মুক্তিযুদ্ধে বোরহানউদ্দিন উপজেলা (ভোলা)
বোরহানউদ্দিন উপজেলা (ভোলা) ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বোরহানউদ্দিনের ভাষাসৈনিক রেজি-ই-করিম চৌধুরী (চুন্নু মিয়া) প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এ-সময় আওয়ামী লীগ-এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বোরহানউদ্দিনেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ-এর পর সারা দেশের মতো এ এলাকার মানুষও স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য সংগঠিত হতে থাকে। ৯ই মার্চ রেজি-ই-করিম চৌধুরী এমপিএ-কে সভাপতি, সিরাজুল ইসলাম মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক, বশির আহম্মদ মিয়াকে সহ-সভাপতি, ডা. সৈয়দ আহম্মেদকে কোষাধ্যক্ষ, আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে প্রচার সম্পাদক এবং মানিক মিয়া, ফখরুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী, রফিজল হক হাওলাদার প্রমুখকে সদস্য করে থানা সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। এ-সময় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটিও গঠিত হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন মো. জুলফিকার আলী, নাজিমুদ্দিন, নুরনবী, মোসলেম হাওলাদার, মাহবুব সহিদ, আবদুর রব, আবু, সহিদুল্যাহ হাওলাদার, আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ। বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে পাকিস্তানি সামরিক সরকারের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে উপর্যুক্ত নেতৃবৃন্দের পরিচালনায় এলাকার মানুষ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর বোরহানউদ্দিনে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি জোরদার হয়। সংগ্রাম কমিটি এ-সময় বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ ও মির্জাকালু মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে একাধিক সভা করে জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। মার্চ মাসের শেষদিকে সংগ্রাম কমিটির পৃষ্ঠপোষকতা এবং বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মন্নান, থানার সার্কেল অফিসার মো. আজিজুল ইসলাম প্রমুখের সহায়তায় বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার ছাত্র-যুবকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এখানে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুবেদার হাতেম আলী, হাবিলদার আচমত আলী মিয়া, মো. আজিজুল হক (আগরতলা মামলার আসামি), হাবিলদার নাসির আহমেদ, ক্যাপ্টেন আবি আব্দুল্লাহ, ল্যান্স নায়েক কাঞ্চন, হাবিলদার সামছুল হক প্রমুখ। ২৩টি ডামি রাইফেল ও বাঁশের লাঠি দিয়ে প্রায় ৩০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর ছুটিতে আসা সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর উপর্যুক্ত সদস্যরা আর ফিরে না গিয়ে এ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যোগ দেন। ভোলায় পাকবাহিনী অনুপ্রবেশের পূর্ব পর্যন্ত বোরহানউদ্দিনের দেউলার সাচড়ায় একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চালু ছিল। পরবর্তীতে হোসেন চৌধুরীর বাড়ি, রাজাবাড়ি, নজির হাওলাদারের বাড়ি, ভূঁইয়াবাড়ি, তালুকদার বাড়ি, স্কুলবাড়ি, লতিফ পাটোয়ারীর বাড়ি, দাসবাড়ি, ক্ষুদ্রকান্তি হাওলাদারের বাড়ি, হাইকমান্ড মো. সিদ্দিকুর রহমান-এর বাড়ি, কুট্টি রাঢ়ীর বাড়ি, মজু মিয়ার বাড়ি, আলতাফ হাওলাদারের বাড়ি এবং পক্ষিয়া হাওলাদারের বাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্প খুলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অনেকে ভারতে গিয়েও প্রশিক্ষণ নেন। সংগ্রাম কমিটি বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ, স্বচ্ছল ব্যক্তি, বড় ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধ পরিচালনা করে। সার্কেল অফিসার মো. আজিজুল ইসলাম তাঁর অফিসের গাড়িতে করে ত্রাণের মালামাল বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ সংগ্রাম কমিটির তহবিলে জমা দেন। বোরহানউদ্দিনে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন রেজি-ই-করিম চৌধুরী এমপিএ, বশির আহম্মেদ মিয়া, মো. হোসেন চৌধুরী, সামছুউদ্দিন মিয়া, আব্দুল মন্নান মাস্টার, নাজিমুদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। যুদ্ধের প্রথম দিকে এখানে কোনো কমান্ডার ছিলেন না। হাইকমান্ড মো. সিদ্দিকুর রহমান যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে হাবিলদার আচমত আলী মিয়া থানা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।
বোরহানউদ্দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের স্থানীয় কোনো বিশেষ বাহিনী ছিল না। তবে ভোলার মাকসুদুর রহমান ও এডভোকেট মাকসুদুর রহমানের নেতৃত্বে সিরাজ সিকদারের বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
৮ই মে পাকবাহিনী বোরহানউদ্দিনে প্রবেশ করে। কিন্তু তারা এখানে অবস্থান না করে লালমোহন চলে যায়। ৯ই মে তারা লালমোহন থেকে বোরহানউদ্দিনে এসে স্থানীয় সহযোগীদের সঙ্গে থানায় একটি মিটিং করে এবং এরপর তারা ভোলা চলে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে তারা এখানে এসে অভিযান পরিচালনা করে। ২৯শে অক্টোবর নৌপথে এসে তারা থানা সার্কেল অফিসে ক্যাম্প স্থাপন করে এবং একমাস অবস্থানের পর আবার চলে যায়। বোরহানউদ্দিনে মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা পাকবাহিনীকে নানাভাবে সহায়তা করে। তাদের উদ্যোগে শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। ইয়াসিন ভূঁইয়াকে সভাপতি এবং আবুল কাসেম চৌধুরী (দেউলা)-কে সম্পাদক করে থানা শান্তি কমিটি গঠিত হয়। শান্তি কমিটির অন্য সদস্যরা হলো- মজিদ মাস্টার, মেম্বর মজিদ কাজী, সানু চৌধুরী, বাশি পাটওয়ারী, শাহে আলম হাওলাদার, মালেক মাওলানা প্রমুখ। রাজাকার বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সদস্যরা হলো- কমান্ডার শাহজাহান চৌধুরী (সাচড়া, মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত), আজহার মৌলভী (দেউলা), মো. হোসেন মাস্টার (দেউলা), মন্নান চৌকিদার (দেউলা, মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত), জালাল (আলগী, মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত), সালেহ আহম্মদ, ওসমান গনি (দালালপুর, টবগী) এবং জালাল (চর আলগী)। এখানে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা ছিল রাজাকার কমান্ডার শাজাহান চৌধুরী, মন্নান চৌকিদার, আজহার মৌলভী, শান্তি কমিটির আবুল কাসেম চৌধুরী প্রমুখ।
শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ও হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা সম্পর্কে পাকবাহিনীকে অবহিত করত এবং আওয়ামী লীগ-এর নেতৃস্থানীয়দের চলাচলের ওপর নজরদারি করত। তারা পাকিস্তানের পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করে এবং সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, বোরহানউদ্দিন বাজার, বোরহানগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ, হত্যা, লুটপাট ও নির্যাতনে পাকবাহিনীকে সহায়তা করে।
৯ই মে বোরহানউদ্দিনে দ্বিতীয়বার অনুপ্রবেশকালে রাজাকারদের সহায়তায় পাকসেনাদের হাতে মণিমোহন দে ও নিখিল চন্দ্র দে শহীদ হন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে পাকবাহিনী নজরুল ইসলাম, ডা. সৈয়দ আহম্মদ, সফিজল, ওহাব পাটোয়ারী, কাঞ্চন, আচমত, মজিবল কেরানী, আব্দুল হাকিম, নুরুল ইসলাম, আজহার বেপারী, ইসমাইল ও তোফাজ্জল হোসেনকে হত্যা করে। ২৯শে অক্টোবর বোরহানউদ্দিন বাজারের যুদ্ধে অনেক লোককে হত্যা করা হয়। পাকসেনারা যেখানে অভিযান চালিয়েছে সেখানে নারীনির্যাতন, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। দেউলার মন্নান চৌকিদার ও রাজাকার জালাল নারীনির্যাতনে পাকবাহিনীকে সহযোগিতা করে। কুতুবা, কুতুবা মিয়াবাড়ি, দেউলা খেয়াপাড়ের বাড়িঘর, দেউলার চৌধুরীবাড়ি ও গুরিন্দাবাড়ি, মজিবল কেরানীর বাড়ি, বোরহানউদ্দিন বাজার, বোরহানগঞ্জ বাজার, মির্জাকালু বাজার, দরুন বাজার, ছাগলা এবং গাজীপুর গ্রামসহ দেউলা ও সাচড়া ইউনিয়নের শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। বোরহানউদ্দিন থানা ও সার্কেল অফিস ছিল পাকবাহিনীর নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির।
ভোলায় পাকবাহিনী আসার পর বোরহানউদ্দিনে মুক্তিযুদ্ধের গতি অনেকটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদ দূরত্বে চলে যান। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে হাইকমান্ড মো. সিদ্দিকুর রহমান, মাকসুদুর রহমান প্রমুখ বোরহানউদ্দিনে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। এরপর তাঁরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের হত্যা এবং অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেন। তাঁরা চরফ্যাশনের মাঝিরহাটের কাছে রাজাকারদের আক্রমণ করে একজনকে হত্যা করেন। অন্যরা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে গেলে তাদের আটটি অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে অক্টোবর মাসে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর কয়েকটি যুদ্ধ হয়। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সাচড়ায় পুলিশরাজাকারদের ওপর আক্রমণ, দেউলার যুদ্ধ, বোরহানউদ্দিন বাজার যুদ্ধ এবং বোরহানগঞ্জ বাজার যুদ্ধ। পাকবাহিনীকে সহযোগিতা করার অভিযোগে হাইকমান্ড সিদ্দিকুর রহমান ১৪ই অক্টোবর দেউলার রাজাকার চৌকিদার আব্দুল মান্নানকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করেন। এরপর একদিন দুপুরে সাচড়া চৌধুরী বাড়িতে পুলিশরাজাকারদের খাওয়ার আয়োজন করা হলে হাইকমান্ড সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল তাদের ঘেড়াও করে এবং কয়েক রাউন্ড গুলি করে ও হাতবোমা ফাটায়। অবস্থা বেগতিক দেখে রাজাকার নূরুল ইসলামের নেতৃতে পুলিশ ও রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে এবং ১২টি অস্ত্র হাইকমান্ড সিদ্দিকুর রহমানের নিকট জমা দেয়।
দেউলার যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৬ই অক্টোবর। হাইকমান্ড সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে এ-যুদ্ধে অর্ধশত পাকসেনা নিহত হয়, ১২ জন পুলিশ, রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্য আত্মসমর্পণ করে এবং ৪০টি অস্ত্র মুক্তিবাহিনীর হস্তগত হয়। এ-যুদ্ধে জয়লাভের ফলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সিদ্দিকুর রহমানকে ভোলার সকল যুদ্ধের দায়িত্ব প্রদান করেন। তখন থেকেই তিনি ‘হাইকমান্ড বা বাঘা সিদ্দিক’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। ১৮ই অক্টোবর সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বোরহানউদ্দিন থানা দখল করেন এবং ৪২টি রাইফেল ও ২০০ রাউন্ড গুলি মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়।
বোরহানউদ্দিন বাজার যুদ্ধ সংঘটিত হয় ২৯শে অক্টোবর। এতে ১ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ২০-২৫ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন। অপরদিকে জনতার হাতে ১ জন পাকসেনা নিহত হয়।
বোরহানগঞ্জ বাজার যুদ্ধও সংঘটিত হয় ২৯শে অক্টোবর। এতে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা ও বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী শহীদ হন। অপরপক্ষে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। ২৭শে নভেম্বর বোরহানউদ্দিন উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়। বোরহানউদ্দিন উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- জেবল হক ফকির (পিতা আফাজউদ্দিন ফকির, জয়া, গঙ্গাপুর), গোলাম রসুল মিয়া (পিতা আহাম্মদ জামান সিকদার, কাচিয়া), লালু মিয়া খান (পিতা আব্দুল লতিফ খান, কাচিয়া), নায়েব তোফাজ্জল হোসেন (পিতা মন্তাজউদ্দিন হাওলাদার, কাচিয়া), মোতাহার হোসেন (পিতা সহিজউদ্দিন, কাচিয়া), তোফাজ্জল হোসেন (পিতা সানু পাটোয়ারী, কাচিয়া), মজিবল হক (পিতা আলিমউদ্দিন ফকির, পক্ষিয়া), মো. ইয়াছিন (পিতা আব্দুল গফুর আলী, টবগী), আবুল কাশেম (পিতা সেরাজুল হক, পক্ষিয়া), মো. হানিফ (পিতা সাধু লাল, কুতুবা), আবি আব্দুল্লাহ (পিতা মতিউর রহমান মাস্টার, কুতুবা), হাবিলদার আবুল পারহা (পিতা আব্দুল কাদের, কুতুবা), আব্দুর রাজ্জাক মিয়াজি (পিতা হারুন উদ্দিন খলিফা, বড়মানিকা), মো. ইদ্রিস তালুকদার (পিতা আব্দুল গনি তালুকদার, বড়মানিকা), তোফাজ্জল হোসেন (পিতা মুকবুল হাওলাদার, বড়মানিকা), মিন্টু মিয়া (পিতা হারুন-আর রশিদ, বড়মানিকা), অজিউল্লাহ পন্ডিত (পিতা আজমত আলী, বড়মানিকা), জয়নাল আবেদীন (পিতা জিয়র আলী, বড়মানিকা), সৈয়দ আহমদ (পিতা ইমান উদ্দিন, বড়মানিকা), সামসুদ্দিন (পিতা সাফিজল হক ঢালী, বড়মানিকা), মীর হাফিজউদ্দিন (পিতা আব্দুল করিম মীর, বড়মানিকা), ল্যান্স নায়েক মোস্তাফিজুর রহমান (পিতা সফিয়ার রহমান, উত্তর বাটামারা, বড়মানিকা; ১৩ই এপ্রিল দিনাজপুরে শহীদ) এবং দুলাল চৌধুরী (বোরহানউদ্দিন বাজারের যুদ্ধে শহীদ)। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে উপজেলা চত্বরে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। [শিমুল চৌধুরী]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড