রায়খালী ব্রিজ অপারেশন (বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম)
রায়খালী ব্রিজ অপারেশন (বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম) পরিচালিত হয় ১০ই ডিসেম্বর। এতে ব্রিজটি ধসে পড়ে। বোয়ালখালী উপজেলার রায়খালী ব্রিজটি রায়খালী খালের ওপর নির্মিত। আরাকান সড়কে অবস্থিত এ ব্রিজটিতে আহমদ নবীর নেতৃত্বে আহমদ নবী গ্রুপ, আবুল হোসেন গ্রুপ ও মাহবুবুল আলম চৌধুরী গ্রুপ ১০ই ডিসেম্বর অপারেশন পরিচালনা করে।
ঘটনার দিন খবর আসে যে, পরদিন পাকিস্তানি সেনারা আরাকান সড়ক ধরে চট্টগ্রাম শহরে যাবে। ফলে উপর্যুক্ত তিনটি গ্রুপই সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম শহরে উক্ত পাকিস্তানি সেনাদের যাওয়া ঔধ করার জন্য রায়খালী ব্রিজটি ধ্বংস করতে হবে। একারণে তাঁরা সেদিন বিকেলে পটিয়া উপজেলার হাবিলা সদ্বীপ ইউনিয়নে মিলিত হয়ে সন্ধ্যায় মিলিটারি পুলে আসেন। আহমদ নবী গ্রুপের একটি জিপ ও একটি বিআরটিসি বাস আয়ত্তে ছিল। রাত প্রায় পৌনে ১২টায় তাঁরা রায়খালী ব্রিজে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছার পর কমান্ডার আবুল হোসেন ও আহমদ নবী গ্রুপের কয়েকজন ব্রিজের নিচে গিয়ে দুটি লোহার খুঁটির মধ্যে শক্তিশালী এক্সপ্লোসিভ বসান। খুঁটিদ্বয়ের ওপরেই মূলত ব্রিজটির ছাউনি ছিল। এক্সপ্লোসিভ বসানোর কিছু পর তা বিস্ফোরিত হলে ব্রিজটি ধসে পড়ে।
এ অপারেশনে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- কমান্ডার আহমদ নবী (হুলাইন), কমান্ডার আবুল হোসেন, কমান্ডার মাহবুবুল আলম চৌধুরী, মো. আবুল কালাম (পিতা তরম আলী, বারৈকাড়া), মো. ইবরাহিম চৌধুরী (পিতা নুর আহমদ চৌধুরী, বারৈকাড়া), কামাল আহমেদ (বারৈকাড়া), আবুল বশর চৌধুরী (বারৈকাড়া), বিজয় মহাজন, মো. সোলায়মান (হুলাইন), শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস, আবদুর রশিদ, জাকির হোসেন, নুরুন্নবী (গাছবাড়িয়া), সরওয়ার, আশুতোষ, সুধাংশু, নুরুল আলম (গোরনখাইন), রতন বড়ুয়া, মনোজ বড়ুয়া, ফরিদুল আলম (বরলিয়া) প্রমুখ। [শামসুল আরেফীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড