বাঘড়া কলোনি ইটভাটা গণহত্যা (শেরপুর, বগুড়া)
বাঘড়া কলোনি ইটভাটা গণহত্যা (শেরপুর, বগুড়া) সংঘটিত হয় জ্যৈষ্ঠ মাসে। এতে ২৬ জন মানুষ নিহত ও ৯ জন আহত হয়।
জ্যৈষ্ঠ মাসের কোনো এক শুক্রবার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাঘড়া কলোনিতে অনুপ্রবেশ করে। পরদিন শনিবার তারা শেরপুর শহরে লুটপাট চালায়। রবিবার তারা বাঘড়া কলোনিতে গণহত্যা চালায়। হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসর -রাজাকার বাহিনী একসঙ্গে ৩৫ জন মানুষকে ইটভাটায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে। এতে ২৬ জন মানুষ নিহত ও ৯ জন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন বাঘড়া গ্রামের এবং বাকিরা বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা। বাঘড়া গণহত্যায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে ২৪ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- বাঘড়া গ্রামের আফসার আলী, আজিজার, ছিবাত মোল্লা, মোফাজ্জল, যদি মণ্ডল, দলু মণ্ডল, আব্দুস সাত্তার, আয়াজ মণ্ডল, আলী মণ্ডল, আলী আকবর, হোসেন আলী, ঈমান আলী, আফজাল, ওসমান গনি, ইদ্রিস আলী, হযরত আলী, আব্দুল কুদ্দুস, আলতাফ আলী ও মুন্সেফ মণ্ডল, হাঁপুনিয়া গ্রামের আকবর আলী, মহিপুর গ্রামের লবা ফকির, শেরপুর কলেজের ছাত্র ছাবেত আলী, ধুনট থানার চিকাশী গ্রামের মনসের আলী ও সিরাজগঞ্জ সদর থানার ছাতিয়ানী গ্রামের আলেক চাঁন সরকার। আহতরা হলেন- বাঘড়া গ্রামের বাসিন্দা সদর আলী, মনসুর আলী, সুরুজ আলী, মো. আব্দুস সামাদ ও আব্দুল কাদের (কাদের বকস), মহিপুর গ্রামের আজাহার আলী ও মজোম, লুৎফর মুন্সী ও লুৎফর রহমান শেখ। [সেলিনা শিউলী]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড