মুক্তিযুদ্ধে ফরিদপুর উপজেলা (পাবনা)
ফরিদপুর উপজেলা (পাবনা) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর ফরিদপুর থানা আওয়ামী লীগ-এর নেতৃবৃন্দ উপজেলার সচেতন ব্যক্তিদের নিয়ে বনওয়ারীনগর খেলার মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করেন। তাঁরা অনুভব করেন যে, যুদ্ধ অনিবার্য এবং এজন্য এলাকার মানুষদের সংগঠিত করা জরুরি।
এমন এক অবস্থায় থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনকে (এম এ আবুল নামে এলাকায় অধিক পরিচিত) আহ্বায়ক করে থানা সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। সংগ্রাম কমিটির সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- ইসহাক আলী নায়েব (নতুনপাড়া খলিসাদহ), প্রদ্যুৎ কুমার কর্মকার (গোপালনগর), আবুল হোসেন (পরবর্তীতে আবুল চেয়ারম্যান নামে পরিচিত), আনোয়ার হোসেন মাস্টার (থানাপাড়া), ফজল আবুল মনসুর (দিঘুলিয়া), আফজাল হোসেন (টিয়ারপাড়া), ডা. সাহাদত হোসেন (থানাপাড়া), মতিয়ার রহমান চেয়ারম্যান (থানাপাড়া), বাছেদুর রহমান বাসু (থানাপাড়া), আসাদুজ্জামান বকুল (বনওয়ারীনগর), আজগর আলী সরকার (বায়রাপাড়া), আবুল হোসেন সরকার (বেড়হাউলিয়া) প্রমুখ। ফজল আবুল মনসুরের পিতা আয়নাল ডাক্তার ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া ফজলুল করিম কাসি (বি এল বাড়ি) এবং ন্যাপকমিউনিস্ট পার্টির নুরুজ্জামান বাবলু (জন্তিহার) মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ফরিদপুরের মুক্তিযুদ্ধের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো বায়রাপাড়ার (মাছুয়াঘাটা) আজগর আলী সরকারের বাড়িতে। এটি ছিল নিম্নাঞ্চল এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ ছিল না। এ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ফরিদপুরে পাকবাহিনীকে মোকাবেলার জন্য হাজারো জনতা এগিয়ে আসে। সংগ্রাম কমিটির সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে তাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন যশোর সেনানীবাসের ৪৯ এম টি প্লাটুনের পলাতক বাঙালি সৈনিক মো. শাহজাহান আলী। এছাড়া আব্দুল মজিদ, গোলাম মোস্তফা, আবুল হোসেন, জয়নাল আবেদিন, আব্দুল আজিজ প্রমুখ প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এঁদের মধ্যে কেউ-কেউ ছিলেন সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য। বনওয়ারীনগর খেলার মাঠ, ফরিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, বেড়হাউলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, বায়রাপাড়া (মাছুয়াঘাটা) প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এবং মাছুয়াঘাটা বিলের পার্শ্ববর্তী উঁচু ভিটায় বেশির ভাগ প্রশিক্ষণ চলে। ন্যাপকমিউনিস্ট পার্টির নুরুজ্জামান বাবলু আবুল হোসেন সরকারের সহায়তায় বেড়হাউলিয়াতে কিছুদিন স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ান। পরবর্তীতে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণদানকারী এসব মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ছিলেন আব্দুল মান্নান, মঞ্জুর মোর্শেদ সেলিম, বিরেন সরকার, আব্দুল মমিন, আব্দুর রশিদ, মেজবাহুর রহমান রোজ, আব্দুল কাদের, আব্দুস ছাত্তার, মিজানুর রহমান, কামাল হোসেন, আব্দুস ছামাদ প্রমুখ। ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা ৮টি ট্রুপে ভাগ হয়ে ফিরে আসেন। প্রতি ট্রুপে ৭-৮ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এভাবে ফরিদপুরে গড়ে ওঠে এক শক্তিশালী মুক্তিবাহিনী।
৭ নং সেক্টরের অধীন ফরিদপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধকালে আঞ্চলিক কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন আব্দুর রাজ্জাক মুকুল (পরবর্তীতে এমপি)। তাঁর ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন আব্দুল মান্নান। ভারতের দেরাদুন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মঞ্জুর মোর্শেদ সেলিম ফরিদপুর থানার মুজিব বাহিনীর প্রধান এবং একই
সঙ্গে কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মঞ্জুর মোর্শেদ ভারী অস্ত্র আমদানির জন্য ভারতে গেলে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল মান্নান। কিছু সময়ের জন্য আব্দুল মজিদ নামে একজন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের আটটি ট্রুপে আটজন টুপ লিডার ছিলেন। তাঁরা হলেন— মেঝবাহুর রহমান রোজ, বিরেন সরকার, আব্দুল মমিন, আব্দুর রশিদ, আব্দুল কাদের, কামাল হোসেন, আব্দুস সামাদ ও আব্দুস ছাত্তার। ফরিদপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে শাহজাদপুরের ফখরুল ইসলাম এবং পাবনার মনসুর আহমেদও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২৬শে মার্চ বড়াল ব্রিজ স্টেশন থেকে পাকবাহিনীর ফরিদপুরে আগমনের খবর জানতে পেরে সকালে থানার পশ্চিমে নেছড়াপাড়া এবং বেড়হাউলিয়া গ্রামের শিববাড়ী মঠের পাশে বিপুল সংখ্যক মুক্তিকামী মানুষ প্রতিরোধের জন্য ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। পাকবাহিনী এ খবর পেয়ে তাদের যাত্রা বন্ধ করে ভিন্ন পথে ফরিদপুর আসার চেষ্টা করে। এটিই ছিল মূলত ফরিদপুরের প্রথম প্রতিরোধ।
ফরিদপুর উপজেলায় তখন জলপথ ছাড়া অন্য কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি ফরিদপুর থানার সঙ্গে কোনো পাকা রাস্তার সংযোগও ছিল না। তাই জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাকবাহিনী প্রথম বড়াল নদী দিয়ে লঞ্চযোগে এসে ঐতিহাসিক আতাইকুলা, কখনো বা বাঘাবাড়ী হয়ে পায়ে হেঁটে পাকবাহিনী ফরিদপুরে প্রবেশ করে। পাবনা এবং নগরবাড়ী থেকেও তারা আসত। ফরিদপুরে পাকবাহিনী দুটি ক্যাম্প স্থাপন করেছিল – একটি ফরিদপুর থানায় এবং অপরটি রাজবাড়ীতে (তারাশের বিখ্যাত জমিদার ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বনওয়ারীলাল রায়বাহাদুরের জমিদারবাড়ি)। যুদ্ধকালীন সময়ে পাকসেনারা রাজবাড়ী ক্যাম্পে প্রায় পাঁচ মাস এবং ১১ই ডিসেম্বর ফরিদপুর মুক্ত হবার পূর্ব পর্যন্ত থানা ক্যাম্পে অবস্থান করে।
পাকবাহিনীর কাজে সহযোগিতার জন্য মাওলানা হাবিবুর রহমান (বনওয়ারীনগর)-কে চেয়ারম্যান করে ফরিদপুর থানা শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ছিল আব্দুল কাদের মাস্টার (ফরিদপুর), হাজী ইয়াকুব আলী (খাগরবাড়ীয়া), মওলানা আব্দুস ছালাম (কাশিপুর বনওয়ারীনগর সি বি করনেশন বনমালী হাইস্কুলের শিক্ষক), ফকরুল ইসলাম (কাশিপুর), লফর চেয়ারম্যান, মোসলেম মওলানা (থানাপাড়া), কবি আবুল হাসেম (নতুনপাড়া খলিসাদহ/সাবেক খোগরবাড়ীয়া), দৌলত দৌলত ডাক্তার (বিলকরী), মাওলানা আবুল হাসান হাদুলী (হাদল) প্রমুখ। পরে রাজাকার বাহিনীও গঠন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকেই মাওলানা হাবিবুর রহমান এবং কবি আবুল হাসেমের নেতৃত্বে শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। রাজবাড়ীতে পাকবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের পর তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি পায় এবং তারা বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে। পার ফরিদপুর গ্রামের নান্নু রাজাকার পাকসেনাদের ক্যাম্পে নারী সরবরাহ করত। কাশিপুর গ্রামের ছোরাপ রাজাকার এবং থানাপাড়া গ্রামের হাসান রাজাকার পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে হাস, মুরগি, গরু, ছাগল ইত্যাদি জোরপূর্বক নিয়ে পাকবাহিনীর ক্যাম্পে সরবরাহ করত। কালিয়ানী যুদ্ধে আসাব রাজাকার পাকসেনাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে আসে এবং পলায়নরত কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে পাকবাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেয়। ফখরুল রাজাকার নিজেকে আড়াল করতে বোরখা পরে পাকবাহিনীকে নিয়ে আসত। যুদ্ধশেষে রাজাকার নেতা কবি আবুল হাসেম বোরখা পরে ফরিদপুর থেকে পালিয়ে যায়। পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ফরিদপুরে তিনটি গণহত্যা চালায় ডেমরা গণহত্যা, হাদল গণহত্যা ও গোপালনগর কালীবাড়ি গণহত্যা। ১৪ই মে শুক্রবার ভোররাতে পাকবাহিনী ডেমরা ও পার্শ্ববর্তী রূপসী গ্রামে বর্বরতম গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। অসংখ্য মানুষ এ গণহত্যার শিকার হয়। ডেমরা গণহত্যার কয়েকদিন পরে ২৪শে মে পাকবাহিনী হাদল গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার ও থানা শান্তি কমিটির নেতা মাওলানা আবুল হাসান হাদুলীর সহায়তায় হাদল ইউনিয়নের হাদল ও কালিকাপুর গ্রামে গণহত্যা, নারীনির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন চালায়। এ গণহত্যায় ৪ শতাধিক লোক শহীদ হন। ২১শে আগস্ট হিন্দুপ্রধান এলাকা গোপালনগর গ্রামের কালীবাড়ির সম্মুখে ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত হয়। এ-সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম মোল্লাকে কালীমন্দিরের ত্রিশূল দিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। গোপালনগর কালীবাড়ি গণহত্যায় ২৯ জন মানুষ শহীদ হন।
ফরিদপুর উপজেলায় পাকসেনাদের দুটি ক্যাম্প ছিল – থানা ক্যাম্প ও রাজবাড়ী ক্যাম্প। এ-দুটিই ছিল তাদের নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির। রাজাকারদের সহায়তায় পাকসেনারা নারী-পুরুষদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে আসত। তারপর তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাত। থানার পার্শ্ববর্তী নিশিপাড়া গ্রামের নারীদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন চলে। ডেমরা গ্রামের নীলা ও শীলা নামে দুই বোনকে রাজাকারদের সহায়তায় নরপিশাচরা ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। তাদের ‘আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাজাকারদের সহায়তায় ধরে আনা অসংখ্য মানুষকে নির্যাতন শেষে বনওয়ারীনগর থানার পাশে ব্রিজের নিচে হত্যা করা হয়।
ফরিদপুর উপজেলায় একটি বধ্যভূমি ও গণকবর আছে – ডেমরা বধ্যভূমি ও গণকবর। এখানে বহু মানুষকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়া হয়।
ফরিদপুর উপজেলায় উল্লাপাড়ার আব্দুল লতিফ মীর্জার নেতৃত্বে একটি স্থানীয় মুক্তিবাহিনী গড়ে ওঠে, যা পলাশডাঙ্গা বাহিনী নামে পরিচিত। এ বাহিনী ফরিদপুর থানা থেকে বহু অস্ত্র উদ্ধার করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।
ফরিদপুরে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়। সে-সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাজাট যুদ্ধ, কালিয়ানী যুদ্ধ, ফরিদপুর থানা যুদ্ধ- এবং পার ফরিদপুর যুদ্ধ -। মাজাট যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৭ই নভেম্বর। এতে ৪০ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরপক্ষে ১১ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন। কালিয়ানী যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৯ই নভেম্বর। এতে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ শহীদ হন। পক্ষান্তরে বেশ কয়েকজন পাকসেনা হতাহত হয়। ফরিদপুর থানা যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৮ই ডিসেম্বর থেকে ১১ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে কয়েকজন পাকসেনা ও দুজন রাজাকার নিহত হয়। পার ফরিদপুর যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১১ই ডিসেম্বর। এতে পাকসেনারা দুজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং এদনিই ফরিদপুর উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা ফরিদপুর থানায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
ফরিদপুরে কোনো শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে বনওয়ারীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ফরিদপুর থানার তৎকালীন ইনচার্জ রমজান আলীর নিকট থেকে গোপনে রাইফেল এনে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতেন। এ-কারণে স্থানীয় রাজাকারদের চক্রান্তে, বিশেষত তাঁর ভাই মাওলানা মোসলেম রাজাকারের প্রত্যক্ষ মদদে, পাকসেনারা মতিয়ার রহমানকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণ তাঁকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মনে করে।
ফরিদপুরে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। টেবুনিয়া-বাঘাবাড়ি মহাসড়কে ডেমরা বাজারের পাশে ডেমরা গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে। গোপালনগর গণহত্যায় শহীদ আবুল কাশেম মোল্লার নামে একটি স্মৃতিসংঘ আছে। রাজবাড়ীর দীঘির পাড়ে মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণাধীন আছে। গোপালনগর বাজারের উত্তরদিকের গোলাকার স্থানটিকে ‘শহীদ কাশেম স্মরণি’ নামে অভিহিত করে সেখানে একটি ফলক লাগানো হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এম এ আবুলের কবর সংস্কার, মুক্তিযোদ্ধা মো. মঞ্জুর মোর্শেদ সেলিম এবং আব্দুল মান্নানের নামে রাস্তার নামকরণের বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন আছে। [মো. আশরাফ আলী]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড