বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সুইডেনের রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী লারস লিজনবার্গ
লারস লিজনবার্গ (জন্ম ১৯৪৯) সুইডেনের রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী। তাঁর পূর্ণ নাম লারস এরিক অ্যান্সগার লিজনবার্গ। তিনি ১৯৪৯ সালের ২১শে নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন সুইডেনের লিবারেল পিপলস্ পার্টির যুব সংগঠন লিবারেল ইয়ুথের নেতা। ১৯৮০-৮৩ সময়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং পার্টির ম্যাগাজিন এনইউ-এর প্রধান সম্পাদক। ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট হিসেবে সংক্ষিপ্ত দায়িত্ব পালনের পর তিনি ১৯৮৫ সালে রিকসড্যাগ (সংসদ)-এর সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দলের সেকেন্ড ডেপুটি চেয়ারম্যান (১৯৯০) ও সভাপতি (১৯৯৭-২০০৭) এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (২০০৬-২০০৯) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দলের নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৯ সালে অবসরে যান।
মুক্তিযুদ্ধকালে লারস লিজনবার্গ বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চল “পরিদর্শন করেন এবং শরণার্থী শিবির-এর দুঃখ-দুর্দশা প্রত্যক্ষ করে তা সুইডেনের প্রচার মাধ্যমে তুলে ধরেন, যা সে দেশে জনমত গঠনে ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তান থেকে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করা এবং পাকিস্তানকে কোনো ধরনের সহায়তা না করার জন্য তিনি তাঁর দেশের সরকারকে চাপ দিতে থাকেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালের ২০শে অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার লারস লিজনবার্গ-কে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করে। [কাজী সাজ্জাদ আলী জহির]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড