মিলিটারি পুল অপারেশন (পটিয়া, চট্টগ্রাম)
মিলিটারি পুল অপারেশন (পটিয়া, চট্টগ্রাম) পরিচালিত হয় এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে। এতে পুলটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
১৬ই এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর বিমান আক্রমণে পটিয়ার পতন ঘটলে পরদিন ১৭ই এপ্রিল বেশকিছু পাকিস্তানি সেনা আরাকান সড়ক ধরে চট্টগ্রাম শহরের দিক থেকে বোয়ালখালী ও পটিয়ার ওপর দিয়ে চন্দনাইশ পর্যন্ত পৌঁছে রেকি করে আবার ফিরে যায়। এরপর কয়েকদিনের মধ্যে পটিয়া উপজেলার হাবিলা সদ্বীপ ইউনিয়নে মিলিটারি পুল অপারেশন পরিচালিত হয়। কতিপয় ইপিআর-সদস্য ও কমান্ডার মৃণাল কান্তি বড়ুয়া (পিতা অপর্ণা চরণ বড়ুয়া, করল, পটিয়া)-র নেতৃত্বাধীন একদল মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম শহরের দিক থেকে পাকিস্তানি সৈন্যদের পটিয়ায় প্রবেশ বাধাগ্রস্ত করার জন্য এ অপারেশন পরিচালনা করেন। পুলটি ছিল পটিয়া ও বোয়ালখালীর সীমানা। মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশনের দিন সন্ধ্যায় পুলে পৌঁছান। পুলটি কাঠের পাটাতন দ্বারা তৈরি। মুক্তিযোদ্ধারা প্রথমে কয়েকটি পাটাতন তুলে ফেলেন। তারপর পুলটিতে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে পুলটির সিংহভাগ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর ফলে সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ অপারেশনে ইপিআর সদস্যদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- কমান্ডার মৃণাল কান্তি বড়ুয়া, সালেহ আহমদ, বারেক চৌধুরী, দোহাজারীর এক ড্রাইভার ও সিএন্ডবি-র কিছু লোক। [শামসুল আরেফীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড