You dont have javascript enabled! Please enable it! ফুলবাড়িয়া গণহত্যা (সালথা, ফরিদপুর) - সংগ্রামের নোটবুক

ফুলবাড়িয়া গণহত্যা (সালথা, ফরিদপুর)

ফুলবাড়িয়া গণহত্যা (সালথা, ফরিদপুর) সংঘটিত হয় সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নিরীহ গ্রামবাসী হত্যার শিকার হন।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ভাটিয়াপাড়া থেকে পাকহানাদার বাহিনীর একটি দল লঞ্চে করে ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া, কুমারকান্দা, আলমপুর ও কেশারদিয়া গ্রামে অতর্কিতে আক্রমণ করে কমপক্ষে ১৯ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ড ফুলবাড়িয়া গণহত্যা নামে পরিচিত পাকসেনাদের সহায়তা করে স্থানীয় রাজাকাররা। ঘটনার দিন হানাদার বাহিনীর নির্দিষ্ট কোনো টার্গেট ছিল না। যাকে সামনে পেয়েছে, তাকেই গুলি করেছে। তাদের গুলিতে নিহতরা হলেন- ফুলবাড়িয়ার জব্দুল শেখ (পিতা আজিমউদ্দিন শেখ), আ. ওয়াহেদ মোল্লা (পিতা হেলালউদ্দিন মোল্লা), মাজু খাতুন (স্বামী আ. লতিফ মোল্লা), চিত্তরঞ্জন দাস (পিতা প্রতাপ চন্দ্র দাস), রত্তন ফকির ওরফে দয়াল (পিতা ইয়াকুব ফকির), আবদুল জলিল দরবেশ ও এলেম খাঁ, বাউসখালীর লালমিয়া কুলু (পিতা উমেদ কুলু), কেশারদীয়ার উমেদ মোল্লা (পিতা তাহের মোল্লা), আবদুল জলিল মোল্লা (পিতা ছান্দু মোল্লা), কিনু ফকির (পিতা আলম ফকির), আদম ফকির (পিতা মদন ফকির), আলমপুরের আছিয়া বেগম (স্বামী জয়নুদ্দিন মাতুব্বর), আবুল হাসান মাতুব্বর (পিতা জয়নুদ্দিন মাতুব্বর), আবুল কাসেম (পিতা গনি মাতুব্বর), কুমারকান্দার আবদুল মাজেদ ওরফে টুকু মোল্লা ও আদম মোল্লা, যদুনন্দীর রাশেদ শেখ এবং কালিনগরের (বোয়ালমারী) হরিপদ পাল। নিহতদের সবাই কৃষক বা কৃষক পরিবারের সন্তান। [আবু সাঈদ খান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড