You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.08.02 | সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন কাউন্সিল অপারেশন (চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম) - সংগ্রামের নোটবুক

সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন কাউন্সিল অপারেশন (চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম)

সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন কাউন্সিল অপারেশন (চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম) পরিচালিত হয় ২রা আগস্ট। এর ফলে হানাদার বাহিনীর দোসররা ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ফেলে যাওয়া বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেন।
চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন কাউন্সিল ছিল শান্তি কমিটি- ও রাজাকারদের ক্যাম্প। রাজাকাররা এখান থেকে ইউনিয়নের নানা এলাকায় গিয়ে অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ ও নারীধর্ষণ করত। এছাড়া স্বাধীনতাকামীদের আটক করে দোহাজারী সিএন্ডবি-তে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে সোপর্দ করত। এ কারণে সুলতান আহমদ কুসুমপুরী এমপিএ-র নির্দেশে ইপিআর বাহিনীর নায়েক সুজায়েত আলী উক্ত শান্তি কমিটি ও রাজাকারদের ক্যাম্পে অপারেশন পরিচালনার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২রা আগস্ট নায়েক সুজায়েত আলীর নেতৃত্বে ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পটিতে আক্রমণ করলে ক্যাম্পে অবস্থানরত শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকাররাও পাল্টা আক্রমণ করে। ফলে উভয় পক্ষে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্যাম্পে তখন শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকারদের মধ্যে আমজাদ হোসেন (হাছনদণ্ডি), আবদুন নবী দফাদার (পূর্ব সাতবাড়িয়া), আবদুস শুক্কুর (বহরম পাড়া), আমানত খান (পিতা আহমেদ মিয়া, পূর্ব হাছনদণ্ডি), শরাফত আলী (সাতবাড়িয়া), আব্বাস আলী (পিতা কালা মিঞা মাস্টার, সাতবাড়িয়া) প্রমুখ উপস্থিত ছিল। যুদ্ধ প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়। শেষ পর্যন্ত নায়েক সুজায়েত আলী ও তাঁর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধা দলের আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকাররা ক্যাম্পে অস্ত্র-শস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্প থেকে ১৫টি থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল ও প্রচুর গুলি উদ্ধার করেন। [শামসুল আরেফীন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড