শাখারিকাঠি গণহত্যা (নাজিরপুর, পিরোজপুর)
শাখারিকাঠি গণহত্যা (নাজিরপুর, পিরোজপুর) ৬ই ডিসেম্বর সংঘটিত হয়। এ গণহত্যায় ১২ জন গ্রামবাসী শহীদ হন।
পিরোজপুর জেলা সদর থেকে নাজিরপুর উপজেলার দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এ উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত একটি গ্রাম শাখারিকাঠি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকারদের সহযোগিতায় ৬ই ডিসেম্বর শাখারিকাঠি গ্রামে প্রবেশ করে এবং ঘরবাড়িতে লুটপাট শেষে নারীসহ ১২ জন নিরীহ-নিরপরাধ মানুষকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এদিন গণহত্যায় শহীদ হন— অমল বৈদ্য (পিতা উপেন্দ্রনাথ বৈদ), শোভা রাণী ঢালী (স্বামী উপেন্দ্রনাথ ঢালী), কৈলাস চন্দ্র হালদার (পিতা পিয়ারী হালদার), তারামনি (স্বামী কৈলাস চন্দ্র হালদার), মায়া রাণী বৈদ্য (পিতা উপেন বৈদ্য), উষা রাণী (স্বামী নারায়ণ চন্দ্র), গেদু মৃধা (পিতা দ্বারিক মৃধা), লাল মোহন মৃধা (পিতা রামচরণ মৃধা), জ্ঞানেন্দ্রনাথ মণ্ডল (পিতা জিতেন মণ্ডল), রমনী হালদার (পিতা জিতেন চন্দ্র হালদার), উপেন্দ্র বেপারী (পিতা কালীচরণ বেপারী) ও কুটেশ্বর সরদার (পিতা তারিণী সরদার)। গণহত্যা শেষে পাকবাহিনী পুরো গ্রামটি পুড়িয়ে দেয়। [শফিউদ্দিন তালুকদার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড