হেমায়েত বাহিনী স্মৃতিফলক (কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ)
হেমায়েত বাহিনী স্মৃতিফলক (কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ) কোটালীপাড়া থানা সদরে অবস্থিত। হেমায়েত বাহিনীর প্রধান মেজর হেমায়েত উদ্দিন, বীর বিক্রম ১৯৯১ সালের ১৫ই জানুয়ারি এটির উদ্ধোধন করেন। এটি নির্মাণে অর্থায়ন করেন হেমায়েত বাহিনীর সদস্যবৃন্দ। কোটালীপাড়ার পশ্চিম পাড়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের পাশে এটি প্রথম নির্মিত হয়। পরে ২০১৬ সালে এটি শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন চত্বরে স্থানান্তরিত হয়। ফলকটিতে হেমায়েত বাহিনীর ১৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, ৯ জন আহত মুক্তিযোদ্ধা এবং অপারেশন এলাকার নাম লেখা রয়েছে। হেমায়েত বাহিনী গঠনের পর থেকে হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে যেসব মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বা আহত হন, তাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে এ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করা হয়। যাঁদের নাম এ স্মৃতিফলকে উৎকলিত হয়েছে, তাঁরা হলেন- গোলাম আলী (কোটালীপাড়া), বেলায়েত হোসেন শেখ (কোটালীপাড়া), আবু তালেব (কোটালীপাড়া), আবুল বাশার (কোটালীপাড়া), বেলায়েত হোসেন (টুঙ্গিপাড়া), ইব্রাহিম খান (গাজীপুর), মোয়াজ্জেম হোসেন (কোটালীপাড়া), মকবুল হোসেন (কালকিনি), আবদুল সালাম তালুকদার (কালকিনি), সাত্তার মৃধা (গৌরনদী), সেকেন্দার আলী (গৌরনদী), নুরু ব্যাপারী (গৌরনদী), পরিমল শীল (গৌরনদী), আবুল বাশার (মুকসুদপুর), ওসমান শেখ (কোটালীপাড়া), তৈয়ব আলী (কোটালীপাড়া), সৈয়দ আবুল হোসেন (গৌরনদী), মোতাহার হোসেন খান (পিঞ্জুরী), মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার (আমতলী), নায়েক মকবুল (গাজীপুর), অনিল মল্লিক (পীড়ার বাড়িতে সমাধিস্থ; দোনারকান্দি প্রতিরোধযুদ্ধে শহীদ), মোক্তার হোসেন দাড়িয়া (আশুতিয়া), আবু তালেব কাজী (সীতাইকুণ্ডু), কদমভানু বিবি (বিরামকান্দি), তৈয়ব আলী বকতিয়ার (আগৈলঝাড়া), মো. মিনু চৌধুরী (কুশলা), মো. আকরামুজ্জামান (মানিহার, গোপালগঞ্জ), মো. বজলু মোল্লা (মানিহার, গোপালগঞ্জ), মনসুর আলী (মানিহার, গোপালগঞ্জ), রাজা মোল্লা (মানিহার, গোপালগঞ্জ), সুভাষ সরকার (কলাবাড়ি) ও রতিকান্ত সরকার (কলাবাড়ি)। এঁদের অধিকাংশই হেমায়েত বাহিনীর সদস্য ছিলেন। কেউ-কেউ পৃথক বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন বা প্রতিরোধযুদ্ধে শহীদ হন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হেমায়েত বাহিনীর গ্রুপ কমান্ডার ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামসহ স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। [রবীন্দ্রনাথ অধিকারী]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড