বাবুগঞ্জ থানা আক্রমণ (বাবুগঞ্জ, বরিশাল)
বাবুগঞ্জ থানা আক্রমণ (বাবুগঞ্জ, বরিশাল) পরিচালিত হয় ৩রা অক্টোবর। এতে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ২৫শে এপ্রিল বরিশাল শহর দখলের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার সকল উপজেলায় ক্যাম্প স্থাপনের চেষ্টা করে। মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধের কারণে বারবার চেষ্টার পরে জুন মাসের মাঝামাঝি তারা বাবুগঞ্জে অনুপ্রবেশ করে এবং বাবুগঞ্জ হাইস্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করে। ক্যাম্প স্থাপনের পর তারা আশপাশের গ্রাম এবং হাট- বাজারে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে। বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ-এর নেতা- কর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন ক্যাম্পে ধরে এনে নির্যাতন করত। ক্রমান্বয়ে এ ক্যাম্প তাদের অন্যতম নির্যাতনকেন্দ্রে পরিণত হয়। তাছড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের ক্যাম্পে ধরে এনে তারা পাশবিক নির্যাতন করত। ১৪ই জুলাই কমান্ডার আবদুল ওহাব খান, এডভোকেট আবুল কাশেম ও কে এস এ মহিউদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা তিনদিক থেকে বাবুগঞ্জ থানা আক্রমণ করেন। হানাদার বাহিনীর ভারী অস্ত্রের কারণে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটেন। ৩রা অক্টোবর ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পুনরায় বাবুগঞ্জ থানা আক্রমণ করেন। উভয় পক্ষের যুদ্ধে আলতাফ হোসেন, বীর বিক্রম (উজিরপুর) শহীদ হন। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড