সাতগাঁও গণহত্যা (বুড়িচং, কুমিল্লা)
সাতগাঁও গণহত্যা (বুড়িচং, কুমিল্লা) ১৮ই জুন সংঘটিত হয়। এ গণহত্যায় একই পরিবারের ৪ জন মানুষ শহীদ হন। বুড়িচং উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের আবদুল হাকীমউল্লাহ রফিক ওরফে রফিক মাস্টার (৬৮) নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। স্ত্রী সাজেদা বেগম, ২ পুত্র কাশেম (১১) ও ইকবাল (৪) এবং এক বোন রোকেয়াকে নিয়ে ছিল তার সংসার। স্বামী অন্য জায়গায় থাকায় বোন রোকেয়া ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সাতগাঁওয়ে ক্যাম্প স্থাপন করায় অন্যদের মতো আবদুল হাকীমউল্লাহ রফিকের পরিবারের সকলেই ভীত- সন্ত্রস্থ হয়ে পড়ে। ১৮ই জুন রাতে রফিক মাস্টার দেরি করে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর স্ত্রী মেশিনে কাপড় সেলাই করছিলেন। বড় ছেলে পড়ছিল আর ছোট ছেলে ঘুমাচ্ছিল। মিলিটারিরা রাত ১১টায় এসে দরজার কড়া নাড়ে। বড় ছেলে কাশেম দরজা খোলার সঙ্গে-সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনী ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। রফিক মাস্টার হঠাৎ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পান। বাড়িতে এসে দেখেন হানাদার বাহিনীর গুলিতে ঘরের ভেতরে থাকা স্ত্রী, দুই পুত্র ও বোন নিহত অবস্থায় পড়ে আছে। [মামুন সিদ্দিকী]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড