রাণীরহাট ইউনিয়ন কাউন্সিল রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম)
রাণীরহাট ইউনিয়ন কাউন্সিল রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম) পরিচালিত হয় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। এতে ১ জন রাজাকার নিহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ আহত হন।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কমান্ডার নূরুল আলম ও কমান্ডার ছালেহ আহমদ গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধারা ঠান্ডাছড়ি চা বাগান ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন। তাঁরা খবর পান রাণীরহাট ইউনিয়ন কাউন্সিল ভবনে রাজাকারদের সঙ্গে মিলিশিয়া বাহিনী যোগ দিয়েছে। তারা ছোট-ছোট দলে বিভক্ত হয়ে দিনের বেলায় গ্রামে হানা দিচ্ছে, লুটপাট করছে, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং নারীনির্যাতন করছে। মুক্তিযোদ্ধারা এসব বন্ধ করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু দিনের বেলায় তাদের ওপর আক্রমণ করলে জনসাধারণের ক্ষতি হতে পারে। তাই মুক্তিযোদ্ধারা রাতের বেলা ক্যাম্প আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেন। মুক্তিযোদ্ধারা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ইছামতি নদীর পশ্চিম পাড়ে নদীর চরে মিলিত হন। তাঁরা হাজী নূর বক্সকে রেকি করার জন্য পাঠান। তিনি দ্রুত ফিরে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের সব জানান। মুক্তিযোদ্ধারা দ্রুত রাজাকার ক্যাম্পের দিকে অগ্রসর হন। তাঁরা রাঙ্গামাটি সড়ক পার হয়ে বাদশা চৌধুরীর দোকানের সামনে পৌঁছতেই বাম পাশে একটি ঔষধের দোকান থেকে এক রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। সঙ্গে-সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে ঐ রাজাকার নিহত হয়। রাজাকারের গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ আহত হন। মুক্তিযোদ্ধারা সামনে অগ্রসর হন এবং ঝটিকা বেগে আক্রমণ শুরু করেন। গুলি ও গ্রেনেড ফাটানোর পরও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের গতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে খিলমোগল ক্যাম্পে ফিরে যান। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড