You dont have javascript enabled! Please enable it! বীর প্রতীক শহীদুল ইসলাম - সংগ্রামের নোটবুক

বীর প্রতীক শহীদুল ইসলাম

শহীদুল ইসলাম, বীর প্রতীক (১৯৫৭-২০০৯) কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কাদেরিয়া বাহিনী – নামে খ্যাত বাহিনীর কনিষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৫৭ সালের ২০শে জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সুতিপলাশ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হেলাল উদ্দিন এবং মাতার নাম সুধামণি। ৭১-এ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলামের বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, মার্চের অগ্নিঝরা দনিগুলোর ঘটনা, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন- ইত্যাদি এ তরুণ বয়সেও শহীদুল ইসলামের মনে গভীর রেখাপাত করে। ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যদের নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর গণহত্যা ও চতুর্দিকে ধ্বংসযজ্ঞ তাঁকে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানে সক্রিয় করে তোলে। তিনি কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগ দেন। বয়স কম হওয়ায় ছদ্মবেশে শত্রুশিবিরের তথ্য সংগ্রহ তাঁর পক্ষে সহজ ছিল। তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে কাদেরিয়া বাহিনীর যোদ্ধারা গোপালপুর পাকিস্তানি হানাদারদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে অনেক পাকসেনা হতাহতসহ শত্রুপক্ষের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেন। কাজের ছেলের ছদ্মবেশ ধারণ করে শহীদুল ইসলাম নিজে হানাদারদের ক্যাম্পের ভেতর প্রবেশ করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে বেশ কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। নভেম্বর মাসে গোপালপুর থানা দখলের দ্বিতীয় যুদ্ধেও তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন ও সাহসী ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক শহীদুল ইসলাম-কে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। স্বাধীনতার পর তিনি পারিবারিক জীবন শুরু করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম মালা বেগম। এ দম্পতি ২ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তানের জনক-জননী। ২০০৯ সালের ২৫শে মে এ বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেন। [শেখ সাইয়েদুল ইসলাম]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড