বিদ্যাকুট গণহত্যা (নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
বিদ্যাকুট গণহত্যা (নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) আগস্ট মাসের শেষদিকে সংঘটিত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ গণহত্যায় ৭ জন নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হন।
আগস্ট মাসের শেষদিকে হানাদার বাহিনীর একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নৌকাযোগে বিদ্যাকুট বাজারের উত্তর পাশে এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বিকেলের দিকে বিদ্যাকুট গ্রামের ব্যবসায়ী সাদির মিয়া (৭০) হানাদারদের দেখার জন্য ঐ বাড়ির অদূরে একটি তালগাছের নিকট আসামাত্র পাকিস্তানি সৈন্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ-সময় গুলিতে একটি গরুও মারা যায়। হানাদার বাহিনী রাত ১২টার দিকে বাজারের প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান আগুনে পুড়িয়ে দেয়। মুক্তিযোদ্ধারা এ-সময় হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে হানাদার বাহিনী পিছু হটে অন্যত্র চলে যায়। পিছু হটার সময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে কয়েকজন গ্রামবাসী শহীদ হন। চলে যাওয়ার সময় তারা বিদ্যাকুট গ্রামের ৪ জনকে ধরে লঞ্চযোগে মেরকুটা বাজারের পশ্চিম পাশে বাইলখালী নৌকাঘাটে নিয়ে আসে এবং তাদের হত্যা করে। বিদ্যাকুট গণহত্যায় শহীদ ৭ জন গ্রামবাসীর মধ্যে যাদের পরিচয় জানা যায়, তাঁরা হলেন- আ. মোতালেব (২৬) (পিতা আমিন মিয়া), সুলতু মিয়া (৩০) (পিতা মির্জা আলী), ইনু মিয়া (৩০) (পিতা চামু মিয়া), পটা (৩৫), উলফত আলী (৭০), ওসন আলী (৬০) ও সাদির মিয়া (৭০)। গণহত্যার পর শহীদদের লাশ গ্রামবাসী গণকবরে সমাহিত করে। [মো. শাহজাহান সোহেল]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড