মুক্তিযুদ্ধে মনোহরদী উপজেলা (নরসিংদী)
মনোহরদী উপজেলা (নরসিংদী) রাজধানী ঢাকার অদূরে জেলা শহর নরসিংদী থেকে মাত্র ২৯ কিলোমিটার উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। এটি ছিল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ঘাঁটি। বিগত দিনে প্রতিটি আন্দোলনে এ অঞ্চলের মানুষ সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে এডভোকেট ফজলুর রহমান ভূঁইয়া এবং প্রাদেশিক পরিষদে গাজী ফজলুর রহমান নির্বাচিত হন। নির্বাচন পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বিশেষ করে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে চলমান অসহযোগ আন্দোলন-এর প্রভাব এবং ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ মনোহরদীবাসীকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্ধুদ্ধ করে। মনোহরদী থানা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পাকবাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড ভীতির উদ্রেক করেছিল।
২৫শে মার্চের ভয়াল রাতে ঢাকায় পাকহানাদার বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় মনোহরদীতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে, চলতে থাকে প্রতিরোধের প্রস্তুতি। ২৬শে মার্চ সকালে মনোহরদী থানা সদরে প্রতিবাদ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সর্বত্রই চলতে থাকে নেতা- কর্মীদের মিটিং। ২৭শে ম মার্চ এখানকার মুক্তিপাগল
মানুষ মনোহরদী কলেজ মাঠের বিশাল জনসভায় যোগ দিয়ে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধের শপথ নেয়৷
এরপর মনোহরদী থানা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ড কাউন্সিল গঠন করে অস্ত্র সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এ-সময় সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য গাজী ফজলুর রহমান, এম এ হাকিম (রসুলপুর), আব্দুর রশীদ তারা মাস্টার (বীর আহম্মদপুর), এম এন রশীদ (চন্দনবাড়ি), সিরাজুল হক (হারারদিয়া), ইয়াকুব আলী আওরঙ্গজেব, শেখ হারুন, ইয়াকুব আলী মোল্লা, হারিস উদ্দিন বিএসসি, ডা. আব্দুল আজিজ ও অধ্যাপক শাহাবউদ্দিন (বীর মাইজদিয়া) সহ
আওয়ামী লীগ-এর নেতা-কর্মীবৃন্দ। ৮ই এপ্রিল কাচিকাটা ইউপি অফিসে মনোহরদী মুক্তিযুদ্ধ কমান্ড কাউন্সিলের প্রথম সভায় বিভিন্ন স্থানে ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন ও গেরিলা বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পাকবাহিনী মনোহরদী এলাকায় অনুপ্রবেশের পূর্বেই সেনাবাহিনী, ইপিআর ও অন্যান্য আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ বিদ্রোহ ঘোষণা করে সংগঠিত হন। ফলে পুরো এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বাড়িসমূহ মুক্তিবাহিনীর একেকটি ঘাঁটিতে পরিণত হয়। ২৭শে মার্চ সাগরদি বাজারে বিশাল প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেদিন কয়েক হাজার মানুষ জঙ্গী মিছিলসহ চালাকচর হয়ে মনোহরদী থানা সদরে আসে। আবদুর রশীদ তারা মাস্টারের নেতৃত্বে মনোহরদীতে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প স্থাপন ও মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুটমেন্ট কেন্দ্র খোলা হয়। প্রশিক্ষণের জন্য তাদের ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ন্যাপ নেতা কাজী জাফর আহমদ- ঢাকা থেকে শিবপুরে এসে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া-র সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে মনোহরদীর কয়েকজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে ছাত্র ইউনিয়ন-এর শীর্ষস্থানীয় নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার মনোহরদী উপজেলার বাজনার ইউনিয়নের হাড়িসঙ্গান গ্রামে এসে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন। ১১ই এপ্রিল মনোহরদী কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে এসব সভা-সমাবেশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মনোহরদী উপজেলার যুদ্ধকালীন কমান্ডার ছিলেন এন এ চৌধুরী (চট্টগ্রাম) এবং এ এম এ হাকিম (হাজিগঞ্জ, চাঁদপুর)। সাব-ইউনিট কমান্ডার ছিলেন আবেদ আহমেদ (বিন্নাবাইদ)। এ অঞ্চলের গ্রুপ কমান্ডারগণ হলেন- শেখ হারুন অর রশিদ (ভাবখালী, গফরগাঁও), কাজী আকমল আলী (তামাককান্দা), সৈয়দ আজিজুর রহমান সাজাহান (বাকিবাড়ি), মো. আতিকুল্লাহ (নারান্দি), মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুল (নারান্দি), সর্দার সাখাওয়াত হোসেন বকুল (নারান্দি), আমির আলী (নারান্দি), আছিম উদ্দিন (দিঘাকান্দি), আব্দুল মান্নান ঢালী (চর তারাকান্দি), আবদুল গফুর, সুবেদার আবুল বাশার (চট্টগ্রাম), আবদুল হাই (উজিলাব) এবং মো. নজরুল ইসলাম (নীলক্ষ্যা)।
মে মাসের শেষদিকে পাকবাহিনী মনোহরদী উপজেলায় অনুপ্রবেশ করে মনোহরদী হাইস্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করে। ফলে আশপাশের মানুষ বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। ১৯শে সেপ্টেম্বর মনোহরদী হাইস্কুলে স্থাপিত ক্যাম্প থেকে একজন ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে ৫০ জনের অধিক পাকসেনা মাধুপুর কাচারিতে এসে আরেকটি ক্যাম্প স্থাপন করে। তারা গ্রামের কয়েকজন লোককে ধরে এনে বাংকার খনন করায় এবং তাদের নির্যাতন করে। স্থানীয় লোকজনকে সংবাদ দিয়ে তারা শান্তি কমিটি গঠনের প্রচেষ্টা চালায়। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে মনোহরদীর মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে পাকবাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনাটি জানতে পেরে পাকবাহিনী ভীত হয়ে ৮ই জুলাই রাতে গোপনে মনোহরদী ত্যাগ করে। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা মনোহরদী থানা অপারেশন করেন। থানার পুলিশ সদস্যরা অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। জুলাই মাসেই পাকবাহিনী পুনরায় মনোহরদী হাইস্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করে।
মনোহরদী থানায় রাজাকার আলবদর ও আলশামস বাহিনীর তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। দুর্গম জনপদ এবং অনুন্নত যাতায়ত ব্যবস্থার কারণে পাকহানাদার বাহিনী এখানে তদ্রূপ সুবিধা করতে পারেনি। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সংগঠিত হতে না পারায় পাকবাহিনী মনোহরদীতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতাও তেমন একটা পায়নি। এ অঞ্চলে পাকবাহিনীর সহযোগী হিসেবে ছিল মনোহরদী থানার শান্তি কমিটির সদস্য আনসার কমান্ডার মো. হোসেন খলিফা, রাজাকার হাছেন আলী, চালাকচর ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান সরদার আছমত আলী, মনোহরদী বাজারের মোহাম্মদ আলী মার্কেটের মালিক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাকবাহিনী চালাকচর বাজার ঘেরাও করে একজন ঘুমন্ত প্রহরীকে বেদম প্রহার করার পর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। হাতিরদিয়ার উত্তরে অবস্থিত দশদোনায় মনোহরদী থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজিম সরকারসহ কয়েকজন নেতৃস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের আত্মীয়-স্বজনকে তারা থানায় ধরে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে নির্যাতন করে। এখানে তারা কিছু বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়। পাকবাহিনীর গুলিতে ৮০ বৎসরের বৃদ্ধ শশী মোহন দাসের মৃত্যু হয়। তারা নদীর তীরবর্তী কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয় এবং বাড়ির মালামাল, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। ৯ই অক্টোবর হেতেমদির যুদ্ধ শেষে পাকবাহিনী পিছু হটে যাওয়ার সময় হেতেমদি গ্রামের কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ২১শে সেপ্টেম্বর তারা মাধুপুর কাচারির সকল ঘরে ও কাগজপত্রে আগুন-ধরিয়ে দেয় এবং মনোহরদী সদরে যাওয়ার পথে কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। ২৩শে সেপ্টেম্বর তারা হেতেমদি গ্রামে পুনরায় প্রবেশ করে। এখানে তারা কয়েকজন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে এবং কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করে। মে মাসে হাতিরদিয়ায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম যুদ্ধ হয়। হাতিরদিয়া যুদ্ধএ কয়েকজন পাকসেনা আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও পাকসেনাদের ভারী অস্ত্রের কাছে টিকতে না পেরে তারা পিছু হটতে বাধ্য হন। ১৪ই জুলাই মনোহরদীর পূর্ব-দক্ষিণ সীমান্তে বেলাব বাজারের পশ্চিমে অবস্থিত বড়িবাড়ির নীল কুঠি নামক স্থানে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। বড়িবাড়ি নীলকুঠির যুদ্ধএ মুক্তিযোদ্ধা সুশীল বাবু ও সুবেদার বাশার শহীদ হন এবং বেশ কিছু লোক নিহত হয়। ১৬ই জুলাই রামপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের বাঁকে উভয় পক্ষের মধ্যে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সম্মুখ যুদ্ধ হয়। সেখানে মুক্তিবাহিনী পিছু হটলেও পাকবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়। রামপুরের যুদ্ধএ পাকসেনাদের অনেকেই নদীতে পড়ে মারা যায়। ২২শে সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে হেতেমদির কুতুবদীতে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। কুতুবদীর যুদ্ধ বলে পরিচিত এ-যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ আলীসহ কয়েকজন সাধারণ মানুষ শহীদ হন। তবে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়ে পাকসেনারা মনোহরদী ক্যাম্পে ফিরে আসে। ১৭ই সেপ্টেম্বর সংঘটিত হয় দশদোনা যুদ্ধ। প্রায় একঘণ্টা স্থায়ী এ-যুদ্ধে অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ২৯শে সেপ্টেম্বর উপজেলার বিলাগীতে উভয় পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ব্যাপক গোলাগুলি হয়। বিলাগীর যুদ্ধএ পাকবাহিনীর বেশ কিছু সৈন্য হতাহত হয় এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই মুক্তিবাহিনী নিরাপদ স্থানে সরে যায়।
১লা অক্টোবর মাধুপুর কাচারিতে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়। মাধুপুর কাচারির যুদ্ধএ পাকবাহিনী পিছু হটে। এ-যুদ্ধে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অক্টোবর মাসের ২০ ও ২১ তারিখ মনোহরদীর মুক্তিযোদ্ধারা সংঘবদ্ধ হয়ে পাকবাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। দুদিনের যুদ্ধে উভয় পক্ষে অনেক হতাহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের ক্যাম্প নিজেদের দখল নেন। এটি মনোহরদী সদরের যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত।
২১শে অক্টোবর মনোহরদী যুদ্ধে পিছু হটে পাকবাহিনী নরসিংদীতে চলে যায়। ২৫শে অক্টোবর আবার তারা মনোহরদী প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে তারা আবার নরসিংদীতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। কার্যত এ দিনই মনোহরদী উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়। উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- আব্দুর রউফ, বীর বিক্রম (পিতা আব্দুল হেকিম, কোচের চর)। মনোহরদীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মনির হোসেন (পিতা হোসেন খলিফা, চন্দনবাড়ি), ইয়াকুব আলী মোল্লা, (পিতা আব্দুল হামিদ মোল্লা, চন্দনবাড়ি), আব্দুল বাতেন (পিতা সাহেব আলী প্রধান, হেতেমদি), মো. রবিউল আউয়াল (পিতা সুবেদ আলী বেপারী, ডোমনমারা), মনিরুজ্জামান (পিতা মো. সিরাজুল ইসলাম, অর্জুনচর), মো. কেরামত আলী (পিতা মিয়া হোসেন, চরমান্দালীয়া), আফজাল হোসেন (পিতা মো. মোশাররফ হোসেন, অর্জুনচর), মো. শহীদ উল্লাহ (পিতা মো. আব্বাস আলী মোড়ল, পাইকান), হাবিজ উদ্দিন (পিতা আব্দুল কাদির, নারানদী), হান্নান মিয়া (পিতা ইয়াকুব আলী, আলোয়াকান্দা), আব্দুল মোতালিব সরকার (পিতা আশরাফ আলী সরকার, দৌলতপুর), মো. আব্দুল খালেক (পিতা মো. ইয়াকুব আলী, আলেয়াকান্দা), ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ (পিতা মো. আব্দুল কাদের, চর তারাকান্দি), মো তাজুল ইসলাম (পিতা মো. শব্দর আলী, একদুয়ারিয়া), মো. গোলাম জব্বার (পিতা ডা. মোশারফ হোসেন, একদুয়ারিয়া), মো. মতিউর রহমান (পিতা মো. ছায়েদ আলী, অর্জুনচর), জমিরউদ্দিন জামু (চন্দনবাড়ি) এবং শশী মোহন দাস (পিতা দুর্গাচরণ সরকার, রামপুর)।
মনোহরদী উপজেলার চুলা বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে চুলাবাজার স্মৃতিসৌধ-। [এম আর মাহবুব]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড