মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী (১৮৮৫- ১৯৭৬) রাজনীতিক। ১৮৮৫ সালে সিরাজগঞ্জ শহরের অদূরে ধানগড়া গ্রামে এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। পিতার নাম হাজী শরাফাত আলী খান এবং মাতার নাম মোসাম্মৎ মজিরন বিবি। মওলানা ভাসানী শৈশবে পিতৃহারা হন। তিনি ছিলেন একাধারে রাজনীতিক, সংগ্রামী কৃষকনেতা ও প্রগতিশীল আন্দোলনের এক প্রবাদপ্রতিম পুরুষ। তাঁর সংক্ষিপ্ত নাম মওলানা ভাসানী। এ নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। জনগণের পক্ষ থেকে দেয়া তাঁর উপাধি ‘মজলুম জননেতা’। দেশের বাইরে তিনি ‘রেড মওলানা’ নামেও খ্যাত ছিলেন। মওলানা ভাসানীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তদ্রূপ ছিল না। তিনি মাদ্রাসায় কিছুদূর পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিলেন।
মওলানা ভাসানী ছিলেন ভারতের দেওবন্দ ইসলামি ধারার অনুসারী। সে-কারণে তিনি ছিলেন আজীবন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। তিনি মহাত্মা গান্ধী এবং শওকত আলী ও মোহাম্মদ আলী ভ্রাতৃদ্বয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত খিলাফত- অসহযোগ আন্দোলনে (১৯১৯-১৯২২) সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সে-সময়ে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর অনুসারী হন। তবে দেশ বিভাগের পূর্বে ৩০ ও ‘৪০- এর দশকে পূর্ববাংলার বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল ও আসামে কৃষক-আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন গড়ে ওঠে। সে-সময়ে তিনি উভয় অঞ্চল থেকে একাধিকবার বহিষ্কৃত ও গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। আসামে থাকাকালে তিনি সেখান থেকে পূর্ববাংলার কৃষক ও অন্যান্য অভিবাসীদের বিতাড়ন বা আইন করে তাদের স্থানীয় অধিবাসীদের থেকে পৃথক করণের দাবিতে অহমীয়দের মধ্যে গড়ে ওঠা ‘বাঙ্গাল খেদা’ ও ‘লাইন প্রথা’ প্রবর্তন আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলেন এবং এজন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৩৭ সালে তিনি মুসলিম লীগ-এ যোগদান করেন এবং একই বছর আসামের দক্ষিণ ধুবড়ি অঞ্চল থেকে প্রাদেশিক পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৪ সালে তিনি আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি হন। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর দেশে ফিরে তিনি টাঙ্গাইলের সন্তোষে বসবাস শুরু করেন।
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে দক্ষিণ টাঙ্গাইল থেকে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে মওলানা ভাসানী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পূর্ববাংলার প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু সরকারের নানা গণবিরোধী আচরণের বিরোধিতা করায় তিনি ক্ষমতাসীনদের রোষানলে পড়েন। নির্বাচনি এক অজুহাত এনে প্রদেশের গভর্নর তাঁর সদস্যপদ বাতিল করেন।
তখন চলছিল ভাষা-আন্দোলন-এর প্রাথমিক পর্ব। শুরু থেকেই পাকিস্তান রাষ্ট্রে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাঙালিদের ওপর শাসন-শোষণ ও জাতি-নিপীড়ন অন্যান্য অনেকের মতো মওলানা ভাসানীকেও ক্ষুব্ধ করে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে গড়ে ওঠা বাঙালির ভাষা- আন্দোলন ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ। আর ‘৪৮ ও ‘৫২-র ভাষা-আন্দোলনের পথ ধরেই পাকিস্তানি শাসনপর্বে বাঙালি জাতিসত্তার উত্থান ঘটে। সে ভাষা-আন্দোলনে ভাসানীর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য থাকাকালে তিনি বাংলা ভাষায় সকলের বক্তৃতাদানের পক্ষে দাবি জানিয়েছিলেন। ভাষা- আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্বে ১৯৫২ সালের ৩১শে জানুয়ারি ঢাকার বার লাইব্রেরিতে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। কিন্তু মফস্বল সফরে থাকায় তিনি ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় থাকতে পারেননি।
এদিকে পাকিস্তানি শাসন-পীড়নে ক্ষুব্ধ বিভাগপূর্ব বঙ্গীয় রাজনীতিতে সোহরাওয়ার্দী-আবুল হাশিমের সমর্থক হিসেবে পরিচিত নেতা-কর্মীরা ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে এক কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে মওলানা ভাসানীকে সভাপতি, টাঙ্গাইলের শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে অন্যতম যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত করে বাঙালিদের নিজস্ব রাজনৈতিক দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (১৯৫৫ সালে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের মানসিক রোগ দেখা দিলে ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। পাকিস্তানি শোষণ- জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ- বাঙালিদের সংগঠিত করে অন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়। ভাসানী ঢাকার রাজপথে ভুখা মিছিল বের করেন। ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কতিপয় দল নিয়ে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়, মওলানা ভাসানী ছিলেন তার অন্যতম প্রধান নেতা। আওয়ামী লীগের মূল নেতা ও ১৯৫৬-১৯৫৭ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পাশ্চাত্যঘেঁষা পররাষ্ট্রনীতির প্রশ্নে তাঁর সঙ্গে মওলানা ভাসানীর মতবিরোধ দেখা দেয়, যা ১৯৫৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টাঙ্গাইলের কাগমারিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রকাশ্য রূপ নেয়। মওলানা ভাসানী ছিলেন জোটনিরপেক্ষ নীতির পক্ষে। উল্লেখ্য যে, এই কাগমারি সম্মেলনে মওলানা ভাসানী পশ্চিম পাকিস্তানিদের উদ্দেশে বিদায়ি সালাম জানিয়েছিলেন। কাগমারি সম্মেলনের কিছুদিনের মধ্যে তিনি তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে যান। অতঃপর ১৯৫৭ সালের ২৫ ও ২৬শে জুলাই ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত এক গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলনে মওলানা ভাসানীকে সভাপতি ও পশ্চিম পাকিস্তানের মাহমুদুল হক ওসমানীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, সংক্ষেপে ন্যাপ প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন এ দল শোষণহীন সমাজ, জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি, অসাম্প্রদায়িকতা এবং পূর্ববাংলার জন্য পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনে বিশ্বাসী ছিল।
১৯৫৮ সালে জেনারেল ইস্কান্দার মীর্জাকে সরিয়ে জেনারেল আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখল ও দেশে সামরিক শাসন জারির পর মওলানা ভাসানী গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘ কারাভোগের পর ১৯৬২ সালের শেষদিকে তিনি মুক্তি পান। ঐ সময় দেশে শাসনতান্ত্রিক শাসন পুনরুদ্ধারে সদ্য কারামুক্ত জনপ্রিয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) নামে আইয়ুব-বিরোধী রাজনৈতিক মঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হলে অন্যান্য দলের সঙ্গে ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাপও তাতে যোগ দেয়। ১৯৬৩ সালের অক্টোবর মাসে চীন সফর শেষে দেশে ফেরার পর মওলানা ভাসানী ও তাঁর দল আইয়ুব সরকারের প্রতি এক ধরনের সহনশীল অবস্থান নেয়। অবশ্য সরকারঘেঁষা এ নীতি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৬৫ সালের শুরুতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেনারেল আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ‘সম্মিলিত বিরোধী দল’ (Combined Opposition Party) বা COP নামে যে রাজনৈতিক মোর্চা গঠিত হয়, ন্যাপ তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘আমাদের বাঁচার দাবী ৬-দফা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে ৬-দফা ভিত্তিক তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হলে আইয়ুব সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং বন্দি অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে আগরতলা মামলা- (১৯৬৮) দায়ের করে। উদ্দেশ্য, ৬-দফা ভিত্তিক বাঙালির জাতীয় মুক্তির আন্দোলন অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়া। এর ফলে বাঙালিদের মধ্যে দ্রুত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, সংঘটিত হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। এতে আইয়ুব সরকারের পতন ঘটে এবং বঙ্গবন্ধু নিঃশর্ত মুক্তিলাভ করেন। এ গণঅভ্যুত্থান সংগঠনে মওলানা ভাসানী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন
এদিকে ষাটের দশকে বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক শিবিরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের মধ্যকার নীতিগত বিরোধ চূড়ান্ত রূপ নিলে ১৯৬৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ভেঙ্গে ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাপ (পিকিং) এবং অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের নেতৃত্বে ন্যাপ (মস্কো) এ দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে৷
পাকিস্তানের নতুন শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান দেশে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত সে নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাধীনতার চূড়ান্ত লক্ষ্যে অগ্রসর হয়। ন্যাপ (ভাসানী) ‘ভোটের আগে ভাত চাই’ দাবি তুলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত থাকে। ন্যাপের (ভাসানী) এ অবস্থান কার্যত আওয়ামী লীগের পক্ষে গিয়েছিল বলে মনে করা হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে-সঙ্গে মওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘পূর্ব বাংলার জনগণ অতীতের মতো এবারও সঠিক কাজটিই করেছে।’ সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধু সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন-এর ডাক দেন, যা ২রা থেকে ২৫শে মার্চ (১৯৭১) পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। অগ্নিঝরা সে দিনগুলোতে মওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করে বাঙালির স্বাধীনতা প্রশ্নে তাঁর সর্বাত্মক সমর্থন ঘোষণা করেন।
২৫শে মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণ এবং ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ফলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মওলানা ভাসানী তাতে যোগ দেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁর সন্তোষের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এপ্রিল মাসে তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যান। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের জন্য তিনি ভারত সরকার ও সে-দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও ধ্বংসলীলার কথা তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধান ও জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট বার্তা প্রেরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ৬-সদস্য বিশিষ্ট যে Consultative Committee বা পরামর্শক সভা গঠন করে, মওলানা ভাসানী তার অন্যতম সদস্য ছিলেন। এভাবে বাঙালির জাতীয় মুক্তি বা স্বাধীনতা সংগ্রামে মওলানা ভাসানী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে মওলানা ভাসানী ভারত থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। কিন্তু নীতিগত প্রশ্নে অল্প দিনের মধ্যেই তিনি সরকার ও ভারতবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেন। অতঃপর দীর্ঘ অসুস্থতা শেষে ১৯৭৬ সালের ১৭ই নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরিসমাপ্তি ঘটে তাঁর সুদীর্ঘ এক সংগ্রামী জীবনের। [হারুন-অর-রশিদ]
সহায়ক গ্রন্থ: সৈয়দ আবুল মকসুদ, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, বাংলা একাডেমী, ঢাকা ১৯৯৪; সিরাজুল ইসলাম (সম্পাদিত), বাংলাপিডিয়া, ১ম খণ্ড, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, ঢাকা ২০০৩; হারুন-অর-রশিদ, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ঢাকা ২০১৩; হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ রাজনীতি সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭-২০০০, নিউ এজ পাবলিকেশন্স, ঢাকা ২০০১; আতিউর রহমান, অসহযোগের দিনগুলি : মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্ব, সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা ১৯৯৮; এম আর মাহবুব, যারা অমর ভাষা সংগ্রামে, অনিন্দ্য প্রকাশ, ঢাকা ২০১২
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড