্জাম ফেলে হারা এবং ইক্ষাকৃতভাবে ১৯৯৭ সালে চলিপুর ত্যাগ করার্থ পরিণতি গােপন করার্থী অপপ তার বিচার করতে হবে।
৯. ইন্টার্ন কমাজ, ঢাকার সাবেক ফিওএস ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল বারি সিদ্দিকীর রিপােটে বর্ণিত নয়টি অভিযােগের ভিত্তিতে কোর্ট মার্শাল করতে হবে। অভিযােগগুলাে হলাে- কিন্তক্ষা ও ধারণা পরিকল্পনা প্রণয়ন, ভারতীয় হুমকি মূল্যায়ন, অস্বীকাৱ পরিকল্পনা কার্যকর, কমাজের আককি পরিবর্তন, বীণায় ভারতীয়দের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং পূর্ব পাকিথানে আত্মসমর্পণের টিনার তদন্ত রিপাের্ট কাশের ক্ষেত্রে ওস্তকারী কমিশন এন্টং, এইচ কিউ- এর কাছে একটি যেীগিক গল্প উপস্থাপনের জন্যে হুমকি ও আজিৰ বিস্তার ।
১০, পূর্ব পাকিস্তানে ডিভিশনে ১০৭ নং নিজের সাবেক কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার মােহাম হাতি চারটি অভিযোগে ফোট মাশলে বিচারের সম্মুখীন হবেন। যশােরের সুগাগুলােতে সঠিক প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা প্রদানের ক্ষেল হকুত্র অবহেলা, গারিপুরে প্রতি আমির নো মাথায় পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা দামে বাৰ্থতা, লজ্জাজনকজাৰে যশাের দুর্গ ছেড়ে আসা এবং সৰ গোলাবারু ও সাজসরঞ্জাম শকদের হাতে দিয়ে দেয় এবং, যশােৱ তাপ করে আসার পর তিরা জানারি হবার ক্ষেত্রে জিপ্রেণি নবম ভিশনের নির্দেশ অমান্য করার অযােগে তার বিচার হবে।
১১, ৩৯ (% হক) ডিভিশন, পূর্ব পাকিঞ্চন, ঐ৩নং, ব্রিগেজের সাবেক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার মােহাম্মাদ আসলাম নিয়াজীর কোর্ট মার্শালে বিচার করতে হবে দু’টি অভিযোগের ভিওি। তার বিরুদ্ধে অক্ষিগে-১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর মুদাফরগঞ্জ উধ্বতন কর্মকাষ্ঠা ও জি এশিয়া নির্দেশানুযায়ী প্রতিরক্ষা ব্যুহ গৈরিক্ত ব্যার্থতা এবং পরিকল্পনা, সংকল্পবদ্ধতা ও প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে তার যােগ্য ফাকি। ৬ ফিসেম্বরে নির্দেশানুসারে লাফফরগঞ্জ থেকে শত্রু সেনালের বিতাতি করইwখ্যথা, ৯ কিসেদরের দিকে বা ১০ ডিসেম্বরের তারিখে লাকসাম দুখ থেকে লজ্জাজনককাৰে পশ্চাদপসরণ, একই তারিখে লাকসাম থেকে কুমিল্লায় সৈন্যদেরকে সরিয়ে আনার কাজ ইতি অবহেলা, যার ফলে সৈনদের ব্যাপক প্রাণহানি এবং লাগামে ১২৪ জন অসুই ও আহত সৈন্যদের দুজন মেক্যাল অফিসারসহ কিছু না জানিয়েই কৃমিঞ্চায় চলে আসা, লাকসামের সকল ভারী অস্ত্রশস্ত্র, মজু ও গোলাদ শরুপক্ষের জন্যে ফেলে রেখে আলয়।
অভিযোগকৃত নৃশংসতার প্রস্ত ও বিচার ৪ মূল রিপাের্টের পঞ্চম পর্বে তৃতীয় অধ্যায়ের এম অনুচ্ছেদে এবং সম্পূরক রিপোর্টের পঞ্চম পর্বের রিতীয় অধ্যায়ের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ৯িসেম্বর পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি লৈ রে গানে নুশংসতার অব্যাহত অস্থিগি গুপ্ত করতে উচ্ছ ধমত্তাসম্পন্ন একটি আদালত বা কমিশন নিয়োগ করা এবং এই নৃশংসতায় জড়িতদের বিচার করার সুপারিশ করা হচ্ছে। কমিশন বা মাদাম এটর গঠন জনসমক্ষে ঘােষণা করতে হবে। মাতে জাতীয় ও আন্তজাতিক ঐকমত্য ও মামত পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে একটি কার্যকর প্রদত্ত এ জনো পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ এখন পাকিস্তানে পাওয়া সহজতর হলে কমিশন মনে করে। যেহেতু পাকিস্তান বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি নিয়েছে। সুতরাং এই তদন্তকারী আদালতে কাছে এখ। প্রমাণ পৌঁজে দেবার জন্যে দাক্কা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ পাও অযৌক্তিক হবে না । অন্যান্য তদস্তু ৫ (১) ব্যক্তিগত নীতিগতি কার্যকলাপ, মদ্যপ থাকা ও দুনীতিমূলক কর্মকাণ্ডের আপাত পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জেনারেল ইয়াহিয়া খান, জেনারেল আব্দুল হামিদ খান এবং মেজর জেনারেল খুদা আানের কৃতকর্মের যথাযথ তদন্ত করতে হবে। তাদের নৈওিক বিপথগামি। থেকে সিদ্ধান্তহীনতা, কাপুরুষত্যা এবং পেশাগত অযােগ্যতার জন্ম হয়েছে তা এইসব প্রমাণ থেকে বেরিয়ে আসবে। এই তদন্তের আলােকে তাদের নিচ্ছে মাথাযােগ্য অভিযোগ দায়ের করা। বাৰে, যা ইতিপূর্বে কমিশন সুপারিশ করেছে। তার বরুদ্ধে এ সকল সুযোগের বিস্তারিত মূল রিপাের্টির পঞ্চম পর্বের ১ম অধ্যানে সারাদেশ রয়েছে। | (২) এক্ষেত্রে শিয়ালকোর্ট, লাহাের ও ঢাকার কুখ্যাত অভিশাপ্রাপ্ত এবং পূর্ব পাকিস্তান থেকে। পশম পাকিস্তান পান পাচারের অফিসে আসুক ফেটেন্যান্ট জেনারেল জিয়া নিজেও। ব্যক্তিগত নীতিগৱিক কার্যকলাপের তদন্ত করতে হবে এবং দরকার হলে পূর্ব পাকিস্তানে তার। পূর্বেল্লেখিত পেশাগত দায়িত্ব পালনের দিকটিও বিচারে এনে তার বিরুদ্ধে বাকৃতি অভিযোগ। হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে। এ সব অভিযোগে বিস্তারিত মূল নিলাটের শঙ্কায় পর্পেণ ১ম অধ্যায়ে এবং সম্পূরক রিপাের্টের পঞ্চম পর্ব ১ম অধবে সন্নিবেশিত আছে।
(৩) ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে আত্মসমর্পণের অব্যবহিত পূর্বে পূর্ব পাকিস্তান সিভিল আর্মস্ক ফোর্সেস এৱি ভিক্টের জেনারেল এবং (এডহক) ৩৯ ডিভিশনের সাবেক জিওসি। মেজর জেনারেল মােমলা জামশেল কথিত ৫০ হাজার রুপি থিলি বন্টনের বিষয়টির তদন্ত করতে হবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বিবরণ সম্পূৱক রিপাের্টির পঞ্চম পর্বের ১ম অধ্যায়ের ২১ থেকে ২৩নং অনুচ্ছেদে পাওয়া যানে। উক্ত ৫০ হাজার রুপির ব্যাপারে কোন কিছু স্বালাতে ইসকৃত ব্যর্থতার জন্য এই কর্মকর্তাকে কোর্ট মার্শালে বিচার করার জন্যে আমরা ইঙামবো। সুপারিশ করেছি। এই অভিযােগটি তার দিক থেকে কোনাে প্রকার ব্যক্তিগত অসন্তাত্রার ইঙ্গিত
| (6) সিরাজগঞ্জের ন্যাশনাল ন্যাংক ট্রেজারি থেকে ৩৫ লাখ রুপি চুমিহ পূর্ব পাকিস্তানে। ব্যাপক লুটপাটের নানার আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে ৫৭ বিগ্রেসী সাবেক কমান্ডার বিভিয়ার ফেহানজেব আরবাব, ৩১ ফিল্ড রেজিমেন্টের সাবেক জিওসি (বর্তমানে বিগ্রেডিয়ার) মুজাফফর আলি জাহিপ ১৮ পাঞ্জাব বিগ্রেডের সাবেক জিওসি লেফটেন্যান্ট কর্নেল বাশারাত আহমল, ৩২ পাঞ্জাবের সাবেক সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মােহাম্মল তাঞ্জ, ৫ wিs রেজিমেন্টের
________________________________________
সাবেক ও লেন কলে মােহামণ হলে এবং ১৮ পৰে৷ মের আলাল সেন শাহ’র বির বাস্তব তথ্য প্রমাণানুসারে সম্পূরক রিপাের্টের পকন পর্বেৰ ১ম অধ্যায়ের ২৪ ও ২৫
(৫) সামরিক শাসনাধীনে সুলতান শর্মরত থাকা অবস্থায় মেজর জেনারেল জানিজৰ (সবত সে সময় একজন বিগ্রেডিয়ার ছিলেন) সুলতানা মিউনিসিপাল কমিটির চেয়ারম্যান পদে
যুক্ত একশ সিএম অফিসারের কাছে ১ লাখ রুপি খুব দাবি করেছিলেন এবং পাৰি মেটাতে অক্ষম সেই কর্মকর্তা একটি চিঠি লিখে আবহত্যা করেছিলেন বলে মূল রিপােটের পঞ্চাশ পর্বের ১ম অধ্যায়ের ৩৬ অনুপে যে অযােগ রয়েছে তার তদন্ত করতে হবে। বিশ্লেয়ার মােহাম্মদ আম্পাস বেশ (প্রত্যক্ষদর্শী নং-৯) কমিশনের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
(৬) ১৯৭১ সালের ১১ ও ১২ ডিসেম্বর রাতে পশ্চিম পাকিস্তানের মকবুলপুর সেক্টরে ভারতীয় করে গােলাবর্ষণের সময়ে বিগ্রেডিয়ার প্রয়াতুল্লাহর বিরুদ্ধে কয়েকজন মেয়ে মানুষ নিয়ে ফুর্তি করার যে অভিযােগ রয়েছে তার গুদস্ত জরুরি। | মূল বিলেটের পঞ্চম পর্বের প্রথম অধ্যায়ে ৯ থেকে ১৪নং অনুচ্ছেদে উংখিত উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের পদমর্যাদা ও ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার করে বিশাল ভূসশক্তি ও পূন কিম গড়ে তােলার অভিযােগের তদন্ত জরুরি। জমি সংক্রান্ত মামলায় জড়িতদের সামরিক আইনানুগ অথবা প্রচলিত অপরাধ আইনের আওতায় যথাযথ শাস্তি হওয়া
(৮) ভাৰঞ্জ থেকে লালাশ কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত প্রখ্য মাগলি রে বার সময় কমিশনের মনে সৃষ্ট এই সন্দেহের পর একটি সরাসরি তদন্ত হওয়া দরকার যে, একপিকে ইন্টার্ন কমার কমাকার (লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজী) ও তার চিফ অব স্টাফের (ত্রিগেডিয়া জিম বারি সিদ্দি) এবং অন্যন্দিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে ১৯৭১ সালের ১০ ঞ্জিসেবা ঠিকষ্ট.এল শিকোনা সত্ত্বেও পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর ‘আকামর অবহিত। পূর্বে অস্বীকার পরিকল্পনা নবায়নে ব্যর্থতার মধ্যে পারস্পরিক দুষ্কর্মে সহায়তামূলক যড়যন্ত্রের আভাস হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ওই দু’জন কর্মচারির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অভিযােগসমূহ আমরা এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করেছি, কিন্তু বিষয়টির আৱো তদন্তের আশে জনস্বার্থে একটি বিশেষ সংস্থা নিয়োগ করা জরুরি বলে আমরা বিবেচনা করছি। আমাদের কাছে যে আগালিয়েছে তাতে বিষয়টিকে সন্দেহে ৮ অশিক্তি পর্যায়ে নেয়া যাচ্ছে না, তবে অস্বীকার পরিকল্পনা কার্যকর বন্ধ রাখতে ইষ্ট #মাজের ও নিলশে কোনাে যুক্তিহ] কাবণ খুলে উপতে আমরা সম হইনি, বিশেষ করে চাকা ও চট্টগ্রামে এর ফলে ব্যাপক পরিমাণ যুদ্ধ সরঞ্জাম ভারতীয়দের কাছে সরবরাহ করা হয়।
(b) ১৯৭১ সালের ৭ সেশন খুলনায় পিএনএস তিতুমীৰ নৌকাটি থেকে এসজি ফোটোক নামের একটি ফরাসি জাহাজে করে কমাণ্ডার গুলজাবির সিঙ্গালুণ চলে যাওয়া এবং দায়িত্ব অবহেলার ওপর প্রস্ত হওয়া জরুরি। মুল রিপাের্টের পঞ্চম পর্বের তৃতীয় অধ্যায়ে ১ম ও ১৩ অনুস্পেনে এই কর্মকর্তার দটনাটি খতিয়ে দেখা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ঘটনাসমূহ ৬. পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধের বিভিন্ন দিক এবং আচরণ লখীক্ষা-নিরীক্ষার সময় ২৩ বিকের মজুর কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার এস আনসার, ৫৭ ব্রিগেডের সাবেক কমান্তার বিগ্রেডিয়ার মােমনুর আহমেদ, ৯৪ বিগ্রেডে ৩৬ এজ হক) জিকিশন সাবেক কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার আব্দুল কাদির খানের সামর্থ ও ৬ দক্ষতার পর আমরা একটি আপাতত মতামত পাঠ করা। আমরা মানে করি পেশায় তাদের পাৰত উপেশ। উনস্বার্থে নয় এবং তারা অবসর গ্রহণ করতে পারে। জুনিয়র অফিসারদের অাচরণ ও যুদ্ধ দক্ষতা। ৭, বিগ্রেড লেভেলের নাস্থ কর্মকর্তাদের আচরণ ও কার্যক্রম পরীক্ষা করার মতো পর্যায়ে কমিশন অনেক কারণেই থাকতে পারেনি, তা সত্ত্বেও কিছু ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে যেখানে আমরা লক্ষ্য করি যে, এই সকল কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধগুলাের ফলে প্রত্যক্ষ প্রভাব রেখে অনা, যেমৰ খেয়ে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়মানুবর্তিাৱ নিণিসমূহ লংগ করেছে । এরকম ঘটনাস্থলে আমরা যথাযথ স্থানে উল্লেখ করেছি, তবে বড়ো ধরনের টিমগুলাে অবশ্যই যথাবিহিত সদর দপ্তর কর্তৃক খতিয়ে দেখতে হবে যারা তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপাের্ট পেয়েছে এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাঠানাে তাদের কর্মকাত্রে মূল্যায়ন ধাদের হাতে রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর নৈতিক পুনর্গঠনের ব্যবস্থাবলী ৮. মূল রিপাের্টের পঞ্চম পর্বের ১ম অধ্যায়ে এবং সম্পূৱক রিপাের্টের একই পর্বের অধ্যায়ের ১৯৭১ সালের পরাজয়ে নৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আমরা যথন কিছু দূর আলােচনা করেছি, আমরা এই মতামত তুলে ধরেজি যে, ব্যাপকভাবে উথিত এই অভিযােগ ও বিশ্বাসের মধ্যে যথেষ্ট সহ রয়েছে যে, সামরিক শাসনাধীন কর্তব্য পালনরত সেনা কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, মদ ও নারী। লােলুপতা, জমি ও বাড়িঘরে প্রতি লােভ, বিশেষত সর্বোচ্চ পদাধিকারী কর্মকর্তাদেরকে শুধু যে। যুদ্ধ করতে অনুসাহিত করে তাই নয়, যুদ্ধের নাে প্রয়ােজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্কতাও নষ্ট করে দেয়। এ অনুসন্ধানে আমাদের সুপারিশ হলাে এই যে
১. সরকারের উছিত সশস্ত্র বাহিনীর সকল কর্মকর্তাকে গত দশ বছরে কালের স্থাবর, অস্থায়, নিজে একা, আত্মীয় পরিজনের নামে করা সকল সম্পত্তির হিসাব মােছণা করতে না। যদি কোনাে কর্মকর্তা কত উপাযেৰ ৰাইৱে সম্পদ অর্জন কখেছেন বলে প্রমাণিত হয়। তাহলে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
২. সশস্ত্র বাহিনীর উচিত নিশ্চিন্ত প্রায় পথ ও উপায় বের করা। (ক) বিশেষ করে উচ্চ পদগুলােতে নৈতিক অধঃপতনমূলক কর্মকাণ্ড চলতে দেয়া যাবে না। (খ) উচ্চ পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে নৈতিক সত্য একটি যােগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
(গ) মিলিটারি একাডেমিসহ অন্যান্য পেশাগত প্রতিষ্ঠান শিক্ষাগত যােগ্যতার প্রতীক প্রদানকালে যে সকল কোর্সসমূহের মধ্যে ধর্মীয়, গণতান্ত্রিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতি তরুণ সৈনিকদের মনে যাতে শ্রদ্ধাবােধ থাকে সে জন্যে বিশেষ কোর্স অন্তর্ভুক্ত করাতে হবে।
(খ) মিলিটারি মেস এবং অনুষ্ঠানালিতে নেশাঝাৱক পানীয়ের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
(ত) কুমিত যৌন আচমাণ এবং অন্যান্য সুতিমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি আপনার গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ লাতে হবে।