মুক্তিযুদ্ধে মদন উপজেলা (নেত্রকোনা)
মদন উপজেলা (নেত্রকোনা) নদ-নদী ও হাওর-প্রধান এলাকা। ১৯১৭ সালে মদন থানা গঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে। থানাটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের অধিকাংশ সময় এ উপজেলা মুক্তাঞ্চল ছিল।
১৯৭১ সালের সাতই মার্চের ভাষণ-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- “যার যা আছে তাই নিয়ে’ শত্রুর মোকাবেলা করার ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর মদনে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রবল জনমত তৈরি হয়। ২৫শে মার্চ ঢাকায় গণহত্যার খবর পেয়ে নেত্রকোনা অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। নেত্রকোনা শহর থেকে দলে-দলে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মদন থানার বিভিন্ন গ্রামে আসতে থাকে। আশ্রয়-প্রত্যাশী মানুষকে সহায়তা করতে মদনের ছাত্র-যুবকরা সংগঠিত উদ্যোগ নেয়। একই সঙ্গে তাদের সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতিও চলতে থাকে।
এপ্রিল মাসে ইপিআর সদস্যরা মদন থানার গ্রামে-গ্রামে গিয়ে যুবকদের যুদ্ধে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। যুদ্ধ শুরু হলে মদনের যুবকদের অনেকে প্রশিক্ষণ নিতে মহেশখলা সীমান্ত ক্যাম্পে যান। কিছু ছাত্র ও যুবক ভারতের দুর্গম জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে তাঁরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
এ উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের মূল দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। আব্দুল খালেক এমপিএ, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আখলাকুল হোসাইন এমপিএ প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রদান করেন। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে যাদের নাম উল্লেখযোগ্য তাঁরা হলেন- খন্দকার খবির উদ্দিন (তৎকালীন থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি, মাঘান), ডাক্তার রইছ উদ্দিন (কুলিয়াটি), আব্দুল ওয়াহাব মুন্সী (কুলিয়াটি), নজম উদ্দিন (কেশজানি), সালেহ আহাম্মদ (চানগাও), সিরাজুল হক ভূইয়া (তৎকালীন থানা আওয়ামী লীগ সম্পাদক, চানগাও পূর্বপাড়া), আব্দুল হাই চৌধুরী (ঘাটুয়া), শান্ত মিয়া (মৈধাম), ছাবেদ আলী খান (গোবিন্দশ্রী), আরফান আলী (মণিকা কদমশ্রী), হবু মিয়া (কদমশ্রী), মুক্তাল হোসেন মেম্বার (গোবিন্দশ্রী), এলাহী নেওয়াজ খান (নায়েকপুর) প্রমুখ। ইপিআর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দান এবং যুদ্ধের সামরিক কৌশলগত দিক তুলে ধরার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এলাকার সচেতন শিক্ষক ও সংস্কৃতি-কর্মীরা পাড়া-মহল্লায় গান, কবিতা, নাটক ও বক্তৃতার মাধ্যমে সংগঠকের কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অধ্যাপক যতীন সরকারের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি সে-সময় মদন উপজেলার বালালী গ্রামের থীক এলাকায় সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন।
মদন দীর্ঘদিন মুক্তাঞ্চল ছিল। ২৮শে আগস্ট পাকবাহিনী মদনে প্রবেশের জন্য আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী তাদের প্রতিরোধ করে। মদন গ্রামের নারী মুক্তিযোদ্ধা মিরাসের মা সাহসিতকার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা প্রদান ও নিজে যুদ্ধ করেন। জাহাঙ্গীরপুর দেওয়ান বাজারে মগড়া নদীর তীরে প্রতিরোধযুদ্ধ হয়। পাকসেনাদের আসার খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ওঁৎ পেতে থাকেন। নদী পার হওয়ার সময় তাঁরা অতর্কিতে আক্রমণ করলে কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। এ-যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুছ শহীদ হন। প্রতিরোধের মুখে পাকবাহিনী থানা দখল করে নেয়।
২৮শে আগস্ট পাকসেনারা মদন উপজেলায় অনুপ্রবেশ করে। তারা প্রথমে জাহাঙ্গীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ক্যাম্প স্থাপন করে। পরে মগড়া নদীর পূর্ব পাশে (বর্তমান সরকারি হাজী আব্দুল আজিজ খান ডিগ্রি কলেজের পশ্চিম পাশ) আরেকটি ক্যাম্প স্থাপন করে।
মদনে মুসলিম লীগ-এর নেতা-কর্মীরা শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠন করে। উপজেলার শান্তি কমিটির সভাপতি ছিল আব্দুর জব্বার তালুকদার (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, শাহপুর চানগাও)। শান্তি কমিটির সদস্যদের মধ্যে মসনিয়া চৌধুরী (ফতেহপুর), আবদুল মালেক (মদন সদর), আবদুস সোবহান (কুটরিকোনা), আবদুল মোতালেব (হাসনপুর), আবদুল বারেক (মদন সদর), আবু জাহেদ তালুকদার (গঙ্গানগর), চান মিয়া (শান্তি কমিটির সদস্য, জাহাঙ্গীরপুর), মতি মিয়া (শান্তি কমিটির সদস্য, জাহাঙ্গীরপুর), রহমান ভূইয়া (শান্তি কমিটির সদস্য, জাহাঙ্গীরপুর), শামছু মিয়া (রাজাকার, সে থানায় পাকিস্তানের পক্ষে ওসির দায়িত্বপালন করতো, চানগাও), আঞ্জু মিয়া (শান্তি কমিটির সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান, দেওসহিলা), হেদায়েত উল্লাহ বিএসসি (মদনের কাছে তার বাড়ি হওয়ায় এ উপজেলায়ও তার তৎপরতা ছিল, আটপাড়ার কুলশ্রী গ্রাম), সোহরাব ফকির (রাজাকার, কুলশ্রী, আটপাড়া), মুলফত (রাজাকার, পূর্ব জাহাঙ্গীরপুর দেওয়ান বাজার), মানিক দেওয়ান (রাজাকার, চানগাও), খোরশেদ (রাজাকার, বাজিতপুর), রাশিদ মিয়া (রাজাকার, বাজিতপুর), করিম নেওয়াজ (স্বাধীনতাবিরোধী দালাল, চানগাও মৈধাম), খোরশেদ ফকির (রাজাকার, জাহাঙ্গীরপুর), জহির উদ্দিন সরকার (শান্তি কমিটির সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান, পাঁচহাট সুতিয়ারপাড় বড় বাড়ি), মুক্তার হোসেন মুন্সী (রাজাকার, কুলিয়াটি), আপিল উদ্দিন (শান্তি কমিটির সদস্য, কুলিয়াটি), মইন উদ্দিন (শান্তি কমিটির সদস্য, নছিরপুর), হেলে নেওয়াজ খান সেলাই মিয়া (শান্তি কমিটির সদস্য, মণিকা কদমশ্রী) ফজলুল হক চান মিয়া (চানগাও চকপাড়া), ইছহাক তালুকদার (শান্তি কমিটির সদস্য, বাঘমারা তিয়শ্রী) প্রমুখ ছিল উল্লেখযোগ্য। তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান পাকবাহিনীকে জানিয়ে দিত। রাজাকাররা মদনের বেশকিছু মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তারা বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষের শতাধিক বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এসব বাড়ির অধিকাংশই ছিল হিন্দুদের। ফতেপুর গ্রামের বুলবুল চৌধুরী, কাঞ্চন চৌধুরী, মালধর চৌধুরী ও মজিদ চৌধুরীর বাড়িসহ ৪৮টি বাড়িতে তারা অগ্নিসংযোগ করে। বাড়রী গ্রামের দুর্গেশচন্দ্র পত্রনবিশের বাড়িসহ ৪টি বাড়িতে তারা আগুন দেয়। আখশ্রী গ্রামের আবদুল মালেক, আবদুল হক ও আবদুল বারেকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। বাশরি গ্রামের উত্তরা পাড়া বাকলায়ও রাজাকাররা আগুন দেয়৷
মদন থানার অনেক নারী পাকবাহিনী ও রাজাকারদের দ্বারা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন। অনেকে সম্ভ্রমহানির পর তাদের হাতে নৃশংসভাবে নিহত হন।
মদন থানার আব্দুল হেলিম (এক মুক্তিযোদ্ধার ভাই)-কে পাকসেনারা থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং পরে তাকে হত্যা করে।
১৩ই ডিসেম্বর তাড়াইল থেকে পাকিস্তানি সেনারা তাদের দোসর রাজাকারআলবদরদের নিয়ে ধলা ও কইলমা গ্রাম থেকে পাছ আলমশ্রী গ্রাম পর্যন্ত এলাকা ঘিরে ফেলে এবং অনেক বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
পাকিস্তানি হানাদাররা মদন থানার কয়েদখানাটিকে বন্দিশিবির ও নির্যাতনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। থানা এলাকার বাংকারেও অনেক মানুষকে এনে নির্যাতন করা হয়।
বৃহত্তর নেত্রকোনা এলাকার একটি উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ – মদন থানা যুদ্ধ। দুবার মদন থানা যুদ্ধ সংঘটিত হয়। প্রথমবার আগস্টে এবং দ্বিতীয়বার নভেম্বরে। মদন থানাসহ এ এলাকা দীর্ঘদিন মুক্তাঞ্চল থাকায় পাকবাহিনী মদনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য ২৮শে আগস্ট মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধারাও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এ পর্যায়ে ২৮ ও ২৯শে আগস্ট দুদিন যুদ্ধ চলে। যুদ্ধে ১৫৫ জন পাকসেনা এবং ৫০-৬০ জন রাজাকার নিহত হয়। এতদ্সত্ত্বেও মদন পাকবাহিনীর দখলে চলে যায়।
১লা নভেম্বর কাজী সামছুল আলম কোম্পানির ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে ভোর ৪টা থেকে মদন থানায় অবস্থানরত পাকিস্তানি সৈন্যদের ওপর আক্রমণ করেন। পাকিস্তানি সেনারাও প্রতিরোধ করে। দুপক্ষের মধ্যে ১৪৮ ঘণ্টা যুদ্ধ চলে। বিরতিহীন এ-যুদ্ধ ছিল নেত্রকোনার মধ্যে সুদীর্ঘ যুদ্ধ। যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা আক্রান্ত ও অবরুদ্ধ পাকিস্তানি সেনাদের উদ্ধারে পাকসেনাদের পাঁচ শতাধিক সদস্যের একটি দল নেত্রকোনা এগিয়ে আসে। ৬ই নভেম্বর এ-দল কেন্দুয়া হয়ে মদনে আসার পথে কাইটাল নামক গ্রামে নজরুল কোম্পানি ও মাহবুব কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পড়ে। এ-সময় কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। নিহত সৈনিকদের লাশ নিয়ে বাকিরা মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ করতে মদনের দিকে অগ্রসর হয়। এক পর্যায়ে মদনের জাহাঙ্গীরপুর হাইস্কুল মাঠে পাকিস্তানি সেনারা অবস্থান নেয়। তারা সেখান থেকে মদন থানা সদরে আটকেপড়া পাকিস্তানি সৈন্যদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। মদন সদরে অবরুদ্ধ পাকিস্তানি সেনারা নদী পাড়ি দিয়ে জাহাঙ্গীরপুর হাইস্কুল মাঠে অবস্থানরত দলটির সঙ্গে মিলিত হয়। ৬ই নভেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের উভয় দল মদন থেকে নেত্রকোনা সদরে চলে যায়। পাকিস্তানি সেনাদের মদন ত্যাগের পর ৪৫ জন পাকিস্তানি সেনার লাশ পাওয়া যায়।
মদন ৬ই নভেম্বর মুক্ত হলেও ১৩ই নভেম্বর আবার কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দল তাড়াইল উপজেলার ভেতর দিয়ে মিলিশিয়া, রাজাকার ও আলবদরদের সহায়তায় মদনে প্রবেশ করে। ১৩ ও ১৪ই নভেম্বর আলমশ্রী, ফতেহপুর, ধান কুইন্যা গোদারা ঘাট এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। আলমশ্রী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ও সিদ্দিকুর রহমান ১৩ই নভেম্বরের যুদ্ধে শহীদ হন। যুদ্ধাহত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়লে তারা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে প্রথমে তাঁর চোখ তুলে ফেলে। পরে তাঁকে হত্যা করে। ১৪ই নভেম্বর সকালে ধান কুইন্যা গোদারা ঘাট এলাকার যুদ্ধে ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। কমান্ডার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ-যুদ্ধে আক্কাস আলি, সবল চৌধুরী, সিদ্দিকুর রহমান, আবুল ফজল প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। ৬ই নভেম্বর মদন উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- আব্দুস সাত্তার, বীর বিক্রম (পিতা আব্দুল বারী, তালুককানাই)। মদন উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- আব্দুস সাত্তার, বীর উত্তম (যশোরের যাদবপুরে শহীদ), আবদুল কুদ্দুস (পিতা একদিল হোসেন, হাসকুলী), মোহাম্মদ আলী কাজল (পিতা মোফাজ্জল হোসেন, মনোহরপুর), মফিজ উদ্দিন (পিতা আবদুল মজিদ, কাইটাল), আবদুল গফুর (পিতা আবদুল মোত্তালিব, গোবিন্দপুর), সিদ্দিকুর রহমান (পিতা সরাজ আলী, আলমশ্রী), আব্দুর রাজ্জাক (পিতা নবী হোসেন তালুকদার, আলমশ্রী) এবং কাশীরাজ (পিতা যতীন্দ্রনাথ হিরালী, মহড়া)।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপর মদনে কাজী ফোর্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। মগড়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নাম দেয়া হয় শহিদ আব্দুল কুদ্দুছ সেতু। মুক্তিযোদ্ধারা মদন থানায় মাতৃমুক্তি সংঘ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠনের উদ্যোগে মদনে শহীদ মিনার নির্মিত হয়। মদনে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ গঠিত হয়। ২০১৪ সালে মদন উপজেলা প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। [মোহাম্মদ খায়রুল হক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড